19/05/2025
ফ্যাসিবাদের দোসর কুমিল্লার শিক্ষক নামের কলঙ্ক এম এইচ মনির এখনো বহাল তবিয়তে, তাকে চাঁদা না দিলে কোন ভবন করা যেত না সদর উপজেলায়---------
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাম মনির হোসেন আর মাঠে নিজেকে পরিচয় দিতেন সাংবাদিক এম এইচ মনির নামে। তবে মনির হোসেন বা এম এইচ মনির- নাই যেটাই হোক এই মনিরের কাছে জিম্মি ছিলেন শত শত মানুষ। জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের দোসর কুমিল্লার শিক্ষক নামের কলঙ্ক এম এইচ মনির এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। নিজেকে রক্ষায় একের পর এক কূটকৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে মনিরকে চাঁদা না দিলে কোন ভবন করা যেত না কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায়। মনির ছিলেন সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শিক্ষক মনির হোসেন সরকারি চাকরির নিয়মনীতি ভেঙে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন দৈনিক রূপসী বাংলার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে। কলেজে মনির হোসেন আর পত্রিকায় এম এইচ মনির দিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘ বছর। তিনি ছিলেন অনেক বড় বাটপার, যার কারণে দুই জায়গা দুই রকম নাম দিয়ে এই মনির হোসেন দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করে গেছেন। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বাইরে বাসা বাড়ির কোন কনস্ট্রাকশন কাজ বিল্ডিং করার জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে অনুমোদন নিতে হয়, এই প্লানের অনুমোদন ফ্যাসিবাদের দোসর মনির হোসেন থেকে যে পর্যন্ত গ্রীন সিগন্যাল না আসা পর্যন্ত আদর্শ সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার প্লান পাশে স্বাক্ষর করতেন না । প্রতিটা প্লানে এই মনির হোসেন ৬০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি বাড়ি ঘর অনুমোদন ছাড়া করতো তাহলে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ৫- ৬ হোন্ডা পাঠাতো এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো তখন মানুষ বাধ্য হয়ে মনিরের হোসেনের কাছে ধর্না দিত।
কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার কমলপুর গ্রামের মনিরের বাড়ি। অনুসন্ধান কালে ঠিক একই ধরনের কথাগুলো এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। একমাত্র সাবেক এমপি বাহারের বাহারি রাজত্বের ও তার বন্ধু আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুলের প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করছেন শিক্ষক নামে কলঙ্ক এই মনির হোসেন। ফ্যাসিবাদের দোসর মনির ৫ আগস্টের পর পলাতক ছিলেন, ৫ মাস পলাতক থেকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের বেতনও নেন। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন।
জানা গেছে, উচ্চ মহলকে ম্যানেজ করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো:খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে পদায়ন করেন মনির হোসেনকে। অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তাঁর নিয়োগপত্রে ২০২৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি মোছা.শাম্মী আক্তার, উপসচিব স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, শর্ত সমুহের মধ্যে (চ) ধারায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আত্তীকৃত কোন কর্মচারী অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বদলি হতে পারবে না।
উল্লেখ্য যে ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারীকরণের প্রেক্ষিতে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ) জাতীয়করণকৃত কলেজ আওীকরন বিধিমালা, ২০০০''অনুযায়ী মনির হোসেনকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান পূর্বক (১) একজন প্রদর্শক পদে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা বেতন স্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগ ২০২৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি উপসচিব মোছা.শাম্মী আক্তার আওয়ামী দোসর মনির হোসেনের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন। স্থানীয়রা বলছেন, এই দেশে আইন আছে কিন্তু আইন প্রয়োগ হয় না। টাকার কাছে সবাই হার মানে। মনির হোসেন, ডিজি অধিদপ্তরের পরিচালকের পিএ রহিমের হাত ধরে পরিচালক, সহকারী পরিচালক উপপরিচালক, অধিদপ্তরের এই তিন জনকে ম্যানেজ করেন। এই মনির হোসেন ৫ এ আগস্টের পর তড়িঘড়ি করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশ উপেক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক উচ্চা শিক্ষা বিভাগ তখনকার মোছা :শাম্মী আক্তারের (উপসচিব)স্বাক্ষরিত নিয়োগের প্রজ্ঞাপনটাকে অমান্য করে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালিদ হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের নিয়োগপত্রকে (মনির হোসেন) বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার স্বাক্ষরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে বদলি হন। এই বদলির পেছনে হাত আছে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: খালিদ হোসেন। এই মনির হোসেন গত ১৫ বছর উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করছেন বদ প্রকৃতির লোক, শিক্ষা পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর, শিক্ষকরা হয় নম্র বিনয় এবং ভদ্র । কিন্তু মনিরের মধ্যে কোনটাই ছিল না। মনির হোসেনকে এই প্রতিবেদক, কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক রূপসী বাংলা এম এইচ মনির দিয়ে দীর্ঘদিন এই পত্রিকা সাংবাদিকতার করার মুঠোফোনে প্রশ্ন করিলে উনি এক কথায় এড়িয়ে যান তিনি কোন সাংবাদিকতা করে নাই । অথচ দৈনিক রুপসী বাংলায় এখনও ই-পেপার চার্জ দিলে পেছনে গত ২বছর আগের নিউজও পাওয়া যায় তাঁর নামে।
আমি কুমিল্লার মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলাম এম এইচ মনির ও মনির হোসেন একই ব্যক্তি তাকে সবাই চিনে এবং ভালো করে জানে কোন প্রকৃতির লোক। উপরে আল্লাহ তো একজন আছে এত বড় মিথ্যাবাদী তার কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে বারবার বলছে তুমি সরকারি চাকরি করো সাংবাদিকতা ছেড়ে দাও, রাজনীতিও ছেড়ে দাও কিন্তু মনির হোসেন কোন পাত্তাই দিলেন না কলেজের শিক্ষকদেরকে। সে টাকায় পেছনে ঘুরে শিক্ষা পেশাকে কলুষিত করেছে। আওয়ামী লীগ আমলে গত পনেরো বছর কলেজে ডিউটি না করে সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহার ভাই , তার মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সুচি ও আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল এর চামচা গিরি করছে। ছবিতে সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার ঘাড়ের পিছনে মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। একজন শিক্ষক রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে টেন্ডার বাণিজ্য কমিশন বাণিজ্য নিয়োগ বদলি ও শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজে পূর্বের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ইমদাদুল হক কে, সদরের এমপির নাম ব্যাবহার করে হুমকি দিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজে অনেক ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করিয়েছেন, গড়েছেন অঢেল সম্পদ। নগরীর শাসন গাছা প্রফেসর টাওয়ার রয়েছে চতুর্থ তলায় ২০০০ স্পেজের একটি ফ্লোর ও শাকতলা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ থেকে পশ্চিম দিকে ৫শতক যায়গা মুনসুর ভাইয়ের থেকে কিনে ৫তলা ভবন নির্মাণ করেন। সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিবাদের দোসর এই মনির হোসেন আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করছেন এবং কোটবাড়ি বিশ্ব রোডে নন্দনপুর সরাসরি অস্ত্র নিয়ে ৪ এ আগস্ট ২০২৪ ইং সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর শাহিন মিয়ার ছেলে মাছুম মিয়া বয়স (২০) আওয়ামী লীগ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাসুম মিয়া নিহত হন। তখন মনির হোসেন ও এই সংঘর্ষে সরাসরি জড়িত ছিলেন। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কমলপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি মোঃ সামসুল হকের ছেলে, মনির হোসেন, মাতা লুৎফুর ন্নাহার তার বিষয় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে তার গ্রামের লোক জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচজন লোকের সাথে কথা বললে তারা জানায় এই মনির হোসেন বিগত সরকারের আমলে নামে বেনামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে এবং এই গ্রামের লোকদের থেকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানান। অভিযোগকারীরা বলেন এ প্রতিবেদককে ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সাবেক এমপি বাহার এর একনিষ্ঠ কাছের লোক বলে হুমকি প্রদর্শন করতেন মনির হোসেন । ৫ আগস্ট এর পর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কলেজের ভিতর ও বাহিরে এলাকার লোকজন নিয়ে আন্দোলন করে তার পদত্যাগের জন্য, কারন মনির হোসেন জুলাই বিপ্লব বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ছিল তার স্লোগান। ৫ আগস্ট এর পর কলেজে না এসে শেষ পর্যন্ত এই কলেজ থেকে নিয়মের বহির্ভূত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে বদলি হন।