
09/01/2025
مَا جَعَلَ اللّٰہُ لِرَجُلٍ مِّنۡ قَلۡبَیۡنِ فِیۡ جَوۡفِہٖ ۚ وَمَا جَعَلَ اَزۡوَاجَکُمُ الّٰٓیِٴۡ تُظٰہِرُوۡنَ مِنۡہُنَّ اُمَّہٰتِکُمۡ ۚ وَمَا جَعَلَ اَدۡعِیَآءَکُمۡ اَبۡنَآءَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ قَوۡلُکُمۡ بِاَفۡوَاہِکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَقُوۡلُ الۡحَقَّ وَہُوَ یَہۡدِی السَّبِیۡلَ
আল্লাহ কারও অভ্যন্তরেই দু’টো হৃদয় সৃষ্টি করেননি। আর তোমরা তোমাদের যে স্ত্রীদেরকে মায়ের পিঠের সাথে তুলনা কর, তাদেরকে তোমাদের মা বানাননি। আর তোমাদের মুখের ডাকা পুত্রদেরকে তোমাদের প্রকৃত পুত্র সাব্যস্ত করেননি। এটা তো তোমাদের মুখের কথামাত্র। আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
—আল আহ্যাব - ৪
এই আয়াতটি বেশ রহস্যময়। কারণ আল্লাহ বলছেন তিনি কোন মানুষের শরীরের মধ্যে দুইটি হৃদয় স্থাপন করেননি, এবং এ কথাটি বলতে গিয়ে لِرَجُلٍ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে পুরুষ মানুষ (man)। قَلْبَيْنِ শব্দের অর্থ দুইটি হৃদয় বা দুইটি হৃদপিণ্ড। অর্থাৎ আল্লাহ কোন পুরুষ মানুষের মধ্যে দুইটি হৃদয় বা হার্ট স্থাপন করেননি। দেখা যাচ্ছে এই আয়াতে মহিলা বা স্ত্রীদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে । শুধুমাত্র পুরুষ মানুষের কথা বলা হয়েছে । তার মানে কি একজন স্ত্রী বা মহিলার শরীরে দুইটি হৃদয় থাকতে পারে? তার উত্তর হচ্ছে- হ্যাঁ, একজন স্ত্রীর শরীরে দুইটি হৃদয় বা হার্ট থাকতে পারে, যখন তিনি প্রেগন্যান্ট বা গর্ভাধারণ করেন। তার নিজের হার্ট এবং তার জরায়ূতে থাকা সন্তানের হার্ট । কিন্তু একজনের পুরুষের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটা কখনই সম্ভব নয়। আল্লাহ চাইলে ‘আল-ইনসান’ টার্ম ব্যবহার করতে পারতেন, যার অর্থ মানুষ, যে স্ত্রী অথবা পুরুষ যে কেউ হতে পারে। কিন্ত আল-কোরআনর পুরুষবাচক টার্ম ব্যবহার করেছে, কারন একজন স্ত্রীর শরীরে দুইটা হার্ট থাকা সম্ভব। আল-কোরআন সূক্ষ্মভাবে এই আয়াতে স্ত্রীর বদলে পুরুষ বাচক শব্দ (لِرَجُلٍ) ব্যবহার করেছে , ব্যাপারট সত্যিই অবাক হবাক মত।