মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী The Great Leader

01/09/2025
26/08/2025

আমি কন্যাকুমারিকায় গেলাম। যাবার আগে জানতামনা সেখানেই স্বামী বিবেকানন্দের সাধনা-মার্গ বিদ্যমান, তা-ও স্থলভাগে নয়, ভারত মহাসাগরের জলভাগে। সত্যি এ বিস্ময়ের বিষয়। স্থল থেকে দূরে চতুর্দিকে জলধি রাশি। তন্মধ্যে বিশাল সুউচ্চ পাথর।স্থির এ পাথরে আছড়ে পড়ছে সমুদ্র-সৃষ্ট ঊর্মিমালা ক্ষণে ক্ষণে। তাতেই অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। জৈব প্রাণ-প্রাণী থেকে নিজেকে চূড়ান্ত ভাবে বিচ্ছিন্ন করে ভয়ঙ্কর নির্জন সুন্দর প্রকৃতির কোলে ‘আত্ম-আবিষ্কার’ করেছিলেন স্বামীজি। মওলানা ভাসানীর আধ্যাত্মিক ভক্তগণ বিশ্বাস করেন তিনি সাধনা করেছিলেন বৃক্ষ-পাদে। সে বৃক্ষ কোথায়? আসামে অতিশয় দুর্গম এক পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায়। সেই সুনির্দিষ্ট ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষটির বৈশিষ্ট্য হল- পূর্ণিমার রাতে ঐ বৃক্ষচ্ছায়ায় ‘আপন-আনন্দ’ পেতে পশু-পাখি-সরীসৃপ-কীট-পতঙ্গ একে অন্যের শত্রু হলেও সমবেত হয়, কেউ কাউকে আক্রমণ করেনা, আঘাত দেয়না, কষ্ট দেয়না। তারা ক্ষুধা-ক্ষোভ-ক্রোধ-নিরপেক্ষ অর্থাৎ পশুত্ব-বর্জিত হয়ে যায়। যেন কোন মগ্নতায় রাত কাটায়। অতপর জ্যোৎস্না-স্নাত শেষ প্রহরে যার যার ঠিকানায় সবাই চলে যায়।
[ভাসানী সমীপে নিবেদন ইতি, সৈয়দ ইরফানুল বারী]

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা
26/08/2025

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা

19/08/2025

১৯৪০-এর দশকে ধুবড়ীর আশপাশের এক গ্রাম থেকে একদিন এক বৃদ্ধা আসেন মওলানার কাছে। তাঁর আবদার তিনি মওলানাকে একবেলা খাওয়াবেন। অনেক বছর ধরে হুজুরকে খাওয়াবেন বলে তিনি মনস্থ করে আছেন, কিন্তু সুযোগ পাচ্ছেন না।
মহাব্যস্ত মওলানা বৃদ্ধাকে বলেন, তোমার বাড়িতে খেতে যেতে পারি যদি তুমি আমি যা বলি তাই খাওয়াও।
বৃদ্ধা বলেন, মওলানা যা খেতে চাইবেন তাই খাওয়াবেন।
মওলানা বলেন, শুধু ভাত আর লাউপাতা ভর্তা খাওয়াবে। এর বেশি হলে আমি তোমার উঠান থেকে সোজা চলে আসব।
বৃদ্ধা বলেন, আপনাকে খাওয়াব বলে আমি মোরগ পাইলা রাখছি অনেকদিন।
মওলানা বলেন, মোরগ-মুরগি না, শুধু যদি লাউপাতা ভর্তা খাওয়াতে পারো তো যাব।
এবার বৃদ্ধা বলেন, কিছু মাষকলাইয়ের ডাইল ভাইজ্যা রাখছি। ডাইলও দিবার পারমু না?
মওলানা সামান্য ভাবেন এবং বলেন, মাষকলাই ডাইল পাক করবে আর লাউপাতা ভর্তা, আর কিছু না।
সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র বৃদ্ধাকে তিনি আশাহত করতে চাননি, আবার তার ওপরে চাপ পড়ুক সেটাও চাননি মওলানা।
[দাওয়াত রক্ষা, ভাসানী কাহিনী, সৈয়দ আবুল মকসুদ]

19/08/2025

সুইচ অনের আরও দুইটি স্মৃতি আমি না লিখিয়া পারিতেছি না। হুজুরের একটি অভ্যাস ছিল, মধ্যরাতে উঠিয়া যত অল্প হউক না কেন কিছু-না-কিছু খাইয়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করিতেন। যাহাই থাকিত তাহাই খাইতেন। ধরাবাঁধা কিছু ছিল না। কোনো রাতে বিস্কুট, কোনো রাতে সন্দেশ, কোনো রাতে কলা, কোনো রাতে চমচম ইত্যাদি। এক রাতে হুজুর চিৎকার করিয়া আমাকে ডাকিতে লাগিলেন। আমার এক লাফের পথই মাত্র। গেলাম ও সুইচ অন করিয়া দেখিলাম, একটি বড় কালো পিঁপড়া হুজুরের ঠোঁটে কামড় দিয়া লটকিয়া আছে। ঘটনার বিবরণ হইল, পিঁপড়া ভর্তি চমচম অন্ধকারেই মুখে পুরিয়াছিলেন। আর এক রাতেও একই নমুনার ডাক। এইবার ঘটনা হইল, সুগন্ধি তৈল মাখা টুপি ভর্তি ছিল ছোট ছোট লাল বিষাক্ত পিঁপড়া। অন্ধকারে মাথায় দিয়া নামাজে বসিয়া হুজুর বড়ই দুর্ভোগ পোহাইয়াছেন। এর মধ্যে নামাজ ছাড়েন নাই। পিঁপড়া ছিল শতাশতি। মাথায়, মুখ মণ্ডলে, ঘাড়ে, বুকে, পিঠে সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িয়া কামড়াইয়াছে। সবই সহজে শেষ করিয়া আনিলাম। কিন্তু হুজুরের পবিত্র দাড়ি হইতে পিঁপড়া বাহির করিয়া শেষ করিতে করিতে ফজরের আজান দিল।
[আমার ভালোবাসা মওলানা ভাসানী (একজন বাঙ্গালী নেতার জীবনযাপন), সৈয়দ ইরফানুল বারী]

19/08/2025

আশরাফ গিরানী আমার কাছে তো বটেই, এমনকি প্রকাশ্যেও যে তথ্যটি প্রকাশ করেছেন, তা প্রায় অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য বলে আমি বিশ্বাস করি। তথ্যটি হল এই রকমঃ ১৯৭৫ সালের ১২ আগস্ট গিরানী বন্দী ভাসানীর একটি চিঠি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে বহন করে নিয়ে যান। চিঠিটির কোন কপি বোধহয় তার কাছে নাই। সে সময় ফটোকপির যুগ শুরু হয়নি আমাদের দেশে। গিরানীর ভাষ্য অনুযায়ী চিঠির ভাষাটি ছিল এই রকম “প্রিয় মুজিব, আমি রাতে এক মিনিটও ঘুমাইতে পারি না। চক্ষু বুজলেই দেখিতে পাই, তোমার মৃত দেহ বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে। তোমার চারদিকে দুর্নীতির পাহাড় গড়িয়া উঠিয়াছে। তাই সাবধান হও, সাবধান হও, সাবধান হও।” গিরানীর ভাষ্য অনুযায়ী, ‘সাবধান হও’ কথাটি তিনবার ছিল। উক্ত চিঠিতে ভাসানী মুজিবকে শীঘ্রই সন্তোষে এসে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। উক্ত চিঠিতে ভাসানী দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতীয় সরকার গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। চিঠি সম্পর্কে এটাই হচ্ছে গিরানীর ভাষ্য। কিন্তু আমার কাছে একটা খটকা লাগে এই ভেবে যে, যখন বাকশাল নামক এক দলীয় ব্যবস্থা চলছে, অন্য সকল পার্টি নিষিদ্ধ, তখন মওলানা ভাসানী কিভাবে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেন। তবে গিরানীকে আমি খুব ভালো করে চিনি। সে আর যাই হোক, মিথ্যা বানিয়ে বা অতিরঞ্জিত করে বলার লোক নয়।
[শতাব্দী পেরিয়ে(পৃ-৩৪৮), হায়দার আকবর খান রনো]

19/08/2025
02/11/2024
31/10/2024

তবে এতটুকু লিখতেই হয়, মওলানা ভাসানী বিপ্লবী চিন্তাধারার একজন সুফি ছিলেন। আলেম সমাজ দূর-দূরান্ত থেকে সন্তোষে আসতেন এবং নানা প্রশ্নের অবতারণা করতেন। ১৯৭৬ সনের জানুয়ারি মাসে মহাচিনের প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই-এর মৃত্যুতে মওলানা ভাসানীর প্রেরিত বার্তার শেষ বাক্য May Allah bless his soul প্রসঙ্গে আলেমগণ বললেন, যিনি স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন, যিনি আত্মার অমরত্বে বিশ্বাসী নন তার জন্যে এ মুনাজাত কেন? মওলানা ভাসানী অতিশয় সহজ ভাষায় বললেন, ‘৭০ কোটি মানুষের দেশ থেকে তারা সকল নকল খোদা তাড়িয়েছে। এটাই বা কম কিসে? ‘লা-ইলাহা’ আগে, তার পরে ইল্লাল্লাহ্। তোমরা তো নকল খোদার বেড়াজালে হাবুডুবু খাচ্ছ। আসল খোদার সব্ধান পাবে কিভাবে?’
১৯৭০ সনের ০৫ অক্টোবরে একই মাত্রার কথা বলেছিলেন ১৯৪০ দশকের তুখোর রাজনীতিক, ষাটের দশকে ইসলামিক একাডেমির ডায়রেক্টর আবুল হাশিমকে। তিনি চিনের বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা টেপ-রেকর্ডারে মওলানা ভাসানীকে শুনাতে ঢাকা হতে সন্তোষ এসেছিলেন। মনোযোগ সহকারে শুনে বললেন, ‘খুব ভাল বলেছেন। কিন্তু একটা কথা বাদ পড়ে গেছে।’ জনাব আবুল হাশিম বললেন, ‘বলুন শুনে রাখি। চান্স পেলে পরে বলব।’ মওলানা ভাসানী বললেন, ‘আপনি বলতে পারতেন, চিনারা সব নকল খোদা ঝাটিয়ে তাড়িয়েছে। এ কাজ মস্ত ঈমানদারের কাজ। ময়দান থেকে আগাছা সাফ করা হয়েছে। এবার কেবল আসল খোদাকে বসিয়ে দিলেই তো হক্কুল ইবাদের সাথে হক্কুল্লাহও আদায় হয়ে যায়।’
[নানান মাত্রায় মওলানা ভাসানী, সৈয়দ ইরফানুল বারী]

31/10/2024

বন্যার তান্ডবে কেবল ভাঁটা ধরেছে, এমন সময় একদিন আমার করটিয়ার বাসার ঘাটে আসাম প্রত্যাগত একটি ভদ্রলোকের নৌকা ভিড়ল । নাম তাঁর আবদুল হামিদ খাঁ । তাঁর নৌকায় মণ পঞ্চাশেক ধান । বললেন, ‘বাড়ী আমার আগে বাংলাদেশেই ছিল, তারপর যাই আসামে । বন্যার কথা শুনে বিপদের জন্য কিছু ধান নিয়ে এলাম । তার খানিকটা বিতরণ করেছি, বাকিটা আপনার সঙ্গে পরামর্শ করে বিতরণ করব ভেবে নিয়ে এলাম ।’ বললাম, ভাল করেছেন । আসাম থেকে পানি যাঁরা পাঠান, পানির জুলুম নিবারণ করতে তো তাঁদেরই আগে আসতে হয় । বন্যা বিধ্বস্তদের সাহায্য করা সম্বন্ধে তাঁর সঙ্গে আলাপ হল । তারপর তিনি তাঁর কাজে চলে গেলেন ।
লোকটার কথার গাঁথুনি, অনাড়ম্বর কাপড় চোপড়, দিল খোলাসা ভাব, দরিদ্রের জন্য দরদ মনে একটা দাগ কেটে রাখল ।
খাঁ সাহেব টাঙ্গাইল শহরের চর অঞ্চলে কাজ শুরু করলেন । তিনি আরো কয়েকবার ধান আনলেন, কাপড় সংগ্রহ করলেন, টাকা জোটালেন । খুব জোরে শোরে তাঁর কাজ চলল । দেশের সাদা-দিল মানুষ, তারা তাঁর কথায়, তাঁর দরদে, তাঁর সেবায় মুগ্ধ হয়ে গেল । কিছুদিন পর তাদের মধ্যে বলাবলি শুরু হল, লোকটা কে-রে ভাই, কোথা থেকে উড়ে এল আমাদের সাহায্যের জন্য ?
‘জানিসনা? উনি যে ভাসানীর মওলানা? দেখিস নাই তছবী? মস্ত ফকির ।’
[ভাসানীর মওলানা, ইব্রাহীম খাঁ; বাতায়ন গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত]

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী:

Share

Category