Md. Rayhan Kazi

Md. Rayhan Kazi Assalamualaikum. Welcome to My page

21/07/2025
গরুর রেজালার জন্য যুদ্ধ: চট্টগ্রামের বিয়ে বাড়ির এক কাহিনি:-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এক ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামে, হাবিব মিয...
12/06/2025

গরুর রেজালার জন্য যুদ্ধ:

চট্টগ্রামের বিয়ে বাড়ির এক কাহিনি:-

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এক ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামে, হাবিব মিয়া তার বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করেছেন। বিয়ে বাড়ির আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল,
"আসুন, খান, হাসুন, আর বরের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিন!"

সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। বরকে পাগড়ি পরানো হয়েছে, বউও রেডি। গান বাজছে – “আমি চট্টগ্রামের মাইয়া”। মাইকে হাচ্চু দিলেও পুরো গ্রাম শুনে ফেলে এমন সাউন্ড সিস্টেম!

খাবার সার্ভ হওয়ার মুহূর্ত

সমস্যা শুরু হয় দুপুর ১টার সময়, যখন ‘মেজবান স্পেশাল’ খাবার সার্ভ করা শুরু হলো। দুই পক্ষে অতিথি—বরপক্ষ আর কনেপক্ষ। কিন্তু খাবার ছিল মাত্র ৬০০ জনের জন্য, অথচ গেস্ট এসেছে ৯০০ জন!

সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পদ ছিল—গরুর রেজালা আর কালাভুনা।

একজন লোক (সম্ভবত কনেপক্ষের) ৩টা মাংসের টুকরা নিয়ে একটু জোরে বলেই ফেলল,
"আরে ভাই, বরপক্ষের লোকেরা আগে খায়া নিয়া সব শেষ কইরা দিছে!"

এই কথা শুনে বরপক্ষের মামা দাঁত বের করে বলল,
"চুপ কর ল্যাজ ফাইট্টা, আমাদের দিকের গরুর পা তুই নিয়া খাইছস, এখন নাটক করস!"

যুদ্ধের সূত্রপাত

এরপর ঘটল ইতিহাসের বিখ্যাত খাবার যুদ্ধ – "রেজালা রায়ট" নামে পরিচিত।

একজন ছুড়ে মারল গরম হালিমের বাটি, আরেকজন ঢাকি দিয়ে থালা ঠেসে দিল। কিছু লোক ‘মাংস আছে, মাংস!’ বলে লাফাচ্ছে, কেউ আবার দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে লাইভে –
"ভাইজান, চট্টগ্রামের বিয়ে ত, এখানে রেজালা খাইতে হইলে যুদ্ধ করতেই হয়!"

পরিণতি

অন্তত ২৫ জন রেজালার জন্য মার খেয়ে হাত বেঁধে হাসপাতাল গেল, ১০ জনের জামা ছিঁড়ে গেল, আর এক ভদ্রলোক গুলাব জামুন নিয়ে স্যান্ডেল পড়ে পালিয়ে গেল।

সব শেষে আসল সমস্যাটা ধরা পড়ল—
রান্নার লোক ভুলে রেজালার গরুর বদলে এক বস্তা আলু দিয়ে ফ্রাই করেছিল!

---

শেষ কথা

এই ঘটনার ভিডিও পরে ইউটিউবে ভাইরাল হয় –
“চট্টগ্রামের রেজালা যুদ্ধ – পর্ব ১”
লোকজন কমেন্ট করতেছে:
"এইডা যদি পর্ব ১ হয়, পর্ব ২ তে নিশ্চয়ই কোফতা লইয়া মারামারি হইব!"

---

চট্টগ্রামের বিয়ে মানেই যেন রোমাঞ্চ, থ্রিলার আর ‘গরুর রেজালা’ কেন্দ্রিক রগরগে ড্রামা!

তুমি যদি বিয়ে বাড়িতে যাও, খাওয়ার আগে দেখে নিও— তোমার পাশে দাঁড়ানো লোকটা রেজালার জন্য কতটা মারতে পারে! 😄

গ্রামের এক কোণে, কাঁচা রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি মাটির ঘর। চারদিকে ধানক্ষেত, বাঁশবন আর পাখির ডাক। ঘরের চালে টিন, দেয়ালে ধর...
30/05/2025

গ্রামের এক কোণে, কাঁচা রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি মাটির ঘর।

চারদিকে ধানক্ষেত, বাঁশবন আর পাখির ডাক। ঘরের চালে টিন, দেয়ালে ধরা লোনাজল আর মায়ের সংগ্রামের ছাপ। আকাশ আধেক মেঘে ঢাকা, আর বাকিটা নীল—বৃষ্টির দিন, যেন প্রকৃতি নিজেই মনের গভীরে নেমে এসেছে।

বৃষ্টির মধ্যেই কাদাজলে বসে আছে ছোট্ট পাখি—মাত্র এক বছরের শিশু। তার হাতে একটি লাল গোলাপ ফুল, আর অন্য হাতে পুরনো হারিকেন। মুখে গোলাপি ফ্রেমের চশমা, চোখে কৌতূহল। সে বৃষ্টির জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে হাসছে—তাকে থামাতে পারেনি প্রকৃতি, পারেনি দরিদ্রতা।

পাখির একটু পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন রিনা, তার মা—লাঠিতে ভর দিয়ে এগোচ্ছেন কষ্টের ভার নিয়ে। বৃষ্টি তার কাঁধ বেয়ে নেমে যাচ্ছে, কিন্তু চোখে জল—সেই পুরনো, চেপে রাখা মায়েদের জল।

তার বুকের মধ্যে বাজছে একটি প্রশ্ন—“এই বৃষ্টিতে, এই কাদায়, পাখিকে আমি আর কতদিন আগলে রাখতে পারব?”

ঠিক তখনই পেছন থেকে দৌঁড়ে আসে পাখির বড় ভাই অয়ন। বয়স মাত্র ১০, কিন্তু মুখে যেন বড় কোনো মানুষের ছায়া। হাতে তেলের বোতল, মুখে হাসি, আর কাঁধে দায়িত্ব।

“মা! হারিকেনটা জ্বালাতে পারব। আমি ঠিক করে ফেলেছি!”
সে কাদায় হাঁটু গেড়ে বসে হারিকেন জ্বালায়। শিখা জ্বলে ওঠে। আলো ফুটে ওঠে চারপাশে—আর পাখির মুখেও।

অয়ন নিচু হয়ে বলে,
“পাখি, ভয় নেই। আলো জ্বলে উঠেছে। তুই খেলা কর, আমি তোর পাশে আছি।”

রিনা তাকিয়ে থাকে তার দুই সন্তানের দিকে—একজন এখনো মুখে ভাষা আনেনি, আর অন্যজন হয়ে উঠেছে সংসারের ভরসা। কিন্তু এর মাঝে আরেকজন আছেন—দূরে, ঢাকার কোলাহলে।

পাখি আর অয়নের বাবা—সিরাজ। বছর দুয়েক হলো ঢাকা শহরে কাজ করছেন—একটা গার্মেন্টসে। ভোরে উঠে কাজে যান, রাতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসেন একা একটা রুমে। কখনো ফোন করেন, ছোট মেয়ের হাসি শোনেন, ছেলের কণ্ঠে সাহস পান।

সিরাজের মুখে তেমন শব্দ নেই, কিন্তু মনে অনেক কথা—
“আমার সন্তানরা যেন শিক্ষার আলো পায়, যেন ভাত না ফুরায়, যেন বৃষ্টির দিনে আলো না নিভে যায়।”

রিনা জানেন, এই ঘরের আলো সিরাজের পাঠানো টাকায়, এই হারিকেন জ্বলে তার ঘামে। তিনি জানেন, সিরাজ প্রতিদিন হাজারো লোকের ভিড়ে থেকেও একা—শুধু এই সংসারটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

বৃষ্টি তখনো পড়ে। হারিকেনের আলোয় কাদাজলে খেলে ছোট পাখি। অয়ন পাশে বসে, বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। আর রিনা দাঁড়িয়ে, চোখে জল নিয়ে বলে,
“এই বৃষ্টি যাই হোক, আমার সংসারের আলো কেউ নিভাতে পারবে না। যতদিন ওদের বাবা আছে, যতদিন আমার অয়ন পাশে আছে—আমি লড়বো।”

আকাশ তখন দু’ভাগ—এক ভাগ অন্ধকার, আরেক ভাগ নীল। কিন্তু ঘরের ভেতর আলো—কারণ সেই হারিকেনটা শুধু জ্বলে না, সে হয়ে উঠেছে এক ত্যাগী বাবার ঘাম, এক ভাইয়ের সাহস, এক মায়ের অশ্রু, আর এক শিশুর হাসির প্রতিচ্ছবি।

"ফাতিহা আয়াত"এর এক বছর পূর্ণ হতে আর মাত্র ২ দিন বাকি।সবাই  তার জন্য দোয়া করবেন।AI দিয়ে তৈরি করা,ফাতিহা আয়াত এর প্রথম...
29/05/2025

"ফাতিহা আয়াত"এর এক বছর পূর্ণ হতে আর মাত্র ২ দিন বাকি।
সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

AI দিয়ে তৈরি করা,
ফাতিহা আয়াত এর প্রথম কয়েকটা ছবি।

الحمد لله رب العالمين.

সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"  ""Eid Mubarak ""
30/03/2025

সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

"ঈদ মোবারক"

""Eid Mubarak ""

01/06/2024

আলহামদুলিল্লাহ।

08/04/2024

আসসালামুয়ালাইকুম।

Address

Fulbaria

Telephone

+8801818735636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md. Rayhan Kazi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Md. Rayhan Kazi:

Share

Category