WaQiah

WaQiah প্রতিদিন একটি করে আয়াতের বাংলা অর্থ শিখি।

20/07/2025

আল্লাহুম্মা ইলাইকা আশকু দুরফা কুউওয়াতি, ওয়া কিল্লাতা হীলাতি, ওয়া হাওয়ানী ‘আলান-নাস।
ইয়া আরহামার রাহিমীন, আনতা রাব্বুল মুসতাদ’আফীন, ওয়া আনতা রাব্বী।
ইলা মান তাকিলুনী? ইলা বা‘ইদিন ইয়াতাজাহ্‌হামুনী, আও ইলা ‘আদুওয়্যিন মাল্লাক্‌তাহু আমরী?
ইল্লাম ইয়াকুন বিকা গাদাবুন ‘আলাইয়া, ফালা উবালী, ওয়ালাকিন ‘আফিয়াতুকা আওসা‘উ লি।
আউযু বিনূরি ওয়াজহিকাল্লাযী আশরাকাত বিহিদ্‌-জ্‌জুলুমাত, ওয়া সালুহা ‘আলাইহি আমরুদ্‌-দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ্‌ –
মিন আন তুনায্‌যিলা বি গাদাবুক, আও তাহুল্লা বি সাখাতুক।
লাকাল ‘উতবা হত্তা তারদা।
লা হাউলা ওয়ালা কু‌ওয়াতা ইল্লা বিক।

বাংলা অনুবাদঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছেই অভিযোগ করছি আমার শক্তিহীনতা,
আমার অসহায়তা ও মানুষের দৃষ্টিতে আমার তুচ্ছ অবস্থার কথা।
হে পরম দয়ালু, তুমি তো নিপীড়িতদের প্রতিপালক, তুমিই আমার প্রভু।
তুমি আমাকে কাহার নিকট সোপর্দ করেছ?
কোন দূর-দূরান্তের শত্রুর নিকট, যে আমাকে ঘৃণা করে?
নাকি এমন শত্রুর হাতে, যার তুমি আমার ব্যাপারে ক্ষমতা দান করেছ?

যদি তুমি আমার উপর রাগান্বিত না হও, তবে আমি কিছুই পরোয়া করি না।
তবে তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তাই আমার জন্য অধিক প্রশস্ত।
আমি তোমার সেই মুখমণ্ডলের নূরের আশ্রয় প্রার্থনা করি,
যার মাধ্যমে সকল অন্ধকার দূর হয়
এবং যার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কাজ ঠিকভাবে চলে।
তুমি যেন আমার ওপর তোমার রাগ নাযিল না করো কিংবা তোমার অসন্তোষ আমার ভাগ্যে না আসে।

তোমারই সন্তুষ্টি অর্জন পর্যন্ত আমি নতজানু থাকবো।
তোমার সাহায্য ছাড়া আর কোনো শক্তি বা ক্ষমতা আমার নেই।

26/06/2025

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কিছু দামি কথা :

১) যে খুব বেশি হাসাহাসি করে, তার মর্যাদা কমে যায়।

২) যে অধিক ঠাট্টা-মশকরা করে, তার ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভীর্য লোপ পায়।

৩) যার মধ্যে কোনো একটি বিষয় বেশি দেখা যায়, সেটাকে ঘিরেই সমাজে তার পরিচিতি ছড়ায়।

৪) যে বেশি কথা বলে, সে বেশি ভুল করে।

৫) যে বেশি বেশি ভুল করে, তার লজ্জা কমে যায়।

৬) যার লজ্জা কমে যায়, তার ভেতর আল্লাহর ভয় কমে যায়।

৭) যার আল্লাহভীতি কমে যায়, তার অন্তর মরে যায়।

‘বিখ্যাত তাবেঈ ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব আহনাফ ইবনু কায়স রাহিমাহুল্লাহকে উপদেশ দিতে গিয়ে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এই কথাগুলো বলেছিলেন।’

[ইমাম ইবনুল জাওযি, সিফাতুস সাফওয়াহ : ১/১৪৪৯]

25/06/2025

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে লোক একশ’বার এ দু’আটি পড়বেঃ

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর।

অর্থঃ 'আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।'

তাহলে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে।
ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে সুরক্ষিত থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু’আটির ’আমল বেশি পরিমাণ করবে।”

[সহীহ বুখারী; ৩২৯৩]

🎙️ শায়খ ডক্টর সাইদ বিন মিসফার আল কাহতানি (হাফিযাহুল্লাহ)

25/06/2025

সূরা আরাফ শুরু করলাম। আরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফেক্ট পেলাম। ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারি, হয় জান্নাত নয় জাহান্নাম।

অথচ এই সুরার মাধ্যমে আমাদের জানানো হলো যে, না! জান্নাত আর জাহান্নামের মাঝামাঝিও আরেকটা লোকেশন আছে। লোকেশনটার নাম আরাফ!

এই জায়গার নাম অনুসারেই এই সূরার নামকরণ। "আরাফ" হবে তাদের জন্য, যারা এতটাও ভালো কাজ করেনি যে জান্নাতের টিকেট পেয়ে যাবে। আবার এতটাও খারাপ কাজ করেনি যে জাহান্নামে যেতে হবে। এ যেন মিডেল ক্লাসদের চরণ ভূমি!

এই আরাফবাশি সবসময়ই আশায় থাকবে যে তাদেরকে যেন কোন না কোন সময় জান্নাতে আপগ্রেড করা হয়. [১]

এই আরাফ ছাড়াও হাশর আরেকটা ইম্পর্টেন্ট ফেক্ট আমাদের অনেকেরই অজানা, আর সেটা হলো কান্তারা!

আমরা মনে করি, "কোনো রকমে পুলসিরাত পার হইতে পারলেই বাঁচি!"
ভুল! পুলসিরাত পার হতে পারলেই জান্নাত নয়। পার হতে পারলে অপেক্ষা করবে মুমিনদের জন্য ফাইনাল পরীক্ষা।

হাশরের দিনে বিশাসীদের বিচার হবে দু বার। এক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পূর্বে। আরেক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পরে। জি ঠিকই শুনেছেন।

পূর্বের বিচার হবে "স্রষ্টার হক নষ্ট করার বিচার"।

আর পরের বিচার হবে "বান্দার হক নষ্ট করার বিচার"।

আর যে জায়গাটায় বিচারটি হবে, সেই জায়গাটির নামই হলো "কান্তারা"। আল-কান্তারাহ হলো সিরাতের পর আরেকটি ছোট সিরাত। বিশ্বাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারা এই কান্তারার উপর দিয়েই প্রবেশ করবে। এবং স্রষ্টা এই কান্তারার উপরেই মুমিনদের মধ্যকার আন সেটেলড ইস্যুস গুলো রিসোলভ করবেন [২]
‎ ‎
কল্পনা করুন, একজন ব্যক্তি আল-কান্তারাহ-তে, জান্নাতের দরজার অলমোস্ট দ্বারপ্রান্তে, অথচ সে সেথায় ঢুকতে পারছে না। কারণ তার সব সৎকর্মগুলো যা নিয়ে নিয়ে সে বড়াই করতো সব শেষ। উলটো তাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে হচ্ছে।

সেই হতোভাগাকে আপনি তখন কী বলবেন?

আমার রাসুল অবশ্য সেই হতভাগা কে ডিফাইন করেছেন "মুফলিস" হিসেবে। "মুফলিস" অর্থ হলো দেউলিয়া বা ব্যাংকরপ্টড।
রাসূল বলেছেন, “তোমরা কি জানো, কে আসল দেউলিয়া?”

সাহাবারা উত্তর দেন, “যার কাছে অর্থ বা সম্পদ কিছুই নেই সে ইয়া রাসূলুল্লাহ?”

রাসূল বললেন, “না! আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যেই ব্যক্তি কিয়ামতের দিনে অনেক নামাজ, অনেক রোজা ও অনেক সদকা নিয়ে উপস্থিত হবে। অথচ সে দেখতে পাবে যে সে ঐ দিনে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে কারণ জীবদ্দশায় সে অন্যদের গালি দিয়ে বেড়াতো। অন্যদের অপবাদ দিয়ে বেড়াতো। অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াতো। অন্যের রক্তপাত ঘটিয়ে বেড়াতো এবং অন্যকে প্রহার করে বেড়াতো। আজ তার সব সৎকর্মগুলো ভুক্তভোগীদেরকে ট্র্যান্সফার করে দিতে হচ্ছে। শুধু তাই না! যদি তার ভালো কাজগুলো ক্ষতিপূরণ গুলোকে কভার করতে না পারে তাহলে তাদের পাপ গুলোও তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [৩]

তাই বলছি, আপনার যারা নামাজ রোজা সাদাকার পাশাপাশি আপনার মুখের স্পিচ দিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন কিংবা আমল দিয়ে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াচ্ছেন, তাদের জন্য একটাই কথা-
দেখা হবে বন্ধু!
দেখা হবে কান্তারায়!
‎ ‎ ‎
______‎____________________
‎ ‎
রেফারেন্স:
[১] [কুরআন ৬:৪৬]
[২] [Sahih al-Bukhari 2440]
[৩] [Sahih Muslim 2581]
‎ ‎ ‎ ‎
©

22/06/2025

এই আয়াত টা কত ভয়ংকর!

"আমি ইচ্ছে করলেই সবাইকে হিদায়ত দান করতে পারতাম। কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্য যে, আমি নিশ্চয়ই জ্বীন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবো"!

[সুরা-আস সাজদাহ আয়াত -১৩]🌸

22/06/2025
23/08/2024

📍লক্ষ্মীপুরের যেসব এরিয়া তে ত্রানের প্রয়োজন

→লক্ষ্মীপুরে জকসিন, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ অঞ্চল প্লাবিত এবং পানি প্রতিনিয়ত বাড়তেছে -

→দক্ষিনাঞ্চল রামগতি কমলনগর

→পশ্চিম জামিরতলী

→দালালবাজার গুপিনাতপুর

→চন্দ্রগঞ্জ থানার ৯ নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন

→চর লরেন্স, ফজুমিয়ার হাট সোজা পূর্ব দিকে

→রায়পুর

22/08/2024

বাংলাদেশে বন্যা কবলিত লোকদের সহায়তা করার জন্য ১০টি কার্যকরী পয়েন্টস:

1. অর্থনৈতিক অনুদান: নির্ভরযোগ্য এনজিও বা সংস্থায় অনুদান প্রদান করুন যা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

2. ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ: শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির বোতল, পোশাক, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ করে বিতরণের জন্য স্থানীয় সংস্থার সাথে কাজ করুন।

3. সেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ: বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে ত্রাণ বিতরণ, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করুন।

4. বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করুন।

5. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ: বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করুন।

6. পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা: ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করুন।

7. শিশুদের শিক্ষা চালু রাখা: বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শিক্ষাসামগ্রী এবং অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করুন।

8. স্বাস্থ্যসেবা প্রদান: স্বাস্থ্য শিবির স্থাপন করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধে কাজ করুন।

9. মানবিক সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা: নিজ উদ্যোগে একটি সংস্থা গড়ে তুলে সেচ্ছাসেবী কার্যক্রম চালু করতে পারেন যা দীর্ঘমেয়াদে সহায়তা করবে।

10. প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ পরিকল্পনা: ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধে এবং ক্ষতি কমানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কাজ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
এই গুলো বন্যা কবলিত লোকদের সহায়তায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
# সেনাবাহিনীর উদ্ধারদলের সাথে যোগাযোগ করুন:
মেজর সানজিদ # 01769331213
, , , , , , ,

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when WaQiah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category