Ahassn Habib

Ahassn Habib social worker

✴️মেয়ে তুমি সুন্দরী হলে, স্বামী সর্বদা  সন্দেহের চোখে দেখবে তোমায়। কুৎসিত হলে অন্য মেয়ের সনে মাতবে পরকীয়ায়। সত্যি মেয়ে ত...
22/12/2025

✴️মেয়ে তুমি সুন্দরী হলে, স্বামী সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখবে তোমায়। কুৎসিত হলে অন্য মেয়ের সনে মাতবে পরকীয়ায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।

✴️মেয়ে তুমি উচ্চ শিক্ষিত হলে, স্বামী সর্বদা থাকে হীনমন্যতায়। অশিক্ষিত হলে সংসারে রাখবে অবহেলায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।

✴️মেয়ে তুমি গরীব বাবার সন্তান হলে স্বামী সর্বদা তাচ্ছিল্য, কথায় কথায় খোটা দিবে। ধনীর দুলালী হলে স্বামীর অধিকার খাটিয়ে রাখবে কোনঠাশায়
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।

✴️মেয়ে তুমি হাউসওয়াইফ হলে স্বামী সর্বদা বলবে তুমি সেকেলে। একটু মডার্ণ হতে চাইলে বলবে তুমি নষ্ট হয়ে গেছো আধুনিকতার ছোঁয়ায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।

✴️মেয়ে তুমি লক্ষী সতী বউয়ের মত একটু সংকীর্ণতায় ঘরের কোণে থাকলে স্বামী সর্বদা বলবে মেয়ে রা তো এমনই। সংকীর্ণতা কাটিয়ে খোলা আাকাশ দেখতে চাইলে আটকাবে সতীত্বের খোটায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।


কি সুন্দর সহজ সরল চিন্তাধারা!!  "আমি অনেক অনেক বছর ধরে মিথ্যা কথা বলি না কারণ মিথ্যা কথা মেধাবী লোক ছাড়া বলতে পারে না, ক...
21/12/2025

কি সুন্দর সহজ সরল চিন্তাধারা!!
"আমি অনেক অনেক বছর ধরে মিথ্যা কথা বলি না কারণ মিথ্যা কথা মেধাবী লোক ছাড়া বলতে পারে না, কারণ মিথ্যার একটা কন্সিস্টেন্সি ধরে রাখতে হয়, মনে রাখতে হয় কবে কোথায় কোন মিথ্যা কথাটা বললাম, একটা মিথ্যার জন্যে আরো ১০ টা মিথ্যা বলতে হয়, তো আমি এতো মেধাবী না, আমার এতো মনে রাখাও সম্ভব না, তাই যা হয়েছে আমি তাই বলি, এতো মিথ্যা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না!"
__ রুমানা রশিদ ইশিতা 🖤

যে নারী স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষা করে না, তার কাছে স্বামী আর কখনো মনের দরজা খোলে না– সম্পর্ক ঠান্ডা হয়ে যায়।একজন পুরুষ দিনে...
21/12/2025

যে নারী স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষা করে না, তার কাছে স্বামী আর কখনো মনের দরজা খোলে না

– সম্পর্ক ঠান্ডা হয়ে যায়।

একজন পুরুষ দিনের শেষে ঘরে ফেরে শুধু শান্তি খুঁজতে।
বাইরের পৃথিবী তার জন্য যুদ্ধক্ষেত্র, আর স্ত্রীর কোলটাই তার নিরাপদ আশ্রয়।
তাই সে নিজের ভেতরের ভয়, দুশ্চিন্তা, ব্যর্থতা কিংবা সবচেয়ে গোপন স্বপ্ন—সবকিছুই প্রথমে শেয়ার করে স্ত্রীর সাথেই।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—
যখন সেই গোপন কথাগুলো স্ত্রীর মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় অন্য কারও আড্ডায়, আত্মীয়দের কাছে বা বান্ধবীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তখন পুরুষের ভেতরে একরাশ আগুন জ্বলে ওঠে।
সে ভাবে—
☸️ “যার কাছে আমি সবচেয়ে নিরাপদ মনে করি, সে-ই যদি আমাকে উলঙ্গ করে দেয়, তবে আমার আশ্রয় কোথায়?”

☸️ এর পরিণতি ভয়াবহ:

স্বামী ধীরে ধীরে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস হারায়।

সে নিজের মনের দরজা বন্ধ করে ফেলে।

যা একসময় খোলামেলা ছিল, তা হয়ে যায় নীরব।

সংসারের উষ্ণতা ঠান্ডা হয়ে যায়, সম্পর্ক পরিণত হয় কেবল দায়িত্বের খোলসে।

মনে রাখবেন—
স্বামী যত শক্তই হোক না কেন, তার ভেতরেও একটা ভঙ্গুর মানুষ আছে।
সে চায় না সবাই তার দুর্বলতা জানুক।
স্ত্রীর কাছে সে নিজের সবকিছু উজাড় করে দেয়, কারণ সে বিশ্বাস করে—এই নারীই তার সবচেয়ে বড় রক্ষক।
কিন্তু যদি সেই নারী-ই বিশ্বাসঘাতক হয়, তবে পুরুষ আর কখনো সেই পথে হাঁটে না।

আজ আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করুন নিজেকে—
✴️আপনার স্বামী কি এখনো আপনাকে মনের কথা বলে?
নাকি ধীরে ধীরে চুপ হয়ে গেছে, কারণ সে জানে—তার গোপন কথাগুলো আর আপনার কাছে নিরাপদ নয়?

#বিশ্বাস #ভালোবাসা #গোপনীয়তা

প্রিয় পুত্র, কখনও কোনও মহিলাকে কাছে থাকার জন্য অনুরোধ করো নাযদি সে যেতে চায়, তাকে যেতে দাও।পুত্র, একদিন তুমি এমন একজন ...
21/12/2025

প্রিয় পুত্র, কখনও কোনও মহিলাকে কাছে থাকার জন্য অনুরোধ করো না

যদি সে যেতে চায়, তাকে যেতে দাও।

পুত্র, একদিন তুমি এমন একজন মহিলার সাথে দেখা মিলবে যে চিরকালের জন্য শপথ করে তোমার হবে।

কিন্তু চিরকালের জন্য সেই শপথ শেষ হয়ে যাবে যখন সে আরও ভালো প্রস্তাব, নতুন রোমাঞ্চ, অথবা সবুজ চারণভূমি খুঁজে পাবে।

সে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে তোমাকে এমন কথা বলে ফেলবে যা তুমি কখনও ভুলতে পারবে না তা হলো

"আমি তোমাকে আর ভালোবাসি না।"

সেদিন, তোমার প্রতিটি অংগ ভিক্ষা করতে চাইবে।
তুমি অনুনয় বিনয় করতে চাইবে।
তুমি অনুনয় বিনয় করতে চাইবে।
তুমি তাকে এমন পৃথিবী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে চাইবে যাতে সে চলে না যায়।

কিন্তু আমার কথা শোন, পুত্র: কখনও কোনও মহিলাকে থাকার জন্য অনুরোধ করো না।



১. যে ভালোবাসার জন্য ভিক্ষা প্রয়োজন তা ভালোবাসা নয়

প্রকৃত ভালোবাসা স্বাধীনভাবে, প্রতিদিন, চাপ ছাড়াই বেছে নেওয়া হয়।

যদি তোমাকে ভিক্ষা করতেই হয়, তবে তা কখনো ভালোবাসা ছিল না - এটি ছিল সুবিধা, সময় কাটানো।

তুমি অনুনয় বিনয় করে তার শরীরকে ধরে রাখতে পারো, কিন্তু তার আত্মা ইতিমধ্যেই চলে যাবে।

আর যে পুরুষ তার শরীরকে খাঁচায় আটকে রাখে অথচ তার হৃদয় অন্য কোথাও থাকে, তাকে ভালোবাসা যায় না — সে করুণা পায়।



২. যে নারী একবার চলে যায়, সে আবার চলে যাবে

পরিসংখ্যান মিথ্যা বলে না: ৮০% বিবাহবিচ্ছেদ নারীরাই করে।

তাদের বেশিরভাগই এমন পুরুষদের উপর চলে যায় যারা এখনও লড়াই করতে ইচ্ছুক।

যখন সে চলে যাওয়াকে বিকল্প হিসেবে দেখে, তখন এটি একটি প্যাটার্নে পরিণত হয়।

প্রথমবার, সে তোমার পরীক্ষা করে নিবে

দ্বিতীয়বার, সে তোমার দুর্বলতা নিশ্চিত করবে।



৩. তোমার মূল্য কমে না কারণ সে অন্ধ।

তার চলে যাওয়া তোমার ব্যর্থতার প্রমাণ নয় — এটি তার অন্ধত্বের প্রমাণ।

একজন বোকা ব্যক্তি তা পরতে অস্বীকার করার কারণে মুকুট তার সোনা হারায় না।

মনে রেখো: একজন পুরুষের মূল্য কখনোই একজন নারীর অনুমোদন দ্বারা পরিমাপ করা হয় না।



৪. সঠিক নারী অনুসরণ করো ভুল মানুষটি পালিয়ে যাক।

ঝড় আনুগত্য ভাঙে না - তারা তা প্রকাশ করে।

বজ্রপাতের গর্জন করলে সঠিক নারী আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরে।

ভুল মানুষটি বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই দৌড়ায়।

তাকে তাড়া করো না।

যদি সে ঝড়ের মধ্যে দৌড়ায়, তবে শান্ত অবস্থায় সে কখনই তোমার ছিল না।



৫. ভিক্ষা তোমার বংশকে অসম্মান করে

তোমার আগে প্রতিটি পুরুষ - তোমার বাবা, তোমার দাদা, তোমার পূর্বপুরুষ - রক্তপাত করেছে এবং গড়ে তুলেছে যাতে তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারো।

যে নারী তোমাকে অসম্মান করে তার পিছনে হামাগুড়ি দেওয়া মানে সেই উত্তরাধিকারের উপর থুতু ফেলা।

তারা রক্তপাত করেনি এবং ঘাম ঝরিয়েছে যাতে তুমি নকল ভালোবাসার বিনিময়ে মর্যাদা বিসর্জন দিতে পারো।



শেষ কথা:

তুমি একজন পুরুষ।

আর পুরুষরা ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ভিক্ষা করে না।

তারা এমন একটি জীবন গড়ে তোলে যে ভালোবাসা থাকতে পছন্দ করে।

আমার কোন ছেলে এক টুকরো মিথ্যা ভালোবাসার জন্য হামাগুড়ি দেবে না।

—বাবা

Dear Son, Never Beg a Woman to Stay

If she wants to go, let her go.

Son, one day you’ll meet a woman who swears forever.
But forever ends the moment she finds a better offer, a new thrill, or a greener pasture.

She’ll look you in the eye and cut you open with words no man ever forgets:
“I don’t love you anymore.”

That day, every part of you will want to beg.
You’ll want to plead.
You’ll want to promise her the world just so she doesn’t walk away.

But listen to me, son: never beg a woman to stay.



1. Love That Requires Begging Is Not Love

Real love is chosen freely, daily, without pressure.
If you must beg, it was never love — it was convenience.

You can keep her body by pleading, but her soul will already be gone.
And a man who cages her body while her heart belongs elsewhere isn’t loved — he’s pitied.



2. A Woman Who Leaves Once Will Leave Again

Statistics don’t lie: 80% of divorces are filed by women.
Most of them walked out on men still willing to fight.

Once she sees leaving as an option, it becomes a pattern.
The first time, she tests your chase.
The second, she confirms your weakness.
The third, she finishes you.



3. Your Value Doesn’t Shrink Because She’s Blind

Her leaving isn’t proof of your failure — it’s proof of her blindness.
A crown doesn’t lose its gold because a fool refuses to wear it.

Remember this: a man’s worth is never measured by a woman’s approval.



4. The Right Woman Follows. The Wrong One Flees

Storms don’t break loyalty — they reveal it.

The right woman clings tighter when thunder roars.
The wrong one runs before the rain even starts.

Don’t chase her.
If she runs in the storm, she was never yours in the calm.



5. Begging Dishonors Your Bloodline

Every man before you — your father, your grandfather, your ancestors — bled and built so you could stand tall.

To crawl after a woman who disrespects you is to spit on that legacy.
They did not shed blood and sweat so you could surrender dignity in exchange for counterfeit love.



Final Word:

You are a man.
And men do not beg to be loved.

They build a life so strong that love chooses to stay.
No son of mine will crawl for crumbs of affection.

—Dad

যে নারী স্বামীর আত্মসম্মানে আঘাত করে, সে বুঝতে পারে না — পুরুষকে ভাঙা খুব সহজ, কিন্তু জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব।পুরুষের সব...
20/12/2025

যে নারী স্বামীর আত্মসম্মানে আঘাত করে, সে বুঝতে পারে না — পুরুষকে ভাঙা খুব সহজ, কিন্তু জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

পুরুষের সবচেয়ে নরম জায়গা কী জানেন?
তার আত্মসম্মান।
তার উপার্জন নয়, তার শরীর নয়, তার কথাবার্তাও নয়—
তার আত্মসম্মানই তার মেরুদণ্ড।

যে নারী ভাবে—
“একটু খোঁচা দিলাম, একটু তুলনা করলাম, একটু অপমান করলাম—এতে কী হবে?”
সে বুঝতে পারে না,
পুরুষের ভেতরে সেই ছোট আঘাতই বড় ক্ষতের জন্ম দেয়।

যখন স্ত্রী তাকে বলে—
👉 “তুমি কিছুই পারো না।”
👉 “অমুকের স্বামীকে দেখো, তোমার মতো না।”
👉 “তোমার আয় কম, তোমার ক্ষমতা কম।”
👉 “তোমার শরীর এমন, তোমার এটা নাই, ওটা নাই।”

এসব কথা মজা হয় নারীর কাছে,
কিন্তু পুরুষের মনে এগুলো বুলেটের মতো ঢুকে যায়।

পুরুষ প্রথমে হাসে,
তারপর চুপ থাকে,
তারপর দূরে সরে যায়।

কিন্তু যেটা কেউ দেখে না—
তার ভেতরে তখনই ভালোবাসা মারা যেতে শুরু করে।
কারণ পুরুষ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে সম্মান দিয়ে,
আর সম্মান হারালে তার ভেতরের ভালোবাসাটাই শুকিয়ে যায়।

একবার পুরুষ ভেঙে গেলে,
সে আর আগের মতো ফিরে আসে না।
আপনি ক্ষমা চাইলেও,
আপনি আবার ভালোবাসলেও—
তার ভেতরে সেই আঘাতের দাগ থেকে যায়।

👉 পুরুষকে ভালোবাসা দিয়ে বদলানো যায়,
কিন্তু অপমান দিয়ে নয়।
👉 পুরুষকে বোঝানো যায় সম্মান দিয়ে,
কিন্তু তাচ্ছিল্য দিয়ে নয়।

মনে রাখবেন—
পুরুষকে ভাঙতে একটা বাক্যই যথেষ্ট,
কিন্তু তাকে জোড়া দিতে এক জীবনও কম পড়ে যায়।

আমি প্রেমপ্রিয় মানুষ। প্রকাশ্য প্রেম যেহেতু অবৈধ, তাই পরকীয়ার ধারণাকে আমি একেবারে অস্বীকার করি না—তবে শর্তসাপেক্ষে। সং...
19/12/2025

আমি প্রেমপ্রিয় মানুষ। প্রকাশ্য প্রেম যেহেতু অবৈধ, তাই পরকীয়ার ধারণাকে আমি একেবারে অস্বীকার করি না—তবে শর্তসাপেক্ষে। সংসার ভেঙে নয়, সন্তানকে কষ্ট দিয়ে নয়, আর কখনোই নির্লজ্জতার সাথে নয়। সংসার থাকবে, দায়িত্ব থাকবে—সবকিছুর মধ্যেই যেন সীমাবোধ থাকে।

একই মানুষের সঙ্গে বছরের পর বছর একসাথে থাকতে থাকতে অনেকের জীবন ধীরে ধীরে তিক্ত হয়ে ওঠে। তখন অজান্তেই মানুষ মানসিকভাবে একা হয়ে পড়ে। সব কথা সব সময় স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বলা যায় না; অনেক সময় বলতে গিয়ে মন ভালো হওয়ার বদলে আরও খারাপ হয়ে যায়।

এই চাপ আর দমবন্ধ করা অনুভূতি নিয়ে দীর্ঘদিন বাঁচতে গেলে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতেই কেউ কেউ বাধ্য হয় পরকীয়ায় জড়াতে। পরকীয়া সম্পর্কের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে অনেকেই মনের কথা অবাধে বলতে পারে, মন হালকা হয়, মানসিক ভারসাম্য ফিরে আসে। ফলস্বরূপ, দাম্পত্য জীবনও অনেক ক্ষেত্রে আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

তবে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ—এই গোপন সম্পর্কের আভাসও যেন স্বামী বা স্ত্রীর কাছে কোনোভাবেই পৌঁছায় না। কারণ সত্য প্রকাশ পেলে তখন আর কিছুই রক্ষা করা যায় না।

আমার পছন্দের একজন মানুষ ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কেটি পেরির সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জনের জেরে তার সংসার ভেঙেছে—এমন পরকীয়া আমি কখনোই চাই না।

আমি চাই সীমার ভেতরে থাকা এমন এক সম্পর্ক, যা কারও সংসার ধ্বংস করবে না, কারও সন্তানের চোখের জল বাড়াবে না—শুধু নীরবে দু’টি মনকে সাময়িক শান্তি দেবে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। তখন একটি রহস্যময় লোককে ঝিনাইদহ শহরের অলিতে গলিতে ঘুরতে দেখা যেত। লোকটি বাক ও শ্...
19/12/2025

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। তখন একটি রহস্যময় লোককে ঝিনাইদহ শহরের অলিতে গলিতে ঘুরতে দেখা যেত। লোকটি বাক ও শ্রবণশক্তিহীন এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তার চেহারা কিছুটা রোহিঙ্গাদের মতো। সারাদিন সে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াত, আর ক্ষুধা লাগলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে করুণ চোখে চেয়ে থাকত।

এতে রেস্টুরেন্টের মালিকরা লোকটির বিরক্ত হতো। ওই মালিকদেরই একজন অতি উৎসাহী হয়ে বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লোকটিকে হেফাজতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থাপন করেন। আদালত তখন লোকটির পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য নির্বাচন কমিশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ তার আঙ্গুলের ছাপ বাংলাদেশের কোনো ভোটারের সাথে মেলে কিনা এটা যাচাই বাছাই করে দেখতে বলেন।

লোকটির আঙ্গুলের ছাপ কার্টিজ পেপারে সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে প্রেরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি আদালতকে অবহিত করে যে, কার্টিজ পেপারে সংগৃহীত আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা এই ম্যাচিং সম্ভব নয়, তবে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে WSQ পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করা হলে ম্যাচিং করা যেতে পারে।

যাই হোক, সেটা আর হয়ে ওঠেনি। লোকটির পক্ষে আদালতে কেউ কখনো শুনানিও করেনি। সময় বহমান। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ভিড়ে এই ব্যাপারটা সবার চোখের আড়ালে হারিয়ে যায়।

এরপর পেরিয়ে যায় দীর্ঘ ৩২ টি মাস। ২০২২ সালের জুলাই মাস। আমি তখন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই আমি একটা সুঅভ্যাস গড়ে তুলেছি। সেটা হচ্ছে, প্রত্যেকটি নথি, তা যতো গুরুত্বহীনই হোক না কেন, একবার হলেও উল্টেপাল্টে দেখা। ধার্য তারিখে (২৭/৭/২০২২ ইং) একটি নথি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। একটি লোক প্রায় ৩ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দী।

আগেই বলেছি, লোকটি কথা বলতে পারে না। সে মুখ দিয়ে এক ধরনের দুর্বোধ্য শব্দ করে বটে, তবে সেটাকে ঠিক ভাষা বলা যায় না। আর তর্কের খাতিরে সেটাকে যদি ভাষা বলে ধরেও নেওয়া যায়, তাহলেও সেটা যে ঠিক কোন ভাষা তা অনুমান করা কঠিন। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমি কয়েকটা যুক্তিপূর্ণ হাইপোথেসিস দাঁড় করালাম:

১. লোকটি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় এবং কোনোভাবে যদি ভোটার তালিকায় তার নাম উঠে থাকে তাহলে ভোটারদের সাথে তার আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং করলে তার পরিচয় পাওয়া যেতে পারে।

২. লোকটি যদি রোহিঙ্গা হয় তাহলে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার ছবি পাঠালে তার নাম ঠিকানার খোঁজ পাওয়া যেতে পারে।

৩. বাংলাদেশে মোট কয়টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প আছে এবং সেগুলো কার তত্ত্বাবধানে আছে তার লিস্ট করতে হবে।

৪. তাৎক্ষণিকভাবে লোকটাকে রোহিঙ্গা ভাষা বোঝে এরকম কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলানো যেতে পারে।

৫. আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিংয়ের জন্য অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস বা WSQ প্রযুক্তি বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসে আছে কিনা তা খোঁজ নিতে হবে।

৬. লোকটার নাম ঠিকানার সন্ধান যদি কিছুতেই না পাওয়া যায় তাহলে তাকে জেলখানায় আসামীদের সাথে না রেখে সেফ হোম বা অন্য কোথাও রাখা সমীচীন হবে।

আমি আর দেরী না করে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, কক্সবাজারের টেকনাফ আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে ফোন করে লোকটির ব্যাপারে সবকিছু বললাম। ওনারা এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে কথা দিলেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ফোন করল। আমি তাকে পরদিন সকাল ১০:০০ টায় রোহিঙ্গা ভাষা বোঝে এমন কোনো বাঙালিকে টেকনাফ থানায় উপস্থিত রাখতে বললাম। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা লোকটিকে ওই সময়ে আদালতে উপস্থিত রাখার জন্য জেল সুপার, ঝিনাইদহকে নির্দেশ দিলাম।

পরের দিন লোকটাকে যখন আমার সামনে আনা হলো, আমি বেশ অবাক হলাম। সে যেন এই বন্দী জীবনের সাথে নিজেকে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তার চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বোঝা যায়, চোখের তারার গভীরে কোথায় যেন অব্যক্ত কিছু কথা — অগম্য কোনো যন্ত্রণার ছায়া!

আমি সময় নষ্ট না করে আসল কাজ শুরু করে দিলাম। অপর প্রান্তে দোভাষী প্রস্তুত ছিল। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দুইজনের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের চেষ্টা ধৈর্য ধরে নিরীক্ষণ করলাম। দোভাষীটি একসময় হাল ছেড়ে দিয়ে আমাকে বলল, "স্যার, লোকটার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সে রোহিঙ্গা হতে পারে, তবে আমি সিওর না।"
আমি বুঝলাম এভাবে চেষ্টা করে এর চাইতে বেশি কোনো ফল পাওয়া যাবে না।

আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম এমন একটা আদেশ দিতে হবে যাতে সবাই নড়েচড়ে বসে। বলা বাহুল্য, আমি এর মধ্যেই বের করে ফেলেছি যে, বাংলাদেশে মোট ৩৪ টা রোহিঙ্গা ক্যাম্প আছে এবং এগুলো দেখভাল করে বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ৩ টি থানা মিলিয়ে এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো অবস্থিত — কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া এবং নোয়াখালীর ভাসানচর। ৪ টি এপিবিএন এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর দায়িত্বে আছে: এপিবিএন ৮, এপিবিএন ৯, এপিবিএন ১৪ এবং এপিবিএন ১৬। এগুলোর অফিস প্রধান পুলিশ সুপার পদের একজন কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে আমি এটারও খোঁজ পেয়েছি যে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং করার মতো ডিজিটাল ডিভাইস বা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখন ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসে আছে।

৩১/৭/২০২২ ইং তারিখের আদেশবলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি রোহিঙ্গা কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য এপিবিএনগুলোর পুলিশ সুপার এবং টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানার অফিসার ইনচার্জদেরকে আদেশ দিলাম। এই বিষয়ে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য কক্সবাজার ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক আর পুলিশ সুপারদেরকে নির্দেশ দিলাম। লোকটির আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঝিনাইদহের জেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দিলাম। এরপর লোকটির ছবিসহ আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠিয়ে দিলাম।

পুরো বিষয়টি ব্যাপকভাবে মিডিয়া কাভারেজ পেল এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলো। ঝিনাইদহের সাংবাদিকরা এবিষয়ে আমাকে দারুণ সহযোগিতা করলেন।

অবশেষে ৩/৮/২০২২ ইং দুপুরে একটা সূত্র থেকে জানতে পারলাম লোকটির আসল পরিচয়। লোকটির নাম মৃণাল। তার বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার দক্ষিণ চাওড়া গ্রামে। তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য আমি তখনই রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে ফোন করলাম। ৫ মিনিটের মধ্যে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার এবং নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ফোন করলেন। অবিলম্বে লোকটির নিকটাত্মীয় কারো সাথে যোগাযোগ করে পরিচয়ের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে আমি তাদেরকে নির্দেশনা দিলাম।

পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতার সাথে ঘন্টাখানেকের মধ্যেই লোকটির মামাকে নীলফামারী সদর থানায় হাজির করল। তিনি নিশ্চিত করলেন, ছবির লোকটি তার হারিয়ে যাওয়া ভাগ্নে। দাবীর সমর্থনে তিনি ভাগ্নের জন্ম নিবন্ধন সনদ সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট উপস্থাপন করলেন।

যা জানতে পারলাম তা গল্প উপন্যাসকেও হার মানায়। লোকটি প্রায় ৬/৭ বছর যাবৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ। তার পরিবার বহু ভাবে বহু জায়গায় তার খোঁজ করেছে, কিন্তু সফলতার মুখ দেখেনি। ছেলে হারানোর শোকে ইতোমধ্যেই তার গর্ভধারিনী মা মৃত্যুবরণ করেছেন, অসুস্থ বাবাও শয্যাশায়ী। বাবার শেষ ইচ্ছা, মৃত্যুর আগে একবার হলেও ছেলের মুখ দেখা।

বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী একজন মানুষকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে পেরেছি এ যে কত বড় পাওয়া তা বলে বোঝাতে পারব না। নাম পরিচয়হীন এই মানুষটার কষ্ট আমার মনে গভীর ছাপ রেখে গেছে। মানুষটা কন্ঠ বোবা হতে পারে, কিন্তু তার অন্তরটা কোনোভাবেই বোবা নয়। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হলেও সে আমার আপনার মতোই মানুষ। তাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া আমার কাছে কোনো অর্থেই তার প্রতি দয়া দেখানো নয়, বরং এটি আমার নৈতিক এবং আইনগত দায়বদ্ধতা — যে দায়বদ্ধতার শপথ আমি বিচারক জীবনে প্রবেশের মুহূর্তে নিয়েছিলাম।

শেয়ার করবেন।

লিখেছেন
⚛️বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর ☸️
লেখাটি লেখকের ফেইসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত

“ছেলেরা কেন বিবাহিত নারীদের সঙ্গে প্রেম করে?” — জানেন কি ?আপনার স্বামীর অগোচরে কারো ‘I miss you’ মেসেজে বুক কেঁপে ওঠে?রা...
19/12/2025

“ছেলেরা কেন বিবাহিত নারীদের সঙ্গে প্রেম করে?” — জানেন কি ?

আপনার স্বামীর অগোচরে কারো ‘I miss you’ মেসেজে বুক কেঁপে ওঠে?
রাতের নীরবতায় অন্য পুরুষের কণ্ঠে “একবার দেখা করবে?” তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে শুনে শরীরে এক অজানা স্রোত বইতে থাকে?
ভেবে দেখেছেন, এই উত্তেজনাটাই কি আসল প্রেম — নাকি এক ভ*য়ঙ্কর ফাঁ*দ?
যদিও ওই ফাঁ*দে পড়ার সময় কেউ ঠিক পায় না

অনেক বিবাহিত নারী একাকীত্বে ভুগে অন্য পুরুষের সঙ্গ খোঁজেন। যেটা বো**কা নারিরা বোঝেনা
কিন্তু সত্যটা হলো — বেশিরভাগ পুরুষই প্রেম নয়, একটা খেলা খেলছে! এই পুরুষরা আপনার প্রেমে পড়বে না
তারা চায় নি*ষিদ্ধ সম্পর্কের রোমাঞ্চ এতোটুকুই চাই কিন্তু আপনার স্বামীর মত, চায় না দায়িত্ব, ভালোবাসা বা ভবিষ্যৎ।

আপনি তার কাছে প্রেমিকা নন, আপনি কেবল একটা ‘Ego Boost’ —
একটা জেতার ট্রফি, এক রাতের গল্প।
উল্টাপাল্টা স্বপ্নে ভেসে বেড়ানো
একবার ভাবুন তো —
😒 যে পুরুষ অন্যের সংসার ভাঙতে পারে, সে কি আপনার প্রতি বিশ্বস্ত হবে?
😒যে আপনাকে ভালোবাসার নামে শরীর চায়, সে কি আপনার জীবনের ঝড় সামলাবে?
😒 আজ আপনি তার উত্তেজনা, কাল আপনি তার অতীত — এই সত্যটা মেনে নিতে পারবেন?
😒 আপনি অসুস্থ হইলে সে আপনার দিকে ফিরেও তাকাবেন না।

এত কথার পরে একটাই শেষ কথা যতদিন আপনার শারীরিক সৌন্দর্য আছে সে পরপুরুষ বেটা তোমার মূল্য দেবে।
কিন্তু তোমার স্বামী তোমাকে কখনো শারীরিক সৌন্দর্য জন্য নয় তুমি তার বাচ্চার মা তুমি তার অর্ধাঙ্গিনী এবং তুমি তার সহধর্মিনী এই হিসেবে তোমাকে ভালোবাসবে সম্মানের সাথে রাখবে। বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তোমার হাতটা আঁকড়ে ধরবে।

অন্যের কাছে তুমি বিরিয়ানি হতেই পারো।
কিন্তু সম্মানের সাথে স্বামীর সংসারে পান্তা ভাত খাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার।

মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয় চার ভাবেঃ-১।শরীর বা দেহ২।চেহারা বা রূপ৩।যোগ্যতা বা ব্যক্তিত্ব৪।মনের আকর্ষণ ♦️যে আকর্ষণ শরীর বা যৌ...
18/12/2025

মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয় চার ভাবেঃ-
১।শরীর বা দেহ
২।চেহারা বা রূপ
৩।যোগ্যতা বা ব্যক্তিত্ব
৪।মনের আকর্ষণ

♦️যে আকর্ষণ শরীর বা যৌনতা থেকে তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সবচেয়ে কম। বেশ কিছুদিন তা পেলেই আর কোন আকর্ষণ থাকেনা।

♦️এরপর হল চেহারা। এটার স্থায়িত্ব শরীরের আকর্ষণের চেয়ে বেশি। তবে চেহারা সুন্দর হলে আর সঙ্গী বিশ্বাসী হলে তার প্রতি আকর্ষণ থেকেই যায়। বেশিরভাগ আকর্ষণ এই চেহারা বা রূপকেন্দ্রিক হয়।

♦️এরপরই টেকসই হল যোগ্যতার আকর্ষণ। মানুষের যোগ্যতাও এক ধরনের সৌন্দর্য। যোগ্যতার জন্য যে আকর্ষণ তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব হয় অনেক বেশি।

♦️সবচেয়ে বেশি টেকসই হল মনকেন্দ্রিক আকর্ষণ। কিন্তু মনের আকর্ষণ সহজে তৈরি হয় না। এটির জন্য সময়ের দরকার হয়, অনুভুতি তৈরির দরকার হয়। এটি যেমন ধীরে ধীরে তৈরি হয়, তেমনি এটার স্থায়িত্বও সবচেয়ে বেশি।

🔶কিন্তু সব আকর্ষণই এক সময় কমে যায়। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, এটাই বাস্তবতা।
তবে এর সাথে সাথে সময়ের প্রেক্ষিতে ব্যালান্সও তৈরি হয়ে যায়। আকর্ষণ একসময় গিয়ে পরিণত হয় অভ্যাসে, মায়াতে, দায়িত্বে।
সেই অভ্যাসের কারণে, মায়ার কারণে, দায়িত্বের কারণে দুজন মানুষ বাকি জীবন একসাথে পার করে অবলীলায়।
এই আকর্ষণ, অভ্যাস, মায়া, দায়িত্ব- সবগুলো মিলেই একসাথে তৈরি প্রকৃত ভালোবাসা এবং সংসার জীবন।
------------ আবেগের দুনিয়া ---------

পৃথিবীতে কেউ প্রোডাক্ট কেনে না, সবাই কেনে ইমোশন। আপনি যদি বিজনেস করে বড় হতে চান, তাহলে প্রোডাক্টের ফিচার বাদ দিয়ে মানুষে...
18/12/2025

পৃথিবীতে কেউ প্রোডাক্ট কেনে না, সবাই কেনে ইমোশন। আপনি যদি বিজনেস করে বড় হতে চান, তাহলে প্রোডাক্টের ফিচার বাদ দিয়ে মানুষের সাইকোলজি বুঝুন। ধনী হওয়ার ১৬টি সাইকোলজিক্যাল হ্যাক দেখে নিন।

মার্কেটিং এর বই পড়ে যা শিখবেন, তার চেয়ে বেশি শিখবেন মানুষের নেচার বা স্বভাব পর্যবেক্ষণ করে। সাকসেসফুল বিজনেসম্যানরা কোনো জিনিস বিক্রি করে না, তারা বিক্রি করে ফিলিংস।

এখানে ১৬টি সিক্রেট ট্রিগার দিলাম যা কাজে লাগিয়ে আপনি যে কোনো মার্কেটে ডমিনেট করতে পারবেন:

১. মেয়েদের সৌন্দর্য: বিউটি ইন্ডাস্ট্রি কখনো লস খায় না। মেয়েরা শুধু মেকআপ বা স্কিনকেয়ার কেনে না, তারা কেনে কনফিডেন্স এবং নিজেকে সুন্দর দেখানোর আকাঙ্ক্ষা।

২. ছেলেদের আকর্ষণ: পুরুষদের সাইকোলজি সিম্পল। লাক্সারি কার, স্টাইলিশ মোবাইল বা গ্রুমিং প্রোডাক্টস এগুলোর মূলে কাজ করে অপজিট জেন্ডারকে অ্যাট্রাক্ট করার ইচ্ছা।

৩. মা বাবার শান্তি: বাবা মায়ের কাছে সন্তানের চেয়ে দামী কিছু নেই। আপনি যদি এমন কিছু অফার করেন যা তাদের বাচ্চার সেফটি এনশিওর করে বা তাদের লাইফ সহজ করে, তারা দাম নিয়ে বার্গেইন করবে না।

৪. ছোটদের স্বপ্ন: বাচ্চারা লজিক বোঝে না, তারা ম্যাজিক খোঁজে। ডিজনি বা টয় কোম্পানিগুলো প্লাস্টিক বিক্রি করে না, তারা বিক্রি করে স্বপ্ন এবং ফ্যান্টাসি।

৫. ধনীদের নিরাপত্তা: যাদের অনেক টাকা, তাদের মেইন টেনশন হলো টাকা হারানোর ভয় এবং নিজের নিরাপত্তা। হাই-এন্ড সিকিউরিটি সিস্টেম বা প্রাইভেট ব্যাংকিং সার্ভিস এজন্যই এত এক্সপেন্সিভ।

৬. ভগ্ন আশা: যাদের পকেটে টাকা নেই, তারা সবসময় একটা ম্যাজিক লটারির আশায় থাকে। লটারি টিকেট বা Get rich quick স্কিমগুলো এদের কাছেই বিক্রি হয় Hope হিসেবে।

৭. বয়স্ক যৌবন: কেউ বুড়ো হতে চায় না। অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্টস, হেয়ার কালার বা এনার্জি বুস্টার এগুলো আসলে বিক্রি করছে তারুণ্য ধরে রাখার চেষ্টা।

৮. তরুণদের স্ট্যাটাস: ইয়াং জেনারেশন পাগল স্ট্যাটাসের জন্য। লেটেস্ট আইফোন, ব্র্যান্ডেড স্নিকার্স বা কফি শপের চেক-ইন সবই হলো আমি কুল এটা প্রমাণ করার চেষ্টা।

৯. একাকীদের একাত্মতা: মানুষ একা থাকতে ভয় পায়। এক্সক্লুসিভ ক্লাব বা পেইড কমিউনিটিগুলো বিক্রি করে একাত্মতা বা Belonging.

১০. অসুস্থদের মিরাকল: সুস্থ মানুষ অনেক কিছু চায়, কিন্তু অসুস্থ মানুষ শুধু একটা জিনিসই চায় আর সেটা হলো সুস্থতা। যখন মেডিসিন কাজ করে না, তখন মানুষ অলৌকিক কিছু বা Miracle এর পিছনে ছোটে।

১১. সুস্থদের ভয়: সুস্থ মানুষকে ভয় দেখান ভবিষ্যতে রোগ হতে পারে। হেলথ ইন্স্যুরেন্স বা প্রিভেন্টিভ চেকআপ প্যাকেজগুলো দাঁড়িয়ে আছে এই Fear বা ভয়ের ওপর।

১২. স্মার্ট শর্টকাট: যারা বুদ্ধিমান, তারা সময়ের মূল্য বোঝে। তারা খাটতে চায় না, স্মার্টলি কাজ করতে চায়। এদের কাছে প্রোডাক্টিভিটি টুলস বা AI সার্ভিস বিক্রি করুন শর্টকাট হিসেবে।

১৩. বোকাদের বৈধতা: যারা একটু কম বোঝে বা ইনসিকিউরড, তারা চায় কেউ বলুক তুমিই ঠিক। তাদের ইগো মাসাজ করুন, ভ্যালিডেশন দিন তারা আপনার ফ্যান হয়ে যাবে।

১৪. বিশ্বস্ত নিশ্চয়তা: বিশ্বাসীরা চায় নিশ্চয়তা। রিলিজিয়াস গাইডেন্স বা স্পিরিচুয়াল কোর্সগুলো অফার করে নিশ্চয়তা এবং মানসিক প্রশান্তি।

১৫. অবিশ্বাসী বিদ্রোহ: যারা নিয়ম মানতে চায় না, তাদের কাছে বিক্রি করুন বিদ্রোহ। Break the Rules এই স্লোগান দিয়ে অনেক লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড কোটি টাকার ব্যবসা করছে।

১৬. প্রত্যেকের সময়: আর সবার কাছে যা কমন তা হলো সময়। উবার, ফুডপান্ডা বা যেকোনো হোম সার্ভিস আসলে আমাদের কাছে সময় বিক্রি করছে। Time is the ultimate currency.

আপনি এর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক ইমোশন পিক করুন এবং সেটাকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে কানেক্ট করুন। মানুষ প্রোডাক্ট কিনবে না, কিনবে সেই ইমোশনটা।

নারীর দেহের প্রতি সম্মান এবং বোঝাপড়া এক গভীর বিষয়, যা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও। নারী ও পুরুষের শারীরিক অভ্যন্তরীণ নির্মা...
17/12/2025

নারীর দেহের প্রতি সম্মান এবং বোঝাপড়া এক গভীর বিষয়, যা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও। নারী ও পুরুষের শারীরিক অভ্যন্তরীণ নির্মাণ ভিন্ন, আর তাই তাদের স্পর্শের অনুভূতিও ভিন্ন হতে পারে। নারী তার দেহে এক অদৃশ্য কোডে অনুভব করে যা পুরুষেরা বুঝে না, এবং এটি প্রভাবিত হয় তার মানসিক অবস্থা, সুরক্ষা অনুভূতি, এবং শারীরিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায়।
নারীর দেহ, পুরুষের দেহের মতো সরাসরি বা তাত্ক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হয় না। তার শরীর ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়, স্নেহময়তার স্পর্শে তার মন ও দেহ একত্রিত হয় এবং প্রস্তুত হয়। সঠিক স্পর্শ তাকে নিরাপত্তা ও স্নেহের অভ্যন্তরে প্রবাহিত করে, যেখানে সে নিজেকে আবদ্ধ বা অস্বস্তি বোধ না করে তার সঙ্গীকে আরও কাছে টানে। ভুল স্পর্শ বা অত্যাধিক চাপ তাকে সংকুচিত করে দেয়, তার স্নায়ুতন্ত্রকে আলগা হয়ে যেতে বাধ্য করে, এবং সে সেখান থেকে সরে যায়।

১. হঠাৎ নয়, ধীরে স্পর্শ—এইটাই নারীর প্রথম স্বস্তি

নারীর দেহ দ্রুত এবং হঠাৎ কোনো স্পর্শ পছন্দ করে না। তার শরীর দ্রুত উত্তেজিত হতে পারে না, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়া দেয়। যখন পুরুষ তার শরীরে হঠাৎ কোনো চাপ বা স্পর্শ দেয়, নারীর শরীর তা মেনে নিতে পারে না এবং এটি তার স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে। নারীর জন্য যে ধরনের স্পর্শ উপযোগী, তা হলো ধীরে এবং কোমলভাবে। এই ধরনের স্পর্শ তার মন এবং শরীরকে প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।

এভাবে স্পর্শ করা

হাত বুলানো: নারীর গলা, কাঁধ, বা পিঠে ধীরে হাত বুলানো তার শরীরের জন্য আরামদায়ক। এটি তার মধ্যে নিরাপত্তা অনুভূতি তৈরি করে।

কোমল স্পর্শ: কোমরের দুইপাশে বা উরুর পাশ দিয়ে হাতে স্পর্শ করা নারীর শরীরকে আরও উষ্ণ ও খোলামেলা করে তোলে।

এতে নারীর শরীর ধীরে ধীরে উত্তেজিত হতে শুরু করে এবং তার মনও আরাম অনুভব করতে শুরু করে। স্পর্শের ধীরতা তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তার দেহের প্রতিক্রিয়াকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে।

২. পাশের স্পর্শ (Side Touch) নারীকে বেশি উত্তেজিত করে

অনেক পুরুষ মনে করেন, সরাসরি বা সোজা স্পর্শ করলে নারীর উত্তেজনা বাড়বে। কিন্তু নারী শারীরিকভাবে সরাসরি স্পর্শের চেয়ে পাশ থেকে স্পর্শে বেশি আরাম ও উত্তেজনা অনুভব করে। পাশের স্পর্শ নারীর দেহে স্নেহ এবং নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করে, যা তাকে আরও খোলামেলা করে তোলে।

প্রতিটি নারী শারীরিকভাবে পৃথক, তবে সাধারণভাবে বলা যায়:

স্তনের পাশ দিয়ে আঙুল চালানো: স্তনের সরাসরি স্পর্শ অনেকসময় নারীর কাছে হঠাৎ বা অতিরিক্ত চাপের মতো মনে হতে পারে। তবে স্তনের পাশ দিয়ে ধীরে আঙুল চালানো তাকে শান্তি দেয় এবং উত্তেজিত করে।

কোমরের দুইপাশে নরম চাপ দেওয়া: কোমরের পাশ দিয়ে হালকা চাপ নারীর শরীরকে আরও খুলে দেয় এবং সে তার সঙ্গীর কাছাকাছি আসতে চায়।

উরুর পাশ দিয়ে হাত নামানো: এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা। এই ধরনের স্পর্শ তার স্নায়ুতন্ত্রে ভালো সাড়া দেয় এবং তাকে আরাম এনে দেয়।

এই ধরনের স্পর্শ নারীর শরীরে "সেফ সিগন্যাল" তৈরি করে, যা তাকে তার সঙ্গীর প্রতি আরও আগ্রহী ও আকৃষ্ট করে তোলে।

৩. নারীর দেহ ‘বিরতি’ খুব ভালোবাসে

পুরুষরা অনেক সময় ভাবেন যে একটানা দ্রুত স্পর্শ করা উত্তেজনা বাড়ায়, কিন্তু নারীর দেহে এর বিপরীত ঘটে। নারীর দেহের জন্য ধীর গতি, বিরতি এবং পুনরায় ধীরে ধীরে চলা স্পর্শই সবচেয়ে উপকারী। এই রিদম তার মস্তিষ্কে ডোপামিন (যা উত্তেজনা, আনন্দ ও সুখের অনুভূতি তৈরি করে) বৃদ্ধি করে এবং তাকে গভীর উত্তেজনার দিকে নিয়ে যায়।

নারীর শরীরের প্রতিক্রিয়া এমনভাবে কাজ করে যে

ধীর গতি: যখন সঙ্গী ধীরে ধীরে তার শরীরে স্পর্শ করে, তখন তার দেহ প্রশান্তি অনুভব করে এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত হয়ে ওঠে।

বিরতি: কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেওয়া তার উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়, কারণ এটি তার দেহকে পুনরায় প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ দেয়।

পুনরায় ধীর স্পর্শ: আবার ধীরে ধীরে, মাঝেমাঝে, স্পর্শ করা তার উত্তেজনার মাত্রাকে বাড়ায় এবং তাকে আরও আকর্ষণীয় মনে হয়।

এই তিনটি উপাদান নারীর উত্তেজনা এবং অনুভূতি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

৪. কোন স্পর্শ তাকে অস্বস্তি দেয়?

অনেক পুরুষ নারীর দেহের সাথে যোগাযোগ করার সময় এমন কিছু ভুল স্পর্শ করে যা নারীর জন্য অস্বস্তিকর এবং তার মানসিক অবস্থানকে সংকুচিত করে দেয়। এই স্পর্শগুলো নারীর দেহকে সঙ্কুচিত ও বন্ধ করে দেয়। নারীর জন্য যেসব স্পর্শ অস্বস্তি সৃষ্টি করে, সেগুলি হল

খুব দ্রুত স্পর্শ: দ্রুত, হঠাৎ স্পর্শ নারীর শরীরকে আলাদা করে দেয় এবং তা তার জন্য নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

রুক্ষ হাত: নারীর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই রুক্ষ বা শক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে সে বিরক্ত হতে পারে এবং তার দেহ শিথিল হয়ে যেতে পারে।

অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল জায়গায় স্পর্শ: নারীর বিশেষ কিছু শরীরের জায়গা (যেমন স্তন বা যৌনাঙ্গ) স্পর্শ করতে হলে অনুমতি নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুমতি ছাড়া এসব জায়গায় স্পর্শ নারীর কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক হতে পারে।

কানে বা ঘাড়ে অতিরিক্ত চাপ: এই জায়গাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এতে অতিরিক্ত চাপ দিলে নারীর শ্বাস প্রশ্বাসের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

মিলনের শুরুতেই সরাসরি যৌনাঙ্গে স্পর্শ: নারীর শরীর ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয়, তাই সরাসরি যৌনাঙ্গে স্পর্শ তার জন্য অবাঞ্ছিত হতে পারে, যা তার মানসিক এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।

এগুলো নারীর শরীরকে বন্ধ করে দেয় এবং তাকে মানসিকভাবে সরে যেতে বাধ্য করে।

৫. নারীর শরীরের ভাষা বুঝতে শেখা

নারী তার শরীরের ভাষায় অনেক কিছু বলে, যা অনেক পুরুষের কাছে অজানা। নারীর শরীরের ভাষা বোঝার মাধ্যমে এক পুরুষ তার সঙ্গীকে সঠিকভাবে সমর্থন ও সঙ্গতি দিতে পারে। যখন নারীর শরীর আরাম পায়, তখন

শ্বাস ধীরে বাড়ে: এটি তার আরামের সূচক, কারণ তার শরীর প্রশান্ত হয়ে ওঠে।

শরীর নরম হয়ে আসে: নারীর দেহ যদি শিথিল হয়ে আসে, তবে তা তার শারীরিক আরামের ইঙ্গিত।

তোমার দিকে আরও এগিয়ে আসে: যদি নারীর শরীর আরও কাছে চলে আসে, তবে তার মানে হল যে সে তার সঙ্গীকে কাছে পেতে চায়।

চোখ নরম হয়: নরম ও কোমল চোখ নারীর শান্তি ও প্রশান্তির প্রমাণ।

অন্যদিকে, যখন নারীর শরীর অস্বস্তি অনুভব করে, তখন

শরীর শক্ত হয়ে যায়: নারীর শরীর যখন শক্ত হয়ে যায়, তখন বুঝতে হবে সে অস্বস্তিতে রয়েছে।

চোখ এড়িয়ে চলে: নারীর চোখ যদি এড়িয়ে চলে, তা হল অস্বস্তির লক্ষণ।

শ্বাস থেমে যায়: শ্বাস যদি দ্রুত বা অস্বাভাবিকভাবে থেমে যায়, তাহলে এটি তার মানসিক অস্বস্তির ইঙ্গিত।

পজিশন বদলায়: নারীর পজিশন যদি তাড়াতাড়ি বদলায়, তাহলে তার মানে সে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হতে চায়।

যে পুরুষ নারীর এই শরীরের ভাষা বোঝে, সে কখনোই ভুল করবে না।

৬. নারীর জন্য নিরাপত্তার স্পর্শ

নারী সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত হয় সেই স্পর্শে যেখানে সে নিরাপদ অনুভব করে। এই ধরনের স্পর্শ তাকে তার সঙ্গীর প্রতি আরও আকৃষ্ট করে এবং তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে। যেমন

পিঠে হাত রাখা: নারীর পিঠে হাত রাখলে সে নিরাপত্তা অনুভব করে এবং তার মনও খোলামেলা হয়ে ওঠে।

মাথায় বা চুলে নরম হাত বুলানো: চুলে কোমল হাত বুলানো নারীর জন্য এক ধরনের স্নেহবোধ সৃষ্টি করে, যা তাকে অদৃশ্যভাবে আরও কাছে নিয়ে আসে।

কোমর জড়িয়ে ধরা: কোমর জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে নারীর শরীর প্রস্তুত হয়, তার অনুভূতি গভীর ও প্রশান্ত হয়।

কাঁধে মাথা রাখা: কাঁধে মাথা রেখে তাকে নিরাপদ এবং স্নেহময় অনুভূতি দেওয়া তাকে আরও উন্মুক্ত করে তোলে।

এই ধরনের স্পর্শ নারীর শরীর ও মনকে প্রস্তুত করে এবং তাকে নিজের সঙ্গীর প্রতি এক বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করায়।

নারীর দেহ জয় করার প্রকৃত মানে হচ্ছে, তার মন জয় করা। শারীরিক স্পর্শ শুধুমাত্র যৌনতার মাধ্যম নয়; এটি নিরাপত্তা, আদর, কোমলতা, বোঝাপড়া এবং স্নেহের একটি মিশ্রণ। নারী যখন তার সঙ্গী থেকে এই অনুভূতিগুলো পায়, তখন তার মন ও দেহ একসঙ্গে সাড়া দেয়। আর যেই পুরুষ তার এই ভাষা বুঝতে পারে, সেই পুরুষ কখনোই ভুল পথে হেঁটে যাবে না।

🎇জীবনে কখনো কখনো এমন একজন মানুষ আসে—যার উপস্থিতি শুরুতে আশীর্বাদ মনে হয়,কিন্তু শেষে বুঝতে পারো—সে ছিল তোমার জীবনে আসা ন...
17/12/2025

🎇জীবনে কখনো কখনো এমন একজন মানুষ আসে—
যার উপস্থিতি শুরুতে আশীর্বাদ মনে হয়,
কিন্তু শেষে বুঝতে পারো—
সে ছিল তোমার জীবনে আসা নীরব বিষ।

এই মানুষগুলো শুরুতে দেবদূতের মতো আচরণ করে।
মিষ্টি কথা বলে, যত্ন দেখায়,
তোমার দুর্বলতা জেনে তোমার ভরসার জায়গাগুলো দখল করে নেয়।
আর তুমি ভাবো—
“এটাই হয়তো আমার মানুষ… এটাই হয়তো আমার ভবিষ্যৎ।”

কিন্তু আসল খেলা শুরু হয় পরে।

🎇 প্রথমে তারা হৃদয় দখল করে
এরা কখনোই প্রথমে নিজের প্রকৃত মুখ দেখায় না।
শুরুর দিকের কোমলতা, যত্ন, আদর—
সবই হয় কাউকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়।

🎇তারা ধীরে ধীরে তোমাকে পরিবার, বন্ধু, ক্যারিয়ার—সবকিছু থেকে আলাদা করে ফেলে।
তোমার পৃথিবী ছোট হতে হতে একসময় শুধু তাকে কেন্দ্র করেই দাঁড়িয়ে যায়।
আর তখন তুমি বুঝতেও পারো না—
এটাই ছিল তোমাকে ভাঙার প্রথম ধাপ।

🎇 তারপর শুরু হয় চাহিদার খেলা
প্রথমে একটু সময়,
তারপর মনোযোগ,
পরে উপহার,
আরও পরে টাকা…
এভাবে সম্পর্কটা নীরবে লেনদেনে বদলে যায়।

🎇তুমি দিতে দিতে ক্লান্ত,
সে নিতে নিতে অভ্যস্ত।

যেদিন তুমি আর দিতে পারো না—
সেদিন সে হারিয়ে যায়,
যেন কখনো ছিলই না।

🎇 এবং তারপর শুরু হয় তোমার ভাঙন
তার চলে যাওয়ার পর
যা থাকে—
তা হলো ভেতরে প্রচণ্ড শূন্যতা,
নিজেকে দোষারোপ করা,
হতাশা,
কখনো ভুল পথে হাঁটা,
আর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা।

🎇যাকে আপনি জীবন মনে করেছিলেন,
সে একসময় হয়ে যায় আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।

⚛️ শেষে থাকে এক আহত আত্মা
এ ধরনের মানুষ বাইরে কোনো দাগ রেখে যায় না—
কিন্তু ভেতরটা ভেঙে চূর্ণ করে দেয়।

ভালোবাসার ওপর বিশ্বাস কমে যায়,
আত্মসম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়,
নিজেকে মূল্যহীন মনে হতে থাকে।

---

🎇 শিক্ষা

মানুষ ভালোবাসায় নয়, আচরণে চেনা যায়।
যে কেউ—সেই পুরুষ হোক বা নারী—
যদি সম্পর্কের নামে তোমার স্বাধীনতা, স্বপ্ন আর সম্মান কেড়ে নেয়—
তবে সে তোমার জীবনে আশীর্বাদ নয়, ঝড়।

সঠিক মানুষ জীবনকে গড়ে তোলে,
ভুল মানুষ জীবনটাকে ভেঙে দেয় নিঃশব্দে।

সংগ্রহীত

Address

Gaffargaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahassn Habib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ahassn Habib:

Share