Ahassn Habib

Ahassn Habib social worker

"নারীর হাসি-কান্নার চাবিকাঠি একজন পুরুষের হাতেই থাকে…"❤️একটা মেয়ের ভালো থাকা কিংবা ভেঙে পড়া—এটা অনেক সময়ই নির্ভর করে তার...
02/08/2025

"নারীর হাসি-কান্নার চাবিকাঠি একজন পুরুষের হাতেই থাকে…"❤️

একটা মেয়ের ভালো থাকা কিংবা ভেঙে পড়া—এটা অনেক সময়ই নির্ভর করে তার ভালোবাসার পুরুষটির আচরণের ওপর।🥰
একজন মেয়ে যখন কাউকে মন থেকে ভালোবাসে, তখন সে আর কিছু লুকিয়ে রাখে না। নিজের বুকের মধ্যে জমে থাকা স্বপ্ন, ভয়, বিশ্বাস, মায়া—সব কিছু উজাড় করে দিয়ে দেয় সেই একজন পুরুষের হাতে। এবং ঠিক তখনই, তার সুখ-দুঃখের চাবিকাঠি সেই পুরুষটির হাতে তুলে দেয় সে।

একজন পুরুষ চাইলে তার ভালোবাসার মেয়েটিকে একেবারে রানি করে রাখতে পারে।
ভালোবাসা, যত্ন, শ্রদ্ধা, সময়—এই ছোট ছোট বিষয়গুলো দিয়েই সে গড়ে তুলতে পারে এক পরিপূর্ণ নারীর মন।
কখনও কেবল একটি খোঁজ নেওয়া—“তুমি কেমন আছো?”—এই ছোট্ট কথাটিও মেয়েটির পুরো দিনের মেঘ কেটে রোদের ছোঁয়া এনে দিতে পারে।😘
একটু আন্তরিকতা, একটুখানি সময়—এইগুলোই মেয়েটির মুখে সেই প্রাণখোলা হাসিটা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট।

কিন্তু একইভাবে, সেই পুরুষ যদি উদাসীন হয়ে যায়, বারবার কথা না রাখে, কথা বলার সময় চোখ সরিয়ে নেয়, অথবা ছোট ছোট আবদারগুলো অবহেলা করে চলে—তবে সেই মেয়েটির হৃদয়ে এক নিঃশব্দ ভাঙন শুরু হয়।
বাইরে থেকে মেয়েটি যতই শক্ত মনে হোক, তার ভেতরটা কিন্তু থাকে খুবই নরম।🥰

সে জীবনের হাজারো চাপ, সামাজিক জটিলতা, পারিবারিক দায়িত্ব—সব সহ্য করে নিতে পারে। কিন্তু যে ছেলেটাকে সে চোখ বুঁজে বিশ্বাস করেছে, ভালোবেসেছে—তার অবহেলা সে সহ্য করতে পারে না।
একটি ভুল শব্দ, একটি বিরক্ত ভঙ্গি, একটি মনোযোগহীনতা—এসবেই গুঁড়িয়ে যেতে পারে তার ভেতরের পুরো একটা জগৎ।🫠

অথচ, যদি সেই ছেলেটিই বুঝে, পাশে থাকে, সময় দেয়, শ্রদ্ধা করে—তবে মেয়েটির ভেতর থেকে যেন আলো ঝলমলে একটা পৃথিবী বেরিয়ে আসে। সে হয়ে ওঠে সবচেয়ে প্রাণবন্ত, সবচেয়ে হাসিখুশি, সবচেয়ে সুন্দর একজন মানুষ।

একজন পুরুষের আচরণই তখন ঠিক করে দেয়, সেই মেয়েটির প্রতিদিন কেমন যাবে—হবে কি তা একটা রঙিন সকাল, না কি বিষাদে ঢাকা বিকেল।

তাই বলা হয়, একজন পুরুষ চাইলে তার প্রেমিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী নারী বানাতে পারে। আবার বুঝতে না পেরে, অবহেলা করে, তাকে চুপচাপ নিঃশেষ করে দিতেও পারে।🥰

একটি মেয়ের কান্না বা হাসির পেছনে অনেক সময় থাকে একজন পুরুষের স্পর্শ—যেটা হতে পারে ভালোবাসায় ভরা এক আশ্রয়, অথবা অবহেলার এক চুপচাপ ধ্বংস।
পুরুষের হাতে দেওয়া সেই বিশ্বাস, সেই ভালোবাসা—তা যদি যত্ন পায়, তবে মেয়েটি প্রস্ফুটিত হয় এক পরিপূর্ণ নারীতে।

কপি পোস্ট

⚛️ত্রিশ পেরিয়ে নারীরা যেমন হন—একটা নীরব বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি✴️ত্রিশ পার করা মানে শুধু বয়স নয়—এটা এক অনুচ্চারিত পালাবদলের ...
02/08/2025

⚛️ত্রিশ পেরিয়ে নারীরা যেমন হন—একটা নীরব বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি

✴️ত্রিশ পার করা মানে শুধু বয়স নয়—এটা এক অনুচ্চারিত পালাবদলের শুরু।
একসময় যে মেয়ে ছিল প্রাণচঞ্চল, টুকটুকে স্বপ্নে ভরা চোখে আকাশ মাপত—সে আজ অনেক বেশি নীরব।
নতুন কিছু চায় না, শুধু নিজের ভেতরের আলোর সঙ্গে বোঝাপড়াটা মিটিয়ে নিতে চায়।

✴️এই বয়সে নারীরা আর খালি হাসেন না—তারা ঠোঁটের কোণে একধরনের বিষণ্ন শান্তি রাখেন।
তারা আর প্রশ্ন করে না “আমাকে নিয়ে কার কি ভাবনা?”
বরং জানতে চান—“আমি নিজেকে শেষ কবে বুঝেছিলাম?”

✴️সময়ের হাতে তৈরি হয় এক অনুচ্চারিত সম্পর্ক—নিঃশব্দতা আর সহনশীলতার সঙ্গে।
তারা শিখে ফেলেন— সব অনুভূতির ব্যাখ্যা হয় না, সব কষ্টকে প্রকাশ করতে নেই, সব প্রশ্নের উত্তর দিলে জীবনের শান্তি হারায়।

✴️তাদের চোখে তখন একটা চাপা গর্ব থাকে— একা থাকা মানেই পরাজয় নয়,
নিজেকে ভালোবাসা মানেই স্বার্থপরতা নয়।

✴️সমাজ তখন কাঁধে হাত রাখে না, বরং গলায় প্রশ্ন ছুড়ে মারে— “এখনো একা আছো?”
“বাচ্চা হবে না?”
“এই বয়সে এখনও সিদ্ধান্ত নাওনি?”

✴️এই প্রশ্নগুলো কাঁটার মতো না,
বরং প্রতিদিন জমে থাকা ধূলোর মতো—
যেগুলো তারা ঝেড়ে ফেলতে চায়,
কিন্তু কিছুটা থেকে যায় বুকের ভেতর।

✴️তারা উত্তর দেন না, চুপ করে থাকেন।
কারণ তারা জানেন—প্রত্যেকটা উত্তর একটা নতুন লড়াই।

✴️এ বয়সে নারীরা আর কাউকে খুশি করার জন্য নিজেদের ভেঙে ফেলেন না।
তারা চান—একটা সকাল নিজের মতো করে কাটুক।
একটা বিকেল শুধু এক কাপ চা, একটা বই, আর নিঃশব্দতায় ভরে উঠুক।

✴️আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তারা জিজ্ঞেস করেন— “আমি কেবল একজন স্ত্রী?
একজন মা?
নাকি এমন একজন, যে নিজের মতো করে কখনো বাঁচতেই পারিনি?”

✴️তারা চিৎকার করে কিছু বলেন না।
তবে চোখের গভীরে জমে থাকা অভিজ্ঞতা—তা বলে দেয়,
এই নারীরা এখন আর নরম কাঁচ নয়—তারা টিকে থাকা আগুন।

✴️তারা খুঁজে ফেরেন না একজন ‘সম্পূর্ণ’ পুরুষ,
তারা খোঁজেন একজন ‘শ্রোতা’—
যে বলবে,
“আজ তোমার চোখে একটু ঘুমহীনতা আছে, আমি পাশে আছি।”

✴️ভালোবাসার ভাষাও বদলে যায়—
“ভালো থেকো” নয়—
“আজ একটু বিশ্রাম নাও,”
“চুপ করে থাকলেও আমি বুঝতে পারি—তুমি আজ ভীষণ একা।”

✴️ত্রিশোত্তর নারীদের ভালোবাসা হয় না উচ্চকিত,
হয় সংযত,
হয় নরম আলোর মতো—যা চোখ ধাঁধিয়ে দেয় না, কিন্তু অন্তর জুড়িয়ে দেয়।

✴️তারা সম্পর্ক খোঁজেন না যেখানে অভিনয় করতে হয়,
তারা খোঁজেন এমন আশ্রয়—
যেখানে চুপ থাকলেও বোঝা যায়, এই মানুষটা আমাকে জানে।

✴️এ বয়সে নারীরা আর প্রমাণ দিতে চান না—
না সমাজকে, না পরিবারকে, না কারো চোখের সামনে দাঁড়িয়ে।

✴️তারা শুধু চান— একজন থাকুক পাশে,
যে বুঝবে, না জিজ্ঞেস করেই।
যে ভালোবাসবে, প্রাপ্তির শর্ত ছাড়া।
আর যার সঙ্গে নীরব থাকাও একধরনের গভীর কথা হয়ে দাঁড়ায়।

---

✴️এই বয়সটা এক নীরব বিপ্লব।
চোখে দেখা যায় না, কিন্তু ভেতরে প্রতিটি স্তরে ঢেউ তোলে—
নিজেকে জানার,
নিজেকে গ্রহণ করার,
নিজেকে ভালোবাসার এক সাহসী অভিযাত্রা।

মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, পাওয়া-না পাওয়ার দোলাচলে সময় সবসময় একরকম থাকে না। কখনো দিন থাকে আলোয় ভরা, আবার কখনো ...
02/08/2025

মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, পাওয়া-না পাওয়ার দোলাচলে সময় সবসময় একরকম থাকে না। কখনো দিন থাকে আলোয় ভরা, আবার কখনো আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। ঠিক তখনই চেনা যায় প্রকৃত মানুষটিকে—যে কঠিন সময়ে এগিয়ে আসে, পাশে দাঁড়ায়, জড়িয়ে ধরে, কাঁধে কাঁধ মিলে হাঁটে। এমন একজন মানুষের ভালোবাসা, সহানুভূতি ও উপস্থিতি কোনো অর্থমূল্যেই পরিশোধ করা যায় না। তার ঋণ শোধ করতে নেই, বরং সেটি বয়ে বেড়াতে হয় আজীবন কৃতজ্ঞতা আর সম্মানের সঙ্গে।

কঠিন সময়েই প্রকৃত সম্পর্কের পরীক্ষা হয় বন্ধু, আত্মীয় কিংবা প্রিয়জন—সবাই ভালো সময়ে হাততালি দেয়, পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু যখন জীবন ভেঙে পড়ে, যখন মন ভেঙে কান্না আসে, তখন যে মানুষটি নির্দ্বিধায় এসে জড়িয়ে ধরে, তাকে চেনা যায় না কেবল “চেনা” শব্দে—তাকে চিনতে হয় “ভালোবাসা” দিয়ে, তাকে গ্রহণ করতে হয় হৃদয়ের সবচেয়ে সম্মানিত স্থানে। কারণ, সেই মানুষটি শুধু শরীর নয়, মনের একাকিত্বও জড়িয়ে ধরে।

ঋণ নয়, এটি এক আশীর্বাদ সাহায্য নেওয়া মানেই ঋণ নয়। একজন যখন আপনার কান্না দেখে কাঁদে, আপনার দুঃখে নিজের শান্তি বিসর্জন দেয়—তখন সে কোনো প্রতিদান চায় না। সে শুধু চায়, আপনি আবার দাঁড়ান। আপনি আবার হাঁটেন। এই ভালোবাসা কখনো টাকার, উপহারের বা কৃতজ্ঞতার কথায় শোধ হয় না। এর প্রতিদান একটাই—তার প্রতি আজীবন সম্মান আর নির্ভরতার জায়গা ধরে রাখা।

মানবিকতা কখনো হিসেব করে না যে মানুষটি আপনার খারাপ সময়েও দূরে না গিয়ে আপনাকে জড়িয়ে ধরে, তার হৃদয়টি হয় অসাধারণভাবে মানবিক। এই ধরনের হৃদয় কোনো বিনিময় চায় না। তাই যদি কেউ জীবনের এমন কোনো সময়ে আপনাকে জড়িয়ে ধরে, তাহলে তার কাছে নিজেকে ঋণী ভাববেন না; বরং গর্ব করবেন যে আপনি এমন একজন মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় জায়গা পেয়েছেন।

জীবনের কঠিন সময় আমাদের অনেক কিছু শেখায়। তবে সবচেয়ে বড় শিক্ষা এটি যে, কাকে হৃদয়ের গভীরে স্থান দেওয়া উচিত। যে দুঃসময়ে জড়িয়ে ধরে, তার প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার বন্ধন তৈরি হয়—যা কোনো দিন ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এই ঋণ কোনো কাগজে লেখে নয়, লেখা থাকে হৃদয়ের পাতায়। আর হৃদয়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না—শুধু সযত্নে ধরে রাখতে হয়।

সম্পর্কে এক সময় শরীর এসেই পড়ে।এটা চাওয়া নয়—অনেকটা সময়ের ভিতর গড়িয়ে পড়া এক প্রাকৃতিক প্রবাহ।তবে দেহ স্পর্শ মানেই প্রেম নয়...
02/08/2025

সম্পর্কে এক সময় শরীর এসেই পড়ে।
এটা চাওয়া নয়—অনেকটা সময়ের ভিতর গড়িয়ে পড়া এক প্রাকৃতিক প্রবাহ।
তবে দেহ স্পর্শ মানেই প্রেম নয়, আর প্রেম মানেই দেহ না-ও হতে পারে।
তবু আমরা অস্বীকার করতে পারি না—
একটি শরীরের উষ্ণতা, ভাঁজের গভীরতা, নিঃশ্বাসের ভাষা অনেক না-বলা গল্প বলে দেয়।

কেউ কেউ শরীর খোঁজে—
কিন্তু শরীর মানেই কামনা নয়।
শরীর মানে কখনো কখনো আশ্রয়,
কখনো ভাঙনের পর নিজেকে জোড়া দেওয়ার জায়গা,
আর কখনো নিঃশব্দে বলা ভালোবাসা।

ভালোবাসা চাইলে শরীরকে স্পর্শ করো,
কিন্তু তা যেন যত্নের সঙ্গে হয়।
শরীর জিনিস নয়, শরীর একটা অনুভব।
একজন মানুষ যখন নিজের সমস্ত আড়াল সরিয়ে তোমার পাশে দাঁড়ায়,
তখন তার শরীর শুধু নগ্নতা নয়—
তখন তা তার সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রকাশ।

ভাত রান্নার analogy-টা কি মনে পড়ে?
একটু জলের ঘাটতিতে নিচের ভাতটা শক্ত হয়ে যায়, পুড়ে যায়—
ঠিক তেমনি, একটু যত্ন কমলে সম্পর্কের শরীরটাও জখম হয়ে যায়।
সে চুপ করে থাকে, কিন্তু ভিতরটা রুক্ষ হয়ে ওঠে।

আমি বলি, শরীর মানে অভ্যাস নয়—
শরীর মানে যত্ন।
শরীরে হাত রাখার পর,
একটা চাদর তুলে দেওয়া—
এই ছোট্ট আচরণটাই বলে দেয় তুমি তাকে কেমন ভালোবাসো।

আজকাল অনেকে শরীর ছুঁয়ে, শরীরেরই গন্ধ ভুলে যায়।
যেখানে আদর ছিল, সেখানে কেবল ক্লান্তি পড়ে থাকে।
তবে যে ভালোবাসা সত্যিকারের,
সে শরীরের দাগও ভালোবাসে,
ত্রুটিকেও আপন করে নেয়।

শরীর একটা ক্যানভাস।
যার প্রতিটি রেখায় আঁকা থাকে কারও অতীত, ব্যর্থতা, আঘাত ও গোপন অভিমানের ইতিহাস।
যদি তুমি একজন শিল্পী হও,
তবে সেই শরীরকে ছুঁয়ো তার ভাষা বুঝে—
না হলে আঁচড় ফেলে যাবে, যেটা আর কখনো মুছবে না।

ভালোবাসা মানে এই নয় যে, শরীরকে পবিত্র ভেবে দূরে রাখা।
ভালোবাসা মানে, শরীরকে মানুষ ভেবে আপন করে নেওয়া।

শেষ কথাঃ
যে মানুষ তোমার শরীরের ত্রুটিকে ভালবেসেছে,
সে তোমাকে শুধুই শরীর হিসেবে নয়—
একজন মানুষ হিসেবে ভালোবেসেছে।

আজকের দিনে সম্পর্ক মানে শুধু চ্যাট নয়, লুকানো আলিঙ্গন নয়—
সম্পর্ক মানে বোঝা, স্পর্শ, সংযম আর যত্ন।
ভালোবাসা মানে শরীরকে সম্মান করা,
না ছুঁয়ে নয়, বরং ছুঁয়ে… সযত্নে।

স্বামী-স্ত্রীর রহস্যময় সম্পর্ক !!মানব জীবনের সম্পর্ক পুঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, সবচেয়ে ঘূর্ণায়মান, আ...
01/08/2025

স্বামী-স্ত্রীর রহস্যময় সম্পর্ক !!

মানব জীবনের সম্পর্ক পুঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, সবচেয়ে ঘূর্ণায়মান, আবার এক রহস্যময় টিকে থাকার গল্প। এ সম্পর্ক একাধারে আশ্রয়, আবার বিতর্কের ক্ষেত্র; একদিকে নির্ভরতা, অন্যদিকে বিরক্তির আগুন। প্রেম, দায়িত্ব, অভ্যাস আর বিরোধ সব মিলিয়ে এই সম্পর্ক জীবন নামক দীর্ঘ যাত্রার এক জটিল অথচ অটুট সঙ্গী।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, সংসার টিকে থাকে ভালোবাসা, বোঝাপড়া আর রুচির মিলের ভিত্তিতে। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই ভিন্ন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকা স্বামী-স্ত্রীরা জানেন, ভালোবাসা নয়, সংঘাতের মধ্যেও থেকে যাওয়ার ক্ষমতাই সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখে। একে অপরের পছন্দ-অপছন্দে, মানসিক কাঠামোয় এমনকি জীবনের দৃষ্টি ভঙ্গিতে রয়েছে বিস্তর অমিল। একজনের হাসি যেখানে অন্য জনের বিরক্তির কারণ, একজনের নীরবতা সেখানে আরেক জনের অভিযোগ। খোঁজ নিলে দেখা যায়, পৃথিবীতে এমন কোনো জুটি নেই, যাদের ভেতর সম্পূর্ণ বোঝাপড়া আর নিখুঁত মিল রয়েছে। এই অমিলই প্রতিদিনের মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব ও অভিমানের উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

তাই কেউ কেউ বলেন, সবচেয়ে জটিল, এমনকি সবচেয়ে ক্লান্তিকর সম্পর্ক হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। কারণ, প্রতিনিয়ত এই সম্পর্কে সংঘাতের সুর বেজে ওঠে। ঝগড়া, তর্ক, মান-অভিমান সবই চলে এই সম্পর্কের অভ্যন্তরে। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে, সেই একই মানুষগুলো দিনের শেষে আবার একই টেবিলে বসে, একই ঘরে ফিরে যায়, একে অপরকে ছাড়তে পারে না। হয়তো নিখাদ প্রেম নেই, তবু ছেড়ে যাওয়ার মতো উপায় নেই বলেই নয়, বরং না থাকার কষ্ট থেকে যাওয়ার জটিলতা থেকেও বড় বলে।

এই সম্পর্ক অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো, যেখানে প্রতিদিন চলে শব্দহীন যুদ্ধ, চাহিদা আর সীমাবদ্ধতার, স্বপ্ন আর হতাশার, ভালোবাসা আর অভিমানের। তবুও, এই সম্পর্কেই গড়ে ওঠে এক অদৃশ্য মায়া, এক অব্যক্ত টান। হয়তো মুখে ভালোবাসা উচ্চারিত হয় না, তবু রাতে দরজাটা বন্ধ করে জিজ্ঞেস করা হয়“ঘুমাবে তো?”, অসুস্থ হলে গোপনে চিন্তা করা হয়, কপালে হাত রেখে জ্বর মাপা হয়।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের এই গোপন ভাষাই সম্পর্ককে করে তোলে অদ্ভুত রকম মানবিক। এই সম্পর্কের ভেতরে গড়ে ওঠে অভ্যাসের এক নীরব শিকড়। অনেকেই আলাদা হয়ে যান, শরীরের দূরত্ব যেমন ঘটে, তেমনি মানসিক বিচ্ছেদও। কিন্তু এমনও দেখা যায়, যাঁরা সংসারের বোঝা নামিয়ে দিয়েছিলেন বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে, তাঁরাই পরবর্তীতে ভুগেছেন গভীর অনুশোচনায়, আত্মগ্লানিতে। কেউ কেউ সেই অপরাধবোধের ভারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, কেউ কেউ একাকিত্বের বিষে নিঃশেষ হয়ে গেছেন। এতে বোঝা যায়, যে সম্পর্ককে কখনো কখনো বিষাক্ত মনে হয়, সেটিই আসলে ছিল নির্ভরতার শেষ আশ্রয়।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিছক রোমান্টিক নয়। এর গভীরে থাকে দায়িত্ববোধ, সামাজিক চুক্তি, সন্তানের ভবিষ্যৎ রচনা, পারিবারিক কাঠামোর ভার এবং জীবনের ক্লান্ত পথচলার সঙ্গী খোঁজার আকুতি। এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রতিনিয়ত আপস, ক্ষমা, সহ্যশক্তি ও মেনে নেওয়ার অভ্যাসে। কেউ কাউকে পুরোপুরি বোঝে না, তবু একজন আরেক জনকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। হয়তো প্রেম ক্ষীণ হয়ে আসে, তবু অভ্যাস, নির্ভরতা এবং জীবনের গতিধারায় তারা পাশাপাশি থাকেন চুপচাপ, অথচ অটুট।

পরিশেষে বলবো, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কোনো রূপকথা নয়। এটি ভাঙা-গড়ার এক জ্যান্ত অধ্যায়। যেখানে আবেগ ক্ষয়ে গেলেও দায়িত্ব থাকে, প্রেম ঝাপসা হলেও অভ্যাস বেঁচে থাকে। মতের অমিল, ঝগড়া, ভুল বোঝাবুঝির ভেতর দিয়েও একে অপরের পাশে থেকে যাওয়ার নামই হলো সংসার। হয়তো এটিই ভালোবাসার প্রকৃত রূপ। যেখানে “থাকা” কোনো রোমান্টিক আবেগ নয়, বরং জীবনের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা।

কলমে-
মোল্লা মাসুদ রহমান।

✴️যার মানসিক শান্তি প্রয়োজন, সে শান্তিটাকেই ভালোবাসা মনে করে। আবার যার শারীরিক তৃপ্তির প্রয়োজন, সে এটাকেই ভালোবাসা মনে ক...
01/08/2025

✴️যার মানসিক শান্তি প্রয়োজন, সে শান্তিটাকেই ভালোবাসা মনে করে। আবার যার শারীরিক তৃপ্তির প্রয়োজন, সে এটাকেই ভালোবাসা মনে করে।

✴️কারো কারো মতে, প্রকৃত ভালোবাসায় শরীর আসে না। সত্যিই কী তাই? যাকে মন থেকে সত্যি সত্যি অনেক ভালোবাসেন, তাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে জাগে না? তাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে না? তার খুব কাছাকাছি থাকতে ইচ্ছে করে না? ভালোবাসায় পূর্ণতা চায় মানেই, মানুষটার শরীর–মন দুটোই চায় মানুষ।

✴️ভালোবাসা সেটা নয়, যেটা কেবলই আপনার প্রয়োজনে সীমাবদ্ধ। ভালোবাসা সেটাই, যা আপনাকে ভালো রাখে। আপনাকে আনন্দ দেয়, আপনার ভালো- মন্দ সবকিছুই মেনে নেয়।

✴️যাকে ভালোই বাসেন না, তার প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ জন্মাবে না। শরীর তো দূরের কথা, তার ধারে কাছেও যেতে ইচ্ছে করবে না।

✴️“ভালোবাসায় শরীর আসে না” বলা মানুষগুলোর বিয়ের পর যদি তাদের সঙ্গী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়, তবে তার সাথে তারা সম্পর্ক রাখবে? রাখলেও তা ঠিক কতদিন পর্যন্ত? কিংবা সে নিজেও যদি অক্ষম হয়, তবে সংসার টিকবে? মনে তো হয় না।

✴️যারা শারীরিক চাহিদার দিক থেকে অভাবগ্রস্থ নয়, তারা কখনোই সম্পর্কে শারীরিক দিকটা পছন্দ করবে না। আবার যারা মানসিক দিক থেকে পরিপূর্ণ সাপোর্ট পায়, তারা কখনোই সম্পর্কে মানসিক দিকটাকে গুরুত্ব দেবে না। কারণ, তাদের কাছে ভালোবাসা মানে কেবল প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ।

✴️ধরুন,
যাকে আপনি ভালোবাসেন, তার ভালোবাসা পেলেন কিন্তু মানুষটাকে পেলেন না। আফসোস লাগবে না? ভালোবাসায় যদি শরীর না আসে, তবে আফসোস লাগার তো কোনো কথা নয়। তবে কেন মানুষ পেয়ে হারানোর পর কাঁদে? কেন মানুষ ভালোবাসার মানুষটাকে না পেলে জীবন বিসর্জন দেয়?

✴️ভালোবাসায় শরীর আসবেই। আপনি না চাইলেও আসবে। দিনের পর দিন যখন একটা মানুষের প্রতি আসক্ত হতে থাকবেন, তখন সেই মানুষটার প্রতি আপনার কামনা-বাসনা, আকাঙ্খা জন্মাবেই।

✴️তবে হ্যাঁ, ভালোবাসা কেবল শরীর কিংবা শুধুমাত্র মন কেন্দ্রিক হতে পারে না। শরীর এবং মনের খোরাক মেটানোর জন্যই পৃথিবীতে দুটি ভিন্ন লিঙ্গের মানুষের মাঝে ভালোবাসার বিস্তার ঘটে, আবির্ভাব ঘটে।

✴️এই আমরা যারা আছি, পৃথিবীতে যত মানুষ আছে, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু ভালোবাসার ফসল। যদি ভালোবাসা নাই থাকতো, যদি ভালোবাসা শরীর কেন্দ্রিক না হয়ে কেবল মনের উপর নির্ভর করতো, তবে পৃথিবীতে মানুষের শারীরিক কোনো আকর্ষণ কিংবা চাহিদা থাকতো না। আর যুগের পর যুগ ধরে মানুষেরও জন্ম হতো না।

👉হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদ...
01/08/2025

👉হরিণের দশ বছর বয়সে নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়।
এ সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর রোদে শুকানো হয়। একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। ...

👉এটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত।

👉কস্তুরীনামাঃ সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোন বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরীর ঘ্রাণে।

👉কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই সুগন্ধিকে প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না; সচরাচর অন্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে । কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও

👉সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলি বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে।

👉হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল । এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়।

👉কস্তুরী মৃগের ওপরের মাড়ি থেকে গজদন্তের মতো দুটি দাঁত ছোট আকারে বের হয়। এ ধরনের দাঁত সব প্রজাতির হরিণের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এই দেখেই কস্তুরী মৃগ সনাক্ত করা হয়।

👉এই প্রজাতির হরিণ আত্মরক্ষায় পটু। কিন্তু তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে না, কারণ এদের দেহের তীব্র ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ অনুসরণ করে শিকারি ঠিকই এদের সন্ধান পেয়ে যায়। এই হরিণের নাভি থেকেই মূলত এই সুগন্ধি দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়।

👉পুরুষ হরিণের নাভি মুখের গ্রন্থিতে এক বিশেষ ধরনের কোষের জন্ম হয়। এই কোষ যখন পূর্ণতা লাভ করে তখন এ থেকেই সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। হরিণের ১০ বছর বয়সে সুগন্ধি কোষ পূর্ণতা লাভ করে। তবে মজার ব্যাপার হলো, যে হরিণটির নাভিতে এই কোষের জন্ম, সে নিজে কিছুই বুঝতে পারে না। তার নাকে যখন এই সুগন্ধ এসে লাগে তখন সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে এই সুঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে। অথচ সে বুঝতে পারে না যে, সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে তার নিজের দেহ থেকেই।

👉কস্তুরীকোষের বাইরের দিকটায় থাকে এলোমেলো কিছু লোম। সেগুলো ছাড়িয়ে শুকনো কোষটিকে যখন জলেতে ভেজানো হয়, তখন পরিষ্কার কস্তুরী বেরিয়ে আসে। কোনো কোনো হরিণের মধ্যে পাওয়া যায় খুব কম পরিমাণে কস্তুরী। অপরদিকে এই প্রজাতির সকল হরিণের নাভিতে একই পরিমাণে কস্তুরী উৎপন্ন হয় না; হরিণের বয়স এবং পরিবেশভেদে কস্তুরীর পরিমাণের তারতম্য হয় । দেখা গেছে, এক কিলোগ্রাম কস্তুরী পাওয়ার জন্য প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়।

👉কস্তুরী যখন সংগ্রহ করা হয় তখন এর গন্ধ এত উগ্র থাকে যে হরিণের নাভিকোষ কেটে নেওয়ার সময় শিকারিরা মোটা কাপড় দিয়ে নিজেদের নাক বেঁধে নেয়। অনেক সময় এ গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো চোখ, নাক থেকে জল ও মুখ থেকে লালা ঝরা শুরু হয়।
এমনকি জীবনহানিও ঘটে। ...

✴️"যাকে চাইলেই পাচ্ছো, তাকে ব্যবহারের পাত্র ভেবো না। যে তোমার প্রয়োজনে ছুটে আসে, সে তোমার ভালো চায়। তাকে একজন শুভাকাঙ্ক্...
01/08/2025

✴️"যাকে চাইলেই পাচ্ছো, তাকে ব্যবহারের পাত্র ভেবো না। যে তোমার প্রয়োজনে ছুটে আসে, সে তোমার ভালো চায়। তাকে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ভাবতে শেখো।
তার প্রতি সবসময় বিনয়ী থাকার চেষ্টা করো; যে তোমার ভালো সময়ের খোঁজ না রাখলেও, খারাপ সময়ে এসে কাঁধে হাত রেখে বলে, 'সব ঠিক হয়ে যাবে।'
মা ছাড়া নিঃস্বার্থভাবে সবাই ভালোবাসতে জানে না। তাই যদি কেউ স্বার্থ ছাড়া তোমাকে ভালোবাসে, তবে তার মূল্যায়ন করতে শেখো। মনে রেখো, তুমি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হারালে মানে, তুমি একটা বিশ্বস্ত কাঁধ হারালে।"
ভালো লাগলে আপনার মতামত বলে যাবেন।

✴️কম চাহিদাওয়ালা মেয়েরাই কেন সবসময় বেশি কষ্ট পায়?.. প্রত্যেকটা মেয়ের অবশ্যই একবার হলেও জানা উচিত !✴️একটা জিনিস ভীষণ ...
01/08/2025

✴️কম চাহিদাওয়ালা মেয়েরাই কেন সবসময় বেশি কষ্ট পায়?.. প্রত্যেকটা মেয়ের অবশ্যই একবার হলেও জানা উচিত !

✴️একটা জিনিস ভীষণ ভাল করে বুঝতেই পেরেছি। বহু মেয়ে অবহেলিত শুধুমাত্র চাহিদা কম থাকার কারণে। কীরকম চাহিদা? মাছ ছাড়াও দিব্যি ভাত খেতে পারে। অর্থাৎ ওর মাছ না হলেও চলে। ও তো চায়নি, তার মানে এটাই স্বাভাবিক। ওর সাজের জিনিসের প্রয়োজন নেই। কোনও দিন মুখ ফুটে বলে না তো, তাহলে ওর লাগে না।

✴️কখনও কোনও অসুখে ও মাগো বাবাগো বলে শুয়ে না পড়া মেয়েদের যন্ত্রণা যে হতে পারে বা সত্যিই সে অসুস্থ বোধ করতে পারে সেটা তার কাছের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যই নয়। ওই যে চাহিদা কম! অসুস্থ অবস্থায়ও সে দিব্যি সব কাজকর্ম করতে পারে,কেউ তাকে একটু কেয়ার করবে এটা আশাতেই রাখেনা।ফলে সবার ধারণা তার শরীরে অসুস্থতায় বাকিদের মতো কষ্ট হয়না।
✴️যে মেয়ে বাপের জন্মে হাত খরচ চায়নি আমি হলফ করে বলতে পারি তাকে কেউ হাতে তুলে দুটো টাকা হাত খরচ দেয়নি।

✴️এক্ষেত্রে মেয়েদের বহু কাঙ্খিত জিনিসের চাহিদাই দাম পায় না। কারণ তারা চায় না দামি লিপস্টিক, সখের ফোন, প্রিয় চকলেট, দু দিনের উইকেন্ড, ব্র্যান্ডেড ফেসিয়াল, দামি হেয়ার কাট। এর জন্য কী হয় যখন সত্যিই কিছুর ভীষণ প্রয়োজন হয় ওটাও বাকিগুলোর মতো কদর পায় না। কারণ মেয়েটার তো কোনও ডিম্যান্ডই নেই।

✴️এইসব মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সাফার করে যারা বাবা ও স্বামীর কাছে নিজেকে দামি বলে প্রমাণ করেনি। এর ফলে এরা সকলের কাছেই মারাত্মক সহজলভ্য হয়ে পড়ে। এদের সখের জামা লাগে না, প্রয়োজনের জুতো লাগে না, অসুস্থতা হলে কেয়ার লাগে না, এমনকী যন্ত্রণা হলেও সেটা ভীষণ মেকি কারণ এরাই একটা সময় বুঝিয়েছে আমাদের যন্ত্রণা পর্যন্ত হয় না সহ্য করতে পারি।

✴️যে মেয়েদের ডিম্যান্ড কম তাদের সময় দেওয়াটাও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে কারণ সঙ্গী ভাবে ও তো এমনিতেই থাকবে। আর আজকালকার যুগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়েদের কথা আর বললামই না বেশিরভাগই পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকতে গিয়ে প্রাপ্তির খাতায় শূন্য থেকে যাচ্ছে, এদের জিনিসপত্র দেওয়া বা আবদার মেটানো তো দূর কি বাত এদের সামান্য কষ্টটাও পর্যন্ত মানতে নারাজ হচ্ছে সমাজ। কারণ এরা কষ্ট হজম করতে পারে।

🫑অন্যদিকে বাড়ির লালুনি পুষুনি মেয়েটা গদগদ হয়ে বাবা বা স্বামীর কাছে দামি আইফোন চাইলে নির্বিঘ্নে তা জুটে যায়। মাসের শেষে পার্লার খরচা কসমেটিক্স খরচা, জামা কাপড়ের খরচা বেশ মিলে যায়। এদের সখ মেটাতে আপত্তি হয় না কারও ওটা প্রয়োজনের মধ্যেই পড়ে। কারণ তাঁরা নিজেদের দাম বোঝাতে পেরেছে.... অন্যদিকে যে এইসব না চেয়ে সামান্য মানসিক শান্তি চেয়েছিল তাতেও জোটে শুধু তিরস্কার আর অপমান। হায় রে সমাজ! ত্যাগকে এরা সহজলভ্য বানিয়ে দিলো

গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যা্লয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমো...
31/07/2025

গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যা্লয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী ( খায়রুল) মহোদয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।আগামী তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক সিনেটে শিক্ষাবিদ সদস্য হিসেবে তাঁকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অভিনন্দন খায়রুল ভাই ।

শোক সংবাদ....গফরগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,কলেজ রোড,আলাল মার্কেট সংগ্লন্ন চশমা ব্যাবসায়ী, এনাম অপটিকস্ খোকন  ভাই কিছু...
31/07/2025

শোক সংবাদ....
গফরগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,কলেজ রোড,আলাল মার্কেট সংগ্লন্ন চশমা ব্যাবসায়ী, এনাম অপটিকস্ খোকন ভাই কিছুক্ষণ আগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন....

মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।

✴️সম্পর্কে ঝগড়া নয়, নীরবতা ভয়ঙ্কর:একটি সম্পর্কে ঝগড়া হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বরং যেখানে ভালোবাসা আছে, সেখানে মতের অমিল, রা...
31/07/2025

✴️সম্পর্কে ঝগড়া নয়, নীরবতা ভয়ঙ্কর:

একটি সম্পর্কে ঝগড়া হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বরং যেখানে ভালোবাসা আছে, সেখানে মতের অমিল, রাগ-অভিমান—এসব হতেই পারে। কিন্তু যে জিনিসটা বিপজ্জনক, তা হলো—ঝগড়ার পর একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া। এই নিরবতা আসলে সম্পর্কের সবচেয়ে নীরব ঘাতক।

✴️প্রথমদিকে হয়তো মনে হবে, "চুপ করে থাকলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হবে"—কিন্তু আসলে সেটা ধোঁয়াশা তৈরি করে। যখন দু’জন মানুষ একে অপরের অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তাদের মাঝে একটা অদৃশ্য দেয়াল দাঁড়িয়ে যায়। এই দেয়াল হয়তো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তা প্রতিদিন একটু একটু করে দৃঢ় হতে থাকে।

✴️আর এই দূরত্বই একসময় জন্ম দেয় অহংকারের—যেখানে নিজের দিক থেকে না এগিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করা হয়, কে আগে কথা বলবে। সম্পর্ক তখন আর আবেগ দিয়ে নয়, ইগোর পর্দায় ঢাকা পড়ে যায়। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই ফাঁকা জায়গায় মাঝে মাঝে তৃতীয় কেউ ঢুকে পড়ে, যাকে হয়তো আগে কেউ ভাবেইনি। সে শুধু সুযোগ খোঁজে—আপনার নীরবতার, আপনার দুর্বল মুহূর্তের।

✴️তাই ভুল করে হলেও চুপ করে থাকবেন না। বরং কথা বলতে বলতে ঝগড়া করুন। রাগ হোক, অভিমান হোক—সবই প্রকাশ্যে আসুক কথার মধ্য দিয়ে। হয়তো ঝগড়া কিছুটা বাড়বে, কিন্তু সেই কথার মধ্যেই কখন যেন রাগ গলে গিয়ে ক্ষমা আসে, বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। সম্পর্কের গভীরতা তখনই বাড়ে, যখন ঝগড়ার মাঝেও দু’জন একে অপরকে হারাতে না চাওয়ার চেষ্টা করে।

✴️মনে রাখবেন, ভালোবাসা মানে কখনোই নিখুঁত হওয়া নয়, বরং ভুল বোঝাবুঝির মাঝেও হাতে হাত রেখে পথ চলা। আর সেই পথ চলার প্রথম শর্তই হলো—যোগাযোগ। কথা বন্ধ করে নয়, কথা বলেই সমস্যার সমাধান হয়। সম্পর্ক বাঁচে তখনই, যখন "চুপ থাকা" নয়, বরং "শোনার চেষ্টা" করা হয়।

Address

Gaffargaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahassn Habib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ahassn Habib:

Share