Kurlus Osman & Artugul

Kurlus Osman & Artugul আসসালামুয়ালাইকুম
"যে নিজেকে পানি দিয়ে ভেজায়,
__সে কাপড় বদলায়।
"যে ঘামে দিয়ে ভেজায়,
__সে ভাগ্য বদলা
(1)

12/06/2025

শুক্রবার মানে,
"গুনাহ মাফের আরেকটা সুযোগ"।
আলহামদুলিল্লাহ।
আগামীকাল শুক্রবার!! জুম'আ!!
গুনাহ মাফের দিন!! হে আল্লাহ!! আমাদের যাদের বাবা-মা কবরে শুয়ে আছেন, সেই সকল মা-বাবাকে বেহেশত নসিব করুন।
আর যাদের বাবা-মা দুনিয়াতে বেঁচে আছেন, উনাদেরকে নেক হায়াত দান করুন। আমিন।।

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাতলেখক: সান৩য় পর্বমেমোরি কার্ডটা শহরের এক দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। কার্ডে কিছু মুছে ফেলা ভিডিও উদ্ধ...
10/06/2025

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাত
লেখক: সান
৩য় পর্ব

মেমোরি কার্ডটা শহরের এক দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। কার্ডে কিছু মুছে ফেলা ভিডিও উদ্ধার হয়—কিছু অস্পষ্ট, কিছু পরিষ্কার।

তবে একটাতে দেখা যায়:
মিতু কান্নারত অবস্থায় বিছানায় বসে আছে। তার মুখে এক লাইন কথা:

“আমি কাউকে কিছু বলিনি, কিন্তু ওরা বলছে—আমি নাকি সম্মান নষ্ট করেছি।”

দ্বিতীয় ভিডিও আরও স্পষ্ট—
মিতু কারো সঙ্গে চ্যাট করছে। সে লিখেছে:

“শাহেদ ভাই, প্লিজ, আমি আর পারছি না।”
“আপনি যা করেছেন, তাতে আমি কারও মুখ দেখাতে পারছি না…”

শাহেদ?
তারই নাম?

পীর সাহেব মাথা নিচু করে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন। তারপর ধীরে বলেন:
“এই মেয়েটিকে যে হারিয়েছে, সে অপরাধী নয়—শিকার। অপরাধী ছিল কাছের কেউ। সে যাকে বিশ্বাস করত, সেই ভেঙে দিয়েছে তাকে।”

সবাই শাহেদের দিকে তাকায়।
শাহেদের মুখে কোন শব্দ নেই। চোখ দুটো রক্তবর্ণ, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে।

“মিতু আমার খালাতো বোন,” শুধু এটুকুই বলে সে।
কিন্তু পীর সাহেব বলেন—
“রক্তের সম্পর্ক শয়তানকে থামাতে পারে না। সে জানত, তুমি প্রবাসে ছিলে, কিন্তু দেশে ফিরে এসে কাকে সঙ্গে নিয়েছিলে, সেটা কী জানত?”

নিশাত মুখে হাত চাপা দেয়।
“তাহলে… বিয়ের কনের সঙ্গে…”

না বলা কথাটুকু বুঝে নেয় সবাই।

এক আত্মীয় ফিসফিস করে বলে:

“মিতু আসলে বিয়ের কিছুদিন আগে জানতে পারে—শাহেদ দেশে ফিরে আসার পর তারই এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। আর সেই সম্পর্কের শিকার হয়েছিল একবার… ভুল করে। মিতু তাকে বাধা দিতে গিয়েছিল।”

“কিন্তু শাহেদ সেটা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিয়ে আসছিল, পরিবারের মান-সম্মান, এসবের কথা বলে ওকে চুপ থাকতে বাধ্য করেছিল।”

“মিতু রাজি ছিল না। সে শেষ মুহূর্তে কিছু একটা করতে চেয়েছিল। হয়তো বলে ফেলতে চেয়েছিল সত্যটা। তাই রাতেই…”

কারও গলায় আর আওয়াজ ওঠে না।

পীর সাহেব কাঁপা গলায় বলেন:

“ও আত্মহত্যা করেনি। তাকে চুপ করানো হয়েছে। ঘুমের ওষুধে বেহুঁশ করা হয়েছিল। তারপর…”
“আত্মা চুপ ছিল এতদিন, কিন্তু মৃত্যুর পর—সে ন্যায় চায়। কেউ দোষী নয়, যদি সে স্বীকার করে। তবে দোষী যদি চুপ থাকে, তাহলে—মৃতেরা চুপ থাকে না।”

সেদিন রাতে শাহেদ নিখোঁজ হয়ে যায়।
তাকে শেষবার দেখা যায় কবরস্থানের পাশে হাঁটতে। তার পরদিন সকালে তার দেহ মেলে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায়।

মৃত্যুর কারণ কেউ জানতে চায় না আর।

সবশেষে, মিতুর ঘরে রাখা আলমারির আয়নায় একদিন মিতুর মা একটি লেখাঃ
“আমি এখন শান্তি পেয়েছি…”

আর কিছু দেখা যায় না।

গল্পের উপসংহার:
মিতুর আত্মা কেবল প্রতিশোধ চায়নি।
সে চেয়েছিল সবাই জানুক—তার সঙ্গে কী ঘটেছিল, কে তাকে ঠকিয়েছিল, এবং কেন সে মুখ খুলতে পারেনি।

মৃতেরা চুপ থাকে।
তবে অন্যায় চাপা পড়লে, কারও না কারও মধ্য দিয়ে তারা কথা বলে।

শেষ।

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাতলেখক: সান২য় পর্বমিতুর দ্বিতীয় দাফনের পর গ্রামের বাতাস কেমন ভারী হয়ে উঠেছিল। রাতের বৃষ্টি যেন...
10/06/2025

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাত
লেখক: সান
২য় পর্ব

মিতুর দ্বিতীয় দাফনের পর গ্রামের বাতাস কেমন ভারী হয়ে উঠেছিল। রাতের বৃষ্টি যেন আর ঠান্ডা নয়, বরং ভিজিয়ে দেয় হাড়।

শাহেদের ছোট বোন নিশাত এক রাতে তার ঘরে কান্নার শব্দ শুনে উঠে পড়ে। ঘুম ভাঙা চোখে দেখে—ঘরের এক কোণ ভিজে গেছে, দেয়াল বেয়ে পানি পড়ছে। আর এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে সাদা কাপড়ে মোড়া একটা মেয়ে। মাথা নিচু, চুল সামনের দিকে ঝুলে পড়া।

নিশাত জ্ঞান হারায়।

সকালে জেগে উঠে কারও কিছু বলতে পারে না, শুধু বলে,
"সে ঘুমায় না, দেখছে আমাদের…"

মিতুর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সীমা, বিয়ের আগে প্রতিদিনই তার সঙ্গে সময় কাটাত। পীর সাহেব তাকে আলাদা করে ডেকে পাঠান।

সীমা ধীরে ধীরে বলে উঠে,
“মিতু কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলত। ছেলেটার নাম আমি জানি না। কিন্তু একদিন তাকে কাঁদতে দেখেছিলাম—বলেছিল, 'আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে, যদি এসব ছড়িয়ে পড়ে।’ ”

পীর সাহেব জিজ্ঞেস করেন,
“কোন ‘সব’? কী ছিল তার ভয়?”

সীমা ফ্যালফ্যাল করে তাকায়, মুখে তালা—
“আমি জানি না, কিচ্ছু জানি না…”

কিন্তু তার চোখে ছিল ভয়।
না মিতুর জন্য, বরং নিজের জন্য।

শাহেদ খুঁজতে থাকে মিতুর পুরনো মোবাইল। এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শোনা যায়, ফোনটি মিতুর মা তার মৃত্যুর পর ভেঙে ফেলেছিলেন।

তবু বাড়ির স্টোরঘরে একটা পুরনো ড্রয়ারে মিতুর স্যান্ডেল, চুলের ক্লিপ, আর একটা স্ক্র্যাচ খাওয়া মোবাইল পাওয়া যায়।

ফোন অন হয় না।
কিন্তু মেমোরি কার্ড অক্ষত।

পীর সাহেব বলেন,
“যা আছে ওখানে, সেটাই বলবে মৃত্যুর সত্যি।”
“এই আত্মা প্রতিশোধ চায় না, সে ন্যায় চায়।”

এর মধ্যেই ঘটে যায় আরেকটি মৃত্যু।

এইবার গ্রামের মোয়াজ্জিন – যিনি জানাজার সময় কিছু ভুল করছিলেন বলে পরদিন ইমাম সাহেব টোকা দিয়েছিলেন।
তাকে পাওয়া যায় মসজিদের ভেতর, দরজার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায়।
মুখটা ফুলে গেছে, জিহ্বা বেরিয়ে আছে—দম আটকে গেছে মনে হয়।

আর তার পাশের দেয়ালে আঙুল দিয়ে আঁকা একবারে অস্পষ্ট একটা শব্দ—
"আমি বেছে নিইনি…"

সন্ধ্যায় পীর সাহেব বলেন,
“প্রতিটা মৃত্যু একটি সংকেত। যাদের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মধ্যে কেউ এই মেয়েটার বিপদ ডেকে এনেছিল। এখন যদি সত্যি না বলো, তোমাদের কেউ রক্ষা পাবে না।”

গ্রামে পিনপতন নীরবতা।

শাহেদ ফিসফিস করে বলে,
“তবে কি… এটা খুন?”

শেষে শুধু বৃষ্টি
রাত বাড়ে।
বৃষ্টি নামে।
মিতুর ঘরের জানালা আবার খুলে যায় নিজে নিজে।

কোনো শব্দ নেই।
শুধু হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টির ভেতর কেউ ফিসফিস করে বলে উঠল—
"আমাকে কেন চুপ করিয়ে দিলে..."
Part-3 Comment

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাতলেখক: সানবর্ষাকাল।মেঘে ঢাকা আকাশ, বাতাসে গুমোট ঘ্রাণ, আর বৃষ্টি যেন থেমে-থেমে অশুভ কিছু আভাস দ...
10/06/2025

মিতুর কবর: পুনর্জন্মের রাত
লেখক: সান

বর্ষাকাল।
মেঘে ঢাকা আকাশ, বাতাসে গুমোট ঘ্রাণ, আর বৃষ্টি যেন থেমে-থেমে অশুভ কিছু আভাস দিচ্ছে।

কুমিল্লার দাউদকান্দির এক প্রত্যন্ত গ্রামে সদ্য ফিরে এসেছেন প্রবাসী শাহেদ। মালয়েশিয়ায় তিন বছর কাটিয়ে তিনি যেন এখন অন্য মানুষ—গম্ভীর, দ্রুত সিদ্ধান্তপ্রবণ, এবং কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক। দেশে ফিরেই ঘোষণা করলেন বিয়ের তারিখ।
তাড়াহুড়োর মধ্যেই গোটা বাড়ি জেগে উঠলো আলোয়, ব্যস্ততায়, আর অনিশ্চিত উত্তেজনায়।

তবে এই গল্পটা শাহেদের বিয়ের নয়।
এই গল্পটা মিতুর মৃত্যু দিয়ে শুরু।

১. নিথর সেই রাত
মিতু – হাসিখুশি, সদ্য স্নাতক পাস করা মেয়ে। জীবনের প্রতি প্রবল আগ্রহ তার চোখে-মুখে। বিয়ের ঘরোয়া উৎসবে সে ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু গায়ে হলুদের আগের রাতেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় নিজ ঘরে।

ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল না।
বিছানায় শুয়ে, চোখ খোলা, ঠোঁট অল্প ফাঁক করা।
ঠিক যেন কিছু বলতে চেয়েও বলা হয়নি।

ডাক্তার ডাকা হয়, verdict সোজা—হার্ট অ্যাটাক।
ময়নাতদন্তের কথা কেউ তোলে না। গ্রামে এসব হয় না।

২. প্রথম দেখার ভয়
দাফনের পরদিন রাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কলতলার কাছে আমগাছের নিচে কেউ একজন দাঁড়িয়ে ছিল—সাদা কাপড়ে মোড়া, মাথা নিচু, চুল ঝুলে পড়া।

প্রথমে এক বাচ্চা দেখে। তারপর দু'জন, তিনজন…
চাচা আবিদ নিজে দেখতে যান।
দূর থেকে যেন মনে হয়—এটা মিতু।

কেউ সাহস করে এগোয় না।
কেউ দোয়া পড়ে, কেউ ভয়ে উঠে পড়ে বাড়ির ছাদে।
গ্রামের একজন বয়স্ক লোক বলল, “এইটা স্বাভাবিক না। কবর তার শরীর গ্রহণ করেনি।”

৩. কবরের ভেতর চোখ খোলা
ইমামের নির্দেশে কবর খোঁড়া শুরু হয়।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, মেঘের গর্জন, অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমক।

মাটি সরাতেই…
সাদা কাফন চোখে পড়ে।

তিন দিনেও কাপড় প্রায় শুকনো।
আর মৃতদেহের চোখ—একদম খোলা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে, এখনো যেন দেখছে কিছু।

ঠোঁট অল্প ফাঁক… সেই একই ভঙ্গি।
চাচা আবিদ বলেন, “এটা পচেনি, এটা এখনো... জেগে আছে।”

৪. অশুদ্ধ গোসল, অশান্ত আত্মা
মেয়েরা পরীক্ষা করে বলে, “পায়ের বুড়ো আঙুলে পানি লাগেনি। নেলপলিশ ছিল।”
ইসলামী রীতিতে এটি শরীরের অশুদ্ধতা।
এমন অবস্থায় কবর আত্মাকে গ্রহণ করে না—এ বিশ্বাসে লাশকে পুনরায় গোসল দেওয়া হয়।

কিন্তু গোসলের শুরুতেই ঘটে বিভীষিকা—
ঠোঁট আবার নড়ে উঠে।
চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসে।

শব্দ হয় না, শুধু নিস্তব্ধতা।

৫. পরের শিকার
রাত আড়াইটায় শেষবার দাফন হয় মিতু।
সবার মুখে ভয়, বুক ধকধক করছে।

পরদিন সকালে…
পুকুরপাড়ে আবিষ্কৃত হল চাচা আবিদের মৃতদেহ।
ভেজা শরীর, কাদায় মুখ থুবড়ে পড়া।
চোখ খোলা, ঠোঁট অল্প ফাঁক—মিতুর মতো।

গুজব ছড়ায়—
“যে তাকে দেখবে, সেই মরবে।”

৬. মিতু একা না!
গ্রামের বয়স্করা একমত—এটা সাধারণ আত্মা নয়।
দূর থেকে ডাকা হয় বিহারের এক তন্ত্রজ্ঞানী পীর।

তিনি আসেন, চোখ বন্ধ করে বসে থাকেন দীর্ঘক্ষণ।
তারপর বলেন,
“এই মেয়ের আত্মা আটকে গেছে। কিন্তু… সে একা নয়।”
“তার সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু অন্ধকার, আরও কিছু ‘ছায়া’। এবং সে ফিরে এসেছে সত্য উন্মোচনের জন্য।”

part-2 comment

ব্রেকিং নিউজঃকুরুলুস উসমান প্রেমিকদের জন্য এক বিশাল বড়ো সুখবর।আজকে কুরুলুস উসমান এর পরিচালক মোহমেদ বোঝদাগ আর অফিশিয়াল ফে...
30/04/2025

ব্রেকিং নিউজঃ
কুরুলুস উসমান প্রেমিকদের জন্য এক বিশাল বড়ো সুখবর।আজকে কুরুলুস উসমান এর পরিচালক মোহমেদ বোঝদাগ আর অফিশিয়াল ফেসবুক ফেইজ একটি ছবি আপলোড দিয়েছেন।ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুঠারওয়ালা তুরগুত আল্প এর সাথে তার ছবি এবং তিনি ক্যাপশনেও লিখেছেন "আর অপেক্ষা নয়"। মনে হচ্ছে পরিচালক মেহমেদ বোঝদাগ তুরগুত আল্পকে খুব শীঘ্রই কুরুলুস উসমান এ এন্ট্রি করাতে যাচ্ছেন।

বিঃদ্রঃ তুরগুত আল্প কুরুলুস উসমান এ আসলে কেকে খুশি হবেন।কমেন্ট করে জানান।

16/04/2025

Address

Gandaria

Telephone

+8801815708688

Website

https://www.facebook.com/badsha.mia.524

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kurlus Osman & Artugul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kurlus Osman & Artugul:

Share