শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু

  • Home
  • Bangladesh
  • Gandaria
  • শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু

শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু বাবার কৃপাধন্য হতে পূণ্যময় জীবনী, বাণী, ধ্যান, নাম জপ, মন্ত্রাদী জানুন ও জানাতে পেজটি শেয়ার করুন �

ভাওয়ালের রাজা বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর একান্ত ভক্ত ছিলেন। তাঁর জীবনের বহু সিদ্ধান্তে লোকনাথ বাবার প্রভাব ছিল। তখনকার যুগে...
28/07/2025

ভাওয়ালের রাজা বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর একান্ত ভক্ত ছিলেন। তাঁর জীবনের বহু সিদ্ধান্তে লোকনাথ বাবার প্রভাব ছিল। তখনকার যুগে ছবি তোলা ছিল খুবই দুর্লভ এবং ব্যতিক্রমী ব্যাপার। অথচ বাবা লোকনাথ ছিলেন একজন নিরাসক্ত, গেরুয়াধারী মহাপুরুষ, যিনি জাগতিক লোভ–লালসা, সুখ– সুবিধার বাইরে অবস্থান করতেন। তিনি সাধারণত কোনো প্রচার বা জাগতিক জিনিস গ্রহণ করতেন না।

তবুও, কেন ভাওয়ালের রাজা তাঁর ছবি তুলেছিলেন—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে জানা যায়, এটি ছিল এক ঐতিহাসিক ও অলৌকিক ঘটনার অংশ। বাবা লোকনাথের অসংখ্য অলৌকিক কীর্তির সাক্ষী ছিলেন রাজা। তিনি বুঝেছিলেন, লোকনাথ বাবার অস্তিত্ব এক সময় শুধুই কাহিনিতে রয়ে যাবে, ছবি না থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে চিনবে কীভাবে? এ কারণে রাজা বিশেষভাবে অনুরোধ করেন যেন লোকনাথ বাবার একটি ছবি তোলা হয়।

প্রথমে বাবা লোকনাথ রাজি হননি। তিনি বলেন, “এই শরীর তো একদিন মাটি হবে, তার ছবি রেখে কী হবে?” কিন্তু ভক্তদের অনুরোধ এবং ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই তিনি একদিন রাজি হন। রাজা তখন এক বিখ্যাত ফটোগ্রাফারকে নিয়ে আসেন। বলা হয়, একাধিকবার ছবি তোলার চেষ্টা করলেও বাবার মুখ স্পষ্ট ফুটে উঠছিল না। পরে নিজের হাতে তুলির মতো করে দাঁড় করিয়ে তোলা হয় সেই ঐতিহাসিক ছবি, যেটি আজ লোকনাথ ভক্তদের কাছে অতীব মূল্যবান নিদর্শন।
এই ছবিটি শুধু একটি সাধারণ ফটোগ্রাফ নয়; এটি বাবার অলৌকিকতা, তাঁর শক্তি, মহাত্ম্য ও মানবতার প্রতীক। অনেকেই বলেন, ছবিটির দিকে তাকালেই বাবার দর্শন পাওয়া যায়, আর তা থেকে ভক্তরা শান্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করেন।

এছাড়াও এটিকে লোকনাথ দর্শনের একটি মাধ্যমও বলা হয়, যেখানে তিনি ভক্তদের নিরন্তর আশীর্বাদ দিচ্ছেন। ফলে ভাওয়ালের রাজা সেই ছবি তুলে লোকনাথ বাবার মহিমা চিরকাল ধরে রাখার এক মহৎ কাজ করেছিলেন। আজ, যখন কেউ সেই ছবি দেখে, তখন শুধু একজন সাধক নয়, এক যুগপুরুষ, এক ত্রিকালদর্শী মহাযোগীর আবির্ভাব উপলব্ধি করে।

এইভাবেই লোকনাথ বাবার ছবি তোলার পেছনে ছিল এক মহান উদ্দেশ্য—মানবতার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, আর তাঁর অলৌকিক মহিমার প্রমাণ রাখার জন্য।

জয় বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী 🙏

Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germa...
28/07/2025

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motor

ত্রিকালজ্ঞ মহাযোগী লোকনাথের জয়।পাপী তাপী উদ্ধারিতে হলেন উদয়।।আবির্ভুত হন বাবা কচুয়া গ্রামেতে।জনমিল লোকনাথ ঘোষাল গৃহেতে।।...
27/07/2025

ত্রিকালজ্ঞ মহাযোগী লোকনাথের জয়।পাপী তাপী উদ্ধারিতে হলেন উদয়।।আবির্ভুত হন বাবা কচুয়া গ্রামেতে।জনমিল লোকনাথ ঘোষাল গৃহেতে।।পিতা রামকানাই ঘোষাল কমলা দেবী মাতা।ধর্মপরায়ণা তিনি সতী পতিব্রতা।।একাদশবর্ষ যবে লোকনাথ হলো।ভগবান গাঙ্গুলী তাঁরে সন্ন্যাস দীক্ষা দিল।।গৃহত্যাগ করি আর ত্যজি পরিজন।গুরু সঙ্গে কালীঘাট করে আগমন।।বেণীমাধব বাল্যসাথী সঙ্গেতেই ছিল।শিষ্যদ্বয়ে গুরু নানা যোগ শিখাইলো।।তারপর আসে তারা হিমাদ্রি শিখরে।দীর্ঘদিন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে।।তারপর গুরু সঙ্গে শিষ্য দুইজন।পৃথিবীর নানা দেশ করেন ভ্রমণ।।বিভিন্ন ধর্মের তত্ত্ব জানিবার তরে।উপস্থিত হন মক্কামদিনা নগরে।।কাবুলে আসিয়া মোল্লা সাদির ভবনে।কোরান শরীফ পাঠ করেন যতনে।।বিশ্ব পরিক্রমা শেষে বেণীমাধব সঙ্গেতে।উপস্থিত হন চন্দ্রনাথ পাহাড়েতে ।।দাবানল জলে ওঠে বনের ভিতরে।অগ্নি থেকে রক্ষা করেন বিজয় গোস্বামীরে।।বেণীমাধব চলে যান কামাখ্যা ধামেতে।বাবা নেমে আসলেন বারদী গ্রামেতে।।বাবাকে প্রথমে কেহ চিনতে না পারে।পাগল বলিয়া সবে উপহাস করে।।একদিন দুই ব্রহ্মানের পৈতা জড়াইলো।গায়ত্রী করিয়া বাবা তাহা খুলে দিলো।।চারিদিকে এইকথা প্রচার হইলো।দলে দলে ভক্তবৃন্দ আসিতে লাগিল।।অতঃপর আশ্রম হইলো বারদীতে।বহুভক্ত শিষ্য সেথা লাগিল আসিতে।।পাপী-তাপী, রোগী কত আসিল তথায়।সবার কষ্ট বাবা করেন নিরাময়।।শিষ্য আর ভক্তের বাবা বলেন একথা।আমাকে ঠাকুর রূপে পূজা করা বৃথা।।শ্রদ্ধাভক্তি নিয়ে যেবা আমারে ডাকিবে।অবশ্যই সেই ভক্ত মোর সাড়া পাবে।।আমি নেই এই কথা করোনা মনেতে।ছিলাম, আছি, থাকবো সদা তোদের মাঝেতে।।জলে স্থলে যখনি বিপদে পড়িবে।তখনই আমার কথা স্মরণ করিবে।।এইরূপে লোকনাথ কত লীলা করে।কার সাধ্য সেইসব বর্নিবারে পারে।।১৬০ বৎসর বাবার বয়স হইলো।মর্ত্যধাম ত্যাজিতে বাবার ইচ্ছা হলো।।১২৯৭ সাল ১৯ শে জৈষ্ঠেতে।দেহ ত্যাজি যান বাবা অমরলোকেতে।।যার ঘরে বাবার চিত্র রাখিবে যতনে।অন্নকষ্ট থাকিবেনা তাহার ভুবনে।।রোগ শোক দুঃখ কষ্ট সব দূরে যাবে।পুত্র পৌত্র সহ সবে আনন্দে থাকিবে।।বাবার পাঁচালি যেবা পরে কিংবা শুনে।পুণ্যবান সেইজন সদা রেখো মনে।।কোনো মন্ত্র কোনো দীক্ষা নাই তাঁর নামে।তাঁর নামই মহামন্ত্র এই মর্ত্যধামে। যত বেশি তার নাম উচ্চারিত হবে।মানব কল্যাণ তত অধিক হইবে।।

--: অথ মহাযোগী লোকনাথবাবার পাঁচালী সমাপ্ত :--

জয় বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী



#বারদীআশ্রম
#বাবা_লোকনাথ

Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germa...
26/07/2025

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motor

Joy Baba Loknath Joytu 🕉️🌺🙏💚
24/07/2025

Joy Baba Loknath Joytu 🕉️🌺🙏💚

Ten unknown fact about   Here are ten lesser-known facts about BMW:1. **BMW's logo isn't based on a propeller**: Contrar...
23/07/2025

Ten unknown fact about
Here are ten lesser-known facts about BMW:

1. **BMW's logo isn't based on a propeller**: Contrary to popular belief, the BMW logo's blue and white colors represent the Bavarian state colors, not a spinning airplane propeller.

2. **BMW built its first car under a license**: BMW’s first car, the 1928 Dixi, was a licensed version of the Austin 7, a British car model.

3. **The BMW M1 was the brand’s only mid-engine supercar**: Introduced in 1978, the BMW M1 is the only mid-engine sports car the company has ever mass-produced.

4. **They manufactured jet engines**: BMW was heavily involved in the production of jet engines during World War II, a legacy that they moved away from after the war.

5. **First turbocharged production car**: BMW introduced the world’s first turbocharged production car with the BMW 2002 Turbo in 1973.

6. **BMW is a leader in hydrogen technology**: BMW has invested in hydrogen fuel cell technology and even produced a hydrogen-powered car, the BMW Hydrogen 7, in 2006.

7. **Motorcycle racing pedigree**: BMW’s motorcycle division is as prestigious as its car division. In fact, they set world speed records and won several championships in the early 20th century.

8. **The grille has evolved, but never disappeared**: BMW's kidney grille is one of the longest-running design elements in automotive history, having first appeared on the 1933 BMW 303.

9. **BMW's factory in Munich survived WWII bombings**: Despite severe damage during WWII, BMW's Munich plant was rebuilt, and it still produces cars today.

10. **BMW once built economy cars**: After WWII, BMW was financially unstable and focused on producing small, fuel-efficient cars, like the Isetta, a bubble car that helped the company survive through the tough post-war years

Joy শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু 💚🙏Ten Unknown Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren We...
22/07/2025

Joy শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু 💚🙏
Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motor

Address

Gandaria

Opening Hours

09:00 - 17:00

Telephone

+8801517087292

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to শ্রীশ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জয়তু:

Share

Category

পরম করুণাময় শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার পক্ষ্য থেকে সবাইকে জানাই লোকনাথপ্রীতি, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার জীবনী ১১৩৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজী ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দের কথা, তৎকালীন যশোহর জেলা আর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত মহকুমা- এর চৌরশী চাকলা নামক গ্রামে শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল রামনারায়ন এবং মায়ের নাম কমলা দেবী। বাবা ছিলেন একজন ধার্মীক ব্রাহ্মণ। বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান ছিলেন লোকনাথ বাবা। সেই সময়কার মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল কোন এক পুত্রকে যদি সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করানো যায় তাহলে তার বংশ উদ্ধার হয়। সে জন্য রামনারায়ন তার প্রথম সন্তান থেকেই চেষ্টা করেছিলো প্রতিটি সন্তানকে সন্যাসী বানানোর জন্য। কিন্তু স্ত্রীর জন্য পারিনি। তবে চতুর্থ সন্তনের বেলায় আর সেটা হইনি। এ জন্য শ্রীরামনারায়ন লোকনাথকে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করানো জন্য ১১ বছরে উপনয়নের কার্য সমাপ্ত করে পাশ্ববর্তী গ্রামের জ্যোর্তিময় দেহধারী ভগবান গাঙ্গুলীর হাতে তুলে দেন। এ সময় লোকনাথের সঙ্গী হন তারই বাল্যবন্ধু বেনীমাধব। লোকনাথের নাম দিয়েছিলেন ভগবান গাঙ্গুলী নিজেই। উপনয়ন শেষে লোকনাথ, বেনীমাধব ও ভগবান গাঙ্গুলী পদযাত্রা শুরু করেন। বিভিন্ন গ্রাম শহর নদ- নদী জঙ্গল অতিক্রম করে প্রথমে কালীঘাটে এসে যোগ সাধনা শুরু করেন। এই রূপে গুরুর আদেশে বিভিন্ন স্থানে যোগ সাধনা ও ব্রত করে শেষ পর্যন্ত লোকনাথ ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন। তারপর শুরু হয় দেশ ভ্রমন। প্রথমে হিমালয় থেকে কাবুল দেশে আসেন। সেখানে মোল্লা সাদী নামে এক মুসলমানের সঙ্গে কোরান, বেদসহ বিভিন্ন শাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করে ইসলামধর্মের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করেন। এবার গুরুকে বাদ দিয়ে তাঁরা দুজনে পদযাত্রায় আবার দেশ ভ্রমন শুরু করেন। প্রথমে আফগানিস্থান, পারস্য, আরব, মক্কা- মদিনা, মক্কেশ্বর তীর্থস্থান, তুরস্ক, ইতালী, গ্রীস, সুইজার- ল্যান্ড, ফ্রান্স, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করিয়া দেশে ফিরে আসেন এবং পরে দেশের ভিতর হরিদ্বার, হিমালয় তীর্থ, বদ্রীনাথ, সুমেরু পর্বত, কাশিধাম ও কাবুল পরিদর্শন করেন। দিনে দিনে গুরুর বয়স একশত বছর ও শিষ্যদের বয়স পঞ্চাশ বছর হলো। গুরুদেব ভগবান গাঙ্গুলী শিষ্য দুজনকে শ্রী তৈলঙ্গস্বামীর (হিতলাল নামে যিনি পরিচিত) হাতে তুলে দিয়ে পরলোক গমন করেন। এবার লোকনাথ ও বেনীমাধব সুমেরু থেকে চন্দ্রনাথ পর্বতে আসেন। সেখান থেকে লোকনাথ ও বেনীমাধব বিভক্ত হয়ে যান। বেনীমাধবের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে লোকনাথ একা একা চলে আসেন কামাখ্যা হয়ে ত্রিপুরা জেলার দাউদকান্দি গ্রামে। সেখানে কোন এক সুভক্ষণে দেখা হয় ডেঙ্গু কর্মকারের সঙ্গে। ডেঙ্গু কর্মকারের বাড়ি কিছু দিন অবস্থান করার পর তারই সঙ্গে নারায়নগঞ্জের বারদীতে আসেন। বারদীর জমিদার নাগ মহাশয় বাবার কথা শুনে বাবার থাকার জন্য জমি দান করেন এবং বাবা নিজ পছন্দের জমিতে মহা ধুম- ধামের সাথে আশ্রম স্থাপন করেন। বাবার আশ্রমের কথা শুনে দেশ- দেশন্তার হতে বহু ভক্তগন এসে ভিড় জমাতে থাকেন। ভক্তগনের মনের অভিব্যাক্তি “তারা বাবার কাছে যাই চায় তাই পায়। এ ভাবে একটু সময়ের ব্যাবধানেই বাবার আশ্রম তীর্থভূমিতে পরিণত হয়। কোন এক সময় ভাওয়ালের মহারাজ বাবার অনুমতি নিয়ে বাবার ফটো তুলে রাখেন। যে ফটো বর্তমান ঘরে ঘরে পূজিত হয়। এ ভাবে ঘনিয়ে আসে বাবার মহাপ্রয়ানের দিন। সে দিন ছিল ১৯শে জৈষ্ঠ, রবিবার বাবা নিজেই বললেন তার প্রয়ানের কথা। এ কথা শুনে বহু নর- নারী এলো বাবাকে শেষ দর্শন করার জন্য। বাবার শেষ বাল্যভোগ নিয়ে আসেন আশ্রম মাতা। বাল্যভোগ প্রসাদে পরিণত হওয়ার পর ভক্তগন মহাআনন্দের সথে তা ভক্ষণ করিল। প্রসাদ ভক্ষণ হওয়ার পর বাবা মহাযোগে বসেন। সবাই নির্বাক অবাক হয়ে অশ্র“ সজল চোখে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন বাবার দিকে কখন বাবার মহাযোগ ভাঙ্গবে। কিন্তু বাবার ঐ মহাযোগ আর কখনও ভাঙ্গেনি। শেষ পর্যন্ত ১১. ৪৫ মিনিটে দেহ স্পর্শ করা হলে দেহ মাটিতে পড়ে যায়। ভক্তগণ কাঁদতে থাকে উচ্চস্বরে এবং বাবার শরীর মন্দির থেকে তুলে এনে বিল্বতলে রাখা হয়। দেহ সৎকারের জন্য আনা হয় থরে থরে ঘৃত ও চন্দন। বাবার কথা মতে (পূর্বের) বাবার দেহ আশ্রমের পাশে চিতায় রেখে দাহকৃত সমাপ্ত হয়। এই ধরাধাম থেকে চলে গেলেন লোকনাথ বাবা। কিন্তু রেখে গেলেন বাবার পূর্ণ স্মৃতি। আর রেখে গেলেন বাবার অমর বাণী। ‘‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব’’।