প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon

প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon মননে ঐতিহ্যিক, প্রকাশে নতুনত্ব

নতুন প্রকাশিত বই সূর্যগ্রহণ জনরা : জুলাইভিত্তিক উপন্যাসলেখক : কাউসার আলমপৃষ্ঠা : ২১৬মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০৳কুরিয়ার চার্জসহ ...
27/07/2025

নতুন প্রকাশিত বই

সূর্যগ্রহণ
জনরা : জুলাইভিত্তিক উপন্যাস
লেখক : কাউসার আলম
পৃষ্ঠা : ২১৬
মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০৳

কুরিয়ার চার্জসহ ছাড়মূল্য : ঢাকা সিটি ৩১০৳। সারা দেশে ৩৫০৳।

কী ঘটেছিল ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে?ফ্যাসিস্ট সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহতা কতখানি তীব্র ছিল?কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে?...
24/07/2025

কী ঘটেছিল ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে?

ফ্যাসিস্ট সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহতা কতখানি তীব্র ছিল?

কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে?

কত মানুষ হয়েছে পঙ্গু?

কোন কোন মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সরাসরি গণহত্যায় জড়িত ছিল?

গণহত্যার বিচার কেমন হওয়া উচিৎ?

নতুন বাংলাদেশ কীভাবে হাঁটতে পারে উত্তরণের পথে?

জানতে হলে পড়ুন জতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন সম্পূর্ণ বাংলায়।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতির রক্তাক্ত অধ্যায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের অনবদ্য দলিল এই বইটি।

প্রচ্ছদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত মূল্যবান এই রেফারেন্স বইটি সংগ্রহ করুন এবং ছড়িয়ে দিন মানুষের হাতে হাতে।

মুহাম্মাদ মুরসি মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে চেপে বসা স্বৈরাচার পতনের পর জনতার অবাধ রায়ে তিনি...
21/07/2025

মুহাম্মাদ মুরসি মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে চেপে বসা স্বৈরাচার পতনের পর জনতার অবাধ রায়ে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বরিত হন। পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে নির্বাচিত হওয়ায় সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মুসলিমদের কাছেও তিনি প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে ওঠেন। কিন্তু বহুমুখী আন্তর্জাতিক এবং সাবেক স্বৈরাচারের সহযোগীদের ষড়যন্ত্রে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে সামরিক অভ্যুত্থানে কারান্ত্যরীণ হন। দীর্ঘ ছয় বছর কারারুদ্ধ থাকার পর ১৭ জুন ২০১৯ তারিখে আদালতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি। তিনি দৃশ্যপটে ছিলেন খুবই স্বল্প সময়, কিন্তু এর মধ্যে সাক্ষী হয়েছেন অসংখ্য ঘটনাপ্রবাহের। প্রতিকূলতার মোকাবিলা করেছেন নজিরবিহীন আর পরবর্তীদের জন্য রেখে গেছেন সংগ্রাম আর দৃঢ়তার প্রেরণা। মুরসি এবং প্রাসঙ্গিকভাবে আরব বসন্ত নিয়ে ইতিবাচক ও সমালোচনামূলক উভয় ধরনের কিছু লেখা নিয়ে সংকলিত হয়েছে পুস্তিকাটি। বইটির পাঠ কল্পনা ও আবেগের জায়গা থেকে পাঠককে অনেকটা বাস্তবতায় নিয়ে আসবে। আবার সব বিষয়েই যে একমত হতে হবে তাও নয়।

জুলাই-২০২৪। বাংলাদেশে এসেছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে। একসাথে কোটি মানুষের হাত মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে উঠেছিল জালিমের বিরুদ্ধে। অব...
20/07/2025

জুলাই-২০২৪। বাংলাদেশে এসেছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে। একসাথে কোটি মানুষের হাত মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে উঠেছিল জালিমের বিরুদ্ধে। অবশেষে জীবন ও রক্তের পাথার থেকে মানুষ ছিনিয়ে আনে মুক্তি। কিন্তু সেই মুক্তির মূল্য ছিল বড়োই চড়া। সেই চড়ামূল্য বহু মানুষের জীবনকে করে দেয় উলটপালট। জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া এক তরুণের গল্প ‘সূর্যগ্রহণ’। সেই তরুণের পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাওয়া কীভাবে এলোমেলো করে দিয়েছে তার আপনজনদের জীবনকে, তারই হৃদয়স্পর্শী সরল আখ্যান ‘সূর্যগ্রহণ’।

সূর্যগ্রহণ
কাউসার আলম

জুলাইভিত্তিক উপন্যাস 'সূর্যগ্রহণ' প্রকাশিত হলো। পাওয়া যাবে সব অনলাইন প্লাটফর্মে।কাউসার আলম-এর লেখা।
19/07/2025

জুলাইভিত্তিক উপন্যাস 'সূর্যগ্রহণ' প্রকাশিত হলো। পাওয়া যাবে সব অনলাইন প্লাটফর্মে।

কাউসার আলম-এর লেখা।

দাওয়াহর অগ্রাধিকারইসলামের ইতিহাসে এর প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যে, মুসলিমরা দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে সফর করেছেন। ...
16/07/2025

দাওয়াহর অগ্রাধিকার

ইসলামের ইতিহাসে এর প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যে, মুসলিমরা দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশে সফর করেছেন। জন্মস্থান ত্যাগ করে আল্লাহর জমিনে ছড়িয়ে পড়েছেন, নতুন নতুন জায়গায় স্থায়ী আবাস গড়ে তুলেছেন এবং সেখানেই দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রেখেছেন। সেসব জায়গায় আজ মুসলিমরা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আমাদের পূর্বপুরুষদের কর্মনীতি প্রমাণ করে, আমাদের বাসস্থানই দাওয়াহ পাওয়ার সবচেয়ে বড়ো হকদার। প্রতিবেশী হিসেবে যাদের কাছাকাছি বসবাস করি, সহপাঠী হিসেবে যাদের সাথে দিনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় অতিবাহিত করি, তারাই আমাদের দাওয়াহ পাওয়ার প্রথম দাবিদার। আমি কোন দেশের নাগরিক তা মুখ্য নয়; বরং যে দেশেই বাস করি, সে দেশের মানুষের কাছে আমাকে দাওয়াহ নিয়ে যেতে হবে।

কেউ যদি কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে, তাহলে সে ব্যক্তি সে দেশের কওমভুক্ত হয়ে যায়। সে ব্যক্তি তাদের ভালো-মন্দের অংশীদার হয়। তাদের কল্যাণকামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়। নবি-রাসূলগণ যেভাবে তাদের জাতিকে সম্বোধন করে দ্বীনের দাওয়াহ পেশ করেছিলেন, সে তরিকায় আমাদের সাথে বসবাসকারীদের কাছে দাওয়াহ উপস্থাপন করতে হবে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে উদাহরণ পেশ করেছেন-

وَ اِلٰی مَدۡیَنَ اَخَاهُمۡ شُعَیۡبًا ؕ قَالَ یٰقَوۡمِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ قَدۡ جَآءَتۡكُمۡ بَیِّنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّكُمۡ فَاَوۡفُوا الۡكَیۡلَ وَ الۡمِیۡزَانَ وَ لَا تَبۡخَسُوا النَّاسَ اَشۡیَآءَهُمۡ وَ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِهَا ؕ ذٰلِكُمۡ خَیۡرٌ لَّكُمۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۚ۸۵﴾

“আমি যখন মাদায়েনের (অধিবাসীদের) কাছে তাদের ভাই শুয়াইবকে প্রেরণ করলাম। তিনি বললেন-হে আমার জাতি, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোনো ইলাহ নেই। আর তোমরা মাপে ও ওজনে কম দিয়ো না। জিনিসপত্রে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না এবং সংশোধন করার পরে জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টির মতো সীমালঙ্ঘন করো না। যদি তোমরা আল্লাহর ওপর ঈমান আনো, তাহলে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।”
সূরা আরাফ : ৮৫

উক্ত আয়াতে দাওয়াহর একটি উত্তম আদর্শ পেশ করা হয়েছে। শুয়াইব আ. একদিকে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি তাঁর জাতিকে আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যদিকে সমাজের অপরাপর মানুষের ওপর তারা যে অন্যায় চালিয়ে যাচ্ছিল, সে ব্যাপারেও কথা বলেছিলেন। তিনি ইসলামকে মানুষের ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ হিসেবে পেশ করেছিলেন।

অমুসলিম দাওয়াহ
সাইয়েদ আবু হাসান আলী নদভি
খুররম জাহ মুরাদ
অনুবাদ : মোসলেহ ফারাদ

ইখওয়ানুল মুসলিমিন বিশ ও একুশ শতকের ইসলামের পুনর্জাগরণের কিংবদন্তিতুল্য আন্দোলন। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এখনও মুসলিম বিশ্...
16/07/2025

ইখওয়ানুল মুসলিমিন বিশ ও একুশ শতকের ইসলামের পুনর্জাগরণের কিংবদন্তিতুল্য আন্দোলন। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এখনও মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবক আন্দোলন হিসেবে ইখওয়ান দৃশ্যপটে হাজির। প্রায় শত বছরের এই দীর্ঘ অভিযাত্রায় ইখওয়ানের অবদানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। কিন্তু ইখওয়ানের সবচেয়ে বড়ো অবদান কী?

ইখওয়ানের আদর্শ ও আন্দোলনের শীর্ষ ভাষ্যকার উসতায ইউসুফ আল কারযাভীর দৃষ্টিতে ইখওয়ানের সবচেয়ে বড়ো অবদান হলো- এমন এক নবপ্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা ইসলামকে যথার্থরূপে অনুধাবন করে, ইসলামের প্রতি গভীর বিশ্বাস পোষণ করে, যারা ইসলামের কালিমাকে সমুন্নত করতে প্রাণপাত প্রচেষ্টা চালায়, যারা মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করে। এই নবপ্রজন্মই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সাথে ছড়িয়ে দিয়েছে ইসলামের পুনর্জাগরণের সবুজ স্বপ্ন। উসতায কারযাভী মনে করেন, এই নবপ্রজন্ম গড়ার সফলতার মূল উপাদান হচ্ছে-ব্যাপকতর, ভারসাম্যপূর্ণ, বাস্তবানুগ ও অনিন্দ্য সুন্দর তারবিয়াত পদ্ধতি।

এই বইয়ে উসতায কারযাভী ইখওয়ানুল মুসলিমিনের তালিম-তারবিয়াত পদ্ধতিকে উপস্থাপন করেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন এই পদ্ধতির ইলমি ভিত্তি। এই তালিম-তারবিয়াত কেমন মানুষ গড়ে তুলেছে এবং ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনে কেমন প্রভাব বিস্তার করেছে, তাও তিনি তুলে ধরেছেন।

ইখওয়ানুল মুসলিমিনের তারবিয়াত পদ্ধতি সম্পর্কে জানাটা আমাদের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী। এর মাধ্যমে আমরা ইসলামি আন্দোলনের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হতে পারি। নিতে পারি তাদের শিক্ষণীয় ঘটনাবলি থেকে প্রেরণার উপকরণ। আর ভৌগোলিকভাবে এত দূরবর্তী অবস্থানের পরও তাদের সাথে আমাদের মিলগুলো আমাদের হৃদয়ে ছড়িয়ে দেয় ভ্রাতৃত্বের উত্তাপ।

ইমাম বান্নার পাঠশানা : ব্যক্তিত্ব ও সমাজ বিনির্মাণে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের তারবিয়াত পদ্ধতি
ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদ : জাকিয়া সুলতানা শিফা

আসছে শীঘ্রই.....জুলাই-২০২৪। বাংলাদেশে এসেছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে। একসাথে কোটি মানুষের হাত মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে উঠেছিল জালি...
15/07/2025

আসছে শীঘ্রই.....

জুলাই-২০২৪। বাংলাদেশে এসেছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে। একসাথে কোটি মানুষের হাত মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে উঠেছিল জালিমের বিরুদ্ধে। অবশেষে জীবন ও রক্তের পাথার থেকে মানুষ ছিনিয়ে আনে মুক্তি। কিন্তু সেই মুক্তির মূল্য ছিল বড়োই চড়া। সেই চড়ামূল্য বহু মানুষের জীবনকে করে দেয় উলটপালট। জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া এক তরুণের গল্প ‘সূর্যগ্রহণ’। সেই তরুণের পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাওয়া কীভাবে এলোমেলো করে দিয়েছে তার আপনজনদের জীবনকে, তারই হৃদয়স্পর্শী সরল আখ্যান ‘সূর্যগ্রহণ’।

ইসলামের শিক্ষা ও আমাদের অবস্থাননিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি আমাদের একটি বিশেষ জীবনরীত...
15/07/2025

ইসলামের শিক্ষা ও আমাদের অবস্থান

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি আমাদের একটি বিশেষ জীবনরীতি শিক্ষা দিয়েছেন এবং আল্লাহর আদেশগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা.-এর প্রতি তাঁর কালাম আল কুরআন নাযিল করেছেন। আর এ কিতাবের মাধ্যমে যা কিছু বৈধ, তা হালাল করেছেন এবং যা অবৈধ, তা হারাম করেছেন, আর যে পথে আমাদের কল্যাণ ও সুখ-সৌভাগ্য নিহিত, সেদিকেই আমাদের পথনির্দেশ করেছেন এবং সরল সঠিক পথপ্রদর্শন করেছেন।

এখন আত্মপর্যালোচনার বিষয় হলো-আমরা-আপনারা কি আল্লাহর প্রেরিত রাসূলের অনুসরণ করছি? তাঁর প্রদর্শিত জীবনরীতিকে সম্মান করছি? তাঁর নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করছি? তাঁর কিতাবের মর্যাদা রক্ষা করছি? তাঁর হালালগুলোকে বৈধ হিসেবে গ্রহণ করছি এবং তাঁর হারামগুলোকে অবৈধ হিসেবে নিষিদ্ধ করছি?

আপনারা উত্তর দানে অকপট হোন। প্রকৃত অবস্থা আপনাদের সামনে সুস্পষ্ট। বাস্তবতা হলোÑআমরা-আপনারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিতে যে সমস্ত নিয়মনীতি ও ব্যবস্থা অনুসরণ করছি, তা সম্পূর্ণরূপে ঐতিহ্যগত ও অপরের অনুকরণের করা নিয়মনীতি ও ব্যবস্থা, যার সাথে ইসলামের বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। সেগুলো ইসলাম থেকে উদ্গতও নয়; ইসলামের ওপর নির্ভরশীলও নয়। দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দেখুন-

* আমাদের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা
* আন্তর্জাতিক সম্পর্কব্যবস্থা
* বিচারব্যবস্থা
* প্রতিরক্ষা ও সামরিক ব্যবস্থা
* ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের সম্পদ এবং অর্থব্যবস্থা
* সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থা
* এমনকি ব্যক্তিগত আচরণপদ্ধতি পর্যন্ত।

দেখুন, শাসক ও শাসিতের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী সাধারণ চেতনায় ইসলামের প্রভাব কত ক্ষীণ! জীবনের বিভিন্ন দিক বিভাগ গঠনকারী প্রতিটি বিষয় ইসলাম ও ইসলামের শিক্ষা থেকে কত দূরে!

এরপর মানবজীবন ও মানবসমাজের আর বাকি কী থাকে? কেবল নিছক ধর্মীয় জীবন? তার দিকেও তাকান। সেখানকার অবস্থা কী? এই যে সমস্ত সুউচ্চ ও প্রতিষ্ঠিত মসজিদ! সেগুলো কারা আবাদ করে? ক্ষমতা ও কর্তৃত্বহীন লোকেরা। গরিব ও অসহায় মানুষেরা। তাদের বেশিরভাগই সেখানে বিনয়, খোদভীতি ও আধ্যাত্মিকতা ছাড়াই সালাত আদায় করে; অবশ্য তাদের কথা ভিন্ন, আল্লাহ তায়ালা যাদের সঠিক ও যথার্থ পথের সন্ধান দিয়েছেন।

রাসূলুল্লাহর আদর্শের ছায়ায়
ইমাম হাসান আল বান্না
অনুবাদ : আবু হামিদ মুহাম্মাদ আশিকুল্লাহ

স্ত্রীর ব্যক্তিত্ব কেমন তা নির্ভর করে স্বামীর স্বীকৃতির ওপর...মেয়েদের গল্পের আসরে দাম্পত্য সম্পর্ক একটি জনপ্রিয় বিষয়বস্ত...
15/07/2025

স্ত্রীর ব্যক্তিত্ব কেমন তা নির্ভর করে স্বামীর স্বীকৃতির ওপর...

মেয়েদের গল্পের আসরে দাম্পত্য সম্পর্ক একটি জনপ্রিয় বিষয়বস্তু। মেয়েরা একে অপরের কাছে নিজের সফল দাম্পত্য জীবনের গল্প করতে পছন্দ করে। তাই স্ত্রীর ভালোবাসা থেকে উৎসারিত তীব্র সমালোচনার মুখে কোনো স্বামী যখন স্ত্রীর প্রতি উপেক্ষার নীতি অবলম্বন করতে থাকে, তখন স্ত্রী আরও ক্ষুব্ধ হয়। স্বামীর আচরণে স্ত্রীর মন খারাপ হতেই থাকে। কারণ, এতে করে সে তার বান্ধবী বা অন্য নারীদের নিকট নিজের সুখী দাম্পত্য জীবনের গল্প করতে পারে না। ফলে সে নিজের ভেতর গুমরে মরে এবং স্বামীর প্রতি আরও আক্রমণাত্মক ও অপমানসূচক আচরণ করতে থাকে। পরিণামে স্বামী তখন স্ত্রীর কাছ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয়।

একটি প্রবাদ আছে এমন— “ঝগড়াটে ও ক্ষ্যাপাটে স্ত্রীর সাথে বসবাস করার চাইতে মরুভূমিতে বসবাস করা ভালো।” নিষ্ঠুর পরিহাস হলো— একজন স্ত্রী ঝগড়াটে ও ক্ষ্যাপাটে নারীতে পরিণত হয় তখন, যখন তার স্বামী তাকে ভুল বোঝে। সমস্যা হলো— স্বামী তার স্ত্রীর সেই সাংকেতিক ভাষার মর্ম উদ্ধার করতে পারে না, যেখানে স্ত্রী চিৎকার করে বলে যাচ্ছে— ‘আমি তোমার ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব করছি।’ স্বামী বরং এ সাংকেতিক ভাষার ভুল অর্থ করে এ রকম— ‘আমি তোমাকে শ্রদ্ধা করি না।’ এভাবেই একটি মিষ্টি, কোমল ও মায়াবতী স্ত্রী তার স্বামীর ভুল বোঝার শিকার হয়।

তবে আশার কথা হলো, আজকাল কিছু নারী বুঝতে পারছে যে, স্বামীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। একজন স্ত্রীর অভিজ্ঞতা এমন—
আমার চরিত্রের বিভিন্ন শক্তিশালী দিক ও বাগ্মিতার গুণ আমার দাম্পত্য জীবনে তেমন কোনো কাজে আসেনি। ওর দৃষ্টিতে আমি হয়ে গেছি ওর মা, শিক্ষিকা ও ধর্মগুরুর মতো। আমার বৈশিষ্ট্য হলো, আমি সবকিছুকে আমার নিয়ন্ত্রণে নিতে চাই, সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে চাই এবং ভাবি— অন্যরা আমার কথা মেনে নিক। ফলে আমার স্বামী আমার দিকে আতঙ্কের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত।

বই : লাভ এন্ড রেসপেক্ট : দাম্পত্য সুখের অজানা রহস্য
লেখক : ড. এমারসন এগারিচেস
রূপান্তর : রোকন উদ্দিন খান

ব্যক্তির দ্বীন বনাম উম্মাহর দ্বীনএই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে, আমাদের ব্যক্তির দ্বীন ও উম্মাহর দ্বীনের মাঝে পার্থক্য বুঝতে...
15/07/2025

ব্যক্তির দ্বীন বনাম উম্মাহর দ্বীন

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে, আমাদের ব্যক্তির দ্বীন ও উম্মাহর দ্বীনের মাঝে পার্থক্য বুঝতে হবে। যখন উম্মাহ তথা সমাজ বা রাষ্ট্রের দ্বীন হুমকির মুখে পড়বে, তখন দ্বীন রক্ষা জীবন রক্ষার ওপর অগ্রাধিকার পাবে। তখন ব্যক্তিকে তার রাষ্ট্র, জনগণ ও উম্মাহর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই ইসলামের মূলনীতি।

আর যদি দ্বীন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে জীবন রক্ষা দ্বীন রক্ষার ওপর অগ্রাধিকার পাবে। চলুন, একটু আগে উল্লেখ করা আয়াতটিতে আবার চোখ বুলিয়ে নিই। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

مَنۡ كَفَرَ بِاللّٰهِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِهٖۤ اِلَّا مَنۡ اُكۡرِهَ وَ قَلۡبُهٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰكِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡكُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡهِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰهِ ۚ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

“কেউ ঈমান আনার পরে আল্লাহর সাথে কুফরি করলে এবং কুফরির জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার ওপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ, আর তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরিতে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত ঈমানে অবিচল ছিল।” সূরা নাহল : ১০৬

আয়াতটি নবিজির মাক্কি জীবনের একটি প্রসিদ্ধ ঘটনার সাথে জড়িত। ঘটনাটি সাহাবি ইয়াসির রা. ও তাঁর পরিবার তথা তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া ও তাঁর ছেলে আম্মারকে নিয়ে। তাঁরা ছিলেন নির্যাতিত সাহাবিদের মধ্যে প্রথম সারির। ইয়াসির রা.-এর স্ত্রী সুমাইয়া হলেন ইসলামের প্রথম শহিদ। অত্যধিক নির্যাতনে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। তারপর তাঁর স্বামী ইয়াসিরও মক্কার মুশরিকদের নির্যাতনে শাহাদাতবরণ করেন। নিঃসন্দেহে তাঁরা সম্মানের সাথে নিজেদের জীবন দ্বীন রক্ষায় বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। কিশোর আম্মার নিজ চোখে তাঁর বাবা-মায়ের ওপর চলা নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁর চোখের সামনেই তাঁরা শাহাদাতবরণ করেন। বাবা-মায়ের শাহাদাতের পর মক্কার মুশরিকরা তাঁকেও হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করে। মক্কার মুশরিকরা আম্মার রা.-কে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে, যতক্ষণ না তিনি স্বীকার করেন যে, আল্লাহ তাঁর রব নয়। মক্কার মুশরিকরা আম্মার রা.-কে এত পরিমাণ নির্যাতন করে যে, তিনি বলতে বাধ্য হন, মাটির পোকারা তাঁর রব। কিন্তু তারপরও মুশরিকরা আম্মার রা.-কে ছাড়ে না, যতক্ষণ না তিনি মুহাম্মাদ সা.-কে অভিশাপ দেন। অবশেষে তিনি মুশরিকদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে মুহাম্মাদ সা.-কে অভিশাপ দিয়ে তাদের কবল থেকে রক্ষা পান।

এই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, আম্মার রা.-এর জীবন হুমকির মুখে ছিল। এমতাবস্থায় তিনি দ্বীন রক্ষাকে প্রাধান্য দেবেন, নাকি জীবন রক্ষাকে? আম্মার রা. জীবন রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছেন আর ইয়াসির ও সুমাইয়া দ্বীন রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আম্মার রা. কাফিরদের নির্যাতনের মুখে কুফরি কথা উচ্চারণ করলেও, অন্তরের দিক থেকে তিনি ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মুমিন। তাঁর মতো ঈমানদার খুব কমই আছে। তারপরও নিজের উচ্চারিত কথার জন্য আম্মার রা. মনে মনে ভীষণ কষ্ট অনুভব করতে লাগলেন। তাই তিনি রাসূলের কাছে যান এবং নিজের সাথে ঘটা সবকিছু খুলে বলেন। তিনি রাসূল সা.-এর কাছে কসম করে বলেন, তারা তাঁকে এই এই কথা না বলা পর্যন্ত ছাড়ত না। আম্মার নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কাঁদছিলেন। নবিজি বললেন-আবার যদি তুমি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হও, তবে একই কাজ করবে। আম্মার রা. প্রকৃতপক্ষে একজন খাঁটি ঈমানদার ছিলেন। রাসূল সা. বলেন-
مُلِئَ عَمَّارٌ إِيْمَانًا إِلٰى مُشَاشِهٖ.

“না, (আম্মার অবিশ্বাসী নয়)। আম্মারের মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ঈমানে ভরপুর।” ইবনু মাজাহ : ১৪৭

এখানে দ্বীনের বিষয়টি একজন নির্যাতিত ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। তাই রাসূল সা. কেবল অনুমতিই দেননি; বরং আম্মারকে আদেশ করেছেন, তিনি যেন নির্যাতনের কবল থেকে নিজের জীবনকে রক্ষা করেন।

ইসলাম পাঠ : মাকাসিদি দৃষ্টিকোণ
ড. তারিক আস সুয়াইদান
অনুবাদ : মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন

এক অপূর্ব হস্তশিল্প : ক্যালিগ্রাফিইসলাম আগমনের পূর্বে আরবের প্রধান শিল্প ছিল মৌখিক কবিতা। কুরআন মাজিদও প্রথমদিকে কেবল তি...
15/07/2025

এক অপূর্ব হস্তশিল্প : ক্যালিগ্রাফি

ইসলাম আগমনের পূর্বে আরবের প্রধান শিল্প ছিল মৌখিক কবিতা। কুরআন মাজিদও প্রথমদিকে কেবল তিলাওয়াত করা হতো। প্রথমদিকে রাসূল সা. জিবরিল আ. থেকে শুনে মুখস্থ করে নিতেন। অতঃপর তিলাওয়াতে দক্ষ একদল সাহাবি তিলাওয়াত শুরু করেন। রাসূল সা.-এর নির্দেশনায় কয়েকজন সাহাবি কুরআন মাজিদ লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। তবে তা কিতাব আকারে সংকলিত ছিল না। পরিশেষে আবু বকর রা.-এর খিলাফতকালে কুরআন মাজিদ একটি কিতাবে সংকলন করা হয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, কুরআন আল্লাহর বাণী। কুরআনের আরবি শব্দাবলি আল্লাহর পবিত্র বাণী। তাই কুরআন লিখনে মুসলিমরা সবিশেষ গুরুত্ব অনুভব করে। কুরআন মাজিদের প্রভাব লেখাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়। কুরআন মাজিদ নান্দনিকভাবে লিখতে মুসলিমরা আবিষ্কার করেন মানবেতিহাসের এক অপূর্ব হস্তশিল্প-ক্যালিগ্রাফি।

মুসলিমরা ক্যালিগ্রাফির এমন নান্দনিক বিকাশ সাধন করেছে, প্রায় সকল বস্তুতেই সৌন্দর্য বর্ধনে এটা ব্যবহার করত। কুরআনে তো ব্যবহার করতই; পাশাপাশি পোশাক, স্থাপনা, কবিতা, গ্লাস, তৈজসপত্র, ধাতব নির্মিত সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্র ইত্যাদিতে তারা নান্দনিক ক্যালিগ্রাফির কারুকাজ করত।

ক্যালিগ্রাফি বিকশিত হতে থাকে কয়েক শতাব্দী জুড়ে। বিভিন্ন বস্তুতে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন স্টাইল আবিষ্কৃত হয়। যেমন : কৌণিক কুফি, প্রবহমান নসখ, আলংকারিক তুলুহ, সম্প্রসারিত দিওয়ানি ইত্যাদি। এই স্টাইলগুলোর মাঝে কিছু ছিল সংকুচিত, কিছু প্রসারিত। আবার কিছু ছিল সমন্বিত-এটা যেকোনো বস্তুতে ব্যবহার করা যেত।

বই : দ্য জিনিয়াস অব ইসলাম : আধুনিক বিশ্ব গঠনে মুসলিমদের ভূমিকা
লেখক : ব্রাইন বার্নার্ড
রূপান্তর : মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ

Address

Gandaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon:

Share

Category