04/04/2025
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সম্ভবত বিগত এই কয়টা দিনই গা*যার জন্য সবচাইতে বেশি কঠিন ও রক্তক্ষয়ী ছিল। এবং আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহ করে না বাঁচালে সামনের দিনগুলোও আরও কঠিনতর হবে। গা*যার স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেমনটা বললেন গতকাল, গা★যা হয়তো তার শেষ নিঃশ্বাসটুকু ফেলছে!
গাযায় এখন আর ধ্বংস করার মতো কিছু বাকি নাই। ঘর বাড়ি,মাথা গোঁজার সামান্য ঠাই, খাদ্য-পানিয় বস্ত্র ঔষধ কিছুই নাই। স্রেফ খোলা আকাশের নিচে, সীমাহীন ধ্বংসস্তুপের মাঝে কয়েক লক্ষ মানুষ মৃত্যুর সুঁতোয় ঝুলে আছে। গোটা একটা শহর স্রেফ বৃহত্তর একটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। ইসরাইল এখন আর কোন কৈফিয়ত দিচ্ছেনা কারও কাছে। কারণ কেউ তার কাছে জানতেও চাইছে না। আগে তাও কোনরকম একটা অযুহাত দিতে চেষ্টা করতো, কোলাটোরাল ক্যাজুয়ালিটি বলে, এখন তারও প্রয়োজন নাই। সরাসরি সিভিলিয়ান টার্গেট করে হামলা করছে, এবং ঘোষণা দিয়ে। দ্বিতীয় ফেইজের এই সর্বগ্রাসী হামলা নিয়ে না আরবে না পশ্চিমে না পূর্বে, কোথাও কোন সাড়া শব্দ নাই।
আমেরিকা-স্রাইলের যৌথ পরিচালনায় স্মরণকালের সবচাইতে নির্মম একটি হত্যাযজ্ঞের নিরব দর্শক দুইশ কোটি মুসলমান। আরব শাসকেরা নিশ্চুপ। কেউ গোপনে ইন্ধন দিচ্ছে। আবার কেউ আমেরিকায় কত ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করবে তার হিসাব নিকাশ করছে।
বোমার আঘাতে যে শিশুটির চ্ছিন্ন মাথা গাযার আকাশ ছুঁয়ে এসেছে, সেই শিশুটির বুকদীর্ন অভিশাপ আজীবন আমরা বয়ে বেড়াবো। ইতিহাস আমাদেরকে চিহ্নিত করবে দুইশ কোটি ভীরু ,কাপুরুষ এবং মোনাফেকের দল হিসেবে।
আজকের পর থেকে আরবের শাসকেরা যদি মক্কা মদিনার মাটি ও পাহাড় হিরা জহরত দিয়ে লেপেও দেয় তবুও তাদের এই পাপের কোন প্রায়শ্চিত্ত হবে না। এই নিরব সমর্থনের অভিশাপ কেয়ামত পর্যন্ত তাদের তাড়া করে বেড়াবে। তাদের অসীম ক্ষমতা , অঢেল সম্পদ, নিরাপদ জীবন কেয়ামতের দিন একযোগে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে,ইনশাআল্লাহ।