11/08/2024
রাস্তায় টোকেন দিতো আগে পুলিশ, এখন দেয় ছাত্ররা। পুলিশের টোকেন বিভিন্ন রঙের হতো। ভিন্ন ভিন্ন রঙ মানে, টাকার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন। ময়মনসিংহ থেকে সবজির ট্রাক ঢাকা আসা পর্যন্ত কয়েক রঙের টোকেন পেতো ড্রাইভার, তারমানে, ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিতে হতো। সেই ঘুষের প্রভাব পড়তো সরাসরি তরকারীতে।যার কারনে, সবজির দাম হয়ে যেতো বেশি। শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব নেওয়ার পর হুট করে শাকসবজির দাম কমে যায়।
কমে গেলো কেনো?
যেখানে একটি যুদ্ধের পর সব কিছুর দাম বাড়ার কথা, সেখানে উল্টো কমে গেলো। মূল কারন হলো টোকেন বানিজ্য নেই, মানে পরিবহন খবর কমে গেছে।
এখনও ছাত্ররাও টোকেন দেয়। সাদামাঠা কচি হাতের লেখার মতোন। এ্ টোকেনে কোন রঙ নেই, টাকাও নেই। শুধু লিখে দিচ্ছে, সমস্যা আছে কি নেই? সমস্যা থাকা মানে, ঠিক করে নেন। কারো হেলমেট না থাকলে মৃদু শাসনের মতো করে বলে দিচ্ছে, ভাইয়া, হেলমেটা পড়ে নিবেন। আমি বাইক নিয়ে হুট করে রিকসা লেনে ঢুকে যাওয়ায় এক কিশোর মিষ্টি হেসে বলে, সুবিধা নিচ্ছেন?
ছাত্রের এই কথাটা ফলি মাছের কাটার মতো বিকাল থেকে গলায় আটকে রইলো। আমার জন্য বরাদ্ধ মাঝের লেন, কিন্তু ফ্রি থাকার সুযোগ নিয়ে আমি বাম লেন ঢুকে যাই। দীর্ঘ দিনের অনিয়মের অভ্যাস, ঠিক হতে সময় লাগবে।
যতদিন ঠিক হতে সময় লাগে, ততদিনই দেশ ওদের হাতে থাকুক। তবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে ট্রাফিকিং আর না করানোই ভালো। পুলিশ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করুক, প্রয়োজনে কর্মঘন্টা ঠিক করে শিক্ষার্থীদের জয়েন করাতে পারে। বিদেশে শিক্ষার্থীরা পার্ট টাইম কাজ করে, এখানেও সেটা হোক।
Copy post....