Arman's Creation

Arman's Creation Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Arman's Creation, Digital creator, Gazipur.

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা "ক্যারেকটার বিল্ডিং" পিরিয়ড আসে।এক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোন ভেদাভেদ নাই।মানুষ এই সময়টাতে হঠা...
15/09/2025

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা "ক্যারেকটার বিল্ডিং" পিরিয়ড আসে।

এক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোন ভেদাভেদ নাই।

মানুষ এই সময়টাতে হঠাৎ আবিষ্কার করে, তার আশেপাশে কেউ নাই!

যাদের সে আপন মানুষ ভাবতো, তারাও তাকে এড়িয়ে চলছে। তার চারাপশে সবাই কেমন টক্সিক হয়ে উঠেছে। সন্তান, ভাই/বোন বা বন্ধু হিসেবে তো দূরের কথা, একজন মানুষ হিসবেও ন্যূনতম মর্যাদাটা সে পাচ্ছে না।

এই পিরিয়ডগুলো সার্ভাইভ করা খুব টাফ। আমাদের চারপাশে সুইসা*ডের যত খবর শুনি, বেশির ভাগই এই পিরিয়ডে হয়।

কিন্তু যারা টিকে যায়? তারা নতুন এক মানুষে পরিণত হয়।

এই কঠিন পরিস্থিতিকে উলটো যারা নিজের জন্য পজিটিভলি ইউজ করতে পারে, তারা দারুন কিছু করে দেখাতে পারে। কেউ মিশতেসে না? গুড, কাউরে লাগবে না আমার। কাউরে *দার টাইম নাই। সময় আসলে সবাই ঠিকই আবার খাতির করতে ফিরে আসবে।

কেউ জ্বালাচ্ছে না। কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আড্ডা দিতে ডাকছে না। হ্যাংআউটে নিচ্ছে না। ভালো তো! ঘরের দরজা জানলা লাগায়া নিজের সাধনায় নিমজ্জিত হও!

সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। সেটার জন্য পড়। গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ, বাইরে যাইতে কী কী লাগে সেটার জন্য উঠেপিড়ে লাগো। আইবিএতে এমবিএ করতে পারো কি না দেখো। জি আর ই দাও। আইইএলটিএস দাও। নেক্সট গভ জবের সার্কুলারটা ক্র‍্যাক করা যায় কিনা দেখো!

যারা সর্বদা প্যাম্পার্ড হয়, হাহা হিহি করে জীবন কাটায় দেয়, তারা একটা নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্তই উঠতে পারে। নিজের লিমিটের বাইরে গিয়ে কিছু করে দেখাতে একটা আঘাত লাগে, একটা জিদ লাগে। এডমিশনের সময়, ভার্সিটি লাইফের শেষের দিকে বা এরপরের বেকার জীবনে মানুষ প্রথম এই ধাক্কাগুলো খায়।

ফ্যামিলি চেহারা চেঞ্জ করে। প্রেমিক-প্রেমিকা পল্টি মারে। বন্ধুবান্ধবরা ঘোস্টিং করে। মানুষ একঘরে হয়ে যায়। এই সময়টাই হলো নিজেকে গড়ার। সব কিছু থেকে কাট-অফ হওয়ার। সব সোশ্যাল মিডিয়া ডিএকটিভ করার। সঙ্গী তখন কেবল বই, খাতা, লেকচার শীট, প্রশ্নব্যাংক আর ইউটিউবে ফ্রি ক্লাস— বিশ্বাস করেন ভাই, আপনার আর কাউরে লাগবে না। যাস্ট একটা জিদ আনেন ভিতরে। নেক্সট এক্সামটা টার্গেট করে কুত্তার মত খাটেন— সেটা বিসিএস হোক বা জিআরই!

হ্যা, দুনিয়া বড্ড স্বার্থপর আর টক্সিক, কিন্তু আপনি নিজে আরো বেশি স্বার্থপর হন, টক্সিক হোন! আপনার চেয়ে ভালো আপনাকে আর কেউ বাসবে না, এটা মাথায় রাখবেন। লাইফে ক্যারেকটার বিল্ডিং মোমেন্টস গুলো খুবই কষ্টের, প্রায় জীবিত অবস্থাতেই নরক দর্শনের অভিজ্ঞতা হয়, কিন্তু ভুলেও সেটা মিস কইরেন না।

এই নরক যন্ত্রণায় পুড়ে পুড়েই একেকজন খাঁটি সোনা হয়।

-আসিফ

তারিখটা হলো ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫।সেদিন ভোর ছয়টায় হঠাৎ আমার মোবাইলে একটি কল আসলো।আমার স্কুল জীবনের শিক্ষক অর্থাত আমার স্যার...
15/09/2025

তারিখটা হলো ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫।সেদিন ভোর ছয়টায় হঠাৎ আমার মোবাইলে একটি কল আসলো।

আমার স্কুল জীবনের শিক্ষক অর্থাত আমার স্যার আমাকে ফোন দিছে।স্যারের নাম শাহজাহান সোহেল।তো স্যার কল দিয়েই একটানা বলা শুরু করছে,

'আরে সোহাগ তুমি এত বড় বেইমান!তুমি ভালো হয়ে গেছো অথচ আমারে জানাইলাও না'(উল্লেখ্য,সোহাগ আমার ডাকনাম)।

যাইহোক আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম।আমি খারাপই ছিলাম কবে স্যারের কাছে বুঝতে পারছিলাম না।স্যার ফোনে একটানা বকা দিয়েই যাচ্ছেন।আর এদিকে অনেকটা সময় আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম।

আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখে আমাকে 'ফেল করা ছাত্র' ভেবে কোন স্যারই আমাকে বাসায় এসে পড়াতে রাজি হননি।এটা ২০০৪ সালের ঘটনা।তখন আমি এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আমার বাবা ছিলেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।বাবার চাকরির সুবাদে আমরা তখন থাকি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।

আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী।হাঁটাচলা করতে পারি না একদমই।আমার শারীরিক পরিস্থিতি এতোটাই ভঙ্গুর ছিলো যে তা দেখে কোন শিক্ষকই প্রাইভেট টিউটর হিসেবে আমার দায়িত্ব নিতে চাননি।তাদের ধারনা ছিলো,শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত এই ছেলেটি পড়াশোনায় তেমন ভালো করবে না।

একমাত্র ঐ শাহজাহান স্যারই জোনাকির আলোর মত আমার জীবনে এসেছেন।স্যার বিনা সংকোচে আমার প্রাইভেট টিউটর হিসেবে দায়িত্ব নেন।

তিনি আমাকে নিজের আপন ভাইয়ের চোখে দেখতেন।অনেক সময় স্যার নিজে আমাকে কোলে করে নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়েছেন।তার কাছে এক জীবনে আমার অনেক জীবনের ঋণ।

আর সেই স্যার কি না আজ আমাকে ভুল বুঝে এসব বলছেন! আমি স্যারকে বললাম,

'আমি কি অপরাধ করলাম বলবেন তো স্যার?আমি কি কোন বেয়াদবি করেছি?স্যার যদি ভুল করি তো আপনার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবো'

স্যার বললেন,জীবনে কতবার কইছি তুমি ভালো হইয়া যাবা,হাঁটতে পারবা।এখন তুমি হাঁটতে পারো অথচ আমারে একটাবার কইলা না,অথচ তোমারে নিয়া বইসা আমি শবে বরাতের রাতে কান্না করছি'!

আমি স্যারকে বললাম,কসম করে বলছি আমি এখনো হাঁটতে পারি না,বাসায় এসে দেখে যান!

স্যার বললেন,'

'ওরে বদ আমি নিজের চোখে তোমারে হাঁটতে দেখছি,আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করছে।আমার দোয়া মিস হয় নাই,মনে আছে ২০০৫ সালে শবে বরাতের রাইতে আমি কইছিলাম?'

আমার মনে পড়লো,২০০৫ সালের শবে বরাতের রাতে স্যার আমাকে নিয়ে নামাজে বসেছিলেন।আমাকে নামাজ,দোয়ার বিভিন্ন নিয়ম বুঝিয়ে দিয়েছেন।আমার পরিস্কার মনে আছে স্যার বলেছিলেন,

'ডাক্তার কইছে তুমি জীবনে হাঁটতে পারবা না,আল্লাহ তো কয় নাই!সুতরাং আইজ সারা রাইত আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করো,আমিও করি'

আমি বলেছিলাম,এতে কি লাভ হবে? জবাবে স্যার বলেছিলেন,

'মানুষের মন অতি ছোট,চাইলেও দেয় না আর আল্লাহ হইলো দয়ার সাগর,চাইলেই দিয়া দেয়,কাজেই যা চাওয়ার তার কাছে চাইবা...'

এসব কথা মনে করতে করতেই এক সময় স্যার অভিমানে ফোন কেটে দিলেন।সাথে সাথে তিনি কলব্যাক করে বললেন,আমি ফেসবুকে সব দেখছি সোহাগ!

এ কথা শুনে এবার আমিই স্যারের ফোন কেটে দিলাম।

আমার আর ঘটনা বুঝতে বাকি রইলো না যে আসলে কি হয়েছে...

আমার সহজ সরল স্যার প্রযুক্তি বিষয়ে সামান্যই বোঝেন।এমনকি উনার ফেসবুক একাউন্টও আমি খুলে দিয়েছি।হাতধরে বুঝিয়ে দিয়েছি আপনি এভাবে অমুক তমুকের ছবি,ভিডিও ফেসবুক প্রফাইলে দেখবেন।

নিশ্চিত আজ তিনি ফেসবুকে আমার এআই জেনারেটেড ভিডিও দেখেছেন আর ভেবেছেন সোহাগ এখন হাঁটতে পারে।আমি সম্প্রতি এআই প্রযুক্তির সাহায্যে কিছু ভিডিও বানিয়েছি।ভিডিওগুলোতে আমি দেখিয়েছি যে আমি সুস্থ মানুষের মত হাঁটছি।সেই সব ভিডিও আমি নিজের ফেসবুক প্রফাইলে প্রকাশ করি।

আমি আর স্যারকে কলব্যাক করিনি।আমি চাই স্যার তার বহুদিনের দোয়া অবশেষে কবুল হয়েছে ভেবে নিয়ে আমার জন্য নতুন কোন দোয়া করুন।

এই ঘটনার পর আমি খুব চেষ্টা করছি নতুন একটি এআই জেনারেটেড ভিডিও বানাতে।এখানে আমি দেখাবো,আমি আমার একমাত্র মেয়ে সোহাকে কোলে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রামের কোন পথে হেঁটে যাচ্ছি।কিন্তু সেই কাল্পনিক ভিডিওটা আমি কিছুতেই বানাতে পারলাম না।

সোহার আম্মু বললো,তুমি তো খুব বাস্তববাদী মানুষ,তো হঠাৎ করে বদলে গিয়ে কাল্পনিক ছবি,ভিডিও বানাচ্ছো কেন? তুমি কি বদলে গেছো?

আমি বললাম,

'স্বাভাবিক একটা বিষয় তবুও ভাবতে সবার অবাক লাগে;ঠিক এমন করেই বদলায় সব,যেমনটা তুমি চাওনি আগে।'

অনেকটা হতাশ হয়ে আমি ১১ সেপ্টেম্বর রাতে হু হু করে কাঁদতে লাগলাম।আমার স্ত্রী বললো,কাল্পনিক একটা ভিডিও বানাতে পারোনি বলে কান্নার কি হলো?

আমি তাকে বললাম,

'আমি তো জানি আমি কোনদিনই সোহাকে কোলে নিয়ে ঘুরতে পারবো না।কিন্তু আমি চাই সোহাকে কোলে করে নিয়ে হাঁটার ভিডিও আমার স্যার দেখুক!'

সোহার আম্মু বললো,এতে কি লাভ কি হবে?

আমি এবার হাসি দিয়ে বললাম এরপর নিশ্চিত স্যার আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বলবে,

'সোহাগ,তুমি তোমার মেয়েরে কোলে কইরা নিয়া ঘুরতে গেলা তাও আমারে সঙ্গে নিলা না?'

আমি চাই এই পৃথিবীর অনন্ত একটি মানুষ ক্ষনিক সময়ের জন্য জানুক সোহাগ এখন হাঁটতে পারে,তার মেয়েকে কোলে নিয়ে যেখানে খুশী বেড়াতে যেতে পারে।পোস্টে দেয়া ছবিতে আমার মেয়ে সোহা।

আমার খুব জানার আগ্রহ আমার হাঁটতে চলা জীবনের জন্য স্যার যে দোয়া করেছেন,সেটি কবুল হয়েছে ভেবে এরপর তিনি আল্লাহর কাছে কি মোনাজাত করেছেন?

স্যার কি বলেছেন,আল্লাহ তোমার দরবারে লাখো লাখো শুকরিয়া যে সোহাগ এখন হাঁটতে পারে,সোহাকে কোলে করে নিয়ে বেড়াতে পারে...

তার এই কথা সাত আসমানের কতদূর পর্যন্ত পৌঁছাবে?

মনে মনে বললাম,

ক্ষমা করে দেবেন শ্রদ্ধেয় শাহজাহান সোহেল স্যার।

কত কথা হয় না বলা,রয়ে যায় কেবল শব্দ শোক;
জীবন চেনে মুক্তো ঝিনুক,মৃত্যু চেনে আপন লোক...

কত কথা বলার ছিলো তবুও চুপ হয়ে গেছি কবে,
কত স্বপ্ন ছিলো,জানি সত্যি নয়,তবু আমারই রবে...

১১ সেপ্টেম্বর ভোররাতে এসব ভাবতে ভাবতেই ফজরের আযান কানে এলো।নামাজ পড়তে যাবো এমন সময় সোহা ঘুম থেকে উঠে আমার বুকে হাত দিচ্ছে।আধো আধো বুলিতে সোহা কি বলছে জানি না।

তবে এটা জানি বুকের ঠিক যেখানে সোহা হাত দিয়েছে সেখানেই তাকে নিয়ে আমার অসংখ্য স্বপ্ন জমা আছে।

হয়তো সোহা বলছে,

'বাবা,তোমার স্বপ্নগুলো কুয়াশা,ভীষণ ঝাপসা এবং অধরা;
আমি সেখানে ভোরের আলো,আমায় জড়িয়ে ধরে ওরা...'

©

যে ছেলে নিজের বাপের পরিশ্রম আর ঘরের অভাবকে মনে রাখে, সে জীবনে কখনো ভুল পথে যেতে পারে না। কারণ বাবার ঘামের ফোঁটা আর অভাবে...
15/09/2025

যে ছেলে নিজের বাপের পরিশ্রম আর ঘরের অভাবকে মনে রাখে, সে জীবনে কখনো ভুল পথে যেতে পারে না। কারণ বাবার ঘামের ফোঁটা আর অভাবের কষ্ট তাকে দায়িত্বশীল হতে শেখায়। সেই স্মৃতি তাকে বুঝিয়ে দেয়, অন্যায় করে বড় হওয়া কোনো সম্মানের বিষয় নয়। অভাব মানুষের মনকে শক্ত করে, আর বাবার কষ্ট তাকে সৎ পথে চলার প্রেরণা দেয়। তাই যার ভেতরে এই সচেতনতা আছে, সে সবসময় ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে এবং নিজের পরিবারকে সুখী করার স্বপ্ন দেখে।❤️‍🩹

লেখা- আরিফুল হাসান

কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ!👌১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছ...
15/09/2025

কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ!👌
১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

২. মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।

৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।

৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।

৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।

৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।

৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।

৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।

১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন!

জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া। সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি। সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!

- সংগৃহীত

জীবনের সবচেয়ে বড়ো পরাজয় সবসময় টাকা-পয়সা, পড়াশোনা বা কর্মজীবনের ব্যর্থতা নয়—বরং মানসিক, নৈতিক ও সম্পর্কগত জায়গায় ঘটে। কয়ে...
15/09/2025

জীবনের সবচেয়ে বড়ো পরাজয় সবসময় টাকা-পয়সা, পড়াশোনা বা কর্মজীবনের ব্যর্থতা নয়—বরং মানসিক, নৈতিক ও সম্পর্কগত জায়গায় ঘটে। কয়েকটি বড়ো পরাজয় হলো:

1. আত্মসম্মান হারানো – নিজের মূল্যবোধ, সততা ও চরিত্র বিসর্জন দেওয়া।

2. আত্মবিশ্বাস হারানো – নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকা এবং হাল ছেড়ে দেওয়া।

3. অভিভাবক ও প্রিয়জনকে কষ্ট দেওয়া – যাদের জন্য বেঁচে থাকা, তাদের চোখে অশ্রু আনা।

4. অন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো – সত্য জেনেও মিথ্যার সঙ্গী হওয়া।

5. মানবিকতা হারানো – অন্যের কষ্ট দেখে নির্লজ্জ থাকা বা নিষ্ঠুর হয়ে যাওয়া।

6. সময় নষ্ট করা – জীবনের মূল্যবান সময় অপচয় করে পরে আফসোস করা।

7. ভালো সম্পর্ক নষ্ট করা – অহংকার বা ভুলের কারণে বন্ধু, পরিবার বা জীবনসঙ্গীকে হারানো।

8. নিজেকে হারিয়ে ফেলা – স্বপ্ন, লক্ষ্য ও নিজের অস্তিত্ব ভুলে গিয়ে যান্ত্রিক জীবনযাপন করা।

9. আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাওয়া – ইবাদত ও নৈতিক দায়িত্ব থেকে দূরে সরে যাওয়া।

10. অপরের উপকার না করে ক্ষতি করা – এমন জীবন যাপন করা, যার ফলে কেউ কোনো উপকার পেল না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

সত্যিকারের বড়ো জয় হলো—নিজেকে সৎ, মানবিক, দায়িত্ববান ও আল্লাহভীরু রাখা।

আমাদের  পরিবারে কিংবা সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, কিছু  পুরুষ মানুষ  পরিবারের  নির্দিষ্ট  একজন  ব্যাক্তির আয়ের উপর সম্পূর্ণ ন...
15/09/2025

আমাদের পরিবারে কিংবা সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, কিছু পুরুষ মানুষ পরিবারের নির্দিষ্ট একজন ব্যাক্তির আয়ের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
হতে পারে এটা বাবা, চাচা কিংবা বড় ভাই।

অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক জোয়ান পুরুষ মানুষ ও তার পরিবার অন্যের আয়ে আরাম আয়েশ করে নিশ্চিন্তে জীবন কাটায়।
এসব মানুষদের মধ্যে অধিকাংশই চরমমাত্রায় উদাসীন, আরামপ্ৰিয়, দায়িত্বহীন ও স্বার্থপর টাইপের হয়ে থাকে!

শুরুতে এ নির্ভরশীলতা হয়তো তেমন সমস্যা সৃষ্টি করে না, বরং অনেক সময় তা ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ কিংবা সহমর্মিতা থেকেই আসে।

কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে যখন একজন মানুষ কোনো প্রকার আয় বা শ্রম ছাড়াই কেবল ভরণপোষণের উপর নির্ভরশীল থাকে, তখন সেখানে অদৃশ্য এক সংকট তৈরি হতে থাকে।

যারা কেবল ভোগ করে, তারা প্রাপ্ত অর্থ বা সুবিধার সঠিক মূল্য প্রায়ই বোঝে না। তারা ভেবে নেয়, সবকিছু তাদের জন্য সহজলভ্য ও প্রাপ্য। ফলে ধীরে ধীরে কৃতজ্ঞতার জায়গা সরে গিয়ে জন্ম নেয় অভিযোগ, অসন্তুষ্টি ও খামখেয়ালি আচরণ, এক পর্যায়ে শত্রুতা।

দেখা যায়, যে ব্যক্তি দিনরাত পরিশ্রম করে আয় করছে, তাকেই নানা কারণে দোষারোপ করা হয়।
চাহিদা মতো সবসময় পয়সা দিতে না পারলে তার প্রতি ব্যবহার ও আচরণ বদলে যায়।

প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা ঘটে বেশি।
একটা মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে আর পরিবারের কিছু উপযুক্ত মানুষ গায়ে বাতাস লাগিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়, কেউ কেউ রাজনীতি করে, কেউবা হোন্ডা চালিয়ে সারাদিন বন্ধুদের সাথে মৌজ মাস্তি করে বেড়ায়!

এইসব ভবঘুরে উদাসীন মানুষদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো, তাদেরকেও কোনো না কোনো কাজে যুক্ত করা।
কাজ বড় হোক বা ছোট, তাতে কোনো সমস্যা নেই। সেটা হতে পারে একটি সামান্য ব্যবসা, হাতের কাজ, অনলাইন ভিত্তিক ছোটখাটো উদ্যোগ কিংবা পারিবারিক কাজে সক্রিয় ভূমিকা, কিংবা ছোট চাকরি।

মূল বিষয় হলো, দিনের পর দিন টাকা না দিয়ে তার পরিবর্তে তাদের হাতে আয়ের পথ ধরিয়ে দেওয়া। তা যত অল্পই হোক না কেন।

নিজে উপার্জন করার অভিজ্ঞতা মানুষকে টাকার কদর শেখায়।

এর ফলে কয়েকটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসে

১. আত্মসম্মান তৈরি হয়: নিজের উপার্জন মানুষকে সম্মানিত করে, সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

২. অভিযোগ কমে যায়: কেবল ভোগ না করে উৎপাদনে যুক্ত হলে অভিযোগ করার মানসিকতা কমে।

৩. টাকার মূল্য বোঝা যায়: উপার্জনের কষ্ট বুঝলে অপচয় কম হয়।

৫. পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত হয়: সবাই দায়িত্ব ভাগ করে নিলে সম্পর্কে ভারসাম্য আসে।

মনে রাখতে হবে,শুধু অর্থ দিয়ে আপনি কাউকে লম্বা সময়ের জন্য কখনোই খুশি বা সন্তুষ্ট রাখতে পারবেন না।

শুধুমাত্র দিনের পর দিন পয়সা ঢালতে থাকলে একটা না একটা সময় সম্পর্কে ফাটল ধরবেই!

মানুষের পারিবারিক সন্তুষ্টি আসে দায়িত্ব ও অবদান রাখার মাধ্যমে।
পরিবারের প্রত্যেক সদস্যরা যখন কাজে যুক্ত হয়,পরিবারে অবদান রাখে তখন ঐ পরিবারে শুধু অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসেনা, পারিবারিক সম্পর্কগুলোও সুদৃঢ় হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শান্তি আসে!

ধনীরা কপালে ভর করে ধনী হয়নি। বা তারা হঠাৎ করে টাকার ওপর পড়ে যায়নি। তারা এমন একটা খেলা খেলেছে, যা তোমাকে কেউ শেখায়নি। আর ...
15/09/2025

ধনীরা কপালে ভর করে ধনী হয়নি। বা তারা হঠাৎ করে টাকার ওপর পড়ে যায়নি। তারা এমন একটা খেলা খেলেছে, যা তোমাকে কেউ শেখায়নি। আর তারা তোমাকে সেটা শেখাতেও চায় না — কারণ একবার তুমি সেই খেলা শিখে ফেললে, তাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

এটা শুধুই তাদের জন্য, যারা ভাঙতে চায় শিকল, পাল্টাতে চায় নিজের জীবন। ৭ টা গোপন সত্য যদি তুমি মনপ্রাণ দিয়ে কাজে লাগাও, তাহলে তুমিও হয়ে উঠতে পারো একজন কোটিপতি!

১. ধনীরা কখনো সময়ের বিনিময়ে টাকা নেয় না, তারা “মূল্য” দিয়ে সম্পদ গড়ে।

তুমি যখন সকাল সন্ধ্যা চাকরি করো, তখন তারা এমন একটা সিস্টেম বানায় যা ২৪/৭ ফর্মুলায় কাজ করে। তাদের ঘুমের মধ্যেও স্রোতের মতো টাকা আসতে থাকে। সময় সীমিত, কিন্তু সিস্টেম সীমাহীন — পার্থক্যটা বুঝো!

২. ঋণ খারাপ নয় — মূর্খতা খারাপ।

ধনীরা “ভালো ঋণ” দিয়ে সাম্রাজ্য বানায়: প্রপার্টি, যন্ত্রপাতি, বিজনেস ক্যাপিটাল। আর তুমি “খারাপ ঋণ” নিয়ে দেখাও: আইফোন, নাইটক্লাব, গাড়ি। ঋণ যদি টাকা না আনে, সেটা দাসত্ব।

৩. ৯:০০–৫:০০ খেতে পড়তে দেবে, কিন্তু মালিকানা তোমায় মুক্তি দেবে।

তারা চাকরির আয় দিয়ে বিজনেস শুরু করে। আর তুমি সেই আয় দিয়ে শো-অফ করো। একদিকে গড়ে উঠে সাম্রাজ্য, আরেকদিকে জমে ঋণ। টাকা ইনভেস্ট করো — যেটুকু আছে, সেটুকু দিয়েই শুরু করো।

৪. তোমার নেটওয়ার্কই তোমার সম্পদ।

তারা কখনো হতাশ, নেগেটিভ মানুষের সঙ্গে সময় কাটায় না। প্রতিটি বন্ধু দেয় কিছু না কিছু: জ্ঞান, যোগাযোগ, মূলধন ইত্যাদি। যদি তোমার আশেপাশের লোকেরা তোমাকে পজিটিভ কিছু না দিয়ে উল্টো তোমার শক্তি খেয়ে ফেলে, এখনই তাদেরকে মাইনাস করে ফেলো।

৫. নীরবতা ধনীদের কৌশল।

তারা ঢাকঢোল বাজায় না। তারা ছায়ার মতো চলে, বজ্রের মতো আঘাত হানে। তুমি যখন সোশাল মিডিয়ায় ফেক লাইফ দেখাও, তারা তখন জমি, শেয়ার, ব্যবসা কিনে নেয়। চুপচাপ কাজ করো, গোপন কাজ একদিন ঝড় তোলে।

৬. ধনীরা প্রতিদিন আর্থিক শিক্ষায় সময় ব্যয় করে।

তারা বই পড়ে, কোর্স করে, মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে, মাস্টারমাইন্ড সেট করে। আর তুমি? রিলস্ আর পর্ণ দেখো। আজকের দিনে তথ্যই নতুন টাকা। হয় শেখো, নইলে গরীব থাকো!

৭. তারা বিক্রি করে।

প্রতিটা মিলিয়নিয়ারই বিক্রেতা। কেউ পণ্য বিক্রি করে, কেউ ব্র্যান্ড, কেউ সার্ভিস, কেউ স্কিল! যদি তুমি নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে না পারো, তাহলে কে তোমাকে গুরুত্ব দেবে?

”নিউমার্কেটের গলি ধরে হাঁটছিলাম একদিন। হঠাৎ চোখে পড়ল এক প্রৌঢ় মহিলা।লালপেড়ে সাদা শাড়ি, মাথায় সাদা চুল গুছিয়ে বাঁধা, চোখে...
15/09/2025

”নিউমার্কেটের গলি ধরে হাঁটছিলাম একদিন। হঠাৎ চোখে পড়ল এক প্রৌঢ় মহিলা।
লালপেড়ে সাদা শাড়ি, মাথায় সাদা চুল গুছিয়ে বাঁধা, চোখে চশমা।তিনি বসে আছেন ছোট্ট একটা টেবিলে, যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা কাগজ, খাতা আর কলম।
পাশে লেখা –
“চিঠি লেখা হয়: মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে কিংবা হারিয়ে যাওয়া কারো নামে”

এই ২০২৫ সালের আধুনিক দিনে কেউ এখনো চিঠি লেখে?
কৌতূহলে এগিয়ে গেলাম।

তিনি মৃদু হেসে বললেন,
“বসে যান মা, কাকে লিখবেন বলুন।”
আমি হেসে বললাম,
“চিঠি নয়, আপনি নিজেই একটা গল্প মনে হচ্ছেন।”

তিনি চুপ করলেন না। বরং ধীরে ধীরে খুলে দিলেন জীবনবইয়ের পুরনো পাতা।
বলতে লাগলেন
“না মা, আমি আগে ছিলাম কোর্টের টাইপিস্ট। জীবনটা টাইপরাইটারের শব্দে গড়া ছিল।
স্বামী রিকশাওয়ালা ছিল। আমি সাদা শাড়িতে, সিঁথিতে সিঁদুর পরে টাইপ করতাম—লোকেরা বলতো, ‘আপার তো চাকরি, স্বামীর আবার রিকশা চালানো মানায়?’
আমি বলতাম, ‘আমরা দু’জনেই পরিশ্রম করি। আমাদের সংসারটা এভাবেই সাজানো।’ ”

তখন আমি বুঝতে পারি, এ নারী বড় কিছু হারিয়েছেন।
আমি চুপ করে ছিলাম।
কিন্তু তিনিই কথা বাড়ালেন।

“আমার স্বামী একদিন রোগে পড়ে। প্যারালাইসিস। ঘরে টাকা নেই। আমি সব বিক্রি করে ওকে চার বছর বিছানায় রেখেছিলাম। কোর্টের চাকরি ছেড়ে দিলাম। টাইপরাইটার বিক্রি করে ওষুধ কিনেছি।
শেষমেশ ও চলে গেল।”
তার চোখে ভেসে উঠল একরাশ শূন্যতা।

ছেলে ছিল একটাই। নাম রেখেছিলাম – সাহস। ভেবেছিলাম, আমার জীবনের সাহস হবে ও।
কিন্তু... ওর বউ বলে – 'তোমার মা তো কেবল বোঝা। তোমরা সংসার করো, আমি যাচ্ছি।’
ছেলে কিছু বলেনি। আমায় একদিন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দিয়ে বলেছিল – 'মা, কয়েকদিনের জন্য। পরে নিয়ে যাব।’
সাত বছর কেটে গেছে মা, আর সে আসেনি।”

আমি বোবা হয়ে শুনছিলাম।
তিনি আবার বললেন,

“বৃদ্ধাশ্রমে থাকা যায় মা? শব্দ নেই, শব্দের মূল্য নেই!
আমি লিখতে জানি, মানুষের কান্না লিখতে জানি। তাই এখানেই বসি।
প্রতি চিঠির সাথে আমি একটু করে নিজেকেও লিখে দিই।
সন্তানহারা এক মা, যে আজো ভরসা করে মানুষের শব্দে।”

আমি আবেগ চেপে বললাম,
“আপনি তো এক জীবন্ত উপন্যাস, চাচী। লিখে ফেলেন না কেন আপনার জীবন?”

তিনি হেসে বললেন,
“আমার লেখার সময় চলে গেছে মা। এখন তোমাদের সময়।
তোমরা লেখো। আমি শুধু চাই, আমার মতো নারীদের গল্প হারিয়ে না যাক এই শহরের কোলাহলে।”

আজ প্রায় চার মাস হয়ে গেছে।
তাকে আর দেখি না।
টেবিলটা ফাঁকা পড়ে থাকে। কলমটা এখনো রাখা, যেন কেউ আবার এসে লিখবে কোনো হারানো ঠিকানায়।

কেউ বলে, তিনি গ্রামে চলে গেছেন।কেউ বলে, আর নেই।কিন্তু আমি বিশ্বাস করি...
তিনি আছেন।কোথাও, কোনো শান্ত এক বারান্দায় বসে তিনি এখনো লিখে চলেছেন—
হয়তো কোনো বৃদ্ধ পিতার হয়ে তার সন্তানকে,
হয়তো কোনো হারিয়ে যাওয়া মেয়ের হয়ে তার মাকে।

একটা নতুন ঠিকানায় হয়তো এখনো তার লেখা শেষ চিঠির নিচে লেখা থাকে—
“ইতি,
এক অভিমানী মা।”

আজকের সমাজে আমরা হয়তো বড় হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি, কিন্তু ভুলে যাচ্ছি—যারা আমাদের জীবন গড়েছে, তাদের সম্মান আর ভালোবাসার প্রয়োজন শেষ হয় না।
তাদের পাশে একটু সময় বসা, একটু শ্রদ্ধা দেওয়া—এইটুকুই হয়তো হয়ে ওঠে তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান।

🔥শেষ চিঠির স্বাক্ষর

কেউ যখন সুখী দাম্পত্য জীবনের ছবি শেয়ার করে কীংবা দেশ বিদেশে ঘুরার ছবি শেয়ার করে অথবা লাক্সারিয়াস লাইফ স্টাইল শো করে ,তখন...
15/09/2025

কেউ যখন সুখী দাম্পত্য জীবনের ছবি শেয়ার করে কীংবা দেশ বিদেশে ঘুরার ছবি শেয়ার করে অথবা লাক্সারিয়াস লাইফ স্টাইল শো করে ,তখন আপনারা অনেকেই ভাবেন: এরাই মনে হয় সবথেকে সুখী। এদের কোন দুঃখ নেই।

কিন্তু বিশ্বাস করুন সুখী হলেও সবার জীবনে ঝামেলা আছে, পেরেশানি আছে। শুধুমাত্র ঝামেলা গুলা মানুষ এবং পরিস্থিতি ভেদে আলাদা আলাদা।

এই যে আমাদের'কে দিয়েই উদাহরণ দেই। দম্পতি হিসেবে আমরা আমাদের নিজেদের প্রতিই মুগ্ধ। আমি এবং আমার হাসবেন্ড প্রায়শই আমাদের বন্ডিং নিয়ে নিজেরাই প্রাউড ফিল করি। এই ব্যাপারে আমরা আমাদেরকে এতোটাই পারফেক্ট মনে করি ব্যক্তিগত ভাবে। কিন্তু তার মানে কি আমাদের জীবনে অন্য কোন ঝামেলা নেই!

বিজনেসে লস হলে কীংবা দিনের পর দিন অসুস্থ হয়ে হসপিটালে থাকলে সেটা কি আমরা আপনাদের জানাই! না, জানাই না এবং দরকার মনে করি না। এগুলা আপনাদের জানিয়ে আমাদের লাভ কি আবার কেন'ই বা জানাবো!

কারো অঢেল টাকা আছে কিন্তু তার হয়তো সন্তান নেই। আবার সন্তান থাকলেও হয়তো স্পেশাল চাইল্ড। কারো গাড়ি বাড়ি সব আছে কিন্তু সে হয়তো দাম্পত্য জীবনে ভালো নেই। আবার কেউ দেশ বিদেশে ভ্রমণ করছে কিন্তু তার সম্পদ বলতে আলাদা কিছু নেই। কেউ লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করছে কিন্তু তার হয়তো শারীরিক সুস্থতা নেই। আবার কারো বিশাল বড় বাড়ি আছে কিন্তু সে ঋণে জর্জরিত। কেউ হাসি মুখে সবার সাথে ফান করছে কিন্তু তার হয়তো ক্যারিয়ারের চিন্তায় ঘুম আসে না। আবার কারো টাকা , সুখ, শান্তি কোনটাই নেই। আবার কারো সবগুলাই আছে কিন্তু তাও তাকে রকম পেরেশানি এবং আপস এন্ড ডাউন্স এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

শুধুমাত্র মানুষ ভেদে সমস্যা গুলা ভিন্ন ভিন্ন এই যা! তার মানে আপনি এটা বলতে পারবেন না যে , ওহ তাহলে এই ঘটনা! আমি ভাবতাম এরা কি সুখী! যে মানুষ গুলা কখনো আপনাকে তার দুঃখ দেখাতে আসে না, নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করে, সব কিছু ওভার কাম করে ভালো থাকতে চায় তারা অবশ্যই সুখী। কিন্তু সুখী হওয়ার অর্থ এই না যে তাদের কোন সমস্যা নেই!

আপনি টানা বছরের পর বছর কখনো রিলাক্স ভাবে জীবন কাটাতে পারবেন না। একটা না একটা ঝামেলা আসবেই এবং এগুলা ওভারকাম করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এগুলা ফেস করার পরেও যখন আলহামদুলিল্লাহ বলে আপনি মেনে নিবেন, মানিয়ে নিবেন ঠিক সেই সন্তুষ্টিটা'ই আপনার জীবন এবং সুখ।

আর সুখ নির্ভর করে আপনি কোনটাকে সুখ হিসেবে দেখছেন সেটার উপর! কারো কাছে বিশাল বড় বাড়ি থাকাটাই সুখ আবার কেউ বিশাল বড় বাড়িতে থেকে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দটা ফিল করাকে সুখ হিসেবে দেখে। এক কথায় , সুখ বিষয় টা আপেক্ষিক।

যেহেতু আমরা ভিন্ন ভিন্ন মানুষ তাই আমাদের মতের অমিল হতে পারে। কিন্তু অমিল হলেও সেটা গ্রহণযোগ্য।

আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।

©

একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি এরকম:প্রিয় অভিভাবকবৃন্দ,কয়েকদিনের মধ...
15/09/2025

একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি এরকম:

প্রিয় অভিভাবকবৃন্দ,
কয়েকদিনের মধ্যেই আপনাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি জানি, আপনারা খুব আশা করছেন যে, আপনাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করবে।

কিন্তু আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা একটা বিষয় মনে রাখবেন।

যারা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে শিল্পী হবে, তার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই।

একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হবে, তার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যে পাণ্ডিত্য অর্জনের প্রয়োজন নেই।

একজন নিশ্চয়ই সংগীতশিল্পী হবে, সে রসায়নে কত নম্বর পেল তাতে তার ভবিষ্যত নির্ধারণে কিছু আসে যায় না ৷

একজন নিশ্চয়ই খেলোয়াড় হবে, তার শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞানের নম্বরের থেকে অনেক বেশি জরুরি।

যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলেও তাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস বা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।

তাদেরকে বুঝিয়ে বলবেন, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে তারা যেন খুব বেশি মাথা না ঘামায়। এটা স্রেফ একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই না। তাদেরকে জীবনে আরো অনেক বড় কিছু করার জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার।

এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ, আইনজীবী বা বিচারকরাই একমাত্ৰ সুখী মানুষ নয়! কিংবা ওগুলোই একমাত্র পেশা নয় যা দেশের উন্নতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। একটি পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া কখনোই আপনার ছেলে বা মেয়ের স্বপ্ন কেড়ে নিতে পারে না।

আপনি আপনার সন্তানকে আজই বলুন, সে পরীক্ষায় যত নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাকে ভালোবাসবেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তাকে বিচার করবেন না!

দয়া করে, আমার কথা শুনুন, এই একটি কাজ করুন! দেখবেন আপনার সন্তান একদিন পৃথিবী জয় করবে!

শুভেচ্ছান্তে,
প্রধান শিক্ষক

এই চিঠি পড়ে আপনি কি বুঝলেন?

মানব মনে প্রবেশ করার পাসওয়ার্ড: ১) আপনি কখনো তর্কে জিততে পারবেন না। আপনি যখন তর্কে হারবেন তখনও আপনি পরাজিত আর যখন আপনি ত...
15/09/2025

মানব মনে প্রবেশ করার পাসওয়ার্ড:

১) আপনি কখনো তর্কে জিততে পারবেন না। আপনি যখন তর্কে হারবেন তখনও আপনি পরাজিত আর যখন আপনি তর্কে জিতবেন, তখনও আপনি পরাজিত কারণ আপনি একজন মানুষের গৌরবের জায়গায় আঘাত করেছেন। The only way to get the best of an argument is to avoid it.

২) কাউকে কখনোই বলবেন না, 'You're wrong'। আপনি যখন কাউকে সরাসরি ভুল বলেন, তখন আপনি তার বুদ্ধি, গৌরব আর আত্মসম্মানে আঘাত করেন। আর এতে করে তার ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স সক্রিয় হয়, সে আপনাকে থ্রেট মনে করে ও পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দেয়। ডিপ্লোমেটিক হোন। আপনি বলুন, আমি অন্যকিছু ভাবছি, আমার ভুলও হতে পারে। Show respect for the other person's opinions. Never say, 'You're Wrong"!

৩) কারও কাছ থেকে গুরুত্ব পেতে চাইলে তাকে প্রথমে গুরুত্ব দিন। Recognize their contributions, acknowledge their ideas, and give them your full attention.

৪) একজন মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করার সবচেয়ে রাজকীয় পথ হলো, তার আগ্রহের টপিকে কথা বলা। আপনি যখন তার সাথে তার পছন্দের টপিকে কথা বলবেন, সে আপনাকে উপভোগ করবে অথবা সে বোরিং ফিল করবে।

৫) আপনি যদি কারও কাছে ইন্টারেস্টিং হতে চান, তবে তার প্রতি ইন্টারেস্ট প্রকাশ করুন। Listening is one of the highest forms of respect you can show someone। মানুষকে তার অভিজ্ঞতা ও অর্জন শেয়ার করার জন্য অনুপ্রাণিত করুন।

৬) যে কোনো ভাষার মানুষের কাছে একটি শব্দ সবচেয়ে বেশি প্রিয় ও মধুর আর সেটি তার নাম। মানুষের নাম মনে রাখুন। মানুষের নাম ধরে ডাকলে তার মিরর নিউরন লাইট আপ হয়। ভালোবাসার হর্মোন অক্সিটোসিন নি:স্বরণ হয়। It creates a sense of personal connection and immediately builds rapport.

৭) সমালোচনা মানুষকে ডিফেন্সিভ করে তোলে এবং তাদের আত্মসম্মানে আঘাত করে। এটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং অভিমান তৈরি করে। সমালোচনার পরিবর্তে, বুঝুন এবং গুরুত্ব প্রদান করুন। মানুষ নিজেকে নিজে দোষ দিতে চায় না, এটা দুর্লভ। তারা সবসময় তাদের কাজের জাস্টিফিকেশান চায়।

৮) হাসিখুশি থকুন। একটি সরল হাসি। একটি সরল কথা মানুষের জন্য বিশাল কিছু। তাকে বলুন, আমি তোমাকে পছন্দ করি, আমি তোমাকে দেখে খুবই খুশি।পৃথিবীর বুকে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ শব্দহীন সংকেত যা আপনাকে মানুষের কাছে পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

👨‍👩‍👦 ভালোবাসা না রাগ – কোনটা আপনার সন্তানের মনে ছাপ ফেলে?একটি শিশুর পৃথিবী খুব ছোট—তার বাবা-মা, তাদের আচরণ, তাদের কথা আ...
15/09/2025

👨‍👩‍👦 ভালোবাসা না রাগ – কোনটা আপনার সন্তানের মনে ছাপ ফেলে?

একটি শিশুর পৃথিবী খুব ছোট—তার বাবা-মা, তাদের আচরণ, তাদের কথা আর তাদের মুখের অভিব্যক্তিই তার পুরো দুনিয়া।
এই ছবিটি স্পষ্ট করে দুটি দৃশ্য তুলে ধরে।

বাম দিকের দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে—একজন বাবা রাগ করছেন, মা চোখ ঢেকে কাঁদছেন, আর তাদের ছোট্ট সন্তান ক্ষোভে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলছে। বাবা-মায়ের মধ্যে রাগ-চেঁচামেচি শিশুদের ভেতরে ভীষণ ভয়, অস্থিরতা আর আগ্রাসন তৈরি করে। শিশু শিখে যায় সমস্যার সমাধান মানেই উচ্চস্বরে কথা বলা, চিৎকার করা বা আঘাত দেওয়া। দীর্ঘমেয়াদে এগুলো তার আত্মবিশ্বাস, মানসিক স্থিতিশীলতা এমনকি ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অন্যদিকে, ডান দিকের ছবিটি শান্তি ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। বাবা মাকে আলতো করে জড়িয়ে রেখেছেন, মা হাসিমুখে পাশে দাঁড়িয়েছেন, আর শিশু আনন্দে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ দৃশ্য শিশুকে শেখায়—ভালোবাসা, সম্মান আর সহমর্মিতার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে তার মন নিরাপত্তা পায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং সে নিজেও ভালোবাসায় ভরা মানুষ হয়ে ওঠে।

👉 শিশুরা আসলে "আপনার কথা" শোনে না, তারা "আপনার আচরণ" অনুকরণ করে।
যখন তারা ঘরে ভালোবাসা দেখে, তারাও ভালোবাসতে শেখে। আর যখন তারা রাগ-চিৎকার দেখে, তারাও তা-ই শিখে নেয়।

তাই বাবা-মা হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো—আমাদের নিজেদের আচরণ দিয়ে সন্তানকে শেখানো, রাগ নয় বরং ভালোবাসা দিয়েই পরিবারকে গড়ে তোলা।

Address

Gazipur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arman's Creation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arman's Creation:

Share