Hollywood Hangama

Hollywood Hangama new creator plz support and follow

30/07/2025
03/02/2025

আজকের খেলা রংপুর vs খুলনা

তুই একটা বে'শ্যা! আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল হইছে তোর মত বে'শ্যাকে বিয়ে করে।বাবার মুখে এমন কথাটি শুনে মা শাড়ির আচল দিয়ে ...
23/06/2024

তুই একটা বে'শ্যা!
আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল হইছে তোর মত বে'শ্যাকে বিয়ে করে।

বাবার মুখে এমন কথাটি শুনে মা শাড়ির আচল দিয়ে মুখ চে'পে ধরে কা'ন্না করতে করতে তার রুমে চলে গেলেন।

ভাতের লোকমা মুখে তুলতে গিয়েও আর তুলতে পারলাম না।সব কিছু সহ্য করতে পারলেও নিজের মাকে এমন গা'লি দিলে এটা তো সহ্য করা যায় না।আমার এঁটো হাত দিয়েই বাবার গ*লা খপ করে খুব জোরে চে'পে ধরলাম।ধুর কাকে বাবা বলছি ওতো একটা হিং*স্র জা*নোয়ার।চেপে ধরে বললাম....

-আজ তোরে মে*রেই ফে'লবো।দিন দিন তুই আমার মায়ের উপরে অত্যা'চার করে যাবি আর এটা আমি মেনে নিবো?

জা(নোয়ারটা জ*বাই করা মু'রগীর মত ছ'টফ'ট করতে লাগলো।এমতাবস্থায় আমার মা দৌড়ে এসে আমার গালে সজোরে একটা থা*প্পড় দিয়ে বসলো।তখনো আমি জা*নোয়ারটার গলা চেপে ধরে আছি।আমার মা অপর গালে আরেকটা থা'প্পড় দিয়ে ফেললো।ঝিঁঝি পোকার মত আমার কানটাও এমন হয়ে গেলো।

জা*নোয়ারটা খুকখুক করে কাঁশতে কাঁশতে ডগডগ করে পানি খেলো।হাত ধুয়ে আমি বারান্দায় গিয়ে সি'গারেটে টান বসিয়েছি।

একটা শেষ করে যেই আরেকটা জ্বা'লিয়ে টানতেছি,হঠাৎ করেই মাথায় খু*ন চেপে বসে।বাবা নামক জা*নোয়ার'টাকে মূহুর্তেই খু*ন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে।কি করবো বুঝতেছিনা।মাথাটা হুট করেই ব্যথা করতে শুরু করলো।ইচ্ছা হচ্ছিলো নিজের মাথার চুল নিজেই টেনে টেনে ছি'রি।

জোৎস্না রাত!
ছোট বোনকে ডাক দিয়ে বললাম মায়ের সাথে যদি বাবা কোনো ঝা'মেলা করে আমায় যেনো ফোন দেয়।

নিশ্চুপ রাস্তার মধ্যে হাটছি।কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নাই।একটা কু*কুরেরও হুং'কার ডাক আমার কাছে আসছে না।আমার মাথায় শুধু বে(শ্যা বলে গা'লি দেওয়াটা ঘুর পাক খাচ্ছে।কানে বার বার এই গা'লিটা বেজে উঠছে।

সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আমার বাবা নাকি আমার মাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তারা নাকি একে অপরকে খুব ভালোবাসতেন।

আগে মায়ের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার যখন বয়স পাঁচ কি ছয় বছর তখন মাঝে মাঝে বাবাকে দেখতাম মায়ের সাথে খুব বা'জে বিহেইভ করতো। মাঝে মাঝে দেখতাম আমার মায়ের কাজের কোন ত্রুটি হলে চ'ড়-থা*প্পড় দিয়ে বসতেন।

আমার ছোটবোন নীরা। ও আমার থেকে ৭ বছরের ছোট। আমি যখন বাসায় থাকতাম না তখন নীরা আমাকে মাঝে মাঝে বলতো বাবা নাকি মায়ের গা*য়ে অনেক হাত তুলতেন মা'রধর করতেন।

কিন্তু দিন দিন আর এই মায়ের শরীরে হা:ত তোলা বি(চ্ছ্রি ভাবে গা'লাগা'লি শুনা কত দিন দেখবো? আমার বোনটি ক্লাস এইটে পড়ে। আর আমি একবার অনার্স ফাইনাল ইয়ার দিলাম। আমরা দুই ভাইবোন এতটা বড় হয়েছি তারপরও বাবা আমাদের সামনে আমার মাকে গা'লাগা'লি করেন। কিন্তু আজকের গালিটা আমার খুব লাগলো।

আসলে সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমার মা খুব অসহায়।আমাদের নানা বাড়ি কোথায় তা আমরা ঠিক জানিনা। কে আমাদের নানা কে আমাদের মামা এসব কিছুই জানি না

ঠিক এক মাস আগে আমার বাবা নাকি আমার মাকে মে*রে ছিলো। তখন আমি বাসায় ছিলাম না আমি ভার্সিটিতে ছিলাম। বাসায় আসার পর আমার ছোট বোনটি আমার কাছে কেঁদে দিয়ে বলল....

- ভাইয়া আজকেও বাবা মাকে মে*রেছে। মায়ের হাতে ব্য'থা পেয়েছে নাড়াতে পারতেছে না। তার ডা'ন হাত ফুলে উঠছে বাসায় আজকে রান্না হয়নি।

- বাবা কোথায় এখন?

- জানিনা। মাকে মে*রে তারপর বাসা থেকে বের হয়েছে এখনো বাসায় ফিরেনি।

সেদিন রাতে আমরা সবাই না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু মা হাতের ব্যথায় কাতরাতে থাকলেন। বাবা সেদিন আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন ভোরে মাকে নিয়ে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই। গিয়ে চেকআপ করে দেখি মায়ের হাতে ফাটল ধরেছে। ডাক্তার ট্রিটমেন্ট করে আমার মায়ের হাতে ব্যা'ন্ডেজ করে দেয়। পরের দিন বাবা বাসায় ফিরে এসে দেখে মায়ের হাতে ব্যান্ডেজ তারপরও লোকটা একটা বার জিজ্ঞেস করলো না তার হাতে কি হয়েছে। পনেরো বিশ দিনের মতো আমার মা হাত পা নাড়াচাড়া করতে পারেনি। আমার ছোট বোনটা সংসারের সব কাজ করছিল।

বাবা অফিস থেকে বাসায় এসে চুপচাপ খেয়ে আবার বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন। আর গভীর রাতে বাসায় ফিরতেন। আমাদের কারো সাথে কোনো কথাবার্তা বলতেন না। এতই চার পাঁচ দিন আগে আমি বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ডাইনিং টেবিলে বসে....

- বাবা আমাদের দুই ভাই বোনের খুব আপন তো আপনি আর মা তাই না?দিন দিন মায়ের উপর অ'ত্যাচার করতেছেন। এটা কি ঠিক? আমরা এমন আর কত দেখব?

সেদিন আমার কথায় বাবা জবাব দিতে পারেনি। আমি শুধু তাকে বলেছিলাম সে যেন আমার মায়ের উপর আর কোন অ'ত্যাচার না করেন।

কিন্তু তার পরেও দিন দিন এমন করে যাচ্ছে। এভাবে আর কত দেখবো?

আজকে বাবা আমার মাকে যে গা'লিটা এটা দিছে সেই গা'লিটা আমার সম্পূর্ণভাবে বুকে লাগছে। আমার মন চাচ্ছে তাকে খু*ন করে ফেলি।

এসব ভাবতে নিশু আমাকে ফোন দেয়। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে। প্রথমবার কলটা কে*টে দেই। কে*টে দিয়ে ফোনটা আমার পাশে রাখি। একটু পরে নিশু আবার আমাকে ফোন দেয়..

- ফোন কে*টে দেওয়ার পরে আবার ফোন দিচ্ছো কেনো?সমস্যা কি তোমার?

- মানে? কি হলো তোমার? আর এমন করতেছ কেন আমার সাথে?

- কেমন বিহেইভ করবো?

- তোমাকে আমি কিছু বলেছি নাকি আমাদের মাঝে কিছু হয়েছে?

- আমাদের মাঝে কিছুই হয়নি। কিন্তু চাচ্ছি না তোমার সাথে আমার কোন যোগাযোগ থাক।

- মিহির তোমার কি হয়েছে বলোতো?হঠাৎ করে এমন কথা বলছো কেনো? প্লিজ আমাকে বলো না তোমার কি হয়েছে?

- আমাদের মাঝে কিছু হয়নি বাট আমি চাচ্ছি না আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক থাকুক। কারন আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা তুমি কেনো আমি আমার লাইফে কাউকে আনবো না। আমি স্রে'ফ একা থাকবো।

- হঠাৎ এমন করে বলতেছ কেন মিহির? আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি তাই না? আর আমাদের সম্প'র্ক আজ দু বছর হতে চললো।

- প্লিজ আমাকে আমাকে বিরক্ত করো না। আমাকে একটু একা থাকতে দাও। আমি নিতে পারছি না নিশু। বৈ'বাহিক জীবনে যতটা ক'ষ্ট তা আমি আমার মাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।

- আচ্ছা তোমার মন মানসিকতা ভালো হলে আমাকে জানিও। বা আমাকে একটু ফোন দিও। আজকে সারাদিন তো আমাদের তেমন কথা হল না। এখন ফোন দিলাম কিন্তু এখন বলতে চাইছো না। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো ফোন দিও আমায়।

নিশুর ফোনটি কে*টে দিয়ে চুপচাপ করে বসে থাকলাম। সি'গারেটের প্যাকেট থেকে সি'গারেট জ্বা'লাতে জ্বা'লাতে বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে দেখি রাত একটা বেজে গেছে। আমার মা এখন আমার অপেক্ষায় বসে আছে। আমি বাসায় ফিরতেই মা বললো...

- আজকে তুই তোর বাবার সাথে এমন করলি কেন বাবা? তুই তো সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসতেছিস তোর বাবা কেমন? এটা তো নতুন কিছু না?!তাই বলে তুই তাকে খু*ন করতে চাইবি?

- হ্যাঁ আমি জা*নোয়া'রটাকে খু*ন করে ফেলবো।আর দিনদিন কত এমন দেখবো আর কত তুমি অ'ত্যাচার সহ্য করবে?

- আমি সবকিছু সহ্য করতে পারবো কিন্তু তুই আর তোর বাবার সাথে আমার বিহেইভ করিস না?

- ওই জা*নোয়ার টাকে আমার বাবা বলো না তো।ও আমার বাবা না। কিসের বাবা?

- আচ্ছা খেতে বস। তখন তো না খেয়ে উঠে চলে গেলি।আর সেই তিন চার ঘন্টা পর এখন আসলি।

- কিছু বলবা আমি ঘুমাতে যাবো।

এসব বলে আমার মায়ের সামনে থেকে আমার রুমের দিকে হাটা দিলাম। একটু পরে জা*নোয়া'রটা দাড়ি চুলকাতে চুলকাতে আমাকে এসে বললো...

- কালকে তোরা সবাই আমার এই বাসা থেকে বের হয়ে চলে যাবি।আমি যেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তোদের মুখ না দেখি।

- যাবো তো যাওয়ার আগে তোকে খু*ন করে যাব বুঝলি? তুই আমার মা'কে ক'ষ্ট দিচ্ছিস আর কত দেখবো?

- তোর অনেক সাহস হয়ে গেছে! তোকে আমি জেলে ঢুকাবো।কালকেই তোকে আমি জেলে ঢুকাবো।

- তোরে খু*ন করেই তো তবে আমি জেলে ঢুকবো এর আগে তো না।

জা*নোয়া'রটা আমার সাথে আর কিছু বলতে পারলো না। আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরেই নি'শু আমাকে বারবার ফোন দিতে লাগলো ফোনটি আমি সাইলেন্ট করে পাশে রাখলাম। নিশুর সাথে আমার সম্প'র্ক রাখা সম্ভব না আমাদের যতই ক*ষ্ট হোক আমরা আলাদা হয়ে যাবো আমাদের আর কোন স'ম্পর্ক থাকবে না।

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি জা*নোয়া'রটা....

[চলবে.....]

গল্পঃ #মায়া
(১ম পর্ব)
Md. Nazmul Huda
(গল্পের সকল পর্ব নিয়মিত পোস্ট করা হবে আপনি কোনো পর্ব মিস করলে আইডি থেকে পড়ে নিবেন। পরবতী পর্ব পেতে আমায় ফলো দিয়ে রাখুন ভালো রেসপন্স পেলে পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিবো।ধন্যবাদ💐)

বাসর ঘরে বউ রেখে স্বামী যখন অন্য মেয়ের শরীরের খিদা মেটাতে ব্যস্ত তখন আসলে বুঝা যায় দুনিয়টা ঠিক কতটা কঠিন। → আমি আদ্রিতা।...
22/06/2024

বাসর ঘরে বউ রেখে স্বামী যখন অন্য মেয়ের শরীরের খিদা মেটাতে ব্যস্ত তখন আসলে বুঝা যায় দুনিয়টা ঠিক কতটা কঠিন।
→ আমি আদ্রিতা। বাবা মার ইচ্ছেতে পারিবারিক ভাবে রাকিবের সাথে বিয়েটা হয়েছে কিন্তু আমি দেখতে শ্যাম হওয়াই রাকিব আমাকে বউ হিসাবে মেনে নিতে পারছে না...
রাকিবঃ ছিঃ তোকে দেখলেই আমার ঘৃণা আসে এরকম মেয়ে আমার বউ হওয়ার যোগ্যতা রাখে আজকে ফাস্ট নাইট টাই নষ্ট করে দিলো...

আদ্রিতাঃ আপনি তো দেখে শুনে আমাকে বিয়ে করছেন...
রাকিবঃ আমার মায়ের পছন্দে তোকে বিয়ে করা আমার মায়ের চয়েস যে এত খারাপ কে জানে!
আমি তো এই রাতটা এমনিতে নষ্ট করবো না ইনজয় করবো তোর সামনে আজ তুই শুধু বসে বসে দেখবি একটা কথা বললে এর ফল কতটা খারাপ হবে বুজতে পারবি...

আদ্রিতাঃ কালো. শ্যাম মেয়ে আসলে গল্পতেই সুন্দর বাস্তবে তাদের কেউ মন থেকে ভালোবাসে না 😥 ।
কথা গুলা শেষ করে ওনি কাকে যেনো ফোন করলো
ফোন করার কিছু খন পর একটা মেয়ে রুমে আসলো...

আমার চোখের সামনে দুজনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে এরকম নোংরা দৃশ্য দেখা লাগবে তাও এই রাতে কখনো চিন্তা করি নি এই রাত নিয়ে কত কল্পনা ছিলো কতই না স্বপ্ন দেখতাম শেষে কী না কপালে চরিত্রহীন স্বামী জুটলো...

কথা গুলা ভাবতে ভাবতে চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো 😭 বাবা মা উপর খুব রাগ হচ্ছে তাদের জন্যই আমার এই অবস্থা...
কান্না করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানি না..


হঠাৎ ফজরের আযান শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো

চোখ পড়লো বিছানায় তাদের দুজনের নগ্ন শরীরের উপর...

যে স্বামী নিজের বউকে রেখে বাসর ঘরে অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হয় আর যাই হোক সে কখনো স্বামী হওয়ার অধিকার রাখে না এখন চাইলেও আমি কিছু করতে পারবো না কারণ আমার বাবার তেমন কিছু নেই যে আমি যাওয়ার পর অন্য খানে বিয়ে দিবে...

আমরা নিম্ন বৃও...

রুম থেকে বেড় হয় শড়ি বদলে অন্য শাড়ী পড়ে পাশে রুমে নামাজ পড়ে নাস্তা বানাতে গেলাম নাস্তা বানানো শেষে দেখলাম শুশুর শাশুড়ী দুজনেই টেবিলে বসে আছেন...

এমনতো অবস্থায় দেখলাম ওনিও নিচে নামতেছেন...

খাবার টেবিলে খাবার দেওয়ার পর ওনি যখন খাবার মুখে নিলেন ওমনি সাথে সাথে খুব জোরে আমার গালে একটা থাপ্পড় দিলেন...

রাকিবঃ এটা মানুষের খাবার 😡 জানোয়ার ও খায় না এসব খাবার বলেই উঠে চলে আসলাম...

শাশুড়িঃ কিছু মনে করিস না মা ও এমনি...

আদ্রিতাঃ কী বলবো কিছু বুঝতে পারছি না শুধু চোখ বেয়ে পানি পড়ছে...

নিজকে সামলে আমি রান্না ঘরে চলে গেলাম

এর পর থেকে আমার উপর অত্যাচার শুরু হলো রাতে নেশা করে এসে আমাকে মার ধর করা শুরু করতো একটা সময় তার আমাকে মার ধর করা নেশায় পরিণত হয়েছিলো এমন কোনো রাত ছিলো না যে রাতে মারতো না প্যান্টের বেল খুলে গরু ছাগলের মতো পিটাতে আমি আর সহ্য করতে পারছি না পুরো পিঠে শুধু মার এর দাগ ছাড়া কিছু নেই...

বিয়ের আজ দিয়ে ২৫ দিন হয়তো আর কিছু দিন গেলে হয়তো মার খেয়ে মরে যাওয়া লাগবে...

শাশুড়ীঃ বউমা তোমাকে কত বার বলছি বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসো তুমি তো কথায় শুনো না

এই যৌতুকের বাবা তার সব কিছু বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন এখন তাদের আরো টাকার দাবি...
এর পর শুশুর শাশুড়ী অত্যাচার শুরু হলো একটা সময় যাওয়ার পর তারাও আমাকে মার ধর করা শুরু করলো...

এমন কোন দিন যায় নি যেদিন আমার ভাতের প্লেটে চোখের পানি পড়ে নি...

সে রোজ রাতে মেয়ে নিয়ে আসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় আর আমাকে রুমের বাইরে বেড় করে দেয় এর পর আমার জায়গা হলো রান্না ঘরে...

আমাকে তারা কাজের বুয়া বানিয়ে ফেলেছে একটু লবণ কম হলেও মারে একটু বেশি হলেও মারে...

আমি যেটাই করি সেটাতে ভুল ধরে একটা সময় নিজেকে পাগল মনে হওয়া শুরু করছিলো...

একটা সময় তাদের অত্যাচার এতোটাই বেড়ে গেলো যে রাতে ঘুমাতেও পারতাম না..
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহর কাছে এটাই চাইতাম এই জীবন থেকে মুক্তি চাই...

রাকিবঃ মা এই মেয়েকে দিয়ে আমার হবে না আমি আরেকটা বিয়ে করবো...

শাশুড়ীঃ আচ্ছা কাউকে পছন্দ হলে বলিস আমি কথা বলবো...

রাকিবঃ আচ্ছা...

আদ্রিতাঃ রুম পরিষ্কার করার সময় এসব শুনতে পেলাম...

রুম পরিষ্কার শেষে তাদের সবারি কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিলাম...

তার পর রান্না শেষে সবাইকে খাইয়ে আমার কপালে জুটলো মাছের কাটা আর ঝোল..

দিনে দুবার খাবার জুটতো এটাই অনেক ছিলো...

সেদিন রাতে হঠাৎ শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসলো বাইরে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ঠান্ডায় শরীর কাপছে রান্না ঘরে শুয়ে শরীরের ব্যাথায় কাতরাচ্ছি তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছে...
হঠাৎ শরীর টা ভারি আসতেছে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে

এমনতো অবস্থায় সে রান্না ঘরে এসে..
এই চাকরানী উঠ আর আমার জন্য মাছের সুপ বানায় দেয় তাড়াতাড়ি বলে চলে গেলো আমি উঠে বসার মতো অবস্থায় নেই..

রাকিবঃ এক ঘন্টা হয়ে গেলো এখনো খাবার নেই মাথাটা গরম হয়ে গেলো ...

রান্না ঘরে যায় দেখলাম...
সে আরাম করে ঘুমাচ্ছে

মাথাটা নষ্ট হয়ে গেলো...
কল থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে তার মুখে ছুড়ে মারতে দেখলাম নড়ে চড়ে উঠলো...

রাকিবঃ এই চাকরানি উঠ...
চিৎকার শুনে বাবা মা দুজনে চলে আসছে...

রাগ কন্ট্রোল না করতে পারে বেল্টা খুলে কয়েক টা কয়েকটা দেওয়ার পর

মাঃ মা কী করছিস মরে টরে গেলো নাকি...

রাকিবঃ মরে যাক তাতে আমার কী এসব গরীবের মরে গেলে কিছু যায় আসে না....

রান্না ঘরের মেঝে থেকে তুলে

মাঃ কী করতেছিছ এসব...

রাকিবঃ বাসা থেকে বেড় করে দিচ্ছি

বলেই রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে আসলাম বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে...

গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার সময় রাস্তার গাছে লেগে মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিলো...

হয়তো এতক্ষণে মরে গেছে

চলবে....
মায়াবী
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১

"- সবুজ ভাই, ভাবি নাকি পালিয়ে গিয়েছে? পাশের বাসার কুদ্দুসের সাথে। -- কি কস? ভাবীর চ*রি*ত্রে দোষ আছে আমি আগে থেকেই জানি। ...
22/06/2024

"- সবুজ ভাই, ভাবি নাকি পালিয়ে গিয়েছে? পাশের বাসার কুদ্দুসের সাথে।

-- কি কস? ভাবীর চ*রি*ত্রে দোষ আছে আমি আগে থেকেই জানি। বাদ দে।

-- আরে ভাই আমি তোর বউয়ের কথা বলছি।

--ওহ আ,,, কি? আমার বউ গেছেগা? ও আল্লারে, ও মাগো, এখন আমার কী হবে গো?

-- দোস্ত যা হবার হইছে কান্না করলে তো সে আর ফিরে আসবে না।

-- সে কীভাবে পারলো? আমি তাকে এতো ভালোবাসা দেওয়ার পরেও আমাকে ছেড়ে অন্য পুরুষের হাত ধরছে।

-- বাদ দে দোস্ত। যেখানে বড় বড় মানুষের বউ টিকেনা সেখানে তুই কোন হরিদাস পাল?

-- তাও ঠিক। কিন্তু আমার বউ আমার সাথে এমন করবে আমি ভাবতেও পারিনি।

-- আমি জানি দোস্ত, তুই তোর বউকে অনেক ভালোবাসিস।

-- ওর জন্য কী না করছি? ওকে খেতে না দিয়ে নিজে সব খাবার খাইছি। ওরে নতুন শাড়ি কিনে না দিয়ে আমার জন্য নতুন পাঞ্জাবী কিনেছি। ওর সাথে না ঘুমিয়ে অনেক দিন পাশের বাসার ভাবীর সাথে ঘুমাইছি। যেনো ওর কষ্ট না হয়। আর ও আমার সাথে এমন করল?

বন্ধু আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। আমি আবার বললাম,

- জানিস দোস্ত ও আমার কাছে সন্তান চাইছে। ওর কষ্ট হবে বলে সন্তান নেইনি। ওর যেনো কষ্ট কম সেই জন্য আমি আরেকটা বিয়ে করার পরিকল্পনা করছি। ওর রাত জাগতে কষ্ট হবে বলে ওরে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করছি। শুধুই ওর কষ্টের কথা ভেবে ঠিক মতে খাবার খেতে দিতাম না। কারণ খাবার খেতে তো কষ্ট হয়। জানিস দোস্ত আসলেই কাওকে বেশি ভালোবাসলে সে ভালোবাসার মূল্য পাওয়া যায়না।

-- তোর এতো ভালোবাসা দেখেই ভাবী কুদ্দুসের সাথে চলে গেছে এবার বুঝতে পারছি।

-- ও আমার ভালোবাসা বুঝল না।

-- শালা ভাবী ঠিক কাজি করছে। তুই এমন জানলে তোর এই বউ নিয়ে আমি চলে যেতাম।

-- তুই আমাকে সান্ত্বনা না দিয়ে এসব কি বলছিস?

-- তুই তো বেটা সান্ত্বনা পাওয়ার যোগ্য ও না। তোর মতো এমন ডেঞ্জারাস হাসবেন্ড দুইটা হয়না।

-- এহ!

-- এহ না হ্যাঁ।

সমাপ্ত।

ডেঞ্জারাস_হাসবেন্ড
লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

বিবাহের প্রথম রজনীতে প্রথমবারের মতো মে'য়েলী সমস্যা দেখা দেয় রেশমি'র! সবে মাত্র চৌদ্দ বছর শেষ হয়েছে তার। সে জানে এর নাম '...
22/06/2024

বিবাহের প্রথম রজনীতে প্রথমবারের মতো মে'য়েলী সমস্যা দেখা দেয় রেশমি'র! সবে মাত্র চৌদ্দ বছর শেষ হয়েছে তার। সে জানে এর নাম 'পি*রি*য়ড'। মা তাকে বলেছিলো এ ব্যাপারে। ক্ষণে ক্ষণে তাকে প্রশ্ন করতো এ নিয়ে। আশুরা বেগমের কত চিন্তা ছিলো এ নিয়ে। কে জানতো বিয়ের রাতেই তার মেয়ে সা'বালিকা হয়ে ওঠবে!

নব বধূর বেশে বিছানায় চে'পে বসে আছে রেশমি।বুকের ভেতর ডিপডিপ আওয়াজ হচ্ছে। ভয়ে দে'হখানা প্রচন্ড কাঁপছে। কি হবে? কি করবে? এমন ভাবনাই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।এমন সময় দরজায় হাসি-র'সিকতার আওয়াজ ভেসে আসলো।

দরজার সামনেই গেইট পেতে সৌহার্দকে আটকে রেখেছে তার বোন-ভাবীগণ। তাদের দাবী হাজার খানেক টা'কা দিলেই তাকে ভেতরে ডুকতে দেওয়া হবে। প্রস্তাব শুনতেই তৎক্ষণাত না করে দেয় সে। 'নিজের রুমে যেতে আবার কি'সের টা'কা?' এমন যুক্তি সে তাদের বুঝাচ্ছে।
এ নিয়েই মিনিট খানেক থেকে তর্ক-বিতর্ক চলছে তাদের মধ্যে।

সৌহার্দর একমাত্র বোন সুমি ন্যাকা কান্নার সুরে বলে ওঠে,---" দাভাই! তুমি এমন ক্যা বলো তো? বিলেত থেকে এত এত টাকা নিয়ে আসলা। আমাগো রে মাত্র ক'য়ডা টা'কা দিতে তোমার হাত কাঁপতাছে?"

---" বিলেতে তো আমার চাঁদপানা মুখ দেখেই টা'কা দেয়,না রে?"

সুমি মুখ ফুলিয়ে বলে,--"আচ্ছা বেশ। শ'পাঁশেক টাকা দিলেই হবে।"

সৌহার্দ বোনের ওমন মুখ দেখে আর কথা বাড়ালো না। পকেট থেকে চকচকে একশ টাকার নোট পাঁচখানা বের কর দিলো সুমির হাতে। টাকা পেতেই দরজা থেকে সরে সুমির দিকে অগ্রসর হলো সবাই। সুযোগ বুঝে সৌহার্দ রুমে ডুকে তড়িঘড়ি চিটকানি টা লাগিয়ে দিলো।

হবু বরের উপস্থিতি রুমে বুঝতেই হিমশীতল হাওয়া বয়ে গেলো রে'শমি'র শরীরে। তার দে'হখানা আগের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে কাঁপছে। ভয় আর অস্বস্তিতে নয়নমণিতে পানির ঢেউ খেলে গেলো। বেনারসির ভারে সে নুয়ে পড়েছে।মাথার উপরের ঘোমটাখানা ঠৌঁট বরাবর দিয়ে বি'ছানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে।

সৌহার্দ ছোট ছোট কদম ফেলে বি'ছানায় বসলো। চাপা উত্তেজনা নিয়ে সে তার নব বিবাহিত বউয়ের মুখের ঘোমটা টা তুলে ধরলো।
এ কি! বউয়ের চোখে এত পানি! সে তো ভেবেছিলো ল'জ্জারা'ঙ্গা একখানা পূর্নিমার আলোর মতো মুখ দেখতে পাবে। এ তো হলো উল্টো কান্ড!

নববধূর উ'জ্জ্বল জলমলে মুখ না দেখতে পেয়ে মলিনতা দেখা দিলো সৌহার্দের মুখে।

রেশমি দ্বিগুন ভয় পেয়ে গেলো। সে তাকায় নি,চোখ বন্ধ করে আছে। মামি তাকে বুড়ো টাকলা ব্যাটার সাথে বিয়ে দিয়েছে এ কথা সে বিয়ের আগে একমাত্র মামাতো বোনের কল্যাণে জেনে গিয়েছে। যা রেশমির মনে এক ঘৃ'ণার জন্ম দিয়েছে। তাই সে তাকাতে চায় না ওই মুখের দিকে।

বাবা মা*রা যাওয়ার পর মাকে নিয়ে একমাত্র মামার বাসাতেই মাথা গুজানোর ঠাঁই হয় তার। মামা-মামী প্রথম প্রথম সহানুভূতি দেখালেও ধীরে ধীরে আসল রুপ বের হয়ে আসে তাদের। রেশমির মামী নানারকম নি'র্যাতন করতেন তার স্বামীর আড়ালে। একমাত্র মেয়ে রুহানীকে দিয়ে রেশমিকে কম মা*র খাওয়ায় নি তিনি। বলতে গেলে রেশমিকে ঝিঁ এর মতো খাটাতেন।
মায়ের কাছে বলেও কোনো লাভ হতো না রেশমির। বিপরীতে আশুরা বেগম রেশমিকে বকাঝকা করতেন। বেশির ভাগ সময় গালাগালি করতেন। যেদিন তিনি বলেছিলেন,--' বাবাকে খেয়েও তোর হয় নি? এখন আবার আমার ভাইয়ের সংসারে আ'গুন লাগাতে চাস মুখপুড়ী?" সেদিনের পর আর কোনোদিন রেশমি তার মায়ের কাছে কোনোকিছুর বি'চার দেয় নি। কথাটা তাকে পাথরের মতো করে দিয়েছিলো। সে জানে না এ কথার অর্থ কত?কিন্তু খুব ক'ষ্ট পেয়েছিলো। কথাটি যখনই মনে আসে তখন ই তার চোখে অটোমেটিক জল চলে আসে।

আজ তার মামাতো বোনকে নতুন ক্লাস ভর্তি করিয়েছেন তার মামা আর এদিকে আজই তাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। পড়ালেখার জন্য তার অনেক স্বপ্ন ছিলো, যা পলকেই ধূলিসাৎ হয়ে গেলো।

---" পেটে হাত দিয়ে চোখ দিয়ে জল বিসর্জন দিচ্ছো। অর্থাৎ পেট ব্যাথ্যা করছে,তাই না? "

বাঁশির মধুমাখা সুরের আওয়াজ পেয়ে বিষ্মিত হয়ে যায় রেশমি। সে মনে মনে বলে,'টাকলা ব্যাটার আওয়াজ তো চিকন শুনাচ্ছে,কীভাবে? ব্যাটার কন্ঠ তো- ভা'ঙ্গা ভা'ঙ্গা মোটা মোটা শুনানোর কথা? কাহিনী কি?'

কথাটা ভেবে না শেষ করতেই চোখ খুলে ফেলে সে। কিন্তু আফসোস, মুখের উপর বেনারসির লম্বা ঘোমটার কারণে সামনের ব্যক্তিটিকে দেখা নসিবে জুটলো না। ঘোমটার আড়ালেই মাথা নাড়ায় সে। সৌহার্দ ফুশ করে নিঃশ্বাস ছাড়লো। তার মনে অন্য ধারনা ছিলো।

যাক তাহলে পেট ব্যা'থা বলে কাঁদছে। নিশ্চই আজেবাজে কিছু খেয়েছে।

সৌহার্দ প্রশ্ন করে,--" তোমাকে কি ওরা উল্টাপাল্টা কিছু খাইয়েছিলো?"

প্রশ্নের বিপরীতে বোকা বোকা চাহনীতে তাকায় রেশমি। কি বলছে এ বুড়ো ব্যাটা? কে তাকে কি খাইয়েছে? সে ঘোমটার ভেতর থেকেই মিনমিন গললায় প্রশ্ন করে,---" কারা?"

---'তোমার মামা-মামী? "

রেশমি জবাব দিলো না। মামা-মামী তো খাবার ই দেয় নি। আবার উল্টাপাল্টা খাবার। তার ভেতর প্রচন্ড লজ্জা আর সংকোচ কাজ করছে।
হঠাৎ পেটের ব্যাথা তীব্র আকার ধারণ করতে লাগলো। রেশমি দাত চেপে কান্টা আটকানোর বৃ'থা চেষ্টা করলো। সফল হতে না পেরে হালকা শব্দ করে কেঁ'দে দিলো। সৌহার্দ ভড়কে যায় তার এমন কান্ডে।

কোনে উপায় না পেয়ে সে তার বোন সুমিকে ডেকে নিয়ে আসে।
'কি হয়েছে দাভাই?'

' তোর ভাবীর কি হয়েছে একটু দ্যাখ তো। সে আমাকে কিছু বলছে না।'

এ বলে সৌহার্দ দরজা টেনে দিয়ে বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর সুমি ভরাক্রা'ন্ত মুখ নিয়ে ফিরে এলো।

'দাভাই...'

'হ্যা, কিরে কি হয়েছে?কিছু বলেছে?'

সুমি আমতা আমতা করতে লাগলো। কথাটা সে কীভাবে বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সৌহার্দ বোনকে চুপ করে থাকতে দেখে বলে,' সুমি কি হয়েছে বল? বড় কোনো অসুখ নাকি?ডাক্তার নিয়ে আসা লাগবে নি?'

' না,না। ডাক্তার লাগবে না। আসলে,'

'আসলে কি?'

' ভাবীর ওইসব দিন চলছে। বুঝেছো তো?'

সৌহার্দের অশান্ত মন হঠাৎ থমকে যায়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চুপ করে যায়।

'ওহ।'

বলেই সৌহার্দ চলে যেতে চাইলো। সুমি বলে উঠে,'ভাই,'

'হ্যা,হ্যা। কিছু বলবি?'

সুমি মাথা নিচু করে বলে,' এটাই ভাবীর প্রথম।'

সৌহার্দ হঠৎ করে চেচিয়ে বলে ওঠে,'কিহ।'

সুমি মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। আর সোহার্দ নির্বাক হয়ে ওখানে দাড়িয়ে রইলো। বিরবির করে বলে,' ও আল্লাহ। এত ছোট ও! মামার সাথে বিয়ে হলো কি যে হতো? শুকরিয়া খোদা।'

কয়েক সেকেন্ড দরজার বাহিরে থম মে*রে দাড়িয়ে রুমে প্রবেশ করে দরজা টা লাগিয়ে দিলো সোহার্দ। রেশমির বুক দুকদুক করছে। সৌহার্দ ধীর পায়ে এগুতে লাগলো।

চলবে,

অসুখের_নাম_তুমি
সোনালী_আহমেদ
প্রথম পর্ব

(১৮+ সতর্কতা)গভীর রাত। উর্মি গা থেকে সারাদিনের পরা, সাদামাটা পোষাকটা টেনে খুলে ফেলল। তারপর হাতা কাটা ব্লা"উজের সাথে, পাত...
22/06/2024

(১৮+ সতর্কতা)
গভীর রাত। উর্মি গা থেকে সারাদিনের পরা, সাদামাটা পোষাকটা টেনে খুলে ফেলল। তারপর হাতা কাটা ব্লা"উজের সাথে, পাতলা ফিনফিনে লাল শাড়ি পরল। স্ট্রেইট করা, সুন্দর চুলগুলো ছেড়ে দিল। ঠোঁটে যত্ন করে লাল রঙা গাঢ় লিপস্টিক পরল। চোখে কাজল টেনে, ব্যস্ত হাতে একটা নাম্বারে ডায়াল করে, ফোন কানে চেপে ধরল। আয়নায় নিজের আবেদনময়ী রুপ দেখতে দেখতে বলল,
-'আমি রেডি হয়ে বসে আছি। কখন গাড়ি পাঠাবেন?
-'বড় স্যারের খুব শখ জেগেছে। আজ এই অন্ধকার রাতের আঁধারে, গাড়িতে তার প্রিয় ডিজে গান ছেড়ে, কাজটা সারবে!
-'শা"লা, বুড়োর ঢঙ দেখে বাঁচি না। উর্মির চোখ, মুখ খিঁচে এলো। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কা"মড়ে ধরে কী যেন ভাবল। বলল,
-'আমি রাজি। তবে এক শর্তে!
-'কী শর্ত ম্যাডাম?
-'আজ রাতের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হবে।
-'ও খোদা, এত টাকা? আর একটু কমিয়ে বলেন, ম্যাডাম।
-'ত্রিশ হাজার টাকায় আজকাল কী হয়? যে জিনিসের দাম। চারপাশে আগুন লেগেছে। এর থেকে এক পয়সা কম হলেও আমি পারব না।
-'প্লিজ ম্যাডাম?
-'বললাম তো না। তাছাড়া গাড়িতে উঠলে আমার মাইগ্রেন বেড়ে যায়। একরাতের বিনিময়ে টানা দুইদিন মাথা ব্যথায় আমাকে বিছানায় পরে পরে কাতরাতে হবে।
-'ওকে, আমি দেখছি।

উর্মি বড় ওড়নায় চোখ, মুখ ঢেকে পা টিপে টিপে মেইন দরজা খুলে বাইরে থেকে তালা মেরে দিল। গুটিগুটি পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে, গাড়িতে চড়ে বসল।
একটা কালো, মোটা হাত উর্মিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে, শক্ত করে চেপে ধরল। লোকটির গা থেকে ভুরভুর করে কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ ভেসে আসছে! তীব্র ঘ্রাণে উর্মির মাথা ব্যথা করছে। তবুও উপায় নেই। রাতটা এই বুড়োর মনোরঞ্জন করেই কা"টাতে হবে। উর্মি বুড়োর ভুঁড়িওয়ালা পেটে হাত বুলিয়ে দিল। ন্যাকা কণ্ঠে বলল,
-'গাড়িটা একটু আস্তে চালাতে, বলেন?
বুড়ো, উর্মির শাড়ি টে"নে খু"লতে খুুলতে অধৈর্য হয়ে বলল,
-'ইনজয় বে"বি!
উর্মি বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস গোপন করে, বুড়োর ডাকে আস্তে আস্তে সারা দিল।

কাক ডাকা ভোরে, উর্মিকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে লোকটি, গাড়ি নিয়ে শাঁই করে চলে গেল।

ঘণ্টা দুই ঘুমাল উর্মি। তারপর গোসল সেরে, ফ্রীজের বাঁশি ভাত, তরকারি গরম করে খেয়ে নিল।
মা'কে ফোন দিয়ে বলল,
-'আজ একবার ডাক্তারের কাছে যাবে, মা তুমি। আমি বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি। অয়নের পরীক্ষা ফি দিয়ে দিও।
-'তুই বাড়ি আসবি না, উর্মি?
-'না, মা। আমার কাল থেকে পরীক্ষা শুরু। ছুটিতে বাড়ি যাব।
রেবেকা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বলল,
-'তোর বাবার অনেক শখ ছিল। মেয়েকে 'ল' পড়াবে। মানুষটাও দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেল। তার শখটাও তুই পূরণ করলি না। জেদ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে গেলি।
-'আমার 'ল' পড়তে ভাল লাগে না, মা। তাছাড়া সারাদিন কোর্ট কাচারি করেই সময় চলে যাবে।
-'সেই!
-'মা, এখন রাখি। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।

উর্মি গোলাপি রঙা সুতী সালোয়ার, কামিজ পরে গলায় শালীন ভাবে ওড়না পেঁচিয়ে নিল। তারপর হাতে একটা ফাইল, ব্যাগ নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে ছুটলো।

-'এ্যাঁই উর্মি, পরীক্ষার প্রিপারেশন কেমন? রিপা পিছু ডেকে বলল। উর্মি মুচকি হেসে বলল,
-'একটা নোট কালেক্ট করা বাকি আছে, তুই একটু ধার দিবি?
-'আমার বয়েই গেছে! কী এত কাজ করিস তুই? যে নোটগুলোও টাইমলি কালেক্ট করতে পারিস না।
-'কাজের শেষ নাই রে, বইন।
-'শোন না, অমিত ছেলেটা তোকে খুব পছন্দ করে। আমাকে প্রায়ই তোর কথা বলে।
-'কোন অমিত?
-'ওই যে সেকেন্ডের ফাস্টে চার বন্ধু মিলে বসে। তাদের ভেতর সবার লম্বাচওড়া, সুন্দর দেখতে ছেলেটা।
-'কী জানি! আমি চিনি না।
-'তা চিনবি কেন? তোমার তো ক্লাসে মন থাকে না। সারাক্ষণ আপন ভাবনায় মত্ত থাকো! যাইহোক তোর নাম্বারটা চাইছে! আমি দেব?
-'ভুলেও তুই আমার নাম্বার কাউকে দিবি না, রিপা।
-'আজব তো! দিলে কী হবে?
-'কিছুই হবে না। তুই তাকে বলে দিস। আমি ম্যারিড।
-'কচু ম্যারিড। ডিভোর্স হয়ে গেছে, বল।
-'তবুও আমার আগে বিয়ে হয়েছিল তো।
-'সেই সংসারটা করলেও পারতিস উর্মি। এখন তোদের এত কষ্ট করে চলতে হতো না। মানছি, ভাইয়া বেশ রাগী ছিল। তবে তোকে অনেক ভালোবাসত। চোখে হারাতো।
উর্মি মলিন হেসে বলল,
-'লোক দেখানো ভালোবাসা আর এক ছাদের নীচে সংসার করা। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যপার।
উর্মির ফোনটা ভাইব্রেট হচ্ছে।
রিপাকে এক্সকিউজমি বলে, সরে গেল উর্মি। চারপাশে সর্তক দৃষ্টি বুলিয়ে হাতে ধরে রাখা ফোনটা রিসিভ করল,
-'হ্যালো কে বলছেন?
-'স্যোসাল মিডিয়ায় আপনার পোস্ট দেখে আপনাকে ফোন দিয়েছি। আপনি না কী টাকার বিনিময়ে এক রাতের বেড পার্টনারের কাজ করেন?
-'হ্যাঁ।
-'আমার আজ রাতের জন্য আপনাকে লাগবে। কত টাকা দিতে হবে, বলুন?
-'হাফ নাইট না ফুল নাইট?
-'হাফের রেট কত?
-'কম করে হলেও দশ হাজার।
-'আর ফুল?
-'তার ডাবল।
-'ওকে, আমাকে কোথায় আসতে হবে, বলুন?
-'স্যরি আমার ফ্ল্যাটে আমি এসব কাজ করি না। লোকেশন আপনি ঠিক করবেন। সময় মতো গাড়ি পাঠিয়ে দিবেন, আমি পৌঁছে যাব।
-'ওকে। আপনার বাসার ঠিকানাটা দিন, প্লিজ?
-'মেসেজ করে দিচ্ছি।

উর্মি আজ রাতে আর শাড়ি পরল না। একটা অফ হোয়াইট কালারের চিকুন ফিতের নাইটি পরল। তার উপরে কালো বোরখা পরে নিল। লোকটি গাড়ি পাঠিয়েছে। নিজে উর্মিকে নিতে আসেনি। উর্মি দুরুদুরু বুকে গাড়িতে চড়ে বসল। লোকটির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী একটা ফ্ল্যাটের চারতলার, ১০৫ নাম্বার রুমে কলিংবেল চাপল উর্মি। ভেতর থেকে দরজা খুলে গেল। উর্মি লোকটিকে না দেখেই তাড়াহুড়ো করে ফ্ল্যাটে ঢুকে গেল। বলল,
-'একটু পানি হবে?
-'শিওর। ততক্ষণে আপনি বোরখাটা খুলে নিন। ড্রইং রুমের বড় লাইট জ্বেলে দিয়ে লোকটি ভেতরের ঘরে পানি আনতে চলে গেল। উর্মি একটানে বোরখাটা খুলে ফেলে, মাথার এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করে নিল। লোকটি পানি দিতে এসে। উর্মিকে দেখে চমকে উঠল। হাত ফসকে পানির গ্লাসটা মেঝেতে পরে, ভেঙে গেল। মুখে হাত দিয়ে বলল,
-'উর্মি, তুমি..?

মেয়েটি_অসতী
পর্ব_১
লেখা- ববিতা রায়

23/03/2023

Kaku ki vablo ar ki holo 😂😂

15/03/2023

🖤🌸🥀

13/03/2023

Feel this song🖤🥀

Address

Gazipur
1704

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hollywood Hangama posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hollywood Hangama:

Share