06/07/2025
আমাদের শুভ-বুদ্ধির উদয় হবে কবে.?
স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত যত টুকু জেনে আসছি। ইতিহাস স্বাক্ষী এখনও পর্যন্ত কেও কারও মাধ্যম ছাড়া ক্ষমতার চেয়ারে বসতে পারে নাই। একেবারে সেই ৭১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ক্ষমতার পালবদলের ইতিহাসটা এমনই। কেও কারও না কারও আবেগের কাধে ভর করেই ক্ষমতায় এসেছেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটটা যদিও একটু ভিন্ন তথাপিও একক ভাবে ক্ষমতার চেয়ারে যাওয়া অসম্ভব মনে হয়। কারও না কারও হাত ধরতেই হবে। সেই হিসেবে আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় এই মহুর্তে দেশে একটা সত্যিকারের ভোটের খেলা দেখবে বাংলাদেশ ও দেশের জণগন যদি কাজটা এমন হয়। এটা অতীতের নিয়মে বা PR নিয়মেই হোক নির্বাচন তবুও কওমী ঘরানার দল গুলোর জন্য সুবর্ণ সুযোগ বলা চলে। এর পরেও যদিও আমাদের মুরুব্বীরা সেদিকে অগ্রসর না হোন তাহলে বলব এটা আমাদের জন্য দূর্ভাগ্যের।
আপনি মানেন আর নাই বা মানেন। জামাত নিজে থেকে কারও সাথে জোট করতে যাবে না কারন জোট করলেও তারা বিরোধী দল জোট না করলেও তারাই বিরোধী দল। কারন এই পর্যায়ে আর কেও নেই দেশে। বিএনপি ও নিজে থেকে কারও সাথে জোট করতে যাবে না। কারন বিএনপি জোট করলেও ক্ষমতায় না করলেও ক্ষমতায়। কারন বড় দল হিসেবে তাদের পর্যায়েও কেহ নেই।
বাকী রইলো ইসলামী দল গুলো সহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দল গুলো। নবগঠিত NCP রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যত দূর এগিয়ে আছে ইসলামী দল গুলো তাদের অর্ধেকেরও কম হবে। যদিও NCP বিরোধী দলেও থাকা অসম্ভব হবে একা একা ভোটের মাঠে গেলে। যেখানে বাকী ইসলামী দল গুলো পাত্তাই পাবে না কিন্তু ইসলামী আন্দোলন (চরমোনাই) একটু ভিন্ন। এটাই বাস্তব ভোট হলেই বুঝে আসবে।
বিএনপি এবং জামাত ছাড়া বাকী যত্ত গুলো দল বাংলাদেশে আছে যদি সংসদ পর্যন্ত পৌঁচতে হয় তাহলে দুইটা দরজা খোলা আছে
(১) বিএনপি (২) জামায়াত
এই দুই দলের সাথে জোট করা ছাড়া NCP ও IAB ব্যাতিত বাকী দল গুলোর প্রার্থীরা জামানতও হারাতে হতে পারে। হোক না সেটা ইসলামী বিংবা ভিন্ন কোন দল।
যদি এমনটি হয় যে, BNP এক পক্ষ আর জামায়াত সহ বাকী ইসলামী দল গুলো সহ জোটে যারা আসতে চায় সব কয়টা দল এক পক্ষ মানে জোট বদ্ধ হয়ে যদি নির্বাচনের মাঠে যায় তাহলে BNPর ১২টার জায়গায় ১৪টাও বাইজা যাইতে পারে।
আর সেজন্যই BNP বারবার শুধু নির্বাচন নির্বাচন বলে তাসবীহ পাঠ করছেন যেন বাকী দল গুলো জোট বদ্ধ হিতে না পারে। ইসলামী দল গুলোকে ভাগে নেওয়ার কৌশল করছে নিজেদের সুবিধার জন্য। যদিও প্রলোভন টা ভিন্ন দেখাতে পারে। এই ক্ষেত্রে আমাদের কে অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরী। বিএনপির সাথে বাংলার দুই কিংবদন্তিও জোটে ছিলেন। নিজেদের কে অন্তর্দন্দে জড়িয়ে রেখেছে এই বিএনপি।
এর পরেও যদি বর্তমান সময়ের ইসলামী নেতারা শিক্ষা না নেন তাহলে আমরা বলতেই পারি এটা আমাদের জন্য দূর্ভাগ্যের। তবে আল্লাহ চাইলে ভিন্নও হতে পারে। কারন মানুষের বিচার বিশ্লেষণের ধারনা সব যে সঠিক হবে এমনটিও নয়। আমার বলার উদ্দেশ্য অতীত ও বর্তমান হালতের উপর ভিত্তি করে।
(চলবে-ইন শা আল্লাহ)
#বাংলাদেশ #রাজনীতি
#পোস্ট