06/05/2025
রানীগঞ্জে লিচু বাজারে না নিলেও ট্যাক্স, চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড় জনমত
রানীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় লিচু ব্যবসায় নতুন আতঙ্ক—লিচু বাজারে না নিলেও ইজারাদারদের চাঁদা দিতে হবে! এমনটাই জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বাজার ইজারাদাররা এখন শুধু বাজার নিয়ন্ত্রণেই নয়, বেরিয়ে এসে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলছে, যদি কেউ বাগান থেকেই লিচু বিক্রি করে, সেক্ষেত্রেও ট্যাক্স বা চাঁদা দাবি করছে ইজারাদাররা। না দিলে পোলাপান পাঠিয়ে মারধরের হুমকিও দিচ্ছে।
এই চাঁদাবাজির পেছনে রয়েছে বিএনপির নব্য কিছু নেতা—
১) আবুল (টিসিবির মাল চোর, বড়ারটেক)
২) আলমগীর সিকদার (শালিশ বানিজ্যে জড়িত, নাসেরা)
৩) হেলাল উদ্দিন (চান্দাবাজ ও স্বৈরাচারীর উত্তরসূরি, বাসা - গাং পার)
৪) সুমিল সাইফুল (টেম্পো স্টেশন নিয়ন্ত্রণকারী, দেলগাঁও)
তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও কিছু প্রভাবশালী অংশীদার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছর রানীগঞ্জ বাজারের ইজারা ডাকা হয়েছিল ১৬ লাখ টাকায়। অথচ এই বছর বিএনপি ঘরানার লোকজন মিলে ডেকেছে মাত্র ৮ লাখ ৮১ হাজারে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—কম দামে ইজারা নিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি চালানো।
যারা আগে ডাকতে চেয়েছে বা আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যারা ইজারার অংশ হতে চেয়েছে, তাদেরকে 'সাথে নিবে' বলে শেষমেশ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বিএনপির তরুণ একাংশ। তারা জানায়, “আমরা অনেক আগে থেকেই লিচু ব্যবসার সঙ্গে আছি, কিন্তু এমন সময় কখনো দেখিনি। এটা স্পষ্ট চাঁদাবাজি। দলের ভবিষ্যৎ এদের কারণে ধ্বংসের পথে।”
তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, “আগামী খেয়াঘাট ডাকে অংশ না নিতে দিলে এই চাঁদাবাজদের গলা কেটে ফেলবো।”
স্থানীয়দের প্রশ্ন—“আমি যদি আমার বাড়ি থেকে গরু-ছাগল বিক্রি করি, তখন তো বাজারে ইজারা দিই না। তাহলে লিচু বিক্রির জন্য কেন দিতে হবে?”
তাদের একটাই দাবি—এই অবৈধ ট্যাক্স ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এর কোন পদক্ষেপ নেয় কি না।