NR.Noyan-01

13/03/2025

Please support me 🙏🏻

27/02/2024

শ্রীমদ্ভাগবতম ৬/৩/২৯ 📚
জিহ্বা ন বক্তি ভগবদ্‌গুণনামধেয়ং চেতশ্চ ন স্মরতি তচ্চরণারবিন্দম্ । কৃষ্ণায় নো নমতি যচ্ছির একদাপি তানানয়ধ্বমসতোহকৃতবিষ্ণুকৃত্যান্ ॥ ২৯

হে ভৃত্যগণ, সেই সমস্ত পাপীদেরই আমার কাছে নিয়ে এসো, যাদের জিহ্বা শ্রীকৃষ্ণের নাম, গুণ ইত্যাদি কীর্তন করে না, যাদের চিত্ত একবারও শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্ম স্মরণ করে না এবং যাদের মস্তক একবারও শ্রীকৃষ্ণের চরণে প্রণত হয় না। আর যারা মনুষ্য জীবনের একমাত্র কর্তব্য শ্রীবিষ্ণুর ব্রত অনুষ্ঠান করে না, তাদেরও আমার কাছে নিয়ে এসো।

24/02/2024

#অহংকার
(মানব জীবনে ৪ প্রকার অহংকার)

❄️জন্ম ( উচ্চ কুলে জন্ম )
❄️ঐশ্বর্য (অর্থের অহঙ্কার)
❄️ শ্রী ( সুন্দর দেখতে )
❄️শ্রুত ( উচ্চ শিক্ষিত ) ।

ভক্তিবিনোদ ঠাকুর প্রত্যেকটা অহংকারের ওপরে ভজন লিখেছেন ।

আমরা উচ্চ ঘরে জন্ম গ্রহণ করে কাউকে এমনকি বৈষ্ণবদের কেউ যথাযোগ্য সম্মান করতে ভুলে যাই! কারণ আমাদের অহংকার,আমরা উচ্চ ঘরে জন্ম পেয়েছি ।

ধনের অহঙ্কারে লিখেছেন
" ধনের গৌরব কেনে কর
ধনে যদি প্রাণ দিত
ধনী রাজা না মরিত "!!

ধনে যদি প্রাণ দিত তাহলে ধনী ব্যক্তিরা মারা যেতনা । একটা লোক যখন মারা যাবে তখন এক ডাক্টরকে কোটি কোটি টাকা দিলেও কিছু করতে পারবেনা । অহঙ্কারে কিছু হবেনা , মৃত্যু এসে "স" করে নিয়ে যাবে ।

রূপের অহঙ্কারে লিখেছেন
" রূপের গৌরব কেনে কর
এই অঙ্গ শিতল হবে!
আখি স্পন্দনহীন হবে
চিতার আগুনে পুড়ে হবে ছাই"!!

সুন্দর যে রূপ দেখছ অন্তিম কালে হবে ছাই ।
"যে অঙ্গে আদর করো
যে বা আবরণ পর "!!

যে অঙ্গকে এত আদর করছি । সব থেকে আদর কিন্তু আমরা আমদের শরীর কেই করি । এত ক্রিম , সেম্পু , সুগন্ধী দ্রব্য , সাবান নানারকম জিনিস । একটা গ্রুপ ফটো তুললে , দেখতে ভালো না হলেও বলি " Oii যে কোনাটায় আমি" ওই তো! ওই তো !!আগে নিজেকেই দেখি , নিজেকেই সব থেকে ভালোবাসি । কিন্তু অন্তিম গতি হবে ছাই ।

এখন বিদ্যা তে আসি , আধ্যাত্মিক দৃশ্যতে বলা হয় যে " অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী " , অথবা বাংলায় অনেক সময় পদ দেয় যে "অল্প জলের মাছ তিরিঙ বিড়িং করে " । যারা জাগতিক বিদ্যায় পারদর্শি তাদের একটা অহঙ্কার আসে ।

জড় বিদ্যার ফল স্বরূপ কি -
" জড় বিদ্যা যত মায়ার বৈভব
তোমার ভজনে বাঁধা !
জন্মিয়া অনিত্য সংসারে
জীবকে করযে গাধা "!!

গাধার মতোন জীব হরি ভজন না করে সংসারের বোঝা টেনে নিয়ে চলে।
আমরা যখন মাতৃ উদরে ছিলাম তখন কষ্ট পাওয়ার ফলে ভগবানকে বলি , ভগবান ! আবার জন্ম হলে এমন ভজন করবো যাতে আর মাতৃ উদরে আসতে না হয় ।

23/02/2024

"কৃষ্ণ নাম নেওয় জীব আর সব মিছে
পালাতে পথ নাই জম আছে পিছে"

19/02/2024

05/02/2024

অতিথি কি নারায়ণ নাকি অসুর?

আমরা জানি, অতিথি নারায়ণ। কিন্তু এই কলিযুগে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে, বাসায় বা গৃহে কোন অতিথি আসলে আমরা তার ভোজনের জন্য নিরীহ প্রানীদের হত্যা করি। এক প্রানীকে সন্তুষ্ট করতে শত প্রানীকে বধ করি। তরতাজা রক্ত-মাংস দিয়ে অতিথির ভোজন প্রস্তুত করি। আচ্ছা, নারায়ণের আহার কি রক্ত - মাংস? তাহলে আপনার গৃহে আসা অতিথি নারায়ণ কিভাবে? প্রকৃতপক্ষে উনারা তো অসুর তুল্য। কারন অসুরদের মনে দয়া মায়া নেই। তারা নিমিষেই কারো প্রান কেড়ে নিয়ে সন্তুষ্ট হন। তাই, বলা যায় গৃহে আসা অতিথি যদি কারো প্রানের বিনিময়ে সন্তুষ্ট হন নিঃসন্দেহে তিনি অসুর।

এই কলিযুগে বৈষ্ণব মহাত্মারাই শ্রেষ্ঠ অতিথি। তারাই নারায়ণের প্রতিনিধিত্ব করে। কারন তাদের ভোজনের জন্য কোন প্রানীর প্রান কেড়ে নিতে হয়না। তাদের আহারের জন্য রক্ত, মাংসের প্রয়োজন হয়না। তাই পরিশেষে বলবো, যত পারুন বৈষ্ণব, সাধু মহাত্মাদের গৃহে এনে সেবা করুন। সাধুরা যখন কোনো সাধারণ মানুষের গৃহে যান, তখন সেই ব্যক্তি তার আশীৰ্বাদের প্রভাবে ধন্য হন।

Hare Krishna 🙏🏼

30/01/2024

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সময় থাকতে সঠিক পথে চলা উচিত!
শিক্ষানীয় বিষয়
# একটি জলাশয়ে এক ভয়ানক সাপ ছিল।ওই জলাশয়ে অনেক কচ্ছপ ছিল।সাপটি তাদের কাছে খুব ফোঁস ফাঁস করে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াতো।একদিন তাদের মধ্যে থেকে একটি কচ্ছপ এগিয়ে এলো সাপের সাথে বন্ধুত্ব করতে।মোটামুটি বন্ধুত্ব হলো,কিন্তু সাপের ভীষন ঔদ্ধত্ব!
একদিন দুইজনে মিলে একসাথে একটি সরু নালা দিয়ে একটি অন্য জলাশয়ে যেতে যেতে কচ্ছপ বললো - "তুমি সোজা পথে চলো,এতো বেঁকে বেঁকে গেলে আমার অসুবিধা হচ্ছে",
সাপটি রেগে গিয়ে খুব দম্ভ ভরে বললো - আমি বাঁকা পথেই চলি,আমার ইচ্ছা!আমি কাউকে ভয় পাই নাকি!লোক আমার ভয়ে থাকে,আমার বিষ সাংঘাতিক,আমি বাঁকা হয়েই চলবো,তুই আমার বন্ধু হবার যোগ্য নয়,দূর হ এখান থেকে" -
এই কথা বলে সাপটি কচ্ছপকে ধিৎকার দিয়ে অন্য পথে চলে গেলো।কচ্ছপটি বাধা দিলো, ওই পথে যেতে নিষেধ করলো।সাপটি শুনলো না।
কিন্তু সাপটি যে দিকে গেলো সেখানে কেউ আটল বসিয়ে ছিলো, সাপটি আটলে ধরা পড়ে গেল।পরে কিছু লোক এসে সাপটিকে দেখে লাঠিপেটা করে মেরে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলো গাছের ডালে।এখন সোজা হয়ে ঝুলছে!!
কচ্ছপটি সব দেখে অন্য কচ্ছপদের উদ্দেশ্যে বললো - "দেখো,বেচারা সাপ!অহংকারেই গেলো!বেঁচে থাকতে কোনোদিন সোজা হলো না,এখন মরে গিয়ে সোজা হয়েছে,কিন্তু সব শেষ"!!!

গল্পটির সার কথাটি হলো,
আজ লাখো লাখো মানুষ ওই সাপের মতোই ঔদ্ধত্ব নিয়ে বাঁকা পথে চলছে - সাধু সন্ত বৈষ্ণবের কথা নেয় না।বেঁচে থাকতে থাকতে গীতা পড়ে না,গৃহে হরিনাম করেনা, কিন্তু মরে যাবার পর তাদের বুকে গীতা চাপানো হয়,তুলসীপাতা দেওয়া হয়, হরিনাম করা হয় ।

21/01/2024

🌿🥀🙏ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তের দাসের দাস হয়।। 🙏🙏🙏🌹

শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-“যে করে আমার আশ/আমি করি তার সর্বনাশ/তবু যদি না ছাড়ে সে আমার আশ/আমি হই তার দাসের দাস। 🌹

যিনি কৃষ্ণ কে কামনা করেন বা কৃষ্ণ কে পাওয়ার অভিলাষ করেন, কৃষ্ণ প্রথমে তার সর্বনাশ করে তার পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। এরপর ও যদি কেউ কৃষ্ণকে পাওয়ার আশা করে কৃষ্ণ তখন সেই ভক্তের দাসের ও দাস হন।🌹
যেমন শ্রীরাধা রানী শ্রীকৃষ্ণের সর্বশ্রেষ্ঠ ভক্ত। কেউ যদি রাধারাণীর কৃপা লাভ করে সে খুব দ্রুত ই কৃষ্ণকে পেয়ে থাকেন।
মহাভারতের পঞ্চপান্ডব কে কত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তবুও তারা কৃষ্ণকে ছাড়েননি। চরম সংকটের মধ্যেও দ্রৌপদী কৃষ্ণের নাম নিয়েছেন।🌹
কুন্তি বলেছিলেন একবার-আমাকে যদি আরো কষ্ট পেতে হয় তাহলে আমি আরো কষ্ট পেতে রাজি কিন্তু তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
কৃষ্ণ তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না তার পরিবর্তে তুমি আমাকে আরো কষ্ট দাও।🌹 এরা শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত।

যখন কেউ শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হয়ে ওঠেন তখন তার মধ্যে আর কোন কষ্ট থাকে না। ভক্তের সকল কষ্ট কৃষ্ণ নিয়ে নেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আরক নাম হরি যিনি তার ভক্তের সমস্ত দুঃখ কষ্ট এবং মনকে ও হরণ করেন।
তাই যদি আপনি খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে থাকেন, তাহলে বলব এখনি সময় কৃষ্ণ নাম করার।
🌹অনেক মানুষ এমন আছে যারা জীবনের শোক-তাপ পেয়ে ঠাকুরের-মূর্তি ফেলে দেয়। অনেকে এমন আছে যারা শোক তাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঠাকুর কেই আঁকড়ে ধরে। 🌹
আমরা যদি জীবনের দুঃখ যন্ত্রণার মধ্যেও শ্রীকৃষ্ণের চরণ কে আঁকড়ে ধরি এবং হরিনাম করি, তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই নিজেদের সমস্ত সংকট কাটিয়ে উঠবো।
এটি শুধুমাত্র বিশ্বাস প্রয়োজন ।
নিজের সমগ্র জীবন দিয়ে আমি এই শিক্ষায় লাভ করেছি।। 🙏🙏🌹🌿

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে

🌿🙏জয়রাধে শ্রী রাধে🙏🙏❤🙏।।