Bangla Critics

Bangla Critics Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bangla Critics, Film/Television studio, Gazipur.

'বাংলা ক্রিটিক্স'- এ আপনাকে স্বাগতম। এখানে বাংলা ভাষায় নাটক, চলচ্চিত্র, প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা এবং সমালোচনা করা হয়। গঠনমূলক সমালোচনা ভাল কিছুর জন্ম দেয়। আসুন আমরা গঠনমূলক সমালোচনা করি এবং বাংলা ক্রিটিক্স এর সাথে থাকি।

সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা সাড়া জাগানো সিনেমা 'পাল্প ফিকশন' মুক্তির (১৯৯৪) তিন দশক পার হল। এই সিনেমার অন্যতম অভিনেতা জন ট্...
16/10/2024

সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা সাড়া জাগানো সিনেমা 'পাল্প ফিকশন' মুক্তির (১৯৯৪) তিন দশক পার হল। এই সিনেমার অন্যতম অভিনেতা জন ট্রাভোল্টা সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, সিনেমাটি নিয়ে তাঁদের একদমই কোনো প্রত্যাশা ছিল না। সেই সিনেমাই অস্কার পেয়ে যাবে ভাবেনওনি। পরে তো অস্কার পেয়ে চমকে দেয় ভক্তদের সহ সবাইকে। দেখে না থাকলে দেখে নিতে পারেন এই 'মাস্টারপিস'। আর সিনেমাটি সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য জানতে নিচের লেখাটি পড়তে পারেন।

১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া কালজয়ী সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রের সাপেক্ষে মাত্র সাড়ে ৮ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছিল। সেই সিনেমাই ৩০ বছর আগে ২১৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সিনেমার খল চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা ভিং রাহমেস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি সিনেমাটির একটি প্রিমিয়ারে ছিলেন। ধারণা করেছিলেন, সিনেমাটি কিছুই হয়নি, হতাশও হয়েছিলেন। পরে দর্শকেরা সিনেমাটির প্রশংসা করা শুরু করলে ক্রমেই তাঁদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে থাকে।

সিনেমাটির পরিচালক বিখ্যাত কোয়েন্টিন টারান্টিনো। তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেরা একটি সিনেমা এটি। সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের তালিকায় সেরা সিনেমা হিসেবে ৯৪তম স্থানে জায়গা পায়। স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, ব্রুস উইলিস, উমা থারম্যান অভিনীত সিনেমাটি অস্কার, কানসহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পায়।

সিনেমাটিতে বেশ কিছু জায়গায় অসংলগ্ন, অ*শ্লীল দৃশ্য এবং শব্দও ছিল, যা তখনই সবাইকে নিয়ে দেখার মতো ছিল না। যে কারণে সিনেমাটি নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল। সিনেমায় শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অ*শ্লীল শব্দই (শব্দটি এখানে প্রকাশের অযোগ্য) ব্যবহৃত হয় প্রায় ২৬৫ বার! সিনেমাটি এখনো আইএমডিবির তালিকায় শীর্ষ ৮ নম্বরে জায়গা দখল করে রয়েছে। সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৯, যেখানে ভোট দিয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ দর্শক। রটেন টমেটোস এ এর রেটিং ৯২%, মেটাক্রিটিক এ ৯৫%, ৯২% গুগল ব্যবহারকারী এটা পছন্দ করেছেন। আমরা একে দিচ্ছি ৪.৫/৫।






দেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে ঢাকার সিনেমায় আলোচিত নায়িকা পরীমণি অভিনীত 'রঙিলা কিতাব'। এটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্লাটফরম 'হইচই...
15/10/2024

দেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে ঢাকার সিনেমায় আলোচিত নায়িকা পরীমণি অভিনীত 'রঙিলা কিতাব'। এটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্লাটফরম 'হইচই'- এ। 'রঙিলা কিতাব' পরিচালনা করেছেন পরিচালক অণম বিশ্বাস। প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন পরীমনি। পরীর সেই সিরিজ 'রঙিলা কিতাব' মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৮ নভেম্বর। সিরিজে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি ও মোস্তাফিজুর নুর ইমরান। পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে সিরিজটি ভালোবাসা, রহস্য ও উত্তেজনায় ভরপুর হতে যাচ্ছে। কিঙ্কর আহ্‌সানের 'রঙিলা কিতাব' উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজটি। পরিচালক অনম বিশ্বাস বলেন, "মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গল্প হলো 'রঙিলা কিতাব'। গল্পটাকে এমনভাবে বলার চেষ্টা করেছি, যাতে দর্শকেরা কানেক্ট করতে পারেন।"

এদিকে 'ফেলুবক্সী' সিনেমা দিয়ে কলকাতায়ও অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন পরী। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সিনেমাটি মুক্তির প্রচারণা। এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল দুর্গা পূজার উৎসব। কলকাতার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে নানা অলিগলি ছেয়ে গিয়েছিল 'ফেলুবক্সী' সিনেমার পোস্টারে। কলকাতার একটি পূজা মণ্ডপের প্যান্ডেল 'ফেলুবক্সী'র পোস্টার দিয়েই সাজানো হয়েছিল। মণ্ডপে নিজের সিনেমার পোস্টার দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি শেয়ারও করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন- "শিগগিরই আসছে লাবণ্য।" দেবরাজ সিনহা পরিচালিত 'ফেলুবক্সী' সিনেমায় পরীমণি অভিনয় করেছেন লাবণ্য চরিত্রে। গোয়েন্দা গল্প নিয়ে তৈরি থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটিতে তার সহশিল্পী সোহম চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকার প্রমুখ। সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন অদিতি বসু ও অম্লান চক্রবর্তী। দ্রুতই এটিও মুক্তির কথা রয়েছে।






গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না‌। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বন্যা একটি, আছে জলোচ্ছ্বাস, ...
14/10/2024

গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না‌। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বন্যা একটি, আছে জলোচ্ছ্বাস, আছে ঘূর্ণিঝড়। সাম্প্রতিক কালের বন্যায় অনেক মানুষ হয়েছেন নিঃস্ব, হারিয়েছেন ঘরবাড়ি, হারিয়েছেন পরিবার-পরিজন, অনেকে নিজের প্রাণ- যা এখনও চলমান। এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে আসলে আমাদের নিত্য বসবাস, যার প্রভাব আমরা দেখতে পাই চলচ্চিত্র তৈরীর বিষয়বস্তুতেও। আসুন জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে নির্মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ নির্ভর কিছু সিনেমা সম্পর্কে যেখানে নির্মাতারা আমাদের দুর্যোগময় বৃহৎ জীবন সংগ্রামের ছোট্ট খণ্ড চিত্র তুলে ধরেছেন। আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে পাশে দাঁড়াই সেই সকল নিঃস্ব, বিপর্যস্ত, কষ্টে থাকা মানুষদের, যারা এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে হারিয়েছেন তাদের সবকিছু। পর্ব: ২-

নোনাজলের কাব্য: ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি মূল ভূখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন প্রান্তিক জেলেপল্লীর জীবন চিত্রায়িত হয়েছে 'নোনাজলের কাব্য' সিনেমায়। এতে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জেলেদের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রাম, প্রতিকূল আবহাওয়ায় টিকে থাকার লড়াই, জেলে সমাজের রীতি নীতি স্থান পেয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড় হবে জানা থাকার পরও দরিদ্র জেলেদের বিপদসংকুল সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে হয় প্রভাবশালীদের চাপে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০২০ সালে। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিল সিনেমাটি। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও গিয়েছিল সিনেমাটি।

কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া: ২০২২ সালে মুক্তি পায় 'কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া' সিনেমাটি। এতে ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবিকার সংকট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সগ্রাম করে বেঁচে থাকার কাহিনী দেখানো হয়েছে। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ কাইয়ুম। ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে 'কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া' চলচ্চিত্রটি তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুনাম কুড়িয়েছিল মূলধারার এই সিনেমা। অভিনয়ে ছিলেন জয়িতা মহলানবিশ, উজ্জ্বল কবির হিমু, সুমি ইসলাম, সামিয়া আকতার বৃষ্টি, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম ও আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

সাঁতাও: খন্দকার সুমন পরিচালিত 'সাঁতাও' সিনেমায় উঠে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাত দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার সময়টাকে বোঝাতে দেশের উত্তরাঞ্চলে 'সাঁতাও' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। টানা বৃষ্টির দিনে জানালা দিয়ে বাইরে দেখার অসহায় অনুভূতিই ফুটে উঠেছে 'সাঁতাও' সিনেমার দৃশ্যে। ২০২৩ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমায় ছিল না কোনো বড় তারকা তবে ছিল শক্তিশালী গল্প। সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট নিয়ে বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দারস্থ হলেও কেউ অর্থায়ন করেনি। শেষ পর্যন্ত গণ-অর্থায়নে সিনেমাটি তৈরি করেন এর নির্মাতা। ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতেছিল সিনেমাটি। এতে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক, শ্রাবণী দাস রিমি প্রমুখ।






গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না‌। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বন্যা একটি, আছে জলোচ্ছ্বাস, ...
13/10/2024

গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ছে না‌। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বন্যা একটি, আছে জলোচ্ছ্বাস, আছে ঘূর্ণিঝড়। সাম্প্রতিক কালের বন্যায় অনেক মানুষ হয়েছেন নিঃস্ব, হারিয়েছেন ঘরবাড়ি, হারিয়েছেন পরিবার-পরিজন, অনেকে নিজের প্রাণ- যা এখনও চলমান। এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে আসলে আমাদের নিত্য বসবাস, যার প্রভাব আমরা দেখতে পাই চলচ্চিত্র তৈরীর বিষয়বস্তুতেও। আসুন জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে নির্মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ নির্ভর কিছু সিনেমা সম্পর্কে যেখানে নির্মাতারা আমাদের দুর্যোগময় বৃহৎ জীবন সংগ্রামের ছোট্ট খণ্ড চিত্র তুলে ধরেছেন। আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে পাশে দাঁড়াই সেই সকল নিঃস্ব, বিপর্যস্ত, কষ্টে থাকা মানুষদের, যারা এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে হারিয়েছেন তাদের সবকিছু। পর্ব: ১-

সীমানা পেরিয়ে: ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় পরিচালক আলমগীর কবিরের সিনেমা 'সীমানা পেরিয়ে'। বুলবুল আহমেদ ও জয়শ্রী কবির অভিনয় করেন এতে। ভয়াবহ ঝড়ের কবলে পড়ে একটি জাহাজ। ঝড় থেমে যাওয়ার পর সেই জাহাজের দুই যাত্রী, এক তরুণ ও এক তরুণী ভাসতে ভাসতে একটি অজানা স্বীপে এসে পৌঁছায়। এ দ্বীপে তারা দুজন ছাড়া আর কোনো মানুষের বসবাস নেই। তারপর শুরু হয় দুজনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম।

সারেং বৌ: শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৭৮ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আবদুল্লাহ আল মামুন নির্মাণ করেন সিনেমা 'সারেং বৌ'। এতে উঠে আসে জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জলোচ্ছ্বাসের পর চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। মানুষ, পশুপাখি। কেউই রক্ষা পায়নি ঝড়ের কবল থেকে। বেঁচে থাকা যুবক কদম পানি পানি করে কাতরাচ্ছে। খাওয়ার মতো একফোঁটা পানি কোথাও নেই। তারপর আসে 'সারেং বৌ' সিনেমার সেই কালজয়ী দৃশ্য। চরে খাওয়ার পানি না পেয়ে নিজের স্তন-দুগ্ধ দিয়ে স্বামী সারেং কদমের প্রাণ বাঁচায় স্ত্রী। এতে মুখ্য দুটি চরিত্র কদম সারেং ও নবীতুনের ভূমিকায় অভিনয় করেন যথাক্রমে ফারুক ও কবরী।

দুখাই: প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেন মোরশেদুল ইসলাম। 'দুখাই' নামের এ সিনেমায় ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে দুখাই তার পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এরপরও তার জীবন থেমে থাকে না। সে আবারও নতুন জীবন শুরু করে। একটি ফুটফুটে মেয়ের জন্ম হয়। দুখাই তার মেয়ের নাম রাখে সুখাই। দুখাই যেমন আজীবন দুঃখ পেয়ে গেছে, সুখাই যেন আজীবন সুখ পায়, এটুকুই চাওয়া তার। কিন্তু দুখাইয়ের দুঃখগাঁথা যেন শেষ হয় না। আবারও ঝড় এসে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়, কেড়ে নেয় তার সুখাইকে। এ সিনেমাটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর শতাব্দীর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদশের উপকূলীয় এলাকায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এ মর্মান্তিক কাহিনী নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন এ সিনেমাটি। এতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।


Islam




বুসান আপডেট: শেষ হয়েছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৯তম আসর। এই উৎসবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকে 'নিউ কার...
12/10/2024

বুসান আপডেট: শেষ হয়েছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৯তম আসর। এই উৎসবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকে 'নিউ কারেন্টস' বিভাগ। প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমার নির্মাতারা এই শাখায় সিনেমা জমা দেওয়ার সুযোগ পান। এ বিভাগে এবার যৌথভাবে এ পুরস্কার জিতেছে কোরিয়ার সিনেমা 'দ্য ল্যান্ড অফ মর্নিং কাম' এবং মিয়ানমারের সিনেমা 'এমএ-ক্রাই অফ সাইলেন্স'। সিনেমাটি কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, নরওয়ে ও কাতারের প্রযোজনায় নির্মিত। দুটি সিনেমাই পাচ্ছে ৩০ হাজার করে ডলারের পুরস্কার, বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

উৎসবে প্রতিযোগিতার আরেকটি বিভাগ 'কিম জিসোক'। এ বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা রিমা দাস ও তাইওয়ানের নির্মাতা টম লিন ইউ। তাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন 'ভিলেজ রকস্টার ২' ও 'ইয়েন অ্যান্ড এআই-লি' সিনেমার জন্য।

বুসান 'মের্চেন্যান্ট' পুরস্কার জিতেছে পার্ক মিনসো ও কেয়ানিয়াং পরিচালিত সিনেমা 'ওয়ার্ক অ্যান্ড ডেজস'। যৌথভাবে 'অ্যানাদার হোম' সিনেমার জন্য পুরস্কারটি জিতেছেন ফ্রাঙ্কি সিন। সিনেমাটি তাইওয়ান, হংকং, চীন ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। উৎসবে 'অ্যাক্টর অব দ্য ইয়ার' পুরস্কার জিতেছেন 'দ্য ফাইনাল সেমিস্টার' সিনেমার অভিনেতা ইয়ো লি হা ও 'হামিং' সিনেমার জন্য একই পুরস্কার জিতেছেন অভিনেত্রী পার্ক সিয়ন।

'নিউ কারেন্টস' ও 'নেটপ্যাক' পুরস্কারের পাশাপাশি 'কেবি নিউ কারেন্টস অডিয়েন্স' পুরস্কার পেয়েছে 'দ্য ল্যান্ড অব মর্নিং কাম'। উৎসবে কোস্টারিকা ও স্পেনের সিনেমা 'মেমোরিজ অব আ বার্নিং বডি' 'ফ্লাশ ফরোয়ার্ড অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড' জিতেছে। কোরিয়ার 'কে-নম্বর' তথ্যচিত্র বিভাগে 'ডকুমেন্টারি অডিয়েন্স" পুরস্কার জিতেছে। সিনেমা দুটি পরিচালনা করেছেন আন্তোনেল্লা সুদাসাসি ফার্নিস ও জো সিইং।

ইন্দোনেশিয়ার সিনেমা 'টেল অব দ্য ল্যান্ড' 'ফিপরেস্কি' শাখায় পুরস্কার জিতেছে।
অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া উৎসব গতকাল শেষ হয়। উৎসবের সমাপনী সিনেমা ছিল 'স্পিরিট ওয়ার্ল্ড'। গতকাল উৎসবের শেষে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী বছরের শিডিউল। ৩০তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসব আর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে না। আগামী বছর উৎসবটি সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। উৎসবে এশিয়ান ফিল্ম বাজার চলবে ২০-২৩ সেপ্টেম্বর।

এবার ২৯তম বুসানে বাংলাদেশ থেকে 'আ উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা' বিভাগে মাকসুদ হোসাইনের 'সাবা' ও বুসান ফিল্ম বাজারে অংশ নেয় ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর 'ঢাকার নাগিন' প্রজেক্ট। গত বছর বুসান থেকে প্রথমবারের মতো ইকবাল হোসাইনের 'বলী'র হাত ধরে 'নিউ কারেন্টস' পুরস্কার জয় করে বাংলাদেশের সিনেমা।


#বলী


'বেগমপাড়া' নামে ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা কামাল হোসেন। তিনি কানাডায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন। তিনি জানান এই সম...
11/10/2024

'বেগমপাড়া' নামে ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা কামাল হোসেন। তিনি কানাডায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন। তিনি জানান এই সময়ে দেশের একশ্রেণির মানুষের জীবন তাঁকে খুবই কৌতূহলী করে তোলে। তারা কানাডার 'বেগমপাড়া'য় থাকেন। যারা অবৈধ আয়ে সমাজে একটা বিভেদ তৈরি করেছেন। এই ওয়েব ফিল্মে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ পাঁচ শ্রেণির মানুষের পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যারা দেশে থেকে বিপুল টাকা অবৈধ পথে আয় করেছেন। সেই টাকায় স্ত্রী-সন্তানেরা যা ইচ্ছা, তাই করছেন কানাডায়। তাদের আচার-আচরণ, অভিজাত জীবনযাপন দেখে চেনার উপায় নেই যে তারা ঠিক কোন মহাদেশের। খোদ কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এটা রূপকথার গল্পের মতো। এই বিশেষ শ্রেণির ব্যক্তিরা থাকেন কানাডার 'বেগমপাড়া'য়, যাদের বেশির ভাগের বাড়ির দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা, চড়েন দামি গাড়িতে। যাঁরা পার্টি আর বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে মেতে থাকেন। এমন পাঁচটি পরিবারের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ওয়েব ফিল্ম 'বেগমপাড়া'।

নির্মাতা ভাষায়, "এই 'বেগমপাড়া'য় যারা থাকেন, তাদের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। দামি গাড়ি, বাড়ি, পার্টিতে এরা মাতোয়ারা। যাদের কোনোভাবেই বাঙালি বলে মনে হয় না। এতটাই ব্যয়বহুল জীবন যাপন করেন তারা। অথচ এই মানুষেরা কেউ বাংলাদেশে রাজনীতি করেন, কেউ হুন্ডি ব্যবসা করেন, কেউ অসৎ উপায়ে দেশ থেকে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এমন অনেকে আছেন, যারা দেশের ক্ষতি করেও টাকা পাঠিয়েছেন। এটা আমরা সবাই জানি। তাঁদের গল্পটিই 'বেগমপাড়া' ওয়েব ফিল্মে উঠে এসেছে।"

নির্মাতা আরও বলেন, "এমনও পরিবার দেখেছি, যারা 'বেগমপাড়া'য় ঘণ্টায় ঘণ্টায় পার্টির আয়োজন করে। কেউ স্ট্যাটাস মেনটেইন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। এগুলো আমাদের চোখে অসামঞ্জস্যভাবে ধরা দেয়। কিন্তু দিনে শেষে অবৈধ পথে আয় করা অর্থে, লুটের সম্পদে জীবনযাপনের পরিণতি কী হয়?- সেটাও আমাদের দেখা আছে। সেই গল্পই আমি ফিকশন আকারে দেখাচ্ছি।"

দেশের অপরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়ত এ ধরনের সাহসী কাজ পাওয়ার আশা করা যেতো না। জানা যায়, এ বছর শুরুর দিকেই দৃশ্য ধারণ শুরু হয় 'বেগমপাড়া' ওয়েব ফিল্মের। মুক্তি পেতো কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল বা পেলেও হয়তো অনেক কাট-ছাঁট করে পেতো। এ ফিল্মে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও কানাডার প্রবাসী অভিনয়শিল্পীরা। এখানে অভিনয় করেছেন আরফান আহমেদ, আসিফ নাসারি, উনাইশা নায়ির, ইশরাত জাহান, নাইমা ফেরদৌসী, ইফফাত শারমিন প্রমুখ। এটি দ্রুতই একটি দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মে প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্মাতাকে ধন্যবাদ এ ধরনের কাজ উপহার দেয়ার জন্য।





পূজা চেরী ও আদর আজাদ অভিনীত প্রথম সিনেমা 'নাকফুল'। ফেরারী ফরহাদের গল্পে এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা আলোক হাসান। সি...
10/10/2024

পূজা চেরী ও আদর আজাদ অভিনীত প্রথম সিনেমা 'নাকফুল'। ফেরারী ফরহাদের গল্পে এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা আলোক হাসান। সিনোমাটি নিয়ে পূজা চেরী জানান 'নাকফুল' একটি নারীর কাছে বিশেষ এক অলংকার। নারীদের কাছে এক আবেগের গয়না। তিনি আশা করছেন দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা উপহার পেতে যাচ্ছেন। তাঁর সহশিল্পী আদর আজাদের কাছে জানা গেছে, সিনেমাটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে। গ্রামের সহজ-সরল প্রতিবাদী এক যুবকের চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে। সিনেমায় তাঁর নাম রাজু। একসময় গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর তার সঙ্গে তৈরি হয় ভালোবাসার সম্পর্ক। এর মাঝেই ঘটতে থাকে নানান ঘটনা। তিনিও আশা করছেন এ সিনেমার গল্পটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

'নাকফুল' সিনেমার যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে আরও দেড় বছর আগে। তারপরও সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছিল না। এর আগে একাধিকবার মুক্তির কথা শোনা গেলেও অবশেষে পরিচালক আলোক হাসান জানান 'নাকফুল' মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ভালোবাসা দিবসে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। 'নাকফুল' সম্পর্কে পরিচালক জানান সিনেমাটি ভালোবাসার। চমৎকার প্রেমের গল্প নিয়ে। সেজন্যই ভালোবাসা দিবসে মুক্তি দিতে চাচ্ছেন। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।






শেষ পর্যন্ত কি আবারও মুখোমুখি বাংলার দুই সুপারস্টার? শাকিব খান এবং জিৎ দুজনেই নিজ নিজ ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। তবে মাঝে ...
09/10/2024

শেষ পর্যন্ত কি আবারও মুখোমুখি বাংলার দুই সুপারস্টার? শাকিব খান এবং জিৎ দুজনেই নিজ নিজ ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। তবে মাঝে মাঝেই তাঁদের মধ্যে সিনেমা নিয়ে মুখোমুখি হতে দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে দীর্ঘ সাত বছর পর আবার এই দুই তারকা নিজেদের সিনেমা নিয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। সামনের ঈদুল ফিতরে মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালনায় 'বরবাদ' নিয়ে আসছেন শাকিব খান। আর জিৎ আসছেন রায়হান রাফী পরিচালত 'লায়ন' নিয়ে। সিনেমা দুটির শুটিং এখনো শুরু না হলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তুমুল আলোচনা। অনেকেই ধারণা করছেন- আসন্ন ঈদে 'বরবাদ'-'লায়ন' এর কঠিন লড়াই হবে!

২০১৬ সালের ঈদে 'শিকারী' ও 'বাদশা' সিনেমা দুটি নিয়ে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন শাকিব ও জিৎ। 'শিকারী' দিয়ে শাকিব বাজিমাত করলেও পিছিয়ে ছিলেন না জিৎ। ২০১৮ সালের ঈদে 'ভাইজান এলো রে' ও 'সুলতান' দিয়ে আবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। সেবার 'সুলতান' নিয়ে জিৎ ব্যর্থ হলেও শাকিব কিছুটা এগিয়ে ছিলেন। সাত বছর পর আবার এই দুই তারকা সিনেমা নিয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।

নায়ক শাকিব খানের পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেছেন, "অন্যরকম এক অ্যাকশন সিনেমা হবে 'বরবাদ'। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা ঈদে আসব।" "বরবাদ' এ শাকিবের নায়িকা হবেন 'প্রিয়তমা' খ্যাত ইধিকা পাল কিন্তু 'লায়ন' এ জিতের নায়িকা কে হবেন সেটির ঘোষণা দেননি পরিচালক রায়হান রাফী। তিনি বলেছেন, "নায়িকা বাংলাদেশ থেকে কেউ থাকবেন। সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।" 'প্রিয়তমা' ও 'তুফান' এর সাফল্যে শাকিবের সময়টা ভালো কাটলেও একের পর এক ফ্লপ দিয়ে জিতের সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে। অনেকের মতে, ব্যর্থতা কাটাতেই সময়ের হিট নির্মাতা রাফীকে বেছে নিয়েছেন নায়ক জিৎ। যাই হোক, শাকিব-জিতের এ পর্দার লড়াই কতটা জমে উঠবে?- সেটির উত্তর মিলবে আগামী ঈদুল ফিতরেই। তবে আমাদের পক্ষ থেকে দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল।








চলতি বছর ঈদুল আজহায় 'দরদ' সিনেমার টিজার প্রকাশ হয়েছিল। সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের গল্পে তৈরি সিনেমার সেই টিজার তখন সবার নজর কা...
07/10/2024

চলতি বছর ঈদুল আজহায় 'দরদ' সিনেমার টিজার প্রকাশ হয়েছিল। সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের গল্পে তৈরি সিনেমার সেই টিজার তখন সবার নজর কাড়ে। ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের টিজারে শাকিবের সঙ্গে বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহানের রসায়ন নিয়েও অন্তর্জালে বেশ আলোচনা হয়।

যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে 'দরদ'। নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে 'দরদ' প্যান ইন্ডিয়া সিনেমা হিসেবে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দিতে চায় সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকেও মুক্তির অনুমতি পেয়েছে শাকিব খানের নতুন সিনেমা 'দরদ'। সিনেমাটি বোর্ড সদস্যদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। মুক্তির অনুমতি পাওয়ায় খুশি সিনেমাটির পরিচালক অনন্য মামুনও। তিনি বলেন, "প্রচার শুরু হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে মুক্তির দিনক্ষণও জানিয়ে দেয়া হবে।"

এদিকে নায়ক শাকিব খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও কয়েকটি লুকের একটি ছবির কোলাজ পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "'দরদ' ভরা ভালোবাসা নিয়ে সে আসছে...।" সিনেমাটিতে শাকিব-সোনাল ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, রাহুল দেব, অলোক জৈন, সাফা মারিয়াসহ অনেকে।

#দরদ



বাংলা, হিন্দিসহ, তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি, কন্নড়, ওড়িয়া, ভোজপুরী ৩৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন...
06/10/2024

বাংলা, হিন্দিসহ, তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি, কন্নড়, ওড়িয়া, ভোজপুরী ৩৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে মিঠুন চক্রবর্তীর। এরপর গত চার দশকে বিভিন্ন ভাষার, বিভিন্ন ঘরানার সিনেমায় দেখা গেছে এই বাঙালি অভিনেতাকে। সম্প্রতি কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেকশন জুরি ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য। ভারতের জাতীয় পুরস্কার, পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন আগেই, এবার সম্মানজনক দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আগামী ৮ অক্টোবর ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অভিনেতার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।

পুরস্কারের পাওয়ার খবরে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, "সত্যি বলতে, আমি ভাষাহীন। আমি হাসতে পারছি না, খুশিতে আবার কাঁদতেও পারছি না। আমার জন্য অনেক বড় বিষয় এটা। কলকাতার এক অন্ধকার গলি থেকে আমি উঠে এসেছি। ফুটপাত থেকে লড়াই করে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি। আজ সেই ছেলেটা এত বড় সম্মান পাচ্ছে। সত্যি আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমি বাকরুদ্ধ। আমি এই পুরস্কার দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আমার সব ভক্ত আর আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি।"

৮ তারিখে পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি তার জন্য বাড়তি আনন্দের হওয়ার কথা একই দিনে তাঁর একটি নতুন সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে বলে। গত কিছুদিন অসুস্থতা বারবার ভুগিয়েছে তাঁকে, তবু অভিনয় ছাড়েননি। তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা 'শাস্ত্রী'। এই বাংলা সিনেমাটি আগামী ৮ অক্টোবর মুক্তির অপেক্ষায় আছে। জ্যোতিষ বনাম বিজ্ঞান নিয়ে সিনেমাটির গল্প। গল্পটা এক সহজ সরল মানুষের, নাম পরিমল। সে সুখে শান্তিতে ঘর করে তার পরিবারকে নিয়ে। তার শুধু একটাই নেশা, লটারির টিকিট কাটা আর জ্যোতিষীর কাছে যাওয়া। প্রতিবার সে ভাবে এবার হয়তো ভাগ্যের চাকাটা ঘুরবে, কিন্তু কিছুই হয়না। এসবের মধ্যেই একদিন তাঁর ফ্যাক্টরিটা বন্ধ হয়ে যায়। গোটা পরিবার পথে বসে। তখনই সে একটা বেশি টাকার লটারি জেতে। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয় না। বাড়ি ফিরে দেখে লটারির টিকিট নিয়ে তার ছেলে কাগজের নৌকা বানিয়ে জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। এরপর কেটে যায় বেশ কিছু বছর। হঠাৎ একদিন এলাকার কাউন্সিলর এসে জানায় ওদের বাড়ি তারা দখল করবে। কিন্তু পরিমল সেই বাড়ি বিক্রি করতে নারাজ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর সে ভাবে মৃত্যুই একমাত্র পথ। এই সময় তার চশমা ভেঙে যায়। একজন অদ্ভুত লোক এসে তাকে একটা চশমা বিক্রি করে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও বলে যে চশমাটা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। নাহলে এর প্রভাব অন্যরকম হবে। পরিমল কিছুদিন পর থেকে বুঝতে পারে এই চশমা যে সে চশমা না, এটা পরলে ভবিষ্যৎ দেখা যায়। সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ভয়ে ভয়ে কাউন্সিলরকে জানায় যে সে দেখতে পাচ্ছে কাউন্সিলরের বাড়ি কদিন পর রেড হতে চলেছে। এবং ঠিক তাই হয়। এবার কাউন্সিলর পরিমলের অনুগত হয়ে যায়। লোকটি পরিমল থেকে হয়ে ওঠে 'পরিমল বাবা'। সে মানুষকে বলে দিতে থাকে তার ভবিষ্যৎ। কিন্তু এইখানেই কি শেষ? নাকি এই অলৌকিক শক্তিই তার জীবন করে তুলবে আরও কঠিন? সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সিনেমা মুক্তির।

সিনেমায় মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, রজতাভ দত্ত, সৌরসেনী মৈত্র এবং সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও রয়েছেন শাশ্বত চট্টোাপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক। তবে সোহম কেবল এই সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ নন, তিনি এই ছবির প্রযোজকও বটে। সব মিলিয়ে সবার প্রিয় বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে অভিনন্দন এতদিন ধরে এতগুলো মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য।






২০০২ সালে 'লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক' প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিনোদন জগতের পেশাদার যাত্রা শুরু হয় বহুমাত্রিক প্রতিভার ...
05/10/2024

২০০২ সালে 'লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক' প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিনোদন জগতের পেশাদার যাত্রা শুরু হয় বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শিল্পী কুসুম শিকদারের। মডেলিং ও অভিনয় ছাড়া কুসুম শিকদারকে গানেও দেখা গেছে। তাঁর গাওয়া গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে। এখনো তাঁকে হঠাৎ হঠাৎ গানে দেখা যায়। সর্বশেষ তাঁর গাওয়া 'নেশা' শিরোনামের একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। মডেলিং, নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয়ের পাশাপাশি কুসুম শিকদার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। 'গহীনে শব্দ', 'লাল টিপ', 'শঙ্খচিল' সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে আলোচনায় আসা এ অভিনেত্রী এবার অনেক দিন পর 'শরতের জবা' সিনেমা নিয়ে ফিরছেন। গল্পটি তাঁর লেখা 'অজাগতিক ছায়া' গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের বইমেলায় অভিনেত্রীর এই বই 'অজাগতিক ছায়া' তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে বের হয়েছিল।

মূলত নিজের পছন্দ না হলে তাঁকে কাজ করতে দেখা যায় না। তাই পছন্দ মতন মানসম্মত কাজ না পেয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। এবার যেমন পাঁচ বছর পর সিনেমা দিয়ে ফিরছেন কুসুম শিকদার। তাঁর পরিচালিত সিনেমা 'শরতের জবা' গত এপ্রিলেই সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিল। এরপর মুক্তির চিন্তাভাবনাও করছিলেন তিনি। জুলাই-আগস্টে দেশের পরিস্থিতি ভালো না থাকায় মুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। এরপর ভেবেছিলেন সেপ্টেম্বরে মুক্তি দেবেন সিনেমাটি। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসেন তিনি। জানা গিয়েছিল, পরিস্থিতি যা-ই হোক, আগামী নভেম্বরেই মুক্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে অনুযায়ী টিজার, ট্রেলার, পোস্টারও প্রকাশ হয়েছিল। এর মাঝেই জানা গেল নভেম্বর নয়!- এই শরতেই অক্টোবরের ১১ তারিখ মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

একজন একাকী নারীর রহস্যময় জীবনের গল্প 'শরতের জবা'। অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন- নানা সময়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। জবা কি আসলেই খুনি? নাকি অদৃশ্য কোন শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমন থ্রিলার গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে 'শরতের জবা'। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুসুম শিকদার সহ জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনেও দেখা যাবে।





জনপ্রিয় তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব কলকাতায় একটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জানা গেছে থ্রিলার ঘরানার সেই সিনেমার নাম '...
04/10/2024

জনপ্রিয় তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব কলকাতায় একটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জানা গেছে থ্রিলার ঘরানার সেই সিনেমার নাম 'চালচিত্র'। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন প্রতীম ডি গুপ্ত। পরিচালকের বরাতে জানা গেল আগামী ২০ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।

নির্মাতা জানিয়েছেন, 'চালচিত্র' থ্রিলার ঘরানার হলেও পারিবারিক সম্পর্ক আর আবেগের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সিনেমার অ্যাকশনের দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ মনোযোগ। ইনভেস্টিগেটিভ ঘরানার থ্রিলার 'চালচিত্র' সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় দেখা যাবে চার অভিনয়শিল্পী টোটা রায় চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শান্তনু মাহেশ্বরী ও ইন্দ্রজিৎ বসুকে। সাথে রয়েছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন ও স্বস্তিকা দত্ত। সিনেমায় অপূর্বকে দেখা যাবে এক রহস্যময় চরিত্রে। সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। রাইমাকে দেখা যাবে টোটা রায়ের স্ত্রীর চরিত্রে। স্বস্তিকা হবেন শান্তনুর প্রেমিকা।

পরিচালক জানিয়েছেন, সিনেমাটির গল্প কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে। পূজার আগে শহরে একের পর এক মেয়ে খুন হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একদল অফিসার এ সিরিয়াল কিলিংয়ের তদন্তে নামে। আর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, খুনের পর লাশগুলোকে যেভাবে সাজিয়ে রাখা হয় সেটার সঙ্গে ১২ বছরের পুরনো একটি মামলার মিল খুঁজে পায় টোটা রায়ের চরিত্র। সত্যিই কি সেই মামলার সঙ্গে এ মামলার মিল রয়েছে? নাকি তদন্তে নতুন কিছু উঠে আসবে?- সেই রহস্যময় আবহ নিয়েই এ সিনেমা। এর মাঝেই রহস্য উদ্‌ঘাটনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এক রহস্যময় পুরুষ। এমনই একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব যেখানে তাঁকে একটা জায়গায় দেখা যাচ্ছে লাল পাঞ্জাবিতে, গালভর্তি দাড়ি নিয়ে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। এখন মুক্তির পর বলা যাবে, রহস্যের সমাধান কি হয়েছিল 'চালচিত্র' সিনেমায়? নাকি তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমাদের অপূর্ব সাহেব!





Address

Gazipur
1700

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangla Critics posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangla Critics:

Share