হৃদয়ের কথা-Hridoyer Kotha

হৃদয়ের কথা-Hridoyer Kotha পেজটি ভালো লাগলে Like দিয়ে Share করুন।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Md Asadul Islam, Md Akram Khondkar, বাবলু মিয়া
18/10/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Md Asadul Islam, Md Akram Khondkar, বাবলু মিয়া

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, Hasan Gazi, Md Kasobuddin
12/09/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, Hasan Gazi, Md Kasobuddin

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়...
03/08/2023

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের বাঁ দিক অবশ হয়ে গেলো। যে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো দেখাশোনা করার জন্য, সেই মেয়ে এখন উল্টো মাকে দেখাশোনা করতে লাগলো।

অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে গিয়ে স্ত্রীকে বললাম,"সন্তান জন্মের পরই বাড়িতে চলে এসো।"
স্ত্রী বললো,"বাবা সারাদিন চাকরিতে ব্যস্ত থাকেন। ছোটো ভাইও ভার্সিটি, টিউশনি নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে। গোটা দিন মাকে দেখার কেউ নেই। এই অবস্থায় অসুস্থ মাকে রেখে কী করে যাই?"
"কী বলতে চাও তুমি?"

"মা নিজে নিজে উঠতে বসতে পারলে, এবং কিছুটা হাঁটতে পারলে আমি চলে যাবো। সেই পর্যন্ত আমাকে থাকতে দাও।"
বিরক্ত হয়ে বললাম,"তোমার মায়ের ঐ অবস্থায় আসতে ছয় মাস লাগবে। ততোদিন থাকবে এখানে?"
"ছয় মাস লাগবে না। ডাক্তার বলেছেন দু মাসের মধ্যে মা সুস্থ হয়ে যাবে।"

অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলাম।
যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো।
স্ত্রী ঐ সদ্যজাত ছেলেকে নিয়ে মায়ের সেবা করে যেতে লাগলো।

এই সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লো। এবার তো স্ত্রীকে আনতেই হবে।

স্ত্রীকে যেদিন আনতে গেলাম সেদিন অসুস্থ শাশুড়ি বাচ্চাদের মতো কাঁদলো।
শাশুড়ি মেয়ের হাত ধরে বারবার বলছিলো,"তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো।
একদম মরে যাবো।"
উত্তরে মেয়ে বললো,"মাগো, মেয়েদের জীবন এতো কঠিন কেনো...?
নিজের অসুস্থ মাকে ফেলে কেনো চলে যেতে হয়...?

মেয়ে চলে যাক এটা ওদের বাড়ির কেউ চাইছিলো না। কিন্তু আমি নিরুপায়। স্ত্রী যেমন তার মায়ের কথা ভাবছিলো, আমিও তেমনি আমার মায়ের কথা ভাবছিলাম।

স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর শাশুড়ির শরীরের অবস্থার অবনতি হলো।
আমার মা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে স্ত্রী একদিন আমাকে বললো,"আমাকে এবার মায়ের কাছে যেতে দাও।
তুমি তো জানোই মায়ের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছে।"

স্ত্রী চলে গেলে মায়ের সেবা যত্নের ঘাটতি হবে।
এতে মা'র অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে।
তাই বললাম,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

সে স্তব্ধ হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
এর কিছু দিন পর আমার শাশুড়ি মারা গেলো।
সেদিন স্ত্রী আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো, যার অর্থ হলো, "তোমার জন্য আমার মা মারা গেলো।

জানি, মায়ের মৃত্যুর জন্য সে আজীবন আমাকে দায়ী করবে।
কিন্তু সে কখনোই আমার অবস্থার কথা ভাববে না।

তবে সাতাশ বছর পর এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যখন আমি প্রমাণ করতে পারলাম, শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নই ¡!¡

#ঘটনা_কী_হয়েছিলো_বলি।
আমার স্ত্রী তখন অসুস্থ। ছেলের বউ তার সেবা করছিলো। এই সময় আচমকা ছেলের শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে পড়লো।
তাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই।

ছেলের বউ তখন বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ছেলে ঠিক আমার কথাটাই বললো,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

ছেলের বউ স্তব্ধ হয়ে তার স্বামীর দিকে তাকালো, ঠিক যেভাবে আমার স্ত্রী একদিন আমার দিকে তাকিয়েছিলো।

আমি সেদিন আমার স্ত্রীকে বললাম,তোমার মায়ের মৃত্যুর জন্য তুমি আমাকে দায়ী ভাবো।
কিন্তু এখন নিজের ছেলেকে দেখে বুঝলে তো, আমি পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
আমার মা যদি সে সময় অসুস্থ না থাকতো, তাহলে তোমাকে যেতে দিতাম। আমার কিছু করার ছিলো না।"
স্ত্রী শোয়া অবস্থায় বললো,"কিছু করার ছিলো না?"
--না--..?

সে তখন ছেলেকে আর ছেলের বউকে ডাকলো।
ওরা এলে প্রথমে ছেলেকে বললো,"তুই নিজের মায়ের কথা ভাবছিস, এটা মা হিসেবে আমার জন্য আনন্দের। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, তোর শাশুড়ি হলো তোর স্ত্রীর মা।

তোর যেমন মন কাঁদছে মায়ের জন্য, তোর বউয়েরও তেমন মন কাঁদছে তার মায়ের জন্য।
ছেলে তখন বললো,"কিন্তু আমি কী করতে পারি...?

তোমাকে এই অবস্থায় রেখে বউকে তো আর বাপের বাড়িতে পাঠাতে পারি না।"

আমার স্ত্রী তখন যে কথা বললো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
সে বললো,"তোর শাশুড়িকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়।

নতুবা আমাকে নিয়ে চল তোর শ্বশুরবাড়িতে।
তারপর ছেলের বউকে বললো, এক সাথে দুই অসুস্থ মায়ের সেবা করতে আপত্তি নেই তো তোমার...?

ছেলের বউ অপ্রত্যাশিত এই কথা শুনে আমার স্ত্রীর হাত ধরে কেঁদে দিলো।
এবং বললো,"কোনো আপত্তি নেই মা।
ছেলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,"শাশুড়িকে এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি।

খরচ নিয়ে ভাবতে হয় নি।
ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে সব খরচ বহন করা হয়েছিলো। এমনকি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচও তারা অনেকখানি দিয়েছিলো।

মেয়ের সান্নিধ্যে থেকে ছেলের শাশুড়ি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো।
এবং যেদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলো, সেদিন থেকে অপরাধ বোধের কারণে স্ত্রীর চোখের দিকে আর তাকাতে পারি নি।
কেননা, অবশেষে শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়ে গেলাম।

আমার স্ত্রী ছেলের শাশুড়িকে এনে যে সমাধান দিয়েছিলো সেটা আমার শাশুড়ির ক্ষেত্রেও করতে পারতাম।
কিন্তু করতে পারি নি, কারণ সেদিন শুধু আমার মায়ের কথা ভেবেছিলাম।
স্ত্রীর মায়ের কথা নয়।
আর তাছাড়া আমার স্ত্রী যদি সেদিন এই সমাধানের কথা বলতো, তবে ঝামেলা হবে ভেবে রাজি হতাম না।

আসলে অন্যের জন্য ভাবতে গেলে বড়ো মন লাগে।
যা আমার স্ত্রীর আছে। আমার নেই।

এই শেষ বেলায় চাওয়া এখন একটাই, ছেলে তার মায়ের মতো হোক। বাবার মতো নয়।

_Collected

04/04/2023

সবাই চলে যাবে!!
Sobai Chole Jabe!!

২ বিয়ে করেছেন শাকিব খান৩ বিয়ে করেছেন কবরী ২ বিয়ে করেছেন আলমগীর ২ বিয়ে করেছেন জসীম২ বিয়ে করেছেন সুচরিতা ২ বিয়ে করেছেন সুচ...
10/10/2022

২ বিয়ে করেছেন শাকিব খান
৩ বিয়ে করেছেন কবরী
২ বিয়ে করেছেন আলমগীর
২ বিয়ে করেছেন জসীম
২ বিয়ে করেছেন সুচরিতা
২ বিয়ে করেছেন সুচন্দা
৩ বিয়ে করেছেন রুনা লায়লা
২ বিয়ে করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন
২ বিয়ে করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন
৩ বিয়ে করেছেন দিতি
৩ বিয়ে করেছেন অপূর্ব
২ বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা
৩ বিয়ে করেছেন শাকিল খান
২ বিয়ে করেছেন রোজী আফসারী
২ বিয়ে করেছেন শখ
২ বিয়ে করেছেন নিলয়
৩ বিয়ে করেছেন আরিফিন রুমি
২ বিয়ে করেছেন সালমা
৩ বিয়ে করেছেন মমতাজ
২ বিয়ে করেছেন সামিনা চৌধুরী
২ বিয়ে করেছেন বাপ্পা মজুমদার
২ বিয়ে করেছেন রাজিব
২ বিয়ে করেছেন প্রভা
২ বিয়ে করেছেন বিজরী বরকতউল্লাহ
২ বিয়ে করেছেন অপি করিম
৩ বিয়ে করেছেন অনন্ত জলিল
৩ বিয়ে করেছেন ন্যান্সি
২ বিয়ে করেছেন ডলি সায়ন্তনী
৪ বিয়ে করেছেন পরীমণি
২ বিয়ে করেছেন মাহিয়া মাহি
২ বিয়ে করেছেন মিলা
২ বিয়ে করেছেন সুবর্ণা মোস্তাফা
তবে কখনো কেউ এদের বিয়ের কাবিন নামা আজ ও পর্যন্ত কেউ দেখতে চাইলো না।এমনকি কোন মিডিয়া পর্যন্ত কোন নিউজ করলো না। তবে দুঃখের বিষয় হলো একজন নিরীহ্ নিরাপরাধ আলেমকে আজকে এই বিষয়টা নিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। মালিক এর বিচার তুমিই করিও? আমিন।

শিক্ষণীয় পোস্ট  🌿🥀🌿এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেল। খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম অভাব। স্বর্ণকারে...
05/10/2022

শিক্ষণীয় পোস্ট 🌿🥀🌿

এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারটা বেশ সংকটে পড়ে গেল। খাদ্য-বস্ত্রে দেখা দিল চরম অভাব।

স্বর্ণকারের বিধবা স্ত্রী তার বড় ছেলেকে একটা হীরের হার দিয়ে বলল, 'এটা তোমার কাকার দোকানে নিয়ে যাও সে যেন এটা বেচে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দেয়'।

ছেলেটা হারটি নিয়ে কাকার কাছে গেল। কাকা হারটা ভালো করে পরীক্ষা করে বলল, 'বেটা, তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজার খুবই মন্দা, কয়েকদিন পর বিক্রি করলে ভাল দাম পাওয়া যাবে'। কাকা কিছু টাকা ছেলেটিকে দিয়ে বললেন, 'আপাতত এটা নিয়ে যাও আর কাল থেকে তুমি প্রতিদিন দোকানে আসবে আমি কোন ১দিন ভাল খদ্দর পেলেই যেন তুমি দৌড়ে হার নিয়ে আসতে পার তাই সারাদিন থাকবে।'

পরের দিন থেকে ছেলেটা রোজ দোকানে যেতে লাগল। সময়ের সাথে সাথে সেখানে সোনা-রুপা-হীরে কাজ শিখতে আরম্ভ করল। ভালো শিক্ষার ফলে অল্প দিনেই খুব নামি জহুরত বনে গেল। দূর দূরান্ত থেকে লোক তার কাছে সোনাদানা বানাতে ও পরীক্ষা করাতে আসত। খুবই প্রশংসিত হচ্ছিল তাঁর কাজ।

একদিন ছেলেটির কাকা বলল, 'তোমার মাকে গিয়ে বলবে যে এখন বাজারের অবস্থা বেশ ভালো, তাই সেই হারটা যেন তোমার হাতে দিয়ে দেন। এখন এটা বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।'

ছেলেটি ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে হারটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখল যে এটা একটা নকল হীরের হার। তাই সে হারটা আর কাকার কাছে না নিয়ে বাড়িতেই রেখে দিল।

কাকা জিজ্ঞেস করল, 'হারটি এনেছ?' ছেলেটি বলল, 'না কাকা, পরীক্ষা করে দেখলাম এটা একটা নকল হার'।

তখন কাকা বলল, 'তুমি যেদিন আমার কাছে হারটি প্রথম নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম যে এটা নকল, কিন্তু তখন যদি আমি তোমাকে এই কথাটা বলে দিতাম, তাহলে তোমরা হয়তো ভাবতে যে আজ আমাদের মন্দা সময় বলেই কাকা আমাদের আসল জিনিষকে নকল বলছে'।

আজ যখন এ ব্যাপারে তোমার পুরো জ্ঞান হয়ে গেছে, তখন তুমি নিজেই বলছ এটা নকল হার।
এই দুনিয়াতে প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া তুমি যা কিছু দেখছ যা কিছু ভাবছ সবটাই এই হারের মতই নকল, মিথ্যে।

জ্ঞান ছাড়া কোনো জিনিসের বিচার সম্ভব নয়। আর এই ভ্রমের শিকার হয়েই অনেক সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। তোমাদের সাথে আমার সেই সম্পর্কটা নষ্ট হোক আমি তা চাইনি।

একগুচ্ছ কনডম-গল্পএক. জাতীয় বইমেলা থেকে বেরিয়ে রমনাপার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। শখের বসে পার্কে ঢুকলাম। জুব্বা, বাবর...
03/10/2022

একগুচ্ছ কনডম-গল্প

এক. জাতীয় বইমেলা থেকে বেরিয়ে রমনাপার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। শখের বসে পার্কে ঢুকলাম। জুব্বা, বাবরি আর পাগড়িওয়ালা হুজুর দেখে অনেক যুগল বিব্রতবোধ করছে বুঝলেও আমি হাঁটতেই থাকলাম। ঘন সবুজ পাতা, ঘাস আর গাছগাছালির ছায়াময় পবিবেশ আমায় খুব টানে। তাই পার্কের ওই দিকটায় হেঁটে গেলাম। কিন্তু পরিবেশটা কেমন যেন নির্জন মনে হলো। গা-টাও ছমছম করছিল। তবুও এগোলাম। হঠাৎ সামান্য পিছলা খেলাম। পায়ের নিচে হালকা পিচ্ছিল কোনো জিনিস অনুভূত হলো। চেয়ে দেখি সাদা পদার্থভর্তি একটা কনডম! আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এরকম আরও অনেক কনডম। বুঝলাম, নির্জন এই জায়গাটা যুগলদের ভালোবাসা গেলানোর অভয়ারণ্য! চিন্তা করলাম, পরিত্যক্ত কনডম বিক্রি করে পয়সা কামাইয়ের যদি কোনো সুযোগ থাকত, তাহলে শহরের টোকাইরা এসব পার্কে বস্তা নিয়ে ঘুরত!

দুই. গল্পটি আমার নয়; অনুবাদের দানবখ্যাত মাও. আবদুল্লাহ আল-ফারুক ভাইয়ের। বছর খানেক আগে তাঁর একটি পোস্ট পড়ে খুব হেসেছিলাম। পোস্টটির সারাংশ হলো, প্রাইভেট গাড়িতে করে ঢাকার কোথাও যাচ্ছিলেন। গাড়িটি জ্যামে আটকা পড়ল। সম্ভবত ফার্মগেট এলাকায়। কোনো আবাসিক হোটেলের নিচে হবে হয়তো। হঠাৎ পটাস করে কী যেন একটা বস্তু গাড়ির সামনের গ্লাসে এসে পড়ল। গ্লাসের ওই অংশটা ঘোলাটে হয়ে গেল। ড্রাইভার বেরিয়ে গিয়ে টিস্যু দিয়ে জিনিসটা সরিয়ে জায়গাটা মুছে নিলেন। এরপর হাসতে হাসতে ড্রাইভিং সিটে এসে বসে বললেন, জিনিসটা ছিল সাদা পদার্থভর্তি কনডম! ভাগ্যিস, জিনিসটা গাড়ির গ্লাসেই পড়েছে। নইলে হয়তো কোনো পথচারীর টেকোমাথায় গিয়ে পড়ত। বেচারা কাকের বিষ্ঠা মনে করে হাত দিতেই বমি করে ফেলত!

তিন. সিলেটে থেকে ঢাকা ফিরব। কিন্তু কোনো বাসেরই টিকিট নেই। কাউন্টারগুলোতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পরদিন দেশের বিভিন্ন সরকারি ভার্সিটিতে ভর্তিযুদ্ধ ছিল। টিকিট পেলাম না। কী আর করা, ভোরের একটি টিকিট কেটে রাত পোহানোর জন্য পাশের একটি আবাসিক হোটেলে উঠলাম। ঘুমোতে গিয়ে বিছানার চাদরের এখানে-ওখানে ছোপ ছোপ আকারে কিছুটা সাদাটে পদার্থের দাগ দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল। পয়সা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য কেনা রুমের বিছানার চাদর এমন, মেনে নিতে পারলাম না। বেরিয়ে এলাম বাইরে। কেয়ারটেকারকে দেখি ঠ্যাঙ তুলে, নাক ডেকে বেঞ্চের উপর বেঘুরে ঘুমাচ্ছে। না জাগিয়েই ফিরে গেলাম রুমে। বিছানার চাদর সরিয়ে সেখানে একটা লুঙ্গি বিছিয়ে দিলাম। এরপর গেলাম বাথরুমে। কিন্তু কোনো টিস্যু নাই। ঝুড়িতে উঁকি দিয়ে দেখি, কতগুলো কনডমের খোসা! বুঝলাম, খোসাগুলো ঝুড়িতে হলেও ব্যবহৃত কন্ডমগুলো নিশ্চয় কমোডের মধ্যে অসহায়ভাবে কালাতিপাত করছে!

চার. বন্ধুটি কলেজে পড়ে। পাশাপাশি একটি হাসপাতালে চাকুরি করে। তার গার্লফ্রেন্ডের তালিকা খুব দীর্ঘ। হাসপাতালের মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী ছাত্রীদের সাথে তার খুবই রমরমা অবস্থা। আর নিজ কলেজের মেয়েদের কথাই তো আলাদা। প্রায়ই কাজের ফাঁকে এদের কাউকে না কাউকে বগলদাবা করে ঘুরে বেড়ায়। আবাসিক হুটেলে ওঠে। ভাড়া করা ছোট্ট বাসাটিতে অন্য কেউ না থাকলে সেখানে নিয়ে যায়। স্পেশালভাবে ভালোবাসা গেলাতে। তার মোবাইল হাতে নিলে সুন্দরী ললনাদের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ অগুনতি ছবি পাওয়া যায়। তাকে বলি, কী রে, এসব আর কত করবি? বলে, কিছু বলিস না। উড়ে এসে জুড়ে বসলে আমার কী দোষ? বিয়ের কথা বললে বলে, ওয়াজ করবি না! তো রসের নাগর বন্ধুটা জোর করে একদিন তার ভাড়া বাসায় নিয়ে গেল। সে বাথরুমে গেল। আমি এটা-ওটা নাড়ানাড়ি করছিলাম। ড্রয়ার খুলতেই দেখি এক প্যাকেট কনডম! খুচরো কিনতে গেলে বিরক্তিকর, বা অনেক সময় মনে থাকে না, তাই একেবারে প্যাকেট কিনে রেখে দিয়েছে। ব্যস, নো চিন্তা ডো ফুর্তি!

পুনশ্চ...
কনডমের উপরোক্ত গুচ্ছ গল্পগুলো আমাদের নষ্ট সমাজের ভ্রষ্ট তরুণ-তরুণীদের। যাদের ভালোবাসার প্রায়োগিক যাত্রা শুরু হয় কিস দিয়ে, আর শেষ হয়ে যায় কনডমের মধ্য দিয়ে। কিন্তু মাঝেমধ্যে কনডম-দুর্ঘটনা ঘটে ভালোবাসার চিহ্ন থেকে যায়।কালক্রমে যা কপোতীর তলপেটে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। কপোত আলগোছ কেটে পড়লেও কপোতীকে একাই বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। এরপর হসপিটালে গিয়ে ডাক্তারের হাতে বাইব্রেটরের চাপ খেয়ে মরতে মরতে গিয়েও বাঁচে। আর নাহয় নয়মাস পর বোঝাটা ডাস্টবিনে, অথবা নর্দমায়, কিংবা বাথরুমে ঝেড়ে ফেলে খালাসি পায়!

পুনঃ পুনশ্চ...
অনেক গবেষণার পর জানা গেছে, স্থিরচিত্রটি কোনো এক ভার্সিটির হলের পার্শ্বস্থ ট্যাংকির উপরাংশ। যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেকগুলো ভালোবাসার উপাদান!

বিদ্র. এই কনডম ব্যবহারকারীদের কাছে একাধিক নারী বা একাধিক পুরুষ রাত কাটায়। এতে তাদের কোনই সমস্যা হয়না। আর গোনাহ থেকে বাঁচতে একের অধিক বিয়ে করলেই মূলত তাদের সমস্যা। এরা আসলে শয়তানের চ্যালা। মানুষকে জাহান্নামে নেওয়াই এদের মূল উদ্দেশ্য।

তাই গোনাহ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে একাধিক বিয়ে করুন।

Address

Gazipur

Telephone

+8801818111151

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হৃদয়ের কথা-Hridoyer Kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category