রায়ান রহমান রাজা

রায়ান রহমান রাজা পৃথিবীর সব সম্পর্কের শেষ আছে, কিন্তু বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্কের কোন শেষ নাই

31/12/2024

2024 is the dark chapter of my life 🖤
this year I lost my father 💔
I love you so much baba ❤️‍🩹

28/12/2024

গভীর রাতে অন্ধকার শহরটা কঠিন ভয়ংকর। আলিফার মনে তোমার প্রতি বিশ্বাস জেগেছে, আশা করি তুমি তা ছিন্ন করবে না। তাকে বাঁচিয়ে রাখো, আমার শহরে এসেছে আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে সে হয়তো জানে না আই এম অ্যা মাস্টার মাইন্ড গেমার।

17/07/2024

এত ভয়ংকর নিউজ ফিড আমি আমার লাইফে কোনো দিন দেখি নাই 💔🙂

13/07/2024

# গল্প :- KGF of Diamond City. 27
# লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440)
# পর্ব :- ২৭ ............

গল্পের লাস্টে সবাই চায় মেইন ভিলেনের সাথে নায়কের ফাইট। কিন্তু এই গল্পে না ছিল নায়ক আর না ছিল ভিলেন। অস্তিত্ব ছিল একটার-ই মাস্টার মাইন্ড দিয়ে অন্যের রাজ্য নিজের আওতায় এনে সেটাকে স্থাপন করা।...

ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। মাইন নং : 04 - বলা হয়ে থাকে KDF শহরের সূর্য নাকি সুস্পষ্ট। আর চার নং মাইন ছিল ঠিক পূর্ব দিকে। সূর্যের হলদে-সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। সেই আলোয় লক্ষ্যমান বেঁলে মাটিতে সুভা পাচ্ছে যোদ্ধের পোশাক পরিধান করা শত-শত যুদ্ধার লাশ। তাজা রক্তের স্রোতে ধূলিকণা গুলোও লাল আভা ধারণ করেছে। ডায়মন্ড সিটির চার নাম্বার বর্ডারে যুদ্ধাদের লাশ দাফন করার মতো জায়গা হচ্ছে না। যারা জীবিত রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে নেতা নির্বাচিত হওয়া প্রধান যোদ্ধা অভিমুখী “ হায়দার ” ঝুলে আছে শিকলে বাঁধা লোহার আস্তরণে। তার সাথে রয়েছে আরো বেশ কিছু উপদেষ্টা, প্রধান সেনাপতি, সকালের অবস্থা প্রায় করুন। তাদেরকে চোখের ইশারায় পাহারা দিচ্ছে রাশমিন বাহিনীর কিছু সেনা সদস্য।...

ধূলিকণা আকাশ পানে উড়িয়ে, নির্বিঘ্নে সূর্যের তাল রেখা মিলিয়ে, ঘোড়া সাওয়ার হয়ে আসছে সমস্ত বীরদের বীর, যুদ্ধের ময়দানের সাহসী এক যুদ্ধা, যার টার্গেট কখনো মিস যায় না, ডায়মন্ড সিটির রাজা এবং একমাত্র রক্ষক “ কর্ণোয়েল রকি ”। হালকা বাদামীর সাথে ব্ল্যাক কালারের ঘোড়ার পিঠে চড়ে রক্ষণ বেগে সাহসী বীর, নিজের পছন্দের বন্দুক “ M1287 ” কাঁধে নিয়ে আসছে। চোখে মুখে নেই তার ভয়। মৃত্যুর জমের সাথে যেন তার আগেই দেখা হয়ে গেছে। মন এবং চোখ কোনোটায় নেই বিন্দু মাত্র ভয়!. বুক ভর্তি সাহস নিয়ে বীরের বেশে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে দাঁড়ালো রকি। সূর্যের তাপ তার চোখ মুখ স্পর্শ করছে। সামান্য বিরক্ত নিয়ে সে কপাল থেকে হাত উঁচু করে সূর্যটা দেখার চেষ্টা করলো। সকালের ঝাঁঝালো সূর্যের তাপ যেন তার মাথাটায় রক্ত তুলে দিয়েছে৷ নিজের মাথাটা শান্ত করার জন্য একটা সিগারেট জ্বালাতে জ্বালাতে হায়দারের দিকে এগিয়ে গেল। বেশ উঁচুতে ঝুলে আছে হায়দার। রকি কথা বলতে চায় ওর সাথে। তাই সে চোখের ইশারায় একজন গার্ড কে নিচে নামাতে বল্লো। গার্ড ঠিক তাই করলো। এখন মোটামুটি সামনাসামনি রয়েছে দুজন কিন্তু দুজনের সিচুয়েশন আলাদা, একজনের ঠোঁট বেয়ে তাজা রক্ত ঝরার ছাপ, আরেকজনের ঠোঁট জ্বলন্ত সিগারেট।.. রকি মাটিতে পা ঘষতে ঘষতে ঠোঁট টান দিয়ে হাসলো। হায়দারের চোখে মুখে এসেছে রাগের আভা সে গলার স্বর চিকন করে বেশ জোরেই বল্লো
“ সেদিন ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছিলাম তোকে! জানতাম না সাপের গর্তে ইদুর এসে হানা দিবে। তোকে সেদিনই মেরে দেওয়া উচিত ছিল বে**শ্যা মাগ**র পোলা.. ”

হায়দার মনে হয় না কথাটা শেষ করতে পেরেছে এর আগেই রকির পিছনে থাকা রাশমিন বাহিনীর সকলে নিজেদের রাইফেল গুলো ঠিক করে গুলি করার পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রিগারে চাপ দেওয়ার অনুমতি বাকী!.. রকি সিগারেটে লম্বা টান দিতে দিতে বল্লো -
“ আমার মা তোর মতো কাপুরুষের সাথে ঘাট পর্যন্ত যায় নি এটা আমি বিশ্বাস করি। আর জন্ম তো দিয়ে গেছে একটা সিংহ। আমি তোর সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না কারণ আমার সময়ের মূল্য অনেক। তোর মুখ দিয়ে আরেকটা শব্দ উচ্চারণ হবে আর পিছন থেকে রাশমিন বাহিনীর রাইফেল থেকে শত-শত বুলেট। তুই হয়তো জানিস না মৃত্যু তোর নিকটে! ”

পিছন থেকে নিলয় জোরেই বলে উঠলো - ভাই আপনি just অনুমতি দিন, শালার কন্ঠনালীতে বুলেট পুঁতে দিই।

বাতাসের বেগে হাসলো হায়দার। রকি কিছুই বল্লো না। বন্দুকটা কাঁধ থেকে নামিয়ে পকেট থেকে বুলেটের প্যাকেজ গুলো লোড দিয়ে নিলো। এরপরই আগ্রহের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জিজ্ঞেস করলো - “ তুই যেন কী বলছিলি তখন? একটু আবার বল তো!. ” (রকি)

হায়দার ঢুক গিলে পূর্ব দিকের সূর্য থেকে আসা আলোকরশ্মির মুখপাতে তাকিয়ে বল্লো -

- আমি জানি “ আমি মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছি ” কিন্তু আমাকে শেষ করে তোর কোনো লাভ হবে না! কারণ হায়দারের দেহ মারা গেলেও তার মস্তিষ্ক মারা যাবে না। হাহাহাহা.. আমি মরার জন্য যেমন প্রস্তুত ঠিক তেমনই তোর KDF ধ্বংস করার জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। হাহাহাহাহা.. তুই সহ তোর সম্রাজ্য ধ্বংস হবি। (হায়দার)

হায়দারের বিছছিরি মার্কা হাসি ভালো লাগে নি রকির। রাগ তার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সে বন্দুক সোজা করে হায়দারের বাম পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝুলে থাকা কয়েদির বুক বরাবর গুলি ছুঁড়ে, বন্দুকের বুলেট রকির সাথে বেইমানি করলো না, বাম পাশের কয়েদি শেষ। এবার হায়দারের দিকে বন্দুক তাক করলো.. বেশকিছু সময় অতিবাহিত হলো কিন্তু হায়দারের চোখে মৃত্যুর ভয় দেখতে পেল না রকি। সিগারেটের ধোঁয়া বেরুচ্ছে, সূর্যের তীব্র আলো সেটা গ্রহণ করে নিচ্ছে, ঠিক তেমন করে পরপর দুটি বুলেট ডান পাশের কয়েদি গ্রহণ করে মৃত্যুর সাগরে পারি দিয়েছে। হায়দারের সঙ্গে থাকা দুই কয়েদির মৃত্যু সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এইবার তো হায়দারের পালা! তার চোখে মুখে ভয়ের আভা নেই, বিষয়টি রকিকে হতাশ করেছে। সে বন্দুক মাটিতে ফেলে নিলয় কে ডাক দিল। মুহুর্তের মধ্যে নিলয় দৌড়ে আসে। রকি এইবার বলে -

- বেচারাকে আমি মারতে পারবো না। ওর চোখে আমি ভয় দেখতে পাচ্ছি না। এখন আমি কামনা করছি হায়দারের কঠিন মৃত্যু. ওরো এক পা আর এক হাত কেটে গাংচিলকে ছিটিয়ে দে। তার শরীরের পু** অঙ্গ কেটে আগুন লাগিয়ে দে, এরপর রক্তাক্ত দেহটা লাল মরিচের গুঁড়োয় ফেলে দিবি, তবুও যদি সে কষ্ট না পায় তাহলে গরম তেলে ছেড়ে দিবি। (রকি)

সিগারেটে লাস্ট টান মেরে রকি আর পিছন ফিরে তাকালো না। রকিকে এইভাবে চলে যেতে দেখে হায়দারের হাসতে হাসতে পেট খারাপ করার মতো অবস্থা। রকি তবুও কিছু বল্লো না। সে প্রায় ঘোড়ার কাছাকাছি চলে এসেছে। তখন ই হায়দার বলে উঠে -

- “ মায়ের দু*ধ খেয়ে থাকলে সামনে আয় আমাকে মার, আর যদি পরপুরুষের সঙ্গে থেকে তোর মা তোকে জন্ম দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায় তাহলে আমাকে না মেরে তুইও চলে যা। কি রে খানক** ছেলে কথা কানে যায় না!. পিছনে তাকা আমি তোর মার ভা**তার বলছি.. মাদার***দ. তোকে.... (হায়দার)

হায়দার আর একটা শব্দও উচ্চারণ করতে পারলো না, রকি সব কথা সহ্য করে নিল কিন্তু শেষ কথাটা তার পায়ের রক্ত মাথায় তুলে দিয়েছে। সে সেকেন্ডের মধ্যে কোমড়ে গুঁজে থাকা পিস্তল টা বের করে হায়দারের দিকে না তাকিয়ে ট্রিগারে চাপ মারে, পিস্তলের ম্যাগাজিন আগে থেকেই রিলোড দেওয়াই ছিল। গরম বুলেট সরাসরি হায়দারের কন্ঠ নালি স্পর্শ করেছে৷ তার গলা থেকে গলগল করে তাজা রক্ত বয়ে যাচ্ছে। রকি শেষ মুহুর্তে একটা কথা বলে ঘোড়ায় চড়ে.!

“ রকি এবং রকির KDF এর দিকে চোখ ফেলা মানে আগুনে পা পুরিয়ে ফেলা, i am the second god of this universal ” (রকি)

রকি আবাও বীরের বেশে নিজ মঞ্জিলের দিকে অগ্রসর হলো। পিছনে রয়ে যায় তার শত্রু পক্ষ, হয়তো কেউ মৃত নয়তো জীবিত।।...
.......

“ আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম। KDF এ যুগের পর যুগ রাজত্ব করার মতো শক্তি রকির-ই ছিল। আর ওর কারণে ই আবারও KDF ধ্বংস হওয়ার পথে!. ”
(রাজা)

দুহাজার তিন সাল শেষের দিকে ডিসেম্বরের শেষ নতুন বছরের নতুন মাস জানুয়ারি শুরু.. মধ্যে দিয়ে এক রাতের ব্যবধান “ ৩১ শে ডিসেম্বর ”। হঠাৎ করেই সরকার এই সিদ্ধান্তে এলো যে রকিকে আর কোনো ভাবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব না। তার সাথে লড়াই করতে গেলে সিস্টেমের বাইরে এসে রুলস রেগুলেশন ভেঙ্গে, ক্রিমিনালদের ভাবনা চিন্তা করে তারপর যুদ্ধের ময়দানে যেতে হবে। এর জন্য সরকার জেল থেকে পুরোনো দক্ষ ক্রিমিনালদের সাহায্য নিয়ে রকির বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। রকি সাবধানতার সাথে নিজের ফোর্স তৈরী করা শুরু করলো।

সরকার, নিজের পক্ষে নিয়েছে, আর্মি, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী। এদেরকে একত্রে বলা হয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী আফরোজা সুলতানা মিশির একটাই বক্তব্য - “ রকির ব্যপারে না কেউ লিখতে পারবে আর না কেউ পড়তে পারবে!. তার নাম ইতিহাসের পাতায় থাকবে না। তাকে মারতে গেলে কেউ যদি বাঁধা দেয় তাহলে ওদেরও মেরে দাও, প্রয়োজন পড়লে রকির সাথে থাকা সবাইকে মেরে ফেল.। আমি সেনাবাহিনী প্রয়োগ করছি এবং মৃত্যুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বাক্ষর করেছি, এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল রকির উপর মৃত্যুর পরোয়ানা। ” (আফরোজা)

রকি সব জেনে গিয়েছে। আগে থেকে তার যা প্ল্যান ছিল সে অনুযায়ী তার জমা করা সমস্ত ডায়মন্ড এবং গোল্ড মায়ানমার থেকে আফ্রিকা পাঠিয়ে দিল। নিজের রাজ্য নতুন করে তৈরী করার জন্য আবারও এখানে আসতে হবে যার কারণে যুদ্ধের ময়দানে না যেয়ে অন্য পথ বেছে নিল রকি৷...

এক রাতে বিশ লক্ষের চেয়েও বেশি শ্রমিক মায়ানমারের বর্ডার ক্রস করে ভূটান এবং মায়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রকি নিজেকে লুকিয়ে রাখলো। চোখের সামনে তার KDF শহরটা, চাইলেও ছোঁয়ে দেখার সুযোগ নেই। নতুন রূপে ফিরে আসার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মৃত্যু তার নিবেদ্য অবস্থান পরিবর্তন করলো...

অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী আফরোজা সুলতানা মিশি রেডিওর সামনে বসে আছে, ওপাশ থেকে জোর গলায় শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় হুঙ্কার দিচ্ছে - “ ম্যাম বেসামরিক লোকজন এখানে একটাও নেই, মনে হচ্ছে রকি তাদের সবাইকে সুরক্ষিত স্থানে রেখে দিয়েছে। আপনাকে কিছুক্ষণ পর পর আপডেট দেওয়া হবে। ” (শ্যামল)

সেনাবাহিনীরা রকির প্রাসাদের কাছে এসেছে, ওপর থেকে অর্ডার এসেছে সম্ভব হলে রকিকে মৃত না জীবিত নিয়ে যেতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী প্রাসাদে প্রবেশ করছে, প্রতিরোধের জন্য সাবধান অস্ত্র! তারা রকির ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে। দরজা লাগানো, কয়েকটা লাথি এবং স্টেনগান দিয়ে বারি মারে, দরজা খুলে যায়। ফোর্সেরা ভিতরে গেল। কিন্তু কোথাও রকির চিহ্নটাও খুঁজে পেল না। রুম একেবারে খালি, দেয়ালে ঝুলছে রকি এবং আলিয়ার বিয়ের ছবি। সেখানে উপস্থিত ছিল আলভি, সে একটা ফটো ফ্রেম নিয়ে নিল। রুমের সম্পূর্ণ ফ্লোর গোল্ডের এবং দেয়ালগুলো ডায়মন্ডের তৈরী।.. সবার মাথায় এখন একটা ই প্রশ্ন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নিয়ে রকি কোথায় গেছে?...
.............

পনেরো ঘন্টা পর রাত প্রায় বারোটার কাছাকাছি, বঙ্গোপসাগর থেকে রকি তার জানান দিচ্ছে। নৌবাহিনীর প্রধান তার বাহিনী প্রস্তুত করে, রকি বর্তমানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাবমেরিনে। যেখানে নৌবাহিনীদের প্রধান ক্যাম্প। সেখানে রকি কীভাবে? জেনারেল ওখানকার “ সিএনএস ” কে কল দিলে ফোন তুলেন পরিচিত কন্ঠ। এপাশ থেকে “ হ্যালো ক্যাপ্টেন ” উচ্চারণ হওয়ার সাথে সাথে ওপাশ থেকে “ সিএনএস ” এর ভয়কাতর কন্ঠ থেকে ভেসে এলো একটা-ই কথা -

“ জেনারেল!. আমরা বিপদে রয়েছি, আমার সাথে রয়েছে আরো ‘ তেপ্পান্ন জন ’ সবার মাথায় রকির লোকজন বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে। আকাশ পথ থেকে রকির উপর হামলা করলে আমরা সবাই মারা যাব, আমাদের সাবমেরিন অতি দ্রুত বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে খাগড়াছড়ির দিকে প্রভাবিত হবে। আপনি এ ব্যপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টকে জানান ”

জেনারেল সাথে সাথে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যপারটা জানায়। শ্যামল সাহেব ভেবে পায় না রকি কীভাবে কাজটা সম্পূর্ণ করে ফেলল? তিনি প্রধানমন্ত্রী আফরোজা সুলতানা মিশিকে জানালো। তিনিও চিন্তায় আসক্ত!. এখন একটাই পথ, আকাশ পথ থেকে রকি অবস্থান করা সাবমেরিনের উপর হামলা করা। কিন্তু সেটা করলে নিষ্পাপ দেশ রক্ষকরা মারা যাবে, এটা করা ঠিক হবে না। কিছুই ভেবে পায় না আফরোজা সুলতানা মিশি! এখন কী রকিকে রকির মতো থাকতে দিবে? নাকি, যুদ্ধ করবে!...

রাত যত গভীর হয় চিন্তা তত বেড়ে চলে। অবশেষে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বুঝ পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী আফরোজা সুলতানা মিশি এই সিদ্ধান্তে এলো যে রকির সাবমেরিনে আকাশ পথে হামলা করা হবে। দেশ যুদ্ধারা শক্রর কারণে শহীদ মর্যাদা লাভ করবে।...! যেই কথা সেই কাজ বিমানবাহিনীর প্রধান ক্যাপ্টেনকে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হলো.. সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেলের মনে হলো প্রধানমন্ত্রীর ডিসিশনটি সঠিক নয়.. তবুও ওনার কিছু করার ছিল না.. হঠাৎ করেই আকাশ থেকে মিসাইল ছোঁড়া হলো... আর সবকিছু শেষ হওয়ার পথে.!
...............

এতটুকু বলে থামলো রাজা সাহেব.. গল্পটা এই পর্যায়ে এনে উপস্থিত অনেকের চোখে পানি নিয়ে এসেছে, মানুষ একজন ক্রিমিনালের জন্যও কান্না করতে বাধ্য। মিস্টার কামাল এক প্রকার জোর করেই সিগারেট জ্বালালেন, 'রকির ধ্বংস' ওনি যেন এটা মেনে নিতে পারছে না। জয়ন্তীকা দাসেরও মন খারাপ হয়ে গেল। কিছুই করার নেই গল্পটাই ছিল এমন!..

- তাহলে কী এখানেই শেষ রকির রাজত্ব!. (জয়ন্তীকা)

রাজা সাহেব চুপ করে আছেন, তার নিজেও খারাপ লাগছে, তিনি যখন এই কাহিনীটুকু লিখেন তখন তার কলম যেন চলছিল না। লাইফে প্রথম কোনো উপন্যাস লিখতে যেয়ে ওনার মন কেঁদেছে। কই আগে তো কতই গল্প, উপন্যাস লিখেছে কিন্তু কখনো তো এমন মনে হয় নি কান্না করা প্রয়োজন? তাহলে এই উপন্যাসের মধ্যে কী লুকিয়ে আছে!.

- কী হলো রাজা সাহেব! আপনি কিছু বলছেন না কেন? এরপর কী হয়েছিল? রকি কী শেষ! কিন্তু তার তো শেষ হওয়ার কথা ছিল না? সে তো সবাইকে আত্নবিশ্বাসী করে দিয়েছিল, তার মৃত্যুটা কল্পনা মাত্র। তাহলে কী হলো? (কামাল)

মিস্টার কামাল পাগলামো করা শুরু করে দিয়েছে। জবাব দেওয়ার জন্য রাজা সাহেব মুখ তুলে তাকায়, প্রথমেই বলে উঠলেন “ বনের মধ্যে অন্য প্রাণী কী সিংহের থেকে রাজত্ব কেঁড়ে নিতে পারে!. ” ব'লেই তিনি সামনে থাকা বইটি বন্ধ করে টেবিলে ছুঁড়ে মারে। নিঃশব্দে একটি সংবাদপত্রের অংশ জয়ন্তীকা দাস এবং কামাল সাহেবের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে.. জয়ন্তীকা দাস স্থীর চোখে তাকিয়ে রইল।

“ সেদিন যে রকি বেঁচে গিয়েছিল এটা পরের দিন ব্রেকিং নিউজ হিসেবে “ প্রথম আলো ” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এটার জলজ্যান্ত প্রমাণ হচ্ছে এই সংবাদপত্রের অংশ ” রাজা সাহেবের হাতে থাকা পত্রিকার অংশে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ঠিকই রয়েছে রকির বেঁচে যাওয়ার কথাটা!. জয়ন্তীকা দাস জবাব দিল না। রাজা সাহেব আবারও বল্লেন - 'ঘটনাটা চোখের সামনে না ঘটায় আমি অতটা ক্লিয়ার করে লিখতে পারি নি ' তবে সঠিক তথ্য অনুযায়ী আমি সেটা তুলে ধরেছি। -!
................

রাত প্রায় ১'টা বাজে। হুট করেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ‘ জনি লিভস্টোম ’ এ'র কল এলো প্রধানমন্ত্রী আফরোজা সুলতানা মিশির কাছে। এত রাতে নিজের পারসোনাল Whatsapp নাম্বারে জনি লিভস্টোমের কল আসার বেশ চমকে উঠে প্রধানমন্ত্রী। ওনার পাশের চেয়ারে বসা ছিল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। তাদের দুজনের মুখ হা' হয়ে গিয়েছে! প্রধানমন্ত্রী কল রিসিভ করেন ' তিনি হ্যালো বলার আগেই ঐ পাশ থেকে জনি লিভস্টোমের কড়া কন্ঠে ইংরেজিতে কিছু কথা শুনা গেল -

“ I am Johnny Livestorm, Executive Director of the United Nations Security Council from America. The largest diamond producing factory in Asia and other continents is called KDF. Which is located in Bangladesh. KDF is owned by a young man named by 'Rocky'. Suddenly he stopped supplying diamonds. There is now a shortage of diamonds in major countries of the world. When the businessmen contacted Rocky, he informed that the Bangladesh government had issued a death warrant against him. For this Rocky Diamond has stopped supply. If anything happens to Rocky then other countries of the world will declare war against your country. I don't know what you're going to do, but I want Rocky to be unharmed. Rocky is with China, Japan, India, America, London, France and the big countries of the world. I want the peace of the people of the world.I Hope you understand. ”

অনুবাদ: আমি আমেরিকা থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জনি লিভস্টোম বলছি।এশিয়ার এবং অন্যান্য মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডায়মন্ড উৎপন্নের কারখানার নাম KDF. যেটা বাংলাদেশে অবস্থিত। KDF এর মালিক রকি নামের এক যুবক। হঠাৎ করেই সে ডায়মন্ড সাপ্লাই করা বন্ধ করে দিয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলোতে এখন ডায়মন্ডের অভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা রকির সাথে যোগাযোগ করলে সে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকার তার বিরুদ্ধে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে। এই জন্য রকি ডায়মন্ড সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছে। রকির যদি কিছু হয় তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশেগুলো আপনার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। আমি জানি না আপনি কী করবেন, তবে রকির যেন কোনো ক্ষতি না হয় এটাই আমি চাইবো। রকির সাথে রয়েছে ' চিন, জাপান, ভারত, আমেরিকা, লন্ডন, ফ্রান্স থেকে শুরু করে পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো। আমি চাই পৃথিবী বাসীর শান্তি প্রতিষ্ঠা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।!.

প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট মনোযোগ দিয়ে জনি লিভস্টোমের কথাগুলো শুনলো। তিনি কিছু না ভেবে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলো এবং বলে দিলেন “ অপারেশন বন্ধ করা হোক ”! মাঝ পথে এসে কী হলো যার কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্ত থেকে দূর সরে গিয়েছেন কিছু ই বুঝতে পারলো না শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়!.. তিনি অপারেশন বন্ধ করে দিলেন। সশস্ত্র বাহিনীর বীর সেনারা ফিরে চল্লো তাদের নিজ গন্তব্যে।

বাংলাদেশ সরকারের কাছে রকি একজন ক্রিমিনাল হলেও অন্যান্য দেশের কাছে রকি হচ্ছে বিজনেস ম্যান। যেখানে ডায়মন্ডের দাম আকাশ ছুঁই অবস্থা সেখানে রকি তার ডায়মন্ড ৩০% ছাড়ে সাপ্লাই দেয়। এই কারণেই সব দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে রকি একটা ব্র্যান্ড মাত্র।....

(সেদিনকার পর থেকে বাংলাদেশ এবং KDF দুইটা দুই দেশ হিসেবে সৃকৃতি পায়)
............

আজ প্রায় ১৯' বছর হয়েছে রকির কোনো খুঁজ খবর পৃথিবীবাসী পায় নি।... তাহলে সেখানে কার রাজত্ব কাল চলছে! হবে মনে হয় নতুন কোনো রহস্যের মায়াজাল।

(অর্ধ সমাপ্ত) (হবে নাকি আরেকটা সিরজ)

লিখা : Raja Bhuiyan (mr.440)

Address

Dhaka
Gazipur
1721

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রায়ান রহমান রাজা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রায়ান রহমান রাজা:

Share