01/11/2024
দিন কয়েক আগে, একজন ভাই আমাকে ইনবক্সে একটা ম্যাসেজ দিয়েছেন।
তার ছোট্ট কন্যা যাইনাব। ছোটদের জন্য আমার লেখা ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প’ সিরিজ থেকে যাইনাবের আম্মু যাইনাবকে বাইতুল্লাহ, মাসজিদ আন নববী আর মাসজিদ আল আকসার গল্প শোনান। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে যাইনাবকে তিনি বাইতুল্লাহ যিয়ারতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান এবং একদিন বলেন, ‘যাইনাব, আমরা বাইতুল্লায় সাতদিন থাকব, মাসজিদ আন নববীতে সাতদিন থাকব, কেমন?’
যাইনাবের ছোট্ট মনের কৌতূহল থেকে সে তার আম্মুর কাছে জানতে চাইল, ‘আম্মু, আমরা মাসজিদ আকসায় কয়দিন থাকব?’
যাইনাবের বাবা আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে বললেন, ‘ভাইজান, বলুন তো, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আছে?’
ছোট্ট যাইনাব হয়তো ভেবেছে—আম্মু তো বাইতুল্লায় থাকার কথা বললো, মাসজিদে নববীতে থাকার কথাও বললো, কিন্তু মাসজিদ আকসায় থাকার কথা তো বললো না।
কিন্তু যাইনাবকে, এবং তার মতো আরো হাজার হাজার ছোট্ট কুসুমকলিদের আমরা কী করে বোঝাবো—এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর আমাদের কাছে নেই। তার মতো কতো শতো শতো পরী-মেয়ে প্রতিদিন সেই তল্লাটে প্রাণ হারাচ্ছে, যাদের স্বপ্নের দৈর্ঘ্যটাও তাদের বয়সের মতোই—নাতিদীর্ঘ।
মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী শহর কনস্ট্যান্টিনোপল তখন রোমানদের দখলে। সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ রাহিমাহুল্লাহর মা প্রতিদিন সকালে মুহাম্মাদ ফাতিহকে নিয়ে নদীর পাড়ে আসতেন এবং নদীর ওপাড়ে, দূরে দূরে থাকা কনস্টান্টিনোপলের প্রাচীরগুলো দেখিয়ে তাকে বলতেন, ‘বাবা, ওই যে দূরের শহরের প্রাচীর দেখা যাচ্ছে, ওই শহর যে জয় করবে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আমি স্বপ্ন দেখি—একদিন তুমি এই শহর জয় করবে।
ছোট্ট ফাতিহর মনে তার মা একটা স্বপ্ন বুনে দিয়েছিলেন। এবং সত্যি সত্যিই, একদিন মুহাম্মাদ আল ফাতিহ রাহিমাহুল্লাহ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয় করেন।
আল আকসায় কতোদিন থাকব সেটা হয়তো আমাদের যাইনাবদের এখন আমরা বলতে পারছি না। কিন্তু, আমরা একটা স্বপ্নবীজ বুনে দিয়ে যাব আমাদের যাইনাবদের মনে।
সেই স্বপ্নবীজ তারা বুনে দিবে তাদের উত্তর-প্রজন্মে। হতে পারে, আমাদের যাইনাবদের কেউ কেউ মাসজিদ আল আকসার ছবি দেখিয়ে তাদের সন্তানদের বলবে, ‘বাবা, আল আকসাই এখন মুসলমানদের রাজধানী। এই শহর আর এই পবিত্র মাসজিদকে যারা উদ্ধার করবে, তারা নিশ্চিতভাবে জান্নাতে আল্লাহর রাসুলের সঙ্গী হবে। আমি চাই—তুমি এই মাসজিদকে উদ্ধার কর