25/08/2025
সাপের এন্টিভেনম মূলত ককটেল জাতীয় হয়। আপনাকে যে বিষধর সাপেই কামড় দিক, এন্টিভেনম একই।
তাই সাপ চেনা জরুরী না৷ ওঝার কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া জরুরী।
( বাংলাদেশে মোট ৪ প্রকার বিষধর সাপের কামড় লক্ষ্য করা যায়।
১.পদ্ম গোখরা ( নিউরোটক্সিন)
২.খয়া গোখরা ( নিউরোটক্সিন)
৩. কালাচ ( নিউরোটক্সিন)
৪. রাসেলস ভাইপার ( হেমোটক্সিন)
এই চার প্রকার সাপের ভেনম সংগ্রহ করে একসাথে এন্টিভেনম তৈরি করা হয়৷ সুতরাং, আপনাকে যে সাপেই কামড় দিক,ওষুধ একই।
উপরের চারটি সাপ বাদেও আমাদের দেশে শঙ্খচূর নামে ( ব্রান্ডেড ক্রেইট) কালো হলুদ ব্রান্ড করা একটা সাপ পাওয়া যায় যেটা মারাত্মক বিষধর। কিন্তু এযাবৎকালে এই সাপের কামড়ের কোন নজির নেই৷ এটা কাউকে কামড় দেয় না।
* সাপে কামড় দিলে হাত পায়ে বা শরীরের যেকোন স্থানে বাধন দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই৷ এতে উপকার হয় ই না,বরং আপনার বাধন দেওয়া অঙ্গে রক্ত চলাচলে অসুবিধার কারনে অঙ্গটি নষ্ট হতে পারে৷ ( রাসেলস ভাইপার এর কামড়ে হেমোটক্সিন বিষের প্রভাবে অঙ্গহানী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে)
* আক্রান্ত স্থান ব্লেড দিয়ে চিড়ে দেওয়ার কোন দরকার নেই। এতে রোগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারে।
* সাপ কামড় দিলে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার কিছু নেই। সঠিক সময়ে এন্টিভেনম নিলে বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় ১০০%।
আতঙ্কগ্রস্থ হলে হার্ট ফেইলার হয়ে আপনি মারা যেতে পারেন।
* কালাচ সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়৷ এরা রাতে মানুষের বিছানার পাশে চলে আসে। এদের বিষে জ্বালা যন্ত্রণা করে না এবং কামড় দিলে চিহ্ন ঠিকভাবে বোঝা যায় না ( বিষদাঁত খুব ছোট) বলে মানুষ বুঝতে পারে না তার সাপে কামড় দিয়েছে। তাই মেঝেতে ঘুমাবেন না,মশারী লাগিয়ে ঘুমাবেন।
*** সর্বোপরি যে সাপেই কামড় দিক,ওঝার কাছে কখনই যাবেন না।
মনে রাখবেন, একমাত্র এন্টিভেনমই আপনাকে বাঁচাতে পারে৷ তাছাড়া দুনিয়ার আর কিছুই আপনাকে সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে পারবে না৷