23/05/2025
এক ফুল দুই পাতা (২১)
রাতের শেষ প্রহরে পদ্মা-চরের আকাশে রঙিন ধনুক ভাঙা-গড়ার শব্দ ওঠে—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং-এর গায়ে ফেরোস্কাই মেঘ বিদ্যুৎ হালকা শিখা ছুড়ে কাটাকুটি খেলছে। ঠিক সেই ফাঁকে ৯০০ হ্যাঁজের অদৃশ্য তরঙ্গ মাটি ছুঁয়েছে; শালুক-বীজের ভেতর লাল-সবুজ স্পার্ক দেখা দেয়। কিশোর-টিম রেফারেন্স নোটে লিখল—“শত পত্র–দ্বার খুলছে!”
১ | শত পত্রের সংকেত
রিফ-হার্টবিট লগে প্রথম ঢেউ এল ৯৬০ হ্যাঁজ, তারপর ১,০২০, ১,০৮০—ঠিক ৬০ হ্যাঁজ বিরতিতে তিন সিঁড়ি। ইলোরা গাণিতিক চুলচেরা করে দেখালেন—৯০০ + (৬০×৩) = ১,০৮০; অর্থাৎ ১৫ হ্যাঁজের ৭২তম গুণ! ড. মার্টা মাথা নাড়েন, “পঞ্চত্ব পেরিয়ে শত পত্র মানে ১০×১০—এখানে প্রত্যেক কণ্ঠ দশটি সুর ধরে, দশবার ফিরে আসে।” মান্দা কোর-মোহর হলোগ্রামে ফেলতেই ভেসে উঠল পাঁচটি বৃত্ত, প্রতিটিতে ২০ রেখা; সব মিলিয়ে ১০০ দাগ, মাঝখানে কাঁটা-রহিত লুপ।
২ | ‘হেক্সা-ডিপ’ নকশা
শত পত্র ধরতে হলে অপটিক-কাঁটাচুমি-কে ছয় স্তর ফোটন-চ্যানেলে ভাগ করতে হবে—হেক্সা-ডিপ আর্কিটেকচার। সুমাত্রা-রেইনফরেস্ট ফ্যাব-হাবে রাতারাতি ছাপা হল ৬-ডিপ-ফাইবার: ডিপ-স্কিন গোলকের গায়ে ছয় কোণায় ছয় সূক্ষ্ম ক্যাপিলারি, যার প্রতিটি আলাদা ফ্রিকোয়েন্সি লক করে বিদ্যুৎ স্রোত ছাড়বে।
পদ্মা-চরের কিশোররা তা পেয়ে গিলে ফেলল—বাঁশের কঞ্চি ফাঁপা করে ভেতর দিয়ে ফাইবার চালিয়ে নদী-বাঁকের মাথায় বাগান-আকার ‘জ্যোতি-ছাতা’ বানাল। ছাতা ফোটার মুহূর্তেই ১,০৮০ হ্যাঁজ নামল; পলিমাটির ঢেলে রাখা সিলিকা-কণা ঝিলমিল করে উঠে নিজেরা জুড়ে অদৃশ্য পাথর-পাতা গড়ে তোলে—শত পত্রের প্রথম জ্যোতি-দানা।
৩ | ‘ফোটন-ধান’ গাজন
হেক্সা-ডিপ ফাইবার ছাতা-চরায় জাল পাকাতেই মাটি ফুঁড়ে বেরোল কাঁটারহীন সোনালি গুঁড়ো—ফোটন-ধান। এগুলো স্বচ্ছ কার্বন-কণায় মোরা, চেপে ধরলে কুচকে যায়, আলো পেলে আবার ফুলে-ওঠে। ইলেকট্রো-টেস্টার ছুঁয়ে দেখে পিয়াসী—০.৮ ভোল্ট, কিন্তু ধারাবাহিক; আঙুল ছাড়তেই শূন্য! মান্দা ব্যাখ্যা দিল, “ফোটন-ধান ফোটনের স্টোরেজ, শরীরে ব্যাটারি নেই; আলোয় ভরবে, ছায়ায় খরচ।”
চরের বুড়ো ঘাটমাস্টার মৃদু হেসে বলেন, “আমরা তো ধান কেটে রাখি গগন-গুদামে, আর এখন আলো-ধান জমছে মাটির হিম-ঘরে!”
৪ | ফেরোস্কাই-তে ‘নক্ষত্র-ধুপ’
লোকেরা যখন ফোটন-ধান তুলছে, স্টার-পড β-ক্রম লাইভ-স্ট্রিমে দেখা গেল—ফেরোস্কাই মেঘের ভেতর ছিটকে-পড়া ডেল্টা-আয়ন ও ডিপ-স্কিন ফ্লেক্স নিজে থেকেই উড়ে-উড়ে জুটছে; মাঝে মাঝে ঝলসে ওঠে লাল-সাদা দ্যুতি, যেন মহাজাগতিক ধূপ! বিজ্ঞানীরা নাম দিলেন “নক্ষত্র-ধুপ”—গ্যালভ্যানিক অ্যারোমা ক্লাউড, যা সোলার উইন্ড থেকে প্লাজমা শুষে গন্ধহীন ওজোন ছাড়ছে। এই ধুপ যখন রিং-এ নামছে, রিং-এর কাঁটা ভেসে যায়—ঝড়ের তরঙ্গ স্তব্ধ।
৫ | ডিপ-স্কিন ‘ঝিঝি-কোড’
নতুন ফোটন-ধান-বাগানে অদ্ভুত শব্দ শোনা গেল—ক্ষীণ ঝিঝি-ডাকা, তবে স্পেকট্রাম বিশ্লেষণে ১,১৪০→১,২০০ হ্যাঁজের দুলনি। ইলোরা ধারণা করল, হেক্সা-ডিপ ফাইবারে ছয় প্রবাহ মিলে জেমিনেট (Y-জোড়া) ঢেউ বানাচ্ছে; মানুষ-শ্রুতি ছাড়িয়ে তবু বনে-জঙ্গলে ঝিঝি-পোকাদের সুরে গায়। এই ঝিঝি-কোড মাটির পোকা-ব্যাক্টেরিয়া সক্রিয় করে সিলিকা দ্রুত জমা-কালায়—শত পত্রের পরের স্তর বাঁধার সূচনা।
৬ | ড্রেজ-ম্যাক্সের শেষ বিলুপ্তি
আমেগা-পিট বন্ধ হওয়ার পর ড্রেজ-ম্যাক্স চাঁদের চারপাশে অবৈধ ড্রোন চালিয়ে ফেরিক-ধুলো টানছিল; কিন্তু ফেরোস্কাই-র নক্ষত্র-ধুপ লোহা শুষে নিলে ড্রোনগুলোর চুম্বক কোর শূন্য। এক সপ্তাহে পুরো নেটওয়ার্ক অকার্যকর। শেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলে—“ডিপ-স্কিন কমন্স-মোড সর্বগ্রাসী, আমরা মৌলিক ধাতুর যুগে স্থায়ী নবায়নশক্তি দিতে পারব না।” দেউলিয়া আদালতে ঢুকে পড়েও প্রশাসক ঘোষিত গ্রহ-সমাজ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়—পদ্মা-চরের বীজ-তহবিলে ৬ ক্ষেত্রফল সম্পূর্ণ ছেড়ে দেয়।
৭ | ‘শত পত্র’ পূর্ণ প্রতীক
রাত দশটা। কোর-মোহর স্ক্রিনে আচমকা সবুজ-সোনালি ঘূর্ণি; দশ দফা ফ্ল্যাশে শেষ হয় ১,২০০ হ্যাঁজ। পুরো হলোগ্রামে খুলে গেল শত পত্র: পঞ্চবৃত্তের পাতাসভা, প্রতিটিতে ২০ কুসুম; মাথা-মাঝে ডিপ-স্কিন শূন্য গোলক। খোলা বইয়ের পাতার মতো ঘুরে যায়, আর ভেতরে লেখা—“এক ফুল দুই পাতা, শত পত্রের পারিচয়।”
ইলোরা কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “পুষ্পপত্র-সংখ্যা শত, অথচ ফুল একটাই—আলোর কাঁটাহীন ভার্স।” শোনা গেল ১,২৬০ হ্যাঁজের খুব সূক্ষ্ম ঢেউ—কোনো ডিভাইস ধরতে পারছে না, শুধু হৃদস্পন্দন সামান্য টলছে।
৮ | ‘আলোক-খরগোশ’ অভিযান
শত পত্র পূর্ণ মানেই নয়া কক্ষপথে বীজ-প্রাণ পাঠানোর ডাক। স্টার-পড β-ক্রম-এর তৃতীয় স্লট খুলে গেল; ছোট্ট, বাঁকানো মসৃণ গন্ডার-কুচির মতো ক্যাপসুল—নাম “আলোক-খরগোশ” (Photon-Lepus)। এতে হেক্সা-ডিপ কোর, ডিপ-স্কিন পাখনা আর ফোটন-ধানের দানা। লঞ্চ-ভেক্টর দরকারই নেই—আরথ-রিং-এর ১,২০০ হ্যাঁজ উদ্দীপনা এমনই যে ক্যাপসুল নিজেই বিদ্যুৎ-ঢেউয়ে চড়ে পিং-পং-বলের মতো মহাশূন্যে লাফায়।
মান্দা বেজার গলায় বলে, “এটাই আমাদের প্রথম ফ্রি-ইনার্জি স্পোর—পৃথিবী ছাড়িয়ে জ্যোতিপথে বংশ বাড়াবে।”
৯ | ‘আলোর-ধাম’ উৎসব
পরদিন সূর্যোদয়ে চর-বাসী ঘোষণা করল—শত পত্র উপলক্ষে আলোর-ধাম উৎসব। বালিয়াড়ি-জুড়ে ফোটন-ধানের স্বচ্ছ গাদা ছড়ানো, কিশোররা রঙিন ডিপ-স্কিন ফাইবারে পাকিয়ে ছোট বাতি বানাল—সূর্য লাগতেই সেগুলো আলাদা-আলাদা ৯৬০→১,২০০ হ্যাঁজে জ্বলে ওঠে; আকাশে মেঘ নেই, তবু মাটি থেকে উল্টো নীল-কমলা কুয়াশা উঠে বায়ুকে রং করে।
পিয়াসী বাঁশিতে শত পত্রের জ্যোতি-রাগ তোলে—পাঁচ অভিনব লয়, প্রত্যেকে ২০ স্বর, মাঝখানে নিরব ফুল। শ্রোতারা চোখ বুজে শুনলে কাঁটা-রহিত নদীডেউ ও মহাশূন্যের নিঃশ্বাস একসাথে মেশে বলে মনে হয়।
১০ | শেষ দৃশ্য—‘ফুটন্ত শূন্য-ফুল’
রাত বারোটার খানিক পর। ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং-এর সবুজ বর্ম হঠাৎ কেন্দ্রের দিকে সরু হতে-হতে এক বিন্দু হয়ে গেল; ফেরোস্কাই-মেঘ, নক্ষত্র-ধুপ আর অপটিক-কাঁটাচুমি স্রোত সব ঘুরে গিয়ে সেই বিন্দুতে মিলে যায়। হঠাৎ—প্লাশ!—একটি শূন্য-ফুল ফুটে ওঠে; আলো নেই, কাঁটা নেই, কেবল স্বচ্ছ নরম রেখা। ১,২৬০ হ্যাজের যৎসামান্য দোলা চারদিকের গ্রহ-জীবকে এক লহমায় স্তব্ধ করে—গভীর স্তব্ধতা, অথচ ভয় নয়—মনে হয় কেউ হৃদয়ে ফিসফিস করে বলছে: “কাঁটা ভাঙো, আলো ধরো।”
সৈকত ডায়েরি বন্ধ করতে না করতেই এক কিশোর দৌড়ে এসে চিৎকার—“ভাইয়া! ওই শূন্য-ফুলের ঠিক পাশে দুই পাতা ছায়া পড়েছে—জ্যোতিপথে!” পৃষ্ঠদেশে প্রজেকশন খুলে দেখা গেল, আলোক-খরগোশ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য; শূন্য-ফুলের গায়ে পাতলা দুই পাতা আঁকিবুঁকি, আর দূরে আলোক-খরগোশ পালের মত ছুটছে।
সৈকত কাঁপা হাতে লেখে—
> পর্ব ২২ — শূন্য-ফুল ও আলোর-খরগোশের উক্তি: কাঁটাহীন মহাশক্তির চিত্রলিপি।
ডিপ-স্কিন-সিম্ফনি তখন সবে ১,৩২০ হ্যাঁজে ওঠার প্রস্তুতি নেয়। আকাশ-জল-মাটি থরথর কাঁপলেও, কাহিনি যেন শুধু এক কথাই গাইছে—এক ফুল দুই পাতা।
—চলবে—