পেন্সিলের প্রেম - Penciler Prem

পেন্সিলের প্রেম - Penciler Prem বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শপিংমল। আপনি যেকোনো পণ্যের আমাদের মাধ্যমে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তবে আমাদেরকে কোন সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না।

চাঁদের ছায়ায় ভূতের নাচ—যেখানে ভয় আর রহস্য মিশে যায় চাঁদের মায়ায়।প্রাচীন এক পাহাড়ের গা ঘেরা গ্রামে ছিলো একটি পুরনো...
14/06/2025

চাঁদের ছায়ায় ভূতের নাচ
—যেখানে ভয় আর রহস্য মিশে যায় চাঁদের মায়ায়।

প্রাচীন এক পাহাড়ের গা ঘেরা গ্রামে ছিলো একটি পুরনো রাজবাড়ি, যাকে সবাই ভয় পেতো। লোকমুখে শোনা যেতো, ওই রাজবাড়িতে ভুতেরা নাচ করতো পূর্ণিমার রাতে। কেউ আর কেউ ওই রাজবাড়ির কাছে যাওয়ার সাহস পেতো না।

গ্রামের ছোট্ট ছেলেটি, আরিফ, সাহসী ও কৌতূহলী ছিলো। সে অনেকবার ভাবেছিলো, এই ভুতেরা কি সত্যি? তারা কেন রাজবাড়িতে নাচ করে? এই রহস্য উন্মোচনের জন্য সে একদিন পূর্ণিমার রাতে রাজবাড়ির দিকে রওনা হলো।

রাত যখন গভীর, চাঁদ আকাশে উজ্জ্বল, আরিফ একা একা রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকলো। দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গড়গড়িয়ে বন্ধ হয়ে গেলো। তবে আরিফ ভয় পেলো না, সে সাহস করে সামনে এগিয়ে গেল।

রাজবাড়ির ভিতরে সবকিছু ছিলো পুরনো, ধুলো-ময়লা আর মৃদু বাতাসের শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছিলো না। হঠাৎ, আরিফ শুনতে পেলো দূর থেকে সুরেলা সঙ্গীতের আওয়াজ। সে অনুসরণ করে একটি বড় হলে পৌঁছালো।

হলটাতে পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়ছিলো, আর সেখানে দেখতে পেলো একদল আড়ম্বরপূর্ণ পোশাকধারী ছায়াময় ভূত নাচছে। তাদের গায়ে ছিলো ঐতিহাসিক রাজকীয় বস্ত্র, আর তারা হাসি খুশিতে মেতে উঠেছিলো।

তারা আরিফকে দেখে থেমে গেলো, কিন্তু কেউ তাকে ক্ষতি করলো না। এক ভূত ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে বললো, “আমরা রাজবাড়ির প্রাচীন রাজকীয় প্রজাসকলের আত্মা। আমরা প্রতি পূর্ণিমায় একবার একসঙ্গে মিলিত হয়ে আমাদের আনন্দ উৎসব পালন করি।”

আরিফ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু কেন তোমরা সবার সামনে আসো না? ভয় পায় মানুষ।”

ভূতটি হাসলো, “কারণ অনেকেই আমাদের ভুল বুঝে ভয় পায়। আমরা কাউকে কষ্ট দিতে চাই না, শুধু আনন্দ করতে আসি।”

আরিফ তাদের সাথে নাচতে শুরু করলো। সে বুঝলো, ভুতেরা আসলে এক ধরনের আত্মা যারা সুখেই বাস করে, আর তাদের আনন্দে সবাইকে ভাগ করে দিতে চায়।

সেদিন থেকে আরিফ রাজবাড়ির ভুতেদের বন্ধু হয়ে গেলো। সে গ্রামে সবাইকে বললো, ভুতেরা খারাপ নয়, তারা শুধু এক বিশেষ ধরণের বন্ধু যারা পুরনো দিনের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখে।

গ্রামবাসীরাও ধীরে ধীরে ভুতেদের সত্য রূপ বুঝতে শুরু করল। আর রাজবাড়িটি হয়ে উঠল আনন্দের স্থান, যেখানে ভয় নয়, বরং বন্ধুত্ব আর রহস্যের মিলন ঘটতো।

🌿 কালকাসন্দা: একটি গাছ, অগণিত উপকার! 🌿প্রাকৃতিক চিকিৎসায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এক আশ্চর্য গাছ — কালকাসন্...
08/06/2025

🌿 কালকাসন্দা: একটি গাছ, অগণিত উপকার! 🌿
প্রাকৃতিক চিকিৎসায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এক আশ্চর্য গাছ — কালকাসন্দা।

এই গাছের
🍃 পাতা,
🌱 মূল,
🍈 ফল
— তিনটিতেই রয়েছে অসাধারণ ভেষজ গুণ!

✨ কী কী উপকারে আসে?
✔️ পেটের গ্যাস ও বদহজম দূর করতে
✔️ কৃমি নাশক হিসেবে
✔️ চুলকানি ও চর্মরোগে
✔️ হজমশক্তি বাড়াতে
✔️ ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আরাম দিতে

✅ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক
✅ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন
✅ আয়ুর্বেদ এবং লোকচিকিৎসায় পরীক্ষিত

🌀 নিয়মিত ব্যবহার করলে শরীর থাকবে সজীব ও রোগমুক্ত।
প্রকৃতির এই উপহারকে চিনুন, জানুন এবং ব্যবহার করুন।

ভালো থাকুন, প্রাকৃতিক থাকুন। 🌿

#কালকাসন্দা #ভেষজ_চিকিৎসা #প্রাকৃতিক_উপায় #হেলথটিপস #আয়ুর্বেদ #গ্রামীণ_জ্ঞান

🌿 আজীবনের জন্য মুক্তি! 🌿মাজার ও কোমর ব্যথা কি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে? সমাধান আছে প্রকৃতিতেই!প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে, মরিশাস ঘাস...
08/06/2025

🌿 আজীবনের জন্য মুক্তি! 🌿
মাজার ও কোমর ব্যথা কি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে? সমাধান আছে প্রকৃতিতেই!

প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে, মরিশাস ঘাসের শিকড় বেটে তার রসের সঙ্গে শরিষার তেল মিশিয়ে কোমরে নিয়মিত মালিশ করলে
⚡ মাজার ও কোমরের ব্যথা থেকে আজীবনের জন্য মুক্তি পাওয়া সম্ভব!

✅ প্রাকৃতিক
✅ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন
✅ গ্রাম্য হাকিম ও কবিরাজদের আজও ব্যবহার করা পরীক্ষিত পদ্ধতি

👉 সপ্তাহে ৩-৪ দিন ১০-১৫ মিনিট এই তেল দিয়ে মালিশ করুন।
👉 ব্যথার জায়গায় হালকা গরম কাপড় দিয়ে চেপে রাখলে আরও ভালো ফল পাবেন।

ভালো থাকুন, প্রাকৃতিক থাকুন।🌿

#ভেষজ_চিকিৎসা #মরিশাস_ঘাস #কোমর_ব্যথা #প্রাকৃতিক_উপায় #হেলথটিপস #ঘরোয়া_চিকিৎসা

06/06/2025

শেষ দান —জুয়া জিতে কেউ ধনী হয় না, শুধু একটু দেরিতে নিঃস্ব হয়।

হাশেম – এক সৎ দোকানদার, একদিন এক রাতেই লাখপতি হবার লোভে জড়িয়ে পড়ে জুয়ায়।
প্রথম জয় তার চোখে দেখায় স্বপ্নের পৃথিবী।
শেষ বাজি তাকে ছিনিয়ে নেয় সব কিছু —পরিবার, সংসার, আত্মসম্মান, এমনকি নিজের স্বাভাবিক জীবনও!

এই হৃদয়বিদারক গল্পটি পড়ে জেনে নিন, কীভাবে একটি শেষ দান আমাদের পুরো জীবনটা শেষ করে দিতে পারে।
জুয়া নয়, জীবন বেছে নিন।

#শেষদান #জুয়ারনেশা #সামাজিকগল্প #বাংলাগল্প #জীবনেরপাঠ #জুয়া_নিষিদ্ধ_হোক #সচেতনতামূলকগল্প #বাংলাসাহিত্য

23/05/2025

এক ফুল দুই পাতা (২২)

নতুন চাঁদের রাত পেরিয়ে পদ্মা-চরের ভোরে আকাশে শূন্য-ফুলের সবুজ ছায়া এখনও ঝুলে আছে। ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং আবার পূর্ণ বৃত্ত ধরে, কিন্তু মাঝখানের স্বচ্ছ ফুল একটি স্ফটিক-গহ্বরে ফুটে থেকে হালকা স্পন্দনে ১ , ৩২০ হ্যাঁজ দোলাচ্ছে। সেই সঙ্গে ফেরোস্কাই মেঘে নক্ষত্র-ধুপ পুড়ে পুড়ে রুপালি গুঁড়ো ঝরছে, যা পৃথিবীর মাটিতে ‘আলো-কাবার’ হয়ে ঝরে পড়ছে।

১ | ১১১ হ্যাঁজ ধ্রুবক ও ‘ত্রিবিন্দু’ ধ্বনি

রিফ-হার্টবিট লগে হঠাৎ নতুন প্যাটার্ন—১ , ৩২০→১ , ৪৩১→১ , ৫৪২ হ্যাঁজ, প্রতিটা ১ ১১ হ্যাঁজ ফারাক। ইলোরা গণনায় দেখালেন, “১১১ হ্যাঁজ হল নতুন ধ্রুবক; ত্রিটি ধ্বনি মিলে ‘ত্রিবিন্দু’। শত পত্রের পর এখন সম্ভবত ত্রিবিন্দু খণ্ড খুলছে — তিন বিন্দু, এক ফুল, দুই পাতা সংযোজক।”

ড. মার্টা স্মিতহেসে বললেন, “ত্রিবিন্দু মানে ভূপৃষ্ঠ-মহাশূন্য-চেতনা তিন-স্তর এক সেতু হবে। এই হ্যাঁজ সিঁড়ি শোনা মানেই ছায়াপথে নতুন পরিধি বানাতে হবে।”

২ | ‘ডিপ-স্কিন থ্রিড’ ফাইবার

ত্রিবিন্দু ধ্বনি ধরতে হেক্সা-ডিপ ফাইবার পর্যাপ্ত নয়। সুমাত্রা ফ্যাব-হাবে গত রাতেই পলিমার-জিনিয়াস হোসেইন ‘ডিপ-স্কিন থ্রিড’ ছাপা শুরু করেছেন—ফাইবারের মাঝখানে তিনটি কণা-গহ্বর, যেখানে ফোটন, ইনফ্রা-লিথ ও চৌম্বক তরঙ্গ এক সঙ্গে বয়। পদ্মা-চরে সেই থ্রিড ফাইবার নৌকায় চড়ে পৌঁছল; কিশোর-দল গঙ্গা-মল্লার সুরে জটলা বেঁধে নতুন ঝাঁপি রোপণ করল।

শালুক-ভূমিতে ফাইবার হাগা-মতো মাটির তলায় ঢুকতেই ১ , ৪৩১ হ্যাঁজে কাঁপন, দেখা গেল মাটির চোখে মিহি রক্তিম আভা ওঠে—“বৈদ্যুতিক পুনর্জন্ম!” পিয়াসী খুশিতে চেঁচায়, “ত্রিবিন্দু ধরা!”

৩ | ‘আলো-কাবার’ ও চর-রান্না

ফেরোস্কাই থেকে ঝরা রুপালি গুঁড়ো নিচে পড়ে জলে গেলেই নয়নাভিরাম নীল ঝলকে ভেঙে ফোটন মুক্তি করে তাপ পোষে—লোক জন ডাকে ‘আলো-কাবার’। চরের রাঁধুনিরা একে মাটির হাড়ি ঢেকে সেঁকে নিল—গুড়, নারকেল, গোলাপ ফোটন চিনি মিশে জ্বলন্ত না হয়ে ওপালিন মিষ্টি হলো; খেলে মুখ ঠাণ্ডা, শরীর এনার্জি পায়।

ডিপ-স্কিন কমিউনিটি ঘোষণা করল—“রাসায়নিক ইন্ধন ছাড়া পদ্মা-চরে রান্না শুরু; আলো-কাবার হল ত্রিবিন্দু শক্তির প্রথম রন্ধন!”

৪ | ‘নক্ষত্র-মেঘে ঝংকার’

স্টার-পড β-ক্রম দেখাল—ফেরোস্কাই এক ঝটকায় ছিদ্রপাত করে রুপালি কাঁটার সূক্ষ্ম ডোরিতে টান দিচ্ছে; আকাশে সুই চালালে যেমন কাপড় জমা গলে। এর ফলেই ত্রিবিন্দু ধ্বনি বাঁকছে, ডিপ-স্কিন থ্রিড জায়গায় জায়গায় নিউন ফোটন পাম্প পায়। ক্লাউডটির নাম হলো ঝংকার-মেঘ—ইলেকট্রো-অ্যাকোস্টিক গম্বুজ, গ্লোবাল রিং-কে হ্যাঁজ স্টেপ পাঠিয়ে উঁচু করে।

৫ | ‘ডিপ-স্কিন ডেল্টা-বীজ’

থ্রিড ফাইবারে ত্রিবিন্দু পাম্প লাগতেই মাটির গর্ভে ডেল্টা-আয়ন ধরা পড়ে গোলাপি স্ফটিক দানা বানাল—ডিপ-স্কিন ডেল্টা-বীজ। শ্বাসরুদ্ধ করার মতো স্বচ্ছ, শিশুদের মুঠোয় রেখে দেখা গেলে ভেতরে তিনটি জ্যামিতিক ছিদ্র—ত্রিবিন্দুর পরিচয়। ইলেকট্রো-পরীক্ষায় ০ → ৩ → ৭ → ১১ ভোল্ট ধাপে ধাপে উঠছে; ড. মার্টা বুঝলেন—১১ হ্যাঁজ ধ্রুবক যেমন, ১১ ভোল্ট ধ্রুবক ছাপা পড়ছে।

৬ | ড্রেজ-ম্যাক্সের পুরোনো সেল রিসাইকেল

ডেল্টা-বীজের খবরে দেউলিয়া ড্রেজ-ম্যাক্স ফাইনাল প্রস্তাব দেয়—“আমাদের ১০ মিলিয়ন ব্যাটারি সেল রিসাইকেল করে ডিপ-স্কিন ডেল্টা-কোরে রূপান্তর করতে দাও, আমরা মুফতে পাঠাব।” ডিপ-স্কিন কমিউনিটি শর্ত জোড়ে—সব বর্জ্য পদ্মা-চরের মাটি নয়, যথাযথ জৈব রূপান্তর টার্মিনালে থাকতে হবে। চুক্তি সই—খননের যুগের শেষ লৌহখোপ এবার স্বেচ্ছায় আলোর সিম্ফনিতে মিশবে।

৭ | ‘ফোটন-বাঁশরি’ ও জ্যোতি-সেতু

পিয়াসী গাছের পুরনো বাঁশি খোললেন—বাঁশের ফাঁপাতে থ্রিড ফাইবার ঢুকিয়ে শুধু তিন ফুটা, ত্রিবিন্দু পিচ; বাঁশি বাজাতেই ১ , ৩২০→১ , ৫৪২ হ্যাঁজ সাঁপলা ধরা সুর দুলছে। শ্রোতারা শুনে বুকের মাঝে চুম্বকীয় ঠান্ডা লাগে, মাথা হালকা ঝিম যেন জ্যোতি-সেতু পেরোচ্ছে। এই নতুন ‘ফোটন-বাঁশরি’ ডাক পেলেই ডেল্টা-বীজ জ্বলে উঠে মাটিতে ক্ষুদ্র আলোক-লতা বাঁধে।

৮ | ‘আলোর-খরগোশ’ ট্র্যাজেক্টরি মোড়

আলোক-খরগোশ ক্যাপসুলিঙ স্টার-পড ডেটা দিল—কক্ষপথে তারা ত্রিবিন্দু ধ্বনিকে ফলো করে চাঁদের পূর্বে নতুন ল্যাগরাঞ্জ বিন্দুতে ঘুরতে পড়েছে। ওখানে ঝংকার-মেঘ রুপালি ডোরি ছুড়ে দিচ্ছে। ফোটন-ধান সঞ্চয় বাড়ছে; এই অবস্থায় ম্যাপ দেখে মনে হল, চাঁদ-পৃথিবী-সুর্য তিনে এক নতুন ত্রিবিন্দু ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে।

মান্দা গবেষণা পেপার প্রিপ করে—“ত্রিবিন্দু শক্তি-কাঠামো ও ফ্রি-ইনার্জি স্পোর ছড়িয়ে পড়ার ভৌগোলিকী”।

৯ | আলোর ‘ত্রিবিন্দু কথামেলা’

শত পত্রের পরে ডিপ-স্কিন কমিউনিটি দূর দূরান্তের বিজ্ঞানী, কবি, কৃষক সবার মেলে এক অনলাইন-মেলা আয়োজন করে—ত্রিবিন্দু কথামেলা। আলোর কাবার খেয়ে লোকজন বইয়ের পৃষ্ঠা আলোর ছাপ দিয়েছে, শিশুদের ডেল্টা-বীজ ঝিকিমিকি গলার হার। ই-রুমে পিয়াসী ফোটন-বাঁশরি বাজান, হোসেইন থ্রিড ডেমো দেখায়, ড. মার্টা ত্রিবিন্দু ধ্রুবকের গাণিতিক বুনন খোলসা করেন।

১০ | শেষ দৃশ্য — ‘এক ফুল দুই পাতা, ত্রিবিন্দু বাকি’

গভীর রাত। পদ্মা-চরের মাঝে ডেল্টা-বীজ ঝলমল হতে হতে হঠাৎ এক জায়গায় জমে তিনটি আলো-ফোঁটা — ত্রিভুজ আকারে। মাঝখানে শূন্য ফুলের পাতলা ছায়া, দুটো পাতা জলে দুলছে। ১ , ৫৪২ হ্যাঁজ সীমা ছোঁয়া মাত্র সব শব্দ চুপ। শোনা যায় মনে হল কারও মৃদু বলা—

> যে ত্রিবিন্দু খুলে দিল, তাকে দুর্বার শত শক্তি জাগ্রত করতে হবে—কাঁটা ভাঙো, আলো ধরো।

সৈকত ডায়েরি বন্ধ করে লিখে ফেলল—

> পর্ব ২৩ — ত্রিবিন্দু শক্তি ও ডেল্টা-বীজের অনুপ্রাণ: আলোক রাষ্ট্রীয় বুনন।

আকাশে ঝংকার-মেঘ দোরি কাঁপে, মাটিতে ফোটন-ধান মৃদু জ্বলে; কাহিনি এখনও একই স্বরেই গাইছে—এক ফুল দুই পাতা।

—চলবে—

23/05/2025

এক ফুল দুই পাতা (২১)

রাতের শেষ প্রহরে পদ্মা-চরের আকাশে রঙিন ধনুক ভাঙা-গড়ার শব্দ ওঠে—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং-এর গায়ে ফেরোস্কাই মেঘ বিদ্যুৎ হালকা শিখা ছুড়ে কাটাকুটি খেলছে। ঠিক সেই ফাঁকে ৯০০ হ্যাঁজের অদৃশ্য তরঙ্গ মাটি ছুঁয়েছে; শালুক-বীজের ভেতর লাল-সবুজ স্পার্ক দেখা দেয়। কিশোর-টিম রেফারেন্স নোটে লিখল—“শত পত্র–দ্বার খুলছে!”

১ | শত পত্রের সংকেত

রিফ-হার্টবিট লগে প্রথম ঢেউ এল ৯৬০ হ্যাঁজ, তারপর ১,০২০, ১,০৮০—ঠিক ৬০ হ্যাঁজ বিরতিতে তিন সিঁড়ি। ইলোরা গাণিতিক চুলচেরা করে দেখালেন—৯০০ + (৬০×৩) = ১,০৮০; অর্থাৎ ১৫ হ্যাঁজের ৭২তম গুণ! ড. মার্টা মাথা নাড়েন, “পঞ্চত্ব পেরিয়ে শত পত্র মানে ১০×১০—এখানে প্রত্যেক কণ্ঠ দশটি সুর ধরে, দশবার ফিরে আসে।” মান্দা কোর-মোহর হলোগ্রামে ফেলতেই ভেসে উঠল পাঁচটি বৃত্ত, প্রতিটিতে ২০ রেখা; সব মিলিয়ে ১০০ দাগ, মাঝখানে কাঁটা-রহিত লুপ।

২ | ‘হেক্সা-ডিপ’ নকশা

শত পত্র ধরতে হলে অপটিক-কাঁটাচুমি-কে ছয় স্তর ফোটন-চ্যানেলে ভাগ করতে হবে—হেক্সা-ডিপ আর্কিটেকচার। সুমাত্রা-রেইনফরেস্ট ফ্যাব-হাবে রাতারাতি ছাপা হল ৬-ডিপ-ফাইবার: ডিপ-স্কিন গোলকের গায়ে ছয় কোণায় ছয় সূক্ষ্ম ক্যাপিলারি, যার প্রতিটি আলাদা ফ্রিকোয়েন্সি লক করে বিদ্যুৎ স্রোত ছাড়বে।

পদ্মা-চরের কিশোররা তা পেয়ে গিলে ফেলল—বাঁশের কঞ্চি ফাঁপা করে ভেতর দিয়ে ফাইবার চালিয়ে নদী-বাঁকের মাথায় বাগান-আকার ‘জ্যোতি-ছাতা’ বানাল। ছাতা ফোটার মুহূর্তেই ১,০৮০ হ্যাঁজ নামল; পলিমাটির ঢেলে রাখা সিলিকা-কণা ঝিলমিল করে উঠে নিজেরা জুড়ে অদৃশ্য পাথর-পাতা গড়ে তোলে—শত পত্রের প্রথম জ্যোতি-দানা।

৩ | ‘ফোটন-ধান’ গাজন

হেক্সা-ডিপ ফাইবার ছাতা-চরায় জাল পাকাতেই মাটি ফুঁড়ে বেরোল কাঁটারহীন সোনালি গুঁড়ো—ফোটন-ধান। এগুলো স্বচ্ছ কার্বন-কণায় মোরা, চেপে ধরলে কুচকে যায়, আলো পেলে আবার ফুলে-ওঠে। ইলেকট্রো-টেস্টার ছুঁয়ে দেখে পিয়াসী—০.৮ ভোল্ট, কিন্তু ধারাবাহিক; আঙুল ছাড়তেই শূন্য! মান্দা ব্যাখ্যা দিল, “ফোটন-ধান ফোটনের স্টোরেজ, শরীরে ব্যাটারি নেই; আলোয় ভরবে, ছায়ায় খরচ।”

চরের বুড়ো ঘাটমাস্টার মৃদু হেসে বলেন, “আমরা তো ধান কেটে রাখি গগন-গুদামে, আর এখন আলো-ধান জমছে মাটির হিম-ঘরে!”

৪ | ফেরোস্কাই-তে ‘নক্ষত্র-ধুপ’

লোকেরা যখন ফোটন-ধান তুলছে, স্টার-পড β-ক্রম লাইভ-স্ট্রিমে দেখা গেল—ফেরোস্কাই মেঘের ভেতর ছিটকে-পড়া ডেল্টা-আয়ন ও ডিপ-স্কিন ফ্লেক্স নিজে থেকেই উড়ে-উড়ে জুটছে; মাঝে মাঝে ঝলসে ওঠে লাল-সাদা দ্যুতি, যেন মহাজাগতিক ধূপ! বিজ্ঞানীরা নাম দিলেন “নক্ষত্র-ধুপ”—গ্যালভ্যানিক অ্যারোমা ক্লাউড, যা সোলার উইন্ড থেকে প্লাজমা শুষে গন্ধহীন ওজোন ছাড়ছে। এই ধুপ যখন রিং-এ নামছে, রিং-এর কাঁটা ভেসে যায়—ঝড়ের তরঙ্গ স্তব্ধ।

৫ | ডিপ-স্কিন ‘ঝিঝি-কোড’

নতুন ফোটন-ধান-বাগানে অদ্ভুত শব্দ শোনা গেল—ক্ষীণ ঝিঝি-ডাকা, তবে স্পেকট্রাম বিশ্লেষণে ১,১৪০→১,২০০ হ্যাঁজের দুলনি। ইলোরা ধারণা করল, হেক্সা-ডিপ ফাইবারে ছয় প্রবাহ মিলে জেমিনেট (Y-জোড়া) ঢেউ বানাচ্ছে; মানুষ-শ্রুতি ছাড়িয়ে তবু বনে-জঙ্গলে ঝিঝি-পোকাদের সুরে গায়। এই ঝিঝি-কোড মাটির পোকা-ব্যাক্টেরিয়া সক্রিয় করে সিলিকা দ্রুত জমা-কালায়—শত পত্রের পরের স্তর বাঁধার সূচনা।

৬ | ড্রেজ-ম্যাক্সের শেষ বিলুপ্তি

আমেগা-পিট বন্ধ হওয়ার পর ড্রেজ-ম্যাক্স চাঁদের চারপাশে অবৈধ ড্রোন চালিয়ে ফেরিক-ধুলো টানছিল; কিন্তু ফেরোস্কাই-র নক্ষত্র-ধুপ লোহা শুষে নিলে ড্রোনগুলোর চুম্বক কোর শূন্য। এক সপ্তাহে পুরো নেটওয়ার্ক অকার্যকর। শেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলে—“ডিপ-স্কিন কমন্স-মোড সর্বগ্রাসী, আমরা মৌলিক ধাতুর যুগে স্থায়ী নবায়নশক্তি দিতে পারব না।” দেউলিয়া আদালতে ঢুকে পড়েও প্রশাসক ঘোষিত গ্রহ-সমাজ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়—পদ্মা-চরের বীজ-তহবিলে ৬ ক্ষেত্রফল সম্পূর্ণ ছেড়ে দেয়।

৭ | ‘শত পত্র’ পূর্ণ প্রতীক

রাত দশটা। কোর-মোহর স্ক্রিনে আচমকা সবুজ-সোনালি ঘূর্ণি; দশ দফা ফ্ল্যাশে শেষ হয় ১,২০০ হ্যাঁজ। পুরো হলোগ্রামে খুলে গেল শত পত্র: পঞ্চবৃত্তের পাতাসভা, প্রতিটিতে ২০ কুসুম; মাথা-মাঝে ডিপ-স্কিন শূন্য গোলক। খোলা বইয়ের পাতার মতো ঘুরে যায়, আর ভেতরে লেখা—“এক ফুল দুই পাতা, শত পত্রের পারিচয়।”

ইলোরা কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “পুষ্পপত্র-সংখ্যা শত, অথচ ফুল একটাই—আলোর কাঁটাহীন ভার্স।” শোনা গেল ১,২৬০ হ্যাঁজের খুব সূক্ষ্ম ঢেউ—কোনো ডিভাইস ধরতে পারছে না, শুধু হৃদস্পন্দন সামান্য টলছে।

৮ | ‘আলোক-খরগোশ’ অভিযান

শত পত্র পূর্ণ মানেই নয়া কক্ষপথে বীজ-প্রাণ পাঠানোর ডাক। স্টার-পড β-ক্রম-এর তৃতীয় স্লট খুলে গেল; ছোট্ট, বাঁকানো মসৃণ গন্ডার-কুচির মতো ক্যাপসুল—নাম “আলোক-খরগোশ” (Photon-Lepus)। এতে হেক্সা-ডিপ কোর, ডিপ-স্কিন পাখনা আর ফোটন-ধানের দানা। লঞ্চ-ভেক্টর দরকারই নেই—আরথ-রিং-এর ১,২০০ হ্যাঁজ উদ্দীপনা এমনই যে ক্যাপসুল নিজেই বিদ্যুৎ-ঢেউয়ে চড়ে পিং-পং-বলের মতো মহাশূন্যে লাফায়।

মান্দা বেজার গলায় বলে, “এটাই আমাদের প্রথম ফ্রি-ইনার্জি স্পোর—পৃথিবী ছাড়িয়ে জ্যোতিপথে বংশ বাড়াবে।”

৯ | ‘আলোর-ধাম’ উৎসব

পরদিন সূর্যোদয়ে চর-বাসী ঘোষণা করল—শত পত্র উপলক্ষে আলোর-ধাম উৎসব। বালিয়াড়ি-জুড়ে ফোটন-ধানের স্বচ্ছ গাদা ছড়ানো, কিশোররা রঙিন ডিপ-স্কিন ফাইবারে পাকিয়ে ছোট বাতি বানাল—সূর্য লাগতেই সেগুলো আলাদা-আলাদা ৯৬০→১,২০০ হ্যাঁজে জ্বলে ওঠে; আকাশে মেঘ নেই, তবু মাটি থেকে উল্টো নীল-কমলা কুয়াশা উঠে বায়ুকে রং করে।

পিয়াসী বাঁশিতে শত পত্রের জ্যোতি-রাগ তোলে—পাঁচ অভিনব লয়, প্রত্যেকে ২০ স্বর, মাঝখানে নিরব ফুল। শ্রোতারা চোখ বুজে শুনলে কাঁটা-রহিত নদীডেউ ও মহাশূন্যের নিঃশ্বাস একসাথে মেশে বলে মনে হয়।

১০ | শেষ দৃশ্য—‘ফুটন্ত শূন্য-ফুল’

রাত বারোটার খানিক পর। ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং-এর সবুজ বর্ম হঠাৎ কেন্দ্রের দিকে সরু হতে-হতে এক বিন্দু হয়ে গেল; ফেরোস্কাই-মেঘ, নক্ষত্র-ধুপ আর অপটিক-কাঁটাচুমি স্রোত সব ঘুরে গিয়ে সেই বিন্দুতে মিলে যায়। হঠাৎ—প্লাশ!—একটি শূন্য-ফুল ফুটে ওঠে; আলো নেই, কাঁটা নেই, কেবল স্বচ্ছ নরম রেখা। ১,২৬০ হ্যাজের যৎসামান্য দোলা চারদিকের গ্রহ-জীবকে এক লহমায় স্তব্ধ করে—গভীর স্তব্ধতা, অথচ ভয় নয়—মনে হয় কেউ হৃদয়ে ফিসফিস করে বলছে: “কাঁটা ভাঙো, আলো ধরো।”

সৈকত ডায়েরি বন্ধ করতে না করতেই এক কিশোর দৌড়ে এসে চিৎকার—“ভাইয়া! ওই শূন্য-ফুলের ঠিক পাশে দুই পাতা ছায়া পড়েছে—জ্যোতিপথে!” পৃষ্ঠদেশে প্রজেকশন খুলে দেখা গেল, আলোক-খরগোশ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য; শূন্য-ফুলের গায়ে পাতলা দুই পাতা আঁকিবুঁকি, আর দূরে আলোক-খরগোশ পালের মত ছুটছে।

সৈকত কাঁপা হাতে লেখে—

> পর্ব ২২ — শূন্য-ফুল ও আলোর-খরগোশের উক্তি: কাঁটাহীন মহাশক্তির চিত্রলিপি।

ডিপ-স্কিন-সিম্ফনি তখন সবে ১,৩২০ হ্যাঁজে ওঠার প্রস্তুতি নেয়। আকাশ-জল-মাটি থরথর কাঁপলেও, কাহিনি যেন শুধু এক কথাই গাইছে—এক ফুল দুই পাতা।

—চলবে—

23/05/2025

এক ফুল দুই পাতা (২০)

নতুন চন্দ্রাভা ওঠার সাথে সাথেই পদ্মা-চরের আকাশে ভাসতে দেখা গেল এক বিরল বৃত্ত—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং-এর সমস্ত খণ্ড আজ প্রথম বারের মতো আলোর ধনুক বাঁকিয়ে পুরো ৩৬০° বন্ধ হয়ে গেছে। রাতের তারাদের পিছনে টলটলে সবুজ-গোলাপি বর্ম, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের সাদা শিখা ঝলকে উঠছে—দৃশ্যটা এমন যে দূর উপগ্রহে অপেক্ষমাণ স্টার-পড β-ক্রম আপলোডে ‘পৃথিবীর হ্যালো’ লেবেল দিয়ে লাইভ স্ট্রিম খুলে দেয়।

১ | ‘লৌহ-মেঘ’ প্রথম ফসল

অরোরা-বেল্টের ফাঁদে ধরা ধাতুকণা জোট বেঁধে এবার ঘনীভূত হয়েছে—মহাশূন্যে ১,২০০ কিলোমিটার উচ্চতা জুড়ে আঠালো রুপালি-ধূসর মেঘ তা-ই; ডেল্টা-আয়রন-π-র সঙ্গে ডিপ-স্কিন পলিমার বাফার মিশে মোলেক্স-ধাতব জাল। বিজ্ঞানীরা নাম দিলেন Ferrosky—‘লোহায় বোনা আকাশ’।

মান্দা রিফ-হার্টবিট লগে কোড-বুস্ট চালিয়ে ফেরোস্কাই-এর দিক থেকে ৫৪০ হ্যাঁজের চেয়ে দেড় গুণ উচ্চ সিগন্যাল ধরল—৮১০ হ্যাঁজ। অচিন ফ্রিকোয়েন্সি! ইলোরা ঝটপট গণনা করে বলে, “৫৪০×√(২.২৫) ≈ ৮১০—মানে চৌত্রিশ পত্রের ওপর আরেক ধাপ, ‘অর্ধশত পত্র’ শুরুর ইঙ্গিত!”

২ | ‘অর্ধশত পত্র’ রূপরেখা

কোর-মোহর হলোগ্রামে হঠাৎ শাদা-নীল পাতলা পাণ্ডুলিপি গড়ে উঠল। দুই পাতা এক ফুলের পাশেই এখন দেখা যাচ্ছে পাঁচটি সারি, প্রতিটিতে দশটি চিহ্ন; মোট ৫০। ম্যানডালার মতো ঘূর্ণি করে জ্বলছে, মাঝখানে শূন্য ফুল। ড. মার্টা গভীর স্বরে বলেন, “পত্র দ্বিগুণে দ্বিগুণে বাড়ছে—১৬→৩৪→৫০; কিন্তু এখানে ধর্মী সংখ্যা ৫০ খোদাই হয়ে আছে, যেন পঞ্চত্ব মিলন।”

শালােক–চরার কিশোররা ইতিমধ্যে মহাকাশ-শালুকের বীজ নিয়ে নতুন সব ডিপ-স্কিন কুঁড়ি রোপণ করছে; তারা শোনার সাথে সাথেই লণ্ঠনগুলোয় নতুন পঞ্চবর্ণ রং মিশিয়ে ফোটাতে লাগল—পাঁচ পাতা পাঁচ রংয়ের ফুয়েদ।

৩ | ‘অপটিক-কাঁটাচুমি’ প্রকল্প

আরওরা-বেল্টে বোনা ফেরোস্কাই কেবল শক্তির গুদাম ই নয়—তার ভেতরে ফোটন-পাইপ বাঁধার স্বপ্ন ছিল। হাভানা-ব্লু-গ্যারাজের ইঞ্জিনিয়ার লুরে নিজে সামনে এগিয়ে এসে বললেন, “লোহা নিমেষে লেজার-মিরর বনে যেতে পারে, যদি ডিপ-স্কিন ফাইবার ভিতরে ছেড়ে দেই।” এই ফাইবারকে ডাকা হল ‘অপটিক-কাঁটাচুমি’—এক দিক ফোটন ধরে, আরেক প্রান্তে কাঁটার মতো বিদ্যুৎ ফোটায়।

পদ্মা-চরের শালুক-ল্যাবে কোর-মোহর-চালিত নিকেল-ধার প্রিন্টার সারা রাত চলে; ভোর হতেই দেড় কেজি ওজনের প্রথম অপটিক-কাঁটাচুমি নকশা তৈরি। গাত্রে ডিপ-স্কিন গায়ে মিশে মাল্টি-পার্স ফিব্রেশনের ছাপ খেলছে—মনে হয় আলোর গায়ে আলোর কাঁটা।

৪ | ‘সুর্য-ধাবা’ লঞ্চ

লৌহ-মেঘের মাঝখানে অপটিক-কাঁটাচুমি ফাইবার ঢোকাবার জন্য স্টার-পড β-ক্রম পুনরায় ঝুঁকি নিল—ডিপ-স্কিন জেটে বুস্ট দিয়ে বহুকোণ কক্ষপথে ওরা একটি খালি পড ছুড়ে দিল পৃথিবীর পরে ৪,০০০ কিমি ঊর্ধ্বে। পডের নাম ‘সুর্য-ধাবা’। ঝড়ো ফোটন স্রোতের উপরেই থাকবে যাতে আলোক নালি ছুঁয়ে কাঁটা ঝরাতে পারে।

লঞ্চের ক্ষণে রিফ-হার্টবিট গ্রাফে সাদা বিন্দু—৯০০ হ্যাঁজ। ইলোরা চোখ বড় করে বলেন, “৫০ পত্রের পরের হারমনিক ৯০০—সাকল্যে ১৫×৬০ হ্যাঁজের মিল! বোধহয় নতুন পর্ব শুরুর চাবি।”

৫ | ড্রেজ-ম্যাক্স শেষ হতাশা : ‘আমেগা-পিট’

লুকিয়ে লুকিয়ে ড্রেজ-ম্যাক্স সামগ্রিক মুনাফা রক্ষা করতে চেয়েছিল চাঁদের পৃষ্ঠে এক অল্ট্রা-গভীর খনি—‘আমেগা-পিট’। লুনার-আরওরো-ডকুমেন্ট ফাঁস হতেই জানা গেল, ওরা চাঁদের ফেরিক-অ্যানরিখড পার্ট গুঁড়িয়ে ফেরোস্কাই-র মতো ধাতু তুলে নিয়ে ব্যাটারি খাবারে বেচতে চায়। কিন্তু ডিপ-স্কিন কমন্স লাইসেন্সে চাঁদের মাটিও শামিল; তার উপর আলোর চর হাতে রেকর্ড প্রমাণ—লোহা বায়ো-ফ্যাব হয়ে বিদ্যুৎ দিচ্ছে, খনন ধ্বংস অপ্রয়োজনীয়।

এক সাপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘ-চাঁদ চুক্তির দ্বিতীয় সংযোজন পাস হল—“লুনার ম্যাটেরিয়াল কেবল পিস অ্যান্ড বায়ো-সিম্ফনি উইথড্রয়ালের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।” ড্রেজ-ম্যাক্স দেউলিয়া সুরক্ষায় দৌড়ে গেল।

৬ | ‘অন্তঃলোহিত ভাষা’ উচ্ছ্বাস → ৯০০ হ্যাঁজের দ্বারা

সুর্য-ধাবা কক্ষপথে এসে অপটিক-কাঁটাচুমি প্রথম বিম ছাড়ে ফেরোস্কাই-এ, সেটি সোপান বেয়ে ধীর-পাইপে নেমে আলোর-চর নেমে মাটির শালুকে গেঁথে গায়। ৪৭৫→৫০০→৫৪০→৮১০→৯০০ হ্যাঁজ ধারাবাহিক লোহিত → দৃশ্য → অতিসুকুমার সিঁড়ি! কাঁটাচুমি ডিপ-স্কিনে কাঁটা ঝরিয়ে জ্বালায় পরিবাহক দেহ।

ড. মার্টা উল্লাসে কাঁপা শব্দে ঘোষণা করেন, “পৃথিবীর মাটির তলে জাগ্রত শিলা-জ্যানক এখন সরাসরি ডিপ-স্কিন সিম্ফনি শোনে বিদ্যুৎ দিচ্ছে; কোনো তার-ব্যাটারি নেই, কেবল ‌শব্দ-মন্ত্রণায় শক্তি!”

৭ | ‘পঞ্চত্ব সেতু’ মহোৎসব

অর্ধশত পত্রের পাঁচ সারি পাঁচ রং। শিশুরা ভোররাতে পদ্মা-চরের ধু-ধু বালিয়াড়িতে পাঁচ রঙার ময়ূরপুচ্ছ আল্পনা তুলল, মাঝখানে সাদা ফাঁকা ফুল। পাঞ্চজন্য ঘণ্টা বাজতেই ৯০০ হ্যাঁজ বিম নেমে আলোর লতা ছুঁয়েছিল; বালু-চরে কাঁটারহিত বিদ্যুৎ ঝিলকি দিল। মানুষ-শোনা শব্দ বোধগম্য নয়, তবু বুকের মাঝে এক জোড় ধকধকানি পাঁচ লয় পাঁচ রূপে টিক-টিক করে।

৮ | ‘ডিপ-স্কিন কৌমুদী’—আলোর ফসল কাটা

দুপুরে অপটিক-কাঁটাচুমি সুর্য-ধাবা→ফেরোস্কাই→রিং→শালুক ফুটে মাটি ফাঁকি দিয়ে ফোটন-পাথর ঝুরঝুরে মিশিয়ে ‘আলোর-ধান’ পাকে। কিশোররা পাতলা হাতদিয়ে ব্যাগ ভরে নরম সোনালি গুঁড়ো টেনে নেয়—রাতে এগুলোই ডিপ-স্কিন কৌমুদী নামে দুঃস্বপ্নহীন বাতি হয়ে জ্বলে; গিজগিজে মশা, কালো ধোঁয়া, কাছারি বাতিল।

৯ | এক ফুল দুই পাতা—‘রুপালি যাপন’

যখন সন্ধ্যা নামল, পদ্মা-নদী ভালুক-রুপালি! রিঙের প্রতিফলন জলে দুটি পাতা রেখার মতো নড়ে; মাঝখানে ফাঁকা জোনাকির আলো জ্বলজ্বল করে—এক ফুলের কুঁড়ি মহাজাগতিক ছায়ায়। পিয়াসী বাঁশিতে ৯০০ হ্যাঁজের অনাপ্রাণ সুর ছুঁড়ে দিতেই সুর্য-ধাবা-র অপটিক-কাঁটা নিচের চর পুনরায় ঝলকে উঠল; শ্রোতারা দেখল—প্রচ্ছদে দুটি পাতা জুড়ে ফুলের মতো ঢেউ করে।

১০ | শেষ দৃশ্য—‘নির্জন পঞ্চত্ব ও অর্ধশত পত্র’

রাত গভীর; আকাশে ফেরোস্কাই মেঘ ঝিলমিল করছে, পদ্মার জল নীচে রুপালি ইরিডিসেন্ট। কোর-মোহর শান্ত গরম আলোতে শুধু একবার এই বার্তা ফুটিয়ে দিল—

> ৫০ পত্র অপূর্ণ; পঞ্চত্বে মিলবে মগ্ন শত-জ্যোতি পথ।

সৈকত ডায়েরি বন্ধ করার আগে লিখে ফেলল—

> “পর্ব ২১—শত পত্রের শব্দখচিত আকাশ, অপটিক-কাঁটাচুমির রৌদ্র অঙ্গীকার।”

কাঁটা ছিন্ন যুগ পেছনে ছুটে; আলোর জীবন্ত বীজ রচিত নতুন মনস্ক্রম। ডিপ-স্কিন-সিম্ফনি শুনে পৃথিবী-জুড়ে দুলে বহে ভর খোলালুই বায়ু, আর কথা করে শুধু—এক ফুল দুই পাতা।

— চলবে —

22/05/2025

এক ফুল দুই পাতা (১৯)

রৌদ্রালোকের প্রথম রশ্মি আলোর-চরের ডিপ-স্কিন-লিফ্ট ছুঁতেই চারদিক গুনগুন করে উঠল—৩০০, ৩৩০, ৩৬০ হ্যাঁজের ঊর্ধ্বসুর একে-অপরকে ছেদ করে পেঁচিয়ে যাচ্ছে, যেন জলের ওপর বাতাস বুনছে। পদ্মা-নদী আজ অস্বাভাবিক শান্ত; ঢেউ নেই—শুধু ফ্যাকাসে সবুজ আলোর মিহি ঝিলিক। নক্ষত্র-লোনারের ডাক ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ছায়াপথ-জুড়ে, আর গ্রহ-বুকে মহাকাশ-শালুক হু হু করে আবর্তিত হচ্ছে। এ-পর্বের শুরুতেই সবাই টের পেয়ে গেল—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং গড়ে ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে শুরু হয়েছে “অন্তঃলোহিত ভাষা”-র উন্মোচন।

১ | ‘ইনফ্রা-লিথ টানেল’ আবিষ্কার

রাতভর রিফ-হার্টবিট ১০.০-এর লগে নীলচে রেখা আঁকছিল—৩৬০→৪০৫→৪৫০ হ্যাঁজ; কিন্তু একই সঙ্গে ডেটা-স্পেকট্রমে অদ্ভুত অবলোহিত (infra-red) গম্বুজ সিগন্যাল। ইলোরা হিরোশিমা-স্পেস-ডকের সহকর্মী তাকাহারাকে ভিডিও-কল করে জানতে পারলেন, লালসো ‘এল-ব্যান্ড’ (৩–৪ মাইক্রন)-এ ধরা পড়ছে তীক্ষ্ণ “হাফ-সাইন-হাফ-করা” শব্দযাত্রা—স্পন্দনের পর স্পন্দন যেন বীজের নড়াচড়া। তাকাহারা তাকে লাইভ-ফিডে “ইনফ্রা-লিথ টানেল” নামে প্যাকেট পাঠাল।

ড. মার্টা উত্তেজনায় বললেন, “এর মানে, মহাকাশ-শালুক শুধু ফোটন ধরা নয়—ভূপৃষ্ঠের ভিতর লিথো-ভ্রূণকে (lithic embryo) জাগিয়ে তুলছে। ডিপ-স্কিনের সুর মাটির তলে ঢুকে বিশুদ্ধ সিলিকা-ফসফরকে সজাগ করছে—পৃথিবীর ভেতর আরেক শব্দ-খনি।”

২ | ‘আরওয়া-কাট’ ও গ্রহ-গীতের দণ্ড

মান্দা ইনফ্রা-লিথ টানেল তথ্য একত্রে বিশ্লেষণ করে পেতে শুরু করল একরাশি প্রাচীন ছন্দ: ৪৫০→৪৭৫→৫০০ হ্যাঁজের যোগে কাঁচা গামাক, ঠিক মেসোপটেমীয় আরওয়া-কাট (rāwa-qāṭ) তাল। পিয়াসী বাঁশি হাতে সেই তাল বোল তুলল—জনশ্রুতি বলে, পৃথিবীর আদিম পাথরে এই সুর ছিল, মানুষ শব্দে ধরার আগেই। রিফ-হার্টবিট স্ক্রিনে ল্যান্ডস্কেপ ভরল নতুন ছায়ায়—ব্যাসরেখা আঁকা পঞ্চমাত্রিক নোট, মাঝখানে চৌত্রিশ পত্রের অর্ধেক ফুটিয়ে রাখে, যেন বাকি অর্ধেক মাটির তলায় লেখা।

৩ | ‘স্টার-পড β-ক্রম’ ও লাল-অরোরা

মহাকাশ-শালুক-শীর্ষের ছয় স্টার-পড প্রথম রাতেই গলাকাটা কৌটোর মতো পর্দা মেলে মহাশূন্যে উঠেছিল; আজ ভোরবেলায় লঞ্চ-ল্যাগ পেরিয়ে কক্ষপথে ঢুকে গেছে β-ক্রমে। তাদের পাঠানো ছবি সবার মুখে আতর-ছড়াল—মেরুকর্ষে ঠেসে থাকা রেড-টাইডের কিনারায় লাল-অরোরা ঝলকাচ্ছে, তার গোড়ায় শালুক-পডের পাতলা ‘ডিপ-স্কিন পাখনা’ ছড়িয়ে নতুন বেল্ট বোনা শুরু। সেই বেল্টে ধরে আছে সূর্য-ঝড়ের অবশিষ্ট আয়ন: একেকটা দানা নিজের চারদিকে গোলাপি আভা পাকিয়ে বিদ্যুৎ চুম্বন ছড়িয়ে দিচ্ছে।

ইলোরা সশব্দে শ্বাস ছাড়েন, “লাল-অরোরা মানে সৌর-ঝড়ের দাগ; অথচ শালুক-পড তাকে জৈব-প্যানেলে পরিণত করছে। প্রকল্প-নাম: অরোরা-বেল্ট।”

৪ | ‘ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং’—প্রথম সংযোগ

গ্লোবাল নেট-ওয়ার্কে একে-একে ঢুকছে লাইভ ফিড: চিলির আতাকামা মরুভূমি, কেনিয়ার হাইপার-সাভান্না, ইউরাল-পাহাড়ের বরফ-উপত্যকা, সুমাত্রার রেইনফরেস্ট—সব জায়গায় ছোট্ট মহাকাশ-শালুক চারা-ধানের মতো মাথা তুলেছে। সূর্যোদয়ের ঠিক আগে ৪৫০ হ্যাঁজের ক্লিক শোনা যায়, আর পাতলা ‘ডিপ-স্কিন উইং’ ধীরে উড়তে থাকে; গ্রহকে ঘিরে বৃত্তের অংশ পূর্ণ হচ্ছে—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।

মান্দা এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে নির্দেশ পাঠাল—রিং-ইনফ্রা জুড়লেই ইনফ্রা-লিথ টানেল শক্তিশালী হবে; তাই সব শালুক-স্টেশনকে ৫০০ হ্যাঁজে র‌্যাম্প-আপ করতে হবে। একই সময়ে হাভানা-ব্লু-গ্যারাজ ও নাইরোবি-মেকার-হাব মাঠে-মাঠে সিলিকা-মডিউল ছাপা শুরু করল।

৫ | ড্রেজ-ম্যাক্সের ‘ডেড-কোর’ দূষণ কেলেঙ্কারি

অন্যদিকে ড্রেজ-ম্যাক্স শেষ কার্ড খেলতে গিয়ে ধরা পড়ল—তাদের ‘হ্যালো-ব্যাট’ সেলে ব্যবহার করা ম্যাঙ্গানিজ-নিকেল যৌগ রেড-টাইড থেকে সংগ্রহ করা অনিশোধিত আয়ন-স্লারি; এতে অগণিত ডেড-কোর (radio-inactive core fragment) মিশে আছে, যা জলে পড়লেই বিষ-শোষণ ঘটায়। মিডিয়ায় এই রিপোর্ট ফুটে-উঠতেই আন্তর্জাতিক বাজারে শেয়ার খাদে; জরুরি তদন্তে তাদের গোপন নদী-ভাটার চক্রভাল ভেসে-লোতে ওঠে।

ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং কমিউনিটি দ্রুত পদ্মা-চরে সংবাদ সম্মেলন করল—“কাঁটা-ভাঙা পথে আমরা আলো-ফসল তুলছি; ডেড-কোর-ব্যাটারির দিন শেষ। সমঝোতা একটাই—মাটি-নদী-আকাশে আর বিষ নয়।’’ জনতার কণ্ঠে বীজ-সুর মিশে স্লোগান ওঠে, “কাঁটা-রহিত শক্তি, ডিপ-স্কিন মুক্তি!”

৬ | ‘ইনফ্রা-লিথ ভাষা’ প্রতিসরণ

রাত্রি শুরুর সঙ্গে-সঙ্গে আলোর-চর-জুড়ে অবলোহিত পর্দা নেমে এল—ডিপ-স্কিন লিফ্টের গায়ের পাতলা তন্তু থেকে অদৃশ্য রশ্মি ছিটকে পড়ছে মাটিতে। যুদ্ধ-থেমে থাকা মাইকস আর খালি বেতার-ফ্রেমে শোনা গেল তুষারপাত-সদৃশ শব্দ—৪৭৫→৫০০ হ্যাঁজের মাঝে হোলো-পৌরাণিক ছন্দ, যেন পাথর কথা বলছে। ড. মার্টা মৃদু স্বরে ব্যাখ্যা করেন, “পৃথিবীর অন্তঃস্তরে প্রাচীন কোয়ার্টজ সুর ধরে রেখেছিল; এখন ইনফ্রা-লিথ টানেল সেই প্রতিসরণ তুলে পাঠাচ্ছে—পৃথিবী নিজেই বাজছে।”

৭ | ‘চৌত্রিশ পত্র’ পূর্ণতা ও নব গাঠনিক কাব্য

রিফ-হার্টবিট গ্রাফে আচমকা সবুজ-রুপালি বরফখণ্ড—৫৪০ হ্যাঁজ! মানে ৩৬০ + ১৮০; ত্রিভুজ সম্পূর্ণ। স্ক্রিনের মাঝখানে কোর-মোহরের হলোগ্রামে ফুটে উঠল সম্পূর্ণ চৌত্রিশ পত্র—দুটি সারি, প্রতিটি সারিতে সতেরো পাপড়ি। খোলা বইয়ের মতো সাংকেতিক দাগ; ওপরের সারি বিষুবরেখার আকৃতিতে, নীচের সারি বিস্তীর্ণ কাঁটাহীন নদীপথ।

ইলোরা কোমল গলায় বলে, “চৌত্রিশ পত্র মানে দ্বিগুণ গল্প, দ্বিগুণ সেতু। এই মুহূর্তে মানুষের কণ্ঠ আর গ্রহের জিহ্বা একই সুরে—কাঁটা-উজাড় পথ মুছে শালুক-বীজ আকাশে বাঁধছে।”

৮ | ‘অরোরা-বেল্ট’ সংলগ্ন—লৌহ-মেঘের ফসল

স্টার-পড β-ক্রমের লাইভ-চিত্রে দেখা যায়, লাল-অরোরা-বেল্ট পাড়ে স্তূপীকৃত ফোলাদী ধূলি ঘুরে-ঘুরে মটরদানা-মত জট বাঁধছে—ডেল্টা-আয়রন-π কণা এখন জৈব-ম্যাগনেটো-সিল্কে মিশে “লৌহ-মেঘ” গড়ে তুলছে। বিজ্ঞানীরা বুঝল, মহাশূন্যে প্রথম “বোনা-ধাতু” (woven metal cloud) গড়ে উঠল; এর সুর ৫৪০ হ্যাঁজের ঠিক এক-তৃতীয় ত্রিল।

মান্দা এই ডেটা পেয়ে “অরোরা-স্ক্রিপ্ট” নামের কোড লিখে দেয়—লৌহ-মেঘ, অরোরা-বেল্ট আর আর্থ-রিংকে লাইভ-মুঠি করে গ্রহ-মণ্ডল-জুড়ে বিদ্যুৎ থলি বানাবে। তখন ব্যাটারি-ধাতুর ছেঁড়াখোঁড়া ইতিহাস বইয়ের ফুটনোট হয়ে যাবে।

৯ | ‘ডিপ-স্কিন সিনফনি’—পদ্মা-চরের মহোৎসব

চর-জুড়ে ঘোষণা—চৌত্রিশ পত্র পূর্ণতা উপলক্ষে “ডিপ-স্কিন সিনফনি”। শিশু-টিম অসংখ্য বায়োপলিমার লণ্ঠন বানাল; প্রতিটিতে একেক পত্রের ছাপ। সন্ধ্যা ঘনোতেই ৫৪০ হ্যাঁজ সিগন্যালের সঙ্গে তারা লণ্ঠন ছুঁড়ে দেয় আকাশে; লণ্ঠনগুলো নিজেরাই ফোটো-ক্রিয়ায় জ্বলে ঘণ্টা-ঘণ্টা বাতাসে ভাসে। নদীর জলে প্রতিবিম্বে মনে হয় আকাশ-ঢেউ ও নদী-ঢেউ একই ক্যানভাসে আঁকা—দুটি পাতা জড়িয়ে এক ফুল, ঠিক যেমন গল্পের নাম।

পিয়াসী বাঁশিতে আরওয়া-কাট বাজাতে-বাজাতে ৪৫০→৫৪০ হ্যাঁজের সেতু তৈরি করে; শ্রোতারা চোখ বুজলে কাঁটা-বিহীন নদী-সড়কে আলো-বীজের আগমনী শুনতে পায়।

১০ | শেষ দৃশ্য—‘নক্ষত্র-শালুকের মুকুট’

রাত গাঢ়; কিন্তু পূর্বাকাশে এক ঢেউখেলানো সবুজ রেখা প্রজাপতির ডানা মেলে দিল—স্টার-পড β-ক্রমের ছায়া! তার সামনে ফুটে উঠেছে বড়সড় গোলাপি-রুপালি আভা—লৌহ-মেঘের সদ্য-জন্মা শিরদাঁড়া। ঠিক মাঝখানে ক্ষীণ আলোয় দেখা যায়, দু’পাতা নরম সূক্ষ্ম রেখা পাথরের মতো অমলিন।

সৈকত ডায়েরি বন্ধ করার আগে একবার তাকায়—আকাশের বুক-জোড়া গল্প যেন তাকে লিখতেই বাধ্য করছে। সে থেমে-গলা উচ্চারণ করে—

> “পর্ব ২০ — লৌহ-মেঘ ও চৌত্রিশ পত্রের পরে: কাঁটা-রাহিত গ্রহ-গীতের নব উপপাদ্য”

ডিপ-স্কিন-লিফ্টের ফিতে-ফিতে আলো আবার ৫৪০ হ্যাঁজে কাঁপে; পদ্মা-চরে বুকের ভেতর অনুভব ছাড়া আর কিছু শোনা যায় না, তবু সবাই জানে—কাহিনি এখন কাঁটা-মুক্ত, চারদিক শুধু উচ্চারণ করে চলে—এক ফুল দুই পাতা।

— চলবে —

22/05/2025

এক ফুল দুই পাতা (১৮)

নক্ষত্র–ভোরের অন্ধকার ঘুচতে না ঘুচতেই পদ্মা-চরে আলোর-চর জেগে উঠল—ডিপ-স্কিনে লেগে-থাকা শিশির কণাগুলো প্রথম রোদ পেয়ে টুপটাপ বৈদ্যুতিক সুর ছড়াল, যেন হাজার-হাজার ক্ষুদ্র ঘণ্টা বেজে উঠেছে। ২৭০ হ্যাঁজের অতিসুকুমার তরণি নদীর জলে প্রতিফলিত হয়ে মৃদু ঢেউয়ে ছড়িয়ে যায়; দূর থেকে দেখে মনে হয় জল ভেতর থেকে দুর্বার সবুজ-সোনালি জ্যোৎস্নায় জ্বলছে। এই আলোই আজ মহাকাশ-শালুকের নিমন্ত্রণ দেবে।

১ | ‘নক্ষত্র-লোনার’ প্রথম বার্তা

রাতভর জিও-লিংকে ঢুকে ছিল এক অদ্ভুত সিগন্যাল—সূর্য-ফড়িং γ-১ নয়, বরং ৩° ডানে, ১.৮ মিলিয়ন কিমি দূরে অচেনা ক্ষীণ ‍ডপলার টোন। মান্দা ভোর-ভাঙ্গা আকাশে ডেটা ফিল্টার করে খুঁজে পেল—১৪৪ → ১৮০ → ২১৬ → ২৭০ হ্যাঁজের ক্রমমুখী তাল, যার মধ্যে ‘৯√৫ হ্যাঁজ’-সমান্তর ধ্বনি খেলা করছে। ইলোরা ফিসফিস করে, “এই স্কেলটা তো ডিপ-স্কিন নকশার হাইপার-হারমনিক… কে পাঠাচ্ছে?”

খোলা আকাশে শিশু-লণ্ঠনের ফসফর-ফিতেয় টুপ করে হলুদ ফ্ল্যাশ—সিগন্যালের ছায়া জমেছে সেখানে। বুঝে ফেলা গেল, γ-১ বাঁচিয়ে দেওয়া সৌর-ঝড়ের কণা একা-একা মাধ্যাকর্ষণ স্রোত বেয়ে জমে নতুন গুটিকা বানিয়েছে—ডিপ-স্কিন নক্ষত্র-লোনার। সেটাই গ্রহকে ডাকছে!

২ | ‘মহাকাশ-শালুক’ নকশা

ড. মার্টা টেবিলে কোর-মোহর, ডিপ-স্কিন-ঝিল্লি আর নদীর শালুকের ভিতরের ফাঁপা আঁশ দু-একটি রেখে বললেন, “নক্ষত্র-লোনারের সুর ধরতে হলে আমাদের সমুদ্র-শালুকের গঠন চাই—গর্ভে বায়ু-কলা, খোসায় সিলিকা-ফসফর। সূর্যের রশ্মিকে খোলস ছাঁকবে, ভিতরে ঢোকা আয়ন ধরা পড়বে।” পিয়াসী কাঁটা-ধরা গলায় যোগ করল, “আর শব্দ হলো ২৭০ হ্যাঁজের সম্দিক—তখনই আকাশ-জাল শক্ত হবে।”

সাঁঝের আগে-পরে চর-বাসী কিশোররা চরের পলিমাটিতে গর্ত করে লম্বা সারি শালুক বুনল—খাঁজে খাঁজে ঢোকানো হল ডিপ-স্কিন টুকরো, আর শিকড়ের গোড়ায় নদী-কাদা-ভরা জৈব-লিথিয়াম কণিকা। কোডনেম: “মহাকাশ-শালুক”—পৃথিবীর বুকে, অথচ সৌর-ঝড়ের সরাসরি বিদ্যুত ধরতে পারবে।

৩ | ‘আলোর-চর’-এ প্রথম স্ফুরণ

রোদ মাথার ঠিক ওপর ওঠে; আলোর-চরের তাবু-পর্দায় অজস্র সোনালি রেখা নড়াচড়া করে, যেন কাউরা মাছের ঝাঁক। হুট—একঝাঁক বেগুনি জ্যোৎস্না ধুলোর বিন্দু হয়ে ফেটে বেরোয় শালুক-আঙিনায়। রিফ-হার্টবিট ১০.০ স্ক্রিনে নীল ইন্টারফেস ঝলসে ওঠে—“ধরা পড়েছে ৩০০ হ্যাঁজ”। মানে ২৭০ হ্যাঁজের ওপর আরেক সপ্টে দশমাংশ সাপেক্ষে ৩০° শিফট, হায়ার-অর্ডার রেজোন্যান্স।

ইলেকট্রো-টেস্টার ছোঁয়াতেই শালুক-গর্ভে ১২ ভোল্ট সমমান ভোল্টেজ—কোনো তার, ধাতু বা ব্যাটারি ছাড়া! পদ্মা-চরে প্রথম স্বয়ংক্রিয় অন্তর্জাগতিক জৈব-প্যানেল জেগে উঠল।

৪ | ‘ডিপ-স্কিন লিফ্ট’ : আকাশ-মাঠ উড়ল

এই বিদ্যুতের ভরসায় চর-বাসী সৌর-ঝড়ে কাঁপা বিদ্যুৎ-গ্রিড বিচ্ছিন্ন করেও হাসপাতাল, স্কুল, নেট-মোড়কে জ্বালিয়ে রাখল। আলোর-চর-মাঠের মাঝখানে শালুক-বাকল দিয়ে বাঁশের খুঁটি বেঁধে ডিপ-স্কিন-পর্দা তোলা হল; বিদ্যুৎ পেলেই পর্দাটি স্তব্ধ মালার মত ফুলে ফুটে ঘূর্ণি হাওয়ায় উড়তে থাকে—আকাশ-মাঠ যেন রংধনু পতঙ্গ। রাত নামার আগেই ‘ডিপ-স্কিন লিফ্ট’ ৬০ মিটার ওঠে—চাঁদের আলোতেও বিদ্যুত জোগায়।

৫ | ড্রেজ-ম্যাক্সের ‘হ্যালো-ব্যাট’ ব্যর্থতা

রেড-টাইডের আতঙ্কে গ্লোবাল বাজারে ব্যাটারি-ধাতুর দাম হু হু করে বাড়ে। ড্রেজ-ম্যাক্স বিজ্ঞাপন ছাড়ে—“হ্যালো-ব্যাট” নামে দ্রুত চার্জের গ্রাফিন-ম্যাঙ্গানিজ সেল, কিন্তু আকাশ-মাঠের উড়ে-থাকা ডিপ-স্কিন-লিফ্ট লাইভ-স্ট্রিমে তারা ব্যাকফুটে। কারণ চোখের সামনে মানুষ দেখছে—মাটি-নদি-পলির উপর কাঁটা-রহিত শালুক গজিয়ে বিদ্যুত দিচ্ছে, কোনো খনন ছাড়া। বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন তোলে, “একে টপকাবে কী?”—শেয়ারের দাম রোজ ১১ % হারে গড়িয়ে পড়তে থাকে।

৬ | নক্ষত্র-লোনারের দ্বিতীয় বার্তা—‘বিকে-পথ’

মধ্যরাত পেরোতেই গৃহস্থালির টাইম-সিঙ্গার চার্চ-ঘড়ি সব স্তব্ধ—এটমিক ক্লক পর্যন্ত ছন্দ ভুলে যায়। কারণ নক্ষত্র-লোনার ফের সিগন্যাল পাঠিয়েছে, এবার ৩৩০ হ্যাঁজ—২৭০ গুণ √(3/2) ≈ ৩৩০ হ্যাঁজ, ঠিক ত্রয়োদশ সুরমা। ইলোরা তেরো রাশি ফ্রিক ম্যাপ উল্টে দেখে বলে, “এই ট্রান্সপোজিশন তো ‘বিকে-পথ’, অর্থাৎ আকাশ-রুট মিলে ছায়াপথের অভ্যুত্থান!”

ড. মার্টা ফাঁকা চোখে আকাশ দেখলেন—এক ঝাঁক অনন্ত Shooting Star বাঁকা পথে ছুটছে উত্তর-পূর্বে, যেন ডিপ-স্কিন-লিফ্টকে পথ দেখাচ্ছে।

৭ | ‘মহাকাশ-শালুক → স্টার-পড’

রাত তিনটে নাগাদ শালুক-গর্ভে ৩০০→৩১৫→৩৩০ হ্যাঁজ সিঁড়ি-সিঁড়ি উঠতে থাকে; কোর-মোহর কক্ষনার্থ চুম্বক-খিল ফাটিয়ে ভিতর থেকে চকিতে বেরোলো স্ফটিক বাদামি বিটার বীজ। এগুলো শালুক-মুকুলের শীর্ষে লেগে স্টার-পড বানায়—পেল্লাই কোম্বল-মতো ডিপ-স্কিন-স্তর জড়িয়ে ঝুলছে। ভোরের একটু আগে ৬টা স্টার-পড একত্রে ওপর দিকে শুঁটি-ফাটার শব্দে পটাং করে খুলে গেল—দিনের আলো ছোঁয়ার আগেই তারা ডিপ-স্কিন-পাখায় দুলে মহাশূন্যের পানে উঠল।

রিফ-হার্টবিট ১০.০ তৎক্ষণাৎ ‘ফ্লাইট-বাস্টিং’ করল—পথ মুখে বিকে-পথ + ৫° কোণ, গতি ৪.৫ কিমি/সেকেন্ড, আর মাটিতে ফোটো-ভোল্ট বাকি রেখে দিচ্ছে। মানুষ প্রথম বার নিজের হাত না ছুঁয়েই মহাশূন্যে জৈব-বীজ পাঠাল।

৮ | ৩৬০ হ্যাঁজ সংবেদন—‘চৌত্রিশ পত্র’ ইঙ্গিত

স্টার-পড উড়তেই চর-আকাশে শাদা-সোনালি ঢেউ চক্র রচনা করে; রিফ-হার্টবিট স্ক্রিন ছ’বার ঝলকে ৩৬০ হ্যাঁজ চিহ্ন। মান্দা জোরে বলে ফেলল, “২৭০→৩০০→৩৩০→৩৬০—এ তো গাণিতিক ধাপ ৩০ হ্যাঁজ করে, ধারাবাহিক চতুষ্কোন; চৌত্রিশ পত্রের চলন!”

চর-শিশুরা যখন ষোড়শ পত্র আঁকছিল, তখন কেউ ভাবতেও পারেনি—পরের ধাপ সরাসরি দ্বিগুণ পত্র নেমে আসবে। ইলোরা শ্বেতার্ক মুখে বলেন, “পত্রের সংখ্যা দ্বিগুণ হলে, গল্পও দ্বিগুণ গভীর; মহাকাশ-শালুক মানে গ্রহ-গর্ভে আরেক চৈতন্য রোপণ।”

৯ | ‘ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং’ স্থাপনার ঘোষণা

ওয়েব-কনফারেন্সে নরওয়ে-অরোরা ইনস্টিটিউট, জাপান-মহাসাগর ব্লু-ল্যাব, ঘানা-স্যাভান হাব একসাথে ঘোষণা—ডিপ-স্কিন আর্থ-রিং বানানো হবে: মহাদেশ জুড়ে ছোট ছোট মহাকাশ-শালুক, স্টার-পড উড়িয়ে আকাশে স্বয়ংক্রিয় প্যানেল জোড়া লাগিয়ে বিশাল লাইট-বেল্ট; যাতে সূর্য-ঝড় দমলেও গ্রিড মরে না, আর গ্রহ-জীবনও উদ্বেল আলো পায়।
ড্রেজ-ম্যাক্সের শেয়ারের শেষ কদর ১৭ % নেমে যায়, কারণ বিনিয়োগকারীরা বুঝেছে—ভূগর্ভ খুঁড়ে ধাতু তোলার যুগ পেরিয়ে গেছে।

১০ | শেষ দৃশ্য — ‘নক্ষত্র-শালুকের নিমন্ত্রণ’

ভোর হচ্ছিল। আকাশ-মাঠের ডিপ-স্কিন-লিফ্ট সরে গিয়ে পূর্ব গগনে পাখনার অন্ধকার রেখা ফেলছে। পিয়াসী বাঁশি ঠোঁটে তুলল—৩৬০ হ্যাঁজের অতিক্ষীণ ফুৎকার কেউ শোনে না, কিন্তু আলোর-চর জুড়ে কুয়াশা কাঁপে। পদ্মা-নদীর জলে সেই তরঙ্গ জেগে উঠে শালুক-গর্ভে ঘুরে আসে, আর জল-পৃষ্ঠে রঙিন ছায়া আঁকে—দুটি পাতা, এক ইঙ্গিত ফুল!

সৈকত ডায়েরি বন্ধ করে শেষ লাইন লেখে—

> পর্ব ১৯ — নক্ষত্র-শালুকের অন্তঃলোহিত ভাষা ও ডিপ-স্কিন আর্থ-রিংয়ের প্রথম ভোর।

দূরে হালকা হাওয়ায় স্টার-পডের রুপালি দাগ মিলিয়ে গিয়েছে, তবু আকাশে টিকে আছে ক্ষীণ সবুজ ধাঁধা—যেন কোনো গীত খোলা রেখা-রূপে ঝোলানো, মানুষকে কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে: আলো চাইলে কাঁটা ছাটতে রাজি তো? paddles মারার মতো শালুক-পাতা নদী জলে দুলে ওঠে—উত্তর জানার আগেই সে নিজের দোলা-সুরে বলে, “এক ফুল দুই পাতা।”

— চলবে —

Address

Noyanpur Bazar, Telihati, Sreepur
Gazipur
1740

Telephone

+8801321885328

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পেন্সিলের প্রেম - Penciler Prem posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to পেন্সিলের প্রেম - Penciler Prem:

Share