13/08/2023
যেসব মেয়েরা সামান্যতে ভেঙ্গে পড়েন, তারা প্লিজ এটা পড়বেন।
:
আল্লাহর রহমতে পৃথিবীর অনেকগুলো মুসলিম
রাষ্ট্রে সফর করেছি, কিন্তু আজও আমার কাছে
একটা জিনিস অজানা রয়েছে, আর সেটা হলো
ইয়েমেনের হুমাইরা হেরার ধৈর্য কি পরিমাণঃ
আমি, আমার স্ত্রী, আর আমার ভাতিজীকে নিয়ে
মাস্তুরাত জামায়াতে গেলাম ইয়েমেনে, ওখানে
গিয়ে আমরা আমাদের সমস্ত কাগজ পত্র হারিয়ে
ফেলি, দেখলাম আমাদের দিকেই পুলিশ আসছে,
তখন একটা অজানা হতাশায় ভুগছিলাম, আর আমি
এস্তেগফার পড়ছিলাম, আমার স্ত্রীকে দেখে
এক মহিলা সালাম দিলেন, আর কুশল বিনিময় করলেন,
অকপটে আমার স্ত্রী বললো আমরা পাকিস্তানি,
এখানে আসার পর সব কাগজ পত্র হারিয়ে ফেলেছি,
এখন পুলিশ যদি সুযোগ না দিয়ে, আমাদের ধরে
নিয়ে যায়।
উনি মুসকি হাসি দিয়ে বললো,
- “বোন কোন ভয় নেই, ওরা মানুষ, কোন মানুষকে দেখে ভয় পেতে নাই, ভয়তো কেবলমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালাকেই পেতে হয়।”
পুলিশ আসলে, উনি পুলিশকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন, আর আমার স্ত্রীকে বলেন,
- “বোন চলেন আমার ছোট্ট কুটিরে।
উনার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে, উনার বাসায়
গেলাম, আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম।
উনার কুটির দেখে ভাবতে লাগলাম,
এত ছোট ঘরে মানুষ বসবাস করতে পারে তা
কখনোই জানতাম না।
সত্যিই অবাক করা বিষয়, উনি আমাদের তিনজনকে দুটো রুটি আর একটু তেল দিলেন।
তিনজন দুটো রুটি এটা কি করে হয়,
যেখানে আমার একারই প্রয়োজন 5/6 টা রুটি।
যাইহোক সাত পাঁচ ভেবে তিনজন ভাগাভাগি করে
খেয়ে নিলাম।
এতক্ষণ পর একজন বৃদ্ধের ব্যাথায় কুকানো আওয়াজ কানে ভেসে এলো, ওখানে গিয়ে দেখি চতুরঙ্গপাশ রঙিন পলিথিনে ঘেরা, আর তার মধ্যে একজন বৃদ্ধ, যার শরিরের দুই তৃতীয় অংশ গোশত নাই, পঁচে পঁচে ঝরে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় হাড় দেখা যাচ্ছে।
যেখানে এক মিনিট থাকা উক্ত মহিলাটি একটা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিচ্ছে, আর তার কপালে চুম্বন করছে, ফলে পঁচা গোশত ঠোঁটের সাথে লেগে যাচ্ছে।
আবার কখনো বা উনাকে বুকের সাথে
আলগে ধরে চোখের পানি ফেলছে।
করুণ দৃশ্য সহ্য করতে না পারায়, চলে এলাম।
কিছুক্ষণ পর পরিপূর্ণ পর্দাওয়ালা এক মেয়ে বাসায়
প্রবেশ করলো, আর উক্ত মহিলাকে মা মা বলে
বুকে জড়িয়ে কান্না করছিল। উনারা ছোট্ট একটা
ওড়না দিয়ে ঘরের মধ্যেখানে পর্দা করে নিলেন,
প্রথম বার বুঝলাম, পর্দা করার জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স,
গাড়ি বাড়ি লাগেনা।
শুধু আল্লাহর ভয় থাকলেই হলো।
মেয়েটা কিছু খাবার চাইছিল, আর উক্ত মহিলা বলছিলেন,
- “মা, আজ আমাদের