16/02/2025
স্বর্ণ, প্রাকৃতিক গ্যাস, অপরিশোধিত তেল, কিংবা পেট্রোলিয়ামের মতো মূল্যবান খনিজের বিপুল ভান্ডার থাকলেও, যে কেউ চাইলেই আটলান্টিকের বুকে পাড়ি জমাতে পারে না। মানুষের হাতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি চলে আসলেও, এই মহাসাগরের রহস্যময় বৈচিত্র্যতা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে এখনও বিস্ময়ের। সাধারণ জলযান নিয়ে এখানে কেউ যাওয়ার সাহস করে না।
আটলান্টিকে এমন অনেক রহস্যময় ও ভ*য়ংকর স্থান আছে, যেখান থেকে কেউ বেঁচে ফিরতে পারেনি। তাই যুগ যুগ ধরে সবার কাছে বিস্ময়ের খোরাক হয়ে আছে আটলান্টিক মহাসাগর। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, অন্যান্য মহাসাগরের পানি নীল দেখালেও, আটলান্টিক মহাসাগরের পানি অনেকটা সবুজ রঙের।
রহস্যময় আটলান্টিকে সাধারণ মানুষের পা না পড়ার একটি কারণ বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল। বহু জাহাজ ও বিমান এই স্থানে গিয়ে হারিয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা যার কূলকিনারা করতে পারেনি। ধারণা করা হয়, বারমুডা ট্রায়াঙ্গালে এমন কিছু অতিপ্রাকৃতিক বিষয় আছে, যার ফলে এখানে পৌঁছা মাত্র জাহাজ বা বিমান হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, পুয়ের্তো রিকো এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বারমুডার মধ্যবর্তী স্থানকে চিহ্নিত করা হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল হিসেবে।
বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, জলদ*স্যুতা আটলান্টিকের সমুদ্রপথকে বিপদজনক করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলোর জন্য রীতিমতো হু*মকি হয়ে ওঠেছে সোমালিয়ার জলদ*স্যুরা। তাদের তাণ্ডবে আটলান্টিক হয়ে উঠেছে আরও ভয়ংকর।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে মাইলের পর মাইলজুড়ে স্বর্ণের খনিও আছে। কিন্তু এই মহাসাগরের তলদেশের ভ*য়াবহতার দরুণ তা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। আটলান্টিকের জলস্রোত এতোটাই প্রবল যে টাইটানের মত শক্তিশালী সাবমেরিন এই জলের তোড়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেবল তাই নয়, ১৯১২ সালে বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজও এ মহাসাগরের বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল। যা ছিল তৎকালীন সময়ের পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজ।