https://www.facebook.com/142259612294678/

Shefa, Dhaka Gazipur Highway, Gazipur (2025)

05/07/2024

কখনো কী ভেবে দেখেছেন.?? কাঁন্নার পর এত গভীর ভাবে ঘুম চলে আসে কেন..??

সবচেয়ে কষ্টের মূহুর্তে যখন সব চেয়ে
কাছে মানুষটাও দূরে চলে যায়...
এবং আপনি নিজেকে খুব অসহায় ও একাকী মনে করেন,,,

তখন আপনার “রব” আপনাকে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দেন।

আশ্চর্যজনক ভাবে দেখবেন যে,, ঘুম থেকে উঠার পর মনে হয়, মন টা অনেক হালকা হয়ে গেছে।

আল্লাহ জানতেন যে! মানুষটা আপনার জন্য খারাপ।
তাই আল্লাহ আপনাকে তার দ্বারা কষ্ট পাওয়ার অনুভূতি দিয়েছেন! যাতে আপনি তাকে ছেড়ে দিন।

কিন্তু আপনি এতো বেশী সংযুক্ত ছিলেন যে, তাকে ছেড়ে দিতে পারেন নি।

এবং এখন তিনি আপনাকে আরো ভালো কিছুর জন্য প্রস্তুত করছেন।
আপনাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছেন।

ততক্ষণ ধৈর্য ধরুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, অবশ্যই তিনি ভালো জানেন।

08/06/2024

ফেসবুকে ইদানিং একটা কথা খুব দেখতেছি যে মেয়ের মা যত চালাক, সেই মেয়ের তত তালাক না কি যেনো একটা কথা। মেয়ের মায়েদের নাকি মেয়ের সংসারে বেশি নাক গলাতে হয় না। আমি ১০০% একমত। মেয়ের সংসার স্বামী স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবে এইখানে মেয়ের মা কেনো নাক গলাবে? কিন্তু ছেলেরা যে বউয়ের সাথে ঘুরতে যাইতে হইলেও বলবে আমার মায়ের থেকে জিজ্ঞাসা করি, বউ কিছু বললেই বলে আগে মাকে জিজ্ঞাসা করো, বউ ঘরের কিছু কিনতে গেলেও মায়ের থেকে জিজ্ঞাসা করো তখন কি ছেলের মা নাক গলাচ্ছে না? মেয়ের মা নাক গলালে সমস্যা ছেলের মা নাক গলালে মা আমাদের ভালো চায়? আপনারা মেয়েকে অত্যাচার করবেন আর মেয়ের মা চুপ করে থাকবে? কেনো মেয়ে সে কষ্ট করে জন্ম দেয় নাই? নাকি মেলা থেকে কুড়ায় পাইছে? সব কিছুরই লিমিট আছে। সেটা মেয়ের মা হোক আর ছেলের মা কারোই কারো জীবনের সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নাই, নাক গলানোর অধিকার নাই।

© by সুমাইয়া

13/05/2024

গল্পঃ সংসার
চন্দ্রাবতী
পর্ব ২ শেষ পর্ব

" ভালো সময়ে এসেছো। আমি শুনেছি তুমি খুব ভালো রান্না করো। ফ্রেশ হয়ে কিছু বানিয়ে আনো দেখি ঝটপট। আর হ্যাঁ আজ রাতের খাবার আমি ঘরেই খাবো।"

সকাল থেকেই রেহানের মেজাজ চড়ে ছিল। তারপর অফিসের চাপ মন মত টিফিন না পাওয়া। ঘরে এসেই বউয়ের নামে মায়ের কাছে একগাদা নালিশ শোনা। তারউপর মীরার এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে রেহান চেঁচিয়ে উঠলো

" কি হয়েছে টা কি তোমার মীরা..? মা এতো অভিযোগ কেনো করলো তোমার নামে..? আর এখন ক্লান্ত হয়ে এসে আমি তোমায় ভালোমন্দ রান্না করে দেবো..? আর তুমি বসে বসে খাবে বাড়ির বউ হয়ে..?রাতের রান্নাও তো বসাওনি।"

রেহানের কোথায় শশুর শাশুড়ি দৌড়ে এলেন। আমি কিছু হয়নি এমন একটা ভাব নিয়ে উঠে গিয়ে মা ছেলের মুখোমুখি দাঁড়ালাম। দুজনেই ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে আমার দিকে চেয়ে। আমি এবার টিভিটা শান্তভঙ্গিতে অফ করে বললাম

" বাহ রেহান বাড়ির বউ বলে আমি সকালে উঠে তোমার জন্য কফি দেবো, সবার জন্য ব্রেকফাস্ট দুজনের জন্য টিফিন বানাবো। দুপুরের জন্য সবজি কেটে রেখে যাব। তোমার কাপড়জামা ধোবো। অফিস থেকে আসলে তোমার ফরমায়েশ খাটবো। আর তুমি পায়ের উপর পা তুলে শুধু অর্ডার করবে..? বাহ রে বাহ্ কি দারুন ব্যাপার।"

রেহান কিছু বলতে গেলেও আমি থামিয়ে দিয়ে এতক্ষণের শান্ত কণ্ঠটায় ক্রোধ মিশিয়ে বললাম

"এই রেহান এই...আমায় কি তোমার চব্বিশ ঘণ্টা রাখা চাকরানী মনে করো..? কেনো করবো আমি রোজ রোজ তোমার সব কাজ..? তোমার হাত পা নেই অচল তুমি..? কই আমার দরকার পড়লে তো আমার কাজ তুমি করে দাও না। তাও সব মেনে নিয়ে করে দিতাম সব কিন্তু তোমরা তো দেখি আমার উপর পুরোই নির্ভরশীল হয়ে উঠলে। আমি অফিস যাই না...? রাতে আমি ক্লান্ত হয়ে ফিরি না...? বাড়ির বউ কি দিনে চব্বিশ ঘন্টা সার্ভিস দেওয়া রোবোর্ট মনে হয় তোমার..? একদিন আমি তোমার মতো আচরণ করতেই এই দশা...? আমি তো এসব রোজ ফেস করি। এবার বোঝো আমার কেমন লাগে...? সারাদিনের পর তো কখনও জিজ্ঞেস অবধি করোনি আজকের দিনটা কেমন কাটলো মীরা..?"

শেষের কথা বলতে গিয়ে আমি মুখ চাপা দিয়ে কেঁদে ফেললাম। রেহান কিছু বলতে গিয়েও বলল না চুপ করে মাথা নীচু করে থাকলো। আমি মুখ থেকে হাত সরিয়ে শাশুড়ির সামনে গিয়ে বললাম

" আর মা আপনি..? আপনি যদি সারাদিন রান্না করবে ঘরদোর সামলাবে এমন বউ লাগতো তাহলে তেমন মেয়েই বিয়ে করাতেন। খুঁজে খুঁজে চাকরিওয়ালা মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার কি দরকার ছিল..? আমি কি মানুষ না..? আপনার ছেলের কাজ করতে কষ্ট হলে আমার হয় না..? চব্যচশ্য রান্না করে খাওয়াব আবার কথাও শুনবো।"

অদ্ভুত ভাবে আমার কান্নামিশ্রিত চেঁচিয়ে বলা কথার উপর মা ছেলে একটা কথা বলল না। চুপ করে শুনলো। মা যে কিছু বলবেনা তা আমি জানতাম। তিনি পিছনে বলার মানুষ।

আমি তাদের চুপ দেখে আবারও বললাম "আমি সাফ সাফ জানিয়ে দিচ্ছি আপনাদের দুজনকে। কাল থেকে নিজেদের কাজ নিজেরা করবেন। সংসার একা আমার নয়। আর রেহান সরি টু সে সেইদিনের তোমার বলা " লাকি টু হ্যাভ ইউ " কথাটা ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। কারন সেই জায়গা তুমি অর্জন করতে পারোনি।"

আমি বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে। এরপর তারা কি বলবে বা করবে আমার জানার দরকার নেই। আমি যে এতদিন চেপে রাখা মনের কথা বলতে পেরেছি এই অনেক। এই না যে সংসারের কাজ করতে আমার অনেক বেশি খারাপ লাগে। কিন্তু যারা আমার কাজের কোনো মূল্য দেয় না তাদের জন্যে রোজ ফায়ফরমাস খাটার মানেই হয় না। আমার মনে হয় প্রথম থেকেই এইগুলো সব মিটমাট হয়ে যাওয়াটা ভালো। যাতে পড়ে গিয়ে সংসারে অশান্তি না হয়। এই সংসার আমার। আমি আমার মত করে সাজিয়ে নেবো। তাও কখনও ছেড়ে যাওয়ার কথা মুখে আনবো না।

_________________সমাপ্ত _________________

13/05/2024

শেফার জীবন গল্প

পর্ব ১- শিশুকাল
শেফার পরিবারে ছিল দাদি, ৩ চাচা, ২ ফুফু আর মা বাবা। বাবা ছিলেন সৌদি প্রবাসী, ফুফুরা ছিলো বিবাহের যোগ্য তবে তখন কারোরই বিয়ে হয়নি।চাচারাও খুব ছোট, দুই চাচা এতিম খানা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন, আর বাকি রইল মেজো চাচা,তার কথা একটু পরেই বলি।দাদার জমি বিক্রি করে বাবা দূর প্রবাসে পারি জমান।তখন শেফা মায়ের গর্ভে ৩ মাস হয়েছে। খুব অভাবের সংসার, মেয়েরা যখন গর্ভবতী থাকে তখন তার রুচি অনুযায়ী অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে হয় এবং সে খায়ও।মায়েরও হয়তো অনেক কিছু খেতে মন চাইতো কিন্তু শেফার অভাগি মা বাবা হারা মা দিন শেষে পেয়াজ কাচা মরিচ দিয়ে পান্তা ভাত ছাড়া কিছুই জুটতো না, মাঝে মাঝে শুধু পানি দিয়েই পেট ভরাতো। এতো অভাব আহা! কি নিদারুণ নিষ্ঠুর কঠিন পরিস্থিতি 😞 এর মধ্যেই শেফার জন্ম হয় ২০০২ এর সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ ফজর আযানের পর। প্রথমে মেয়ে বলে সবাই মন খারাপ করলেই পরে ঠিক হয়ে যায়। শেফারও একই পরিনতি। সংসারের হাল ধরার মতো কেউই ছিল না। তখন ১০ বছর বয়সেই শেফার মেজো চাচা কাজে নেমে গেলেন এই আশায় যে,অন্তত ভাতিজির মুখে কিছু খাবার দিতে পারবেন। এভাবেই কঠিন অভাবে দিন বয়ে যায় এর মধ্যেই হঠাৎ শেফার বাবার চিঠি আসে। পরিবারের সবাই মুরর্খ হলেও মা ওই সময়ের অষ্টম শ্রেণি পাস ছিলেন তাই চিঠি পরতে দূরে কোথাও যেতে হয়নি। খামে চিঠির সাথে প্রথম বেতনের টাকাও ছিলো। তবে সবটাই ঋন বাবদ। নানা ঝামেলা অশান্তির মধ্যে শেফা বড় হয়ে ওঠে। একটু একটু করে হাটতে শিখেছে কথা বলতে শিখেছে,সবাইকে ডাকতে পারে। এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই বাবা ৩ মাসের ছুটিতে বাড়ি আসলেন। সবার মাঝেই খুশির আমেজ। বাবার ছুটি ফুরিয়ে এলো সে আবার প্রবাস জীবনে ফিরে গেলেন। এরপর হঠাৎ করেই দাদি বুঝতে পারলেন আমি বোন হব, মানে আরও একজন ছোট সদস্য আসবে আমাদের সংসারে। মাস সাত এক পরেই আমার পরিবারে খুশি নিয়ে আমার ভাই হয়। দিন দিন আমার পরিবারে সাচ্ছন্দ্য ফিরতে শুরু করে। এভাবে করে সুখে দুখে শিশুকালটা কেটেই গেল🙂

10/05/2024

বিয়ের পরের দিন সকালেই বর খুব তাড়াহুড়োয় অফিস বেড়িয়ে গেলো। যাওয়ার আগে গোসল সেরে বলে গেলো

– " মীরা আজ ভীষণ ব্যস্ত আছি আমার জামাকাপড় গুলো একটু ধুয়ে মেলে দিও। "

আমি হাসি মুখে মাথা নাড়ালাম। যত্ন করে কাপড় গুলো ধুয়ে শুকোতে দিয়ে এলাম ছাদে।

আমি নিজেও অফিস যাই। তবে বিয়ে বলে পাঁচ-দিন ছুটি নিয়েছি। আমার বরের নাম রেহান। সে আইটি সেক্টরে চাকরি করে। দুজনের অফিসের সময় একই। কিন্তু মাঝে মাঝে রেহানকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে তাড়াতাড়ি যেতে হয়। আমাদের বিয়েটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলেও গত দুই মাস আমরা ভালোই প্রেম করেছি। রেহানকে আমার কোনোদিক দিয়েই খারাপ মনে হয়নি।

রেহান এলো রাত আটটার। ওর ক্লান্ত শরীর দেখে আমি নিজেই রান্নাঘর থেকে শরবত বানিয়ে নিয়ে গেলাম। পাশে বসে কিছুক্ষন মাথা টিপে দিলাম। রেহান চোখ বুজেই আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরে পেটে মুখ গুঁজলো। আমি শিরশিরিয়ে উঠলাম। নতুন অনুভুতি ভাসিয়ে নিয়ে গেলো আমায়। রেহান একইভাবে থেকে ধীর কন্ঠে বলল " লাকি টু হ্যাভ ইউ মীরা "

আমি লাজুক হেসে রেহানের মাথায় বিলি কেটে দিলাম কিছুক্ষণ। তারপর রেহানকে ভীষন ক্লান্ত দেখে ওর খাবারটা উপরেই নিয়ে এলাম। সে আরোও সুযোগ পেয়ে আমার হাতে খাওয়ার বায়না ধরলো। আমি জানি এখন খাওয়ার থেকে সে দুষ্টুমি বেশি করবে। তাও আমি সায় দিলাম। আমার নিজেরও মন্দ লাগে না তার এই মিষ্টি দুষ্টুমি। সেই রাতে রেহান আমায় অসীম ভালোবাসার খোঁজ দিলো। আমিও ধীরে ধীরে তলিয়ে গেলাম সেখানে।
এইভাবেই কেটে গেলো পাঁচটা দিন। এই পাঁচদিনে আমি একজন পারফেক্ট হাউজ ওয়াইফের মতো সবই করেছি। সকালে রেহানকে কফি করে দেওয়া থেকে শুরু করে তিন বেলার রান্না করা। রেহান আসলেই তার সামনে কিছু না কিছু পছন্দের আইটেম বানিয়ে দেওয়া। রাতে চুলে বিলি কেটে দেওয়া।

তবে এর পরের দিনের চিত্রটা হলো কিছুটা অন্যরকম। আমার সকালে অফিস চালু হওয়ায় আমি সকালে উঠে শুধু সবার জন্য ব্রেকফাস্ট আর আমাদের দুজনের টিফিন বানালাম। আমার শাশুড়ি কে কড়াও বলে চলে না নরমও বলা চলে না। তিনি যে কখন কি চান সেটাই বোঝা বড়ো দায়।

অফিসের প্রথমদিন থাকায় আসতে আমার বেশ দেরি হলো। রাত সাড়ে আটটা বেজে গেলো। আমি ক্লান্ত শরীর নিয়ে রুমে ঢুকে দেখলাম রেহান ল্যাপটপে মুভি দেখছে। আমায় দেখে মুচকি হেসে বলল ফ্রেশ হয়ে নাও। আর শোনোনা কিছু বানিয়ে দেবে খুব ক্ষিদে পেয়েছে।

আমার খারাপ লাগলেও প্রথম প্রথম আমি কাজ থেকে এসেই রেহানের জন্য স্ন্যাক্স বানিয়ে দিতাম। এক একদিন শাশুড়ি মায়ের গম্ভীর মুখ দেখে রাতের রান্নাও করতাম। প্লেট গুছিয়ে শুতে যেতে দেরি হলে আবার রেহান রাগারাগি করতো।

কিছুদিন এইভাবেই চলার পর আমি দেখলাম সবাই আমার উপর ধীরে ধীরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। রেহান সকালে উঠেই গোসল করে জামাকাপড় ছেড়ে রেখেই অফিসে চলে যায়। মাঝে মাঝে আমার এই কারণে অফিসে যেতেও লেট হয়েছে। রেহানকে বললেও সে কোথায় তেমন গুরুত্ব দেয় না। অফিস থেকে এসেও রেহানের রোজকার আবদার চলে এটা বানিয়ে দাও সেটা বানিয়ে দাও। তারসাথে রোজকার শাশুড়ি শ্বশুরের চা নাস্তা তো আছেই। রাতের রান্নাও এখন তাকে প্রায়ই করতে হয়।

আমি রাতে ভীষন হাঁপিয়ে উঠি। বাপের বাড়িতেও কাজ করতাম তাই বলে এতো না। সারাদিনের কাজ শেষে শরীর দেয় না আমার। রেহান এতে বেশ বিরক্ত হয় এটা বেশ বুঝি আমি।

আমি আর সেই রাত ঘুমাই না। চোখের কোনে জল আসা আটকাই। ভোরের দিকে একটু চোখ লেগে আসতেই রেহান আমায় ডাকতে লাগে

" এই মীরা.. কফি দেবে না..? আজ কি ব্রেকফাস্ট টিফিন বানাবে না..? এতো দেরি করছ যে..?"

আমি শান্ত ভঙ্গিতে উঠে বসে আড়মোড়া ভাঙ্গি। তারপর বলি আজ শরীরটা খারাপ লাগছে তাই আজ অফিস যাবো না তাই নো ব্রেকফাস্ট বানানো নো টিফিন বানানো। তুমি যাও রেডি হয়ে নীচে গিয়ে কিছু ব্রেকফাস্ট করে অফিস চলে যাও। আমি আজ লেটে উঠবো।

রেহান অবাক কন্ঠে বলে " মানে..? তুমি যাবে না তো কি হয়েছে আমি তো অফিস যাবো। আর আমার জামাকাপড় গুলো কে ধোবে..?"

আমি হাই তুলে বলি তুমি অফিস যাবে তুমি টিফিন বানাও। ব্রেড বাটার ছাড়া কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বানিয়ে নাও। আর হ্যাঁ আমায়ও দিয়ো।"

রেহান যেনো কথা বলতে ভুলে যায়। আমি তা দেখে মাথা চুলকে বলি " ওপস তোমার জামাকাপড়...আমার গুলোও পারলে ধুয়ে দিও কেমন। ওই যে সোফায় রাখা।"

বলেই আমি শুয়ে পরলাম আরামে। রেহান রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেলো। আমি হাসি দিলাম প্রশান্তির। রেহান যে আমায় ভালোবাসে না তা ঠিক না। তবে তাকেও আমার করা জিনিসের মূল্য বুঝতে হবে। যাদের জন্য খেটে মরবো তারাই সব দেখে শুনে আরও খাটাবে এইভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না না।

রেহান বেশ তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে উপরে এলো। নেক্সট পাঠ কথা কাব্য তে পাবেন। বুঝলাম মা কথা শুনিয়েছেন। রেহান আমায় রাগ দেখিয়েও অনেক কথা বলল। আমি শুধু শুনলাম। আমি ফিরিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী। যা দেবে তা এক না এক টাইমে আমি ফিরিয়ে দেবই।

দুপুরে টেবিলে গিয়ে বসে আয়েশী ভঙ্গিতে খেলাম। শাশুড়ি মা পুরোটা সময় মুখ হাঁড়ির মত করে রাখলেন। আমি বুঝেও না বোঝার ভান করে রইলাম। রেহান অফিস থেকে ফেরার পর আমিও টিভি থেকে চোখ সরিয়ে তাকে দেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললাম

চলবে.....

সুরাইয়া আক্তার শিফা..... ✍️
আপনাদের সাড়া পেলে নেক্স দিবো নইলে এই পর্বে শেষ।

09/05/2024

ডিভোর্সের ১৭দিন পর রাত সোয়া ৪'টার সময় আমার প্রাক্তন স্বামী ফোন করেছিল। তখন আমি ওরই ছবি বুকে জড়িয়ে ৭মাসের সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাঁদছিলাম। এতো রাতে হঠাৎ তার ফোন কল পেয়ে আমি চমকে উঠলাম। ফোনে তখনও সেই প্রিয় নামটাতেই তার নাম্বার সেভ করা ছিল। মন না চাইলেও ইতস্ততঃ করে কেনো যেন কল রিসিভ করলাম। সঙ্গে সঙ্গেই ওপাশ থেকে সে আর্ত কাতর স্বরে বলল,

আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতে চাইনি অনিন্দিতা। গোপন ফন্দি ও মমতাশূন্য পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করেছে। আমার সন্তান ও তোমাকে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম। শেষ শ্বাস অবধি যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিধাতা হয়তো এমনটা চায়নি।

ভাঙা গলায় বললাম,

এতো রাতে ফোন করে এসব তুমি কী বলছো ইমতিয়াজ? তোমার কোনো কথাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তুমি আমাকে কেনো ফোন করেছো? কী বলতে চাইছো? আর কখনো আমাকে ফোন করবে না। তোমার সাথে সব সম্পর্কই আমার শেষ হয়ে গেছে।

আমি জানি, তুমি এখনো আমাদের ডিভোর্সটা মেনে পারছো না। এমনকি এতো রাতে আমারই ছবি বুকে জড়িয়ে তুমি কাঁদছো। কিছু সত্য তোমাকে মেনে নিতে হবে আর কিছু সত্য তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে। আজ তোমাকে অনেক কিছুই বলার ছিল আমার। কিন্তু সে পর্যন্ত আয়ুষ্কাল আমার হাতে নেই। অলরেডি আমার
শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়ে গেছে অনিন্দিতা। আমার ভেতরটা ঝ*ল*সে যাচ্ছে। শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিয়ো। তোমাকে দেওয়া কোনো কথা, প্রতিশ্রুতিই আমি রাখতে পারলাম না। যদি কাল শীতের সকালে তুমি শুনতে পাও, আমার লাশ খাটিয়ায় উঠেছে। দয়াকরে তুমি কাফন জড়ানো লাশটা দেখতে এখানে, কখনো এসো না। শেষ বেলা তোমাকে একটু না দেখার মানসিক আর্তি আমার রয়ে গেল।

তারপর ওপাশ থেকে আর কোনো আওয়াজ আসেনি। কলও কাটেনি। এভাবে আধাঘন্টা গেল। পরে আমিই ফোনটা কেটে দিই। সেদিন রাতে আমি আর চোখের পাতা বন্ধ করিনি। বাকি রাতটাও অশ্রুতে নয়ন ভিজিয়ে পার হয়েছিল আমার। পরেরদিন সকালে বাড়িতে পুলিশ আসে। তাদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম, ইমতিয়াজ মারা গেছে। সকালে নিজের রুমেই নাকি ওর লাশ পাওয়া গেছে। যা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বুকের ভেতর ছ্যাঁৎ করে উঠলো। চোখ থেকে পানি বের হয়ে গেল। মুখ চেপে কোনোরূপ কান্না আটকে রেখেছিলাম।

অতঃপর নিজেকে যথাসম্ভব নৈসর্গিক করে বললাম, সে কী করে মারা গেছে?

পুলিশ অফিসার প্লাবন সাথে সাথে জবাব দিলো, - দেখে তো মনে হলো বিষ খেয়েছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেম হওয়ার পর রিপোর্ট বের হলেই সব খুঁটিনাটি জানা যাবে। শেষ আপনার সাথেই ইমতিয়াজ ইসলামের কথা হয়। যদিওবা অত রাতে। তা
ডিভোর্সের ১৭ দিন পর আপনাদের মাঝে ঠিক কী নিয়ে কথা হয়েছিল? তাছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় জানার জন্যই আমাদের এখানে আসা।

প্রত্যুত্তরে সব কিছু বললাম। এরপরও তারা আমায় বিভিন্ন ভাবে জেরা করে। নিঃশঙ্ক ভাবে সব প্রশ্নের জবাব দিলাম। তারপর ওনার চলে যায়। সাথে সাথে আমি আমার রুমে চলে এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বোবা কান্নায় ভেঙে পড়ি। এরপর প্রায়ই একসপ্তাহ পর জানতে পারলাম, পোস্ট মর্টেমের পর ইমতিয়াজের লাশ আজ তার বাড়িতে আনা হয়েছে।

দুপুর ১২'টার সময় বাবাকে বললাম, জোহরের নামাজের পর ইমতিয়াজকে কবর দেওয়া হবে। আমি ওকে শেষবারের জন্য একবার দেখতে চাই। বাবা এতে নারাজ হলো। সঙ্গে সঙ্গে রাগান্বিত গলায় বলে উঠলো, - তুই ওখানে কিছুতেই যাবি না অনিন্দিতা। ওর সাথে তোর আর কোনো সম্পর্ক নেই। যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। কোন অধিকারে যাবি তুই?

কিছু না বলে চুপচাপ নিজের রুমে চলে আসি। আলমারি থেকে কালো রঙের একটা বোরকা বের করলাম। অজান্তেই কয়েক ফোটা চোখ থেকে পানি বের গেল। বিবাহবার্ষিকীতে ইমতিয়াজের দেওয়া উপহার ছিল এটা। খুব পছন্দের বোরকা। অতঃপর কাজের মেয়েটাকে ডেকে বললাম, আমি বের হচ্ছি। আমার ছেলে (অমিত) এখন ঘুমাচ্ছে। আমি না ফেরা পর্যন্ত ওকে দেখে রেখো আর ঘুম ভেঙে গেলে সামলে নিয়ো। বিলম্ব করবো না। অতি শীঘ্র
চলে আসবো।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বাবা জিজ্ঞেস করেছিল, কোথায় যাচ্ছি। কিছু বলিনি। চুপচাপ বেরিয়ে আসছিলাম। কিছু আঁচ করতে পেরে বাবা আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। রাস্তায় কোনো যানজট না থাকলে সর্বোচ্চ ৩০'মিনিট সময় লাগবে ইমতিয়াজদের বাড়ি যেতে। ঠিক ৩০'মিনিটই সময় লাগলো। একতলা বিশিষ্ট বাড়ি। ঢেরদিন পর এ বাড়িতে পা রাখলাম। শহরা অঞ্চলে এ বাড়িটা করার জন্য ইমতিয়াজকে কতযে কাঠগড় পোড়াতে হয়েছিল। ওর জীবন সংগ্রামের কোনো কথাই আমার অজানা নয়। কতশত মানুষের ভিড়। থাকবেই তো। লা*শে*র ক্ষানিকটা দূরেই ছেলে হারানো মায়ের আর্তনাদ। যা আমার বুকের ভেতরের পীড়া, যাতনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আমি বেশিক্ষণ সেখানে থাকিনি। থাকতেও পারিনি। শেষবার ওর ফ্যাকাসে যাওয়া মুখটা দেখেই চলে এসেছিলাম।

বাড়িতে আসা মাত্রই সবার ক্রোধ, আক্রোশের সম্মুখে

পড়তে হয়। সবার মুখে একই প্রশ্ন, কাউকে কিছু না বলে

আমি কোথায় গিয়েছিলাম। ভাবী-তো বলেই ফেলে, বেহায়া

মেয়ে। লাজ শরমহীন।

09/05/2024

Ex✅

04/05/2024

দু'টো পরোটা আলুভাজা দিয়ে ভাগাভাগি করে খাওয়া আমাদের একটা সুখের সংসার ছিলো। ঘর ছিলো দারুণ একখান। ওই ঘারের জানালায় নীল পর্দা ছিলো। পর্দা সরালে দেখা যেত ভোরের আসমান। বেলকনিতে ছিলো রং-বেরঙের সবুজ গাছ। ছাদের এক কোণ জুড়ে ছিলো ক্যামলিয়া ফুল গাছ। গল্প ছিলো, দুঃখ ছিলো, সুখ ছিলো, আনন্দ ছিলো, বেদনা ছিলো, গান ছিলো, কবিতা ছিলো আর সঙ্গে ছিলে তুমিও।

আচমকা একদিন মনের জানালা খুলে দেখি তুমি নেই। তুমি চলে গেছো এমন কোথাও, যেখানটায় থেকে ফিরে আসার কোন সুযোগ নাই। অ'সময়ে আসা তীব্র ঝড়ে তুমি আশ্রয় নিলে অন্য কারোর ঘরে, অন্য কোনো ছাদের নিছে। কি বিচ্ছিরিভাবে তোমাকে হারালাম আমি। একরোখা আমি ভুলে যেতে চাইলাম জেদের বসে সব। বাঁচার চেষ্টায় করলাম। প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা একটা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল আমাদের সংসার। সংসারের প্রতিটি ভাঙা টুকরো জড়ো করে জুড়তে চেয়েছি বার বার। প্রতিবারই চরম ব্যার্থতা আর অপমান নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে আমাকে। ভিটামাটি হারানো মানুষের মতো আমি কেবল ভাঙা শূন্য একটা ঘরে একলা একলা হা-হুতাশ করলাম।

একদিন যে জানালার নীল পর্দা সরিয়ে তুমি ভোের দেখতে দেখতে গেয়ে উঠেছিলে জীবনের গান, একদিন যে ছাদে রেলিঙে দাঁড়িয়ে গোধূলি সন্ধ্যায় পাখির ঘরে ফেরা দেখেছিলে, যে ঘরের আয়নার সামনে
তুমি আমায় জরিয়ে ধরে বলতে চোখে একটু কাজল পড়ো, নয়তো আমার নজর লেগে যাবে।যে বিছানায় মুখোমুখি শুয়ে ঠোঁটে আওড়িয়েছিলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম রোমান্টিক কথাবার্তা। সে ঘরে তুমি আর নেই। ভাবতে পারো কিছু?

অনেকগুলো দিন, অনেকগুলো দিন পর বুঝতে পারলাম আমি আর তোমার জন্য শোক প্রকাশ করতে পারছি না। তুমি ভাবলে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আর আমি ভাবলাম তুমি হয়ে উঠেছো নতুন সংসারের অন্য কারোর সুখের ঘর। কোথাও কোন অফসোস নেই, স্মৃতি নেই।

শুধু কোন এক ঘুম না আসা রাত্তিরে দু'জনে দুই প্রান্তে অতীত মনে করে হাঁটতে হাঁটতে সেই ভাঙা ঘরের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ভিজে গিয়েছিলাম কী যেন এক কান্নায়। আমরা জেনে গিয়েছি, কিছুই ঠিক হয় না, কিছুই ভোলা যায় না। আমরা শুধু সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার বনিতা করি। আমরা শুধু দুঃখ গোপন করি বলি ভালো আছি, ভালো থাকি।

তাই সংসারটা ভেঙে যায় -

বাকী জীবন সেই সংসারের ভাঙা টুকরো গুলোতে হাত পা কাটে মানুষ নিরবে নিভৃতে প্রতিদিন, প্রতিদিন,😔 প্রতিদিন..

03/05/2024

তোমার লাইগ্যা পরানডা আইজ মেলা পুইড়া যাইতাছে! তুমি কেমন আছো, আমারে একটু কইবা?

এ বুকটা আইজ ফাঁকা ফাঁকা লাগতাছে! আইজ রাইতে চাঁন্দের আলো আমারে প্রেমে ডুবাইতে পারতাছে না, যেমন কইরা ডুব আইজ আমি তোমার মাঝে দিছি। তোমার দম বন্ধ অইয়া যাওনের সময় তুমি যেমন কইরা ছটফট করতা, তেমন কইরা আইজ আমি ছটফট করতাছি! দেহো জান, দেহো।

আইজ আমার তোমারে মেলা মনে পড়তাছে! তুমি কেমন কইরা আমারে ছাড়া থাহো, কইতে পারো? কেমন কইরা তুমি আমারে ভুইলা থাহো?

এই যে আমি ভালা নাই, তুমি কী দেহো না? তোমার লাইগ্যা পরানডা কেমন আনচান আনচান করতাছে আইজ! বুক ফাইটা কান্দন আইতাছে, তয় আমি যেন কান্দিবার পারতাছি না।

কান্দুম ক্যামনে? কও...

তোমারে জড়াই ধইরা কাইন্দা বুক ভাসাইবার চাই, তয় তুমি যে মেলা দূরে! এমন কইরা ক্যান দূরে সইরা গেলা? ক্যান আমারে একলা কইরা দিলা জান?

আমার যে আইজ কোনোকিছুই ভালা লাগতাছে না!

দুনিয়ার হগ্গল সুখের কথা ভুইলা আমি যে আইজ খালি

তোমার কতাই মনে করতাছি। তুমি কী ভালা আছো?

আগের লাহান দম বন্ধ অইয়া আহে তোমার? দম নিতে মেলা কষ্ট হয়? এই যে দেহো, আমিও কেমন কইরা দম বন্ধ অইয়া মইরা যাইতেছি!

তুমি আমারে বাঁচাইবা না? আমারে একটু তোমার বুকে নিয়া শান্তি দিবা না? আমি অহন কই যামু? কে আমারে জায়গা দিবো? তুমি ছাড়া আর ক্যাডায় আমারে বুঝবো?

আমারে তোমার লাহান কইরা আর ক্যাডায় ভালাবাসবো? ক্যাডায় আদর কইরা রাগ ভাঙ্গাইয়া খাওয়াইবো? ক্যাডায় আমার যতন নিবো? কার এত ঠ্যাকা পড়ছে? কও...

তোমার লাইগ্যা পরানডা জুইড়া খালি অশান্তি লাগতাছে! তুমি কেমন আছো? আমারে ছাড়া তুমি কেমন আছো?

29/04/2024

বউয়ের বুকের স্তন তুমি খাবরে খেয়েছো। তার পিঠে নখের দাগ বসিয়ে দিয়েছো। সেখানে তুমি কেবল দেখেছ কামুকতা। অথচ তার অন্তর্বাসের নিচে শুধু স্তন না। স্তনের নিচে চামড়ার ওপাশে একটা সুপ্ত হৃদপিন্ড থাকে। সেটার খোঁজ নেও নি

তার বুকে কখনো কান পেতে শুনোনি প্রতি মিনিটে ৭২ বার স্পন্দিত করে কি বলে। তুমি শুধু দেখেছো তার উন্মুক্ত বুকে মাংস পিন্ড।

সবাই ঘুমিয়ে গেলে প্রতিরাতে তার চুল ধরে তাকে প্রহার। অথচ কখনো তার চুলে নাক ডুবিয়ে বলোনি " চুলে কি শ্যাম্পুর বদলে অ্যালকোহল মাখো..? এতো নেশাভরা ঘ্রান কেনো তোমার চুলে!

প্রতিরাতে সঙ্গমে তাকে নিজের যৌনদাসী করে চিৎকার শুনেছো। অথচ জানতে চাওনি প্রতিমাসে পাঁচ দিন পিরিয়ডের সময় সে কেমন আছে..?

সে মো**টা বলে তাকে " হাতির বাচ্চা, মোটু " বলে গালি দিয়েছো। তার শরিরের ভাঁজে ভাঁজে চর্বি খুঁজেছ অথচ তুমি জানতে চাওনি! এ মেয়েটাই প্রতিদিন তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে তোমার জন্য তৈরি করে প্রতিরাতে।

কখনো আবিষ্কার করোনি তার শরিরে কয়টা তিল। শুধু

আবিষ্কার করেছো খেতে বসলে প্লেটে কতগুলো চুল

পড়লো।
তুমি বাসা থেকে বের হবার পর এ মানুষটা সারাদিন চিন্তায় থাকে। তুমি ঠিকমতো পৌছেছ কিনা! সারাদিন কিছু খেয়েছো কি না! তোমার পরিবারের জন্য রান্না করা থেকে সব করে অথচ তুমি সারাদিনে ক্লান্ত হয়ে এসে বলো " সারাদিন কি বা* করেছো?

তুমি একটু রেগে গেলেই তাকে "খা**" বলে খিস্তি করো। সে অভিমানে বুক ভাসিয়ে যখন কান্না করে, তুমি তখন বলো " প্যান প্যান বন্ধ করো" অথচ তার চোখে কখনোও মুগ্ধতা দেখোনি। কখনও বলো নি " চোখে কাজল দিলে তোমাকে পরী পরী লাগে "

তুমি শুধু তার পড়নের শাড়ি খুলতে শিখেছো। অথচ কখনো নিজে শাড়ি পড়িয়ে দেওনি। শাড়ির কুচি ঠিক করতে গিয়ে তার নাভী স্পর্শ করে বলোনি "শাড়ি পড়লে তোমাকে মায়াবতী লাগে "

সে*ক্স আর কামুকতা ছাড়াও একটা মানুষের যে আরও অনেক কিছু চাওয়ার আছে সেটা তুমি বোঝোনি। বুঝতেও চাওনি। মনে রেখো! এসব তুমি বুড়ো হয়ে গেলেই ফুড়িয়ে যাবে, ক্ষয় হয়ে যাবে, আজ আছে তো কাল নেই। কিন্তু প্রিয় মানুষের জন্যে তোমার চোখে যে প্রেম ভালোবাসা সেটা তুমি যুগ যুগ ধরে পেতে থাকবে।😔

05/01/2024

আমি কি আর অন্য মানুষ?তোমায় ছোঁয়া বারণ,
ছুঁতে গেলেই দেখাও তুমি, একশো একটা কারণ।

অধিকারের দোহাই দিয়ে, কে পেয়েছে কবে?
নিজের মানুষ হওয়ার পরেও, অনেক দূরে রবে?

আমি আর তোমায় ছাড়া, অন্য কই আর যাবো?
কাছে গেলেই সরতে বলো, কোথায় শান্তি পাবো?

চোখ জুড়ে ক্লান্তি ভীষণ, ঠোঁট ফেটে চৌচির,
আমি যত এগিয়ে যাই, তোমার দ্বিধার প্রাচীর!

আমি কি আর অন্য মানুষ?আমায় ঘেন্না করো,
ছুঁতে গেলেই সরিয়ে দাও, বেদন দিয়ে মা*রো!

আমি তো পাইনা খুঁজে, তোমায় ছোঁয়ার মতো,
তৃপ্তি আছে কোন পরশে?শান্তি পাবো যত।

আমি কি আর অন্য মানুষ?এমন হেলা করো,
জীবন তোমার হাতের মুঠোয়, বাঁচাও আবার মা*রো!

কবিতা: অন্য মানুষ🌺

Shefa

05/07/2024

08/06/2024

13/05/2024

13/05/2024

10/05/2024

09/05/2024

09/05/2024

04/05/2024

03/05/2024

29/04/2024

05/01/2024

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category