Gōlpó Kòthā - গল্প কথা シ︎

Gōlpó Kòthā - গল্প কথা シ︎ ツ●───༊᭄࿐❥
༄ Jüst Øñé Thîñg, Ālwäyß Bêlìëvē Íñ Ãllåh-!💙🌼
°.ツ●───༊
( Ít's Më Ābîr ) ✍️

21/06/2025

Story : Monster World And The Devil King

Season : 2

Part : 20
আমি আবারো গুপ্ত রাস্তা দিয়ে প্যালেসের মধ্যে ঢুকে পরলাম। অনেক রাত হয়েছে তাই আমি আমার রুমের মধ্যে গিয়ে শুয়ে পরলাম। আজকে পুরো দিনের মধ্যে ভ্যালি আর ইগড্রাসিলের কোনো কথা শুনতে পাইনি। তাই আমি হাতের ব্যান্ডেজ খুলে ফেললাম। দুজনেই ঘুমাচ্ছে, তাই ডাক দিলাম না আর। মনে হচ্ছে সারাদিনই ঘুমিয়েছে। মূলত আমি তলোয়ার দুটো না ধরলে ওরা সব সময়ই ঘুমাবে। ওদের ঘুম মুক্ত করতে হলে আমাকে তলোয়ার ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টা ভালোই, কারন লোকজনের সামনে হঠাৎ দুজন কথা বলে উঠলে অনেকটা খারাপ হবে। আপাতোতো প্যালেসের অনেকেই জানে আমার কাছে ফায়ার ড্রাগনের অস্ত্র রয়েছে। এক্সিবেশন ম্যাচে আমার লড়াই দেখেছে তারা৷ আমার উচিত হয়নি ভিরুদাকে ব্যবহার করা। আমি চাচ্ছিলাম ভিরুদার ক্ষমতার দরকার পরবে না আমার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি আমার অনুকূলে ছিলো না। আপাতোতো সেই চিন্তা বাদ দিলাম। আমি ঘুমিয়ে পরলাম। ঘুম থেকে সকালে উঠলাম।
।।।
।।।
হাতের ব্যান্ডেজ কাপড় গুলো খুলে ফেলে রেখেছিলাম রাতে। আবার সেগুলো পরে নিলাম। রাতে প্যালেসে আসার সময় লাইব্রেরীর গুপ্ত রাস্তার শেষ প্রান্তে যেখানে ঔ ভুতুরে জায়গা ছিলো সেখানেই কালো জামাগুলো খুলে রেখে এসেছি। আমি প্যালেসে ঔটা নিয়ে আসতে চাই না। কারন অনেকেই সন্দেহ করবে তাতে। আমি কোনো রকমের প্রমান রাখতে চাই না। আজকেও নাস্তা করতে হলো উপরে উঠে। যে রাজাকে মারতে চাচ্ছি, তার সাথে এক টেবিলে বসে নাস্তা খেতে কেমন জানি লাগছে। তারপরও কিছুই করার নাই। আমি আজকেও প্রিন্সেস এলিহার পাশে বসে নাস্তা করছি। আর প্রিন্সেস এলিনা আবারো আমার পাশে এসে বসলো। মূলত সে কিছু বলতে চাচ্ছে আমাকে, কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছে না হয়তো। নাস্তা শেষ হওয়ার পর, রাজা এবং জেনারেল প্যালেসের সকল গার্ডকে রাজ সিংহাসনে যেতে বলেছে। কারন কিছুটা হয়তো আমি বুঝতে পেরেছি। যাইহোক কিছু না জানার ভান করে আমরাও আদেশ মতো চলতে লাগলাম। আপাতোতো আমরা দশজন রয়েল গার্ড রয়েছি প্যালেসের মধ্যে। সকল রয়েল গার্ডদের মধ্যে ফার্ষ্ট এবং সেকেন্ড প্রিন্সেস এর রয়েল গার্ডই সবচেয়ে শক্তিশালী। আমি কয় নম্বরে আছি সেটা সঠিক বলতে পারছি না। তবে সম্মানের দিক দিয়ে আমি তৃতীয় স্থানে আছি, যেহেতু জেনারেল আমাকে ছেলে দাবী করেছেন, আর তিনি রাজ্যের একজন প্রিন্স। আর প্রিন্সের ছেলে প্রিন্সই হয় হয়তো। সেদিকে ভাবলাম না। রাজা তার থ্রোনে বসে আছে। আমরা সবাই এক হাটু গেড়ে দিয়ে রাজাকে সম্মান জানালাম। রাজার পাশে রয়েছে তার জেনারেল। জেনারেল বলতে লাগলেন।
--ক্যাপিটালে আপাতোতো কিছু সন্ত্রাসী দেখা দিয়েছে, যারা নিজেদের ব্লাক ড্রাগন দাবী করছে। আজকে ক্যাপিটালের পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজা পুরো রাজ্যের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করতো তাদেকে তাদেরই একজনের বাসায় নিষ্ঠুর ভাবে মৃত পাওয়া গেছে। আর সেখানেই সন্ত্রাসীরা তাদের মেসেজ দিয়েছে।(জেনারেল)
--তাহলে আমরা রয়েল গার্ডদের কি তাদের খুজে গ্রেফ্তার করতে হবে?(আখিল)
--না রয়েল গার্ড হিসাবে যেটা তোমাদের দায়িত্ব সেটা পালন করবে। তোমাদের একটাই কাজ সেটা হলো নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও তোমাদের যাদের গার্ড বানানো হয়েছে, তাদেরকে সুরক্ষা রাখা।(রাজা)
--জ্বী মাই কিং।(আমরা সকলে)
--এই নতুন সন্ত্রাসীদের আসল উদ্দেশ্য কি সেটা আমরা এখনো বুঝতে পারি নি। কিন্তু তাদের একশন দেখে মনে হচ্ছে তারা রাজ বংশের লোকদেরকেই প্রথমে টার্গেট করেছে, এতে তাদের কাছে প্রচুর শক্তি আছে সেটা বোঝায় যাচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এরপরের এট্যাক প্যালেসেও হতে পারে।(জেনারেল)
--জেনারেল স্যার, আমার মনে হয় এটা পাশের দুই রাজ্যের কাজও হতে পারে। তারা হয়তো গোপন ভাবে আমাদের উপরে হামলা করছে।(আখিল)
--হ্যা সেটাও হতে পারে। সেটার জন্য আমরা সেই রাজ্যে বার্তা পাঠাবো। যদি তারা আমাদের রাজ্যে গুপ্ত আক্রমন করেই থাকে, তাহলে যুদ্ধে আমরাও নামবো।(জেনারেল)
--আমি ঠিক করেছি ফার্ষ্ট প্রিন্সেস এলিসা তার রয়েল গার্ড এবং কিছু মিলিটারী সেনা নিয়ে যাবে এ্যালকোর্টে এবং দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রিন্সেস এবং শুধু তাদের রয়েল গার্ড যাবে হিমরারে।(রাজা)
--জ্বী মাই কিং।(আমরা তিন রয়েল গার্ড এক সাথে বলে উঠলাম)
।।।
।।।
আমাদের কিছু করার নাই এখন। ভালো মতো তাদের আদেশ শুনে নিলাম। মূলত আমাদের এই পুরো দুনিয়াতে তিনটা রাজ্য আছে। প্রথমত ইগড্রোলিয়া যেটা আমাদের রাজ্যের নাম। ফায়ার ড্রাগন ইগড্রাসিলের নামেই নাম করা হয়েছিলো আমাদের রাজ্যের৷ এরপরে রয়েছে হিমরার এবং সবশেষে এ্যালকোর্ট। তবে অনেক লেজেন্ড রয়েছে আরো দুটো রাজ্যের। তবে ধারনা করা হয় সেটা অনেক আগেই একে অপরের সাথে যুদ্ধ করে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আমার কোনো জ্ঞান নেই। তবে এটা জানার অনেক আগ্রহ আমার। লোককথা হিসাবে বলা হয়, সেই বিলুপ্ত দুটো রাজ্যের মধ্যে একটার নাম হলো ছিলো এ্যাসাক অন্যটা আরসাক। লোককথা হিসাবে এ্যাসাকে রাজ করতো এন্জেলরা আর আরসাকে রাজ করতো ডেভিলরা। তাদের যুদ্ধ ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলো, আর তাদের যুদ্ধের ফলে দুই রাজ্য একসাথেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। যাক আপাতোতো এসব কথা বাদ দিলাম। পরে এটা সম্পর্কে আমি সম্পূর্ন জ্ঞান অর্জন করবো।
।।।
।।।
আপাতোতো আমি প্যালেস থেকে বের হয়েছি শহরে বের হতে। কিছুটা কেনার উদ্দেশ্য করেই বের হয়েছি। প্রিন্সেস এলিহা আস্তে চেয়েছিলো আমার সাথে। তবে গেট থেকে তার বের হওয়া নিশেধ ছিলো। যেহেতু আমার প্রয়োজনীয় কিছু কিনতে হবে তাই, আমাকে বের হতে দিলো তারা। আমার আপাতোতো দুটো কাজ করতে হবে। এক হলো হ্যারিদের সতর্ক করে দিতে হবে একটু। কিছুদিন থাকতে পারবো না শহরে এটাও ওদেরকে জানাতে হবে। আর দ্বিতীয়ত হলো শহরের মধ্যে ব্লাক ড্রাগনের নাম কেমন ছড়িয়েছে সেটাও আমাকে লক্ষ করতে হবে।
।।।
।।।
আমি হাটতে হাটতে হ্যারিদের গলিতে চলে আসলাম। কোনো সাবধানতা না দেখিয়ে আমি সোজা আমার হাতে লেখা একটা চিঠি ওদের রাস্তার সামনে ফেলে দিলাম। একটা ছোট পাথর উপরে ভার হিসাবে রেখে দিলাম। হয়তো এটাই ওদের লক্ষ পরবে। আশা করি পরবে। আমি এখানে না থাকা সময়টুকু যদি ওরা কিছু করে তাহলে অনেক খারাপ হবে। তাই ওদের একটু সাবধান করা দরকার। বিশেষ করে আমাকেও সাবধান হতে হবে। আমি প্যালেস থেকে এভাবেই বের হয়ে ওদের সাথে দেখা করতে পারি না। চিঠিতে কিছু গোপন কোড দিয়ে আমি আমার লেখা লেখেছি, যেটা লুসি খুব সঠিকভাবে বুঝতে পারবে। আশা করছি অন্য কারো হাতে গেলে এটা হাবিযাবি একটা লেখায় হবে। আমি আমার কেনাকাটা করে আবার প্যালেসের দিকে রওনা দিলাম। কেনার মধ্যে দুটো বড় রুমাল কিনলাম মুখে মাস্ক বানানোর জন্য। এবং একটা টাইট ফুল হাতা জামা। এতে করে হাতের ড্রাগনের ছবি ঢাকা ব্যান্ডেজ কাপড় অনেকটা আটকা থাকবে। ব্যান্ডেজ কাপড় দেখতে একটু খারাপই লাগে। সহজেই ময়লা হয়ে যায়।
।।।
।।।
অবশ্য শহরে ব্লাক ড্রাগনের নামও ছড়িয়ে গেছে। জেনারেল বলেছিলো এই বিষয়টা একদম গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি আমরা যে মেয়ে কয়টাকে বাচিয়েছি, তারাই আমাদের নাম ছড়িয়ে দিয়েছে। হয়তো হ্যারি ওদেরকে আমাদের টিমের কথা বলেছে। বিষয়টা খারাপ না। আমি এটাই চাচ্ছিলাম। মূলত আমার ইচ্ছা হলো সাধারন জনগনের সাপোর্ট নেওয়া। আমি জানি প্রজাদের সাপোর্ট ফেলে আমি রাজাকে খুব সহজে সিংহাসন থেকে নামাতে পারবো। কিন্তু সেটা করতে গেলে অনেক প্রজাদের জীবন দিতে হবে। আর আমি সেটা চাই না। অনেক লাশের থেকে একটা লাশই আমার কাছে বেশী পছন্দের রাস্তা। প্রজাদের জীবন ঝুকিতে না রেখে সোজা রাজাকে মেরে ফেললেই সব সমস্যা শেষ হয়ে যায়। আমি প্যালেসের মধ্যে হাটতে হাটতে চলে আসলাম। অবশ্য প্যালেসের যানের ব্যবহার আমি করতে পারবো এখন থেকে যেহেতু আমি প্রিন্সেসের গার্ড হয়েছি। কিন্তু হাটাই আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে। তবে আমার ইচ্ছা হচ্ছে উড়ার। মানুষ হয়ে উড়ার ইচ্ছা করাটা বোকামি। কারন ডানা ছাড়া কেউই উড়তে পারে না। যেসব গোত্রের ডানা আছে তারা অনেক ভাগ্যমান। মূলত হ্যারি, লুসি লুসানা সবারই ডানা আছে। আবার প্রিন্সেস এলিহারও ডানা রয়েছে। তবে আমি মানুষ বলে আমার ডানা নেই।
।।।
।।।
আমাদের সময় হয়ে গেলো হিমরারে যাওয়ার জন্য। আমাদের একটা ভালো যানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। মূলত যানটা সেরকমই যেটাই করে প্রথম আমি প্যালেসে এসেছিলাম। তবে সেটার থেকে অনেক উন্নত। ভিতরে অনেকটা জায়গা রয়েছে। খাওয়ার টেবিল রয়েছে ছোট একটা এবং বসার জন্য চারটা সোফার মতো রয়েছে, যেগুলোতে আমরা শুতেও পারবো। সবচেয়ে ভালো বিষয় এই যানের হলো বাইরের সব কিছু একদম প্রতিটা দিক দিয়েই পরিস্কার দেখা যায়। ভিতর থেকে মনে হবে যানের কোনো দেওয়ালই নেই। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটা হয়তো কাচের মতো কোনো বস্তু দিয়ো তৈরী হবে, কিন্তু সেটা হলে সামনের দিকে আমরা চালকের জায়গা দেখতে পেতাম, কিন্তু সেটা দেখা যায় না। মূলত এই যানটা ম্যাজিকের মাধ্যমে চলে, আর এটার মধ্যে ম্যাজিকাল আয়না ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা চোখের মতো বাইরের সকল দৃশ্য কপি করে ভিতরে আমাদের দেখাবে। বলতে গেলে এই যানেরই চোখ রয়েছে চারিদিক দিয়ে। এবং সেটা আমরা ভিতরে দেখতে পারি। এই যান প্রথম হিমরারের ডয়ারফসদের মাধ্যমেই তৈরী হয়েছিলো। পরে হিমরারের সাথে একটা চুক্তিতে এই পদ্ধতি আমাদের রাজ্যেও আনা হয়। যানের স্পিড অনেক হলেও আমাদের সময় লাগবে অনেক হিমরার পৌছাতে। হয়তো দুইদিনের মতো সময় লাগবে। কারন অনেকগুলো শহর আমাদের পারি দিতে হবে। একবার হিমরারের বর্ডারে যেতে পারলে আমরা সেখান থেকে তাদের লোকদের সাহায্যে হিমরারের ক্যাপিটালে টেলিপোর্ট হয়ে যেতে পারবো। পুরো রাস্তা প্রিন্সেস এলিনার রয়েল গার্ড আখিল ঘুমিয়ে ছিলো। সে নাকি যানে উঠলে ঘুম আটকাতে পারে না। আর প্রিন্সেস এলিহা পুরো রাস্তা বমি করতে করতে শেষ হয়ে গেছে। সেও যানে বেশীক্ষন থাকতে পারে না। তার বমি আছে। আর আমি আমার পড়া সকল বইগুলো মনে করতে করতে রাস্তা পার করেছি। আর এদিকে প্রিন্সেস এলিনা পুরো রাস্তা শুধু আমার দিকে তাকিয়েই ছিলো। অনেকটা অস্বস্তি লেগেছে। আমিও ঘুমাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করতে পারি নি, কারন দুজন গার্ড একসাথে ঘুমালে কিছুটা খারাপ হতেও পারে। তাই পুরে রাস্তা আমাক অস্বস্তির সাথে যেতে হলো। পুরো একদিনের ক্লান্তমাখা যাত্রার পরে আমরা পৌছে গেলাম হিমরারের বর্ডার। তারা আমাদের আসার বার্তা আগেই পেয়েছিলো। তাই আমাদের যানকে সোজা ক্যাপিটালে টেলিপোর্ট করে দিলো। এখান থেকে আমাদের হিমরারের প্যালেসে যেতে হবে।
।।।।
।।।
।।

Continue to..........

।।
।।।
।।।।

21/06/2025

গল্প : বেকার

পর্ব ৭+৮(শেষ)

ভাইয়া সব খাবার আমাকে সমান ভাগ করে দিলো।

আসলে ভাইদের কাছে বোনেরা খুব আদরের হয় সেটা আমি জানি।

আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরলাম। সকাল বেলা আপু আর আপুর শাশুড়ী আসলো।

আপু ভাইয়ার রুমে গেলো। ভাইয়া আপুকে দেখে বললো,কেমন আছিস ভাই? ভাইয়া বললো,অপদার্থ মানুষ টার আবার কিসের ভালো বল!

আপু কাছে গিয়ে বললো, খুব অভিমান করেছিস তাইনা ভাই? ভাইয়া বললো, নাহ্ আমার কারোর উপর কোনো অভিমান নেই।

অভিমান ছিলো শুধু আমার ভাগ্যের উপর।

ভাইয়া বসে আছে আপু ভাইয়ার কাঁধে মাথা রেখে বললো,আমাকে তো তুই তোর বোন মনেই করিস না ভাই।তুই তো শুধু তনুকেই একমাত্র বোন ভাবিস।

ভাইয়া আপুকে জড়িয়ে ধরে বললো,তুই এসব কেন বলিস আপু! তুই তনু বাবা মা এরাই তো আমার সব। আপু ভাইয়ার কথা শুনে কেঁদে উঠে বললো,আমার ভাই টা অনেক বড় হয়ে গেছে রে। এখন কত কি বুঝতে শিখেছে।

আপুর শাশুড়ী ভাইয়ার রুমে আসলো। তার হাতে টিফিন বক্স।

আপুর শাশুড়ী সেটা ভাইয়ার হাতে দিয়ে বললো, বাবা এতে তোমার সব পছন্দের খাবার আছে।কালকে তোমার আপু আর আমি মিলে বানিয়েছি।

আমি ওদের দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি, মানুষ কতটা পরিবর্তন হতে পারে যে মানুষটা ভাইয়াকে অকর্মার ঢেকি ছাড়া কিছুই বলতো না। তিনিও আজ ফেরেশতা।

আপু নিজেও ভাইয়া কে বলতো, তোর মুখ দেখে বের হলেই আমার দিন ভালো যায় না।

ভাইয়া অপলক তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

আমি ভাইয়ার তাকানো দেখে বুঝে গেলাম ভাইয়ার মনের ভিতর পুরনো কথা গুলো জেগে গেছে।

মানুষ চুপচাপ থাকে কেউ না বুঝতে পারলেও আমি ওকে খুব বুঝতে পারি।

সবাই বের হয়ে গেলো ভাইয়া বসেই আছে। বাইরে পাড়াপ্রতিবেশিরা আজও এসেছে। তারাও খুব বাহবা দিচ্ছে।

আমার খুশিতে বার বার চোখ দিয়ে পানি আসতেছে। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি আর সবাই উঠানে ভাইয়াকে নিয়ে আলোচনা করতেছে।

বাবা মা সবাই খুশি।

*বেশ কিছু দিন পরে*

আজ ভাই প্রথম তার চাকরিতে জয়েন্ট করতে যাচ্ছে। সবাইকে বলতেছে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। ভাইয়া আমার কাছে এসে বলতেছে,তনু একশো টাকা দিবি!
আমি প্রথম দিন তোর টাকা দিয়েই যেতে চাই।

ভাইয়া কে একশো টাকা এনে দিলাম বাবা মা ওরা শুধু আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

আজ খুব খুশি লাগতেছে ভাইয়া অফিসে গেলো।

বিকেলে ভাইয়া বাড়ীতে ফিরলো হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে দেখলাম নতুন একটা মোবাইল সেটা আমার জন্যই এনেছে। ওর বন্ধুর দোকান থেকে। বললাম টাকা কোথায় পেয়েছিস?

ভাইয়াকে বললাম টাকা কোথায় পেয়েছিস তোর মাইনে পেতে আরও সময় লাগবে।

ভাইয়া বললো,আমার বন্ধুর দোকান থেকে নিয়েছি। মাইনে পেলেই দিয়ে দিবো।

ভাইয়া আমার ফোন টা এক সময় নষ্ট করেছিলো। হয়তো সেটাই ওর মনে হচ্ছিল। তাই আজকে মোবাইলটা কিনে এনেছে।

ভাইয়ার চুপচাপ থাকা অভ্যাস টা আর গেলো না আগেও যেমন বাবা মা কিছু বললে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতো এখনও তাই।

চাকরি পাওয়ার পরও মুখের সেই হাসিটা আর ফিরে আসেনি।

কিছুদিন পর ভাইয়ার সাথে আড্ডা দিচ্ছি।
এখন ভাইয়াই যেনো সবার খুব প্রিয় হয়ে গেছে। বাবা মা এখন কিছু করলে ভাইয়া কে জিগ্যেস করে। বাবা তো সংসারের সব কিছুর
জন্য ভাইয়ার সাথে আলোচনা করে।

মা তো এখন সব সময় ভাইয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে।

মানুষ কত পরিবর্তন হতে পারে। যার এক সময় দেখলেও নাকি কারোর শনি লাগতো আজ সেই যেনো সবার অনেক আপন হয়ে গেছে।

রাতে ভাইয়ার সাথে বসে আছি এমন সময় আপু আর আপুর শাশুড়ী আসলো।

সবার সাথে কথা বলে ভাইয়ার রুমে আসলো আমি ভাইয়ার সাথে বসে আছি। আপুর শাশুড়ী ভাইয়াকে একটা মেয়ের ছবি হাতে
দিয়ে বললো, দেখতো বাবা মেয়েটা পছন্দ হয় কিনা। ভাইয়া কিছুই বললো না।

আপুর শাশুড়ী ধরেই নিয়েছে ভাইয়ার পছন্দ হয়েছে তাই বলে গেলো, আমি বিয়ের জন্য পাকা কথা বলে আসছি তাহলে।

ভাইয়ার দিকে তাকালাম তেমন উচ্ছাস দেখতে পেলাম না।

এরকম করেই বেশ কিছু দিন গেলো ভাইয়া মাইনে পেলো সবার জন্য অনেক কিছুই কিনেছে।

আমার জন্যও দুইটা জামা এনেছে। সেগুলো বেশ ভালোই। ভাইয়াকে জিগ্যেস করলাম ভাই তোর জন্য কিছু কিনেছিস?ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু বললো না। বুঝে গেছি ভাইয়া কিছু কিনে নাই।

বললাম, তুই কিরে নিজের জন্য কিছুই নিলি না! ভাইয়া বললো, জানিস তনু আজকে মনে হচ্ছে আমিই মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ বলেই ভাইয়ার গলাটা আটকে গেলো বুঝলাম ভাইয়ার গলা ভারি হয়ে আসছে।

খুশিতে ভাইয়ার চোখ ভিজে উঠেছে সাথে আমারও।

বাবা মা সহ পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছে
কিন্তু ভাইয়ার নিস্তব্ধ থাকার ভাবটা থেকেই গেলো আর পরিবর্তন হলো না।

একদিন ভাইয়ার সাথে বসে আছি হঠাৎ বাবা ভাইয়ার রুমে আসলো। বললো, আমাদের বাড়ীটা ভালো করতে হবে ভাবতেছি নতুন করে চালা আর বারান্দা ভালো করতে হবে।

আর তুমি মাইনে পেলে পুরো টাকা টা এবার আমার হাতেই দিবে। ভাবতেছি বারান্দায় গ্রীল লাগাবো কি বলো?

ভাইয়া জানালার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলো।

****সমাপ্ত***

21/06/2025

গল্প : আমার সোঁয়া চাঁন পাখি

পর্বঃ ০৩

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এলো, শুরু হলো হলুদের আয়োজন।

কখন যে সময় কেটে গেছে, অরণ্য টেরই পায়নি।

সুন্দর একটা গাঢ় নীল পাঞ্জাবি পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এক ঝলক নিজেকে দেখে নিলো। তারপর রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলো। করিডোর ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই হঠাৎ তার পা থমকে গেলো!

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে সাজাচ্ছে একটা মেয়েটি—হলুদ রঙের লেহেঙ্গায় ঠিক যেন কোনো স্বর্গের পরী!

লম্বা, কোমর অব্দি নেমে আসা কোঁকড়ানো চুল, ঠোঁটের কোণে ছোট্ট একখানা তিল, হাসলে গালে টোল পড়ে—আর সেই হাসির ফাঁকে দেখা যায় সামনের উজ্জ্বল মুক্তোর মতো গজ দাঁত।

অরণ্যের দৃষ্টি আটকে গেলো ওখানেই।

তার নেশাভরা চোখে অদ্ভুত এক আবেশ খেলে গেলো।

কত বছর পর এই মেয়েটাকে এভাবে দেখছে?

পাখির সৌন্দর্যে যেন চারপাশের আলো ম্লান হয়ে এলো।

সে কি একবারও বুঝতে পারছে না, এই সাজে সে কতটা মায়াবী লাগছে?

অরণ্যের ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি খেলে গেলো।

হলুদ সন্ধ্যার আলোয় তার সোঁয়া চাঁন পাখিটা ঠিক যেন এক অপ্সরী হয়ে ধরা দিয়েছে তার সামনে।

গুঁটি গুঁটি পায়ে পাখির রুমে ঢুকলো অরণ্য।

মৃদু আলোয় পাখি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, অরণ্য ধীর পায়ে গিয়ে তার ঠিক পেছনে দাঁড়ালো। আয়নায় প্রতিবিম্ব ফুটে উঠলো দু’জনের—একসঙ্গে, পাশাপাশি।

অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো তাদের! যেন বিধাতা নিজ হাতে একে-অপরের জন্য সৃষ্টি করেছেন।

পাখি ব্যস্ত ছিলো ব্লাউজের ডুরি লাগানোর চেষ্টায়, কিন্তু হঠাৎই অরণ্যের উপস্থিতি টের পেয়ে তার হাত থমকে গেলো।

আয়নায় দৃষ্টি মিলন হলো দু’জনের।

অরণ্যের দৃষ্টি ছিলো গভীর, স্থির, যেন কোনো দাবি মিশে আছে সেই চোখে।

পাখি তার চোখের দিকে তাকাতেই যেন কেঁপে উঠলো পুরোটা সত্তা!

শরীর অবশ হয়ে এলো মুহূর্তে, হৃদস্পন্দন যেন অজানা এক তালে বেজে উঠলো।

এ কেমন অনুভূতি?

এত বছর পরও কেন এই চোখ দু’টি তাকে এমন করে অস্থির করে তোলে?

অরণ্যের হাত ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো।

পাখির ব্লাউজের ডুরি লাগিয়ে দিচ্ছিল সে, আঙুলগুলো নিপুণভাবে কাজ করছিলো, কিন্তু অরণ্যের স্পর্শে পাখির শরীর শিহরিত হয়ে উঠলো।

পিঠের উষ্ণ ত্বকে অরণ্যের আঙুলের ছোঁয়া লাগতেই পাখি হালকা কেঁপে উঠলো।

ওড়নার কোণাটা শক্ত করে মুঠো করে ধরলো, আর চোখ বন্ধ করে ফেললো গভীর আবেগে।

তার শ্বাস ঘন হয়ে আসছিলো, মনে হচ্ছিলো এক মুহূর্তের জন্য সবকিছু থমকে গেছে।

অন্যদিকে, অরণ্যের চোখে এক গভীরতা ফুটে উঠলো।

পাঁচটা বছর পেরিয়ে গেলেও, এই মেয়েটার জন্য তার অনুভূতি এতটুকু বদলায়নি। বরং, আরও বেশি গাঢ় হয়েছে, আরও বেশি অধিকারবোধ জমেছে তার বুকে।

পাখির কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বললো অরণ্য—

"এখনো কি আমার ছোঁয়ায় তুই কেঁপে উঠিস, পাখি?"

লজ্জায় রাঙা হলো পাখি মাথাটা নত করে ফেললো।

ধীরে ধীরে সে পাখির কানের কাছে ঝুঁকলো, তার গরম নিঃশ্বাস ছুঁয়ে গেলো পাখির নরম ত্বক।

পাখি শরীর কুঁকড়ে এলো, চোখ বন্ধ করে আরও শক্ত করে ওড়নার কোণাটা মুঠো করলো।

অরণ্যের ঠোঁট যেনো ছুঁই ছুঁই করলো তার কানের কাছে, নরম অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বললো—

"শ্বাসটা তোর, কিন্তু জানটা আমার, পাখি... নিজের খেয়াল রাখিস।"

পাখির হৃদয় মুহূর্তেই কেঁপে উঠলো।

এই কণ্ঠস্বর, এই দাবিটা, এই স্পর্শ—সবকিছুই যেন তার বুকের ভেতর গোপনে লুকিয়ে রাখা ভালোবাসাকে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগিয়ে তুললো।

পাখি এক মুহূর্তের জন্যও কিছু বলতে পারলো না, অরণ্যের প্রতিটি শব্দ তার হৃদয়ের গভীরে পাথরের মতো গেঁথে গেলো।

তার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এলো, কিন্তু সে জানে—এই মানুষটার ভালোবাসার কাছে সে বরাবরই হার মেনেছে, আজও মেনে নিলো।

পাখির পিঠে গভীর চুম্বন এঁকে দিলো অরণ্য। সেই স্পর্শে পাখির শরীর যেনো মুহূর্তে শিহরিত হয়ে উঠলো, হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে গেলো কয়েকগুণ।

অরণ্যের চোখ দুটো ঝলসে উঠলো তীব্র এক অনুভূতিতে।

নরম অথচ দৃঢ় কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে বললো—

"আজ অনেক ছেলে থাকবে, তুই তাদের থেকে দূরে থাকবি। পাখি শুধু অরণ্যের পাখি... অন্য কেউ যদি তোর দিকে চোখ তোলে, জানিস তো আমার হৃদয়ে আগুন জ্বলে ওঠে।"

তারপর আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে অরণ্য সোজা বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।

পাখি থমকে দাঁড়িয়ে রইলো, যেনো নিজের অস্তিত্বটাই ভুলে গেছে।

একঝলক মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো দরজার দিকে—সেই পুরুষের দিকে, যে শুধু তার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে।

তার প্রেমিক পুরুষ...

যার ছোঁয়ায়, যার দাবিতে, যার ভালোবাসায় সে নিজেকে হারিয়ে দিতে রাজি।

নিজের লজ্জা সামলে পাখি ধীর পায়ে ছাদে উঠে এলো। ছাদজুড়ে বিয়ের হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন, রঙিন আলো আর ফুলের সাজে এক স্বপ্নময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। স্টেজটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, যেনো কোনো রাজকন্যার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

অরণ্য ছাদের এক কোণায় দাঁড়িয়ে তৃষ্ণার্ত চোখে পাখির প্রতিটা ভঙ্গিমা দেখছিলো, যেনো কত বছরের তৃষ্ণা এক মুহূর্তে মিটছে তার।

পাখির আলতা রাঙা পায়ের নূপুরের শব্দ বাতাসে মৃদু প্রতিধ্বনি তুলছিলো। যেন রক্তজবার পাপড়িতে জড়ানো পায়ের ছন্দে ছন্দে বেজে উঠছে এক অদৃশ্য সুর।

অরণ্যের দৃষ্টি আটকে গেলো সেই পায়ের নূপুরে, যে নূপুরের প্রতিটি ধ্বনিতে তার হৃদয়ে ভালোবাসার ঢেউ উঠে। যেনো সে শপথ করেছে—এই পায়ের নূপুরের আওয়াজ শুধু তার জন্যই বাজবে, অন্য কেউ এর সুর শুনবে না!

অরণ্য ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো পাখির দিকে, একদম সামনে দাঁড়িয়ে এক চিলতে হাসি ছড়িয়ে বললো—
"আমার হৃদয়ের ধরণীতে এক হলুদ পরীর আবির্ভাব ঘটেছে। সে পরীটা কেবলই আমার, অন্য কারও নয়।"

পাখি মিষ্টি করে হেসে লজ্জায় আর কিছু না বলে দৌড়ে স্টেজের দিকে ছুটে গেলো, সোজা গিয়ে অনুর পাশে বসলো।
পাখির এমন আচমকা আগমনে অনু ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো—
"কি রে? এমন দৌড়ে এলি কেন? আমার ভাই কি তোকে ধাওয়া করেছে নাকি?"

পাখি লজ্জায় লাল হয়ে বললো—
"আপি!"

অনু হাসতে হাসতে বললো—
"বিয়ে আমার, লজ্জা পাওয়ার কথা আমার, কিন্তু দেখতেছি লজ্জা তুই পাচ্ছিস! ব্যাপারটা কী?"

পাখি মুখ গম্ভীর করে বললো—
"আপি, একটু চুপ থাকবে? তুমি না বিয়ের কনে? কনের এতো বেশি কথা বলতে নেই!"

অনু চোখ বড় বড় করে বললো—
"ওমা! তাই নাকি!"

ওদের মিষ্টি খুনসুটি চলতেই অনুর মা এসে বললেন—
"হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে, চুপ করে বসো দু’জন।"

মায়ের কথায় দু’জন একসঙ্গে চুপ হয়ে গেলো, কিন্তু চোখাচোখি হতেই আবার ফিক করে হেসে দিলো!

দূর থেকে পাখির হাসিটা মুগ্ধ হয়ে দেখছিল অরণ্য। হলুদ লেহেঙ্গার এ মোড়া তার সোঁয়া চাঁন পাখির সৌন্দর্য আজ যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তবে অরণ্যের দৃষ্টি কেবল মুগ্ধতায় আটকে থাকেনি, বরং ঠিক তার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির চোখে সে আবিষ্কার করলো এক অন্যরকম কামনা।

অরণ্যের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে, রক্তচক্ষু নিয়ে সে তাকালো সেই ব্যক্তির দিকে। মনে হলো এক মুহূর্তেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু নিজেকে সামলে নিলো। এখনো সময় হয়নি।

হলুদের অনুষ্ঠান জমে উঠেছে। একে একে সবাই অনুর গালে হলুদ ছোঁয়াচ্ছে। প্রথমে ছেলে বাড়ির সবাই, তারপর মেয়ের বাড়ির সবাই একসঙ্গে হলুদের পর্ব শেষ করছে।

পাখি আর অরণ্যও একসঙ্গে এগিয়ে গিয়ে অনুর গালে হলুদ ছুঁয়ে দিলো। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অরণ্যের চোখ ছিলো সবসময় পাখির ওপর। যেন এক মুহূর্তের জন্যও ওকে কারও ছোঁয়ার অনুমতি দিতে নারাজ।

ঠিক তখনই স্টেজে উঠলো আরিয়ান। সে হাসিমুখে অনুর গালে হলুদ ছোঁয়ালো, তারপর পাখির দিকে হাত বাড়িয়ে ওর গালেও ছোঁয়ার চেষ্টা করলো।

এক নিমেষে অরণ্যের মুখের রং বদলে গেলো। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে শক্ত হাতে আরিয়ানের কব্জি চেপে ধরলো। গলার স্বর গভীর, অথচ ধীর—

"পাখিটা আমার। তাকে ছোঁয়ার অধিকারও আমার। এই কথাটা যেন দ্বিতীয়বার বলতে না হয়।"

সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্টেজ নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। সবাই হতবাক হয়ে অরণ্যের দিকে তাকিয়ে রইলো। পাখি লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো, আর আরিয়ান কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে হাত সরিয়ে নিলো।

অরণ্য ধীর গতিতে পাখির হাতটা ধরলো, উষ্ণ স্পর্শে পাখির বুকের মাঝে কেমন যেন এক অজানা শিহরণ খেলে গেলো। চোখ নামিয়ে ফেলে সে, যেন নিজের আবেগ লুকাতে চায়।

অরণ্য নরম গলায় বললো, "চলো, একটু বাগান থেকে ঘুরে আসি। এখানে এত ভিড়, তোমার আর থাকার দরকার নেই।"

পাখি কিছু বললো না, কেবল মাথা নত করে ওর হাতের মুঠোয় নিজের হাতটা ছেড়ে দিলো। অরণ্য সাবধানে ওকে নিয়ে বাগানের দিকে এগিয়ে গেলো। যেন একটুও তাড়া নেই, তবুও দৃঢ়ভাবে ওকে নিজের পাশে রাখতে চায়।

তবে যাওয়ার আগে, অরণ্য এক মুহূর্ত থেমে পিছন ফিরে তাকালো। আরিয়ান তখনো স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, চোখে কেমন একটা অদ্ভুত অভিব্যক্তি।

অরণ্যের চোখ ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইলো, যেন চোখের ভাষায় স্পষ্ট করে দিয়ে গেলো—

"সীমার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করো না, নইলে ফল ভালো হবে না।"

তারপর, একটুও সময় নষ্ট না করে সে পাখিকে নিয়ে বাগানের দিকে পা বাড়ালো, যেখানে কেবল তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো নীরব রাত আর জোছনার আলো।

বাগানের সবুজ ঘাসের উপর দু'জন পাশাপাশি বসলো। চারপাশে পাখিদের কোলাহল, বাতাসে মিশে থাকা মৃদু সুবাস—সবকিছুই যেন এক অদ্ভুত আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছিল।

অরণ্য দৃষ্টি মেলে তাকালো আকাশের দিকে, তারপর এক পলক পাশে বসা মানুষটার দিকে। মৃদু হাসি ফুটে উঠলো তার ঠোঁটে। গভীর ভালোবাসায় ভরা কণ্ঠে সে বলল—

"তোর হৃদয়ে আমাকে আজীবন কারাদণ্ড দে,,
যাতে সব আইনজীবী ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তবুও আমি জামিন না পাই।"

তার কণ্ঠে ছিল একরাশ আবেগ, চোখে এক অদ্ভুত নিষ্পাপ আকুতি। যেন সে সত্যিই বন্দি হতে চায়—শুধুমাত্র এক হৃদয়ের কারাগারে, আজীবনের জন্য...

চলবে........?

22/05/2025

Story : Monster World And The Devil King

Part : 19

Season : 2


প্যালেস থেকে খুব সাবধানেই আমি বের হয়েছি। লাইব্রেরীর গুপ্ত রাস্তাটা ভালোই কাজে দিয়েছে। আজকে আমাদের টার্গেট হলো ক্যাপিটালের সবচেয়ে ধনী যারা খারাপ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের গুপ্ত ভাবে হত্যা করা। আমি সাধারনত কাউকে কিছু বলি নি। ওদের সাথে দেখা করেই ওদেরকে বলতে হবে প্লান সম্পর্কে। আমি সোজা গুপ্ত রাস্তা থেকে উঠে হ্যারিদের কাছে চলে গেলাম। ওদের শহরে এখন চলতে কোনো সমস্যা হয় না তেমন। যখন বের হয় তখন লুসানার স্পেলের মাধ্যমে চেহারা বদলে বের হয়। আমি ওদের গোপন ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলাম। জায়গাটা অনেক সুন্দর করে বানানো। আমি শুনেছি এটা ওদেরকে একলোক দিয়েছিলো থাকার জন্য। কিন্তু লোকটা কে সেটা কেউই জানে না। আমি ভিতরে গিয়ে কথা বলতে লাগলাম।
--তারাতারি রেডি হয়ে যাও। আমরা মিশনে যাবো।(আমি)
--কিসের মিশন?(লুসি)
--ক্যাপিটালের কিছু খারাপ লোকদের হান্ট করবো যারা গরীবদের লুটে খাচ্ছে।(আমি)
--প্লান আছে তোমার কাছে? এবং কাদেরকে আক্রমন করবো সেটা সঠিক জানো?(লুসানা)
--হ্যা। সব তথ্য আমার কাছে আছে এবং প্লানও আমি বানিয়ে নিয়েছি, কিন্তু সবার আগে নিজেদের চেহারা কাপড় দিয়ে ভালো করে ডাকো, যাতে কেউ কাছ থেকে দেখলেও চিন্তে না পারে।(আমি)
--হ্যা আমি আমাদের চারজনের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট একটা ড্রেস বানিয়েছি যেটা পরলে কেউই আমাদের চিনতে পারবে না।(লুসি)
--ওয়াও।(আমি)
।।।।।
।।।।।
সকলেই ড্রেস পরে নিলাম। কালো একটা ড্রেস। মাথায় হুডও আছে বড় যেটা চেহারা অনেকটা ডেকে রাখে। তারপরও কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়ে পড়তে হবে আমাদের। আমার মাস্ক আছে বলে আর পড়তে হবে না অবশ্য এখন মাস্কের অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। হাত ঢাকার ফলে মাস্কটাও পরা অভ্যাস হয়ে গেছে আমার। যাইহোক আমরা সকলে রেডি হয়ে চলে গেলাম।
--আজকে আমাদের টার্গেট হলো রাজবংশেরই পাঁচ পরিবার। অবশ্য পরিবারের কোনো সদস্যদের আমরা কিছু করবো না। শুধু পরিবারের প্রধান যে তাদেরকেই হত্যা করবো।(আমি)
--এটা কি ভালো বুদ্ধি হবে? তুমি তো বললে ধনী ব্যক্তিদের বাসায় হামলা করবো। কিন্তু রাজবংশের লোক হবে সেটা তো বলো নি আগে?(হ্যারি)
--দেখো যেই পাঁচজনকে আমি টার্গেট করেছি তারা ক্যাপিটালের পাঁচ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রধান। শহরের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীকে ভ্যাট দিতে হয় তাকে, তাছাড়া কেউ কোনো পন্য বেচাকেনা করতে পারবে না ক্যাপিটাল থেকে। আর বর্তমানে তার ভ্যাট চারগুন বারিয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য শহরের অনেক গরীব লোকেরা না খেয়ে মরছে। এখন যদি আমরা তাদেরকে হত্যা করতে পারি, তাহলেই আমাদের নাম ছড়াবে।(আমি)
--ও আমি বুঝেছি তোমার প্লান।(হ্যারি)
--আমি কাউকে ক্ষমা করবো না যারা গরীব নিষ্পাপের উপরে ঝুলুম করবে। সে রাজা হোক আর জেনারেল। সবাইকে আমি শাস্তি দিবো।(আমি)
--হ্যা আমরাও তোমার সাথে আছি।(হ্যারি)
।।।।
।।।।
আমরা চারজন একসাথেই পাঁচজনের বাসায় হামলা করবো। এতে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকবে। মূলত আজ রাতের পর থেকে আমাদের নাম চারিদিকে ছরাবে। আমি যেটা ভাবতেছি সেটা হলো যদিও আমরা তাদের হত্যা করে ফেলি, কিন্তু তাতে আমাদের নাম ছরাবে না। তার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা আমাদের অবলম্বন করতে হবে। আমি এই পাচজনকে টার্গেট করতাম না। মূলত আজ প্রসাদে প্রিন্সেস এলিহার সাথে ঘোরার ফলে আমি তাদের দুজনের কথাবার্তা শুনেছি। দুজনের কথাবার্তায় যেটা শুনেছিলাম সেটা হলো, তারা পাঁচটা মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে। আর তাদের রেপ করার জন্য তারা পাচজন একজায়গায় মিলিত হবে। অবশ্য তারা কোথায় যাবে এটাও আমি শুনতে পেয়েছিলাম। পাচজনের মধ্যে একজনের নাম হলো ড্রুস। আজকে ড্রুসের বাসায় কেউ নাই। তাই তারা সবাই সেখানে জড়ো হবে। অবশ্য এগুলো আমি হ্যারিদের বলি নাই এখনো। ওরা পরিস্থিতি দেখলেই বুঝে যাবে। আমি চাইনা ওরা ভাবুক আমার স্বার্থের জন্য আমি ওদের মারতে চাচ্ছি। বরং ওরা দেখে বুঝবে ওরা অনেক বড় পাপ করেছে, যেটায় ওদের মৃত্যু হবেই।
।।।।
।।।।
আমরা চারজন ড্রুসের বাসার সামনে চলে গেলাম। বাসার পাশে থাকা একটা গাছের ডালে আমরা চারজন বসে আছি। ভিতরে অনেক গার্ড রয়েছে। যেহেতু শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ড্রুস তাই তার বাসার সিকিউরিটি একটু বেশীই হবে। আর তাছাড়া আজকে তার বাসায় আরো চারজন ধনী ব্যক্তি রয়েছে। অবশ্য পাঁচজনই ক্যাপিটালের মধ্যে খারাপ লোক। তবে ওদের থেকে আরো খারাপ লোক রয়েছে। আমরা সিকিউরিটির ফলে সোজা ভিতরে ঢুকতে পারবো না।
--জ্যাক, এখানে তো অনেক সিকিউরিটি, ঢুকবো কিভাবে?(হ্যারি)
--সেটা আমার উপরে ছেড়ে দাও।(আমি)
--কি প্লান তোমার?(লুসি)
--প্রথমত হ্যারি এখানে একদম ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করবে, যেটা একদম ছোট হবে। সেটা চেক করতে এখানে অনেক গার্ডই চলে আসবে। আর সেই সুযোগে হ্যারি আর আমি পাশ দিয়ে চলে যাবো ভিতরে ঢুকতে।(আমি)
--তাহলে আমরা কি করবো?(লুসি)
--তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ থাকবে। রোড সার্কাজের নাম তো শুনেছো?(আমি)
--হ্যা।(লুসি)
--তোমরা দুজনে এখানে ছোট ছোট ট্রিকস দেখাবে ম্যাজিকের। আর আমার মতে, তারা প্রথমে একটু সন্দেহ করবে, কিন্তু অনেকক্ষন দাড়িয়ে দেখবে। আর তাদের সময় বেশী লাগলে ভিতর থেকে আরো গার্ড বের হবে বাইরে চেক করতে। আর সেই সুযোগে আমরা ভিতরে ঢুকবো।(আমি)
--ওয়াও। পারফেক্ট প্লান।(হ্যারি)
--কিন্তু ওরা যদি আক্রমন করে আমাদের।(লুসি)
--আমার মতে করবে না। যতক্ষন পর্যন্ত চালাকি না করো। শুধু সার্কাস দেখাতে থাকবে একটু।(আমি)
--ওকে চেষ্টা করবো।(লুসানা)
।।।
।।।
হ্যারির স্পেলের পরেই কিছু গার্ড আসলো। অবশ্য আমরা ছিলাম ঔ লোকটার জায়গার বাইরে। তাই এখানে কোনো সমস্যা হবে না। লুসি এবং লুসানা ওদের ম্যাজিক ট্রিকস দেখাতে লাগলো। আর আমরা সেই সুযোগে পাশ দিয়ে দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে চলে গেলাম। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম ভিতর থেকে আবার আরেকদল বাইরে যাওয়ার জন্য। যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো। কিছু সংখ্যক বের হলো আবারো। আমরা সেই সুযোগে বাসার মধ্যে ঢুকে পরলাম। হ্যারি আর আমি খুব সাবধানে যেতে লাগলাম। অবশ্য ভিতরে দুইজন গার্ডের সাথে দেখা হলো, যাদের দুইজনকেই হ্যারি ওর ম্যাজিক দিয়ে ব্লাস্ট করতে চেয়েছিলো, কিন্তু আমি আমার সোর্ড টেকনিকের মাধ্যমে তাদের বেহুস করে দিলাম। অবশ্য এরপর আমাদের আর কোনো সমস্যা হলো না। আমরা খুব সহজেই সেই পাঁচজনের কক্ষে ঢুকে পরলাম। ভিতরে যেটা দেখতে পেলাম সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। মূলত তাদের খুজতে খুজতে আমাদেরকে এই বাসার মাটির নিচের রুমে প্রবেশ করতে হয়। সুন্দর একটা আন্ডারগ্রাউন্ড রুম বানিয়ে রেখেছে এখানে। বাইরে অনেকগুলো তালা এবং সিল করার কাগজ ছিলো, যেগুলো খোলাই ছিলো। ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম অনেকগুলো মৃত শরীর দড়ি দিয়ে বাধা এবং সেগুলো চেইন দিয়ে বাধা রয়েছে। শরীরকে একটা বিশেষ পলিথিন দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে যারজন্য একটা দিয়েও গন্ধ বের হচ্ছে না। পচেও যায় নি একদম। কিন্তু আমি তাদের শরীর থেকে কোনোরকম ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্য ম্যাজিক পাওয়ার দেখতে পাওয়া আমার একটা ক্ষমতা। জিনিসটা অনেক রেয়ার। সবাই এটা পারে না। আর সবচেয়ে অবাক হলাম জীবিত পাঁচটা মেয়েদের দেখে। তারা প্রায় অর্ধ উলঙ্গ রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তাদের রক্ত বের হচ্ছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কামড় দেওয়া হয়েছে। এবং তার ফলে শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আমি আশা করছিলাম আমরা সময় মতো পৌছে যাবো। অবশ্য সেটাও হয়েছে মেয়েগুলোকে দড়ি দিয়ে শুধু হাত পিছনে বেধে রাখা হয়েছে। লোকগুলো একপাশে বসে মদপান করছে। আর গল্প করছে মেয়েগুলোর সাথে কিভাবে মজা করবে আজকে। আমি তাদের এই রুম দেখে বুঝতে পারলাম তারা শহরের সুন্দরী মেয়েদেরকে জোর করে তুলে আনে এবং তাদেরকে রেপ করে মেরে এই রুমে ঝুলিয়ে রাখে। লাশের সংখ্যা হিসাব করতে গেলে এখানে আশিটার উপরে হবে। জিনিসটা আমার দ্বারা আর দেখা গেলো না আমি একদম রেগে গেলাম। মূলত হ্যারি প্রথমে আক্রমন করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু আমার রাগ এতোটা বেরে গেলো যে আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। কেউ এখনো আমাদের দুজনকে লক্ষ করে নি। কারন আমরা ভিতরে এসে কোনো শব্দ করি নি এখনো। মেয়েগুলোর জন্য আমার অনেক দুঃখ হচ্ছে। কত নিষ্পাপ মেয়ের জীবন এই পশুরা নিয়েছে। আমি এটা দেখবো সেটা কখনো আশা করি নি। রাগে আমার হাত মুঠো হয়ে গেলো। ডান হাতে আগুন জ্বলতে লাগলো আমার। আমি জানি ভিরুদাকে হাতে নিলে এই আগুন বেরে যাবে। তাছাড়া আমি এখন এখানে আগুন লাগাতে চাই না। অনেক নিষ্পাপ শরীর আছে এখানে যাদেরকে মাটির মধ্যে জায়গা দিতে হবে।
।।।।
।।।।
বেশী রাগের ফলে আমার পিঠ থেকে কখন হাত বের হলো আমি নিজেই লক্ষ করি নি। অবশ্য বরাবরের মতো এবারো এটা আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। পাঁচটা হাত হঠাৎ তলোয়ারের রূপ নিয়ে নিলো। আর সেই পাঁচটা লোকের দিকে আক্রমন করলো। লোকগুলো এদিকে ফেরার সময়ও পাইনি। আর সোজা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে গেলো। আর সেটা তাদেরকে সোজা দেওয়ালে গেথে দিলো। অবশ্য আবারো হাতের রূপ নিয়ে আমার পাশে চলে আসলো। কিন্তু তলোয়ার পাঁচটা তাদের পিঠের মধ্যেই রয়ে গেলো। তলোয়ারগুলো একদম সাদা। আমি একরকম ম্যাজিক আগে কখনো দেখি নি। তলোয়ারগুলো অনেকটা পাখির ডানার মতো দেখা যাচ্ছে। লোকগুলো নেশার মধ্যে থাকলেও জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলো, তাই ক্ষমা চাচ্ছিলো আমাদের কাছে। কিন্তু এবার আর আমাকে কিছু করতে হলো না। হ্যারি সোজা ওদের পাঁচজনের মাথায় ছোট একটা স্প্লোশন স্পেল ব্যবহার করলো। সাথে সাথে ওদের পাঁচজনের মাথা ব্লাস্ট হয়ে গেলো।
--এরকম হিংস্র পশুদের জন্য এটাই প্রাপ্ত শাস্তি যারা নিষ্পাপ মেয়েদেরকে রেপ করে হত্যা করে।(হ্যারি)
--হ্যা সেটা ঠিক।(আমি)
--তো এখন কি করবে?(হ্যারি)
--আমাদের একটা কাজ হয়েছে, কিন্তু বাকি কাজ রয়েছে এখনো।(আমি)
--কি কাজ?(হ্যারি)
--দেখতে থাকো শুধু।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাতগুলো আবার নিজেদের ইচ্ছামতো চলছে। এগুলোকে হাত বলাও আজব লাগে আমার কাছে। কারন কারো তো আর অসংখ্য হাত থাকে না। যায়হোক হাতগুলো মেয়েদের মাথার উপরে হাত দিলো। যেপাচটা জীবিত ছিলো তাদের মাথায় হাত দিলো। তারা অনেকটা আহত। তাই আমার হাতের স্পর্শ পেয়ে সাথে সাথে হিল হয়ে গেলো। যত দিন যাচ্ছে এই হিলিং পাওয়ারের ক্ষমতাও বেড়ে চলেছে। আগে কিছুটা সময় লাগতো। তবে এখন খুব শীঘ্রই হিল হয়ে যায়। মেয়েগুলো কেদে দিলো আমাদের দেখে। এটা দুঃখের কাদা না। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সাথে তেমন কিছু হবে যেমনটা এখানে থাকা বাকি লাশগুলোর সাথে হয়েছে। আমি হ্যারিকে বললাম মেয়েগুলোকে সাবধানে বের করে দিতে। কারন আমাকে এখানে কিছু করতে হবে। অবশ্য এখানে কাল মিলিটারি আসবে। আর তারা সব শরীরের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিবে। ব্যবস্থা না নিলে তাদের ব্যবস্থা তো ব্লাক ড্রাগন ঠিকই নিবে। যাইহোক আমি দেওয়ালে একটা সঠিক মেসেজ লিখে দিলাম
মেসেজটা এরকম,
।।।
।।।
"" যারা অসহায় গরীবদের হক নষ্ট করবে তাদেরকে ব্লাক ড্রাগন আর্মি শাস্তি দিবে। আর সেই শাস্তি হবে মৃত্যদন্ড। আর এটাই সেটার নমুনা। পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সম্রাট যারা অসৎ পথে অর্থ এবং নিষ্পাপ মেয়েদের তুলে এনে তাদের রেপ এবং হত্যা করেছেন। তাদের এই শাস্তির জন্য তাদের মৃত্য হয়েছে। মিলিটারী এসব আইন দেখছে না। তাই তাদের সাবধান করে দিচ্ছি আইন ঠিকমতো কাজে লাগান। নাহলে পরের শাস্তি আপনাদেরও হতে পারে।""
।।।
।।।
অবশ্য আমি জানি মিলিটারি ধামাচাপা দিয়ে দিবে বিষয় টা। জনগন জানবে না এটার সম্পর্কে। কিন্তু সেটার জন্যও আমার কাছে ভালো একটা প্লান আছে। অবশ্য সেটার জন্য একটু কষ্ট করতে হবে আমাকে। আমি এই ড্রুসলোকটার অফিস রুমে চলে আসলাম। লোকটা বাসার মধ্যেই অফিস খুলে রেখেছে। আমি একটা কাগজ নিলাম। এবং সেখানে একটা উইল লিখে রাখলাম।
।।।
।।।
উইল অনুযায়ী লোকটার যেভাবেই মৃত্যু হোক না কেনো, তার সকল অর্থ গরীবদের মাঝে দিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য এটা আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ঢুকেও করতে হবে। আমি ড্রুসের বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। দূর থেকে আমার ইশারা দেখে লুসি এবং লুসানা ও চলে আসলো। গার্ড গুলোও বলদ ছিলো, তারা সার্কাস দেখছিলো গার্ড না দিয়ে। অবশ্য রয়েল গার্ড ছিলো না আজকে। রয়েল গার্ড থাকলো এতো সহজ হতো না। আমি তিনজনকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলাম। ওরা আবার ওদের গোপন বাসায় চলে যাবে। কিন্তু আমাকে বাকি চারজনের অফিসে ডুকে উইল করতে হবে। অবশ্য উইল জিনিসটা খুবই মারাত্মকভাবে মানা হয় আমাদের রাজ্যে। সেটা যেরকমই হোক না কেনো। রাজার সর্বোচ্চ নিয়মের মধ্যে এটা একটা। এটা রাজার পরিবার থেকে শুরু করে সবাইকেই মানতে হবে। কেউ এটার অমান্য করলে তার মৃত্যু হবেই। এখন উইলের তারিখ হিসাবে উইল পরিবর্তন হয়। প্রতিটা রাজবংশের লোকেদের কাছেই উইলের কাগজ থাকে, যাতে তারা মৃত্যুর আগে নিজেদের ইচ্ছা লিখে যেতে পারে। আর তার মৃত্যুর পরে একদম ঠিক তাই করা হবে। আর আমি তো একসাথে সবার অর্থ হাতে হাতে নিয়ে বিলাতে পারবো না। এটাই সবচেয়ে সহজ রাস্তা হবে যাদের অর্থ তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।।।।
।।।।
।।।।
আমার পুরো কাজ শেষ করে আমি ফিরে আসলাম। অবশ্য একা থাকলে এই গুপ্ত কাজগুলো অনেক সহজ হয়। বাকি চারজনের বাসায় যেহেতু তাদের মালিক ছিলো না তাই সকল গার্ড ঘুমাচ্ছিলো। আর তাদের মাঝ থেকে অফিসে যেতে আমার কোনো সমস্যা হয় নি। মূলত অনেকটা সময় আমার লেগেছে। আর আমাকে প্যালেসেও যেতে হবে। প্যালেসে না থাকলে অনেকে সন্দেহ করবে আমার উপরেই। তাই দেরী করা যাবে না। আমি সোজা প্যালেসে চলে গেলাম আবার সেই গুপ্ত রাস্তা দিয়ে। জানি না কালকে কি হবে। কিন্তু অপেক্ষা করছি কালকের জন্য।
।।।।।
।।।।
।।।
।।

Continue to..........

।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পার্টের জন্য।

Address

Gazipur

Telephone

+8801889062148

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gōlpó Kòthā - গল্প কথা シ︎ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Gōlpó Kòthā - গল্প কথা シ︎:

Share