DTV বাংলাদেশ

DTV বাংলাদেশ National & International News Broadcasting

29/08/2025

জাতীয় পার্টি-গণঅধিকারের পাল্টা-পাল্টি ধাওয়ায় ভিপি নূর আহত।

28/08/2025

পুলিশের হাত থেকে আসামি পালিয়ে গেল।

27/08/2025

শাহবাগে অবাককরা তান্ডব।

পড়ন্ত বিকেলে বিলের ধারে পর্যটকদের  ঢল।
21/08/2025

পড়ন্ত বিকেলে বিলের ধারে পর্যটকদের ঢল।

হরেক রকমের চা বেঁচেই লাখপতি শাহরুল  ----------------------------------------. গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফটিক মার্কেট এলাকায়।...
21/08/2025

হরেক রকমের চা বেঁচেই লাখপতি শাহরুল
----------------------------------------.

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফটিক মার্কেট এলাকায়। শাহরুল ইসলাম নামের এক যুবক মাত্র ৫০০ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে ছিলেন ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। আজ সেই ছোট্ট উদ্যোগই জীবনে এনে দিয়েছে তার বিষ্ময়কর সফলতা।

প্রথমে শুরু করেন তিনি দুধ চা,পরে হরেক রকমের চা বানান তিনি।ধীরে-ধীরে ভোজনরসিক মানুষদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে তার দোকানের চা।পরে একটা সময়ে সেই হরেক রকমের চা বেঁচেই লাখপতির বনে যায় শাহরুল।

সম্প্রতি আমি এবং আমার অফিস সহকর্মী দুই জনে মিলে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হয়ে যাচ্ছিলাম ভাওয়াল মির্জাপুর।

পথে কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের চাওরিয়া চালার ফটিক মার্কেটে যাত্রা বিরতি দিলাম। প্রচন্ড পানি পিপাসা লেগেছে এ জন্য একটি চায়ের দোকানে বসে এক গ্লাস ন্যাচারাল পানি পান করলাম।এমন সময়ে পাশের এক চায়ের দোকানের একটি দৃশ্য চোখে পড়ল।

সেখানে দেখতে পেলাম অনেক লোকজন গোলটেবিলে বসে চা খাচ্ছেন।কৌতূহলী হয়ে ওই দোকানে আমিও চলে আসলাম। একটু ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখি একটা ব্যানার সাঁটানো আছে। তাতে লেখা আছে ফটিকের চায়ের আড্ডা। ব্যানারের নিচে লেখা আছে প্রো: মো: শাহরুল ইসলাম। পরে আমি মনে-মনে ভাবলাম তিনি স্পেশাল চা তৈরি করেন। তাই পড়ন্ত বিকেলে চা খাওয়ার জন্য লোকজন ভিড় করেন।

পরে আমি লোকজনের চা খাওয়া দেখে নিজেও একটা চায়ের অর্ডার দিলাম। তখন দোকানদার শাহরুল ইসলাম বললেন,ভাই কি চা খাবেন। আমি বললাম,ওনারা যে চা খাচ্ছেন। পরে দোকানদার মুচকি হেসে বললেন,ভাই আপনি মনে হয় এখানে নতুন এসেছেন। এজন্য জানেন না। এখানে যারা চা খেতে আসেন তারা সবাই রসিক মানুষ।

তাই একেক জনে একেক ধরনের চা খায়। আমি এ কথা শোনে অবাক হয়ে বললাম,বলেন কি ভাই, চা, তো দুই প্রকার হয়। দুধ চা, রং চা। আপনার দোকানে। য়কি হরেক রকমের চা হয়। দোকানদার আবারও হাসি দিয়ে বললেন, হ্যা ভাই ,আমার দোকানে ৭-৮ ধরনের চা হয়। পরে আমি প্রশ্ন করলাম ভাই লেমন চা হবে। তিনি বললেন অবশ্যই হবে।

তখন আমি একটা লেমন চার অর্ডার দিলাম। চা খাওয়ার ফাঁকে পাশের লোকজনদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম। ভাই আপনারা কোথায় থেকে এখানে এসেছেন। অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন এলাকার কথা বললেন।

টেবিলের পশ্চিম পাশে বসে চা খাচ্ছে এক যুবক। তাকে বললাম,ভাই আপনার নাম কি এবং আপনি কোথায় থেকে এখানে এসেছেন। ওই যুবক বললেন তার নাম সাজ্জাদ সরকার। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জা থেকে এখানে এসেছেন। আমি বললাম ভাই, আপনি কি চা খাচ্ছেন। তিনি উত্তর দিলেন। হরলিক্স চা। পরে প্রশ্ন করলাম দাম কত। উত্তরে বললেন ৪০ টাকা। তিনি আরও বললেন, ভাই ৪০ টাকা হলেও খেয়ে অনেক তৃপ্তি লাগছে।

টেবিলের দক্ষিণ পাশে বসা আছেন এক লোকের পরিবারসহ ৪ জন। তারা এসেছে আশেপাশের এলাকা থেকে। এদের মধ্যে এক দুইজন নারী রয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম আপা আপনারা এখানে চা খেতে এসেছেন কেন? তখন তারা উত্তর দিলেন,ফটিকের চার মেলা নামকরা। এজন্য তাই আইছি চা খাওয়ার জন্য। আমরা প্রাণ ভরে খাঁটি গরুর দুধের খেলাম।

গাজীপুর শহরের নাওজড়ো এলাকা থেকে এসেছেন মিরাজ হোসেন নামের এক লোক। তিনি বলেন,ভাই আমি সপ্তাহেও এখানে চা খেতে এসেছি। আজকেও ভাল লাগার তাগিদে এসেছি। তিনি আরো বলেন,এখানে যত মানুষের ভিড় দেখছেন সবাই চা পাগল মানুষ। শাহরুল ভাইয়ের বিভিন্ন আইটেমের চা একবার যে খায় আবারও সে ছুটে আসেন। তিনি বলেন,শোনি এই ভাই ৫০০ টাকা দিয়ে চার ব্যবসা শুরু করে এখন লাখপতি হয়ে গেছেন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোগক্তা শাহরুলের চায়ের দোকানে লোকজনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ছোট খাইরুল ইসলামও
দোকানে চা বানানোর কাজ করছেন। তিনি জানান,এক সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু সে বেতনে তাদের সংসার ভাল চলছিল না। এজন্য প্রথমে বড় ভাই শাহরুল ইসলাম ৫০০ টাকা পুঁজি দিয়ে দোকান শুরু করেন। পরে ভাইয়ের দোকানের ব্যবসা ভাল চলায় তিনিও চাকরি ছেড়ে দিয়ে চা বানানোর কাজ করছেন।

তিনি আরো জানান,বর্তমানে তাদের দোকানে দুধ চা প্রতি কাপ ২০ টাকা,লেমন চা ১৫ টাকা, হরলিক্স চা ৪০ টাকা, কপি চা ৪০ টকা ও রোজেলা চা ৩০ টাকা বিক্রি করছেন। প্রতি দিন প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা চা সেল দিচ্ছেন তারা।

এখানেই শেষ নয় উল্লেখিত এই ৫ ধরনের চায়ের বাহিরে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী চা তৈরি করে দেন তারা। তাদের মোট ১৬ প্রকারের চা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে বলে খায়রুল ইসলাম জানায়।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে এবার চলে যেতে হবে গন্তব্য স্থানে। এ জন্য আমার অফিস সহকর্মী আমাকে তাড়া দিচ্ছিল। তখন আমি চেয়ার থেকে উঠে এগিয়ে গেলাম সেই অধম্য ব্যবসায়ী উদ্যােগক্তার দিকে। প্রশ্ন করলাম শাহরুল ইসলামকে ভাই কি ভাবে চায়ের দোকান দিয়ে আজ আপনি লাখপতি হলেন।

প্লিজ একটু জানান। তখন তিনি বলেন,একটা সময়ে কোন ভাবেই চাকরির টাকা দিয়ে সংসার চালাতে পারছিলাম না। মাস শেষে খুব কষ্ট হয়। তখন মাথায় একটা চিন্তা ঢুকে দিন নগদ অর্থ উপার্জন হবে এমন কাজ করবো। পরে মাত্র ৫০০ টাকা পুঁজি দিয়েই ২০১৯ সালে শুরু করি চায়ের দোকান। পরে আস্তে-আস্তে কয়েক বছরের মধ্যেই ফুটপাতে দোকান এখন বড় দোকানে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন,তার দোকান থেকে প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় হচ্ছে। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে চলছে তাদের সংসার।

কালিয়াকৈরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,শাহরুল বেশি দুর পড়ালেখা করতে পারেনি। এজন্য চায়ের দোকান দিয়েই নিজের ভাগ্য বদলের চেষ্টা চালায়।তখন তার ওই কাজে ছোট ভাই ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। কাজ কে ছোট মনে না করে পরিশ্রম করে যাওয়ায় আজ তারা দুই জনেই সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

20/08/2025

পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়ায় মৌলবাদী তকমা।

নিভৃত পল্লী গাঁয়ে নিলামে বিক্রি করে দেশি প্রজাতির মাছ ------------------------------------------------------------------...
20/08/2025

নিভৃত পল্লী গাঁয়ে নিলামে বিক্রি করে দেশি প্রজাতির মাছ
---------------------------------------------------------------------------.

গ্রামগঞ্জের বাজারে সাধারণত কেজি ধরেই বেচাকেনা চলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তবে এবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক অন্যরকম হাটের সন্ধান পাওয়া গেল।যেখানে নিলামে বেচেকেনা চলে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ।

উপজেলার নিভৃত এক পল্লী গাঁয়ের নাম রঘুনাথপুর। এই রঘুনাথপুর গ্রামেই নদী-নালা,খাল ও বিলের নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ নিলামে বেচা হয়। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে শুরু হয় এ হাট। সকাল ১০ টার মধ্যেই শেষ হয় বেচাকেনা। তবে ছুটির দিন গুলোতে ক্রেতাদের পদচারণায় উৎসব মুখর হয়ে উঠে এ হাটের পরিবেশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,রঘুনাথপুরসহ আশপাশের এলাকার জেলের ভোর সকাল ৫ টার দিকে খাঁচি, গামলা,কেউবা খালুই ভরে মাছ নিয়ে বাজারে আসছে। অনেকেই দৌড়ে গামলা ভর্তি বিলের নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে আসছে। অপর দিকে দুর দুরান্ত থেকে অনেক ক্রেতারাও দৌড়ে ছুটে আসার দৃশ্য চোখে পড়ে।

বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে ইতিমধ্যে অনেক জেলেরা দেশীয় প্রজাতির টাকি, বাইম,পুটি,ট্যাংরা,কই,শিং, চাপিলা,চিংড়ি,মাগুর,ঢেলা,চেলা,বোয়াল,আইড়,খলিসা,মলা,চান্দা,পাবদা,শোল ও মলাসহ নানা ধরনের মাছের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন।

রফিক মিয়া এক জেলে বলেন,এই হাটে যারা মাছ বিক্রি করতে আসেন তারা সারারাত বিলে মাছ ধরে ভোর সকালে এখানে নিয়ে আসেন। তিনি আরো বলেন,এখানে কেজি ধরে মাছ বিক্রি হয়না। নিলামে গামলা এবং খালুইয়ের মাছ বিক্রি করা হয়।

আজিবুর নামের আরেক জেলে বলেন,গামলা ভর্তি বিলের নানান প্রকার মাছ নিলামে ডাই দেই। পরে যে ক্রেতা বেশি দাম করে তার কাছেই বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন,এখান থেকে মাছ কিনার জন্য অনেক দুরে থেকে মানুষ ভোরে হাটে চলে আসেন। যারা এখানে মাছ কিনতে আসে তারা ঠকেনা,জিতে যায়।

গাজীপুর মহানগর থেকে রঘুনাথপুর বাজারে দেশি প্রজাতির মাছ কিনতে এসেছেন আব্দুল খালেক। তিনি বলেন,বাজারে কেজি ধরে মাছ কিনতে গেলে পারতা পড়েনা। এজন্য এখানে এসেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ১ হাজার টাকায় বিলের এক গামলা ভর্তি দেশি মাছ কিনেছেন কিন্তু অন্যবাজারে এর দাম কমপক্ষে ২ হাজার টাকা লাগতো।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান জানায়,এই হাট অনেক পুরনো। এখানে কম টাকায় টাটকা নদী,খাল-বিলের মাছ পাওয়া যায়। এজন্য অসংখ্য লোকজন এখানে ছুটে আসেন। এই হাটে প্রতিদিন অনেক টাকার মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়।তিনি আরো বলেন,হাট ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি হলে জেলেরা উপকৃত হবেন। হাটেও
ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।

08/07/2025

বিএনপির নিবেদিত নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত কালিয়াকৈর।

21/05/2025

ইসলাম পন্থীরা ক্ষমতায় যাবে : চরমোনাই।। রাজনীতি।।Charmonai।। Awami leg।। BNP।। Jamaat Shibir।। #বাংলাদেশনিউজ #শায়খে_চরমোনাই #ইসলামী_আন.....

অসাধারণ একটি মূহুর্তে।
18/04/2025

অসাধারণ একটি মূহুর্তে।

17/04/2025

বিশ্ব প্রভাবশালী তালিকায় ডক্টর ইউনুসের নাম।

16/04/2025

শত্রু মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার হশিয়ারি জানিয়ে তৌহীদি জনতার বিক্ষোভ।

Address

Gazipur
1702

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DTV বাংলাদেশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share