20/08/2025
নিভৃত পল্লী গাঁয়ে নিলামে বিক্রি করে দেশি প্রজাতির মাছ
---------------------------------------------------------------------------.
গ্রামগঞ্জের বাজারে সাধারণত কেজি ধরেই বেচাকেনা চলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তবে এবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক অন্যরকম হাটের সন্ধান পাওয়া গেল।যেখানে নিলামে বেচেকেনা চলে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ।
উপজেলার নিভৃত এক পল্লী গাঁয়ের নাম রঘুনাথপুর। এই রঘুনাথপুর গ্রামেই নদী-নালা,খাল ও বিলের নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ নিলামে বেচা হয়। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে শুরু হয় এ হাট। সকাল ১০ টার মধ্যেই শেষ হয় বেচাকেনা। তবে ছুটির দিন গুলোতে ক্রেতাদের পদচারণায় উৎসব মুখর হয়ে উঠে এ হাটের পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,রঘুনাথপুরসহ আশপাশের এলাকার জেলের ভোর সকাল ৫ টার দিকে খাঁচি, গামলা,কেউবা খালুই ভরে মাছ নিয়ে বাজারে আসছে। অনেকেই দৌড়ে গামলা ভর্তি বিলের নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে আসছে। অপর দিকে দুর দুরান্ত থেকে অনেক ক্রেতারাও দৌড়ে ছুটে আসার দৃশ্য চোখে পড়ে।
বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে ইতিমধ্যে অনেক জেলেরা দেশীয় প্রজাতির টাকি, বাইম,পুটি,ট্যাংরা,কই,শিং, চাপিলা,চিংড়ি,মাগুর,ঢেলা,চেলা,বোয়াল,আইড়,খলিসা,মলা,চান্দা,পাবদা,শোল ও মলাসহ নানা ধরনের মাছের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন।
রফিক মিয়া এক জেলে বলেন,এই হাটে যারা মাছ বিক্রি করতে আসেন তারা সারারাত বিলে মাছ ধরে ভোর সকালে এখানে নিয়ে আসেন। তিনি আরো বলেন,এখানে কেজি ধরে মাছ বিক্রি হয়না। নিলামে গামলা এবং খালুইয়ের মাছ বিক্রি করা হয়।
আজিবুর নামের আরেক জেলে বলেন,গামলা ভর্তি বিলের নানান প্রকার মাছ নিলামে ডাই দেই। পরে যে ক্রেতা বেশি দাম করে তার কাছেই বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন,এখান থেকে মাছ কিনার জন্য অনেক দুরে থেকে মানুষ ভোরে হাটে চলে আসেন। যারা এখানে মাছ কিনতে আসে তারা ঠকেনা,জিতে যায়।
গাজীপুর মহানগর থেকে রঘুনাথপুর বাজারে দেশি প্রজাতির মাছ কিনতে এসেছেন আব্দুল খালেক। তিনি বলেন,বাজারে কেজি ধরে মাছ কিনতে গেলে পারতা পড়েনা। এজন্য এখানে এসেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ১ হাজার টাকায় বিলের এক গামলা ভর্তি দেশি মাছ কিনেছেন কিন্তু অন্যবাজারে এর দাম কমপক্ষে ২ হাজার টাকা লাগতো।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান জানায়,এই হাট অনেক পুরনো। এখানে কম টাকায় টাটকা নদী,খাল-বিলের মাছ পাওয়া যায়। এজন্য অসংখ্য লোকজন এখানে ছুটে আসেন। এই হাটে প্রতিদিন অনেক টাকার মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়।তিনি আরো বলেন,হাট ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি হলে জেলেরা উপকৃত হবেন। হাটেও
ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।