ADda Baji

ADda Baji educational purpose

আদালত থেকে খলিফা হারুন অর রশিদের নিকট চিঠি এলো: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ। এজন্য বিচারকাজ স্থগিত আছে। খলিফা যেন দ্...
01/11/2025

আদালত থেকে খলিফা হারুন অর রশিদের নিকট চিঠি এলো: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ। এজন্য বিচারকাজ স্থগিত আছে। খলিফা যেন দ্রুত বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।
হারুন অর রশিদ চিঠির জবাব পাঠালেন:

অতি শীঘ্র নতুন বিচারক কাজে যোগদান করবেন।

কয়েকদিন পরের কথা। নতুন বিচারকের অধীনে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রহরীরা একজন বৃদ্ধ মহিলাকে আসামী হিসেবে দরবারে হাজির করলেন। তার অপরাধ তিনি শহরের এক রেস্তারাঁ থেকে রুটি আর মধু চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

বিচারক: আপনি চুরি করেছেন?

বৃদ্ধা: (মাথা নিচু করে) জি।

– আপনি কি জানেন না চুরি করা কত বড় পাপ?

– জানি।

– জেনেও কেন চুরি করলেন?

– কারণ আমি গত এক সপ্তাহ যাবৎ অনাহারে ছিলাম । আমার সাথে এতিম দুই নাতিও না খেয়ে ছিল। আমি ওদের ক্ষুধার্ত চেহারা এবং কান্না সহ্য করতে পারিনি, তাই চুরি করেছি। আমার কাছে এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

বিচারক এবার পুরো এজলাসে চোখ বুলালেন। এরপর বললেন, "কাল যেন নগর প্রধান, খাদ্যগুদাম প্রধান, বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আদালতে উপস্থিত থাকেন। তখন এই মামলার রায় দেওয়া হবে।"

পরদিন সকালে সবাই হাজির। বিচারকও যথাসময়ে উপস্থিত হলেন। সবার সামনে তিনি রায় ঘোষণা করলেন:

বৃদ্ধা মহিলার চুরির অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১ বছর কারাদণ্ড, ৫০টি চাবুক এবং ১০০ দিনার অর্থদণ্ড প্রদান করা হলো।

তবে অকপটে সত্য বলার কারণে কারাদণ্ডের সাজা মাফ করা হলো। বিচারক প্রহরীকে চাবুক আনার নির্দেশ দিয়ে নিচে নেমে ওই বৃদ্ধ মহিলার পাশে দাঁড়ালেন।

বিচারক বললেন, "যে নগরে একজন ক্ষুধার্ত বৃদ্ধ মহিলা না খেতে পেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় চুরি করতে বাধ্য হয়, সেখানে তো সবচেয়ে বড় অপরাধী সে দেশের খলিফা। আর আমি এসেছি খলিফার প্রতিনিধি হয়ে। আমি যেহেতু তার অধীনে চাকরি করি তাই ৫০টি চাবুকের ২০টি আমার হাতে মারা হোক। এটাই হলো বিচারকের আদেশ। আদেশ যেন অবিলম্বে পালন করা হয় এবং বিচারক হিসাবে আমার উপর চাবুক মারতে যেন কোনো রকম করুণা বা দয়া দেখানো না হয়।"

বিচারক তার হাত বাড়িয়ে দিলেন । দুই হাতে পর পর ২০টি চাবুক মারা হলো। চাবুকের আঘাতের বিচারকের হাতের তালু থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ওই অবস্থায় তিনি পকেট থেকে একটি রুমাল বের করলেন। কেউ একজন তার তালু বাঁধার জন্য এগিয়ে গেলে তিনি হাত উঁচু করে নিষেধ করলেন।

এরপর বিচারক বললেন, "যে শহরে নগর প্রধান, খাদ্য গুদাম প্রধান ও অন্যান্য সমাজ হিতৈষীরা একজন অভাবগ্রস্ত মহিলার ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হন, সেই শহরে তারাও অপরাধী। তাই বাকি ৩০টি চাবুক সমানভাবে তাদেরকে মারা হোক।"

বিচারকের আদেশ পালন করা হলো।

এবার বিচারক উপস্থিত সবাইকে বললেন, "যে সমাজ একজন বৃদ্ধ মহিলাকে চোর বানায়, যে সমাজে এতিম শিশুরা অনাহারে থাকে, সে সমাজের সবাই অপরাধী। তাই উপস্থিত সবাইকে ১০০ দিনার করে জরিমানা করা হলো।"

এই বলে তিনি নিজের পকেট থেকে ১০০ দিনার বের করে রুমালের ওপর রাখলেন। সবাই জরিমানার টাকা জমা দেবার পর গুনে দেখা গেল প্রায় ১০,০০০ দিনার হয়েছে।

তখন তিনি ওই ১০,০০০ দিনার থেকে ১০০ দিনার জরিমানা বাবদ রেখে ৫০ দিনার চুরি যাওয়া দোকানের মালিককে দিলেন। অবশিষ্ট ৮,৫০০ দিনার বৃদ্ধ মহিলাকে দিয়ে বিচারক বললেন, "এগুলো আপনার ভরণপোষণের জন্য। আর আগামী মাসে আপনি খলিফা হারুন অর রশিদের দরবারে আসবেন। খলিফা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী!"

এক মাস পরে বৃদ্ধা খলিফার দরবারে গিয়ে দেখেন, খলিফার আসনে বসা লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। মহিলা ভয়ে ভয়ে খলিফার আসনের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি সেদিনের সেই বিচারক। খলিফা চেয়ার থেকে নেমে এসে বললেন, "আপনাকে ও আপনার এতিম দুই নাতিকে অনাহারে রাখার জন্য সেদিন বিচারক হিসেবে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আজ দরবারে ডেকে এনেছি প্রজা অধিকার সমুন্নত করতে না পারায় অধম এই খলিফাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। আপনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।"""

11/10/2025
একজন উইঙ্গার হয়ে এরকম ভালো পারফর্ম আর কোন ফুটবলার শেষ কবে ভালো করছে জানা নাই৷রাফিনহা উইঙ্গার পজিশনে খেলে গত মৌসুমে বার্স...
22/09/2025

একজন উইঙ্গার হয়ে এরকম ভালো পারফর্ম আর কোন ফুটবলার শেষ কবে ভালো করছে জানা নাই৷
রাফিনহা উইঙ্গার পজিশনে খেলে গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে উচলে ও লীগে যে ইমপ্যাক্টটা রেখেছে ব্যালন ডিঅর চোখ বন্ধ করে ডিজার্ভ করে৷
রাফিনহা:
৬৯ ম্যাচ৷
৩৮ গোল
২৬ এসিস্ট৷
৩ ট্রফি৷
সরাসরি ৬৪ গোলের অবদান রেখেছে, চ্যাম্পিয়ন্স লীগে রেকর্ড এক মৌসুমে লিওনেল মেসিকে টপকে গেছে রাফিনহা, পৌঁছে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডেও৷

আর কতো ভালো করলে একজন উইঙ্গারের ক্ষেত্রে ব্যালন ডিঅর পাওয়া হবে?৷
আজ ব্যালন ডিঅর দিবে, যোগ্য ফুটবলার রাফিনহার হাতে উঠুক৷ আমার এনালাইসিসও বলছে রাফিনহা পাবে৷

স্কুল থেকে পালিয়ে নির্জন দ্বীপে ১৫ মাস! 🏝️ ৬ কিশোরের অবিশ্বাস্য টিকে থাকার গল্প।১৯৬৫ সাল। টোঙ্গার ছয়জন কিশোর স্কুলজীবন...
07/09/2025

স্কুল থেকে পালিয়ে নির্জন দ্বীপে ১৫ মাস! 🏝️ ৬ কিশোরের অবিশ্বাস্য টিকে থাকার গল্প।

১৯৬৫ সাল। টোঙ্গার ছয়জন কিশোর স্কুলজীবন থেকে পালাতে এবং উন্নত জীবনের সন্ধানে একটি মাছ ধরার নৌকা চুরি করে ফিজির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কিন্তু তাদের সেই অভিযান এক ভয়াবহ ঝড়ে পড়ে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।

তাদের নৌকাটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তারা 'আটা' নামের এক নির্জন দ্বীপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এরপর সেখানে তারা টানা ১৫ মাস আটকে ছিল! এই সময়ে, তারা একসাথে কাজ করে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে। মাছ, নারকেল, কলা এবং পেঁপে খেয়ে তারা নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছিল।

অবশেষে, পিটার ওয়ার্নার নামের একজন অস্ট্রেলিয়ান অভিযাত্রী তাদের জ্বালানো আগুনের ধোঁয়া দেখে সেখানে পৌঁছান এবং তাদের উদ্ধার করেন। কিশোরদের ঐক্য এবং বুদ্ধিমত্তা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।

মানুষের একতা এবং টিকে থাকার ইচ্ছাশক্তি কতটা শক্তিশালী হতে পারে, এই কিশোরদের গল্পটি তারই এক অসাধারণ প্রমাণ।

07/08/2025

our football match ⚽⚽⚽⚽
Kings || vs power boys
2 = 2 GOOL

আজকের মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, রোনালদো আসলে ঠিকই করেছিল…আজ মাইলস্টোন স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিমান...
22/07/2025

আজকের মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, রোনালদো আসলে ঠিকই করেছিল…

আজ মাইলস্টোন স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রচণ্ড জনসমাগমের কারণে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করতে চরম বেগ পেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলা কী ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে, তা আজ বাঙালি চোখের সামনে স্পষ্টভাবে দেখল।

আর ঠিক এমনই একটি উপলব্ধি থেকে সেদিন দিয়াগো জোটার শেষবিদায়ে উপস্থিত হননি রোনালদো। অনেকে তখন তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনার চোখে দেখলেও, এখন বোঝা যাচ্ছে—তিনি চেয়েছিলেন না যেন তাঁর উপস্থিতি ভিড় বাড়িয়ে আরেকটি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বন্ধুর বিদায় বেলায় নিজেকে আড়ালে রেখে, জনসমাগমের বিপদ এড়াতে চেয়েছিলেন তিনি—সেই দূরদর্শিতা আজকের ঘটনায় নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

ছবি/লেখা সংগৃহীত

27/06/2025

হায়রে মানুষ রঙিন ফানুশ দম ফুরাইলে ঠুস। ✌️

যারা বেশিরভাগ ট্রেনে রাতে ভ্রমণ করেন তারা সতর্ক থাকুন।⚠️❗️যমুনা টিভির 'ক্রাইম সিন' নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিব...
18/06/2025

যারা বেশিরভাগ ট্রেনে রাতে ভ্রমণ করেন তারা সতর্ক থাকুন।⚠️❗️
যমুনা টিভির 'ক্রাইম সিন' নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন নিয়ে।🚆

গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়'শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় – আখাউড়া, কসবা, বি-বাড়ীয়া, ভৈরব কিশোরগঞ্জ হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।📍
আবার টঙ্গী জংশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের রেকর্ড রয়েছে।🛤️

পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ অজ্ঞাত পরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে। তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু-মুসলিম ব্যাপার না,সব মাটিচাপা। ডোমে মৃতব্যাক্তির জামাকাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনে ঝুলিয়ে রাখে।

যদি বছর দুয়েকের ভিতর মা-বাবা এসে জামাকাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে।👪তাহলে কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে।⚰️জামাকাপড় রোদে শুকিয়ে-বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা-সুরত আস্ত থাকেনা।

এই লাশগুলা বেশিরভাগই মারডার কেস।🔪 ১০,২০,৫০ টাকা,পকেটে থাকা মোবাইল ফোন📱এগুলা ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা করা হয়। ২০ টাকার জন্যও তারা মানুষ খুন করেছে।

⛔ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে– ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত থাকে,দুই পাশে দরজা,বাথরুম🚻।রাতের ট্রেনে এসব যায়গায় সুবিধামতো লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন থেকে আক্রমণ করে।⛔

⛔আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে- গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।🧣তারপর দুই মাথায় দুইজন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে,তার গলায় পেছন থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে হেছকা টান দেয়।১৫ সেকেন্ডের ভিতরই ঐ লোক মারা যাবে।⏱️১৫ সেকেন্ডে না মরলেও তার জীবন ঐখানেই শেষ।এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে,পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দিবে।🚪রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়।😴 তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ থাকে।কেউ কিছু টেরও পায়না।পুরো কাজটা করতে সময় লাগে, সর্বোচ্চ দেড় মিনিট⌛।⛔

অপরাধীরা ধরা পড়ে,আবার জামিনে বের হয়।⚖️ আবার জামিনে বের হয়।আদালতের কাছে পর্যাপ্ত এভিডেন্স থাকেনা!❌এভিডেন্স না থাকলে,বিচারও করা সম্ভব হয় না।⚠️

~ এস আই ইমরান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।👮‍♂️

তাই সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে, আমাকে এবং আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন🤲

যদিও আমাদের গাড়ি ওই রুটের না,, তবুও আমাদের মাঝে অনেকেই এসব ট্রেনে ভ্রমন করে।
© অথচ যতো দোষ নন্দ ঘোষ

আনচেলত্তির কাজটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং..! 🇧🇷  বর্তমান ব্রাজিল দল এখনো বিশ্বকাপের শীর্ষ প্রার্থীদের তুলনায় অনেক...
06/06/2025

আনচেলত্তির কাজটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং..! 🇧🇷
বর্তমান ব্রাজিল দল এখনো বিশ্বকাপের শীর্ষ প্রার্থীদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে, একসময়ের ছন্দময়, সৃষ্টিশীল ও বিস্ময়কর সেই ব্রাজিলিয়ান ফুটবল আজ অনেকটাই বিবর্ণ, আমাদের ফুটবলের অবস্থা সত্যিই উদ্বেগজনক..!

তবু একজন ভক্ত হিসেবে কোচের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখছি, অভিজ্ঞ, সাফল্যে ভরা ক্যারিয়ারের অধিকারী আমরা জানি আপনি জানেন কীভাবে একটি দলকে গড়ে তুলতে হয়,
শুধু চাইবো, আপনি যেন সেলেসাওদের আবার সেই আগের রূপে ফিরিয়ে আনেন যেখানে মাঠে নামলেই চোখ জুড়ায়, হৃদয় নেচে ওঠে..! 🥹🇧🇷

ভালোবাসার ব্রাজিলকে আবার জাগিয়ে তুলুন, স্যর..! 🥹🙏

এক ভদ্রমহিলা একটি মাংস সরবরাহ কারখানায় চাকরি করতেন। একদিন তিনি ডিউটি শেষ করে মাংস সংরক্ষণ হিমাগারে কোনো একটি বিষয় পরীক্ষ...
21/05/2025

এক ভদ্রমহিলা একটি মাংস সরবরাহ কারখানায় চাকরি করতেন। একদিন তিনি ডিউটি শেষ করে মাংস সংরক্ষণ হিমাগারে কোনো একটি বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢুকলেন। তখন আকস্মিকভাবে হিমাগারের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তালাবদ্ধ হয়ে গেল এবং ভদ্রমহিলা ভিতরে আটকে পড়ে গেলেন।

মহিলা সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার চিৎকারের শব্দ হিমাগারের বাইরে কারো কানে পৌঁছাল না।

এদিকে সন্ধ্যা নামার পর একে একে অফিসের সবাই বেরিয়ে গেল। মহিলা একাকী অন্ধকার হিমাগারে আটকা পড়ে থাকলেন।

এভাবে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পার হয়ে গেল এবং মহিলা যখন ঠান্ডায় একেবারে মৃতপ্রায়, ঠিক তখন ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা প্রহরী হিমাগারের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলেন। বলা যায়, সে রাতে ভদ্রমহিলা প্রায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন।

বাইরে বের হয়ে উষ্ণ পরিবেশে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে ভদ্রমহিলা নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করলেন, "ওই সময়ে আপনি হিমাগারের দরজা খুলতে গেলেন কেন? ওটা তো আপনার রুটিন ওয়ার্কের অংশ ছিল না।"

তখন নিরাপত্তা প্রহরী বললেন, "আমি বিগত ৩৫ বছর যাবৎ কারখানার প্রবেশ দ্বারে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছি। প্রতিদিন শত শত লোক এই কারখানায় কাজে আসে, কাজ শেষে ফিরেও যায়। এত বছরে এত লোকের মধ্যে একমাত্র আপনিই প্রতিদিন সকালে কারখানায় প্রবেশকালে আমাকে হাত তুলে 'হ্যালো' বলেন এবং সন্ধ্যার পর কাজ শেষে ফিরে যাবার সময় হাসিমুখে আমাকে 'গুড বাই, আবার কাল দেখা হবে' বলে বেরিয়ে যান। অন্য সবাইকে দেখে মনে হয় আমি বোধহয় কোন অদৃশ্য বস্তু। কেউ আমাকে কোনদিন দেখতেই পায় না!

আজও রোজকার মতো সকালে আপনি আমাকে 'হ্যালো' বলে কারখানায় ঢুকলেন। সন্ধ্যার পর একে একে সবাই কাজ শেষে বেরিয়ে গেল। আমি ভাবলাম গেট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে বিশ্রাম নেব। হঠাৎ মনে হলো, কি ব্যাপার, যে ভদ্রমহিলা আমাকে 'গুড বাই , আবার কাল দেখা হবে' বলে বেরিয়ে যায় তাকে তো আজ বের হতে দেখলাম না।

প্রথমে ভাবলাম হয়তো কোনো কাজে আপনার বিলম্ব হচ্ছে, তাই গেট বন্ধ না করে প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করলাম। তারপরেও যখন আপনাকে বের হতে দেখলাম না, তখন কৌতূহলবশত সারা কারখানার আনাচে কানাচে প্রতিটি জায়গায় খুঁজে কোথাও না পেয়ে কেমন একট ভয় মিশ্রিত সন্দেহ হলো। তখনই আমি হিমাগারের দরজা খুলে আপনাকে মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখলাম।

সত্যি বলতে কি, আমি প্রতিদিন মনে মনে সকালে 'হ্যালো' এবং সন্ধ্যায় 'গুড বাই' এই শব্দ দুটো শোনার অপেক্ষায় থাকি। কেননা ওই শব্দ দুটিই আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, আমিও একজন মানুষ!"

অস্থির এক সময় পার করছি আমরা। সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। কেউ জানে না আগামীকাল কার জন্য কি অপেক্ষা করছে! তাই প্রতিদিন যাদের সাথে আপনার দেখা হয়, তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখার চেষ্টা করুন।

Address

Gazipur
Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ADda Baji posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ADda Baji:

Share