BanglaFlix A

BanglaFlix A entertainment

22/09/2025

শুনশান পথ, আঁকে আল্পনা,
সকাল আসে, নতুন প্রেরণা।
পাখির গানে, ঘুম ভাঙে ভোরে,
আলোর রেখা, আঁকে পথ ধরে।
ফুলের সুবাস, মন করে তাজা,
প্রকৃতির কোলে, শান্তির মেলা।
নদীর কলতান, বয়ে চলে নীরবে,
জীবনের ধারা, চলে অবিরাম রবে।
সূর্য ডোবে, আঁকে সন্ধ্যার ছবি,
রাতের আকাশে, তারাদের ভিড় সবই।

ভালোবাসা কি শুধুই সুন্দর হয়? মনকাড়া ফুল, মিষ্টি হাসির আদান-প্রদান আর সূর্যাস্তের সামনে দাঁড়িয়ে হাত ধরে থাকার মতো দৃশ্য? ...
21/09/2025

ভালোবাসা কি শুধুই সুন্দর হয়?
মনকাড়া ফুল, মিষ্টি হাসির আদান-প্রদান আর সূর্যাস্তের সামনে দাঁড়িয়ে হাত ধরে থাকার মতো দৃশ্য?
অনেকের কাছেই ভালোবাসা এমন। কিন্তু তপুর কাছে ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। সেটা ছিল এক ‘বিশ্রী রকমের ভালোবাসা’।
তপুর জীবনটা ছিল সাদামাটা। একটা ছোট চাকরির সীমিত আয়ে তার দিন কাটত। সে স্বপ্ন দেখতে পারতো না, কারণ সে জানত স্বপ্নের কোনো দাম নেই। তার জীবনে ভালোবাসার একমাত্র মানুষ ছিল তার বোন, মিলি।

মিলি ছিল তপুর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সে ছিল রঙিন, উচ্ছ্বল আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতো। তপুর চোখে মিলি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ। কিন্তু মিলি জানত না যে তার এই ভাইটি কতটা গভীর ভাবে তাকে ভালোবাসে। মিলি একদিন তপুকে বলল, "ভাইয়া, আমি একটা নতুন বিজনেস শুরু করতে চাই। কিন্তু আমার কাছে টাকা নেই।"
তপু কিছু বলল না। সে শুধু হাসল। সেই রাতে সে নিজের একমাত্র সম্বল, তার মা-বাবার দেওয়া পুরনো ঘড়িটা বিক্রি করে দিল।
সেই ঘড়িটার সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু মিলির স্বপ্ন পূরণের চেয়ে সেই স্মৃতির মূল্য কম মনে হল তার কাছে।
মিলি জানত না যে এই টাকা কোথা থেকে এসেছে। সে শুধু দেখল তার ভাইটি সবসময় তার পাশে আছে। কয়েক বছর পর মিলির বিজনেস সফল হলো। সে এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। তার চারপাশে অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, আর ভালো লাগার মানুষ।
এক সন্ধ্যায় মিলি তার কিছু বন্ধুকে নিয়ে তপুর বাড়িতে এলো। বন্ধুদের সামনে তপুকে দেখে মিলি বলল, "ইনি আমার বড় ভাই। আমার থেকে অনেক বড়, তাই একটু সেকেলে।"
তপুর বন্ধুরা হাসল। তপু হাসল না। তার কাছে মিলির এই কথাগুলো ছুরির মতো বিঁধল। কিন্তু সে কিছু বলল না। সে শুধু হাসল।
তার কাছে মিলির হাসিমুখটাই সব। এক রাতে মিলি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল। হাসপাতালে ডাক্তার জানাল মিলির রক্তের প্রয়োজন। তপুর রক্তের গ্রুপ মিলির সঙ্গে মিলে গেল। তপু একবিন্দু দ্বিধা না করে রক্ত দিতে রাজি হয়ে গেল।
রক্ত দেওয়ার পর তপুর শরীর খুব দুর্বল হয়ে গেল। সে বাড়ি ফিরে চুপচাপ শুয়ে রইল। যখন মিলির জ্ঞান ফিরল, সে জানতে পারল তার ভাইটি তাকে রক্ত দিয়েছে। তার চোখে জল এলো।
সে তপুর কাছে ছুটে গেল। মিলি বলল, "ভাইয়া, তুমি কেন এমনটা করলে? আমাকে কেন বলোনি তোমার কতটা কষ্ট হয়েছে?" তপু কিছু বলল না, সে শুধু হাসল।
তার সেই হাসিটা ছিল এক "বিশ্রী রকমের ভালোবাসা"।
যেখানে ভালোবাসার কোনো শর্ত ছিল না, কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। ছিল শুধু নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ।
মিলি হয়তো কখনও তপুর সেই ভালোবাসা বুঝতে পারেনি, অথবা বুঝতে চাইনি।
কিন্তু তপু জানত, তার ভালোবাসার গল্পটা পৃথিবীর অন্য সব গল্পের চেয়ে আলাদা, কারণ এর মাঝে কোনো সৌন্দর্য ছিল না, ছিল শুধু চরম সত্য।

ভালোবাসার সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া – এখানে রোমান্টিক সৌন্দর্য নেই, আছে ভাইয়ের ভালোবাসার ত্যাগ।

21/09/2025

#ভাইরাল #ট্রেন্ডিং #বাংলাভাইরাল #বাংলাট্রেন্ড #বাংলাফেসবুক

21/09/2025

এক অচেনা বনফুলের গল্প,

ছোট্ট মেয়ে তিথির পৃথিবীটা ছিল তার বাড়ির পিছনের বাগান আর সেখানে ফুটে থাকা ফুলগুলোকে ঘিরে। তার প্রিয় ফুল ছিল কাঠগোলাপ, জুঁই, আর গাঁদা। কিন্তু তিথির মনে একটা গোপন ইচ্ছে ছিল, সে এমন একটা ফুল দেখতে চায় যা কেউ কখনো দেখেনি, কোনো বইয়ে যার ছবি নেই। তার দাদু এই ইচ্ছেটার কথা জানতেন। দাদু ছিলেন একজন অভিজ্ঞ উদ্ভিদবিদ। তিনি তিথিকে প্রায়ই বলতেন, “পৃথিবীতে এমন অনেক সুন্দর ফুল আছে, যাদের খোঁজ এখনো মানুষের কাছে অজানা।”
এক গ্রীষ্মের দুপুরে, দাদু তিথিকে নিয়ে হাঁটতে বের হলেন। তারা গ্রামের সীমা পেরিয়ে বনের দিকে চললেন। তিথি কিছুটা অবাক হয়ে দাদুকে জিজ্ঞেস করল, “দাদু, আমরা কোথায় যাচ্ছি?”
দাদু হাসে বললেন, “এক অজানা ফুলের সন্ধানে, যা দেখতে অনেকটা তোমার স্বপ্নের মতো।”
বনের মধ্যে যত গভীরে যেতে লাগল, ততই গাছের ছায়া ঘন হতে থাকল। পাখির কিচিরমিচির আর ঝিঁঝির ডাকে চারিদিকে এক অদ্ভুত শান্তি। হাঁটতে হাঁটতে একসময় তারা একটি ছোট ঝরনার পাশে পৌঁছালেন। সেখানেই, ঝরনার পাশে একটি বিশাল শিলার উপরে, তিথি দেখল তার স্বপ্নের ফুল।
ফুলটি ছিল ছোট, তার পাপড়িগুলো ঠিক যেন আকাশের রঙে আঁকা – একদিকে হালকা নীল, আরেকদিকে হালকা গোলাপি। মাঝখানে ছোট্ট একটা হলুদ বিন্দু, যা থেকে স্নিগ্ধ আলো ঠিকরে আসছিল। ফুলের পাপড়িগুলো এমনভাবে সাজানো ছিল যে মনে হচ্ছিল যেন একটি ছোট তাঁরা মাটিতে নেমে এসেছে।
তিথি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল। এই ফুলটা তার পরিচিত কোনো ফুলের মতো ছিল না। তিথি তার দাদুকে বলল, “দাদু, এই ফুলটার নাম কী?”
দাদু বললেন, “এর কোনো নাম নেই। এটা হলো এক বুনো ফুল, প্রকৃতির এক গোপন উপহার। হয়তো এই ফুলটি শুধু আমাদের জন্যই ফুটেছে।”
তিথি সাবধানে হাত বাড়াল ফুলটাকে স্পর্শ করার জন্য। কিন্তু দাদু তাকে থামালেন, “কিছু সুন্দর জিনিস দূর থেকেই দেখতে হয়। তার সৌন্দর্য তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সে তার নিজস্ব জায়গায় ফোটে। এই ফুলটি এখানে সুন্দর, কারণ এখানেই এর স্থান।”
তিথি বুঝল, সব সৌন্দর্যের মালিকানা দরকার হয় না। কিছু সৌন্দর্য শুধু অনুভব করতে হয়। সে আর ফুলটি ছিঁড়ল না, শুধু তার ছবি মনে গেঁথে নিল। এরপর থেকে যখনই সে বনের কথা ভাবত, তখনই তার মনে ভেসে উঠত সেই অজানা বনফুলের ছবি, যা তাকে শিখিয়েছিল যে সত্যিকারের সৌন্দর্য প্রকৃতির নিজস্ব সম্পদ।

প্রকৃতির রহস্যময়তা – অজানা ফুলের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে "প্রকৃতি এখনো অগণিত গোপন রত্ন ধরে রেখেছে।"

20/09/2025
18/09/2025

সতর্কতা

অতিরিক্ত তেতুল খেলে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের রোগীদের সাবধানে খাওয়া উচিত।

অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।

17/09/2025

মেহেদীর ছায়ায় স্মৃতি

একটা ছোট্ট গ্রামে ছিল রহিমা খালা। তাঁর উঠোনের কোণে দাঁড়িয়ে ছিল একটা পুরনো মেহেদী গাছ। গাছটা তাঁর কাছে শুধু একটা গাছ ছিল না—ছিল অনেক স্মৃতির ভাণ্ডার।

শিশুকালে যখন তিনি বন্ধুদের সাথে খেলতেন, তখন গাছের পাতাগুলো ছিঁড়ে হাতে বেটে লাগাতেন। সেদিনকার ছোট্ট খুশির আঁচড়গুলো যেন পাতার সবুজ রঙেই আটকে থাকত।

বিয়ের দিন সন্ধ্যায়, রহিমা খালা প্রথমবার মেহেদী গাছের পাতাই বেটে হাতে দিয়েছিলেন। হাতভর্তি লাল রঙ যেন নতুন জীবনের প্রতীক ছিল। তাঁর হাসি, তাঁর চোখের লাজুক দৃষ্টি—সব মিলিয়ে গাছটা সেদিন ছিল নীরব সাক্ষী।

বছর গড়িয়ে গেল। স্বামী চলে গেলেন দূর দেশে, তারপর একদিন পৃথিবী থেকেও বিদায় নিলেন। সেই দুঃখের দিনেও রহিমা খালা গাছটার পাশে বসে কেঁদেছিলেন। যেন গাছটাই তাঁর বুকে মাথা রেখে বলেছিল—“আমি আছি, তুমি একা নও।”

আজও গাছটা ঠিকই আছে, ছায়া দেয়, পাতার গন্ধে সান্ত্বনা দেয়। মাঝে মাঝে তিনি পাতা ছিঁড়ে নাতনিদের হাতে রঙ করেন। তখন তিনি চুপচাপ হাসেন—কারণ জানেন, মেহেদীর রঙ যেমন মুছে যায় না সহজে, তেমনি মানুষের জীবনের ভালবাসা আর স্মৃতিও কখনো মুছে যায় না।

👉 এই গল্পের মাধ্যমে বোঝানো হলো—

মেহেদী গাছ শুধু সৌন্দর্য দেয় না, হৃদয়ে স্মৃতির ছাপ রাখে।

এর পাতা যেমন রঙে ভরিয়ে তোলে হাত, তেমনি মানুষের জীবনে এনে দেয় সম্পর্ক আর আবেগের ছোঁয়া।

15/09/2025

অর্জুন গাছের ছায়ায় শিক্ষা,===========

একদিন গ্রামের স্কুলে ক্লাস চলছিল। দুপুরের রোদ ছিল তীব্র। শিক্ষক রামঠাকুর ছাত্রদের নিয়ে স্কুলের উঠোনের বড় অর্জুন গাছটার নিচে বসে পড়লেন।

রামঠাকুর স্নেহভরে বললেন,
— “বাচ্চারা, তোমরা জানো, এই অর্জুন গাছ শুধু ছায়াই দেয় না, মানুষের জন্য অনেক উপকারও করে।”

ছাত্রীরা কৌতূহলভরে তাকিয়ে রইল। একজন জিজ্ঞেস করল,
— “স্যার, গাছ তো সবাই উপকার করে, কিন্তু অর্জুন গাছের আলাদা উপকার কী?”

রামঠাকুর হাসলেন। তিনি হাত দিয়ে গাছের কাণ্ড ছুঁয়ে বললেন,
— “অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি ওষুধ হৃদরোগের জন্য খুব উপকারী। যাদের বুক ধড়ফড় করে বা হার্ট দুর্বল, তারা এই ছাল সেদ্ধ করে খেলে আরাম পায়।”

আরেকজন ছাত্র বলল,
— “স্যার, আর কোনো কাজ আছে?”

শিক্ষক মাথা নেড়ে বললেন,
— “হ্যাঁ, এর ছাল রক্ত পরিষ্কার করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আবার দাঁতের ব্যথা হলে অর্জুনের ডাল চিবানো যায়। এমনকি এর ছায়ায় বসলে মনও শান্ত হয়।”

ছাত্ররা অবাক হয়ে শুনল। তারা আগে জানত না, একটি গাছ এত উপকার করতে পারে।

শেষে রামঠাকুর বললেন,
— “এই গাছকে শুধু বড় ওষুধের ভাণ্ডার নয়, বরং আমাদের প্রকৃত বন্ধু ভাবতে হবে। তাই গাছ কাটা নয়, বরং লাগাতে হবে।”

সবাই একসাথে প্রতিজ্ঞা করল,
— “আমরা অন্তত একটি করে অর্জুন গাছ লাগাবো।”

বিকেলে ক্লাস শেষ হলে ছাত্ররা গাছটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবল— আজকের শিক্ষা সত্যিই মূল্যবান।

13/09/2025

পদ্মফুলের গল্প 🌸

এক ছিল ছোট্ট এক গ্রাম। গ্রামের পাশেই ছিল এক বিশাল পুকুর। সেই পুকুরে বছরের পর বছর ধরে ফুটত অসংখ্য পদ্মফুল। সকালে সূর্যের আলো পড়তেই সাদা, গোলাপি আর লাল পদ্মফুলগুলো যেন হাসিমুখে জেগে উঠত। গ্রামের মানুষরা দূর দূরান্ত থেকে এসে পদ্মফুল দেখত, কেউ কেউ পূজার জন্য তুলত, আবার অনেকেই শুধু পুকুরপাড়ে বসে তার সৌন্দর্য উপভোগ করত।

কিন্তু একদিন ভয়ানক ঝড় উঠল। ঝড়ে অনেক ফুল ভেসে গেল, অনেক কচি কুঁড়িও মরে গেল। পুকুরপাড়ের শিশুরা কাঁদতে লাগল—“আমাদের প্রিয় পদ্মফুলগুলো আর নেই।”

সেই সময় পুকুরের গভীরে একটা ছোট্ট কুঁড়ি পদ্মফুল মাথা তুলে দাঁড়াল। সে ভাবল—
“ঝড় আসবে, বৃষ্টি হবে, সবকিছু নষ্ট হতে পারে। কিন্তু আমি যদি হাল না ছাড়ি, তবে আবার ফুটব। গ্রামের মানুষকে আবার খুশি দেব।”

দিন কেটে গেল। বৃষ্টির জল নামল, আকাশ পরিষ্কার হল। আর এক সকালে সবাই অবাক হয়ে দেখল—পুকুরের মাঝখানে একেবারে নতুন করে ফুটে উঠেছে সেই ছোট্ট কুঁড়ি পদ্ম। তার রঙ এত সুন্দর, সুগন্ধ এত মিষ্টি যে, গ্রামের সবাই নতুন করে আনন্দে ভরে উঠল।

গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা বলল—
“দেখো, পদ্মফুল আমাদের শিখিয়ে দিল—কষ্ট যতই আসুক, যদি আমরা সাহস না হারাই, তবে আবার সুন্দরভাবে ফুটতে পারি।”

এরপর থেকে গ্রামবাসী পদ্মফুলকে শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, ধৈর্য ও আশার প্রতীক হিসেবে মনে রাখতে শুরু করল।

🌸 নৈতিকতা: জীবনে ঝড় আসবেই, কিন্তু পদ্মফুলের মতো সাহসী হলে আবারও নতুন করে ফুটে ওঠা যায়।

Address

Sreepur
Gazipur
1740.

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BanglaFlix A posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share