09/02/2025
আপনার নিজের জন্য কি ছয়টা মাস সময় হবে?
একবার ভেবে দেখুন। শুধু ছয় মাস। খুব বেশি না।
এই ছয় মাসে নিজের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য সময় দিবেন।
কী করবেন এই সময়ে? নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন, নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলবেন।
আমরা প্রায়ই বলি, “সময় পাই না।” কিন্তু সত্যি কি পাই না, নাকি সময়টা এমন কাজে নষ্ট করি, যেগুলো থেকে আমাদের জীবনে কিছুই যোগ হয় না?
ফালতু আড্ডা, অর্থহীন দুশ্চিন্তা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রল করা—এসব বাদ দিলে দেখবেন, আপনার হাতে কত সময় পড়ে থাকে।
চলুন, ছয় মাসের জন্য একটা নতুন পরিকল্পনা করি। এই পরিকল্পনা যদি মেনে চলতে পারেন, ছয় মাস পরে আপনার জীবন একেবারে অন্য রকম হয়ে যাবে।
১. ফালতু আড্ডাকে ‘না’ বলুন।
বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, “চল, টো টো করে ঘুরি, আড্ডা দিই।” আপনি জানেন, সেই আড্ডা থেকে কোনো কাজের কথা উঠবে না, শুধু সময় নষ্ট। এখন কী করবেন?
বিনয়ের সঙ্গে বলুন, “না রে ভাই, আজ পারব না।” প্রথমে কঠিন লাগবে, কিন্তু একবার চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিবার না বলার পর যখন দেখবেন আপনার সময়টা সৃজনশীল কাজে যাচ্ছে, তখন গর্ব অনুভব করবেন।
২. নিজের স্বপ্নটাকে গুরুত্ব দিন।
আপনার কোনো স্বপ্ন আছে, তাই না? হয়তো একটা বই লেখা, নতুন কোনো স্কিল শেখা, বা একটা ব্যবসা শুরু করা। কিন্তু দিনের শেষে সময় আর এনার্জি না থাকায় সেটাকে দমিয়ে রাখেন। এবার সেই স্বপ্নের দিকে সময় দিন।
ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিদিন কাজ করুন। ছয় মাস পরে যখন দেখবেন, আপনার কাজ এগিয়ে গেছে, তখন নিজেকে ধন্যবাদ দিবেন।
৩. যে পরিবেশ আপনাকে গ্রো করতে দেয় না তা থেকে বের হয়ে আসুন।
আপনার আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা সবসময় শুধু নেগেটিভ কথা বলে, আপনাকে হতাশ করে? কিংবা এমন পরিবেশ যেখানে বসে শুধু সময় নষ্ট হয়?
এই ছয় মাসের জন্য তাদের থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে এমন মানুষের সঙ্গে যুক্ত করুন, যারা আপনাকে উৎসাহ দেয়, অনুপ্রাণিত করে।
৪. দৈনন্দিন কাজগুলো গুছিয়ে নিন।
দিনের কাজগুলোর একটা তালিকা করুন। সকালে উঠে ভাবুন, “আজ কী কী করব?” আর সেটা সময়মতো শেষ করুন।
রাতের শেষে যখন দেখবেন, আপনার সব কাজ শেষ হয়েছে, তখন একটা আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। আর সেই আত্মবিশ্বাস আপনাকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫. নিজের শরীরের যত্ন নিন।
এটা খুব জরুরি। আপনার শরীর যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে কোনো কাজই এগোবে না। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা