
27/06/2024
পিচ্চি বউ
১০ম পর্ব
কথাটা শুনে যেন আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে গেলো।রাত্রি ছেলেটার হাত ধরে চলে গেলো এমন সময় ফারহা আমার সামনে চলে এলো।
-কি বিশ্বাস হলো তো আমার কথা??
-,,,,,,,,
-চুপপ করে আছো কেন??
-আমার ভালো লাগছে না।আমি বাসায় গেলাম।
একথা বলে সেখান থেকে বাসায় চলে এলাম বড্ড খারাপ লাগছিলো বারবার কথা গুলো মনে পড়ছিলো।না চাইতেও চোখের কোনে পানি চলে এলো।
সন্ধ্যা লেগে গেছে রাত্রি এখনো আসেনি খুব চিন্তা হচ্ছিলো ওর জন্য।একটু পরেই রাত্রি চলে এলো।আমি চুপচাপ বসে আছি জানিনা রাত্রি কি বলে।আমি আর চিন্তা না করে চুপচাপ শুয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
-ভাইয়া উঠো আর কতো ঘুমাবে সকাল হয়ে গেছে তো??
-যা তো কাল বিকেলে কারো হাত ধরে হাঠছো।.
-কি আমার নামে এসব দাড়া মজা বোঝাচ্ছি আমি।
পিচ্চিটা পানি এনে ঢেলে দেয়।হঠাৎ পানি দেওয়ায় আমি লাফিয়ে উঠি।
-পানি দিলে কেন??
-ওঠো না কেন তুমি হ্যা।
-কেন উঠবো কাল যে তুই অন্য ছেলের হাত ধরে ঘুরলি??
-কিহহ আমার নামে এতো মিথ্যা?
-তো কি।
আচ্ছা আম্মুকে ফোন দিয়ে শুনো যে আমি সত্যি বলছি নাকি মিথ্যা।আমি সত্য যাচাইয়ের জন্য ওর৷বাসায় ফোন দিলাম ওর আম্মু ধরলো।
-আসসালামু ওয়ালাইকুম আম্মু।
-হুমম বাবা বলো কি বলবে??
-রাত্রি কাল আপনার ওখানে ছিলো??
-হ্যা সারাদিন আমার ওখানেই ছিলো।
এটা শুনে আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।আমি ফোন কেটে দিই।
-শুনলে তো কি বললো?
-হুমম।
-হুমম আমি রান্না শিখবো গেলাম।
-হুমম।
রাত্রি চলে গেলো আমি বসে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম কি হলো তাহলে নাকি স্বপ্ন ছিলো এগুলা।এর মধ্যে ফারহা ফোন দিলো কিন্তু আমি রিসিভ করলাম না।
-সোহান তুমি আমার ফোন ধরলে না আমি আগুন লাগিয়ে দিবো দেখো তোমায় আমি নিজের করবোই দেখো শুধু এবার এই ফারহা কি করতে পারে।(ফোনের ওপাশ থেকে)
বিভিন্ন কথা মাথায় আসছে আমার এমন সময় রান্না ঘর থেকে একটা চিৎকারের শব্দ ভালো করে শুনে দেখলাম সেটা রাত্রির দৌড়ে চলে গেলাম ওর কাছে।দেখি হাত কেটে বসে আছে।
দৌড়ি গিয়ে হাতটা মুখে নিয়ে নিলাম রাত্রি বাচ্চাদের মতো লাফালাফি শুরু করে দিলো।হাত মুখ থেকে বের করে ওকে টেনে রুমে নিয়ে বসালাম।কিট নিয়ে এসে ওর হাতে লাগাতে লাগলাম।অনেকখানি কেটেছে।
-কিভাবে কাটলো??
-সবজি কাটতে গিয়ে।
-মন কোথায় ছিলো।
-তোমার দিকে।
-আমার দিকে কেন??
-তুমি বকো তাই সেগুলা ভাবছিলাম আর কেটে গেছে।
-রান্না ঘরে গেলে থাপড়াইয়া তোর দাত সব ফালাই দিবো পারিস না যেটা সেটা করিস কেন??
-আর যাবোনা।
-হুমম লক্ষী মেয়ে এবার চুপচাপ রেস্ট নে।
রাতের বেলা সবাই ঘুমিয়ে আছে আমার ঘুম আসছে না।কেন যে চোখের ঘুম শেষ হয়ে গেলো বুঝতে পারছি না।শুধু রাত্রির আর ওই ছেলের হাত ধরে ঘোরার কথা মনে পড়ছে।হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি ফারহা ফোন দিয়েছে।
ফোনটা নিয়ে বেলকুনিতে গিয়ে দাড়ালাম।বাহিরে শীতল বাতাস বইছে ভালো লাগছে।
-কি করো সোনা।
-এই তো বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি।
-একা??
-হুমম তুমি কি করো?
-আমি শুয়ে আছে।আমি আসবো??
-কেন??
-তোমার সাথে সময় কাটাতাম তাই।
-হুমম ভালো।
-একটা চুমু দাও না।
-না।
-না দিলে আমার ক্ষতি করে ফেলবো।
-দিচ্ছি দিচ্ছি।
এই বলে ফারহা কিসস করলাম এমন সময় পেছনে তাকিয়ে দেখি রাত্রি দাড়িয়ে।হুড়মুড় করে ফোন কেটে দিলাম।
-এএকি ত.,,,তুই??
-হুমম আমি কিন্তু তুমি তেতলাচ্ছো কেন??
-কাউকে না।
-তাহলে কাকে চুৃমু দিলে?
-আরে ওর নাকি হাতে ব্যাথা করছিলো তাই চুমু দিয়ো ব্যাথা সাড়িয়ে দিলাম যা ঘুমা আমিও ঘুমাবো।
সেখান থেকে চলে গেলাম।এদিকে রাত্রি দাড়িয়ে ভাবছে চুমু খেলে ব্যাথা সেরে যায় ভালোই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পিচ্চি নেই।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ফারহা আর ফোন দেয়নি ফোনের লোল খুলতেই আমার চোখ ছানাবরা হয়ে গেলো লাফিয়ে উঠলাম নিজের চোখেও বিশ্বাস হচ্ছে না এমন টা করবে কেউ,,,,,,,,,
চলবে????
খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।
′গল্প টা ভালো লাগলে
পেজটা আপনার
বন্ধুদের মাজে শেয়ার করে দিয়েন।।