Zidan Ahmed

Zidan Ahmed ভালোবাসা অবিরাম

পিচ্চি বউ ১০ম পর্বকথাটা শুনে যেন আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে গেলো।রাত্রি ছেলেটার হাত ধরে চলে গেলো এমন সময় ফারহা আমার সা...
27/06/2024

পিচ্চি বউ

১০ম পর্ব

কথাটা শুনে যেন আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে গেলো।রাত্রি ছেলেটার হাত ধরে চলে গেলো এমন সময় ফারহা আমার সামনে চলে এলো।
-কি বিশ্বাস হলো তো আমার কথা??
-,,,,,,,,
-চুপপ করে আছো কেন??
-আমার ভালো লাগছে না।আমি বাসায় গেলাম।
একথা বলে সেখান থেকে বাসায় চলে এলাম বড্ড খারাপ লাগছিলো বারবার কথা গুলো মনে পড়ছিলো।না চাইতেও চোখের কোনে পানি চলে এলো।
সন্ধ্যা লেগে গেছে রাত্রি এখনো আসেনি খুব চিন্তা হচ্ছিলো ওর জন্য।একটু পরেই রাত্রি চলে এলো।আমি চুপচাপ বসে আছি জানিনা রাত্রি কি বলে।আমি আর চিন্তা না করে চুপচাপ শুয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
-ভাইয়া উঠো আর কতো ঘুমাবে সকাল হয়ে গেছে তো??
-যা তো কাল বিকেলে কারো হাত ধরে হাঠছো।.
-কি আমার নামে এসব দাড়া মজা বোঝাচ্ছি আমি।
পিচ্চিটা পানি এনে ঢেলে দেয়।হঠাৎ পানি দেওয়ায় আমি লাফিয়ে উঠি।
-পানি দিলে কেন??
-ওঠো না কেন তুমি হ্যা।
-কেন উঠবো কাল যে তুই অন্য ছেলের হাত ধরে ঘুরলি??
-কিহহ আমার নামে এতো মিথ্যা?
-তো কি।
আচ্ছা আম্মুকে ফোন দিয়ে শুনো যে আমি সত্যি বলছি নাকি মিথ্যা।আমি সত্য যাচাইয়ের জন্য ওর৷বাসায় ফোন দিলাম ওর আম্মু ধরলো।
-আসসালামু ওয়ালাইকুম আম্মু।
-হুমম বাবা বলো কি বলবে??
-রাত্রি কাল আপনার ওখানে ছিলো??
-হ্যা সারাদিন আমার ওখানেই ছিলো।
এটা শুনে আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।আমি ফোন কেটে দিই।
-শুনলে তো কি বললো?
-হুমম।
-হুমম আমি রান্না শিখবো গেলাম।
-হুমম।
রাত্রি চলে গেলো আমি বসে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম কি হলো তাহলে নাকি স্বপ্ন ছিলো এগুলা।এর মধ্যে ফারহা ফোন দিলো কিন্তু আমি রিসিভ করলাম না।
-সোহান তুমি আমার ফোন ধরলে না আমি আগুন লাগিয়ে দিবো দেখো তোমায় আমি নিজের করবোই দেখো শুধু এবার এই ফারহা কি করতে পারে।(ফোনের ওপাশ থেকে)
বিভিন্ন কথা মাথায় আসছে আমার এমন সময় রান্না ঘর থেকে একটা চিৎকারের শব্দ ভালো করে শুনে দেখলাম সেটা রাত্রির দৌড়ে চলে গেলাম ওর কাছে।দেখি হাত কেটে বসে আছে।
দৌড়ি গিয়ে হাতটা মুখে নিয়ে নিলাম রাত্রি বাচ্চাদের মতো লাফালাফি শুরু করে দিলো।হাত মুখ থেকে বের করে ওকে টেনে রুমে নিয়ে বসালাম।কিট নিয়ে এসে ওর হাতে লাগাতে লাগলাম।অনেকখানি কেটেছে।
-কিভাবে কাটলো??
-সবজি কাটতে গিয়ে।
-মন কোথায় ছিলো।
-তোমার দিকে।
-আমার দিকে কেন??
-তুমি বকো তাই সেগুলা ভাবছিলাম আর কেটে গেছে।
-রান্না ঘরে গেলে থাপড়াইয়া তোর দাত সব ফালাই দিবো পারিস না যেটা সেটা করিস কেন??
-আর যাবোনা।
-হুমম লক্ষী মেয়ে এবার চুপচাপ রেস্ট নে।
রাতের বেলা সবাই ঘুমিয়ে আছে আমার ঘুম আসছে না।কেন যে চোখের ঘুম শেষ হয়ে গেলো বুঝতে পারছি না।শুধু রাত্রির আর ওই ছেলের হাত ধরে ঘোরার কথা মনে পড়ছে।হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি ফারহা ফোন দিয়েছে।
ফোনটা নিয়ে বেলকুনিতে গিয়ে দাড়ালাম।বাহিরে শীতল বাতাস বইছে ভালো লাগছে।
-কি করো সোনা।
-এই তো বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি।
-একা??
-হুমম তুমি কি করো?
-আমি শুয়ে আছে।আমি আসবো??
-কেন??
-তোমার সাথে সময় কাটাতাম তাই।
-হুমম ভালো।
-একটা চুমু দাও না।
-না।
-না দিলে আমার ক্ষতি করে ফেলবো।
-দিচ্ছি দিচ্ছি।
এই বলে ফারহা কিসস করলাম এমন সময় পেছনে তাকিয়ে দেখি রাত্রি দাড়িয়ে।হুড়মুড় করে ফোন কেটে দিলাম।
-এএকি ত.,,,তুই??
-হুমম আমি কিন্তু তুমি তেতলাচ্ছো কেন??
-কাউকে না।
-তাহলে কাকে চুৃমু দিলে?
-আরে ওর নাকি হাতে ব্যাথা করছিলো তাই চুমু দিয়ো ব্যাথা সাড়িয়ে দিলাম যা ঘুমা আমিও ঘুমাবো।
সেখান থেকে চলে গেলাম।এদিকে রাত্রি দাড়িয়ে ভাবছে চুমু খেলে ব্যাথা সেরে যায় ভালোই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পিচ্চি নেই।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ফারহা আর ফোন দেয়নি ফোনের লোল খুলতেই আমার চোখ ছানাবরা হয়ে গেলো লাফিয়ে উঠলাম নিজের চোখেও বিশ্বাস হচ্ছে না এমন টা করবে কেউ,,,,,,,,,

চলবে????

খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।

′গল্প টা ভালো লাগলে
পেজটা আপনার
বন্ধুদের মাজে শেয়ার করে দিয়েন।।

পিচ্চি বউ ৯ম পর্বকিস করলো আমার গালে পুরাই শকড আমি।আমাদের এমন দেখে রাত্রি রাস্তার দিকে দৌড় দিলো আমি ফারহাকে ছেড়ে রাত্রি ব...
25/06/2024

পিচ্চি বউ
৯ম পর্ব

কিস করলো আমার গালে পুরাই শকড আমি।আমাদের এমন দেখে রাত্রি রাস্তার দিকে দৌড় দিলো আমি ফারহাকে ছেড়ে রাত্রি বলে ডাক দিলাম এমন সময় একটা গাড়ি চলে এলো।আমি চিৎকারটা দিয়ে মাটিতে বসে পড়লাম আমি ভেবেছি হয়তো রাত্রি মারা গেছে।
বসে বসে মাথা নিচু করে কান্না করছি ফারহা অবাক হয়ে সব দেখছে যে আসলে কি ঘটছে এখানে।আমি বসে আছি এমন সময় আমার সামনে কেউ এসে দাড়ায়।আমি কাদতে কাদতে তার মুখের দিকে চেয়ে দেখতে চাইলাম আসলে কে সে।
মুখের দিকে তাকতে বসা থেকে উঠে পড়লাম।কেননা মেয়েটা আর কেউ না রাত্রি।ওকে দেখে এতো খুশি হলাম যে ওকে জড়িয়ে ধরে ওর পুরে গালে চুমুতে ভরিয়ে দিলাম।
-ভাইয়া থামেন থামেন এমন করছেন কেন??কাদছেন কেন??
আমি এবার রেগে রাত্রির গালে ঠাশশশশ করে চড় মেরে দিলাম।রাত্রি চর খেয়ে কাদতে লাগলো।
-ভাইয়া তুমি পচা আমায় মারো।
-তাহলে তুই ওভাবে দৌড়ে গেলি কেন কিছু যদি হয়ে যেতো??
-আরে আমি তো ফুল আনতে গেছিলাম ওই পাশে তাকিয়ে দেখো ফুল বিক্রি করছে।
আমি অণ্যপাশে তাকিয়ে দেখলাম সত্যি তাই।এমন সময় ফারহা আমাকে কিছু প্রশ্ন করলো।
-সোহান এই মেয়েটা কি তোমার বোন??
-না এই আমার বউ।
-কিহহহহহহ??
-হ্যা।
-কিন্তু ও তো পিচ্চি।
-জানিনা আম্মু সব ঠিক করেছে।
-আচ্ছা ভাইয়া এই আপুটা তোমায় এতো আদর করে??
-আদর মানে??
-এই যে তোমায় জড়িয়ে ধরে তোমার গালে চুমু খেলো এটা তো আদরই।
-তাহলে তুই রাগ করে দৌড় দিস নাই??
-না তো আমি তো ফুলের জন্য দৌড় দিছি।
এরপর আমি আর কি করবো বলেন পিচ্চি একদমই পিচ্চি।ফারহাকে বিদায় বলে রাত্রিকে নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
অন্যদিকে ফারহা কিছু ভাবছে মনে মনে।
-বাহহ এই মেয়েটা সোহানের বউ যে কিনা কিছুই জানেনা ওকে তো আমি এক তুড়িতে সোহানের জীবন থেকে সড়িয়ে দিয়ে আমি ওর জীবনে যাবো সোহান শুধু আমারি আমারি আমারি।
একথা বলে ফারহা ভিলেন হাসি দেয়।তারপর বাসায় ফিরে যায়।মাঝরাতে সবাই ঘুমিয়ে পরেছে আমি বেলকনিতে দাড়িয়ে আছি এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে তাকিয়ে দেখি ফারহা ফোন দিয়েছে।
-কি করে আমার সোনাটা।
-এই তো দাড়িয়ে আছি তুমি??
-আমি তো শুয়ে শুধু তোমার কথাই ভাবছি।
-তুমি আমার উপর রেগে নউ??
-তোমায় ভালোবাসি আমি তোমার উপর রেগে থাকতে পারি বলো?
-সত্যি??
-আরে হ্যা সত্যি।
-হুমম।আমার না প্রচুর ঘুম ধরছে কি করবো??
-ঘুমিয়ে পড়ো।
-রাগ করবে না তো??
-রাগ করবো কেন হ্যা।ঘুমাও যাও।
-ঠিক আছে।
এরপর আর কোনো কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।দুদিন পর ফোন টিপছি এমন সময় চিৎকার করতে করতে রাত্রি পেছন থেকে আমায় জড়িয়ে ধরলো।আমি ওমনি ঘুরে দাড়ালাম।
-কি হয়েছে??
-তেলাপোকা।
-হায় আল্লাহ তাই বলে এতো জোরে চিৎকার করতে হবে ও কি তোকে খেয়ে ফেলবে??
-না সেটা না কেমন করে যেন হাঠে ভয় লাগে।
-হুমম যা এখন।
বিকেলের দিকে শুয়ে আছি এমন সময় রাত্রি আমার সামনে এসে দাড়ালো।
-কি হয়েছে??
-ভাইয়া আমার বান্ধবির বাসায় যাবো।
-যা আর আম্মুকে বলে যাস।
-ঠিক আছে।
একথা বলে রাত্রি চলে গেলো আমি আমার মতো শুয়ে রইলাম।এভাবে কয়েকদিন চলে গেলো এই কদিনে ফারহা প্রতিদিন আমার কাছে এসে আমার সাথে সময় কাটিয়েছে।এমনকি আমার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ থেকেছে কিন্তু রাত্রি পিচ্চি তাই এগুলো কিছু বোঝেনি।আর প্রতিদিন রাত্রি বিকেলে কোথাও না কোথাও যায়।একদিন বিকেলে শুয়ে আছে এমন সময় রাত্রি এসে আমায় ডাক দেয়।
-কি হয়েছে ঘুম ভাঙ্গালি কেন??
-এক জায়গায় যাবো।
-কোথায়??
-আম্মুর ওখানে।
-আম্মুকে বলে যা।
-ঠিক আছে।
রাত্রি চলে গেলো আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নিলাম।খেয়ে রুমে আসতেই ফোন বেজে উঠলো দেখলাম ফারহা ফোন দিয়েছে।
-কি করো??
-খেয়ে রুমে আসলাম আর ফোন দিছো।
-তোমার বউ কোথায়??
-ওর আম্মুর ওখানে গেছে।
-হাহাহা তোমার বউ পিচ্চি তাই না??
-হ্যা কেন??
-দেখ তোমার বউ পার্কে কারো কাধে মাথা রেখে নতুন স্বপ্ন দেখছে।
-আমার বিশ্বাস হয়না।
-গিয়ে দেখো।
ফারহার কথা মতো আমি পার্কে গিয়ে থ হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম রাত্রি কারো কাধে মাথা রেখে বসে আছে।খুব রাগ হলো গিয়ে ঠাশশশশ করে চড় মারলাম রাত্রিকে।
-ছি তুই এভাবে আরেকটা ছেলের সাথে??
-ওহহ এখন আরেকটা ছেলের সাথে তুমি যে অন্য মেয়ের সাথে কতো ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকো তখন??
কথাটা শুনে যেন আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে গেলো।রাত্রি ছেলেটার হাত ধরে চলে গেলো এমন সময়,,,,,,,

চলবে???

খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।

পিচ্চি বউ ৮ম পর্বপিচ্চিটা চলে গেলো আমি কলেজে চলে গেলাম।কলেজে যেতে ফোন দিয়ে শুনে নিলাম সে ক্যাম্পাসে আছে।আমিও ক্যাম্পাসে ...
23/06/2024

পিচ্চি বউ

৮ম পর্ব

পিচ্চিটা চলে গেলো আমি কলেজে চলে গেলাম।কলেজে যেতে ফোন দিয়ে শুনে নিলাম সে ক্যাম্পাসে আছে।আমিও ক্যাম্পাসে যেতে ফারহা কে দেখে ৪০০০ ভোল্টেজ এর শক খেলাম।কেননা মেয়েটা আর কেউ না রাহা।যে কিনা আমার সাথেই এতোদিন ছিলো যাকে চিনতেই পারিনি।
-রাহা তুমি??
-হ্যা আমিই তোমার ফারা আমিই তোমার রাহা।
আমি শুনে হা হয়ে দাড়িয়ে রইলাম এখন বুঝতে পারলাম কেন রাহা আমার সাথে ওরকম করতো।
আমি দাড়িয়ে এগুলো ভবছি এমন সময় ফারা বা রাহা যেটাই হোক দৌড়ে এসে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।কিন্তু আমি পারলাম না তা করতে কেননা এখন আমি অন্য কারো।
-কি হলো আমায় কাছে টানছো না কেন??
আমি ফারাকে ছাড়িয়ে দিলাম ফারা অবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলো ওর চোখের কোনে চিকচিক করছে এই বুঝি সেখানে বৃষ্টি নামবে।
-আমার কি কোনো ভুল হয়েছে সোহান??যদি হয় প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও তাও আমার সাথে এমন ব্যাবহার করোনা প্লিজ।
-তোমায় কিছু কথা বলবো সেগুলো শুনতে হবে।
-হ্যা বলো।
-আমার বিয়ে হয়ে গেছে কাল
কথাটা শুনে ফারার৷ পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো।কাদতে কাদতে চলে গেলো বাধা দিতে পারলাম না চুপচাপ বাসায় চলে এলাম।বাসায় আসতেই আম্মু সামনে দাড়ালো।
-কোথায় ছিলি??
-কলেজে।
-আজ ও বাড়ি থেকে লোক এসেছে নিতে তাও তোর কলেজে যেতে হবে??
-আম্মু খুব ইম্পরট্যান্ট কাজ ছিলো তো।
-যা রুমে যা বিকেলে যেতে হবে।
আম্মুর কথা শুনে মাথা নিচু করে চলে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখি রাত্রি মাথা নিচু করে বসে আছে।আমারো মন খারাপ তাই সোফায় গিয়ে গা এলিয়ে দিলাম।রাত্রি আমার সামনে এসে দাড়ালো।
-কি হয়েছে??
-ভাইয়া আমি আমার রুমে যাবো কিন্তু মামি যেতে দিচ্ছে না।
-তুই তা করতে পারবি না।
-কেন ভাইয়া??
-বেশি কথা বলবিনা যা এখান থেকে।
কথাটা ধমকের সুড়ে বলাতে পিচ্চিটা মন খারাপ করে চলে গেলো।আমার কি হয়েছে জানিনা খারাপ ব্যাবহার করছি শুধু।বিকেলে আমার আর রাত্রিকে নিয়ে যাওয়া হলো।রাত্রি অনেক খুশি কিন্তু আমি শুধু ফারার কথা ভাবছি সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছি ফোন অফ বলছে না জানি কি থেকে কি করে মেয়েটা।
রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লাম সোফায় রাত্রি এলো রুমে।আমায় ভয়েতে ডাকছে না আয়নার সামনে বসে বসে পুতুলের সাথে জোড়ে জোড়ে কথা বলছে।
-জানিস পুতুল আমার ভাইয়া না খুব পচা আগে আমায় অনেক ভালোবাসতো এখন বাসেনা।আগে রাতে ঘুরতে নিয়ে যেতো এখন যায়না।বিয়ে বিয়ে খেলার পর আর যায়না কোথায় আমাকে নিয়ে খুব পচা আমার ভাইয়া।
কথা গুলো আমি শুনছিলাম শুধু।কিন্তু কিছু বলছিলাম না।কিন্তু বেশিক্ষণ আর চুপ থাকতে পারলাম না।উঠে রাত্রির সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
-তৈরি হ।
-কেন??
-আমি নাকি তোকে নিয়ে কোথাও যাইনা এখন যাবো চল।
আমার কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে তৈরি হতে লাগলো।কিন্তু তৈরি হতে গিয়ে মন খারাপ।আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে কি হয়েছে।আমি চুপচাপ গিয়ে পিচ্চিটাকে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম।তারপর রাত্রির আম্মু আব্বুকে বলে বের হলাম গাড়ি নিয়ে।নদীর পারে এসে দাড়াতে বললো আমায় আমি গাড়ি থামিয়ে নামলাম।নদীর পারে একটা ফুসকার দোকান রাত্রি বায়না ধরলো ফুসকা খাওয়ার জন্য।
ফুসকার দোকানে গিয়ে এক প্লেট ফুসকা অর্ডার করলাম।আমার ভালো লাগছিলো না জন্য চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম।পিচ্চিটা একদম বাচ্চাদের মতো করে খাচ্ছিলো তাই একটু হাসি পাচ্ছিলো কিন্তু তবুও ফারার কথা মনে আসতে হাসি ফুটলো না মুখে।
ফুসকার বিল দিয়ে যাচ্ছি এমন সময় বায়না ধরলো হাত ধরে হাটবে।আমি কিছু না বলে হাটতে লাগলাম আকাশ হঠাৎ মেঘলা হয়ে গেলো এই বুঝি অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামবে।শীতল হাওয়া বইছে রাত্রি ঠান্ডায় আমার হাত শক্ত করে ধরে আমার দিকে সেটে আসলো।
আমি হাটছি রাত্রি একা একা বকবক করছে আমার যেন মন এখানে নেই শুধু ফারার কথা চিন্তা হচ্ছে।হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলো রাত্রি আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে গেলো।আমি দৌড়ে একটা ছাউনির নিচে দাড়ালাম।পিচ্চিটা বাচ্চাদের মতো করে ভিজতে লাগলো।না চাইতেও আমার চোখ সেদিকে গেলো।
রাত্রির এই পাগলামিটা ভালো লাগায় পরিনত হয়ে গেলো কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেও বুঝতে পারলাম না কখন আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছে।একসময় রাত্রি এসে আমায় টেনে নিয়ে গেলো দুজনে ভিজতে লাগলাম কিন্তু আমার কেমন যেন হিংসে হচ্ছিলো।
কেননা বৃষ্টির ফোটা গুলো রাত্রিকে ছুয়ে যাচ্ছিলো তাই।খুব রাগ উঠছিলো তবুও নিজেকে ঠিক করে নিলাম।ভেজা শেষ হলে বাসায় চলে গেলাম।রাতে রাত্রির খুব টান্ডা লেগে গেলো।
-ভালো হয়েছে ভিজেছিস এখন বোঝ।
-ভাইয়া আমার ইচ্ছা করছিলো তাই ভিজেছি।
-হুমম ভালো।
রাত্রিকে ঔষধ খাইয়ে সোফায় ঘুমিয়ে গেলাম।পরের দিন বিকেলে বাড়ি যাচ্ছি গাড়িতে। রাস্তায় রাত্রি গাড়ি থামাতে বললে থামালাম।
-কি হয়েছে??
-আইস্ক্রিম খাবো।
-তোর না ঠান্ডা।
-তবুও খাবো প্লিজ।
-আমি বারন করতে পারলাম না এমন সময় কোথা থেকে ফারহা এসে আমায় জড়িয়ে ধরে কিস করলো আমার গালে পুরাই শকড আমি।আমাদের এমন দেখে রাত্রি রাস্তার দিকে দৌড় দিলো আমি ফারহাকে ছেড়ে রাত্রি বলে ডাক দিলাম এমন সময় একটা গাড়ি এসে,,,,,,

চলবে

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।
খারাপ হলে বলবেন।।
সবার কাছে থেকে একটা গঠন মূলক কমেন্ট আশাকরি।

22/06/2024
পিচ্চি বউ ৭ম পর্ব-হ্যা কিন্তু কিসের কথা বলছো??-তোর বিয়ে। বিয়ের কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পরলাম।-কি বলো আম্মু??-হ্যা ঠিকি শু...
22/06/2024

পিচ্চি বউ

৭ম পর্ব

-হ্যা কিন্তু কিসের কথা বলছো??
-তোর বিয়ে।

বিয়ের কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পরলাম।
-কি বলো আম্মু??
-হ্যা ঠিকি শুনেছিস।
-আম্মু আমি বিয়ে করতে পারবো না।
-তুই করবি অবশ্যই করবি।
-আম্মুউউ।
-যা এখন আজ রাতে তোর বিয়ে।
-এভাবে সব ডিশিসন তুমি নিতে পারোনা।
-কেন??
-আমারো অধিকার আছে।
-তুই বকবক বাদ দিয়ে যাবি নাকি ঝাটার বাড়ি খাবি কোনটা??
-না যাচ্ছি আমি কিছু বলতে হবেনা।
-হুমম।
চুপচাপ ঘরে গিয়ে ফোনটা অফ করলাম জানি ফারা ফোন দিবে কিন্তু আমি ওকে কি বলবো ও এমনি পাগলি না জানি কি করে বসে।আমারো ইচ্ছা হচ্ছিলো খুব করে কান্না করি।
-হে উপর আলা আমায় তুমি এ কেমন পরীক্ষায় ফেলছো।যাকে এতোদিন পর ফিরে পেলাম তাকেই পাবোনা।
বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছিলো।অনেক কষ্ট হচ্ছিলো জন্য চুপচাপ ঘুমিয়ে নিলাম।কেননা ঘুমালে হয়তো কষ্টটা কম লাগবে।অনেক কষ্টে ঘুম হীন চোখে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম একটু আগে ঘুম থেকে উঠেছি এখন আবার ঘুম হবেই না তাই ২ টা ঘুমের ঔষধ খেয়ে নিলাম।একটু সময়ের মধ্যে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালাম।
বিকেলে আম্মু ডাকছে সেদিকে খেয়াল নেই আমার পুরো চোখ জুড়ে ঘুম।বাধ্য হয়ে আম্মু আমায় টেনে তুললো।আমার মাথার মধ্যে ঘুড়ছে চোখে ঝাপসা দেখছি ঘুমের কারনে চোখ বুজে আসছে।
-তোর কি হয়েছে??
-কিছুনা।
-এমন করছিস কেন??
-আমি বিয়ে করবোনা।
-বিয়ে তোকে করতেই হবে।
-আম্মু আমি একজনকে ভালোবাসি।
-চুপ ওসব বললে আমার মরা মুখ দেখবি।
-মরার খবর শুনে চুপ হয়ে গেলাম।
-মেয়েটা ভালো একদম মনের মতো।
একথা বলে আম্মু চলে গেলো।আমি বিছানায় বসে পড়লাম আসলে কিছু কিছু পরিবারের কারনে ভালোবাসা সব শেষ হয়ে যায় এক নিমিষে।পরিবার ভালো চায় সবসময় কিন্তু পরিবার এটা বুঝতে চায়না কি পেলে তার ছেলে মেয়ে ভালো থাকবে।
বর সেজে বিয়ে করতে যাচ্ছি চোখে এখনো ঝাপসা দিচ্ছি ঘুমের ঔষধের কাজ এখনো হচ্ছে তাই সব নেশা নেশা লাগছে।বিয়ে বাড়িতে পৌছে গেলাম।বসে আছি ঘুমের ঔষধের কারনে ঠিক ভাবে বসতে পারছিলাম না জন্যে টক খাইয়ে দিলো আর সব শেষ আমি ঠিক হয়ে গেলাম।অবশেষে বিয়েটা শেষ হলো এখনো জানিনা কার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছে ভেতরে ঢুকে পড়লাম দেখলাম মেয়েটা বসে আছে ঘোমটা দিয়ে আমি এখনো জানি না মেয়েটা কে।চুপচাপ গিয়ে কাছে বসলাম।দেখার জন্য যে মেয়েটা কে তাই গোমটা তুলতেই অবাক কেননা রাত্রি এখানে। বুঝতে বাকি রইলো না আম্মু আমার সাথে ষড়যন্ত্র করেছে।
সব থেকে বেশি অবাক হলাম কেননা পিচ্চিটা বসে ঘুমিয়ে পড়েছে।আমি হাসবো নাকি কান্না করবো আপনারাই বলেন।তবুও রাগ না করে পিচ্চিটাকে শুইয়ে দিয়ে আমি বেলকনিতে গিয়ে দাড়ালাম।ফোনটা সারাদিন বন্ধ তাই ফোনটা খুলতেই শুরু হয়ে গেলো ঝড়।
এতো পরিমান ফোন মেসেজ যে বলার মতো না।মানুষ এতো কল দিতে পারে আগে জানা ছিলো না।পোনটা অন করার সাথে সাথে ফোন চলে এলো।
-হ্যালো।
-ওই কুত্তা সারাদিন কই থাকিস তুই।
-বাসায় ই।
-তোর ফোন বন্ধ কেন??
-ফোনে অফ হয়ে গিয়েছিলো আর আমি আব্বুর অফিসে গিয়েছিলাম।
না চাইতেও মিথ্যাটা বলতে হলো ইচ্ছা হচ্ছিলো ওকে মিথ্যা বলবোনা কিন্তু না বলে পারলাম না জানিনা এর পরিনাম কি হবে।
-বলবা তো একবার জানো কতো কান্না করছি।
-মাফ করে দাও প্লিজ।
-হুমম ঠিক আছে কি করো??
-এই তো দাড়িয়ে আছে তুমি??
-আমি বসে আছি।
-ঘুমাওনি?
-ঘুমাইতে দিছো নাকি হ্যা সারাদিন কান্দাইছো মরেই যেতাম আজ কথা না বলে।
-আচ্ছা তোমায় কিছু কথা বলার আছে কাল এই,,,,,,,,, কলেজে দেখা করতে পারবে??
-হুমম পারবো তবে কলেজে এসে আমায় দেখে অবাক হবে।
-কেন??
-সেটা কাল ভালো জানতে পারবে তুমি।
-আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ঘুমাও আমিও ঘুমাবো।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি ফোন কেটে দিয়ে সোফায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে দেখি পিচ্চিটা ডেকে তুললো।
-ভাইয়া কখন উঠবে??
-হুমম উঠেছি যা তুই।
-ভাইয়া আমি কখন ঘুমিয়েছি??
-জানিনা তো।
-তোমার ঘরে কেন আমি??
-পিচ্চি তোর বিয়ে হয়েছে।
-কার সাথে?
-আমার সাথে।
-ধুর মজা করছো তুমি আমার বিয়ে হয়নি আম্মু তো বললো বিয়ে বিয়ে খেলা যেটা ছোটবেলায় খেলতাম।
-হায়রে পিচ্চি আচ্ছা যা আমি একটু কলেজে যাবো।
-আচ্ছা ভাইয়া আমার স্কুল??
-যেতে হবেনা।
-আচ্ছা।
পিচ্চিটা চলে গেলো আমি কলেজে চলে গেলাম।কলেজে যেতে ফোন দিয়ে শুনে নিলাম সে ক্যাম্পাসে আছে।আমিও ক্যাম্পাসে যেতে ফারহা কে দেখে ৪০০০ ভোল্টেজ এর শক খেলাম......

চলবে???

(এখন আবার কি হলো সোহান কেন শক খেলো কে ছিলো মেয়েটা নাকি মেয়েটা পরীর মতো সুন্দর??জানতে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করুন)

খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।

পিচ্চি বউ ৬ষ্ঠ -হ্যা শুনবো বলেন তাড়াতাড়ি আমার হাতে সময় নেই।-সোহান আমি তোমার সেই ফারহা।কথাটা শুনে অবাক হয়ে আমি বসা থেকে দ...
19/06/2024

পিচ্চি বউ

৬ষ্ঠ

-হ্যা শুনবো বলেন তাড়াতাড়ি আমার হাতে সময় নেই।
-সোহান আমি তোমার সেই ফারহা।
কথাটা শুনে অবাক হয়ে আমি বসা থেকে দাড়িয়ে পড়ি।
-কি হলো চুপ করে আছো কেন??
আমি আর এক মূহুর্তও দেরী করলাম না ফোন কেটে দিলাম।ফোন কেটে দেওয়ার সাথে সাথে আরো ফোন আসতে লাগলো আমি রাগ করে ব্লাক লিষ্টে ফেলে দিলাম।অতীতটা আজ মনে পড়তে লাগলো।
ফোনে কিছু একটা করছিলাম এমন সময় টুং করে একটা মেসেজ চলে এলো।মেসেজটা ওপেন করতে দেখি একটা মেয়ের মেসেজ।যেহেতু ফোনে তেমন মেয়েদের সাথে কথা বলিনা তাই রেখে দিলাম।একটু পর আরো মেসেজ এলো যে রিপ্লাই দেই নাই জন্য ভাব বেশি।
-আমার ভাব বেশি না।
-তাহলে রিপ্লাই দিচ্ছেন না কেন??
-আমি মেয়েদের সাথে তেমন কথা বলিনা।
-হয় হয় লেখক মানুষ তো ভাব তো বারবেই।
-লেখক হলেই যে ভাব বাড়ে এটা কে বলছে আপনাকে পাগল নাকি??
-হু আমি জানি।
-জানেন তো মুড়ি খান বায়।
-এই যে শুনবেন তো।
-হুমম যা বলার তাড়াতাড়ি বলবেন।
-আপনার সাথে পরিচিত হতে পারি??
-আমার প্রোফাইলে দেওয়া আছে দেখে নিবেন আমি যাই টাটা।
-দেখুন দেখার হলে আগেই দেখতাম আমি আপনার থেকে শুনবো বলেন না লেখকদের উচিত না পাঠকদের সাথে এমন ব্যাবহার করা।
-আচ্ছা যা যা জিজ্ঞেস করার করুন আমি উত্তর দিয়ে চলে যাচ্ছি।
-আপনার নাম??
-সোহান।
-অনেক সুন্দর নাম।আমার নাম জিজ্ঞেস করলেন না??
-আপনার সাথে কি প্রেম করবো নাকি যে আপনার বায়ো জানতে যাবো।
-করলেও করতে পারেন প্রেম সমস্যা নেই পিউর সিংগেল
-আপনার সিংগেল আপনি ধুয়ে পানি খান আর কিছু জানার আছে??
-আপনি এতো সুন্দর গল্প লিখেন কেমনে??
-কেন আমার মন থেকে।
-আপনার মনটা এতো সুন্দর না জানি আপনি দেখতে কতো সুন্দর হবে।
-হায় আল্লাহ এতোদিন দেখতাম ছেলেরা পাম মারে আজ মেয়েরা মারছে বা।
-উহ আমি মোটেও পাম মারছি না।
-তাইলে কি মারছেন??
-লাইন মারছি।
-লাভ নেই।
-কেন??
-এমনি।
-আচ্ছা আপনার পিক দেখতে পারি প্লিজ??
-হাহাহা যাক অবশেষে একটু হলেও পাল্টে দিলাম।
-কি??
-এতোদিন মেয়েদের থেকে নাকি ছেলেরা পিক চাইতো আজ উল্টো করছি।
-হুমম আপনার থেকেই পিক চাচ্ছি প্রথম।
-ফেবুতে আছে দেখে নিন।
-ওটাতে মুখ দেখা যাচ্ছে না।
-তাহলে মুড়ি খান যান টাটা।
আর কথা বলার সময় দেইনি ওমনি অফলাইন হয়ে গিয়েছিলাম।এর পরের দিন ঢুকতে আবার৷ মেসেজ তবে বেশি উত্তর দিতাম না।এভাবে কয়েকদিন যেতে যেতে মেয়েটার সাথে কথা বলে ভালো লেগে যায় তবে আমরা কেউ কাউকে দেখিনি আমিও না সেও না।একদিন হুট করে ফারা প্রপোজ করে বসে আমার ও ওকে ভালো লেগেছিলো বিধায় এক্সেপ্ট করি।
ভালোই চলছিলো দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসতাম।কেউ কাউকে ছাড়া এক মূহুর্তও থাকতে পারতাম না।একদিন হঠাৎ ও আমায় ব্লক মারে চেষ্টা করেও ওর সাথে কথা বলতে পারিনি নাম্বার ও ছিলো না যে ফোন দিবো।সেদিন অনেক কান্না করেছিলাম তাই রাগ করে নিজেকে বলেছিলাম আর কোনো দিন কাউকে ভালোবাসবো না।
এই ছিলো অতীত এখন বর্তমানে ফেরা যাক।নাম্বার ব্লক করেছি জন্যে দেখলাম মেসেজ দিয়েছে।যদিও অনেক ভালোবাসতাম তাই মেসেজটা না দেখে পারলাম না।
-জানি তুমি অনেক রাগ করেছো তবে বিশ্বাস করো আমি তোমায় এখনো ভালোবাসি।আমি নিজ ইচ্ছায় তোমার সাথে কথা বলা বাদ দেইনি আমায় বাসা থেকে ফোন কেরে নিয়েছিলো চেয়েও কোনো ফোন নিয়ে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।এখনো তোমায় আমি অনেক ভালোবাসি বিশ্বাস করো।এখন তুমি যা করার করো কিন্তু আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি।
মেসেজ গুলো পড়ে খুব কষ্ট হচ্ছিলো আর না পেরে ব্লক খুলে ওকে ফোন দিলাম।কিছুক্ষন নীরব থাকার পর দুজন দুজনকে সরি বলে কথা বলা শুরু করলাম।
কথা বলতে বলতে কখন গভীর রাত হয়ে গেলো বুঝতেও পারলাম না।
খুব ভালো লাগছিলো এখন আমার ভালোবাসা আবার ফিরে এসেছে খুশিতে গিয়ে ঘুম দিলাম।এক ঘুমে দেখি সকাল হয়ে গিয়েছে।
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম।গিয়ে দেখি আম্মু আর কিছু লোক কথা বলছে।বুঝতে পারলাম না কি হচ্ছে।
-উঠেছিস??
-হ্যা কিন্তু কিসের কথা বলছো??
-তোর বিয়ে।

বিয়ের কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পরলাম,,,,

চলবে???
(তাহলে কি সোহানের বিয়ে হয়ে যাবে??তাহলে ফারা আর রাত্রি এর কি হবে??জানতে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন)

খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।
(সন্ধার আগে আপলোড দেওয়ার কথা ছিলো। ভুলে যাওয়ার কারণে সময় মতো আপলোড করতে পারি নাই তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি)

পিচ্চি বউ ৫ম পর্ব ওমনি রাত্রি চলো গেলো।আমি পিছু পিছু গেলাম কিন্তু ও দরজা লাগিয়ে দিলো।ভয় আরো বেরে গেলো না জানি জেদে কি কর...
18/06/2024

পিচ্চি বউ
৫ম পর্ব

ওমনি রাত্রি চলো গেলো।আমি পিছু পিছু গেলাম কিন্তু ও দরজা লাগিয়ে দিলো।ভয় আরো বেরে গেলো না জানি জেদে কি করে হঠাৎ একটা শব্দ এলো।আমার ভয় আরো বেরে গেলো না জানি নিজের ক্ষতি না করে দেয় পিচ্চিটা।আমি অনেক দরজা ধাক্কাতে লাগলাম একসময় রাত্রি দরজা খুলে বের হলো।
রাত্রিকে দেখে সস্তির নিশ্বাস ফেললাম।কেননা যা ভেবেছিলাম কিছু হয়নি ও একদম ঠিক আছে।
-দরজা আটকেছিলি কেন??
-ড্রেস চেন্জ করলাম।
-এছাড়া কিছু না তো??
-না।
-শব্দ কিসের হলো??
-এমনি একটা জিনিস পড়ে গিয়েছিলো।
-ও আচ্ছা।
-আচ্ছা ভাইয়া ওই আপুটা কে?
-আমার বান্ধবি কলেজের।
-ও বুঝেছি সেই জন্যে জড়িয়ে ধরেছিলো তোমায়।আমার বান্ধবিরাও আমায় জড়িয়ে ধরে কিসস করে গালে।তোমার গালে কিসস করেনি?
-পিচ্চি চুপ বেশি কথা বলছিস।
পিচ্চিটা আসলেই পিচ্চি এসবের কিছু বুঝছে না তবে আজ যা হয়েছে সত্যি খারাপ হয়েছে।আমি আর দাড়িয়ে না থেকে রাহাকে এগিয়ে দিয়ে বাসায় এলাম।
রাতের বেলা রাত্রি খাটের উপর বসে খাতায় ছবি আকছে আর ভাবছে।
-আচ্ছা ভাইয়াকে ওই আপু জড়িয়ে ধরলো কিন্তু ভাইয়া ধরলো না কেন??আমাদের ক্লাসে কোন মেয়ে কোনো ছেলকে জড়িয়ে ধরলে ছেলেটাও ধরে কিন্তু ভাইয়া তো ধরলো না আজ।না ভাইয়া ভুল করেছে এটা ভাইয়ার করা উচিত হয়নি ভাইয়ার জড়িয়ে ধরা উচিত ছিলো মামিকে জানিয়ে দেই।
রাত্রি উঠে সোহানের আম্মুর কাছে যায়।গিয়ে দেখে সেহানের আম্মু টিভি দেখছে।
-মামি।
-হুমম বল মা কি বলবি।
-মামি তোমার ছেলে ঠিক করে নাই।
-কেন??
-তোমর ছেলে কাজ ঠিক করেনি।
-কি করেছে?
-একটা মেয়ে আসছিলো না??
-হ্যা তাতাে কি হয়েছে?
ওই মেয়ে তোমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছে আজ অথচ তোমার ছেলে তাকে জড়িয়ে না ধরে চুপ করে ছিলো।
-কি এই কথা তুই দাড়া এখনি আমি আসছি।
-আচ্ছা।
রাত্রি বসে টিভি দেখতে লাগও এদিকে আমি বসে মোবাইল টিপছিলাম এমন সময় আম্মু এসে কান ধরে টেনে তুললো।
-আউউ আম্মু লাগছে তো।
-খুব বেড়ে গেছিস তাই না??
-কোথায় বেড়েছি আউউউউ লাগছে তো।
-কাল কাজ আছে।
-কি কাজ বলবে তো??
-না ঘুমা এখন।
কি করার আম্মু বললো না চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে রুমে বসে আছি এমন সময় আম্মু রাত্রিকে তৈরি করে আমার সামনে আনলো।
-কি হয়েছে?
-ওকে বাসায় দিয়ে আয়।
-কেন??
-কাজ আছে যা নইলে খবর আছে।
-যাচ্ছি যাচ্ছি।
চুপ চাপ আম্মুর কথা মতো গিয়ে রাত্রিকে দিয়ে এলাম।আসার সময় কেমন যেন বুকে ব্যাথা অনুভব করলাম মনে হচ্ছিলো কাছের কাউকে ছেড়ে আসছি।তবুও বাসায় চলে এলাম।
সেদিন সারাদিন ঘুমের মধ্যেই কেটে গেলো তার মাঝে পিচ্চিটাকে বড্ড মিস করেছিলাম।কষ্ট হচ্ছিলো তবুও নিজেকে সামলে নিলাম।
পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে বসে আছি।কলেজে যেতে মন চাইছে না তাই ফোনটাও অফ রাখলাম যেন ফোন দিতে না পারে।রুমের মধ্যেই হাটছি।হাটতে হাটতে পিচ্চিটার রুমে চলে গেলাম।পিচ্চিটার রুমে আমার ছবিতে ভরা তার ছবিও ছিলো।খাটের উপর কিছু ছবি দেখলাম।
সেগুলো হাতে নিয়ে অবাক কেননা সেগুলো আমার ছবি একেছে খুব সুন্দর হয়েছে।এমন সময় হঠাৎ কলিংবেল বেজে ওঠে ভাবলাম হয়তো রাত্রি এসেছে।খুশি হয়ে দৌড়ে গেলাম দেখতে এই বুঝি আমায় ভাইয়া এসে গেছি আমি এই আশায় গেলাম কিন্তু হতাশ হলাম কেননা পাশের বাসার আন্টি কিছু বলে গেলো।রুমে চলে এলাম বরিং লাগছিলো খুব।
আজ ও সারাদিন এভাবেই কেটে গেলো রাতে ছাদে বসে আছি শীতল বাতাস বয়ে চলে যাচ্ছে আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে তার মাঝে আমি একা বসে আছি।পাশে থাকা ফোনটি হঠাৎ বেজে ওঠে আমি চুপচাপ ফোনটা হাতে নেই। চুপচাপ ফোনটা রিসিভ করলাম।
-কে বলছেন?
-কেমন আছো সোহান??
-হুমম ভালো আপনি কে??
-চিনবে পড়ে।
-আপনি বলুন নয়তো ফোন কেটে দিবো।
-প্লিজ হাত জোর করছি কথাটা শোনেন প্লিজ খুব জরুরী।
-হুমম বলেন।
-আগে কথা দাও শুনবে।
-হ্যা শুনবো বলেন তাড়াতাড়ি আমার হাতে সময় নেই।
-সোহান আমি তোমার সেই ফারহা
কথাটা শুনে অবাক হয়ে আমি বসা থেকে দাড়িয়ে পড়ি,,,,,,,,

চলবে???

(এবার আবার কার এন্টি হলো??এই ফারহাটা আবার কে আর কি সম্পর্ক সোহানের সাথে??)

খারাপ হলে বলবেন।। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।

পিচ্চি বউ ৪৪থ পর্বআমি মোবাইলের আলো জালাতে পায়ের দিকে আলো লাগতে ভয় পেয়ে গেলাম কেননা রাত্রির পায়ে সাপ কামড়ানোর দাগ।আমি কান...
17/06/2024

পিচ্চি বউ ৪
৪থ পর্ব

আমি মোবাইলের আলো জালাতে পায়ের দিকে আলো লাগতে ভয় পেয়ে গেলাম কেননা রাত্রির পায়ে সাপ কামড়ানোর দাগ।আমি কান্না শুরু করে দিয়েছি রাত্রির পাশে বসে কি করবো সেই দিশা খুজে পাচ্ছি না।
-ভাউউউউউ।
হঠাৎ রাত্রি উঠে এভাবে চিল্লিয়ে ওঠে আমি তো ভয়ে ভুত ভুত করে চিৎকার করে যাচ্ছি।এদিকে আমার এভাবে করতে দেখে রাত্রি তো হিহিহি করে হাসছে।আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা রাত্রির শয়তানি।
আমি আর ওখানে এক মুহূর্ত ও থাকলাম না রাগ করে রুমে চলে এলাম।আমার পিছু পিছু রাত্রিও এলো।আমি রুমে এসে একটা গ্লাসে রাখা পানি খেয়ে গ্লাসটা নিয়ে জানালার কাছে দাড়ালাম।আমার পেছনে এসে রাত্রি দাড়ালো।
-ভাইয়া আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতো রেগে যাবে।
-তোর বুঝতে পারার কিছু কই,,,,
কথাটা বলে হাতের চাপ দিয়ে রাগের চোটে গ্লাসটা ভেঙ্গে ফেললাম হাত দিয়ে রীতিমতো রক্ত বেয়ে পড়ছে।রাত্রি দেখে তো দৌড়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে কিন্তু আমি ওকে দূরে সড়িয়ে দেই।রাত্রির চোখে পানি চলে এসেছে কিন্তু আমি সেটার পরোয়া না করে বাহিরে চলে যাই।ডক্টরের দেকান থেকে ব্যান্ডেজ করে বাসায় আসি।
-কিরে বাবা কি হয়েছে?
-না আম্মু কিছুনা।
-ওহহ আর তোর হাতে কি হয়েছে বাবা ব্যান্ডেজ কেন।(একটু অস্থির হয়ে)

-তেমন কিছুনা একটু কেটে গিয়েছে।
-বলনা আমায় কিভাবে কাটলো।
-এতো চিন্তা কেন করছো অল্প কেটেছে বলছি তো আমি।
-একদম আমায় মিথ্যা বলার চেষ্টাও করবি না বলে দিলাম।
-আম্মু আমি সত্যি বলছি অল্পই কেটেছে ভাঙ্গা কাচে হাত লেগে।
-খেয়েছিস?
-হ্যা কিন্তু খিদে লেগেছে।
-আচ্ছা তুই যা আমি খাবার নিয়ে আসছি।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি রুমে চলে গেলাম অন্যদিকে রাত্রি সোহানের যাওয়া দেখে তার মামির কাছে গেলো।রাত্রি গিয়ে দেখে তার মামি খাবার বাড়ছে।
-মামি কার জন্যে এগুলা??
-সোহানের জন্য ওর নাকি খিদে লেগেছে।
-ওহহ আচ্ছা দাও আমি নিয়ে যাচ্ছি।
-তুই পারবিনা।
-উহ মামি দাও না।
-আরে ওর হাত কাটা খাইয়ে দিতে হবে।
-সেটা আমিই করে দিবো।
-পারবি?
-হ্যা।
রাত্রি খাবার নিয়ে আমার রুমে ঢুকতে আমার রাগ উঠে যায়।রাত্রি কাচুমাচু হয়ে খাবার টেবিলে রেখে আমার সামনে এসে দাড়ায়।
-ভাইয়া প্লিজ খেয়ে নাও।
-তুই কি যাবি আমার সামনে থেকে??(ধমকের সুরে)
আমার ধমকানো শুনে রাত্রি আতকে উঠে অন্যজায়গায় গিয়ে বসে কাদতে লাগলো।ওর কান্না দেখে আমারি কষ্ট হচ্ছিলো সব রাগ ভেঙ্গে ওকে মানালাম।রাতে খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে রাত্রিকে স্কুলে নামিয়ে আমি কলেজে চলে গেলাম।কলেজে যেতেই দেখি রনি বাশ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
-কিরে বাশ নিয়ে দাড়িয়ে কেন??
-তোকে দেবো এখন।
-কেন??
-সালা হারামি তোর কি কথা ছিলো কাল রাতে পার্টি ছিলো তুই যাসনি।
একটু মাথা খাটিয়ে ভেবে দেখলাম আসলেও তাই। বুদ্ধি বের করলাম কিছু একটা না করলে মার খেতে হবে।
-আরে দেখ হাত কেটে গেছে জন্যে যেতে পারিনি।
-কি কস কেমনে??
-কাজ করতে লেগে।
-সাবধানে করতে পারিস না??
-না।
-আচ্ছা চল।
-হুমম ক্যাম্পাসে গাছের নিতে যেতেই দেখি রাহা এলো।রাহা এসেই আমার হাতের দিকে তাকিয়ে অস্থির হয়ে আমার হাত ধরে বসে পড়লো।
-কি হয়েছে কেমনে হয়েছে কখন হয়েছে।
একসাথে অনেক গুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।আমি অবাক হয়ে আছি এমনকি রনিও অবাক।রাহার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম চোখের কোনে পানি এই বুঝি কেদে দিবে।কোনো মতে এটা ওটা বলে বেচে গেলাম আসলটা বললে আরো কতেরকমের প্রশ্ন না জানি করতো।
সেদিনের মতো কলেজ করে বাসায় চলে এলাম।রাতে ছাদে বসে চাদ দেখছি দোলনায় বসে।এমন সময় পিচ্চিটা এসে দোলনায় আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।
-এটা কি হলো??
-ভাইয়া প্লিজ আমার ঘুম পাচ্ছে না ঘুম পাড়িয়ে দাও একটু।
-আম্মু কই??
-মামি ঘুমায়।
কি আর করার চুপচাপ রাত্রির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম।পিচ্চিটা কখন ঘুমিয়ে গিয়েছে বুঝতে পারিনি।যখন বুঝতে পারলাম তখন তাকিয়ে আমার চোখের সামনে মনে হলো একটা ঘুমন্ত পরী শুয়ে আছে।কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় পিচ্চিটার মুখে চাদের আলো এসে পড়ছে এতে অপরুপ লাগছে।
এই অবস্থা দেখে আমি ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম।নিজের অজান্তেই ওর মুখের কাছে আমার মুখ নিয়ে গেলাম কিন্তু পরোক্ষনেই নিজেকে সামলিয়ে মুখ উঠিয়ে নিলাম।
-ছি এ আমি কি করছিলাম এভাবে একটা মেয়েকে সুয়োগ নিচ্ছিলাম।
এটা বলেই নিজেই নিজেকে দোষী করতে লাগলাম।এমন সময় আমাকে অবাক করে রাত্রি নিজেই আমার মাথা টেনে তার ঠোঠের সাথে মিশিয়ে দিলো।আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো।আমি দ্রুত মুখ উঠিয়ে নিলাম।
-ভাইয়া আমি তোমায় কিস করবোই আমার বান্ধবীরা করেছে আমিও করবো।
বুঝতে বাকি রইলো না স্বপ্ন দেখছে।উঠে কোলে নিয়ে গিয়ে ওর রুমে শুইয়ে দিয়ে নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।এতোটাই ঘুম হলো আজ যে সকালে উঠতে অনেক দেরী হয়ে গেলো।উঠে দেখি একটা মেয়ে আমার সামনে বসে আছে।ভাবলাম হয়তো রাত্রি বসে আছে তাই। ভালো মতো চোখ ডলে দেখি রাহা বসে আছে।
-একি তুমি এখানে??
-কখন এসেছি।
-কলেজ নেই??
-ছিলোত তবে তোমার বাসায় আসতে চেয়েছিলাম এলাম।
-চিনলা কিভাবে??
-চিনেছি একভাবে।
-আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে নেই।
-ওকে
আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।অন্যদিকে রাহা দাড়িয়ে ভাবছে এটাই সুযোগ সোহানকে একটু কাছে টেনে নিতে হবে।
-আজকে একা পেয়েছি কিছু তো করতে হবেই পেয়েছি।
-কি পেয়েছো?
আমি ওয়াশরুম থেকে বের হতে হতে কথাটা বলতে রাহা আমতা আমতা করে ঘুরিয়ে নিলো।এমন সময় হঠাৎ চিৎকার দিয়ে রাহা আমায় জড়িয়ে ধরলো আমি তাল সামলাতে না পেরে পাশেই বিছানায় পড়ে গেলাম।
-কি হয়েছে??
-আরশোলাআআআ
রাহা ভয় পেয়ে আমায় জড়িয়ে ধরেছে বুঝতে পেরেছি এমন সময় দরজায় চোখ পড়তে দেখি রাত্রি দাড়িয়ে আমি এক ঝটকায় রাহাকে সড়িয়ে ফেলে রাত্রিকে ডাকতে যাবো ওমনি রাত্রি চলো গেলো।আমি পিছু পিছু গেলাম কিন্তু ও দরজা লাগিয়ে দিলো।ভয় আরো বেরে গেলো না জানি জেদে কি করে হঠাৎ একটা শব্দ এলো,,,,,,,,,,

চলবে???

(যাক সাপড় কামড় থেকেও তো বেচে গেলোতাহলে এবার কি রাত্রি সুসাইড করবে??জানতে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন)

খারাপ হলে বলবেন।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।।

পিচ্চি বউ ৩য় পর্বএমন সময় দেখলাম রাত্রি ধীরে ধীরে পেছোতে পেছোতো ছাদের কোণে চলে গেলো আমি চিৎকার করে ডাক দিলাম রাত্রি বলে ও...
15/06/2024

পিচ্চি বউ

৩য় পর্ব

এমন সময় দেখলাম রাত্রি ধীরে ধীরে পেছোতে পেছোতো ছাদের কোণে চলে গেলো আমি চিৎকার করে ডাক দিলাম রাত্রি বলে ওমনি রাত্রি তিনতলা থেকে পড়ে গেলো।তাড়াতাড়ি নিচে নেমে থ হয়ে দাড়িয়ে গেলাম।
আমার মুখের ভাষা যেন কেউ কেরে নিয়েছে পিচ্চিটা শুয়ে আছে মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।মাথাটা আগে পড়ায় ফেটে গিয়েছে।আমি একভাবে চেয়ে আছে হাত পা ও কাজ করছে না যে সামনের দিকে যাবো।
হাত পা যেন অবশ হয়ে আছে।অনেক কষ্টে ধীরে ধীরে পিচ্চিটার কাছে গিয়ে বসলাম।ইতিমধ্যে সবাই বের হয়ে চলে এসেছে।সবাই কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছে।এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি শুধু রাত্রির হাত ধরে মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছি কেননা এখনো আমার স্বপ্নের মতো লাগছে সবকিছু।
রাতে অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে বসে আছি মাথা নিচু করে কখন ভালো খবর পাবো।রাত্রি যেন ঠিক হয়ে যায় জন্যে উপর আলার কাছে পার্থনা করছে সবাই অনেক টেনশেন।রাত্রির আম্মু আব্বুর অলরেডি জ্ঞান নেই।
অবশেষে অপেক্ষার অবশান ঘটিয়ে ডক্টর বের হলো।আমি কাছে এগিয়ে গেলাম।ডক্টর মন খারাপ করে শেষ কথাটা বলে দিলেন।যে কথায় সব শেষ হয়ে যায়।তার এক কথায় সব এভাবে শেষ হয়ে গেলো ভাবতে পারিনি।সব যেন স্বপ্নের মতো লাগছে।
যেন এক্ষুনি আবার রাত্রি উঠে বলবে ভাইয়া আমি এসে গিয়েছি।পায়ের তলা থেকে যেন মাটিই সড়ে গিয়েছে।অনেক কষ্টে ধীরে ধীরে হাটতে হাটতে ভেতরে গেলাম।দরজার কাছে গিয়ে রাত্রিকে দেখে ঠিক থাকতে।উপর আলা যেন আমার সব শক্তি ফিরিয়ে দিলেন।রাত্রি বলে চিৎকার দিয়ে দৌড় দিতে হোচট খেয়ে পড়ে গেলাম।আর কি হলো জানিনা এখন চোখ খুলে তাকাতেই অবাক।কেননা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি আমি খাট থেকে পড়ে গেছি আর এদিকে রাত্রি বলে চিৎকার করায় রাত্রি দৌড়ে চলে এসেছে।
-কি হয়েছে ভাইয়া চিৎকার করে ডাকলে কেন??
-কিছুনা তুই যা।
-আচ্ছা।
রাত্রি এটা বলে চলে যেতে লেগে আবার ফিরে এলো।
-কিরে ফিরে এলি কেন??
-তুমি নিচে শুয়ে আছো কেন??পড়ে যাওনি তে??
-কই না তো এমনি ব্যায়াম করতে নামছি।
-হিহিহি ভাইয়া আমি জানি তুমি পড়ে গেছো।
-আর একটা কথা বললে ধরে মারবো কিন্তু।
-না না যাচ্ছি।
রাত্রি চলে গেলো।তবে স্বপ্নটা বাজে ছিলো খুব। আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে কলেজে চলে গেলাম।কলেজে যেতে ঝামেলা হাজির।রনি কাকে যেন প্রপোজ করছে রাজি হয়নি আমার কাছে এসে কান্না শুরু।
-তোর ন্যাকা কান্না থামাবি??
-ভাই দেনা রিলেশনটয় করিয়ে??
-না করায় দিবো না।
-সোহান এমন করছিস কেন??
-তুই চুপ থাক রাহা তুই ওরে চিনিস না।
-কেন কি হয়েছে??
-পরে বলবো আজ না।
-আচ্ছা আর শোন তুই এখন কোথায়??
-ফুফুমনির বাসায়।
-বাসায় যাবি কবে??
-মনে হয়তো আজ কেন??
-কাল তেদের ওখানে যাবো।
-কিহহহহ কেন??
-আন্টির সাথে দেখা করতে।
-আচ্ছা ঠিক আছে যাস।
প্রথমে ভেবেছিলাম আমার জন্য যাবে পড়ে আম্মুর কথা শুনে হ্যা বলে দিলাম।
-কি ভাবছিস বলতো??
-কই কিছু না তো।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
কলেজ করে বাসায় চলে গেলাম।রাতে খেয়ে দেয়ে পড়তে বসলাম।পড়াগুলেও যেন আজ মুখস্থ হতেই চাচ্ছে না শুধু ছিনিমিনি খেলছে।চুপচাপ তবুও বই এর দিকে তাকিয়ে রইলাম।হঠাৎ রাত্রি মুখটা ফুলিয়ে রুমে ঢুকে বসে পড়লো।আমি একবার তাকিয়ে আবার পড়ায় মনোযোগ দিলাম।
অন্যদিকে রাত্রি চুপচাপ বসে আছে কখন সোহান তাকায়।
-শয়তান ভাইয়াটা কি একবারো দেখছে না আমি মুখ ফুলিয়ে আছি রাগ করে (মনে মনে)
রাত্রির অবস্থা দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো কিন্তু মুখ চেপে রাখছিলাম কিন্তু পারছিলাম না।কেননা আমি তাকাচ্ছিনা জন্য আরো বেশি করে মুখ ফোলাচ্ছে আর বার বার আমার সামনে আসছে।আমি না দেখার ভান করে চুপচাপ হাসি থামাতে লাগলাম কিন্তু পারছিলাম না।একসময় রাত্রি না পেরে মুখ ছেড়ে দিয়ে বসে হাফাতে লাগলো।তারপর আমায় অবাক করে আমায় ধাক্কা দিয়ে শুইয়ে দিয়ে আমার বুকের উপর চেপে বসে ইচ্ছা মতো মারতে শুরু করে আমায়।অনেক কষ্টে থামাই।
-যাও তোমার সাথে কথা নাই।(মুখ ঘুরিয়ে)
বুঝলাম এবার রাগ ভাঙ্গাতেই হবে।রাত্রির মুখটা ঘুরিয়ে আমার দিকে করলাম।ওর চোখের কোনে জ্বল।জানিনা কেন ওর চোখের কোনে পানি দেখে বুকের ভেতরটায় চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলাম।
-কি হয়েছে বলবি তো?
-আমি তোমার সাথে একটু পুকুর পারে যেতে চাইলাম পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে দেখতে একা ভয় লাগে জন্যে তোমায় ডাকতে এসেছিলাম। আর তুমি??
-ও সরি পিচ্চি ঠিক আছে চল যাই।
পিচ্চিটা অনেক খুশি হয়ে আমার গালে একটা চুমু দিলো।তারপর বাহিরের দিকে যেতে লাগলো।আমি গাল মুছতে মুছতে বাহিরে যেতে লাগলাম।বাহিরের যেতেই অবাক আসলেই খুব সুন্দর পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে।এই চাঁদের আলোতে পিচ্চিকে আরো পিচ্চি পরীর মতো লাগছিলো।আমি এক পলক চেয়ে সামনের দিকে গেলাম।
পুকুর পারে বসলাম দুজনে রাত্রি আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখছে খুব খুশি হালকা শীত পড়ছে।রাত্রি উফভোগ করছে সব কিছু আজ প্রথম বের হলো তাই।এদিকে আমি মশার জন্য বাচি না সারা মশা আমার কানের কাছে এসে গান শুরু করে দিয়েছে আর আমার রক্তই খাচ্ছে।
এর মধ্যে পুকুরে শাপলা ফুল দেখে বায়না ধরলো তার নাকি খোপায় দিতে হবে শাপলা ফুলটা।আমি কয়েকবার ভেবে ফুল তুলে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি রাত্রি নেই।কিসের ফুল তোলা উঠে খুজতে লাগলাম।না পেয়ে রুমে এসে দেখি সেখানেও নেই।ভয় আরো বেরে গেলো গেলোটা কোথায় চোখের পলকে।পাগলের মতো হয়ে খুজতে শুরু করলাম আর বার বার রাত্রি রাত্রি বলে ডাকতে লাগলাম।একসম দেখি একজায়গা পড়ে আছে সোজা হয়ে।
আমি মোবাইলের আলো জালাতে পায়ের দিকে আলো লাগতে ভয় পেয়ে গেলাম কেননা রাত্রির পায়ে সাপ কামড়ানোর দাগ,,,,,,,,,,,,,

চলবে???

(তিনতলা থেকে তো যেভাবে হক বেচে গেলোএবার তো স্বপ্ন না সাপ কামড় দিয়েছে এবার মনে হয় বাচবে না দোয়া করেন যেন বেচে যায়)

Address

Gopinathpur
Gopalganj
8100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zidan Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Zidan Ahmed:

Share