07/04/2025
ফিলিস্তিন বরকতময় ভূমি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন- سُبْحٰنَ الَّذِيْۤ اَسْرٰي بِعَبْدِهٖ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اِلَي الْمَسْجِدِ الْاَقْصَا الَّذِيْ بٰرَكْنَا حَوْلَهٗ لِنُرِيَهٗ مِنْ اٰيٰتِنَا اِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ ‘পবিত্র সেই সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতারাতি মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান, যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্য। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ০১)
এই বরকতময় ভূমি এবং এর মাজলুম অধিবাসীদের সুরক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, বরং প্রত্যেক মুসলিমের। এ অধিকার মুসলমানদের আল্লাহ তাআলাই দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- اُذِنَ لِلَّذِيْنَ يُقٰتَلُوْنَ بِاَنَّهُمْ ظُلِمُوْ، وَ اِنَّ اللهَ عَلٰي نَصْرِهِمْ لَقَدِيْرُ، ِالَّذِيْنَ اُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ اِلَّاۤ اَنْ يَّقُوْلُوْا رَبُّنَا اللهُ ‘যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদেরকে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে (তারা নিজেদের প্রতিরক্ষার্থে যুদ্ধ করতে পারে)। যেহেতু তাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে জয়যুক্ত করতে পরিপূর্ণ সক্ষম। যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ি হতে অন্যায়ভাবে কেবল এ কারণে বের করা হয়েছে যে, তারা বলেছিল, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ।’ (সুরা হজ: ৩৯-৪০)
আল্লাহ তাআলা আরও কঠিনভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন- وَ مَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَ الْمُسْتَضْعَفِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الْوِلْدَانِ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ اَهْلُهَا وَ اجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّا وَّ اجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِيْرًا ‘(হে মুসলিমগণ!) তোমাদের জন্য এর কী বৈধতা আছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে সেইসকল অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করবে না, যারা দোয়া করছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে-যার অধিবাসীরা জালিম-অন্যত্র সরিয়ে নাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন সাহায্যকারী দাঁড় করিয়ে দাও ‘ (সুরা নিসা: ৭৫)
মনে রাখা জরুরি- ‘মুসলিম মুসলিমের ভাই’। এক মুসলিম জুলুমের শিকার হলে অন্য ভাইদের দায়িত্ব হয়ে যায়, তার পক্ষে দাঁড়ানো। অতএব, ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়ানো