Md K R Rimon

Md K R Rimon Personal Blog,
A Bangladesh Boy
Try to Explore Bangladesh

08/04/2025

া_মসজিদ #ফিলিস্তিন #গাজা

সকালবেলা পাশের বাসার ভাবি এসে বেল টিপেছেন। পিপহোলে দেখে নিয়ে দরজা খুললো মারুফ। ‘আমার মেয়েটাকেও আজ একটু সাথে নেবেন ভাই। য...
09/09/2024

সকালবেলা পাশের বাসার ভাবি এসে বেল টিপেছেন। পিপহোলে দেখে নিয়ে দরজা খুললো মারুফ।
‘আমার মেয়েটাকেও আজ একটু সাথে নেবেন ভাই। যাবার সময় বেল দেবেন, রেডি করে রাখবো।’

রাওয়ার সাথে উনার মেয়েটা একই স্কুলে পড়ে। হেসে হেসে সায় জানালো মারুফ। কিচেনের দরজা থেকে পুরোটা দেখছে নুসরাত। চলনবলনে “আধুনিকা” ভদ্রমহিলা পরনে আটপৌরে খোলামেলা পোশাক। সংকোচের বালাই নেই।
নুসরাত মারুফের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো। হাসতে হাসতে বললো, ‘ভাবীর কালার সেন্স দেখেছ!’

: কেন? ব্রাইট মেরুন–মন্দ কী? নুসরাত তাকে ফাঁদে ফেলছে বুঝতেও পারেনি মারুফ।
: উনাকে মানায় নাকি?
: ফর্সা মেয়েদের গাঢ় রঙ না মানানোর কী?
: আচ্ছা বলো তো আমি কোন কালার পরে আছি?

মারুফ অস্বস্তিতে পড়ে যায়–তুমি পিংক, না কি ইয়েলো?
৬নুসরাত হাসতে হাসতে সামনে এসে দাঁড়ালো। গ্রিনিশ জংলি ছাপা কামিজ পরনে। গম্ভীর হলো মারুফ।

: বাড়াবাড়ি করছো নুসরাত।
: না। তোমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছি, নিষিদ্ধ নজর কতটা গভীর হয়, আমাদের অজান্তেই।
: আমার দোষটা কী? উনাকে কি আমি ডেকে এনেছি? চটে যায় সে।
: দরজাটা তোমার খোলার প্রয়োজন ছিলো না, এটাই তোমার দোষ। শান্তস্বরে বললো নুসরাত।

তাদের সাড়ে চার বছরের মেয়ে রাওয়া–ফুলো ফুলো গালে লালিমা, ঠোঁট দুটো যেন রক্তের মতো টুকটুকে লাল। যে দেখে, সেই আদরের ছলে টিপে দিতে চায়। তাই অপরিচিত কাউকে হাত বাড়াতে দেখলেই সে নিজের দু’ গাল ঢেকে ফেলে চট করে।
নাতনির জন্য চিন্তার শেষ নেই হাজেরা বেগমের। নিয়ম করে সকাল-বিকাল ফোন করেন–বৌমা সকাল সন্ধ্যার আমলগুলো করেছ? আয়াতুল কুরসি পড়ে ফুঁ দিয়েছ আমার দাদুমণিকে? বাইরে নিতে হিজাব পরাবে, মারুফ ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটাছেলের কোলে কখনো দেবে না।

নুসরাত মুখে প্রকাশ না করলেও বড় বিরক্ত হয়। এইটুকু বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে এত টেনশনের কী আছে! খবরদারি করলে নিজের ছেলেকে করুন। উনাকে নিয়ে কিছু তো বলা যাবে না, তাতে উল্টো শুনতে হবে–নুসরাতের সন্দেহ বাতিক। স্ত্রী-কন্যাকে পর্দায় রেখে নিজে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকবে পরনারীর দিকে! পুরুষের জন্য নজরের হেফাজত কতটা জরুরি–সেটা কেন বোঝে না মারুফ।
: সবসময় কি এত খেয়াল থাকে? চোখ পড়ে গেলে কী করবো!
: বারবার তাকালে তো সেটা ইচ্ছাকৃত, শয়তানের ধোঁকা।
মারুফ বুঝতে চায় না, বিরক্ত হয়।

স্কুল গেটে রাফির সাথে দেখা, মারুফের বন্ধু মানুষ। সে এসেছে ছেলেকে দিতে। কুশল বিনিময়ের ফাঁকে হঠাৎ খেয়াল হলো কন্যার দিকে। দুই গাল ঢেকে রেখেছে রাওয়া। রাফি চলে যাবার পর মারুফ কৌতুহলে জানতে চায়–কী হলো মামনিঁ?
: ওই আংকেলটা পচা, ব্যথা দেয় খালি।

অতটুকু মেয়ের মুখের দিকে রাফি কীভাবে তাকিয়েছিল, আজ হঠাৎ করেই খেয়াল করেছে সে। ছোট হলেও মন্দ স্পর্শ বুঝতে পারে রাওয়া। নুসরাতের অহরহ চেঁচামেচিগুলো হঠাৎ করেই যুক্তিসঙ্গত মনে হলো মারুফের–আজ এতদিন পর।

বিকেলে অফিসফেরত মোড়ের মুদি দোকানে বাইক থামিয়েছে মারুফ। টুকটাক কেনাকাটার জন্য। উঠতি বয়সের কিছু যুবক ছেলে পাশেই আড্ডা দিচ্ছে। কানে আসছে তাদের কথাবার্তা।
: ওই দেখ দেখ মাঝেরটা, নীল হিজাব–
সাথে সাথে যেসব বিশেষণ যোগ হয়, তা ভদ্র সমাজে বর্ণনার যোগ্য নয়।

মারুফের কৌতূহল হলো। আড়চোখে তাকালো সামনের রাস্তায়। একদল কিশোরী হেঁটে যাচ্ছে। কুর্তা, টপস, লেগিংস পরা। একজনের মাথায়ই হিজাব পরা, তবে তার সৌন্দর্য তাতে যেন আরও বেড়েছে। বাড়ন্ত গড়নের জন্য তাকে নানাভাবে বিশেষায়িত করা হচ্ছিলো। আরো একটু খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে মারুফ বড় আকারের একটা হোঁচট খেল। এ তো তার নিজেরই ভাগ্নি! কাছাকাছিই মারুফের বোনের বাসা। সাদিয়া এবার হাইস্কুলে উঠবে, দেখতে আরেকটু বড় দেখায়।

হঠাৎ করেই লজ্জায় আচ্ছন্ন হলো মারুফ। নজরের হুল কতটা বিষাক্ত, উপলব্ধি হচ্ছে। নাফসের ইন্ধনে কতবারই তাকিয়েছে কত নারীর মুখের দিকে–অপরাধ মনে হয়নি। আজ নিজের আদরের ভাগ্নি বলেই কি লজ্জা পেল? আল্লাহপাক আমাকে হাতে কলমে শিক্ষা দিলেন নজর সংযত রাখার গুরুত্ব–মনে মনে ভাবছে মারুফ।

পর্দার চর্চায় পুরুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নিজ ঘরের কন্যাদের পর্দা শিক্ষা দেবার পাশাপাশি নিজেদের নজরের হেফাজতও করতে হবে। নুসরাত আজ সকালেও সেটা শুনিয়েছিল, মনে মনে আওড়াচ্ছে মারুফ–হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।
[জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭]

আর ইচ্ছাকৃত দৃষ্টির ব্যাপারে আল্লাহপাক সতর্ক করেছেন কুরআনে–তিনি (আল্লাহ) জানেন চোখের চোরাচাহনি এবং সেইসব বিষয়ও, যা বক্ষদেশ লুকিয়ে রাখে।
[সূরা মুমিন : ১৯]

মারুফ অনুতপ্ত মনে ইসতেগফার পাঠ করতে থাকে। এই শিশুকন্যাগুলো পর্যন্ত কুনজর থেকে রক্ষা পায়নি। নজর হেফাজতের গুরুত্ব বোঝার জন্য এর চেয়ে বড় কোনও উদাহরণের প্রয়োজন নেই।
©

❑ কুফু(كُفُو) ❑বিয়ের ক্ষেত্রে  “কুফু” একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:«قا...
07/09/2024

❑ কুফু(كُفُو) ❑

বিয়ের ক্ষেত্রে “কুফু” একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«قال رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ»
“তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম নারী গ্রহণ করো এবং 'কুফু' বিবেচনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও 'কুফুর' প্রতি লক্ষ্য রাখো।” [১]

●এখন 'কুফু'-র অর্থ কি?
“কুফু”(كُفُو) একটি আরবী শব্দ; যার অর্থ সমান,সমতুল্য,সমতা,সমকক্ষ[২]।
ইসলামী পরিভাষায় বর-কনের দ্বীন-দুনিয়ার যাবতীয় কিছুতে সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে “কুফু” বলে।

●বিয়ের ক্ষেত্রে “কুফু” কেন গুরুত্বপূর্ণ আসুন একটি উদাহরণ দেখি:
মনে করুন, A একটি দ্বীনদার মেয়ে এবং B একটি বেদ্বীন ছেলে। একজন দ্বীনদার,অপরজন বেদ্বীন; দুজনের মধ্যে কুফু নেই। তারপরেও দুজনের বিয়ে হলো, মেয়েটি যেহেতু দ্বীনদার তাই সে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার দ্বীনকে টেনে আনে, চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বীনের ছাপ থাকুক। অপরপক্ষে বেদ্বীন ছেলেটি চাইবে দুনিয়ার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে, চাইবে সবকিছুই হোক দ্বীনের বাঁধনমুক্ত। ফলস্বরূপ অশান্তি। শেষ পরিণতি 'তালাক'।

এবার আরেকটি উদাহরণ দেখি:
মনে করুন, আপনার মাসিক আয় দশ হাজার টাকা। আর আপনি এমন কাউকে বিয়ে করলেন যার বাবার মাসিক আয় ছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা। অর্থনৈতিক অবস্থানে 'কুফু' নেই। কি মনে হয় সুখে থাকবেন? নাহ।
হাতি-ওয়ালার সাথে বন্ধুত্ব করলে হাতি রাখার মত ঘর নিজেকে বানাতে হবে। নতুবা ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণে চাঁদ।’ বুঝলেন?
অতএব, আপনার রোজগার দশ হাজার টাকা হলে আপনার বিয়ে করা উচিত এমন কাউকে যে এরমধ্যেই মানিয়ে চলতে পারবে। নয়তো বিয়ের পর শুনতে হতে পারে, ‘ভুল করেছি তোমায় বিয়ে করে, দাও এবার আমার হাতটি ছেড়ে ’।

তাই সর্বদিক দিয়ে নিজের চলাফেরা, পোশাক আশাক, বাড়িঘর, থাকা খাওয়ার মান যেমন, ঠিক সেই সমমানের পাত্রী পছন্দ করা উচিৎ। এতে কেউ কারোর উপর গর্ব প্রকাশ করবেনা, খোঁটা দেবেনা; ভালোবাসার গতিও বাধাগ্রস্ত হবেনা। এককথায় প্রায় সব বিষয়ে 'কুফু' বিবেচনা করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসা উচিত। নচেৎ পরবর্তী সময়ে 'ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালাতে পারে'।

যদি সবকিছুতেই 'কুফু' মিলে যায় তবে তো সোনায় সোহাগা এবং এমন দাম্পত্য হবে চিরসুখের। পক্ষান্তরে কিছু না পেলেও যদি শুধুই দুজনের মধ্যেই দ্বীনদারী থাকে তবে সুখের জন্য এটাই যথেষ্ট। দ্বীনদারদের তো সবকিছুই আশ্চর্যের; তারা সর্বাবস্থায় সুখ শান্তি খুঁজে নিতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল।

◆শেষ কথা: অনেকে বলতে পারেন কোনো ব্যাপার না বিয়ে করে মেয়েকে দ্বীনদার বানিয়ে নেব। ভাই, এটা স্রেফ একটি শয়তানের ধোকা, উল্টোও তো হতে পারে দেখা গেল দ্বীনদার বানাতে গিয়ে আপনিই বেদ্বীন হয়ে গেলেন। কি দরকার এত রিস্ক নেওয়ার? যেখানে এই জীবন একটি পরীক্ষাকেন্দ্র, পাশ করার সুযোগও একটিই। তারপরেও রিস্ক?
বরং একটি কাজ করা যেতে পারে বিয়েতে দ্বীনকে কন্সট্যান্ট রেখে [এখানে কোন ডিসকাউন্ট নেই দুঃখিত] অন্যান্য দুনিয়াবি বিষয়গুলি সামান্য হেরফের করে এডজাস্ট করা যেতেই পারে। আসলে সবকিছুই নির্ভর করছে দ্বীনদার কেমন তার ওপরে, যত বেশি দ্বীনদারী থাকবে ততোই বাকিগুলোর গুরুত্ব কমবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«ليَتَّخذَ أحَدُكُمْ قَلْباً شَاكِراً وَلِسَاناً ذَاكراً وَزَوْجَةً صَالِحَةً تُعينُهُ عَلَى أَمرِ الآخِرَة».

‘‘তোমাদের প্রত্যেকের কৃতজ্ঞ অন্তর ও যিকিরকরি জিহ্বা হওয়া উচিৎ। আর এমন মুমিনা স্ত্রী গ্রহণ করা উচিৎ; যে তার আখেরাতের কাজে সহায়তা করবে।’’ [৩]

আখিরাতের কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্বামী-স্ত্রীর কুফু থাকতে হবে। স্ত্রীকে অবশ্যই দ্বীনদারিতে স্বামীর বরাবর বা কাছাকাছি হতেই হবে নচেৎ সে আখিরাতের কাজে সহায়তার থেকে বাধা বেশি দেবে এবং অনেকক্ষেত্রে শরীয়ত বিরোধী কাজ করে আপনাকে জাহান্নামের পথেও টানবে। স্ত্রী যদি বেশি দ্বীনদার হয় তবে স্বামীর ক্ষেত্রেও একই।

« رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَاماً».

__________________
[১] সুনান ইবনু মাজাহ : ১৯৬৮ ; সহীহ
[২] আল-ওয়াফি ডিকশনারি
[৩] ইবনে মাজাহ: ১৮৫৬, আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ :২১৭৬

ভারত 🇮🇳 - 🇧🇩 বাংলাদেশ স্থলবন্দর :1. বেনাপোল Land Port.BD side:বেনাপোল যশোর।Indian side: Petrapole, Bongaon, 24-Parganas,...
02/09/2024

ভারত 🇮🇳 - 🇧🇩 বাংলাদেশ স্থলবন্দর :

1. বেনাপোল Land Port.
BD side:বেনাপোল যশোর।
Indian side: Petrapole, Bongaon, 24-Parganas, West Bengal, India

2. বুড়িমারি Land Port.
BD side:বুড়িমারি,পাটগ্রাম, লালমনিরহাট।
Indian side: Changrabandha, Mekhaliganj, West Bengal, India

3. আখাউড়া Land Port.
BD side :.আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়
Indian side: Ramnagar, Agartala, Tripura, India

4. ভোমরা Land Port.
BD side:ভোমরা,সাতক্ষীরা।
Indian side: Gojadanga, 24-Parganas, West Bengal, India

5. নকুগাঁও Land Port.
BD side: নালিতাবাড়ি শেরপুর।
Indian side: Dalu, Barangapara, Meghalaya, India

6. তামাবিল Land Port
BD side: তামাবিল,গোয়াইনঘাট,
সিলেট
Indian side: Dauki, Shillong, Meghalaya, India

7. দর্শনা Land Port.
BD side:দর্শনা ,চুয়াডাঙ্গা।
Indian side: Gede, Krishnanagar, West Benga, India

8. বেলনি Land Port.
BD side:বেলনি,পরশুরাম ফেনী
Indian side: Belonia, Tripura, India

9. গোবরাকুড়া Land Port.
BD side: হালুয়াঘাট ময়মনসিংহ।
Indian side: Gachhuapara, Tura, Meghalaya, India

10. রামগড় Land Port.
BD side: রামগড়, খাগড়াছড়ি
Indian side: Sabroom, Tripura, India.

11. সোনাহাট Land Port.
BD side: ভুরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম।
Indian side: Sonahat, Dhubri, Assam, India

12. Tegamukh. ভূষণছড়ি Land Port.
BD side: বরকল, রাঙামাটি।
Indian side: Demagri, Mizoram, India.

13. চিলাহাটি Land Port
BD side:চিলাহাটি,ডোমার নিলফামারী।
Indian side: Holdibari, Cooch Behar, West Bengal, India

14. সোনা মসজিদ Land Port.
BD side:সোনা মসজিদ,চাপাই নবাবগঞ্জ।ণ
Indian side: Mahadipur, Maldah, West Bengal, India

15. ধানুয়া Kamalpur Land Port.
BD side: বকশিগঞ্জ ,জামালপুর।
Indian side: Mohendragonj, Ampoti, Meghalaya, India

16. শিউলা Land Port.
BD side:শিউলা,বিয়ানীবাজার, সিলেট
Indian side: Sutarkandi, Karimganj, Assam

17. বেল্লা Land Port.
BD side: বেল্লা, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ
Indian side: Paharmura, Khoai, Tripura.

18. হিলি Land Port.
BD side: হিলি,হাকিমপুর,দিনাজপুর ।
Indian side: Hili, South Dinajpur, West Bengal, India

19. বাংলাবান্ধা Land Port.
BD side: তেতুলিয়া,পঞ্চগড়।
Indian side: Fulbari, Jalpaiguri, West Bengal, India

20. টেকনাফ Land Port.
BD side: Teknaf, Cox’s Bazar
Myanmar side: Mungdu, Myanmar

21. বিবিরবাজার Land Port.
BD side: Sadar Upazila, কুমিল্লা
Indian side: Srimantapur, Sunamura, Agartala, Tripura

22. বিরল Land Port.
BD side: বিরল,দিনাজপুর।
Indian side: Radhikapur (Goura), West Bengal, India

Proposed Land Ports

1. মুজিব নগর Land Customs Station
BD side: Mujibnagar, Meherpur
Indian side: Hridoypur, Chapra, Nadia, West Bengal

2. প্রাগপুর Land Customs Station
BD side: Daulatpur, Kushtia
Indian side: Shikarpur, Karimpur

02/04/2024

ঢাকার কাছেই ১দিন ইফতার করতে গেলাম, তবে পুরাই হতাশ

01/03/2024

স্বামী-স্ত্রীর যেসব কাজেও সাওয়াব হয়

স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক ভালোবাসা ও মায়া-মমতার উপর প্রতিষ্ঠিত দাম্পত্য জীবন। মহান আল্লাহ তাআলা ভালোবাসা ও সুখ-শান্তিময় এ বন্ধনের কথা তুলে ধরেছেন কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ। আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সুরা রূম : আয়াত ২০-২১)

সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সুসম্পর্ক ও ভালবাসার মর্যাদা ব্যাপক। কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাসহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে সাধারণ আচার-আচরণে রয়েছে সাওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। যা হতে পারে দুনিয়ার সব মানুষের জন্য গ্রহণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। তাহলো-> পাস্পরিক ভালোবাসা- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ তাঁকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। আর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুন্নাত বা আদর্শ হচ্ছে স্ত্রীকে ভালোবাসা। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার কাছে তোমাদের পার্থিব সামগ্রীর মধ্য থেকে প্রিয় করে দেয়া হয়েছে- ‘স্ত্রী ও সুগন্ধিকে। আর নামাজকে আমার জন্য বানানো হয়েছে চক্ষু শীতলকারী।’ (ত্বাবারানি)

- স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের ভালোবাসা যদি আল্লাহর জন্য হয় আবার ঘৃণা করাও যদি তার জন্য হয় তবে তারা আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়া ৭ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত হবে। সুতরাং দাম্পত্য জীবনে দ্বীনদারী, ইবাদত-বন্দেগি, সততা, নৈতিকতা, সচ্চরিত্র, সদাচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভালোবাসা এবং ঘৃণা হবে আল্লাহর জন্য।

- দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর যদি একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার সঙ্গীর জন্যও তাই পছন্দ করে ; তবে তারা উভয়ে ঈমানের প্রকৃত সাধ অস্বাদন পাবে। হাদিসে এসেছে-হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করবে-- অন্য সবার তুলনায় যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক প্রিয়।- যে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তাঁর বান্দাকে ভালোবাসে। আর- যাকে আল্লাহ কুফর থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তারপর সে কুফরের দিকে ফিরে যাওয়াকে এমন অপছন্দ করে যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে।’ (মুসলিম)

পারস্পরিক কথাবার্তাদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরের সঙ্গে সুন্দর ভাষায় কথা বলে তবে হাদিসের পরিভাষায় তাদের জন্য রয়েছে সাদকা করার সাওয়াব। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একটি ভালো কথা হল সাদকা।’ (বুখারি)

> হাসি মুখে কথা বলাদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরের সঙ্গে মুচকি হেসে কথা বলে তবে হাদিসের পরিভাষায় তাদের জন্য তাতেও রয়েছে সাদকা করার সাওয়াব। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমার ভাইয়ের (সাক্ষাতে) মুচকি হাসাও একটি সাদকা।’ (তিরমিজি)

> পরস্পরিক আনন্দদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরকে খুশি করা আল্লাহর কাছে নেক আমল হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ হলো- কোনো মুসলিমের হৃদয়ে আনন্দ প্রবেশ করানো।’

> পরস্পরের উপকারদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরের কোনো উপকার করে বা ভালো কাজ করে তবে এর বিনিময়ে সাদকার সাওয়াব লাভ করবে। আর একজন অপর জনের উপকার করায় আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ ও প্রিয় মানুষ হওয়ার মর্যাদা লাভ করবে তারা। একাধিক হাদিসে এসেছে-- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজ সাদকা। আর তোমার তোমাদের ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাটাও একটি ভালো কাজ।’ (তিরমিজি)- ‘যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ।’ (ইবনে হিব্বান)- ‘আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক প্রিয় যে সর্বাধিক মানুষের উপকার করে।’

পারিবারিক খরচদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক খরচ বহন ও একে অপরের মুখে খাবার তুলে দেয়ায় রয়েছে শ্রেষ্ঠ সাদকার সাওয়াব পাওয়ার ঘোষণা। হাদিসে এসেছে-প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ সাদকা হল, একজন মানুষ তার স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)শুধু তা-ই নয়, অন্য হাদিসে ‘স্ত্রী পরিবারের জন্য খরচ করাকেও সাদকার সওয়াব বলা হয়েছে’ যদি সাদকার নিয়তে খরচ করা হয়।’

> বিধিনিষেধ মেনে চলাদাম্পত্য জীবনে আল্লাহর বিধিনিষেধ মেনে চলায় রয়েছে বিশেষ সাওয়াব ও উপকারিতা। স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করে, তাতেই তারা সদকার সাওয়াব পাবে। হাদিসে এসেছে-‘সৎকাজের আদেশ দেয়া, অসৎ কাজ হতে বিরত রাখা সাদকা।’ (মুসলিম)

মনে রাখতে হবেদাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক ও স্বাভাবিক কথাবার্তায় শুধু সাওয়াবই নয় বরং পারিবারিকভাবে তা হতে পারে পরস্পরের দাওয়াতি কাজের অংশ। পরিবারে উভয়েই হতে পারে স্বাতন্ত্র দাঈ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনেও এর শুভ সূচনা হয়েছিল। তিনি সর্ব প্রথম নিজ স্ত্রী হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছেই নবুয়তের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তার কথা ও কাজের সুন্দর প্রকাশ ও বাস্তবায়ন হয়েছিল আম্মাজান হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার মাঝে। সর্বকালে সর্বযুগে বিশ্বনবি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবন অনুপ্রেরণা ও কল্যাণ লাভের একমাত্র উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে মাঝে সব স্বাভাবিক কথা ও কাজকে সাওয়াবে পরিপূর্ণ করে দিন। হাদিসের আলোকে শান্তিপূর্ণ সুখময় জীবন হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

Address

Goran

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md K R Rimon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Md K R Rimon:

Share

Category