30/07/2023
#মুহাররাম মাসের ১০ তারিখকে ‘আশূরা’ বলা হয়। বিশেষভাবে এ দিনটির সিয়াম পালনের উৎসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। জাহিলী যুগে মক্কার মানুষেরা আশূরার দিন সিয়াম পালন করত এবং কাবা ঘরের গেলাফ পরিবর্তন করত। হিজরতের পূর্বে মক্কায় অবস্থান কালে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজেও এ দিন সিয়াম পালন করতেন। মদীনায় হিজরতের পরে তিনি এ দিনে সিয়াম পালনের জন্য মুসলিমদেরকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে ইবনু আব্বাস (রা) বলেন:
إنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَدِمَ الْمَدِيْنَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَآءَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِيْ تَصُومُوْنَهُ فَقَالُوا هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ أَنْجَى اللهُ فِيْهِ مُوْسَى وَقَوْمَهُ وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ فَصَامَهُ مُوْسَى شُكْرًا فَنَحْنُ نَصُومُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوْسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ
“রাসূলুল্লাহ ﷺ মদীনায় এসে দেখেন যে, ইহূদীরা আশূরার দিনে সিয়াম পালন করে। তিনি তাদেরকে বলেন, এ দিনটির বিষয় কি যে তোমরা এ দিনে সিয়াম পালন কর? তারা বলেন, এটি একটি মহান দিন। এ দিনে আল্লাহ মূসা (আ) ও তার জাতিকে পরিত্রান দান করেন এবং ফিরআউন ও তার জাতিকে নিমজ্জিত করেন। এজন্য মূসা কৃতজ্ঞতা-স্বরূপ এ দিন সিয়াম পালন করেন। তাই আমরা এ দিন সিয়াম পালন করি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মূসার (আ) বিষয়ে আমাদের অধিকার বেশি এরপর তিনি এ দিবস সিয়াম পালন করেন এবং সিয়াম পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন।” (১)
রামাদানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশূরার সিয়াম ফরয ছিল। রামাদানের সিয়াম ফরয হওয়ার পর আশূরার সিয়াম মুস্তাহাব পর্যায়ের ঐচ্ছিক ইবাদাত বলে গণ্য করা হয়। তা পালন না করলে কোনো গোনাহ হবে না, তবে পালন করলে রয়েছে অফুরন্ত সাওয়াব। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“আমি আশা করি, আশূরার সিয়াম-এর কারণে আল্লাহ পূর্ববর্তী বৎসরের কাফফারা করবেন।(২)
১. বুখারী, আস—সহীহ, ২/৭০৪, ৪/১৭২২; মুসলিম, আস—সহীহ ২/৭৯৬।
২. মুসলিম, আস—সহীহ ২/৮১৮।
#ইসলাম