কাফেলা

কাফেলা Hi, this is the official page of "কাফেলা" YouTube channel. Stay tuned by following. Thanks for visiting.

03/07/2022

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর গুরুত্ব শরীয়তে কেমন দেওয়া হয়েছে, দেখুন।
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।”
সুনানে তিরমিযি ১১৬০
ছহীহুল জামে ৫৩৪
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।”
ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩
ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬
সুনানে আবু দাউদ ২১৪১
নাসাঈ
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”
তাবরানী ১০৮৬
সুনানে তিরমিযি ৩৬০
হাকেম
সিলসিলা ছহীহা ২৮৮
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।”
ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫
ছহীহ মুসলিম ২৪১৭
দারেমী ১৭২০
সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।”
নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫
বাযযার ২৩৪৯
তাবরানী
হাকেম ২৭৭১
বাইহাক্বী ১৪৪৯৭
সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”
ছহীহুল জামে ৫২৫৯
তাবরানী
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।”
মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩
নাসাঈ
হাকিম
বায়হাক্বী
*** মহানবী ﷺ বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।”
তিরমিযি ১১৭৪
ইব্নে মাজাহ ২০১৪
*** মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন ।
সূরা আল বাক্বারা ২৩৪
ছহীহুল বোখারি ১২৮০
ছহীহ মুসলিম ৩৮০২

09/05/2022

**"হিকমা ও সাকিনা"**

আল্লাহ সুবহানুওয়াতা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।

যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা। আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।

টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।

আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে, যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।

উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।

টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।

আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা। যাকে আল্লাহসুবহানুওয়াতা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।

রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক। রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ধন-সম্পদ। আর সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে সুস্থতা, হিকমা, পবিত্র স্ত্রী, উত্তম সন্তান, উত্তম আমল।

জাগতিক দৌড়ে পিছিয়ে থাকা মানে আপনি পিছিয়ে নন। আপনার সকাল হয় আপনার রবকে ভুলে, দুপুর বিকেল রাত একটিবারের জন্যও আপনি সেজদাবনত হন না, সেই কবে কোরআন পড়েছিলেন মনে নাই, একরাশ পরিশ্রান্ত দেহমন নিয়ে ঘুমাতে যান রবকে ভুলে গিয়ে। অনেক সম্পদ আপনার, কিন্তু সাকিনা নেই। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় সে অনুভূতিটুকুও মরে গেছে।

একটু ভেবে দেখি- আমি কোথায় ছিলাম, কেন এসেছি, আবার কোথায়ই যাব, কেনইবা যাব, যাবার প্রস্তুতিই বা কতটুকু!?

আসুন PAUSE বাটনটা চাপি,
ভুলেই গেছি মাঝে মাঝে থামতে হয়, ভাবতে হয়। আর কতো আমরা দৌঁড়াব?

collected

09/05/2022

‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগিরা।’
অর্থ : (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)

'রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমু'মিনিনা ইয়াওমা ইয়া ক্বুমুল হিছাব।’
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)

24/04/2022

শরীয়তে নাকি বউ ঘরের কাজ করতে বাধ্য না!

একদা ফাতিমা (রা.) গৃহস্থালীর কাজের চাপ, নিজের হাড়ভাঙা খাটুনি ও কষ্টের কথা নিজের আব্বাজানের কাছে বললেন।

তিনি ছিলেন এমন পিতা যিনি তার কন্যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। যাঁর সাথে রাসুল ﷺ তাঁর দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর মিলিত হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছিলেন। যা শুনে তিনি হেসে উঠেছিলেন (রাদিআল্লাহু আনহা)।

তাঁর একার পক্ষে অত্যন্ত কষ্ট হওয়ায় তিনি রাসুল ﷺ এর নিকট কাজে সাহায্যের জন্য একজন খাদেম চাইলেন।

রাসুল ﷺ তাঁকে খাদেম দিলেন না। যেখানে রাসুল ﷺ মদীনায় ইসলামি হুকুমতের প্রধান। তাই এতে কোন সন্দেহ-ই নেই যে তার নিকট অতিরিক্ত খাদেম ছিলো না। এবং ওই দিনও নতুন কয়েকজন গোলাম এসেছিল। এ সত্ত্বেও রাসুল ﷺ তাঁকে খাদেম না দিয়ে নিজ হাতে ঘর-বাড়ির সকল কাজ করার নির্দেশ দিলেন।

উপরন্তু ঘরের কাজ করার অলসতা কাটিয়ে উঠার নিয়ম বলে দিলেন। তিনি তাকে বললেন, ❝যখন তোমরা (আলী ও ফাতিমা) শয়ন করবে তখন ৩৪ বার 'আল্লহু-আকবার' ৩৩ বার ‘সুবহা-নআল্ল-হ' এবং ৩৩ বার ‘আলহামদু লিল্লা-হ’ পড়বে। এটা তোমাদের জন্য খাদেম থেকেও উত্তম হবে।❞

স্বামীর ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যাবতীয় খেদমত করা স্ত্রী হিসেবে নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যর অন্তর্ভুক্ত এটা আমরা সীরাহ থেকেই দেখতে পাই যার সাক্ষ্য দেয় সহিহ হাদিসও।

স্বামী, তার সন্তান এবং পরিবারের হক্ব আদায় করা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব। সর্বকাজ নিজের হাতে করা তো ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহারও সুন্নাহ। মোহর হিসেবে মোহরে ফাতেমি চাওয়া বা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহার জীবদ্দশায় আলী রাদি.-র এক বিয়ে টেনে আনা বোনেরা কেন তার মতো একা হাতে সব কাজ করতে পারবে না? বরং তাদের তো উচিত প্রযুক্তির এই যুগেও যাতা সহ প্রাচীন সব সরঞ্জাম ব্যবহার করা। যেহেতু, নিজেদের জন্য সুবিধাজনক ক্ষেত্রে উনাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।

ততোধিক আশ্চর্যের কথা হচ্ছে, সাহাবিয়া মহিলাগন ঘরে যেভাবে কাজ করতেন সেভাবে নিজেদের ক্ষেত খামারেও কাজ করতেন।

উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহা তার বিয়ের পর প্রাক্তন স্বামীদের ব্যবসা সহ সকল সম্পদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে হস্তান্তর করে তিনি পুরোদস্তুর গৃহীনি হয়ে গিয়েছিলেন।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা তাঁর ঘরের যাবতীয় কাজ নিজে করতেন।

❝আটা কুটতেন নিজেই।❞ [বুখারী শরীফ]

❝খামির নিজে বানাতেন। রুটি বানাতেন নিজে। রান্না করতেন নিজেই।❞ [বুখারী, আবূ দাউদ]

❝বিছানা বিছাতেন নিজে।❞ [শামায়েলে তিরমিযী]

❝অযুর পানি নিজেই আনতেন।❞ [মুসনাদে আহমাদঃ৬/৬৮]

❝রাসূলুল্লাহ ﷺ কুরবানির জন্য যে উট পাঠাতেন, সেটার দেখাশুনাও নিজেই করতেন।❞ [বুখারী-হজ্জ অধ্যায়]

❝তিনি রাসূলুল্লাহর ﷺ মাথাও আঁচড়ে দিতেন।❞ [বুখারীঃ ই'তিকাফ অধ্যায় ]

❝রাসুল ﷺ এর শরীরে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতেন।❞ [বুখারীঃ হজ্ব অধ্যায়]

❝রাসূলের ﷺ কাপড় ধুয়ে দিতেন।❞ [বুখারীঃ গোসল অধ্যায়]

❝শোয়ার পূর্বে রাসূল ﷺ এর মিসওয়াক ও পানি ঠিক করে দিতেন।❞ [মুসনাদে আহমাদঃ ৬/৫৪].

❝রাসূল ﷺ এর মিসওয়াক পরিষ্কার করে দিতেন।❞ [আবূ দাউদঃ তাহারাত অধ্যায়]
❝আম্মাজান আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা'র ঘরে কোনো মেহমান এলে মেহমানের আপ্যায়নের কাজটাও তিনিই করতেন।❞ [আবু দাঊদ শরীফ- শিষ্টাচার অধ্যায়]

আমাদের জানা থাকা দরকার, উম্মুল মুমিনীন আম্মাজান আয়েশা (রা.) উম্মতের মধ্যে এত বড় একজন ফক্বীহ, আলেমা হওয়া সত্ত্বেও নিজ হাতে এসব করেছেন। আবার আমরা এটাও জানি তাঁর সারাজীবন যা সমস্ত মুমিন নারীদের জন্য উত্তম আদর্শ। অথচ বাস্তবিক অর্থে সাংসারিক কাজ কর্মের ক্ষেত্রে উনাকে আমরা কতজন আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছি?

শারয়ী ওজর থাকলে এবং জীবন পরিচালনার তাগিদে নারী প্রয়োজনে বাইরে পর্দার সাথে কাজ করতে পারবেন, সেটা ভিন্ন বিষয় এবং ভ্যালিড ওজর।

মুসলিম নারীদের মনে রাখা দরকার যে, জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রাপ্ত খাদিজা রা. আয়েশা রা. ফাতিমা রা. এবং অন্যান্য উম্মুল মুমিনীনগণ, নারী সাহাবিয়াগণ গৃহস্থালি কাজ করেই জান্নাতের সর্দারনী হয়েছেন। সাংসারিক কাজকর্ম খাদেমার উপর ছেড়ে দিয়ে, নিজেরা সো কল্ড ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিয়ে তারা জান্নাতি হতে পারেন নি!

ইসলামের বিধান নারীর জন্য নামাজের উত্তম স্থান ঘরের সবচেয়ে ভেতরের ঘরের কোনায়। ফিতনার এই যুগে ফেমিনিজম ও ততোধিক বিষাক্ত দ্বীনি ফেমিনিজম এর ফিতনা হতে নিজেকে বাঁচিয়ে, চূড়ান্ত কামিয়াবির লক্ষ্যে আমাদের বোনদের উচিত উম্মুল মুমিনীনদের ও সাহাবিয়া রাদিআল্লাহু আনহুমাদের আদর্শ অনুযায়ী জীবন গড়ে তোলা।

আল্লাহ তায়ালা বোঝার তৌফিক দান করুক।

প্রকাশ থাকা আবশ্যক যে, মানবজাতির সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্যই হল আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা। আর ঘরের কাজ করা নারীদের জন্য ইবাদত স্বরূপ। উম্মুল মুমিনীন এবং সাহাবিয়া রাদিআল্লাহু আনহাদের সুন্নাহ স্বরূপ।

❝রাসুল ﷺ ঘরে রান্না করেছেন এমন কোন বর্ণনা কোথাও নেই।

রাসুল ﷺ যেসকল কাজে পরিবারকে সাহায্য করেছেন তা পুরুষসুলভ কাজ ছিল। সেজন্য আমাদের ভালো করে বুঝে নেওয়া দরকার, রান্না-বান্না এবং সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্ব একান্তই নারীর। স্বামী সাহায্য করলে সেটা তার একান্ত অভিরুচি। এসব কাজ করা সুন্নাহ তো নয়ই উপরন্তু তিনি শারয়ীভাবে এসব করতে বাধ্যও নন।❞

এতদ আলোচনা পরবর্তীতে এখন প্রশ্ন হচ্ছে,

জান্নাতের সরদারনী যদি, স্বামীর ঘরে যাতা পিষে হাতের ছাল তুলে ফোস্কা ফেলে দিতে পারেন! তাহলে খাদেমা চাওয়ার আমি কে? এরপরেও যদি খাদেমার আশায় আমরা বসে থাকি, তাহলে এই লজ্জা আমরা রাখিবো কোথায়?

18/04/2022

কেউ যদি কদরের রাতে আমল করতে চান, এই নিয়মে করতে পারেন...

১। রাত দশটার পর থেকে টিভি বা মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকুন।

২। বেশি গরম লাগলে গোসল করুন ও পরিষ্কার পোষাক পরিধান করুণ।

৩। কোরআন পড়তে পারলে ১২ টার আগ পর্যন্ত কোরআন পরুন।

৪। বেশি বেশি নফল আর হাজতের নামাজ পড়ুন।

৫। রাত ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জিকির করুন। যেমনঃ-
(১) সুবহানাল্লহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার। (১০০ বার করে)

(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লহ (২০০ বার)

(৩) আস্তাগফিরুল্লহ (কমপক্ষে ৫০০ বার, যত বেশি সম্ভব হয়)

(৪)বেশী বেশী দুরুদ পড়া।

(৫) সুবহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)

(৬)"লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ'লা কুল্লি শাইয়্যিন কদির" (কমপক্ষে ১০০ বার)

(৭) দুয়া ইউনুস - "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যলিমীন" ।(যত পারেন)

(৮)"সুবহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লহিল 'আযীম।" (কমপক্ষে ১০০ বার) ।

(৯) "লা হাওলা ওয়ালা কুওওতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি পড়তে পারেন।

(১০) সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।

(১১) স্যায়েদুল ইস্তগফার পাঠ করা।

৬। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পরুন ৮ রাকাত। রুকু ও সিজদায় বেশি সময় ব্যয় করুন।পারলে সিজদায় দোয়া করা।

৭। তাহাজ্জুদের পর তিন রাকাআত বিতরের নামাজ পরুন।

৮। সেহরি খাওয়ার পূর্বেই হাত তুলুন মালিকের কাছে। আপনার প্রয়োজনের সব কিছু খুলে বলুন..একটু চোখের পানি ফেলে বলুন, "মালিক, আমি আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই হাত পেতেছি... খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না.....ইত্যাদি...

৯। সেহরি খান।

১০। ফজরের নামাজ পড়ুন।

উপরের কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমান সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।..." [মুসলিম ২৬৭৪]

রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে যে কোন দিন শবে কদর হয়ে যেতে পারে। তাই শবে কদরের রাত মিস করতে না চাইলে, বিশেষ করে বিজোড় রাতে এই আমল গুলো করুন।
আল্লাহ্‌ আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।আমিন।

14/04/2022

৭-৮ বছর আগের কথা। বৈশাখের আগে এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল,
- বন্ধু তুমি আগে মুসলিম নাকি আগে বাঙালি?

প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললাম। বললাম, আগে তুমি বল।
ও বলল,
- আমি আগে বাঙালি....
- বাঙালি বলতে তো এপার-ওপার দুই বাংলাই বুঝায়। তুমি বাঙালি নাকি বাংলাদেশী.....?
- আচ্ছা, আমি বাংলাদেশী... আর সবার আগে আমার বাঙালিয়ানা....। এবার তুমি বল।

আমি বললাম,
- "দেখ, জন্ম হবার পরই কানে আজান শুনেছিলাম। বাঙালিয়ানার মন্ত্র কেউ পড়েনি। এর কদিন পর দুইটা খাসী জবাই করে আকিকা করে নাম রাখা হয়েছিল আতিক। বড় হয়েছি নামাজ, রোজা, ঈদ, কুরবানি, ইফতার, সেহেরি, হজ্ব, যাকাত এগুলো দেখতে দেখতে। আরো ছিল সুন্নতে খৎনা, বিয়ে আর দাফন - জানাজা। এগুলো সবই তো ধর্মীয় সংস্কৃতি।

আর বৈশাখ এলে মেলা বসত। ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যবসায়ীরা তাদের পরিশ্রমলব্ধ সব সামগ্রী বিক্রি করতেন। মা-আন্টিরা ভর্তা জাতীয় বিভিন্ন বাংলা খাবারের আইটেম বানিয়ে আশপাশে পাঠাতেন। আর শিশুদের জন্য ছিল বিভিন্নরকম খেলার রাইড।

বড় হয়ে জানলাম, বৈশাখ মানে নাকি আসলে উচ্চমূল্যে পান্তা-ইলিশ কিনে খাওয়া আর লাল-সাদা নতুন পোশাক কিনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টানো।

আরো জানলাম বাঘ, প্যাঁচা, ইঁদুর, ভাল্লুক, ময়ুর এগুলো নাকি আসল মঙ্গলের প্রতীক আর এগুলো নিয়ে শোভাযাত্রা করাতেই জাতির সমস্ত মঙ্গল নিহিত।

এই যে বাঙালিয়ানা, এগুলো দেখছি বছর বছর পরিবর্তনশীল.... কিন্তু আমাদের ধর্মের যে নির্দেশনা সেটা কিন্তু ১৪৪০ বছর ধরে অবিকৃত।"

মজার ব্যাপার হল, সেই বন্ধু এর বছর দুই পরেই সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি জমিয়েছিল।

এরপর হতে ওর পরিবর্তনগুলো অবাক হয়ে দেখি। বেশ কিছুকাল ধরে ও সন্তানদের নিয়ে থ্যাংকস গিভিং, হ্যালোউইন, নিউ ইয়ার এগুলোও দেখি পালন করে।

বুঝলাম না, বন্ধু কখন হতে বাঙালিয়ানা ভুলে গিয়ে আমেরিকানো হয়ে গেল!!

বৈশাখ নিয়ে আমার কোন এলার্জি নেই। কিন্তু ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো যে সচেতনভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, এখানে ভালরকম আপত্তি আছে।
আর সংস্কৃতি এমন হওয়া উচিত যা সকল শ্রেণীর জন্য সহজে পালনীয় হবে। এমন হওয়া উচিত নয় যে, হাজার হাজার টাকার নতুন পোশাক কিনে হাজার হাজার টাকার পান্তা ইলিশ খেতে হবে....

এই লিখা লিখতে লিখতে দেখলাম একটা ইনবক্স এলো,
- বন্ধু, আগামীকাল চারুকলার ছেলেমেয়েরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করে মঙ্গল গ্রহের দিকে রওয়ানা দিচ্ছে, যাবে নাকি!!

আগামীকাল অবশ্য রোজা রেখে পান্তা ইলিশ খাওয়ার সুযোগ নাই। দুপুর ২ টায় বৈশাখের সব কার্যক্রম বন্ধ।
তীব্র রোদে জাতির মঙ্গল করতে গিয়ে নিজের অমঙ্গল ডেকে আনার চেয়ে দুই পাতা কুরআন পড়লে সওয়াব বেশী হবে। ওরা বরং মঙ্গল গ্রহে ঘুরে আসুক।

শুভ নববর্ষ !

বিঃদ্রঃ
সত্যিকার মঙ্গল চাইলে রমজান মাসে বাঙালি মুসলিমদের জন্য কুরআন হাদিসের কিছু বাণী....

ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন’: আল হাদিস। ‘রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়’: আল হাদিস। ‘রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়’: আল হাদিস। ‘রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল’: আল হাদিস।

‘রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ’: আল হাদিস। ‘রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম’: আল হাদিস। ‘রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য সুপারিশকারী হবে’: আল হাদিস।

‘রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন’: আল হাদিস।

08/04/2022

যখন আপনি কন্টিনিউয়াসলি গুনাহ করতে থাকবেন, এক সময় আপনার বড় কিংবা ছোট কোন গুনাহকে আর গুনাহই মনে হবে না।

হয়তো নামাজে দাঁড়ানো হবে কিন্তু সেই নামাজ হবে অন্তঃসারশূন্য। কয়েক মিনিট রবের সামনে দাঁড়ানো অনেক ভারী মনে হবে। দেখবেন সারাদিন কত সময় অনর্থক কাজে ব্যয় করছেন কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা কুর'আন তিলাওয়াতের জন্য সময় বের করতে পারছেন না। এক ফাঁকে মাসনুন যিকির গুলো করা দরকার তাও যেন মন সায় দিচ্ছে না।

কোমল হৃদয়ের আপনার এক সময় আল্লাহর ভয়ে চোখে অশ্রু ঝরতো। এখন আর আল্লাহর দরবারে হাত তোলার, আল্লাহর ভয় আর ভালোবাসায় দু ফোঁটা অশ্রু ফেলানোর ফুরসত হয়ে উঠে না।

এমন একটা সময়ে আপনি পড়ে থাকেন যে, গুনাহগুলোকে আপনার কাছে তৃপ্তিময় মনে হয়। গুনাহগুলোকে আপনার শান্তি মনে হয়। অথচ আপনি মানতে চান না আপনি গুনাহের মধ্যে নিজেকে ঢেলে দিয়েছেন। আর আপনি আপনার রবের সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে ফিরে আসতে পারবেন না। কিন্তু আপনি আপনার রবের সাহায্যও চান না। কারন সেই ইচ্ছেটাও আপনার হয়না, কিংবা সেই ইচ্ছেটা হলেও অন্তর থেকে সেই চাওয়াটা আসেনা।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
مَنۡ یَّشَاِ اللّٰہُ یُضۡلِلۡہُ ؕ وَ مَنۡ یَّشَاۡ یَجۡعَلۡہُ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ

আল্লাহ যাকে চান, তাকে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান তাকে সরল পথে অটল রাখেন। (সূরা: আন’আম : ৩৯)

সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষ হেদায়েতপ্রাপ্ত অথবা পথভ্রষ্ট হয়। কিন্তু তাই বলে কি আল্লাহ এমনি এমনিই মানুষকে হেদায়েত দেন অথবা পথভ্রষ্ট করেন? নিশ্চয় না। যদি আল্লাহ বিনা কারণেই এক বান্দাকে হেদায়েত দিত ও অপর বান্দাকে পথভ্রষ্ট করত তাহলে এটা হতো অত্যাচার বা জুলুম। কিন্তু আল্লাহ জুলুমকারী নন। তাই আল্লাহর ইচ্ছায় হেদায়েত বা পথভ্রষ্ট হওয়া নিয়ে মুমিন ও মুসলিমদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। মহান আল্লাহ বলেছেন,
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَظۡلِمُ النَّاسَ شَیۡئًا وَّ لٰکِنَّ النَّاسَ اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ

নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি কিছুমাত্র যুলম করেন না; বরং মানুষই নিজদের উপর যুলম করে। (সূরা: ইউনুস : ৪৪)

যতক্ষন পর্যন্ত গুনাহ গুলোকে আপনার কাছে গুনাহ মনে না হবে, ততদিন আপনি ফিরে আসতে পারবেন না। যখন থেকে উপলব্দি করবেন আপনি গুনাহে লিপ্ত; আপনি গুনাহ করছেন। এবং তখন থেকে যদি সেই গুনাহ পরিত্যাগ করতে একটু পরিমানও চেষ্টা চালিয়ে যান, এবং চেষ্টা করতেই থাকেন। তবে সয়ং আল্লাহ আপনার জন্য অনেক পথ খুলে দিবে। আপনাকে সাহায্য করবে।

তাই প্রথমত হেফাজত করুন নিজের দৃষ্টির। এরপর নিজের নফসের। এই দুইটা যদি হেফাজত করা শিখে যান; দেখবেন বাকি গুনাহগুলো আপনাকে ছেড়ে দিতে শুরু করবে। কারন দৃষ্টি আর নফসই আপনাকে সব ধরনের গুনাহের দিকে ধাবিত করে। এর ধারাই শয়তান আপনাকে প্ররোচিত করে। তাই সাহায্য চেয়ে যান আল্লাহর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

Address

Habiganj Sadar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাফেলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাফেলা:

Share