11/11/2025
যে মেয়েটি বাংলাদেশ কে ভালবেসে আমেরিকার সিটিজেনশিপ নেয়নি,যার দুচোখে শুধু বাংলাদেশের স্বপ্ন,যে মেয়েটি বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর বিশেষ এক নিঅমাত তাকে যারা অবহেলা করে তারা বাংলাদেশের ভালো চায়না ইউনুস সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে আমাদের হবিগঞ্জের উপদেষ্টা আমার দৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় এক উপদেষ্টা। আমাদের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা সিদ্দিকা আপা ফাতিহা আয়াতকে পাত্তা ই দিল না। ফাতিহা আয়াতের দুঃখ ভারাক্রান্ত পোস্টটি সবাই পড়বেন
Faatiha Aayat এর আইডি থেকে কপি :-
যোগ্যতা ও ইচ্ছা থাকলেও কেন বাংলাদেশ এর জন্য অনেকেই অনেক কিছু করতে পারে না, তা এখন আমার থেকে ভালো খুব অল্প লোকেই জানে। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি কি তবে অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করছি?
কেন বলছি একথা?
আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। নিউইয়র্ক থাকতে জাতিসংঘের এরকম আয়োজনে বক্তব্য রেখেছি মোট সাতবার। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই সব সম্মেলনে একবারও আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করিনি। প্রতিবারই বাংলাদেশের সাসটেইনেবল অ্যাডাপ্টেশন ও ক্লাইমেট মিটিগেশন নিয়ে কথা বলেছি।
এমনকি যৌথ নদীগুলো থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির নায্য হিস্যা চেয়ে ভারতীয় ডেলিগেটদের লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার শিকার হয়েছি সেটাও আপনারা দেখেছেন। না দেখলে সেই অপমান ও অপদস্থ হওয়ার ভিডিও এখনো দেখে নিতে পারেন ফেসবুক বা ইউটিউবে।
গতবছর আমি দেশে আসার পর থেকে এটা দ্বিতীয় ক্লাইমেট কনফারেন্স। দুইবারই আমাদের পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ম্যামের সাথে সরাসরি যেগাযোগ করেছি।
বলেছিলাম কিয়োটো প্রটোকল, বালি এন্ডোর্সমেন্ট, কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড, প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট আর গ্লাসগো প্যাক্ট এর উপর আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে Green Climate Fund এর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য জরুরী ভিত্তিতে অর্থ ছাড় করানোর জন্য আমি ভয়েস রেইজ করতে চাই।
এছাড়া UN Sustainable Development Solutions Network এর কাছে নদী ভাঙন, নাব্যতা হ্রাস, মৌসুমি প্লাবন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, ভুমি ধ্বস, অতিরিক্ত পলিপ্রবাহ সহ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা কমানোর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রকৌশলগত সমাধান চাইব বলেছিলাম।
আপনারাতো জানেনই বৈশ্বিক এই ফোরামগুলোতে ইয়ুথ ভয়েস কে কতটা প্রাধান্য দেয়া হয়।
তার হেয়াটসঅ্যাপে আমি বহুবার নক করেছি। তিনি রিপ্লাই দেন “Noted”। ১০ মিনিটের একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি, তিনি রিপ্লাই দেন “Wish I had that 10 minutes”।
এমনকি এও বলেছি, আমি নিজ খরচেই যাব আসব। সরকারি কোন ফান্ডিং লাগবে না। কিন্তু ম্যাম আমাকে পাত্তাই দেননি।
বাংলাদেশ নিয়ে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কথা বলার অনেক সুযোগ আমেরিকা থেকে পেয়েছি। ভেবেছিলাম দেশে আসার পর সেটা আরো বাড়বে। বাস্তবতা পুরোই উল্টো।
আফসোস!!
Faatiha Aayat