
24/03/2025
"বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা নন"
অবৈধ ইউনূস সরকারের এই ন্যারেটিভটি খুবই চমৎকার! এক্ষেত্রে যুক্তিটি হলো বঙ্গবন্ধু, বঙ্গতাজ, সৈয়দ নজরুল ইসলামরা যেহেতু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন নি, সেহেতু তারা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না, বড়জোর মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হতে পারেন। যেমন, ফুলুর মা এক বেলা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পুঁটি মাছের সালুন দিয়া ভাত রান্না করে খাইয়েছিলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। বঙ্গবন্ধু, বঙ্গতাজেরাও এমনই - সহযোগী!
মুক্তিযোদ্ধা হবেন শুধু মাঠের সৈনিকেরা এবং তাদের কমান্ডারগণ। সৈনিকেরা সরাসরি যুদ্ধ করেন, কমান্ডারগণ যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তবে সরকারে থাকা মন্ত্রীরা যেহেতু সামরিক ব্যক্তিত্ব নন এবং সৈনিকদেরকে কমান্ডও করেন না, সেহেতু তারা মুক্তিযোদ্ধা নন।
এ পর্যন্ত যুক্তি প্রায় অকাট্য! তবে সমস্যা একটু আছে বটে। শয়তান যতোই শয়তানি করুক, এক পর্যায়ে জালে আটকে যায়। এক্ষেত্রে ইউনূস শয়তানের জাল হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এই ঘোষণাপত্রে আছে,
"বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি; এবং
এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং
রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন;"
খুব খারাপ। দেখা যাচ্ছে, শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের শুধু কমান্ডারই নন, কমান্ডারদেরও কমান্ডার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সশস্ত্র বাহিনীসমূহের তিনিই সর্বাধিনায়ক!