19/03/2025
বদরের যুদ্ধই একমাত্র যুদ্ধ ছিল যে যুদ্ধে সরাসরি ফেরেশতারা অংশগ্রহণ করেছিল আল্লার নির্দেশ অনুযায়ী।
রাসূল (সাঃ) কোনরকম যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে বের হন নাই বদরের প্রান্তরের দিকে। মক্কার ব্যাবসায়ী কাফেলা ঠেকাইতে বের হয়েছিল। কারণ, রাসূল (সাঃ) চিন্তিত ছিলেন যে এই কাফেলা যদি মক্কায় পৌছে যায় তাহলে সে কাফেলার সব সম্পদই ব্যায় করা হবে মদীনার মুহাজিরগনকে ধ্বংসের কাজে।
রাসূল (সাঃ) মাত্র ৩১৩ থেকে ৩১৭ জনের একটি কাফেলা নিয়ে রওহা হয়েছিলেন। তিন শতাব্দীক লোকের মধ্যে ঘোড়া ছিল মাত্র ২টি আর উট ছিল ৭০টি। পালাক্রমে পায়ে হেঁটে এবং উটে সওয়ার হয়ে রওনা হয় বদরের প্রান্তরের দিকে।
অপরদিকে আবু জাহেল পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ১৩০০ মাক্কী ফৌজ নিয়ে বের হয়েছিল মক্কা থেকে। পুরো যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে রাসূল (সাঃ) একমুষ্টি বালি তুলে শত্রুদের দিকে নিক্ষেপ করে বললেন, 'চেহারাগুলো বিকৃত হোক' ফলে মুশরিকদের এমন কেউ বাদ যায়নি যার চোখের ভিতর ঐ বালু প্রবেশ করেনি।
বালু নিক্ষেপের পর রাসূল (সাঃ) নিজ বাহিনীকে বললেন, "তোমরা এগিয়ে যাও জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীন পরিব্যাপ্ত।"
রাসূল (সাঃ) বার বার আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে দোয়া করতে থাকেন, "হে প্রভু তুমি যদি এই দলকে ধ্বংস করে দাও, তাহলে জনপদে তোমার ইবাদাত করার আর কেউ থাকবে না।"
আল্লাহ সাহায্য পাঠিয়েছিলেন। গোড়ার লাগাম ধরে ধূলো উড়াতে উড়াতে এগিয়ে এসেছিল সে যুদ্ধে জিব্রীল (আঃ)। আল্লাহ নির্দেশ দিলেন, যাও তোমরা মুশরিকদের গর্দানে আঘাত হানো এবং তাদের জোড়ায় জোড়ায়মারো। মুহূর্তের মধ্যেই তুলোধুনো হলো মুশরিক বাহিনী। হাদিসের কোন কোন বর্ননায় এসেছে যে ফেরেশতারা কোন মুশরিকের উপর আক্রম করার ইচ্ছে করতেই আপনা আপনি তার মস্তক দেহ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।
সেই বদরের যুদ্ধ মাত্র অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে রাসূল (সাঃ) জয়লাভ করেছিলেন মুশরিকদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্যে।
আজ ফিলিস্তিনিদের দিকে তাকান, তারা কত দূর্বল। অকাতরে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা সন্তানের লাশ বুকে নিয়েও বলে যাচ্ছেন, " আমার জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট"
তাদের ঈমানের দৃঢ়তা দেখে আশ্চর্য হই। আরও আশ্চর্য হই আরব দেশগুলোর এমন স্বার্থেন্বেষী কাপুরুষতা দেখে। আল্লাহ তাদেরও পাকড়াও করবে একদিন। জাহেলী যোগের আরবরা ধ্বংস হয়েছিল রসূলকে (সাঃ) অস্বীকার করে, আল্লাহ ব্যাতিত অন্য বস্তুর উপাসনা করে। বর্তমানের এই আরবরা ধ্বংস হবে ইহুদিদের পূজা করে।
ফিলিস্তিন একদিন আজাদ হবে। ইহুদীরা ধ্বংস হবে। পালাতে চাইবে গাছের আড়ালে, পাথরের আড়ালে। সেদিন গাছ কথা বলবে, পাথর ডেকে ডেকে বলবে, আমার পিছনে একজন লুকিয়ে আছে দেখ, তাকে হত্যা করো। এই কান্না, এই আহাজারি একদিন ইনকিলাবের জন্ম দিবেই দিবে। ইনশাআল্লাহ।
"বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে"- সূরা ইউসুফ: ১১০.