06/07/2024
স্বাধীন এ দেশ বই-ম্যাগেজিন এসবেই যায় দেখা,
দেশ-জনতার ভাগ্যে শালার বন্দীশালাই লেখা!
চৌদ্দ শিখের সীমানা কম, দেশের সীমা বড়,
শিখের ভিতর কিবা বাইরে বেঁচে থাকতে লড়ো।
দেশটা তো নয় নিরাপদ আজ, আমরা তো নই স্বাধীন,
দেশের জন্যে আরেক যুদ্ধ হোক, তবু হোক স্বাধীন,
ধান-কৃষিতে স্বনির্ভর তো দেশটা কবেই হত,
সবজি খেয়ে রপ্তানিও অনেক করা যেত,
পাট রপ্তানি করে আমরা হতাম বিশ্বে সেরা,
কিন্তু এসব ধ্বংস কেন? কেও করে না জেরা!
নদীর পানির হিস্যা কি পাই, নদীর আইনটা মেনে?
মারে কেও লোক সীমানাতে তারের বেড়া টেনে!
আমার দেশের আঙিনাতে তোমার কাজটা কিসের?
কেও বলে না কেও বলিনি প্রশ্ন সত্যি বিষের!
ভালো যদি বাসোই তবে কেন্ দিয়েছ বেড়া?
আমরা মানুষ স্বাধীন নাকি আজ কারোর হই অধীন?
গার্মেন্টস শিল্প কোন রকম টায় দাঁড়িয়ে আছে,
এটা-ও কেও বর্গা দিবে স্বার্থে কারোর কাছে!
শ্রমিক বাজার হয় ব্যবহার কভু সঠিক মত?
এমন হলে বিশ্ব বাজার আজ আমাদের হত।
নাই অধিকার সমান বাঁচার শ্রমিক, গরীব লোকের,
নেই কেহ আজ, ধৈর্য্য নিয়ে শুনবে কথা দুঃখের।
এক লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের দেশে?
আজ আমাদের বসবাস তো অপরাধীর বেশে!
পরের স্বার্থে নিজের জমি, পথ-ঘাট সব দিয়ে,
ফিরি আমরা খুশি খুশি! মুলা হাতে নিয়ে।
নিজের বাজার সংস্কৃতি সব নিলামে তোলে!
দেখে শুধু নিজের আসন থাকবে কি-রে ঝুলে!
আমরাও ভাই কম কিসে আর ডরে ভয়ে থাকি,
কেও গোপনে নিরব নিরব আল্লাহ আল্লাহ ডাকি!
আল্লাহ মিয়ার পড়ছে টেকা টেনে তোলতে তোরে,
নিজ অধিকার ফিরাতে তুই যাস না যদি লড়ে!
এমন হলে যুদ্ধ-লড়াইর কথা বলতেন কেন?
লড়াই ছাড়া মুক্তি যে নাই, ভালো করে জেন।
অস্থিতিশীল এই পরিবেশ স্থির হবে ঠিক এ দিন,
আম জনতা লড়াই করে ফিরাবে তা যে দিন।