
28/07/2025
ধ্যান সাধনা কেন করবেন
পর্ব =২
বৈদিক যুগের মুনি-ঋষিরা বলেছেন যে, কর্ম করা বন্ধন নয়, বরং কর্মের *ঝে যখন মায়া এসে উপস্থিত হয় তখনই কর্ম বন্ধন হয়ে যায়। মায়া কর্মকে কলুষিত করে। কলুষিত কর্ম বন্ধন। মায়া বিহনে কর্ম বন্ধন নয়, বরং এবাদত। হাঁস জলের পুকুরে সারাদিন অবস্থান করে, কিন্তু সাঁঝের বেলায় হাড়পুকুর হতে যখন উঠে আসে তখন হাঁসের শরীরে আর জল থাকে না। কর্মের পুকুরে অবস্থান করো, কিন্তু মায়ার জল যেন গায়ে না লাগে। এ বড় কঠিন পরীক্ষা। এ বড় ভয়ংকর সাধনা। এ বড় প্রতিজ্ঞা নিয়ে সাধনরাজ্যে অগ্রসর হওয়া। মায়ার বন্ধন হতে মুক্তি পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়, কোনো মামুলি * বিষয় নয়, কোনো ছেলের হাতের মোয়া খাওয়ার মত নয়। তাই অতি অল্প সংখ্যক মানুষই কামিয়াব হতে পারে, তথা সিদ্ধিলাভ করতে পারে, তথা কামালিয়াত হাসিল করতে পারে। তাই পবিত্র কোরান বলছে যে, যাকে হেকমতের জ্ঞানদান করা হয় তাকে যথেষ্ট রহমত তথা কল্যাণ দান করা হয়।
এই রকম পীর তথা গুরু ধরেই মোরাকাবা-মোশাহেদার পথেই এগিয়ে যেতে হয়। পীর তথা গুরুর আচার-আচরণের বিষয়টি এখানে মুখ্য নয়, বরং মুখ্য বিষয়টি হল কেমন করে নিজের ভেতর হতে খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। যে পীর বা গুরু মোরাকাবা-মোশাহেদা তথা ধ্যান-সাধনার কথাগুলো মুরিদ তথা শিষ্যদের শিখিয়ে দেয় না, অথবা শেখাবার পদ্ধতি নিজেই জানে না, সে কেমন করে পীর তথা গুরু হয়? অনুমানের গুল মারা বিদ্যা এবং মহাপুরুষদের বাণীগুলোকে অনুমানের ভিত্তিতে প্রচার করে মুরিদদেরকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এই জাতীয় পীর ও গুরুদের আমরা কখনোই ব্যবসা করছে বলব না, কিন্তু এদের কাছে আসল পথটি পাওয়া বড়ই কষ্টকর। কারণ সুফিবাদ বাকিতে পাবার কথাতে বিশ্বাস করে না; তথা মরে গেলে পাবে এ রকম উদ্ভট আজগুবি কথায় সুফিবাদ বিশ্বাস করে না।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈