Probashi Fahim

Probashi Fahim বই, গল্প এবং পাঠক এই তিনটিই আমার ভিষন প্রিয়।
গল্প প্রেমিদের স্বাগতম।

◥◣ ★ ◢◤

☬﷽☬﷽☬
�☬��☬�
� Fahim�
�☬��☬��☬�
�☬�
�☬�
�☬�●F▬▬๑۩۩๑▬▬S●�☬�
☆ ✰ ✯

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো পর্বঃ ০৬লেখকঃ Prince Fahim """"""আজ শুক্রবার তাই আর ভার্সিটি যেতে হলো না । রুম থেকে বের হয়ে ব্রাশ ...
01/06/2025

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০৬
লেখকঃ Prince Fahim
""
""
""
আজ শুক্রবার তাই আর ভার্সিটি যেতে হলো না । রুম থেকে বের হয়ে ব্রাশ নিয়ে ছাদে চলে আসলাম,,,,,

এসে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম । কারন রিদি গোসল করে কাপড় শুকাতে দিতে ছাদে আসছে । সকালে উঠেই ওর মায়াবী চোখ গুলো দেখতে পেলাম ।

আহ্ কত সুন্দর ওর চোখ গুলো । ওর চুল শুকানোর দিকে এক পানে তাকিয়ে আছি । কিছুক্ষণ পর রিদিও আমার দিকে তাকালো আর বললো,,,,,,,

রিদিঃ তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন,,,?

ওর কথায় আমার ধ্যান ভাঙলো । তারপর আমি বললাম,,,,,,,

আমিঃ ক ক কই না তো ।

রিদিঃ ঐ পিচ্চি ওগুলো কি মেসেজ দাও হুমম ।

আমি তো শুনে চমকে উঠলাম । যাহহ ও কেমনে জানলো । তারপর আবার রিদি বললো,,,,,,

রিদিঃ কি হলো কথা বলছো না কেন ?

আমি না জানার ভান করে বললাম,,,,,,,

আমিঃ কো কো কোন মেসেজ ?

রিদিঃ নাটক করো না । আমি তোমার থেকে এক বছরের সিনিয়র মনে রেখ । আর এরকম করলে আন্টিকে বলে দিবো ।

আমিঃ না মানে,,,,

রিদিঃ এতো মানে মানে কইরো না ।

তখন আমি সাহস করে অনেক জোরেই বললাম,,,,,,

আমিঃ আমি আপনাকে ভালোবাসিইইই ।

রিদি একটু মুচকি হেসে বললো,,,,

রিদিঃ মাইর খাবা । আমি তোমার সিনিয়র ।

আমিঃ আমার কোনো সমস্যা নেই ।

রিদিঃ কিন্তু আমার সমস্যা আছে । আমি জুনিয়র জামাই চাই না । আর তাছাড়া আমার বয়ফ্রেন্ড আছে ।

আমিঃ সমস্যা নেই আমি দুই নম্বর জামাই হতেও রাজি হিহি ।

রিদিঃ তবে রে ।

বলেই আমার দিকে রিদি এগিয়ে আসতে লাগলো । আমি আমি এক দৌড়ে ছাঁদ থেকে রুমে চলে এলাম । এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে আবার রুমে চলে আসলাম ।

রাতে আমি আর রিদিকে মেসেজ করি নি । পরেরদিন সকালে উঠে নাস্তা করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।

দেখলাম মেসেদী এসে গেছে । আমিও ওর সাথে জয়েন করলাম । আমাকে মেহেদী বললো,,,,,,

মেহেদীঃ কি রে দোস্ত কি অবস্থা ।

আমিঃ এই তো ভালো । তোর কি খবর ।

মেহেদীঃ ভালো ।

আমিঃ চল ক্লাসে যাবি না ।

মেহেদীঃ হুমম চল ।

তারপর আমি আর মেহেদী চারটা ক্লাস করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আবার বাসায় চলে আসলাম ।

দুই দিন পর,,,,,

সকালে ঘুম থেকে উঠে আম্মু বললো,,,,

আম্মুঃ এই রাকিব একটু বাজার লাগতো । তুই কি যেতে পারবি বাবা ।

আমিঃ ঠিক আছে আম্মু আমি যাচ্ছি ।

আমি ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে আম্মুর থেকে বাজারের লিষ্ট নিয়ে বাজারে চলে গেলাম বাজার করতে ।

আর এদিকে,,,,,,,,,,

আম্মুঃ আরে রিদি মা যে । তুমি তো আসোই না ।

রিদিঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি । কেমন আছেন ?

আম্মুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম মা । আমি ভালো আছি । তুমি কেমন আছো ?

রিদিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আন্টি । আন্টি আর কাওকে দেখছি না তো ।

আম্মুঃ রাকিব বাজারে গেছে । আর ওর আব্বু তো অফিসের কাজে একটু বাহিরে গেছে ।

রিদিঃ ওহহ আচ্ছা ।

আম্মুঃ রিদি মা তোমাকে একটা কথা বলতাম যদি রাখতে ।

রিদিঃ আরে আন্টি বলে ফেলুন । এতো ভনিতা করার কিছু নেই ।

আম্মুঃ না মানে তুমি আর রাকিব তো ভার্সিটিতে পড়ো । তাই যদি তুমি একটু ওকে পড়াও তাহলে আমার ছেলেটা একটু মানুষ হবে । পড়াশোনায় একদম মনোযোগ নেই ।

রিদি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বললো,,,,,,,

রিদিঃ ঠিক আছে আন্টি সমস্যা নেই আমি ওকে পড়াবো । ওকে তাহলে আজকে থেকে সন্ধ্যা সাতটায় যেতে বলবেন ।

আম্মুঃ ঠিক আছে মা । বলে দিবো ।

রিদিঃ আন্টি আজ তাহলে আমি আসি ।

আম্মুঃ ঠিক আছে মা আবার এসো ।

রিদিঃ জ্বি আন্টি অবশ্যই ।

বলেই রিদি চলে গেল । কিছুক্ষণ পর আমিও বাজার থেকে বাসায় আসলাম । বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ভার্সিটিতে চলে গেলাম ।

আজকে মেহেদী আসে নি । তাই আমি দুইটা ক্লাস করে ভালো লাগছিল না । এজন্য ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাসায় চলে আসলাম ।

দুপুরে খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে দিলাম এক ঘুম । সন্ধ্যায় আমার ঘুম ভাঙলো । ঘুম থেকে উঠতেই আম্মু এসে বললো,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,, Probashi Fahim Prince Sojib

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো পর্বঃ ০৫লেখকঃ Prince Fahim """"""রুমে এসে শুয়ে রিদির মায়াবী চোখের কথা ভাবতেছি । কিভাবে একটা মানুষে...
29/05/2025

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০৫
লেখকঃ Prince Fahim
""
""
""
রুমে এসে শুয়ে রিদির মায়াবী চোখের কথা ভাবতেছি । কিভাবে একটা মানুষের চোখ এতো সুন্দর হতে পারে । তখনি হঠাৎ মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধির উদয় ঘঠলো । বুদ্ধি টা হলো,,,

আমার পুরোনো সিম তো আমার কাছেই আছে । তাই আমার ফোনে পুরোনো সিমটা তুলে রিদির নাম্বারটা ডায়াল করলাম ।

তারপর তাকে একটা মেসেজ পাঠালাম,,,,,,,,

""""আপনার মতো অপরুপাকে রাগলে যে এতো মিষ্টি লাগে তা নিজের চোখে না দেখলে বুঝতাম ই না ।""""

মেসেজটা সেন্ট করার পর ভয় ও লাগলো । যদি রাগ করে । তার পরে ভাবলাম আমার এই নাম্বার তো চিনেই না । আমি কতো বোকা । ধ্যাত ।

অনেক্ষন ফোন নিয়ে এপাশ ওপাশ করতে করতে ফোনে টাং শব্দ করে একটা মেসেজ এলো । মেসেজ টা রিদির ই ছিলো,,,,সে লিখছে,,,,

কে আপনি ?

আমিও লিখে দিলাম,,,,

""মুখোশের আড়ালে থেকে আপানাকে ভালোবেসে যাওয়া একটা মানুষ ।""

আবার অনেক্ষন পর আরেকটা মেসেজ আসলো । মেসেজে লেখা ছিল,,,

""মানে বুঝলাম না "" ।

কিন্তু মেসেজটা দেখার আর সৌভাগ্য আমার হলো না । কারন কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না ।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করলাম । তারপর এসে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম ।

তার একটু পর আম্মু এসে আমাকে ডেকে গেল । কিন্তু উঠলাম না । ইতিমধ্যে আমাদের বাসায় বাড়িওয়ালার মেয়ে মানে রিদি আসছে ।

রিদিঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি ।

আম্মুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম ।

রিদিঃ আন্টি আপনাদের জন্য আম্মু এই পায়েশ টা পাঠিয়েছে ।

আম্মুঃ প্লিজ টেবিলের উপর রাখো । আমার হাতে অনেক কাজ রান্না করছি ।

রিদিঃ আন্টি কাউকে দেখছি না যে ?

আম্মুঃ তোমার আঙ্কেল অফিস গেছে আর রাকিব ঘুমাচ্ছে ।

রিদিঃ কিহহ এতো বেলা করে কেউ ঘুমায় নাকি ।

আম্মুঃ আমার ছেলেটা এতো অলস । কি আর বলবো মা । আমি কত ডাকলাম উঠলো না ।

রিদিঃ আন্টি আমি গিয়ে ডাক দিবো ?

আম্মুঃ তাহলে তো অনেক ভালো হয় মা ।

রিদিঃ ঠিক আছে আন্টি ।

বলেই রিদি আমার রুমে চলে আসলো । এসেই আমাকে বললো,,,,,,

রিদিঃ এই রাকিব উঠো ।

আমিঃ আম্মু আর একটু ঘুমাই না প্লিজ ।

রিদিঃ আমি তোমার আম্মু নই । আর কয়টা বাজে দেখছো ।

বলেই আমার ফোনের লক বাটনে ক্লিক করলো । আর সাথে রাতে রিদির পাঠানো মেসেজ টা দেখতে পেলো ।

তখনই রিদি বুঝে গেল রাতে মেসেজ গুলো আমি পাঠাইছি । তখন ই আমার ঘুম ভেঙে গেল । আর চোখ খুলেই আমি আবার মায়াবী চোখ গুলো দেখতে পেলাম ।

উফফ এই চোখ গুলো আমাকে ঘায়েল করেই ছাড়বে । তারপর আমি বললাম,,,,,,

আমিঃ আপনি আমার রুমে কি করেন ।

রিদিঃ তোমাকে ডাকতে আসছিলাম । তোমার আম্মু পাঠাইছে ।

আমিঃ ঠিক আছে আপনি যান ।

রিদিঃ ওকে ।

বলেই রিদি আমার রুমে চলে গেল । তারপর ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । আজকেও ভার্সিটি আসতে দেরি হয়ে গেলো ।

তাই ক্লাসরুমের সামনে এসে দেখি ম্যাডাম ক্লাস নিচ্ছে । আমি ম্যাডামকে বললাম,,,,

আমিঃ ম্যাডাম আসতে পারি ?

ম্যাডাম আমার দিকে চোখ তুলে তাকালো । এরপর বলল,,,,,,,

মেডামঃ প্রতিদিনই তোমার লেট হয় কেন ?

আমিঃ আসলে ম্যাডাম রাস্তায় জ্যাম ছিল । এজন্য লেট হয়েছে ।

মেডামঃ সব স্টুডেন্ট তো ঠিক সময়ে আসছে । ওদের তো জ্যামে পড়তে হলো না । জ্যামে মনে হয় খালি তুমি পড়ো।

সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠি এ কথা বললে ইজ্জত থাকবে না । মেডাম আবার বললো,,,,,,

মেডামঃ এই ছেলে বির বির করে কি বলছো ?

আমিঃ কিছু না ম্যাডাম ।

মেডামঃ ভেতরে আসো । আর চুপচাপ ফাঁকা ছিটে বসে পড়ো ।

আমি আর কোনো কথা না বলে মেহেদীর পাশে বসলাম । তারপর মেহেদী বললো,,,,,

মেহেদীঃ দোস্ত আমাদের ম্যাডাম কিন্তু সেই দেখতে ।

আমিঃ আরে ব*ল*দ ম্যাডাম কম করে হলেও তোর পাঁচ-ছয় বছরের বড় । ম্যাডাম কে দেখে তোর লাভ নাই । এরচেয়ে ক্লাসের কোনো মেয়ের উপর লাইন মা*র । এতে মেয়েটা পটতেও পারে।

মেহেদীঃ যাহহ বাবা তোকে কি বললাম আর তুই কি বললি ।

আমিঃ চুপ কর ।

তারপর আমরা দুইজন মিলে সব ক্লাস করলাম ।
তারপর অনেক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে এলাম । বিকেলে ছাদে গিয়ে বসে থাকি যে রিদি ছাদে আসে কি না ।

কিন্তু আজকে সে এলো না । মন খারাপ করে রুমে চলে আসলাম । রাতে খাওয়া দাওয়া শুয়ে আছি ।

ফেসবুকে রিদি নামে সার্চ দিয়ে অনেক আইডিতে নক দিয়ে রাখলাম । কিন্তু তেমন কোনো উপকার পেলাম না ।

তাই মন খারাপ করে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম । পরের দিন সকালে উঠে নামাজ পড়লাম । আজ শুক্রবার তাই আর ভার্সিটি যেতে হলো না । রুম থেকে বের হয়ে ব্রাশ নিয়ে ছাদে চলে আসলাম,,,,,

এসে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম । কারন,,,,,,,,,,,,,
""
"" Prince Sojib
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,, Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলোপর্বঃ ০৪লেখকঃ Prince Fahim """"""সকালে খুব মিষ্টি একটা কন্ঠে আমার ঘুম ভাঙলো । আগে তো এরকম কন্ঠ এই ব...
28/05/2025

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০৪
লেখকঃ Prince Fahim
""
""
""
সকালে খুব মিষ্টি একটা কন্ঠে আমার ঘুম ভাঙলো । আগে তো এরকম কন্ঠ এই বাড়িতে শুনি নি । কে সেই মিষ্টভাসি মানুষ । তাকে একবার দেখতেই হবে ।

তাই চোখ ডলতে ডলতে আমি নিচে গেলাম । আর নিচে আমি পুরো হা হয়ে গেছি ।

কারন সেই মিষ্টভাসি মানুষটা হলো মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ খাওয়া মেয়েটি । মানে রিদি । সকালে উঠেই এমন সারপ্রাইজ হবো ভাবতেই পারি নি ।

কিন্তু আজ শুধু তার মায়াবী চোখ গুলো দেখতে পাই নি । সাথে তার পুরো মায়াবী মুখটাও দেখতে পাইছি । পড়নে তার নীল শাড়ি,,নীল চুড়ি,,,নীল টিপ সবকিছু ম্যাচিং করে পড়ে এসেছে । দেখতে একদম নীল পরীর মতো লাগছে ।

আমি অনেক খুশি হলাম । তাকে দেখে আমার মুখে হাসি ফুটছে । আম্মু আমাকে অনেক দিন পর এরকম হাসতে দেখে সেও অনেক খুশি হইছে । আম্মু হয়তো ব্যাপার টা বুঝতে পারছে আমি ওর প্রতি আসক্ত আছি ।

তারপর রিদি আমার আম্মুর সাথে কথা বলতে লাগলো,,,,

রিদিঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি ।

আম্মুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম । কেমন আছো মা ?

রিদিঃ আলহামদুলিল্লাহ আন্টি ভালো আছি । আপনারা কেমন আছেন ?

আম্মুঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । তা তোমার নাম কি মা ?

রিদিঃ আমার নাম রিদি । এই বাসাটা আমাদের ই । শুনলাম আপনারা নতুন আসছেন,,,তাই একটু দেখা করতে এলাম আন্টি ।

আমি মনে মনে বললাম,,,,,

আমিঃ ওহহ তার মানে রিদি এই বাড়িতেই থাকে । মানে বাড়িওয়ালার মেয়ে । (মনে মনে)

আমার মনে তো লাড্ডু ফুটছে । আমার ক্রাশ এই বাসাতেই থাকে আর আমি জানি না । যাইহোক তারপর আম্মু বললো,,,,,,,,,

আম্মুঃ খুব ভালো করেছো মা । তুমি মাঝে মাঝে আমার সাথে দেখা করতে আসবে । ওর আব্বু তো চাকরি নিয়ে ব্যস্ত । আর আমার ছেলে তো কলেজে যায় । আমিই একা থাকি। তাই যদি আসতে খুব ভালো লাগতো মা ।

রিদিঃ সমস্যা নেই আন্টি সময় পেলে আমি অবশ্যই আসবো ।

তারপর আম্মু আমাকে দেখিয়ে বললো,,,,,,

আম্মুঃ মা এ হলো আমার ছেলে রাকিব ।

রিদিঃ আসসালামু আলাইকুম ।

কি ব্যাপার রিদি আমাকে দেখে না দেখার ভান করলো কেন ?? তারপর আম্মুর ডাকে ধ্যান ভাঙলো,,,,

আম্মুঃ কি রে শুনতে পেলি না । তোকে সালাম দিলো ।

আমিঃ ওহহ ওয়ালাইকুম আসসালাম ।

আম্মুঃ কোথায় পড়াশোনা করো মা ।

রিদিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

আম্মুঃ আমার ছেলেকেও ওখানে ভর্তি করে দিয়েছি ।

রিদিঃ ওহহ আচ্ছা । কোন ইয়ার,,?

আমিঃ সেকেন্ড ইয়ার । আপনি ??

রিদিঃ চতুর্থ বর্ষ ।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা ।

রিদিঃ আচ্ছা আন্টি এখন তাহলে আমি আসি । আবার পরে আসবো ।

আম্মুঃ ঠিক আছে মা এসো ।

আমার মনে তো লাড্ডু ফুটতে লাগলো । এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ।

আম্মু আমাকে এসে বললো,,,,

আম্মুঃ তোর মেয়েটাকে পছন্দ হইছে তাই না ।

আম্মুর কথা শুনে আমি তো অবাক । আম্মু কেমনে জানলো । তারপর আমি বললাম,,,,,

আমিঃ না মানে ইয়ে ,,

আম্মুঃ থাক আর না মানে করতে হবে না । আমারো মেয়েটাকে অনেক পছন্দ হইছে ।

আমি লজ্জা পেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম । এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম । তারপর আবার কলেজে চলে গেলাম ।

এসেই সোজা ক্লাস রুমে ঢুকে পড়লাম । তিনটা ক্লাস করলাম ।

ক্লাস শেষ করে আমি আম তলায় এসে বসে আছি । তখন দেখি রিদিও ক্লাস থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছে ।

হঠাৎ একটা সিনিয়র ছেলে এসে রিদিকে হাটু গেড়ে প্রোপোজই করে বসলো ।

ছেলেটিঃ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি রিদি । প্লিজ একসেপ্ট মাই লাভ ।

নিমিশেই আমার মন খারাপ হয়ে গেল । আমার ক্রাশ কে প্রোপোজ করেছে । খারাপ লাগার ই কথা ।

তারপর দেখি রিদি ওই ছেলেটার কাছ থেকে ফুলের তোরা নিলো । নেওয়ার পর ফুলটা একটু নেড়ে চেড়ে দেখে সোজা ছেলেটার মুখে মে*রে দিলো ।

তারপর সে সেখান থেকে চলে গেল । কলেজের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে । আমিও তাকিয়ে আছি ।

তবে আমি অনেক খুশিই হয়েছি ।

হঠাৎ একটা ছেলে এসে আমাকে বললো,,,,,

ছেলেটিঃ হাই আমি মেহেদী ।

আমিঃ হাই আমি রাকিব ।

মেহেদীঃ আমি তোমার ডিপার্টমেন্টেই সেম ইয়ারে । তাই বন্ধুত্ব করতে এলাম ।

আমিঃ ধন্যবাদ ।

যাক বাবা অন্তত একটা বন্ধু তো পেলাম । তারপর মেহেদীর সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে এলাম । তারপর দুপুরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম ।

কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে যানি না । উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসলাম । অনেক্ষন পড়ে রাতে ডিনার করলাম ।

তারপর রুমে এসে শুয়ে রিদির মায়াবী চোখের কথা ভাবতেছি । কিভাবে একটা মানুষের চোখ এতো সুন্দর হতে পারে । তখনি হঠাৎ মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধির উদয় ঘঠলো । বুদ্ধি টা হলো,,,,,,,,,,,

""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,, Probashi Fahim Prince Sojib

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো পর্বঃ ০৩লেখকঃ Prince Fahim """"""দেখলাম 9 টা মিসড কল আননোন নাম্বারে ।একটু পর আবার ফোন করেছে । ফোন ...
27/05/2025

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০৩
লেখকঃ Prince Fahim
""
""
""
দেখলাম 9 টা মিসড কল আননোন নাম্বারে ।

একটু পর আবার ফোন করেছে । ফোন রিসিভ করলাম,,,,,,,,

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম ।

ওপাশ থেকেঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম ।

আমিঃ জ্বি কে বলছেন ?

ওপাশ থেকেঃ আমি রিদি ।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । বলেন ?

রিদিঃ বাসায় ঠিক মতো পৌছেছো নাকি সেটার শুনার জন্য ফোন করে ছিলাম ।

আমিঃ জ্বি পৌছেছি ।

রিদিঃ কাল কি ক্লাসের পর একবার দেখা করতে পারবে ?

আমিঃ কেন ?

রিদিঃ সেটা না হয় কাল ই বলবো ।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে । দেখা করবো ।

রিদিঃ ঠিক আছে তাহলে আমি টেক্সট করে জানিয়ে দিবো কোথায় আসতে হবে ।

আমিঃ হুমম ঠিক আছে ।

রিদিঃ ওকে রাখছি । আল্লাহ হাফেজ ।

আমিঃ আল্লাহ হাফেজ ।

তারপর ফোন রেখে দিলাম । আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম,,,

একদিনের পরিচয়েই রিদি আমাকে কি বলতে চায় ।

যাইহোক কাল তো শুনতেই পাবো । এতো চিন্তা করে লাভ নেই । তারপর একটু পড়াশোনা করে রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম ।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার একটু করলাম । তারপর গোসল করে সকালের খাবার খেয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।

তারপর ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস শেষ করলাম । এখানে নতুন ভর্তি হওয়ায় আমার তেমন বন্ধু হয় নি । তাই ক্যাম্পাসে চুপচাপ বসে আছি ।

হঠাৎ রিদি টেক্সট করে ঠিকানা পাঠিয়ে দিল । আর বললো ঠিকানা অনুযায়ী চলে যেতে । আমিও যথারীতি রিদির পাঠানো ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে পৌছে গেলাম ।

গিয়ে দেখি রিদি আগেই সেখানে পৌছে গেছে । আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেই আবার তার চোখের প্রতি ক্রাশ খেয়ে গেলাম ।

উফফ এই চোখ আমাকে ঘায়েল করেই ছাড়বে । তারপর আমি রিদিকে বললাম,,,,,

আমিঃ আপনি আমাকে এখানে ডাকলেন কেন ?? আর কি বলতে চান বলুন ?

তারপর রিদি তার আঙুল দিয়ে পথশিশুদের দিকে ইশারা করে বললো,,,,,

রিদিঃ তুমি সামনে ওই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো কে দেখতে পাচ্ছো ।

আমিঃ হুমম কেন ?

রিদিঃ তাদের দিকে একবার লক্ষ্য করে দেখো,,তারা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য কত কষ্টই না করছে । জীবনযুদ্ধ টা হাসি মুখে লড়ে যাচ্ছে । তাদের কাছে একটা জীবনের মূল্য অনেক ।

আমি নিশ্চুপ হয়ে শুধু রিদির কথা শুনেই যাচ্ছি । তারপর রিদি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,,

রিদিঃ আর তুমি সেই সুন্দর জীবন কোথাকার কোন মেয়ের জন্য দিতে বসেছিলে । জীবনটা কি এতো সস্তা তোমার কাছে । তারা জীবন বাঁচার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে আর তুমি দেয়ার জন্য লড়াই করেছো । ছিঃ ।

রিদির কথা শুনে সত্যিই আমি অনেক লজ্জিত হলাম । ওর কথা শুনে মাথা নিচু করে আছি । আর ভাবছি,,,

সত্যিই তো রিদি অনেক সুন্দর কথা বলেছে । এভাবে তো আমাকে কেউ বুঝায় নি । এভাবে তো কখনো ভেবে দেখি নি । তারপর আমি রিদিকে বললাম,,,,

আমিঃ সরি ।

রিদিঃ হুমম । জীবন একটাই তাই সুন্দর ভাবে বাঁচতে শিখো ।

এতক্ষণে তো ওর শুধু চোখ দেখে প্রেমে পড়েছিলাম । এখন ওর সুন্দর করে কথা বলে বুঝানোর জন্যও প্রেমে পড়ে গেলাম ।

তারপর আমি বললাম,,,,,

আমিঃ ধন্যবাদ । এভাবে আমাকে কেউ বুঝায় নি ।

তারপর আমি আর রিদি সেখান থেকে চলে এলাম । তারপর ও ওর মনে বাসায় চলে গেল । আমার কিছুই ভালো লাগছিল না । ওর ওসব কথা শুনে এখন নিজের প্রতিই খারাপ লাগছে ।

তাই আর বাসায় গেলাম না । অনেকক্ষণ ধরে পার্কে বসে আছি মন ভালো করার জন্য । বসে থাকতে থাকতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসলো ।

সন্ধ্যায় আমি বাসায় ফিরলাম । আম্মু আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,,,,

আম্মুঃ রাকিব এতক্ষণ দেরি হলো যে বাবা । কোথায় গেছিলি ।

আমিঃ এমনিই ঘুরতে গেছিলাম আম্মু ।

আম্মুঃ ওহহ আচ্ছা । এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে । আমি খাবার দিচ্ছি ।

আমিঃ হুমম আচ্ছা ।

তারপর আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিজের রুমে এসে তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়লাম । খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ।

ঘুম থেকে উঠেই আমি তো অবাক । কারন,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,
Probashi Fahim Prince Sojib

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো পর্বঃ ০২লেখকঃ ফাহিম Prince Fahim """"""ব্রীজ থেকে যখনই লাফ দিবো । হঠাৎ কেউ পিছন থেকে শার্টের কলার ...
25/05/2025

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০২
লেখকঃ ফাহিম Prince Fahim
""
""
""
ব্রীজ থেকে যখনই লাফ দিবো । হঠাৎ কেউ পিছন থেকে শার্টের কলার ধরে পিছনের দিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ।

ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াতে আমি রাস্তায় পড়ে যাই আর হাতের অনেকটা কে*টে যায় । উঠে দাঁড়াতেই যে ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই তার দিকে তাকাতেই আমি অনেক অবাক হয়ে যাই ।

কারন সে ছিল একটা মেয়ে । সেই মেয়েটা বোরখা পড়ে আছে শুধু চোখ গুলো দেখা যাচ্ছে । আমি শুধু অবাক ই হই নি । রীতিমত তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ ও খাইছি ।

হাত কে*টে গেছে সেদিকে আমার কোনোই খেয়াল নেই । শুধু ভাবতেছি একটা মেয়ের চোখ গুলো এতো সুন্দর কি করে হতে পারে । যেন সব মায়া তার চোখের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ।

কবি হয়তো তার চোখ দেখেই কবিতা লিখেছিল নাটোরের সেই বনলতা সেনের । তার চোখ এতো সুন্দর হলে না জানি সে কত সুন্দর আর তার মনটাই কত সুন্দর ।

আমার ধ্যান ভাংলো মেয়েটার ঝাঁঝালো কন্ঠের ধমকে । মেয়েটা আমাকে বললো,,,,,,,,

মেয়েটাঃ এই আপনি কি পা*গ*ল । সু*ই*সা*ই*ড করতেছিলেন কেন ।

আমি শুধু মেয়েটার দিকে তাকিয়েই আছি । কি বলছে সেদিকে কোনোই ধ্যান নেই । তারপর মেয়েটা আবার বললো,,,,,,,

মেয়েটাঃ এই আপনি কি কথা বলতে পারেন না ।

আমিঃ হুমম পারি তো ।

মেয়েটাঃ এই তো মুখে কথা ফুটছে । সু*ই*সা*ই*ড করতে ছিলেন কেন ?

আমিঃ তাতে আপনার কি ? আপনি আমাকে বাঁচালেন কেন ?

মেয়েটাঃ ঠিক আছে আর বাঁচাবো না । এখন বলেন ম*র*তে চান কেন ?

আমিঃ ভালোবাসায় ধোঁকা ।

মেয়েটাঃ কিহহ । এই সামান্য কারণে কেউ এরকম ডিসিশন নেয় নাকি ?

আমিঃ এটা আপনার কাছে সামান্য হলেও আমার কাছে অনেক কিছু ।

কথা বলতে বলতে মেয়েটা আমার হাতে খেয়াল করলো । তারপর বললো,,,,,

মেয়েটাঃ আরে আপনার হাত তো অনেকটা কে*টে গেছে । চলেন আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ।

আমিঃ লাগবে না । মনের ক্ষতের কাছে এই ক্ষত টা কিছুই না ।

মেয়েটাঃ রাখেন তো আপনার আবেগি কথা । আগে হসপিটালে চলেন ।

আমার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও মেয়েটা আমাকে জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেল । গিয়ে হাতের ট্রিটমেন্ট করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হলো ।

হসপিটালের সব বিল মেয়েটাই দিলো । ডাক্তার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেছে । তাই বসে আছি । মেয়েটাও আমার পাশে বসে আছে ।

আমি মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি । তার শুধু চোখ ই দেখতেছি । এতো মায়াবী কী আর বলবো । কি বলবো বুঝতে পারছি না ।

তারপর আমিই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম,,,,,,,,,,

আমিঃ আচ্ছা আপনার নাম টা কি ?

মেয়েটাঃ আমি রিদি । আর আপনি ??

আমিঃ আমি রাকিব ।

রিদিঃ আমি আপনাকে দেখেছি ।

আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,,,,,

আমিঃ কোথায় দেখেছেন ?

রিদিঃ আমাদের ভার্সিটিতে । আপনি সব সময় মনমরা হয়ে একা থাকেন ।

আমিঃ ওহহ আচ্ছা । আপনি কোন ইয়ারে ।

রিদিঃ অনার্স ৪র্থ বর্ষ ।

আমি বির বির করে বলছি,,,

আমিঃ খাইছে রে আমারে,,এমনিতেই তার মায়াবী চোখ গুলো দেখে ক্রাশ খেয়ে বসে আছি তার উপর আবার আমার সিনিয়র হয়ে দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে ।

রিদিঃ কি বির বির করছেন ?

আমিঃ কিছু না ।

রিদিঃ হুমম । আপনি কোন ইয়ারে পড়েন ।

এই যাহহ এই বার সব বলে দিতে হবে । আমার চুপ থাকা দেখে রিদি আবার বললো,,,,,,

রিদিঃ কি হলো চুপ করে আছেন কেন ? বলেন কোন ইয়ারে পড়েন ?

আমিঃ জ্বি । অনার্স ২য় বর্ষ ।

রিদিঃ ওহহ জুনিয়র ।

আমিঃ হুমম ।

রিদিঃ এই বয়সে প্রেম । তার উপর আবার সু*ই*সা*ই*ড । বাহহ ।

আমি একটু মুচকি হাসলাম । এই তিন মাস পর একটু হাসলাম । তাও রিদির জন্য ।

তারপর হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসলাম । রিদি আমাকে বললো,,,,,,

রিদিঃ তুমি কোথায় থাকো । চলো তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি ।

আমিঃ না আমি একা যেতে পারবো ।

রিদিঃ তুমি আমার ছোট তাই তুমি করে বললাম কিছু মনে করো না ।

আমিঃ সমস্যা নেই । আমিও তুমি করে বলতেই বলতাম । আপনিই বলে দিছেন ভালোই হলো ।

রিদিঃ ধন্যবাদ । আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দিবে প্লিজ ?

আমিঃ কেন ?

রিদিঃ সেটা ফোনেই বলবো । প্লিজ ।

আমিঃ ওকে 019*********27

রিদিঃ ধন্যবাদ ।

আমিঃ জ্বি আল্লাহ হাফেজ ।

রিদিঃ আল্লাহ হাফেজ ।

তারপর রিদিকে বিদাই জানিয়ে আমি একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । কলিং বেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিলো ।

আমার হাতে ব্যান্ডেজ দেখে আম্মু উতলা হয়ে বলতে শুরু করলো,,,,,,,,

আম্মুঃ রাকিব কি হইছে বাবা তো । হাতে কিভাবে আঘাত পেলি ।

আমিঃ কিছু না আম্মু ছোট্ট একটা এ*ক*সি*ডে*ন্ট ।

আম্মুঃ কিহহ । কেমনে ?

তারপর আমি আম্মুকে অনেক বুঝিয়ে নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এলাম । তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে অনেক ক্লান্ত লাগছে । তাই ঘুমিয়ে পড়লাম ।

সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোন হাতে নিলাম । হাতে নিয়ে দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,, Probashi Fahim

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

আজকে আমি সুইসাইড করবো । কারন আমি সু*ই*সা*ই*ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছি । শুনেছি মৃত্যুর আগে জীবনে কি কি কাজ করেছি তা চোখের সাম...
24/05/2025

আজকে আমি সুইসাইড করবো । কারন আমি সু*ই*সা*ই*ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছি ।

শুনেছি মৃত্যুর আগে জীবনে কি কি কাজ করেছি তা চোখের সামনে ভেসে ওঠে । আমারো চোখের সামনে ভেসে ওঠছে ।

কিছুদিনের আগের ফ্ল্যাশব্যাক,,,,
""
""
ফেসবুকে ১ বছর ধরে রিলেশন করার পর আমার গার্লেফ্রেন্ড কে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য বগুড়া থেকে চাঁদপুরে গেলাম । গিয়ে তো আমি নিজেই রীতিমত সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম ।

কারন গিয়ে দেখি আজ আমার গার্লেফ্রেন্ড ঊর্মির বিয়ে । তার বিয়ে অথচ সে গতকাল রাতেই আমার সাথে কথা বলেছে কিন্তু একটা বার জানানোর প্রয়োজন বোধ করে নি ।

সেই মুহূর্তে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতেই আমার পা অবশ হয়ে আসছে । কি করতে আসলাম আর কি হয়ে যাচ্ছে ।

ভাবতেই অনেক কষ্ট হচ্ছিলো সে আমার সাথে এতো দিন ছলনা করেছে দিনের পর দিন । আর আমি সেটা সত্যি ভেবে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম ।

এমনকি আমার বাসাতেও তার কথা জানিয়েছি । এখন আমার ফ্যামিলির মানুষের কাছে এই মুখটা কেমনে দেখাবো ।

এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটা লোক আমাকে জিজ্ঞাসা করেই বসলো,,,,,,,

লোকটাঃ ভাইয়া কে আপনি ? ভিতরে আসেন । আপনি বর পক্ষ নাকি কনে পক্ষ ।

সেই মুহূর্তে আমার কাছে কোনো উত্তর ছিলো না । তাই কোনো উত্তর না দিয়েই চুপচাপ চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বের হয়ে আসছিলাম ।

পিছন থেকে লোকটি অনেক বার ডাকছে । কিন্তু কোনো কথাই শুনি নি । কি ই বা উত্তর দিতাম । আমি তার বয়ফ্রেন্ড ?

সে আমাকে ছেড়েই সুখি হতে চাইছে । তাই তাকে মুক্ত করে দিলাম । শুধু মনে একটা প্রশ্নই থেকে গেলো কেন আমার সাথে এমন করলো ? ভুলটা কি করেছিলাম ?

এই দুইটা প্রশ্ন নিয়েই বাসার জন্য বাসে উঠলাম । বাসে অনেক্ষন চিন্তা করেও এই দুটো প্রশ্নের উত্তর মিলাতে পারলাম না ।

ওহহ আপনাদের তো আমার পরিচয় ই দেয়া হলো না । চলুন পরিচয় টা দেয়া যাক । আমি রাকিব । বাসা বগুড়া । আর আমার গার্লেফ্রেন্ড ঊর্মি । ওর বাসা চাঁদপুর । ওর সাথে ফেসবুকে পরিচয় । আর সেটা থেকে আমাদের এক বছরের রিলেশন ।

এদিকে বাসে থাকা অবস্থায় আম্মু ফোন করলো । আম্মুকে এখন কি জবাব দিবো । খুব বড় মুখ করে বলেছিলাম ঊর্মি অনেক ভালো মেয়ে । সে আমাকে অনেক ভালোবাসে ।

আম্মুর ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আম্মু বললো,,,,,,,,

আম্মুঃ কি রে আর তো ফোন করলি না । ওদিকে সব ঠিক ঠাক আছে তো । ঊর্মিকে নিয়ে বাসায় আসছিস তো । কতদূর তোরা এখন । ওকে ফোনটা দে না একটু কথা বলবো ।

আমি আম্মুকে কে বলবো বুঝতে পারছি না । অজান্তেই কান্না চলে আসছে । জোরে কান্না করলে আম্মুও কাঁদবে । তাই মুখ চেপে ধরে অনেক কান্না করছি । কোনো কথা বলছি না ।

আম্মুঃ রাকিব কথা বলছিস না কেন ? সব ঠিক আছে তো ।

তারপর কান্না থামিয়ে শান্ত গলায় বললাম,,,,,,,,,,,,,,,

আমিঃ সব ঠিক আছে আম্মু । আমি বাসায় আসতেছি । এসে হব জানাচ্ছি ।

বলেই ফোন টা কেটে দিলাম ।

যাইহোক,,,
বাস জার্নি করে অবশেষে পৌছে গেলাম বগুড়া । সেখান থেকে রিকশা করে সরাসরি বাসায় পৌছে গেলাম ।

কলিং বেল বাজাতেই আম্মু দরজা খুলে দিলো । আম্মু আমার এ রকম অবস্থা দেখে বললো,,,,,,,

আম্মুঃ রাকিব । কি হইছে বাবা ।

আমি কিছু না বলেই আম্মুকে জড়িয়ে ধরে ধরে অনেক কাঁদতে লাগলাম । আমার এরকম করা দেখে আম্মুও কাঁদতে লাগলো । তারপর বললো,,,,,,,

আম্মুঃ কি হইছে বাবা আমাকে বল ?

তারপর আমি আম্মুকে সব খুলে বললাম । আম্মু আমাকে কি বলে শান্তনা দিবে নিজেই বুঝতেছে না । আমি আম্মুকে বললাম,,,,,,

আমিঃ আমার সাথেই কেন এমন হয় আম্মু । জীবনের প্রথম কাউকে এতোটা ভালোবাসলাম । আর দেখো সে আমাকে এবাবে ঠকিয়ে চলে গেল ।

আম্মুঃ ও তোর প্রকৃত ভালোবাসা ছিল না । দেখিস তোর জীবনে অবশ্যই প্রকৃত ভালোবাসা আসবে । সে হাজার দোষের মধ্যেও তোকে ছেড়ে কখনো ছেড়ে চলে যাবে না । এখন তুই রুমে গিয়ে একটু রেস্ট কর ।

তারপর আমি আমার রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম । আর ভাবতে লাগলাম কেন ও আমার সাথে এমনটা করলো । সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম ।

প্রতিটা সময় ঊর্মির স্মৃতি গুলো মনে পড়তো । তখন অনেক কষ্ট পেতাম । এভাবে তিন মাস ডিপ্রেশনে চলে গেছিলাম । রুম থেকে কখনোই বের হতাম না ।

আম্মু আব্বু ভাবলো এভাবে চলতে থাকলে আমি পা*গ*ল*ই হয়ে যাবো । তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলো আমরা সবাই মিলে ঢাকায় শিফট করবো ।

ওখানে নতুন আবহাওয়া অনেক ভালো লাগবে । আর ডিপ্রেশন ও কেটে যাবে । যেই ভাবা সেই কাজ । কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা সবাই ঢাকায় চলে আসলাম ।

নতুন বাসায় উঠলাম । ওখানে গিয়ে নতুন কলেজে আমার ভর্তির ব্যবস্থা করা হলো । কিন্তু পড়াশোনায় আমার কিছুতেই মন বসছিলো না । শুধু ভাবতাম এ কষ্টময় জীবন থেকে মুক্তি চাই ।

তাই একদিন কলেজ থেকে গেলাম সু*ই*সা*ই*ড পয়েন্টে সু*ই*সা*ই*ড করতে ।

বর্তমানে,,,,
""
""
ব্রীজ থেকে যখনই লাফ দিবো । হঠাৎ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

গল্পঃ মায়াবী চোখ গুলো
পর্বঃ ০১
লেখকঃ Probashi Fahim
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,

প্রথম পর্ব জানি না কেমন হলো । ভালো লাগলে আপনার অনুভূতি প্লিজ জানাবেন । আশায় রইলাম । পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।

গল্পঃ একটি ছেলের আত্মকথা পর্বঃ ০৫ (শেষ)লেখকঃ ফাহিম """"""""কবীর স্যার অনেক এক্সাইটমেন্ট নিয়ে রাকিবের ঠিকানা অনেক কষ্টে ব...
07/05/2025

গল্পঃ একটি ছেলের আত্মকথা
পর্বঃ ০৫ (শেষ)
লেখকঃ ফাহিম
""
""
""
""
কবীর স্যার অনেক এক্সাইটমেন্ট নিয়ে রাকিবের ঠিকানা অনেক কষ্টে বের করে এবং ওর বাসাতে যায় ।

এসে দেখে আমি শুয়ে আছি । কবীর স্যার এসে বললেন,,,,,,

স্যারঃ আরে রাকিব এভাবে শুয়ে আছো কেন । আজকে তো রেজাল্ট বের হইছে । তুমি সারা বগুড়ার মধ্যে ফার্স্ট হইছো ।

আমার খুশি তে চোখ থেকে পানি পড়ছে । এতোদিন কষ্টের কান্না কাঁদছি । কিন্তু অনেকদিন পর খুশির কান্না কাদলাম ।

স্যার আবার বললেন,,,,,,

স্যারঃ কি হলো চলো আমার সাথে । আজকে তোমাকে আমি ট্রিট দিবো ।

আমি প্রথমে যেতে না চাইলেও স্যারের জোরাজুরিতে বের হলাম । তারপর প্রথমেই মিষ্টির দোকানে গিয়ে আমাকে অনেক মিষ্টি খাওয়ালেন ।

সাথে উনিও খেলেন । আমি একটা বিষয় ভাবলাম এই তো সেদিন এই কবীর স্যার ই আমাকে কতটাই না অপমান করতেন ।

কিন্তু আজ আমাকে নিজের টাকায় খাওয়াচ্ছেন তবুও চোখে অনেক আনন্দ নিয়ে । কতটা পরিবর্তন হয়ে গেছেন উনি । আল্লাহ্ কত কিছুই পারে ।

স্যার আমাকে বললেন,,,,,,

স্যারঃ কি এতো ভাবছো ।

আমিঃ কিছু না তো স্যার ।

স্যারঃ তোমার মুখ এতো শুকনো কেন । কি হইছে বলো তো আমাকে ।

আমিঃ না স্যার তেমন কিছুই না ।

স্যারঃ চলো আজকে আমি তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবো ।

তারপর কবীর স্যার আমাকে নিয়ে তার গাড়িতে সারাদিন অনেক ভালো জায়গায় ঘুরিয়েছেন । আমি সেগুলো জায়গা কখনো চোখেই দেখি নি ।

অনেক রাত করে স্যার আমাকে আমার বাসায় নামিয়ে দিলেন । নামার সময় বললাম,,,,,

আমিঃ স্যার আপনাকে একটা কথা বলতে চাই ।

স্যারঃ কালকে বইলো । আর কালকে সেই কোম্পানির ম্যানেজার ও আসবে তোমাকে জবের লেটার দিতে । সো তুমি কাল কলেজে আসতে লেট করবে না ।

আমিঃ স্যার প্লিজ আজকেই কথা গুলো বলতে হবে । অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

স্যারঃ গাড়ি থেকে নেমে বললেন,,,,,,

স্যারঃ ঠিক আছে বলো কি কথা ।

আমিঃ স্যার আমার ছোট বোন ও আমাদের এই কলেজে পড়ে ।

স্যারঃ হুমম তো ।

আমিঃ স্যার আমার জব টা ওকে দিন প্লিজ । এটা আমার শেষ রিকোয়েস্ট । আমি আর কখনো আপনার থেকে কিছুই চাইবো না ।

স্যারঃ রাকিব তুমি এভাবে বলছো কেন । আর তোমার জব তুমি তোমার বোন কে কেন দিবে ।

তারপর রাকিব যেটা কবীর স্যারকে বললো সেটা শুনে কবীর স্যার রাজি হয়ে গেলেন জবটা তার বোনকে দিতে ।

তারপর সেখান থেকে কবীর স্যার চলে আসেন । পরের দিন কলেজে ম্যানেজার কে কবীর স্যার বুঝিয়ে রাকিবের বোন কে জব টা দেয়া হয় । আর ওর বোন জবটা করে এখন স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাতে পারে ।
""
""
""
""
""
তারপর ভরা ক্লাসের সামনে কবীর স্যার চোখ মুছে সকল স্টুডেন্ট দের বললেন,,,,,

স্যারঃ এটাই রাকিবের জীবনের আত্মকথা । আর আমার দেখা একমাত্র ভালো ও সহজ সরল স্টুডেন্ট । রাকিব আমাদের কলেজের এই আজিজুল হক কলেজের একটা গর্ব আর একটা রত্ন ছিলো । যেটা আমরা কেউ বুঝতে পারি নি ।

সকল স্টুডেন্ট নিজেদের ও চোখ মুছে স্যার কে জিজ্ঞাসা করলো,,,,,,,

স্টুডেন্টঃ কিন্তু স্যার আপনি এটা বললেন না রাকিব সেদিন রাতে আপনাকে কি এমন বলেছিলেন । আর আপনি তখন এক কথায় তার বোনকে জব টা দিয়ে দিলেন ।

আর আরেকজন স্টুডেন্ট বললো,,,,,

স্টুডেন্টঃ আর স্যার এখন রাকিব ই বা কোথায় সেটাও তো বললেন না ।

স্যারঃ তোমরা রাকিব কে দেখতে চাও ?

স্টুডেন্টঃ জ্বি স্যার ।

স্যারঃ তাহলে আমার সাথে এসো ।

স্যার স্টুডেন্সদের কলেজের একটু পাশেই একটা কবর স্থানে নিয়ে গিয়ে একটা কবর দেখি বললেন,,,,,,

স্যারঃ ওই তো রাকিব ওখানে চিরো নিদ্রাই শুয়ে আছে ।

স্টুডেন্ট গুলো সবাই অবাক হয়ে একসাথে বললো,,,,,,,

স্টুডেন্টঃ মানে ।

স্যারঃ মানে হলো,,সেদিন রাকিব আমাকে বলেছিলো,,,,,,
""
""
ফ্লাশব্যাক,,,,,
""
""
স্যারঃ আচ্ছা বলো কি কথা ।

রাকিবঃ স্যার আমার যেদিন মাথা ব্যথার জন্য হাসপাতালে যাই তখন ডাক্তার আমার মাথাটা পরীক্ষা করে জানায় আমার মাথায় একটা ব্রেইন টিউমার হইছে । আর সেখান থেকে আমার ব্রেইন ক্যানসার ও ধরেছে । আর এটাই আমার লাস্ট স্টেইজ । অপারেশন করেও আর কোনো কাজ হবে না । রেজাল্ট শুনে অনেক খুশি হয়েছিলাম । আপনাদের সাথে অনেক দিন বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম । কিন্তু ভাগ্য আমার সায় দিল না স্যার । স্বপ্ন ছিলো মা বোন কে নিয়ে অনেক হ্যাপি থাকার । কিন্তু সেটা আর হলো না । তাই আমার জব টা আমার বোনকে দিতে চাই । প্লিজ স্যার এটা আমার জীবনের শেষ অনুরোধ । আপনকে রাখতেই হবে ।

বলতে বলতে রাকিবের চোখের কোণে পানি চলে এসেছে । কবীর স্যারের চোখ ও পানিতে ছলছল করছে । কোনো কথা না বলেই এক ঝটকায় রাকিবকে জড়িয়ে ধরলেন ।
""
""
বর্তমানে,,,,,,,,
""
""
বলা শেষে স্যার আবার চোখ মুছে সকল স্টুডেন্ট দের বললেন,,,,,,

স্যারঃ তো অল স্টুডেন্ট এখন বলো কে কে ওর মতো একজন মেধাবী ওর কঠোর পরিশ্রম করে জীবন গড়তে চাও বলো ।

সব স্টুডেন্ট ই হাত তুলে বললেন,,,,,

স্টুডেন্টঃ স্যার আমরা সবাই রাকিবের মতো হতে চাই ।

স্যারঃ তাহলে রাকিবের জীবনের আত্মকথা শুনিয়ে আমিও স্বার্থকতা লাভ করবো ।

ভালো থাকুক রাকিবের মতো ভালো রাখার মানুষ গুলো ।
______________//
___________//
_______//
সমাপ্ত//
_______//
___________//
______________//

কেমন লাগলো আপনাদের এই গল্পটা । আশা করি ভালোই লাগছে । আমার সাধ্য মতোই চেষ্টা করছি । সকলেই একটা করে কমেন্টস করবেন আশা করছি ।গল্পঃ Hidden Love
Written By_Ishanur Tasmia
20th Part and last

রায়ানের খুব প্রিয় রঙ হচ্ছে নীল,,,তাই মিরা একটা নীল রঙের শাড়ি পরেছে,,,, সাথে টুকটাক সাজগুজ,,,,

রায়ানের অফিস থেকে বাসায় আসতে প্রায় রাত ১০ টা বেজে যায়,,,,, রুমে এসেই দেখে মিরা নেই,,,, ওয়াশরুমেও দেখে কিন্তু সেখানেও নেই,,,, মিরাকে না পেয়ে রায়ান যেন পা*গ*ল হয়ে যায়,,, দিশেহারা হয়ে খুঁজতে থাকে তাকে,,,, হঠাৎ রায়ানের চোখ যায় কোনার রুমটায়,,,,

কোনার রুমটায় চোখ যেতেই রায়ানের বুক ধুক করে ওঠে,,,, কারন রুমটায় রায়ান আর মিরা অতীতে থাকত,,,,রুমটা রায়ান সবসময় তালা মে*রে রাখে,,,, কিন্তু এখন রুমটায় তালা নেই,,,, তার উপর রুমটার দরজা সম্পূর্ণ খোলা আর সেখান থেকে লাইটের আলো আসছে,,,,,

রুমে লাইট জ্বালানো দেখে রায়ানের বুঝতে বাকি রইল না যে মিরা রুমটার ভেতরে আছে,,,, অজানা এক ভয় কাজ করছে রায়ানের ভেতর,,,, "" তবে কি মিরা সব জেনে গেছে?? সে কি তাকে ছেড়ে চলে যাবে?? একবারও কি মাফ করবে না তাকে?? "" প্রশ্ন গুলো বেশ ভাবেই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে রায়ানের মাথাটাকে,,,,, কী করবে বুঝতে পারছে না রায়ান,,,, রুমটায় যাবে কি যাবে না,,?? এটা ভেবেই ৩ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে,,, তারপর কিছুটা সাহস মনে সঞ্চয় করে রুমটার দিকে এগুতে থাকে,,,,

রুমটার ভেতর ঢুকতেই কে যেন রায়ানকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,, আচমকা এভাবে জড়িয়ে ধরায় রায়ান কিছুটা ভয় পায়,,, পরক্ষনে নিজেকে সামলে নেয়,,,কারন সে জানে,,, তাকে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তি আর কেউ না মিরা,,,, তাই রায়ানও মিরাকে জড়িয়ে ধরতে নিবে তার আগেই মিরা রায়ানের ঠোঁট ২টা দখল করে নেয়,,,,,

মিরার এমন করায় রায়ান অনেকটাই অবাক হয়,,, কারন মিরা কখনও-ই রায়ানকে নিজ থেকে কিস করে নি,,,,,

রায়ান মিরাকে ছাড়াতে নিলে মিরা আরও বেশি করে রায়নকে কিস করা শুরু করে,,, তাতে রায়ান আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না,,, সেও মিরাকে সমান তালে কিস করা শুরু করে,,,,

কিছুক্ষন পর মিরা রায়ানের কাছ থেকে সরে আসে,,, মিরা সরে আসতেই রায়ান মিরাকে মাথা থেজে পা পর্যন্ত একবার স্কেন করে নেয়,,,, অপরুপ লাগছে তার মায়াপরীকে,,,, রায়ান হাসিমুখে মিরাকে জিজ্ঞেস করে,,,,

রায়ানঃ আজকে এত সুন্দর করে সাজলে যে,,,??

মিরাঃ ওমা,,, সাজব না,,, আজকে তো আপনার জন্য একটা বিশেষ দিন,,,, যা আপনি আজীবন মনে রাখবেন,,,,,

মিরার কথা শুনে রায়ান ভ্রু কুচকে মিরার দিকে তাকায়,,,, পরক্ষনে তার মনে হয় তারা তো তাদের আগের রুমে,,,
রায়ানের মধ্যে আবার ভয় কাজ করা শুরু করে,,, ভয়ে ভয়ে মিরাকে বলল,,,,

রায়ানঃ ত,,,তুমি,,এ,,এখা,,নে,, কেন,,, মিরা,,,?? চ,,,চল,,,এখা,,,ন,,থ,,,থেকে,,,,

মিরাঃ কেন যাব,,,তাছাড়া আমি আমাদের অতীতের রুম দেখতে আসছি,,,,

রায়ানঃ অ,,,অতী,,,তের,,, র,,রুম,,,মানে,,,??

মিরাঃ আহারে আমার ব*জ্জা*দ বর দেখি ৪ মাস মেন্টাল হসপিটালে থেকেও ঠিক হলো না,,,, আচ্ছা যে হসপিটালে গেসিলেন,,, সেটা মনে হয় ভালো না,,, একটা কাজ করি এবার ভালো হসপিটালে নিয়ে যাব,,, ওকে,,,

রায়ানঃ দেখো,,,মিরা,,,ত,,তুমি কি বলছ,, আমি,,আমি,,বুঝ,,তে,,,পারছি না,,

মিরাঃ আরে আপনি দেখি সব ভুলে গেছেন,,,আমার কি মনে হচ্ছে জানেন,,,??

রায়ানঃ ক,,কী,,,??

মিরাঃ আমার মনে হচ্ছে আমার স্মৃতি শক্তি যায় নাই,,, আপনার গেছে,,,তাই না মিস্টার ব*জ্জা*দ মিথ্যাবাদী,,, সুইট বিশ্বাসঘাতক বর,,,,??

রায়ানঃ দেখো,,,মিরা,,, আমি তোমাকে বলতাম,,,

মিরাঃ ও সাট আপ মিস্টার রায়ান আহমেদ,,,,আচ্ছা কখন বলতেন আপনি,,,এ ১ মাসেও কি একদিনও সুযোগ হয়নি বলার,,,???[ চিল্লিয়ে ]

রায়ানঃ দেখো মিরা হাইপার হয়ো না,,,, আমি এটা ইচ্ছা করে করি নি,, শুধু মাত্র তোমাকে পাওয়ার জন্য করেছি,,,

মিরাঃ ও রেইলি,,,তাহলে বলুন তো আমি কোন বাজারের পণ্য,, যে আপনি আমাকে পাওয়ার জন্য এগুলা করেছেন,,,

রায়ানঃ মিরা,,,আ,,আমি,,বল[ বলতে না দিয়ে ]

মিরাঃ আর কি বলা বাকি আছে আপনার,,, যা জানার তা কিন্তু আমি জেনে গেছি,,,এন্ড ইউ নো ওয়াট মিস্টার রায়ান,,,আপনার জন্য আমার স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে,,, আমার বেবি মা*রা গেছে,,,, এর শাস্তি আপনি পাবেন,, নিশ্চয়ই পাবেন,,,,

রায়ানঃ দেখ,,সাহেল,,য [ বলতে না দিয়ে,,,,,

মিরাঃ একটা কথা জানেন কি আপনি জীবনেও সুধরাবেন না,,,, কি বলতে যাচ্ছিলেন যানি,,, ওহ্,,, বুঝতে পেরেছি,, আপনি বলতে চাচ্ছেন সাহেলের জন্য আমার বেবি মা*রা গেছে,,, ওয়েল মিস্টার,,, ও তো জানত না আমার বেবি পেটে,,, কিন্তু আপনি তো জানতেন,,, আর তাছাড়া পুরা ১ টা বছর আমি আপনার সাথে ছিলাম,,, তখনও কি সময় হয় নি আপনার বলার,,,, হ্যাঁ হয়ত রাগ করতাম,,, কিন্তু পরে হয়ত সেটা চলে যেত,,, কিন্তু এখন আপনাকে আর মাফ করব না,,,, আপনার জন্য অনেক কিছু হারিয়েছি এখন আর না,,,,,,

রায়ানঃ তু,,তুমি,,কি,,সা,,সাহেলের কাছে চলে যাবা,,,???

মিরাঃ বলে ছিলাম না মিস্টার রায়ান,,, আপনি জীবনেও সুধরাবেন না,,, দেখেছেন প্রমাণটা কিন্তু আপনার সামনে,,,

বলেই মিরা চলে নিতে যায় কিন্তু দরজার কাছে এসেই দাঁড়িয়ে যায়,,, তারপর বলে,,,,

মিরাঃ আপনার শাস্তিটা বলতে ভুলে গেছি,,, শুনবেন কি শাস্তি,,,??

রায়ানঃ,,,,,,,

মিরাঃ কিছু বলছেন না যে,,,?? আচ্ছা থাক আর বলতে হবে না আমিই বলে দিচ্ছি,,,আপনি তো জানেন আমাদের বিয়ের ৬ মাস হতে আর মাত্র ৫ মাস বাকি,,, সো মিস্টার রায়ান ডিভোর্স লেটারটা কিন্তু আপনি ৫ মাস পরেই পাচ্ছেন,,,,

বলেই মিরা তাড়াতাড়ি করে রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়,,,, তারপর বাসা থেকে বের হয়ে সোজা বাস স্ট্যান্ডে চলে আসে,,,, আর চিটাগং এর বাসে উঠে যায়,,,গন্তব্য মা-বাবার কাছে যাবে,,,,

বাসে উঠেই মিরা সাহেলকে কল করে,,,,,

মিরাঃ সাহেল আমি বাসে উঠে গেছি,,, আপনি প্লিজ বাসায় গিয়ে একটু দেখবেন রায়ান কি করছে,,,, কোনো আজেবাজে কাজ করছে নাকি,,,,

সাহেলঃ হ্যাঁ যাচ্ছি,,,কিন্তু একটা কথা ছিল,,,

মিরাঃ জ্বী বলুন,,,,,

সাহেলঃ তুমি কি রায়ান কে একেবারে ছেড়ে চলে যাচ্ছ,,,,

মিরাঃ আপনার কি মনে হয় আমি চলে যাচ্ছি বলে রায়ান আমাকে চলে যেতে দেবে,,,,

সাহেলঃ না কিন্তু,,, এটা আমার প্রশ্নের উত্তর না,,,,

মিরাঃ জানেন তো সাহেল,,, উনার জন্য অনেক কিছু হারিয়েছি,,, এভাবে তো শাস্তি দেওয়া ছাড়া ছেড়ে দিতে পারব না,,,কিছুদিন শাস্তি দেই,,, তারপর নাহয় কাছে টেনে নিব,,,,

মিরার কথা শুনে সাহেল একটু হাসলো,,, তারপর ফোন কেটে রায়ানের কাছে যাওয়ার জন্য গাড়ি স্টার্ট দিল,,,,

সাহেল রায়ানের বাসায় ঢুকতেই ভাঙার কিছু শব্দ পায়,,,, কোনার রুমটার কাছে আসতেই বুঝতে পারে,,, রুমটার থেকেই আওয়াজ আসছে,,,, তাড়াতাড়ি করে রুমের দরজা খুলে,,,, রুমের ভেতরে ঢুকেই দেখে রায়ান ফ্লোরে বসে বসে কান্না করছে,,,, সাহেল রায়ানের কাছে আসতেই রায়ান সাহেলকে জড়িয়ে ধরে,,,,তারপর বলে,,,,,

রায়ানঃ দেখ না সাহেল,,,, মিরা আমাকে রেখে চলে গেছে,,, ও বলে আমাকে ডিভোর্স দিবে,,,, প্লিজ ওকে মানা করনা যেন আমাকে ডিভোর্স না দেয়,,, আমি বাঁচব না সাহেল,,,ওকে ছাড়া আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,,,একবার হারিয়েছি,,, আবার হারাতে পারব না,,,,,, [ কান্না করে ]

সাহেলঃ তাহলে চল মিরার কাছে,,,

রায়ানঃ ও কি আসবে,,,,?? ভয় লাগে আমার,,,,যদি আমাকে ফিরিয়ে দেয়,,,

সাহেলঃ চেষ্টা তো করে দেখতে পারিস,,,আর একবার না পারিলে দেখ শতবার,,,তাছাড়া এত কিছু করেছিস,,, এটা করতে তোর ভয় লাগে না,,,যত্তসব,,,

রায়ানঃ😑😑

সাহেলঃ এত মুখ না বানিয়ে এখন যাবি,,,,

রায়ানঃ কোথায়,,,??

সাহেলঃ তোরে পাচার করে দিতে,,,

রায়ানঃ মানে,,,?আমারে আবার কে কিনবে,,,??

সাহেলঃ কে আর মিরা কিনবে,,,

রায়ানঃ যদি না কিনে,,,??

সাহেলঃ তাহলে তোকে আবার মেন্টাল হসপিটালে পাঠামু,,, এখন চল,,,,,

রায়ানঃ হুম,,,,, কিন্তু কায়রা আর আবিরও যাবে আমাদের সাথে,,,,

সাহেলঃ আসার সময় কল দিসিলাম,,,, বলসি এয়ারপোর্টে থাকতে,,, এতখনে মনে হয় চলে আসছে,,,,

তারপর রায়ান আর সাহেল এয়ারপোর্টে যায়,,, সেখানে গিয়ে দেখে কায়রা আর আবির আগেই সেখানে দাঁড়িয়ে আছে,,,,

আবিরঃ কিরে রায়ান,,, কেমন আছস,,,,

রায়ানঃ ভালা নাই,,,তোর ভাবি গেসে গা আমারে রাইখা,,দাড়া আমি এগুলা কি ভাষায় কথা বলছি ছিঃ,,,, আসলেই আমার মাথা গেসে,,,,

কায়রাঃ তা আর নতুন কি,,, আচ্ছা তাহলে যাওয়া যাক,,,,

সাহেলঃ অবশ্যই,,,,

তারপর সবাই প্লেনে করে ডাইরেক চিটাগং এ,,,,,

এদিকে মিরা,,, বাস থেকে এইমাত্র নামল,,,,নেমেই একটা টেক্সি নিয়ে তার মা বাবার বাসায় চলে আসে,,,, বাসায় ঢুকতেই দেখে রায়ানরা অনেক আগেই তাদের বাসার ড্রইং রুনে বসে আছে,,,,

মিরাকে ঢুকতে দেখে আবির বলে ওঠে,,,

আবিরঃ ভাবি,, কেমন আছ,,,??

মিরাঃ আমি আপনাকে ঠিক চিনলাম না,,,,

সাহেলঃ আরে মিরা,,, ও আবির,,,

মিরাঃ ও,, তাহলে আপনি আবির,,,নাইস টু মিট ইউ এন্ড সাহেল আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যান,,, নাহলে অপমান হয়ে বের হতে হবে আপনাদের,,,,,

রায়ানঃ দেখো,,,,[ বলতে না দিয়ে ]

মিরাঃ জাস্ট সাট আপ,,, আপনি তো আরও আগে বের হবেন,,, তাই কিছু বলার অধিকার আপনার নেই,,,সো প্লিজ,,,অপমান হতে না চাইলে এখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব চলে যান,,,,

বলেই মিরা নিজের রুমে চলে যায়,,, মিরাকে চলে যেতে দেখে রায়ান মিরার পিছু নিতে যায়,,, কিন্তু তার আগেই সাহেল রায়ানকে যেতে মানা করে,,,,

সাহেলঃ এখন ওর মাথা গরম,,,গেলে শুধূশুধু অপমানিত হবি,,,, ওর মাথা ঠান্ডা হলে তারপর কথা বলিস,,, এখন চলে যাওয়াটাই ভালো,,,,

রায়ানঃ হুম,,,[ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ]

সাহেলঃ তাহলে আন্টি আংকেল,,,আজ আমরা আসি,,,

মিরার মাঃ আর একটু বসো,,,,

কায়রাঃ না আন্টি অন্য একদিন,,,,আমরা তো চিটাগং আছিই না,,,,

মিরার বাবাঃ তারপরও,,,

রায়ানঃ চিন্তা করিয়েন না বাবা,,, কাল আবার আসব আপনার মেয়ের রাগ ভাঙাতে,,,

তারপর রায়ানরা চলে যায়,,, ওরা যেতেই মিরার মা বাবা মিরার রুমে আসে,,,
মিরা ব্যগ থেকে জামা নিয়ে আলমাড়িতে রাখছিল,,, মা বাবা কে রুমে আসতে দেখে বলে,,,,

মিরাঃ তোমরা হঠাৎ এখানে,,??

মিরার বাবাঃ তুই যা করছিস তা কিন্তু একদম ঠিক না,,,,

মিরাঃ কি ঠিক না বাবা,,, আমি যা করছি তা তোমাদের ঠিক লাগছে না,,, আর ও যা করেছে তা কি সব ঠিক,,,??

মিরার মাঃ আমরা সেটা বলিনি,,,

মিরাঃ তাহলে কি বলতে চাচ্ছো,,,একটা কথা শুনে রাখো মা,,, দোষ তোমাদের ও কম না,,, তোমরাও আমার কাছ থেকে সত্যি টা লুকিয়েছো,,,

বাবাঃ হ্যাঁ,, কিন্তু তোর ভালোর জন্য,,,

মিরাঃ তাই নাকি,,,,তাহলে শুনে রাখ আমি ভালো নেই,,, তোমাদের এত মিথ্যা বলার পরেও আমি ভালো নেই,,প্লিজ আমাকে একা থাকতে দাও,,,

বাবাঃ কিন্তু,,,

মিরাঃ তোমরা কি চাচ্ছ আমি অন্য কোথাও যাই,,,??

মিরার মা বাবা আর কিছু বলল না,,, রুম থেকে চলে যায়,,,,

এভাবে কেটে যায় ২ মাস,,,

এ ২ মাসে রায়ান নানা ভাবে মিরার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে,,, কিন্তু প্রতিবারই মিরা রায়ানকে অপমান করে,,,, তাও রায়ান হাল ছাড়ে না,,, মিরা যতই আপমান করুক না কেন,,, সে তবুও মিরার কাছে যায়,,,,

কিছুদিন ধরে মিরা নিজের মধ্যে কারো অস্তিত্ব অনুভব করছে,,,, তার বুঝতে বাকি রইল না যে সে প্রেগন্যান্ট,,,, মিরার মধ্যে এক অজানা আনন্দ কাজ করছে,,,, কিন্তু তা বেশিক্ষন থাকে না,,, তার মনে পরে যায় এটা ওর ২ নং বেবি,,, রায়ানের জন্য তার প্রথম বেবি মা*রা গেছে,,, ভাবতেই কান্না চকে আসে মিরার,,,,

মিরাঃ কেমনে তোমাকে মাফ করব রায়ান,,, তুমি অনেক বেশিই ভুল করে ফেলেছ ,,,, জান রায়ান তোমাকে যদি আমি ভালোনা বাসতাম,,,তাহলে হয়ত এত কিছুর পরও তোমাকে মেনে নিতাম না,,,, তবে আর একটু শাস্তি তোমাকে পেতে হবে,,,,

তারপর কেটে যায় প্রায় অনেক দিন,,,, এর মধ্যেই রায়ান অসুস্থ হয়ে পরে,,, পা*গ*লে*র মত বিহেভ করা শুরু করে,,, তাই মিরা ভেবেছে আজকে রায়ানকে একটু শাস্তি দেওয়ার পর সারা জীবনের জন্য আপন করে নেবে,,,, তাই রায়ান, সাহেল, কায়রা আর আবিরকে একটা রেস্টুরেন্টে আসতে বলে,,,,

যথা সময়ে,,তারা সবাই চলে আসে,,,,

রায়ান মিরার সামনে বসে আছে অপরাধির মত,,, আর মিরা রায়ানের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে,,,,,

মিরাঃ কি,,,?? হ্যাঁ কি,,,সমস্যা আপনার,,,?? আবার পা*গ*ল হওয়ার প্ল্যান প্রোগ্রাম নাকি,,?

রায়ানঃ মিরা,, আই এম সরি,,, প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও,,, আই কেন্ট লিফ উইদ আউট ইউ,,,,প্লিজ ফর গিভ মি,,,

মিরাঃ মাফ করতাম যদি এ-ই সব ইংলিশে পটরপটর না করতেন,,,,

রায়ানঃ ম,,মানে,,?

মিরা কিছু না বলেই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যায়,,,মিরার সাথে সাথে বাকিরাও বের হয়,,, রায়ান বের হয় সবার শেষে,,,

সবাই রাস্তা পার হতেই একটা চিল্লানোর আওয়াজ পায়,,, পিছনে তাকাতেই দেখে রায়ান র*ক্তা*ক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে আছে,,,,,

এটা দেখা মাত্র মিরা রায়ানের কাছে দৌড়ে চলে আসে,,,, রায়ানের গাল ধরে বলতে থাকে,,,

মিরাঃ প্লিজ রায়ান চোখ খুল,,, দেখো আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি,, প্লিজ চোখ খুলো,,,

সাহেলঃ মিরা ওকে হাসপাতালে নিতে হবে,,, প্লিজ সর,,,,

মিরাঃ না আমি সরব না,, প্লিজ রায়ানকে উঠতে বল,,,,

সাহেলঃ আচ্ছা উঠতে বলব,, এখন প্লিজ সর,,,,

মিরাঃ বলসি না আমি রায়ানকে ছাড়া যাব না,,, কেন বুঝ,,,

বলতে বলতেই মিরা অজ্ঞান হয়ে যায়,,,,,
""
""
""
৬ বছর পর,,,,,
""
""
""
মিরাঃ নায়রা,,,,বেবি,,,মার কাছে আস,,, প্লিজ,,, এত দৌড়া দৌড়ি করে না,,, মা না ভালো,,,, [ নায়রার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ]

নায়রাঃ না তোমাল মেয়ে ভালো না,,, [ দৌড়ে তার বাবার কোলে উঠে যায় ]

মিরাঃ দেখছেন,,, আপনার মেয়ে কেমন দুষ্ট হইসে,,,,

নায়রাঃ না আমি ভালো,,, তাই না বাবা,,,

মিরাঃ ওরে আমার ভালোর ফ্যাক্টরী,,,,আচ্ছা রায়ান কায়রা, সাহেল আর আবির কই,,,ওরা আসবে না ,,??

রায়ানঃ জান ওরা মেবি রাস্তায়,,, একটু পরেই চলে আসবে,,,

মিরাঃ তাড়াতাড়ি আসলেই ভালো,,,,

রায়ানঃ হুম,,,আচ্ছা নায়রা,,, তুমি একটু চোখ বন্ধ কর তো,,,

নায়রাঃ কেন,,,মাম্মামকে আদল কলবা,,,??😁

মিরাঃ নায়রা,, এগুলা কি হ্যাঁ,,, আর রায়ান আপনিও কি শুরু করেছেন,,,

রায়ানঃ কি শুরু করসি মানে,,,?? কতদিন হল একটা কিসও করি নি,,,,

মিরাঃ তাই নাকি,,,তাহলে সকালে কে দিল,,,

রায়ানঃওইটা তো ভুলে হয়ে গেছিল,,, এখন যেটা দিব অইটা সজ্ঞানে দিব ওকে,,,,

মিরাঃ একদম না,,, সাহেল,কায়রা আর আবির এখনই চলে আসবে,,,

রায়ানঃ তাই তো এখন দিচ্ছি,,,,

মিরাঃ দিতে দিকে এএএ না,,,

বলেই মিরা দৌড় দিয়ে চলে যায়,,,এটা দেখে রায়ান নায়রাকে বলে,,,

রায়ানঃ দেখছ,,,মামুনি,, তোমার মাম্মাম বাবাকে একটুও আদর করে না,,,
,
নায়রাঃ মাম্মাম না কললে,, কি হইছে,,, আমি তোমাকে আদল কলব,,,[ রায়ানকে চুমু দিয়ে ]

এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সাহেক কায়রা আর আবির চলে আসে,,,,

রায়ানঃ কেমন আছিস সাহেল,,, আবির,,??

সাহেল আর আবিরঃ ভালো,,,

কায়রাঃ কিরে আমাকে জিজ্ঞেস করলা না,,,,??

রায়ানঃ তুমি তো সাহেলের সাথে ভালোই আছো,,, তোমাকে আর কি জিজ্ঞেস করব,,,,

কায়রাঃ তুমি আসলেই ফা*ল*তু,,,

মিরাঃ একেবারে ঠিক বলেছো,,,তা তোমরা বিয়ে করছ কবে,,,,

সাহেলঃ এইতো ১ মাস পরে,,,

রায়ানঃ তাহলে ১ মাস পর তুই জেলখানায় আটক হচ্ছিস,,,[ ঘারে হাত দিয়ে ]

মিরাঃ আপনার ফা*ল*তু কথা জিবনেও শেষ হবে না,,,,,

আবিরঃ ঠিক বলছো ভাবি,,,

মিরাঃ হুম,,,কিন্তু তোমার বিয়ে কবে হবে,,,,,??

আবিরঃ কাউকে তো পাইনি এখন,,যাকে তোমাদের মত মনের অজান্তে hidden love করে ফেলব,,,

রায়ানঃ তাহলে ভাই,, তুই আশা বাদ দিয়ে দে,,,,

বলেই সবাই হেসে উঠল,,,,
............ ❤সমাপ্ত ❤.............

পুরা গল্পটা কেমন লাগল বলবেন,,,,আর আমার সাথে গল্পটার শেষ অব্দি থাকার জন্য ধন্যবাদ,,,❤❤

Address

Habiganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Probashi Fahim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share