10/09/2024
চট্টগ্রামের গর্বীত সন্তান #অনুপম_সেন
🔰 (জন্ম ৫ আগস্ট ১৯৪০) একজন বাংলাদেশি #সমাজবিজ্ঞানী। যিনি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে পালন করছেন। ২০১৪ সাল শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।🔰
🔰🔰প্রারম্ভিক জীবন :🔰🔰
🟪অনুপম সেন ১৯৪০ সালের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত ধলঘাট গ্রামে। তার পিতা বীরেন্দ্রলাল সেন ছিলেন একজন #আইনজীবী এবং তার মাতার নাম স্নেহলতা সেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনামলেই #ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।🟪
🟩দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তার পরিবার তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। যুদ্ধ শেষে তারা আবার নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে আসেন। আট বছর বয়সে পিতা বীরেন্দ্রলাল সেনের মৃত্যুর পর মায়ের সাথেই তার শৈশব অতিবাহিত হয়।
🔰🔰শিক্ষাজীবন :🔰🔰
☑️ #চট্টগ্রাম মহানগরীতে জন্ম নিলেও অনুপমের শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের বাড়ি ধলঘাটে। ধলঘাট ইংলিশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় #বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে গ্রাম থেকে ফিরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তার মা তাকে তার বোনসহ কলকাতায় তার মামার কাছে পাঠিয়ে দেন। কলকাতার সেন্ট ক্যাথিড্র্যাল মিশনারী স্কুলে ভর্তি হয়ে তিনি তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। পরে কলকাতা থেকে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল এইচ ই স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।☑️
🔰🔰উচ্চতর শিক্ষা :🔰🔰
⭕অনুপম সেন মেট্রিক পাসের পর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। আই.এ. পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি সমাজতত্ত্বে স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সমাজতত্ত্বে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন।তার পিএইচ.ডি-এর বিষয় ছিল ‘দি স্টেট, ইনডাস্ট্রিলাইজেশন এন্ড ক্লাস ফরমেশনস ইন ইন্ডিয়া। গ্রন্থটি ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের প্রকাশক ‘রাউটলেজ’ কর্তৃক প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিজ ইত্যাদি বিষয়ের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।⭕
🔰🔰কর্মজীবন:🔰🔰
⭕১৯৬৫ সালে ২৫ বছর বয়সে অনুপম সেনের কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৫ সালের মার্চে তিনি পূর্ব #পাকিস্তান প্রকৌশল ও #প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমান বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা #বুয়েট) সমাজতত্ত্ব ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত #কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষা সহায়ক (টি.এ.) ও টিউটরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে দেশে ফিরে পুনরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালের জুন থেকে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে তিনি #চট্টগ্রামের #প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে কর্মরত আছেন।⭕
🔰ড. সেনের তত্ত্বাবধানে বা সুপারভিশনে সাতজন #গবেষক বিভিন্ন বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি #ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি পি.এইচ.ডি গবেষণা কর্মের পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখনও তার তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু গবেষণাকর্ম পরিচালিত হচ্ছে।🔰
🔰ড.অনুপম সেন ১৯৭১ সালে #বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় #চট্টগ্রাম #বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন। তিনি ১৯৮৪-৮৫ এবং ২০০০-২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ১৯৮৪-৮৫ সালে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিভূ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি-ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।🔰
সূত্র :উইকিপিডিয়া