Mawlana Abdullah al- azmi

Mawlana Abdullah al- azmi mawlana Abdullah Al Azmi are ready to give you full The Islamic creed follows the Manhaj Salaf.

গতকালকের ভাইরাল সেই পথ শিশুও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উচিত ছিলো এই খুদে মেধাবী পথ শিশুকে পুরস্কৃত করা কিন্তু তা না করে তা...
20/04/2021

গতকালকের ভাইরাল সেই পথ শিশুও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উচিত ছিলো এই খুদে মেধাবী পথ শিশুকে পুরস্কৃত করা কিন্তু তা না করে তাকে করা হলো নির্যাতন😥 হক কথা যেই বলুক, কি শিশু! কি আলেম!রেহাই নেই কারো 😥😥

"আচ্ছা, লকডাউন দিয়েছে, সামনে ঈদ মানুষজন খাবে কি ? মাননীয় মন্ত্রী যে লকডাউন দিয়েছে এটা ভুয়া, থ্যাংকইউ"

শুধুমাত্র এই মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন সত্য কথা গুলো উচ্চারণ কারী একটি পথশিশুর মন্তব্য সহ্য করবার ক্ষমতা যাঁরা রাখেনা, উপরন্তু অর্ধাহারে অনাহারে থাকা শিশুটিকে চরম শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাঁর মুখ স্তব্ধ করবার অপপ্রয়াস চালায়, অন্তরের অন্তস্তল থেকে তাদেরকে ধিক্কার, মহান আল্লাহ্ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক, নয়তো ধ্বংস করে দিক, আল্লাহুম্মা আমিন।
A.......h

এই নিষ্পাপ স্বজনহারা, বাড়ি-ঘরহারা বাচ্চাগুলো খুব জানে জি হা দের প্রয়োজন কতটুকু বা কী! জিজ্ঞেসে করুন তাদেরকে! তাদের বাবা-...
19/04/2021

এই নিষ্পাপ স্বজনহারা, বাড়ি-ঘরহারা বাচ্চাগুলো খুব জানে জি হা দের প্রয়োজন কতটুকু বা কী! জিজ্ঞেসে করুন তাদেরকে! তাদের বাবা-মা কে! হাফিজাহুমুল্লাহ।

একটু কাল্পানিকভাবে ভাবুন তো!
বোরকাওয়ালী মহিলাটি আপনার মা-বোন বা স্ত্রী
আর বাচ্চাগুলো আপনার ছোট ভাই-বোন,সন্তান বা স্বজনদের কেউ! এবার বলুন জনাব, আক্রমনাত্মক
জি হা দের প্রয়োজন আছে কী? জি হা দী জযবার দরকার পড়ে কী? জানি, বোধগম্যও হবে না!

এই দৃশ্যপট কাল্পনিকভাবে চিন্তা করা লাগবে না।
বাস্তবতার দিকে এগুচ্ছে এ মাতৃভূমি। ভাবুন একটু!

আবদুল্লাহ আল আজমী
৫/৪/২১

19/04/2021

কেন আমাদের উপর এই মুসিবত
গ্রেফতার ঘুম খুন রিমান্ড।।

সম্প্রতি 2 /11/2020 ফ্রান্স ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজোতে ইসলাম কর্তিক বিশাল একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সেই বিক্ষোভ মিছিলে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
(১) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো যদি ক্ষমা না চায় তাহলে বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস থাকতে পারবে না। দূতাবাসের প্রতিটি খুলে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া হবে।
(২) বাংলাদেশ সরকার অনতিবিলম্বে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কঠিন জবাবদিহিতা করতে হবে।
(৩) ৪৮ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয় সরকারকে।

সে (৪৮) ঘণ্টা পেরিয়ে পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেল আমরা তো দেখতে পেলাম না আমাদের সে আন্দোলনের সফলতা।
না আমাদের সরকার ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কোন জবাবদিহিতা করছে। অথচ ফ্রান্সের সরকার মানবাধিকার লংঘন করে ১৫০কুটি মুসলমানদের হৃদয় আঘাত করেছে।

তার বিপরীত পাকিস্তান!

2/11/2020 ফ্রান্সের ইস্যুতে।
রিজভী আকিদার একটি দল তেহরিকে লাব্বাইক তারা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের দাবী হল যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার ফ্রান্সের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন না করবে। এবং ফ্রান্স দূতাবাস পাকিস্তান থেকে উঠিয়ে না দিবে। এবং ফ্রান্সের সমস্ত পণ্য বর্জন না করবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আমি একটি ভিডিও ফুটেজ দেখেছি যেদিন তেহরিকে লাব্বাইক আন্দোলনের ডাক দেন তারা ইসলামাবাদ রাত্রি যাপন করে তাদের উপর অনেক ধরনের হামলা মামলা হয়।
পরের দিন যখন তেহরিকে লাব্বাইক আমির মাওলানা খাদেম হাসান রেজভী রহঃ
যখন পুরা ইসলামাবাদকে অবরোধ করে দেন তখন অনেক সাংবাদিক এসে প্রশ্ন করছে। যে হুজুর আপনারা কি আন্দোলন করতেছে আপনাদের কারণে মানুষ চলাচল করতে পারতেছেনা। গাড়ি চলতে পারতেছেনা। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি ওই সাংবাদিকদের উত্তর দিয়েছিলেন। যে সমস্ত লোক বলতেছে তাদের কষ্ট হচ্ছে তারা কি মুসলিম না? এ আন্দোলনকে শুধু আমাদের? নবী মুহাম্মদ কি শুধু আমাদের নবী? তাদেরকে নবী নন?!
যে মুসলমানের দাবী করবে সে আমাদের আন্দোলনে এসে শরিক হবে সে কখনো বলবে না আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
তাদের সে আন্দোলন আজ অবধি অব্যাহত আছে এমনকি পাকিস্তান সরকার তেহরিকে লাব্বাইক দলকে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করছে। তার পরেও তারা আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর্যন্ত তারা আন্দোলন করে আসতেছে পাকিস্তানের
ইসলামাবাদে।
আর আমাদের সেই আল্টিমেটাম কোথায়?? আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। আমাদের সেই জজবা কোথায় হারিয়ে গেলে?
শত ধিক্কার আমাদের জন্য কেন আমরা সুদুরপ্রসারি পরিকল্পিত আন্দোলন করতে পরিনা। কোথায় আমাদের নেতারা !! কোথায় আমাদের আকাবীরে উলামা।।

চলমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি ।
আমি মনে করি আজকের এই মুসিবত আমাদের উপর এসেছে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জতের হেফাজত করতে ব্যর্থ হয়েছি।
এবং যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দুশমনদেরকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তাদেরকে যখন ফাঁসি দেওয়ার রায় দেওয়া হয়।
তখন আমাদের কিছু ভাই ব্যতীত বাকি সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন কিন্তু যাও বলেছে অনেক পরে যা কার্যকর হওয়া নয়।
আমরা আশেকে রাসুল দের কে রক্ষা করতেন ব্যর্থ হয়েছি।

শুনলাম গতকালকে পাকিস্তানি (তেহরিকে লাব্বাইক) দলের তিনজন কর্মীকে পুলিশ শহীদ করেছে।
বর্তমান তাদের আমির ঘোষণা দিয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস উপড়ে ফেলা হবেনা। এবং তাদের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ না করবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ভাইদের লাশ কবরে দাফন করা হবে না।
আমার কাছে তো মনে হচ্ছে তারাই হচ্ছে নবীর সঠিক প্রেমিক যদিও আমরা তাদেরকে বেদাতি বলে আখ্যায়িত করি।
আবদুল্লাহ আল আজমী
১৯/৪/২১

তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহ অর্থ হল বিচার (হুকুম) এবং আইন প্রণয়ণের (তাশরী’) অধিকার শুধুমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার। আধি...
12/02/2021

তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহ অর্থ হল বিচার (হুকুম) এবং আইন প্রণয়ণের (তাশরী’) অধিকার শুধুমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার। আধিপত্য , রাজত্ব , সার্বভৌমত্ব এবং সৃষ্টির বিষয়াবলী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যেমন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কোন শরীক নেই , তেমনি ভাবে বিচার (হুকুম) এবং আইন প্রণয়ণের (তাশরী’) ক্ষেত্রেও আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কোন শরীক নেই।
এটি তাওহীদের এমন একটি শ্রেনী যা উলামাদের অনেকে আলাদা নামকরণ করেছেন ঠিকই কিন্তু এর সার বক্তব্য লুকিয়ে আছে তাওহীদের মৌলিক তিন প্রকারের মাঝেই। এর বিশ্বাসের মধ্যে এমন বিষয় আছে যা তাওহীদুল উলূহিয়্যাহর ভেতরে পরে, এ বিশ্বাসের ভেতরে এমন বিষয় আছে যা তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহর ভেতরে পরে, আবার এর মধ্যে এমন বিষয় আছে যা তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাতের ভেতরেও পরে।

যেমন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন –
“... আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে , তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।” [সূরা আল আন’আমঃ ৪০]

এবং তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন-
“... আল্লাহ বিচার করেন, আর তাঁর বিচারকে (হুকুম) পশ্চাতে নিক্ষেপ করার কেউ নেই।” [সূরা আর-রা’দঃ ৪১]

এবং তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন-
“.. তিনি নিজ হুকুম ও বিধানের [ফী হুকমিহি] কর্তৃত্বে কাউকে শরীক করেন না।” [সূর আল-কাহফঃ ২৬]

এবং তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন-
“তারা কি জাহেলী যুগের বিচার- ফয়সালা কামনা করে ? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে ?” [ সূরা আল-মায়’ইদা ঃ ৫০]

এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন,
“তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন – ওর মীমাংসাতো (হুকুম) আল্লাহ্রই নিকট।” [সূরা আশ-শূরাঃ ১০]

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন-
“... যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর , তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে।” [সূরা আল আন’আমঃ ১২১]

এছাড়াও অন্য আরও সুস্পষ্ট (মুহকাম) আয়াতের দ্বারা তাওহীদের এ শ্রেণীটি (অর্থাৎ তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহ) প্রমাণিত , সুতরাং তাওহীদুল রুবূবিয়্যাহ, উলূহিয়্যাহ ও আসমা ওয়াস সিফাতের পূর্নাঙ্গ বিশ্বাসের মতোই তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহতে বিশ্বাস করা ব্যতীত কারো ঈমান সম্পূর্ণ হবে না।

এছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সহিহ হাদিসে আছে - “নিশ্চয় আল্লাহ্ হচ্ছেন আল-হাকাম (বিচারক) , এবং হুকুম (বিধান , আইন প্রণয়ন) হল তাঁর অধিকার।” [আবু দাউদঃ ৪৯৫৫ , আন-নাসাঈ ৮/২২৬]
যখন আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তা ব্যাতীত কুফর ও তাগুতের সংবিধান দিয়ে শাসনের শিরক উম্মাহর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর কথা বলা ,এবং এর আবশ্যকতার দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করা দরকারী হয়ে পড়ে। এবং লোকেদের কাছে এও সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় যে , তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর উপর বিশ্বাস আবশ্যক এবং একে বাদ দিয়ে তাওহীদুল ‘উলুহিয়্যাহর- বিশ্বাস করা সম্ভব না।

কেননা তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন –

“...অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।” [সূরা আল-মায়েদাঃ ৪৪]

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন –

ইসলামের বন্ধনগুলো একটির পর একটি খুলে আসবে। যখনই একট বন্ধন খুলে আসবে, লোকেরা তার পরেরটিকে আঁকড়ে ধরবে। সর্বপ্রথম যে বন্ধন খুলে যাবে তা হবে শাসন (আল হুকুম), এবং সর্বশেষটি হল সালাত। [মুসনাদের আহমাদ, আল মু’জাম আল-কাবির আত-তাবারানি, সাহিহ ইবন হিব্বান]
সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহ.) তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর ব্যাপারে বলেন, “আল্লাহ্‌র নিকট সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের একটি হল হাকিমিয়্যাহ। যখনই কেউ কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের জন্য আইন প্রণয়ন করে, তখনই সে নিজেকে আল্লাহর বদলে এমন আরেক প্রভুর ভূমিকাতে বসিয়ে নেয় যার আইনের আনুগত্য ও অনুসরণ করা হয়। আর যারা এই আইন প্রণেতা বা আইন প্রণেতাগণের আনুগত্য করে, তারা আল্লাহ্‌র গোলামের পরিবর্তে আইন প্রণেতাদের গোলামে পরিণত হয়। তারা অনুসরণ করে আইন প্রণেতাদের সৃষ্ট দ্বীনের, আল্লাহর দ্বীন ইসলামের না। জেনে রাখুন আমার প্রিয় ভাইরা, এটা আক্বিদার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। এটা হল উলুহিয়্যাহ (একমাত্র আল্লাহ্‌কে ইলাহ/উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করা) এবং ‘উবুদিয়্যাহর (একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব) প্রশ্ন। এটা হল ঈমান ও কুফরের প্রশ্ন। জাহিলিয়্যাহ এবং ঈমানের প্রশ্ন। জাহিলিয়্যাহ কোন নির্দিষ্ট সময় বা যুগ না, জাহিলিয়্যাহ হল একটি অবস্থা।“ [ফী যিলাল ইল ক্বুর’আন]

ইবনে কুদামা আল হাম্বালী (রহ.) বলেন,
“মুসলিমের আইন (শারীয়াহ) দ্বারা শাসিত প্রতিটি দার (ঘর, ভূমি, অঞ্চল) হল দারুল ইসলাম এবং কুফর আইন দ্বারা শাসিত প্রতিটি দার হল দারুল কুফর, আর এই দুই ধরনের নিবাস ছাড়া আর কোন শ্রেণীবিভাগের উল্লেখ নেই।“ [আল আদাব উশ-শারীয়াহ ওয়াল মিনাহ লিল-মার’ইয়াহ]
যে মহান প্রতিপালক ঘুম থেকে ওঠার পর পুনরায় ঘুমাবার আগ পর্যন্ত ব্যক্তির প্রতিটি জাগ্রত মুহূর্তের ব্যাপারে, তাঁর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের ﷺ সুন্নাহর মাধ্যমে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সুবহানু ওতা'আলা বিচার ফায়সালা, অপরাধ ও অপরাধীর শাস্তি, অর্থনৈতিক লেনদেনের নিয়ম, রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার নিয়ম, মুসলিমদের সাথে অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায়সমূহের সম্পর্ক কি রকম হবে – এ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমাদের কোন নির্দেশনা দিবেন না; এমনটা হতে পারেনা। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মের সাথে ইসলামের মৌলিক পার্থক্য তো এটাই যে, তাদের ধর্মে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় বিধান, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, বিচার ব্যবস্থা শুন্য, আর ইসলাম এসব বিধান নিয়েই পরিপূর্ণ।
আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের ﷺ সুন্নাহ থেকে এ সত্য সুস্পষ্ট যে ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় – জীবনের সকল ক্ষেত্রেই আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট নিয়ম ঠিক করে দিয়েছেন। এ সব কিছু নিয়েই দ্বীন ইসলাম। সম্পূর্ণ ও সর্বোত্তম জীবনবিধান। যাতে অবকাশ নেই কোন রকম সংযোজন ও বিয়োজনের। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর কিতাবে বলেছেন –

“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। [ সূরা আল-মায়েদাঃ ৩]
সুতরাং কারো আল্লাহকে ইবাদাতের একমাত্র যোগ্য সত্ত্বা স্বীকার করার পাশাপাশি কবর পূজা, মাজার পূজা যেভাবে তাওহীফ পরিপন্থী, তেমনি আল্লাহর আইনের পরিবর্তের মানব রচিত আইন দ্বারা শাসন করা, কিংবা শাসনকে হারাম মনে না করা তাওহীদ পরিপন্থী বিশ্বাস ও কাজ। এই কিতাবে যেভাবে সালাত, সাওম, হজ্জের বিধানের বর্ণনা দেয়া আছে, তেমনি মিরাস, ব্যবসার চুক্তি, চোরের হাত কাটা, জেনাকারীর বেত্রাঘাত প্রয়োগের হুকুমও আছে। নিশ্চয় এসব অস্বীকারের দ্বারা শিরক হবে, আর তা হবে শিরকের মাঝে সবচেয়ে বড় শিরক এবং এর থেকে তাওবা না করলে বান্দার চিরস্থায়ী জাহান্নামী হওয়া আল্লাহর ওয়াদাকে বাস্তবায়ন করাবে।

কেননা, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন-
“... যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর , তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে।” [সূরা আল আন’আমঃ ১২১]

সুতরাং তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহর মূল শিক্ষা তথা বিচারের এবং হুকুমের একচ্ছত্র অধিকার হলো মহান আল্লাহ তা'আলার। এক্ষেত্রে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম, সেক্যুলারিজম সহ সকল মানব মতবাদ তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিকভাবে ভাবে হারাম এবং এর সহযোগীতা করা এবং হারাম জেনেও এসব মতবাদের সাথে সম্পৃক্ততা থাকা হলো বড় শিরক।

02/02/2021

একটি সংশয় নিরসনএকটি সংশয় নিরসন।
আলেমদের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে - যে ব্যক্তি শতকরা ৯৯% কুফরীতে লিপ্ত আর মাত্র ১% ঈমান পোষণ করে, তাকে কাফের বলা যাবে না। তবে এটা জানা উচিত যে এর অর্থ এই নয় - যে ব্যক্তি দিনের ৯৯টি কথা অস্বীকার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এবং মাত্র একটি কথা স্বীকার করে, তাকে কাফের বলা যাবে না। এটা চরম ভুল। কারণ, এই কথার ভিত্তিতে তো ইয়াহুদী খ্রিষ্টানদেরও কাফির বলা যাবে না। অথচ ইয়াহুদি খ্রিস্টানরা কমপক্ষে ইসলামের ৫০%পার্সেন কথা মানে ইসলামের সব কথা অস্বীকার করে, এমন কোন কাফির পৃথিবীতে নেই।
আলিমগণের এই বক্তব্যের অর্থ হলো, কেউ যদি সংক্ষিপ্ত সংশয়পূর্ণ কোন কথা বলে ফেলে, যে কথার মধ্যে 99 ভাগ কুফুরের সম্ভাবনা থাকে এবং এক ভাগ ঈমানের সম্ভাবনা থাকে তাহলে এমন সংশয় ও সন্দেহমূলক কথার উপর ভিত্তি করে তাকে কাফির বলা যাবে না। কিন্তু তাদের কথার অর্থ এই নয় যে যদি কোন ব্যক্তি শরীয়তের ৩০০হুকুম মানে কেবল তিনটি কথা মানে না যেমন ব্যভিচার করা, মদ্যপান করা, ঘুষ খাওয়া হালাল মনে করা, তবে কি সে কাফির হবে না?? সে তো কেবল একটি হুকুম অমান্য করেছে আর বাকি ৯৯টি হুকুম মান্য করেছে!!
যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের ১০০ টার মধ্যে ৯৯টি মানে, কেবল একটি আইন মানে না, সে ব্যক্তি প্রশাসনের কাছে বিদ্রোহী বলে বিবেচিত এবং ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তার জন্য অবধারিত। অথচ সেই ৯৯টি আইন মান্য করে কেবল একটি আইনের বিরোধিতার কারণে তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।।
Abdullah Al - azmi
2/2/21

02/02/2021

অনেক সুন্দর একটি নাশিদ।

28/01/2021

সুদ নিয়ে কিছু কথা, আমরা যারা আজকে মুসলিম বলে দাবিদার তাদের প্রত্যেকের অন্তরে লাগার মত কিছু কথা। ,শাইখ আবু ত্বহা হাফিজা হুল্লাহ

27/01/2021

ইসলামের পরিচয়
ইসলাম এর শাব্দিক অর্থ আনুগত্য আত্মসমর্পণ। করা অর্থাৎ নিজেকে অন্যের কাছে সঁপে দেওয়া, নিজের সত্তা অন্যের নিকট সোপর্দ করা। শরীয়তের পরিভাষায় ইসলামের অর্থ, সত্য নবীর আদেশের আলোকে আল্লাহর আনুগত্য ও বন্দেগী করা। নিজের মনগড়া মত ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী আল্লাহর আনুগত্য কে শরীয়তের দৃষ্টিতে ইসলাম বলা হয়না। কুরআনে এসেছে
فلا وربك لا يؤمنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا في انفسهم حرجا مما قضيت ويسلموا تسليما
কিন্তু না তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের বিবাদ- বিসংবাদের বিচারভার তোমার ওপর অর্পণ না করে। এরপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের অন্তরে কোন দ্বিধা না থাকে এবং তোমার সামনে নিজেদের পূর্ণরূপে সমর্পণ না করে। {সুরা নিসা ৬৫}
এ আয়াতের তাফসিরে ইমাম জাফর সাদিক রহ:থেকে বর্ণিত হয়েছে,
لو ان قوما عبدواالله تعالي واقاموا الصلاة واتواالزكاة
وصاموارمضان وحجواالبيت ثم قالوالشئ صنعه رسول الله
صلي الله عليه وسلم التصنع خلاف ماصنع؛او وجدوا في انفسهم حرجا لكانوا مشركين ثم تلا هذه الآية
ক্রোনা সম্প্রদায় যদি আল্লাহর ইবাদত করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, রমজানের সিয়াম পালন করে, এবং বাইতুল্লাহর হজ করে, এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজে করেছেন এমন কোন কাজের ব্যাপারে মন্তব্য করে- তিনি যা করেছেন কেন এর ব্যতিক্রম করলেন না! অথবা তার অন্তরে এ ব্যাপারে দিদা অনুভব করে, তাহলে তারা মুশরিক হয়ে যাবে। এরপর তিনি প্রমাণস্বরূপ উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন। {রুহুল মাআনী ৩/৬৯}
Abdullah Al- azmi

26/01/2021

ইসলামের তত্ত্বকথা

পৃথিবীতে বহু ধর্মের অস্তিত্ব থাকলেও ইসলাম এমন ধর্ম যা প্রতিটি বিষয় যা প্রতিটি বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করে এবং প্রমাণহীন কথাবার্তা নির্দ্বিধায় প্রত্যাখ্যান করে।
ইসলাম যখন কোন ব্যক্তি কে তার ধর্মের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণের আগে তাকে প্রথমে বিবেক -বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তা অনুধাবন করতে বলে - আমাকে গ্রহণ করার পূর্বে আমার শিক্ষাসমূহ বিবেক ও প্রমানের ছাঁচে
ফেলে ভালো করে ফরখ করে দেখো। নিবিড় ভাবে ভেবে চিন্তে যখন তোমার অন্তর পুরোপুরি প্রশান্ত হবে, তখনই কেবল আমার আহ্বান গ্রহণ করো। আল্লাহ বলেন،
يا ايها الناس قد جاءكم برهان من ربكم وانزلنا اليكم نورا مبينا ؛؛سورة نساء 174
হে মানুষ , তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। আমি তোমাদের কাছে এমন একটা লোক পাঠিয়েছি যা পথ সম্পূর্ণরূপে
পরিষ্কার করে তোলে। সুরা নিসা ১৭৪
كذلك يبين الله لكم اياته لعلكم تعقلون ؛بقرة242
এভাবে আল্লাহ স্বীয় বিধানাবলী তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট রূপে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বিবেক- বুদ্ধি খাটাতে পারো। সুরা বাকারার ২৪২
সুতরাং এমন ধর্ম পৃথিবীতে একটাই আছে; আর তা হচ্ছে ইসলাম। কোরআন মাজিদে এ ধরনের অসংখ্য আয়াত রয়েছে। সুতরাং কেউ যদি একথা বলে যে, ইসলাম এমন ধর্ম, যা তার অনুসারীদের দলিলহীন কথাবার্তা মানাতে চায় , তবে তা সুস্পষ্ট অপবাদ ছাড়া কিছু নয়।
Abdullah Al aizmi

22/01/2021

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
ইসলাম এসেছে জাহিলিয়াত দূর করে তওহিদ মিল্লাতে ইব্রাহীম প্রতিষ্ঠা করতে। মুসলমানদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনতে। ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে আকিদা ও বিশ্বাস। যার আকিদা পরিশুদ্ধ হবে তার দীন আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে। যারা আকিদায় শিরক ও জাহিলিয়াত থাকবে সে বিপথগামী বলে বিবেচিত হবে। রাসুল সাঃ তার উম্মাহকে শেষ জামানার ফিতনার ব্যাপারে জানিয়েছেন। উম্মাহর মধ্যে আকিদা নিয়ে যে ভয়াবহ মতবিরোধ হবে সে ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াসাল্লাম বলেন।
وان بني اسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة' وتفترق امتي على ثلاث وسبعين ملة' كلهم في النار الا ملة' واحده قالوا ومن هي؟ يا رسول الله قال ما انا عليه واصحابي؛

বনী ইসরাঈল 72 দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মাহ 73 দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া বাকি সবাই জাহান্নামে হবে। সাহাবীগণ বললেন হে আল্লাহর রাসূল সে দল কোনটি?? তিনি বললেন আমি ও আমার সাহাবীগণ যেই আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত (যারা এর অনুসারী হবে তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল){ সুনানে তিরমিজি 2641} সুতারাং কিয়ামতপূর্ব এই ফিতনার যুগে সরল পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে আহলুস্ সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অধ্যায়ন করা, প্রতিটি মৌলিক আকিদা যথাযথভাবে হৃদয়াঙ্গম করা এবং সহি-শুদ্ধ আকিদা লালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য একান্ত অবশ্য আবশ্যক।
সুতরাং আমাদের ঈমানকে বাঁচাতে হলে আকিদা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে ইনশাআল্লাহ উক্ত পেইজ এ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আকিদার মৌলিক বিষয়গুলিকে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ
Abdullah Al -azmi

Address

Fotika
Hathazari
4000

Telephone

+8801907101021

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mawlana Abdullah al- azmi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mawlana Abdullah al- azmi:

Share