
22/06/2025
নক্ষত্রের মৃত্যু নেই 💞🇧🇩
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি।
সখিনা নিঃসন্তান।
মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান স্বামী কিতাব আলী।
নিকলীতে সখিনাকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের কাছে থাকতেন।
সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, সখিনা বেগম বড়মাইপাড়া গ্রামে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।
ছোটকাল থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতেন। শিশু কিশোর যুবক সহ সব বয়সের মানুষ সখিনার মুখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনে অনুপ্রাণিত হতেন।
সখিনা খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হোন।
ভাগ্নের এই অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হ./ত্যা করেন।
সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান সখিনা বেগমকে॥ 🇧🇩
আজকের দিনে সখিনা আমাদের সাহস। আমাদের শক্তির উৎস এবং আমাদের অনুপ্রেরণা॥ যুগে যুগে সখিনারা জন্ম নেবে রাজাকার বধে!!
আপনি কি বলেন..?