মাসিক মুঈনুল ইসলাম

মাসিক মুঈনুল ইসলাম ... আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত মাসিক মুঈনুল ইসলাম

মাসিক মুঈনুল ইসলাম/চলতি সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত এই প্রবন্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর জীবনপঞ্জি বিস্তৃত ও সুগভীরভ...
20/09/2025

মাসিক মুঈনুল ইসলাম/চলতি সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত এই প্রবন্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর জীবনপঞ্জি বিস্তৃত ও সুগভীরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নবীর শৈশব থেকে নবুওয়াত, দাওয়াত ও তাবলীগ, হিযরতের ঘটনা, খন্দক ও উহুদ যুদ্ধে নেতৃত্বদান, মক্কা বিজয় ও হুনাইন যুদ্ধ, সাহাবীদের সঙ্গে সম্পর্ক, নৈতিক চরিত্র, দয়া, উদারতা, সত্যনিষ্ঠা, ধৈর্য ও বিচক্ষণতার দৃষ্টান্ত- সবকিছু পাঠকের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠবে বলে আশা করি।

পাকিস্তানের করাচির জামিয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়াহ আল্লামা বানূরি টাউন-এর মুহতামিম হযরত মাওলানা ড. আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার (হাফি.)এর নিখুঁত বিশ্লেষণ ও সাহিত্যিক উপস্থাপনা পাঠককে নবীর চরিত্র, নৈতিক শিক্ষা ও ইসলামের গভীর বার্তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে নিবে, ইনশাআল্লাহ। নবী জীবনের প্রতিটি দৃশ্য ও ঘটনা শুধু ইতিহাসের প্রতিফলন নয়, বরং সমকালীন মুসলিম জীবনের জন্য দিশারী ও আদর্শ প্রদর্শক। এই প্রবন্ধ পাঠককে নবীর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি তাঁর অসামান্য মানবিক ও নৈতিক চরিত্রের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে উদ্বুদ্ধ করবে, ইনশাআল্লাহ।
-------------------
লেখাটি সাবলীলভাবে পড়তে পত্রিকার হার্ডকপি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন। কারণ, অনলাইনে দীর্ঘ লেখা পড়তে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন।

** ঘরে বসেই রেজি: ডাকে “মাসিক মুঈনুল ইসলাম”-এর কপি পেতে চাইলে কমেন্টে লিখুন বা ইনবক্সে জানান।

ডাকযোগে ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন: মাত্র ৩০০ টাকা!

প্রতি মাসে ৫/১০ কপি একসাথে নিলে আকর্ষনীয় কমিশনের ব্যবস্থা আছে।

মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ- 01722-229621

জাতিসংঘের নীরবতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতি ও আরব বিশ্বের উদাসীনতা বিশ্বকে এক চরম মানবিক সংকটে ফেলে দিয়েছে।নির...
20/09/2025

জাতিসংঘের নীরবতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতি ও আরব বিশ্বের উদাসীনতা বিশ্বকে এক চরম মানবিক সংকটে ফেলে দিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা এবং বৃহৎ শক্তির স্বার্থপরতা গাজাসহ বিভিন্ন স্থানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘকে পুনর্গঠন এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অপরিহার্য....

-------------------
লেখাটি সাবলীলভাবে পড়তে পত্রিকার হার্ডকপি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন। কারণ, অনলাইনে দীর্ঘ লেখা পড়তে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন।

** ঘরে বসেই রেজি: ডাকে “মাসিক মুঈনুল ইসলাম”-এর কপি পেতে চাইলে কমেন্টে লিখুন বা ইনবক্সে জানান।

ডাকযোগে ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন: মাত্র ৩০০ টাকা!
প্রতি মাসে ৫/১০ কপি একসাথে নিলে আকর্ষনীয় কমিশনের ব্যবস্থা আছে।

মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ- 01722-229621

20/09/2025

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর স্বদেশপ্রেম
- হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.)
----------------------
নিজের দেশকে ভালোবাসা, নিজ দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা এবং অপরের নিকট নিজ সম্প্রদায়কে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। আল্লাহর সৃষ্টিগত বিধানে লক্ষ করলে দেখা যায়, যেমনিভাবে মানুষের রক্তে মাংসে, অস্থি-মজ্জা ও শিরা-উপশিরায় মিশে আছে পিতা-মাতার ভালোবাসা, সন্তান-সন্তুতির স্নেহ, প্রেম ও ভালবাসা, প্রকৃতগতভাবেই এরা একে অপরকে কাছে টেনে নেয়। তেমনিভাবে মানুষ যে ভূখন্ডে জন্মগ্রহণ করে, সে ভূখন্ডের আলো-বাতাস পেয়ে লালিত পালিত হয়। সে ভূখ-ের কথা ভুলতে পারে না, মন থেকে মুছে ফেলতে পারে না কোন দিন। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক কখনও নিজের ভূখণ্ডকে অবহেলা বা ঘৃণা করতে পারে না।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক সন্ধিক্ষণে আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন, যখন পৃথিবী অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সে সময়কে বলা হয়েছে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগ। কোথাও শান্তি ছিল না, স্বস্তি ছিল না। নৈরাজ্য আর নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে পৃথিবী নামক গ্রহটির অধিবাসীরা দিনাতিপাত করছিল। বিশেষ করে আরবের অবস্থা ছিল আরো করুণ। সর্বত্রই চলছিল দুর্বলের উপর সবলের জুলুম-অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতন। তিনি সমাজের এমন কার্যকলাপ দেখে ব্যথিত হতেন। সবল যেন দুর্বলের উপর জুলুম করতে না পারে, প্রবাসীরা যেন নিরাপত্তা লাভ করতে পারে, মানুষ যেন শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কিশোর বয়সে তিনি হিলফুল ফুজুল নামে একটি শান্তির সংগঠন গড়ে তোলেন। জাহিলিয়াতের গভীর অন্ধকারের মধ্যে এই মহৎ উদ্যোগ মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছিল।

রাসূলুল্লাহ (সা.) জন্মের পর থেকে একাধারে তিপ্পান্ন বছর যাবত মক্কা মুয়াজ্জমায় জীবন-যাপন করেন। শৈশবকাল থেকেই তাঁর চারিত্রিক মাধুর্য পরিস্ফূট হতে থাকে।

চল্লিশ বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর প্রথম ওহী নাযিল হয়। হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থাকাকালে অকস্মিক হযরত জিবরাঈল (আ.) আল্লাহর প্রত্যাদেশ নিয়ে হাজির হন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, আমি তো পড়তে জানি না। এরপর জিবরাঈল (আ.) তাঁকে চাপ দিয়ে তিনবার আলিঙ্গন করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক” থেকে ধারাবাহিক পাঁচটি আয়াত পাঠ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দেহের মধ্যে কম্পন শুরু হয়।

তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। বাড়ি ফিরে এসে স্ত্রী হযরত খাদীজা (রাযি.)এর নিকট হেরাগুহার সংঘটিত সকল ঘটনা খুলে বলেন। হযরত খাদীজা (রাযি.) একজন ধীশক্তির অধিকারী ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে আশ্বাস দিয়ে বলেন, কখনই না। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কখনই অপমানিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়তার সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন, অভাবীর সঙ্কটের সময়ে আগত অতিথির আপ্যায়ন করেন, বোঝা বহন করেন, নিঃস্বকে উপার্জনক্ষম করে তুলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবতার সাহায্য সহযোগিতা করেন।

এরপর হযরত খাদিজা (রাযি.) রাসূলুল্লাহ (সা.)কে নিয়ে তার চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফেলের নিকট যান। ওয়ারাকা সব শোনে বললেন, উনি হযরত জিবরাঈল (আ.), যাকে আল্লাহ মূসা (আ.)এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়; বরং উনি দুঃখ প্রকাশ করলেন, হায়! আমি যদি এই মুহূর্তে যুবক থাকতাম। হায়! আমি যদি জীবিত থাকতাম, যখন তোমার জাতি তোমাকে (জন্মভূমি মক্কা থেকে) বের করে দেবে।

এ কথা শোনে রাসূলুল্লাহ (সা.) রীতিমত উৎকণ্ঠিত কণ্ঠে জানতে চাইলেন, সত্যিই তারা কি আমাকে বের করে দেবে? প্রতুত্তরে ওয়ারাকা বললেন, হ্যাঁ, তারা সত্যিই তোমাকে বের করে দেবে। তুমি যে রিসালত নিয়ে পৃথিবীতে এসেছ, এরূপ কিছু নিয়ে ইতিপূর্বে যে বক্তিই এসেছিল তার সঙ্গে এরূপ আচরণ করা হয়েছে, তোমার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সময় পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকলে আমি তোমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবো। (সহীহ বুখারী, ১/২-৩)।

বাড়ি ফেরার পর থেকে হযরত ওয়ারাকার পূর্বাভাস কেন জানি রাসূলুল্লাহ (সা.) বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর মনে জাগরুক হচ্ছিল, সত্যিই কি তাঁকে মক্কা ছেড়ে চলে যেতে হবে? কিন্তু কোথায় যেতে হবে?

কালের বিবর্তনে একদিন সত্যি সত্যিই তাঁকে জন্মভূমি ছাড়তে হয়েছে। তাই বলে জন্মভূমিকে ভুলতে পারেননি কখনও। স্বদেশ প্রেম ও ভালবাসা বিস্মৃত হয়নি কোন দিন তাঁর মন থেকে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, মহান আল্লাহর নির্দেশে যখন তিনি মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিলেন, তখন তিনি মক্কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তুমি কতই না উত্তম নগরী। হে মক্কা! তুমি কতই না প্রিয়। আমার জাতি যদি আমাকে তোমার কোল থেকে বের করে না দিত, তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে কখনও অন্যত্র যেতাম না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাদী ইবনে হামরা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.)কে খায়ওয়ারাহ নামক স্থানে দাঁড়ানো দেখতে পেলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! হে মক্কা, তুমি আল্লাহর ভূ-খ-গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম। তুমি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় অন্যান্য ভূখ- থেকে। আমাকে যদি তোমার কোল থেকে বের করা না হতো, আমি তোমার কোল থেকে বের হয়ে যেতাম না।

স্মর্তব্য, বারংবার মনে উদ্ভূত তাঁর দেশপ্রেম মহান রাব্বুল আলামীনের অজানা ছিল না। তাই তিনি তাঁর প্রিয়নবীকে আশ্বাস বাণী শুনিয়ে দিলেন এই বলে, “নিশ্চয়ই তোমার প্রতি যিনি কুরআনকে বিধান হিসেবে দিয়েছেন, তিনি (আল্লাহ্) তোমাকে পুণরায় প্রত্যাবর্তন স্থলে (জন্মভূমি মক্কায়) ফিরিয়ে আনবেন”। (সূরা কাসাস- ৮৫ আয়াত)।

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মভূমি মক্কা। আর আল্লাহর নির্দেশেই তাঁকে যেতে হয় মদীনায়। মদীনা তার আবাসভূমি। এই মদীনাকে কেন্দ্র করেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি ইসলামী কল্যাণময় রাষ্ট্র। ফলশ্রুতিতে মক্কা ও মদীনা মিলে তাঁর ক্ষেত্র হয় সু-প্রসারিত। কাজেই তাঁর স্বদেশ প্রেম মানে মক্কাপ্রেম। মক্কা মুকাররমার মাটি ও মানুষের প্রেম। তাঁর স্বদেশ মানে মদীনাপ্রেম। মদীনার আলো-বাতাস পাহাড় পর্বত প্রভৃতির প্রেম।

স্বদেশ হিসেবে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মধ্যে গভীর মদীনাপ্রেম যে ছিল, তার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। স্বদেশ হিসেবে মদীনার অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা মদীনাবাসির সুখ-শান্তি সমৃদ্ধির জন্য তিনি সব সময় সচেষ্ট ছিলেন। তিনি মদীনাবাসীদের জন্য এই বলে দুআ করতেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের প্রবৃদ্ধিদান কর, আমাদের ফল-ফসলে প্রবৃদ্ধি দান কর, আমাদের তৈজসপাত্র ও পরিমাপ পাত্রে বরকত দান কর এবং আমাদের এই নগরীকে নিরাপদ ও প্রশান্তিময় কর। (মুসলিম শরীফ)।

তিনি আরো দুআ করতেন, হে আল্লাহ্! ইব্রাহীম (আ.) তোমার বান্দা, তোমার বন্ধু ও তোমার নবী। আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা ও তোমার নবী। তিনি তোমার কাছে মক্কার জন্য দুআ করেছেন, আমি তোমার কাছে মদীনার জন্য দুআ করছি।

প্রিয় নবী (সা.) মদীনাকে এত গুরুত্ব দিতেন যে, কেউ মদীনা ত্যাগ করে অন্যত্র গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করুক, তিনি তা পছন্দ করতেন না। মদীনা বাসিদের জন্য যে মদীনা কল্যাণকর, তা তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রচার করতেন। কেননা, তিনি তা সম্যক অবহতি ছিলেন।

হযরত সুফইয়ান ইবনে আবু সুহায়ব (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বলতে শোনেছি- এক দিন ইয়ামান বিজিত হবে এবং সেখানে (স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য) মদীনার একদল লোক সঙ্গে নিয়ে যাবে তাদের পরিবার পরিজন ও অনুসারীদের। কিন্তু মদীনাই তাদের জন্য উত্তম, যদি তারা তা জানত। ইরাকও একদিন বিজয় হবে এবং সেখানে (বসবাসের জন্য) মদীনার একদল লোক ইরাকে যাবে এবং সঙ্গে নিয়ে যাবে তাদের পরিবার পরিজন ও অনুসারীদের। কিন্তু মদীনাই তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা তা জানত। (মুসলিম ও বুখারী)।

স্বদেশের প্রতি মানুষের সহজাত একটা টান থাকে। নিজেদের আবাসভূমি ছেড়ে দীর্ঘকাল অন্যত্র অবস্থান করার পর একদিন যখন নিজেদের জায়গায় ফিরে আসে, তখন সে এক অনাবিল আনন্দে আপ্লুত হয়। হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে যায়। হযরত আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই প্রবাস থেকে মদীনায় উপনিত হতেন, তিনি মদীনার প্রাচীরগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অবলোকন করতেন। এ সময়ে তিনি তার সাওয়ারী উটকে দ্রুত চলার জন্য তাড়া করতেন। যদি তিনি ঘোড়া কিংবা খচ্চর জাতীয় সাওয়ারীর পিঠে থাকতেন, তখন মদীনা প্রেমের উচ্ছাসে তিনি তাকে তড়িৎ চলতে তাড়া করতেন। (মুসলিম ও বুখারী)।

উল্লিখিত বর্ণনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্বদেশকে ভালোবাসতেন। সনদের বিচারে নির্ভরযোগ্য না হলেও অর্থগতভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ কথিত একটি হাদীস আছে, “হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ঈমান”, অর্থাৎ- স্বদেশপ্রেম ঈমানের অংশ।

স্মর্তব্য, দেশের মাটি ও মানুষ, দেশের আকাশ, দেশের প্রকৃতি পরিবেশ প্রভৃতির সব কিছুতেই হৃদয়ের ভালোবাসা সঞ্চারিত হতে পারে। দেশের নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষরাজিও হতে পারে ভালোবাসার পাত্র।

মদীনার ওহুদ পর্বত এক দুঃখজনক ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত পাহাড়। হযরত আনাস (রাযি.)এর এক বর্ণনায় জানা যায়, তিনি বলেন, ওহুদ পাহাড় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর দৃষ্টি গোচর হলেই বলতেন, এই পাহাড় আমাদের ভালোবাসে, আমরাও ভালোবাসি এই পাহাড়কে। হে আল্লাহ্! ইবরাহীম (আ.) মক্কাকে হারাম (পবিত্র সম্মানিত) করেছেন, আমি হারাম ঘোষণা করছি মদীনাকে এবং মদীনার মধ্যবর্তী স্থলকে। (তিরমিযী)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বদেশের মানুষের প্রতি কতখানি উদার ও ভালোবাসা পরায়ণ ছিলেন, তাঁর স্বাক্ষর মিলে মক্কা বিজয়কে বিচার বিশ্লেষণ করলে। যে মক্কাবাসী দীর্ঘ বিশ একুশ বছর তাঁর প্রতি যে অমানুষিক আচরণ করেছিল, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাঁর প্রতি ও তাঁর অনুসারীদের প্রতি জুলুম নির্যাতন চালিয়েছিল, সেই মক্কাবাসীদের উপর প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেন। আবু সুফিয়ান, হিন্দ, ওয়াহশীর মত পরম শত্রুকেও তিনি বুকে টেনে নেন। মক্কাবাসীরা যে মুহূর্তে জীবন নামের আশংকায় শংকিত, সেই মহূর্তে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর কণ্ঠে উচ্চারিত হল, তোমাদের প্রতি আজ আমার কোন অভিযোগ নেই। নেই কোন প্রতিশোধের ইচ্ছে, যাও তোমরা স্বাধীন মুক্ত। কী বিস্ময়কর!

এই সংঘাতময় পৃথিবীতে যদি আজ আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)কে অনুসরণ ও তাঁর সকল কিছুই অনুকরণ করতে পারি, তথা আমাদের জীবনে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের বিধানগুলো প্রতিফলিত হয়, তবে দেশের অভ্যন্তরীণ জাতিগত ঐক্য, সামাজিক সহনশীলতা, শান্তি, সম্প্রীতি ও সংহতিপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হতে বাধ্য।

কাজেই আসুন, আমরা প্রত্যেকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হই। অতীত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ তথা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাই। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককেই খাঁটি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
-------------------
- আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.)
মহাপরিচালক- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

অনুলিখনে- মাওলানা মুনির আহমদ

19/09/2025

শতাব্দীর অন্যতম গণজাগরণ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)
-----------------------
অসাধারণ দায়িত্ববোধ, গভীর জীবন দর্শন ও নিরলস শ্রমের এক অবিস্মরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে নাস্তিক-মুরতাদদের আকস্মিক উত্থান এবং আল্লাহ, রাসূল, আহলে বাইত ও সাহাবায়ে কেরামের প্রতি একশ্রেণির ব্লগারের সীমাহীন বিষোদগারের ফলে সৃষ্ট আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা বয়োবৃদ্ধ এক নেতা। তিনি জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে এক অতুলনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। এটাই তাঁর দায়িত্ববোধ, গভীর জীবন দর্শন ও উম্মাহর প্রতি দায়বদ্ধতা।

অশীতিপর তিনি- এ কথা মনে হয়নি কখনও তার নেতৃত্ব দেখে। ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে বয়সের তোয়াক্কা করেননি তিনি। বরং নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করেছেন। সর্বস্তরের আলেম ও ধর্মপ্রাণ জনগণ তার ডাকে ২০১৩-এর নাস্তিক মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত হন। দেশের আলেমসমাজ নানা কারণে আল্লামা শফীর প্রতি আস্থা রাখেন। তিনি গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন, তাই তাকে বিশ্বাস করেছে সবাই। এই বিশ্বাসের ওপর ভর করেই সফলভাবে গড়ে তুলেন তিনি হেফাজত আন্দোলন।

ধারণা ও প্রথাগত ঐতিহ্য নেতৃত্ব থাকবে ঢাকায়, এই অচলায়তন তিনি ভেঙেছেন। শেকড় থেকে ওঠে আসা তার সাহসী নেতৃত্ব, তার স্মিত হাসি ভরসা জুগিয়েছে আপামর জনগণকে। তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, তিনি শায়খুল আরব ওয়াল আজম হোসাইন আহমদ মাদানি রহমাতুল্লাহি আলাইহির খলিফা, তিনি উম্মুল মাদারিসখ্যাত হাটহাজারি মাদরাসার মুহতামিম, তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি, তিনি একজন নবতিপর বুজুর্গ ব্যক্তি, তিনি একজন শায়খুল হাদিস। তাই তাঁর ডাকে সংগঠিত শতাব্দীর অন্যতম গণজাগরণ হেফাজতে ইসলাম শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এ এক বিস্ময়।

আল্লামা আহমদ শফী ১৯৩০ সালের ৫ এপ্রিল (পাসপোর্টের হিসাবমতে) বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানাধীন পাখিয়ারটিলা নামক গ্রামের এক অভিজাত সম্ভ্রান্ত ও ঐতিহ্যবাহী দীনদার আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো. বরকত আলী, মাতা মেহেরুন্নেছা বেগম।

আল্লামা শফীর নিয়মিত শিক্ষাজীবন শেষ হয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে। এখান থেকেই তিনি মাওলানা সনদ লাভ করেন। দেওবন্দে অধ্যয়নরত অবস্থায় আহমদ শফী শায়খুল ইসলাম হজরত হোসাইন আহমদ মাদানির হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং অতি অল্প সময়ে খিলাফতপ্রাপ্ত হন। তিনি উপমহাদেশে খ্যাতিমান ইসলামি আইন বিশারদ মুফতি ফয়জুল্লাহ, শায়খুল হাদিস আল্লামা সুফি আবদুল কাইউম, শায়খুল আদিব আল্লামা মুহাম্মদ আলী নিজামপুরী ও শায়খ আল্লামা আবুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেন। অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, চিন্তাশীল, প্রখর মেধাবী ও সুবুদ্ধির অধিকারী হওয়ায় আল্লামা শফী তাঁর উস্তাদদের বিশেষ নজরে থেকে শিক্ষা জীবন কৃতিত্বের সঙ্গে শেষ করেন।

আল্লামা শফীর কর্মজীবন শুরু হয় হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে। ১৪০৭ হিজরিতে তিনি এ মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব লাভ করেন। এখনও তিনি হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পাশাপাশি শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও পালন করছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নিজের মেধা, শ্রম, কর্মচিন্তা আর সৃষ্টিশীল সুকুমারবৃত্তির চর্চায় নিজেকে তৈরি করেছেন লাখে একজন হিসেবে।

পীরে কামেল, শায়খুল হাদিস, লেখক, খতিব, ওয়ায়েজ, মাদরাসার পরিচালক, সংগঠনের আমির, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, গবেষক বহু অভিধায় তাকে অভিহিত করা যায়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমার মতে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি সাদা মনের বিশাল হৃদয়ের এক মহানুভব ব্যক্তিত্ব। যার শিশুসুলভ সরল হাসি যে কারও মন জয় করে নিতে পারে।

আমি তাঁর ছাত্র নই, তবে একান্তভাবে তাঁর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকবার। তাঁর মতো ব্যক্তির জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করার জ্ঞান ও যোগ্যতা কিছুই রাখি না।

আল্লামা শফীকে প্রথম সামনাসামনি দেখি ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। হাটহাজারী মাদরাসার অফিসে। ফজরের পরপর দেখা। শুনেছি, তিনি কখনও সকালে ঘুমান না। সেদিনও তিনি ঘুমাননি। আমরা যে কাজে গিয়েছিলাম, ধীরস্থিরভাবে সব কথা শুনে, কাগজপত্র দেখে গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে তিনি আলোচিত বিষয়ে সাবলীলভাবে তাঁর দর্শন উল্লেখ করে তাতে সম্মতি দিয়ে দেন। সূচনা হয় এক ইতিহাসের। যার ফলে দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে এ সংক্রান্ত বিল পাস হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কওমি মাদরাসাগুলো দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসারে পরিচালিত হবে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়নি আইনে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের আলেমরা আল্লামা শফীর নেতৃত্বে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি কারণে একতাবদ্ধ হন। আলাদা আলাদা বোর্ডগুলো একটা সংস্থার অধীনে আসে। এটা বিরল অর্জন।

ব্যক্তিজীবনে আল্লামা শফী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনও নিজেকে জড়াননি। তবে ইসলাম ও মুসলমানদের যেকোনো সংকটে আল্লামা শাহ শফীর আহ্বানে পারস্পরিক মতভেদ ভুলে সবাই ছুটে যান তাঁর কাছে। ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থের প্রয়োজনে সাড়া দিতে কখনও দেরি করেন না তিনি। এ কারণে বহুধাবিভক্ত ইসলামি নেতৃবৃন্দের ঐক্যের প্রতীক বলা হয় আল্লামা শফীকে।

আমল ও সংশোধনীমূলক বক্তব্যই বেশি দিয়েছেন তিনি। দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কঠিন কথাগুলোও তিনি সহজ-সরলভাবে উল্লেখ করেছেন। প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে জ্বালাময়ী বক্তব্য তিনি দেননি কখনও।

২০১২ সালের জুন মাসে হজ ক্যাম্পে কওমি মাদরাসার সরকারি সনদ বিষয়ক বৈঠক শেষে লিখিত সারসংক্ষেপ শুনে নিজে সংশোধনী দেন। সারসংক্ষেপ লেখা শেষে হুজুরের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য প্রাপ্তি ছিল সত্যিই অকল্পনীয়। বলতে দ্বিধা নেই, আল্লামা শফীর কাছ থেকে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য শুধু আনন্দিতই করেনি, আমার কর্মস্পৃহাকেই অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। এ আমার পরম সৌভাগ্য।

বিশ্বের আনাচে-কানাচে আল্লামা আহমদ শফীর ছাত্র, শিষ্য, মুরিদ, ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে। এ সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন। আল্লামা শফীর নম্রতা, সুন্নতের অনুসরণ, খোদাভীরুতা, ইলম ও প্রজ্ঞা তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। দেশবাসী তাকে ‘শায়খুল ইসলাম’ বলে সম্বোধন করেন। কেউ বলেন হাটহাজারীর হজরত। এসবই তার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।

২০০১ সালে পবিত্র উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব গেলে হারামাইন শরিফাইনের মহাপরিচালক শায়খ সালেহ বিন আল হুমাইদ তাঁকে পবিত্র কাবার গিলাফের একটি অংশ হাদিয়া প্রদান করে সম্মানিত করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি, তমদ্দুন মজলিসসহ বেশকিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন আল্লামা আহমদ শফীকে শ্রেষ্ঠ ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছেন। এগুলো তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের অন্যতম স্বীকৃতি।

দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়াজ মাহফিল, শানে রিসালাত সম্মেলনসহ নানা সভা-সেমিনারে যোগ দিয়েছেন। এসব সভায় তিনি ব্যক্তি থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করেছেন। প্রতিটি নাগরিককে দীনি ইলম শিক্ষার পাশাপাশি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের প্রকৃত অনুসারী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। গোনাহমুক্ত জীবন-যাপনের কথা বলেছেন।

লেখালেখিতেও রয়েছে তাঁর রয়েছে বিশেষ অবদান। বাংলা ও উর্দু ভাষায় তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৫টি। এ ছাড়া উর্দু ও বাংলা ভাষায় তাঁর আরও অনেকগুলো গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়। এই বয়সেও তার এমন কর্মতৎপরতা সত্যিই ঈর্ষণীয়।

২০১৭ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত যান তিনি। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ সফরে যান। ওই সফরে আল্লামা আরশাদ মাদানিসহ দেওবন্দের আলেমরা তাঁকে বিপুল অভ্যর্থনা জানান। বাংলাদেশি আলেমদের জন্য এ এক বিশাল প্রাপ্তি।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সভাপতি ও দারুল উলূম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা সৈয়দ আরশাদ মাদানি হাটহাজারী পরিদর্শন করেন। এ সময় সৈয়্যদ আরশাদ মাদানি ও আল্লামা শাহ আহমদ শফী সালাম-মুসাফাহা শেষে পরস্পরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং কুশল বিনিময় করেন। দুই বুজুর্গের এমন ভালোবাসা বিনিময়ের বিরল দৃশ্য ইতিহাস হয়ে আছে।

দেশ-বিদেশে আল্লামা শফী প্রচুর খলিফা রয়েছেন। তন্মধ্যে শুধু ঢাকাতে রয়েছেন শতাধিক খলিফা। যারা বিভিন্ন দীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আল্লামা আহমদ শফী বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত বিবৃতি ও দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে দেশ ও জাতি ও সরকারকে সতর্ক করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার কারণে মসজিদে জামাত চালু, কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা বিষয়ে তার বিবৃতি জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে।

আল্লামা শফী পাঁচ সন্তানের জনক। তন্মধ্যে দুই ছেলে তিন মেয়ে। বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানি। মেয়ের জামাতাদের তিনজনই আলেম। আল্লামা শফীর স্ত্রীর নাম ফিরোজা বেগম।

আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বাদ মাগরীব ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদেরকে এতীম করে ইন্তেকাল করেছেন শতাব্দীর মহাজাগরণের মহানায়ক আল্লামা শাহ আহমদ শফী । ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
------------------
লিখেছেন – মুফতি এনায়েতুল্লাহ
তরুণ আলেম, সাংবাদিক।

18/09/2025

উম্মাহর রাহবার, দেশের শীর্ষ আলেম, উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর সাবেক মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর, পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর আজ পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।

২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালে গোটা দেশ-বিদেশে কোটি কোটি তাওহিদী জনতার হৃদয়ে গভীর শোক নেমে আসে। পরদিন অনুষ্ঠিত স্মরণকালের বৃহৎ জানাযা শেষে তাঁকে তাঁর জীবনের কর্মক্ষেত্র ও সাজানো বাগান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার নিজস্ব কবরস্থানে চিরশায়িত করা হয়।

শায়খুল ইসলামের জীবন ছিল ইলম, আমল ও নেতৃত্বের অনন্য সমন্বয়। রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায় শিক্ষার প্রথম ধাপ শুরু করে তিনি জিরি মাদ্রাসায় অল্পদিন অধ্যয়ন করেন। দশ বছর বয়সে ভর্তি হন দারুল উলূম হাটহাজারীতে। ১৯৪১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত গমন করে বিশ্ববিখ্যাত দারুল উলূম দেওবন্দে চার বছর ইলমে তাফসির, হাদিস ও ফিকহ অধ্যয়ন শেষে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা শায়খুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানি (রাহ.)এর সংস্পর্শে এসে তাঁর খেলাফত ও আধ্যাত্মিক দীক্ষালাভ করেন।

১৯৪৬ সালে দেশে ফিরে তিনি দারুল উলূম হাটহাজারীতে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে মহাপরিচালক এবং পরে শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পান। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব ও সুদক্ষ পরিচালনায় হাটহাজারী মাদ্রাসা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ও ভূমিকা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

২০০৮ সালে তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১০ সালে শীর্ষ উলামায়ে কেরামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ—যার প্রতিষ্ঠাতা আমীর হিসেবে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনটি ঈমান-আকিদা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিচালনা করে এবং জাতীয় জীবনে ইসলামী মূল্যবোধ ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়। তাঁর দূরদর্শিতা ও অটল অবস্থানে ইসলামী তাহযিব-তামাদ্দুনের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শায়খুল ইসলাম (রাহ.) ছিলেন উলামায়ে কেরামের ঐক্যস্থাপনের প্রবাদপ্রতিম রাহবার। বিভাজন ও মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বিশেষ স্মরণীয় উক্তি ছিল- “এক হও, নেক হও”। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার ঐক্য সুসংহত হয় এবং স্বকীয়তা ও নিজস্ব বৈশিষ্ট অক্ষুণ্ন রাখার সরকারি অঙ্গিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জিত হয়, যা বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

শিক্ষা, দাওয়াত, সাহিত্য ও নেতৃত্ব—সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান অসামান্য।
তিনি মাসিক মুঈনুল ইসলাম প্রকাশনার সূচনা করেন, খতমে নবুওয়াত ও নাস্তিকতা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে থেমিস দেবী অপসারণে ভূমিকা রাখেন, স্কুল পাঠ্যপুস্তক থেকে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার ২৯টি বিষয় সংশোধনে তৎকালের আওয়ামী সরকারকে বাধ্য করেন এবং দাওয়াতি ও আধ্যাত্মিক খেদমতের অসংখ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যেও তিনি আরবি, উর্দু ও বাংলায় দুই ডজনেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

আজ তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এই মহাপুরুষকে। শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.) ইন্তিকাল করলেও তাঁর কর্মগাঁথা যুগের পর যুগ উম্মাহকে পথ দেখিয়ে যাবে।

দয়াময় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, তিনি যেন আমার প্রিয় শায়েখ ও উম্মাহদরদী এই শীর্ষ রাহবারকে জান্নাতুল ফেরদাউসে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং আমাদের তাঁর রেখে যাওয়া নকশে কদমের উপর চলার তাওফীক দান করেন। আমিন।
-------------------
লিখেছেন- মাওলানা মুনির আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক- মাসিক মুঈনুল ইসলাম

14/09/2025

জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ (রহ.)এর ইন্তিকালে জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মহাপরিচালকের শোক ও সমবেদনা প্রকাশ
---------------------
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মুফতি হাফেয আহমাদুল্লাহ (রহ.)এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী কুরাইশী (দা.বা.)।

আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) রবিবার প্রদত্ত এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমাদুল্লাহ সাহেব (রহ.) দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ আলেমদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর ও খাইরুল মাদারিস থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচী থেকে তিনি মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে তিনি আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদ্রাসায় অধ্যাপনা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আল্লামা আবদুল হালিম বুখারী (রহ.)এর ইন্তিকালের পর জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দরস দিয়ে যান। আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ (রহ.) ইসলামিক ফিকহ একাডেমি বাংলাদেশ এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের নেতৃত্বের সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও, তার উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ ও অনুবাদ রয়েছে, যার মধ্যে “মাশায়েখে চাটগামী” ও “যুগোপযোগী দশ মাসায়েল” অন্যতম।

শোক বার্তায় আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) আরো বলেন, মরহুম মুফতি আহমাদুল্লাহ সাহেব ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। ঈমান-আক্বিদার বিষয়সহ দ্বীনি যেকোন বিষয়ে প্রায়ই আমার সাথে কথা বলতেন ও মতবিনিময় করতে। জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর প্রতিও তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল। হাটহাজারীতে যখনই আসতেন, মরহুম হযরত আমার রুমে কিছু সময় না কাটিয়ে যেতেন না। বিভিন্ন দ্বীনি বিষয়ে ও ইলমি বিষয়ে আলোচনা করতেন। তাঁর বহুমুখী দ্বীনি খিদমত ও অবদান আগামীতে দ্বীনের দায়ী ও উলামায়ে কেরামের জন্য অনুপ্রেরণার খোরাক হয়ে থাকবে। এভাবে তাঁকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলবো, কখনো ভাবিনি। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাঁর এই ইন্তিকালে ইলমি ও দাওয়াতী অঙ্গনে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা সহজে পুরণ হবার নয়।

শোকবার্তায় আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) মরহুম আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ (রহ.)এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে জান্নাতে মরহুমের উঁচু মাক্বামের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। পাশাপাশি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, জামিয়া পটিয়ার সকল শোকাহত শিক্ষক-ছাত্র এবং অগণিত শাগরিদ-ভক্তদের প্রতি প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মাসিক মুঈনুল ইসলামসেপ্টেম্বর-২০২৫ সংখ্যা | The Monthly Mueenul Islam – September- 2025এই সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:-...
12/09/2025

মাসিক মুঈনুল ইসলাম
সেপ্টেম্বর-২০২৫ সংখ্যা | The Monthly Mueenul Islam – September- 2025

এই সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-----------------------------------
** জাতিসংঘের নীরবতা, আমেরিকার আগ্রাসন ও আরববিশ্বের উদাসীনতা: মানবতার চরম সংকট

** সীরাতে তাইয়্যেবাহ:
রাসূলুল্লাহ (সা.)এর অনুপম জীবনালেখ্য

** মুসলিম উম্মাহর প্রতি এক সতর্কবার্তা:
আব্রাহাম চুক্তি: ঐক্যের নামে পশ্চিমা নতুন ফাঁদ

** জুলাই অভ্যুত্থান ও বুদ্ধিবৃত্তিক আত্মজাগরণ

** তালিবে ইলমের সফলতার দিশা:
খাঁটি নিয়ত, গভীর ইলম, নিষ্ঠাপূর্ণ আমল

** রাসূলুল্লাহ (সা.)এর বিদায়:
আরাফার ময়দান থেকে রফীকে আ’লার সান্নিধ্য পর্যন্ত

** সীরাতে নববীর আলোয় নারীর অধিকার

** আল্লাহর আকস্মিক আযাব ও বিদ্রুপকারীদের পরিণতি

** শহীদ ইয়াহইয়া আস সিনওয়ারার ঈমান জাগানিয়া গল্প:
কাঁটা ও লবঙ্গ ফুল (সপ্তম কিস্তি)

** তাকলীদের যুক্তি, মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা ও লা-মাযহাবিয়াতের ভ্রান্তি

** হিদায়াতের পথ:
রাতারাতি নয়, ধাপে ধাপে

** পাঠকের শরীয়ত সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের সমাধান সম্পর্কিত ৮ পৃষ্ঠার
জনপ্রিয় ‘জিজ্ঞাসা-সমাধান’ বিভাগ

** পাঠকের রিসালা:
>> শাপলার রক্তঋণ ও জুলাই সনদের অবহেলা
>> এআই ও ধর্মব্যাখ্যার ভবিষ্যৎ: সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
>> একাত্তর, পরাধীনতা ও আজকের পুনর্জাগরণ

** কিশোর মুঈন:
>> বিদায় হজ্জের ভাষণ
>> সীরাত পাঠের প্রয়োজনীয়তা
---------------------
ঘরে বসেই রেজি: ডাকে কপি পেতে চান?
কমেন্টে লিখুন বা ইনবক্সে জানান।
ডাকযোগে ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন: মাত্র ৩০০ টাকা!

পাইকারি (৫/১০ কপি) নিতে চাইলে আলাদা ব্যবস্থাও আছে।

মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ: 01722-229621

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করে পাশে থাকুন।

12/09/2025

গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর-২০২৫ইং) বৃহস্পতিবার হাটহাজারী ডাকবাংলো প্রঙ্গনে আপোষহীন সংগ্রামী আলেম, কায়েদে মিল্লাত হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ. )এর জীবন ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর শিক্ষক মাওলানা নিজাম সাইয়্যেদ (হাফি.)।

[পুন: প্রচার]

12/09/2025

গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর-২০২৫ইং) বৃহস্পতিবার হাটহাজারী ডাকবাংলো প্রঙ্গনে আপোষহীন সংগ্রামী আলেম, কায়েদে মিল্লাত হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ. )এর জীবন ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা ড. নূরুল আবছার আযহারী (হাফি.)।

12/09/2025

গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর-২০২৫ইং) বৃহস্পতিবার হাটহাজারী ডাকবাংলো প্রঙ্গনে আপোষহীন সংগ্রামী আলেম, কায়েদে মিল্লাত হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ. )এর জীবন ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী (হাফি.) বিশেষ জোর দিয়ে বলেছেন, “হেফাজতে ইসলাম দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুরুব্বী হযরাতগণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে অনেককে দেখা যাচ্ছে, হেফাজতের নাম-পদবী ও সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ঈমান-আক্বিদাভিত্তিক এই বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠনকে অপব্যবহার করছেন এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে লিপ্ত।
তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চরণ করে বলেন, “হাটহাজারীর হেফাজত হাটহাজারীতেই নিরাপদ। হেফাজতে কোন দালালের জায়গা হবে না।”

11/09/2025

আপোষহীন সংগ্রামী আলেম, কায়েদে মিল্লাত হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ. )এর জীবন ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর শিক্ষাসচিব ও মুহাদ্দিস হযরত আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ (হাফি.)।

11/09/2025

আপোষহীন সংগ্রামী আলেম, কায়েদে মিল্লাত হযরত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ. )এর জীবন ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর সিনিয়র উস্তাদ হযরত মাওলানা নোমান আযহারী (হাফি.)।

Address

Darul Uloom Mueenul Islam
Hathazari
4330

Telephone

+8801815647211

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক মুঈনুল ইসলাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক মুঈনুল ইসলাম:

Share

Category