03/08/2025
Motivation Letter--
বিদেশে পড়াশোনার জন্য আবেদন করার সময় অনেক সময় আমাদের একটি জিনিস লিখে জমা দিতে বলা হয়, যেটার নাম Motivation Letter। এটি আসলে এমন একটি লেটার, যেখানে আপনি নিজের ভাষায় বুঝিয়ে বলেন কেন আপনি সেই কোর্সটিতে পড়তে চান, আপনার স্বপ্ন কী, আপনি কোন দিকে এগিয়ে যেতে চান এবং কেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
অনেকে এটাকে SOP এর মতো মনে করলেও, Motivation Letter একটু বেশি ব্যক্তিগত। এখানে আপনি শুধু ডিগ্রি বা রেজাল্টের কথা বলবেন না, বরং আপনার ভেতরের ইচ্ছা, অভিজ্ঞতা, এবং জীবনের লক্ষ্যও তুলে ধরবেন। ধরুন, ছোটবেলা থেকেই আপনার প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ, বা আপনি সমাজে কিছু বদল আনতে চান এমন অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনাগুলো এই চিঠিতে লেখা যায়।
Motivation Letter লেখার সময় প্রথমেই নিজের পরিচয় ও আপনি কোন কোর্সে আবেদন করছেন সেটা লিখে শুরু করতে পারেন। এরপর লিখবেন আপনি কেন এই বিষয়টিতে আগ্রহী, সেটা কীভাবে শুরু হয়েছে, এবং আপনি কী শিখতে চান। এরপর আপনার লক্ষ্য নিয়ে কিছু বলবেন আপনি পড়াশোনা শেষে কী করতে চান, দেশে ফিরে কী অবদান রাখতে চান ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি কেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটিকে বেছে নিয়েছেন সেটাও ব্যাখ্যা করবেন।
এই লেটার খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনার আবেদন শুধু নম্বর দিয়ে নয়, আপনার ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করেও মূল্যায়ন করে। অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রামেও এই চিঠি বাধ্যতামূলক, যেমন Erasmus Mundus বা ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বা মালেশিয়ার মাস্টার্স এবং পিএইচডি স্কলারশিপের ক্ষেতে খুবি গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণভাবে Motivation Letter আবেদন করার সময়, অর্থাৎ যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ফর্ম পূরণ করছেন, তখনই জমা দিতে হয়। তাই সময়মতো লেখা এবং ঠিকভাবে উপস্থাপন করা খুব দরকার।
সবশেষে বলব, Motivation Letter আসলে আপনার গল্প বলার একটা সুযোগ যেখানে আপনি শুধু কাগজে লেখা নাম্বার না, বরং একজন স্বপ্নবান মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। তাই এটি ছোট মনে করার কিছু নেই। বরং মন দিয়ে লিখলে, এটাই হতে পারে আপনার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।
Foyaz Hossain