23/12/2024
®-এমভি আল বাখেরা জাহাজে জবাই হওয়া সবাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে এটা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।
একটা জাহাজে শুধুমাত্র আটজন নাবিক থাকে না।কম গ্রস টনেস এর জাহাজ হিসেবেও কমপক্ষে ১১ জন নাবিক থাকে।এছাড়া সার লোড হওয়ার কারণে এ জাহাজে সার মালিক পক্ষের পক্ষথেকে এবং আমদানিকারক এর পক্ষথেকে কমপক্ষে দুইজন করে চারজন অতিরিক্ত স্কট থাকার কথা(জাহাজ ক্যারিয়ার বা সার্ভেয়ার দের থেকে সঠিকটা জানা যাবে কতজন স্কট দিয়েছে উনারা)।তারা কই?
এছাড়া এগুলা ছোট জাহাজ এবং প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের জন্য অতিরিক্ত নাবিক না থাকায় এসব জাহাজে বয়েজের সময় নাবিক ছুটিতে থাকে না। কারণ একজনের শূন্যতা পূরণ করার জন্য আরেকজন নাই।থাকেনা।
যে একজন বেঁচে ছিলো এবং যতটুকু শুনছি অন্য জাহাজ থেকে ৯৯৯ এ কল দেওয়ার পর কোস্ট গার্ড ঘটনাস্থলে যায়।যখন ঐ জাহাজ থেকে লাশ নামানো হয় তখনও ও বেঁচে ছিলো।এবং হাসপাতালে নেওয়ার সময় ও মৃত্যু বরণ করে।
সে কি আসলে মরে গেছে নাকি তাকেও মেরে ফেলা হয়েছে সেই প্রশ্নও থেকে যায়।
কারণ এ সবগুলো খুনের একমাত্র সাক্ষী গলা কাটা নাবিকই ছিলো।
প্রত্যেকটা নাবিক এভাবে নিজেদের রুমে গলাকাটা অবস্থায় থাকাতে প্রশ্ন আসছে আরো অনেক।ডাকাত আসলে তো কেউই এভাবে নিজেদের রুমে ঘুমায় না।ডাকাতরা সব নাবিকরে নির্দিষ্ট একটা রুমে আটকিয়ে ডাকাতি করে চলে যায়।
মাষ্টার বা দায়িত্ববান কাউকে মারধর করে।
সবাইকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমে রেখেই জবাই করা হয়নি তো?প্রশ্ন থেকেই যায়।
ডাকাতি করার জন্য এসব জাহাজে কিছুই নাই।যদি মাস্টারের কাছে কিছু লাইন খরচ বাবদ টাকা থাকে সেগুলোর জন্য মাস্টারকে মারধর করে।
এসব নেভিগেশনাল কোন যন্ত্রপাতি এসব জাহাজে নাই।জ্বালানি ছাড়া।
এসব ডাকাতরা নাবিকদের জামাকাপড় নিয়ে যায়।রান্না করার হারিপাতিল নিয়ে যায়।
এসবের কি অবস্থা সেটা দেখা দরকার।
একজন জাহাজ মাষ্টার হিসেবে কোন চিন্তা ছাড়ায় বলতে পারি এ জাহাজে ডাকাত আসে নাই।এই জাহাজ ডাকাতি হয়নি।খুনি আসছিলো।খুন হয়েছে এ জাহাজে।
খুনি আসছিলো নাকি আগে থেকেই ছিলো সেই প্রশ্নই রয়ে যাচ্ছে।
দেশ এবং দেশের বর্তমান দায়িত্বে থাকা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই হত্যা করা হয়েছে কিনা দেখা খুবই জরুরি।সর্ব প্রথম এটাই করা উচিৎ।
সাবেক সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল ও দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলোর প্লানিং কিনা খতিয়ে দেখা উচিৎ।
#সংগ্রহীত
স্বার্থের জন্য এসব দলগুলো সবকিছুই করতে পারে।