07/08/2025
সিলেটের অন্যতম আধ্যাতিক উপজেলা জগন্নাথপুর। এই, জগন্নাথপুরে জন্ম গ্রহন করেছেন। অসংখ্য মরমী সাধক, শিল্পী, গীতিকার, লেখক। যাঁরা সারা বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন। তাঁদের মধ্যে, রাধা রমণ দত্ত, শানুর শাহ, ফকির আছিম শাহ, রহমতুল্লাহ মুন্সির মতো নাম না জানা অসংখ্য গুণিজন। তাঁদেরই ন্যায় আমাদের জগন্নাথপুর উপজেলার বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামের সন্তান Md Arshad Ali Box,যিনি দুই যুগের ও বেশী সময় ধরে গান রচনা করে আসছেন। যে গানে সুদা মাটির গন্ধ মিশে থাকে,ভক্তিমুলক গান, জারি গান, দেশাত্মবোধক গান,গণসংগীত। যিনি একাধারে অজস্র গানের রচয়িতা।
তারমধ্যে, #শেষ নিশ্বাস হবে, যেদিন।প্রাণ পাখি বাসিবে বীণ। #আমি কি দিয়া রাখিবো তোমার মন,
আমার কাছে এমন ধন নাইরে,নাই কিছু দেয়ার মতো।
#তুমি যদি দাও তাড়াইয়ারে, বলো,আমি কোথায় যাই। আমার দুঃখ বলার এমন জায়গা নাই।
#অধরারে ধরতে ভজ, মুর্শিদের চরন।
মনরে করো তুমি আত্মসমর্পণ।।
#গাড়ির ভিতরে মানুষ কৌশলে আছে লোকাইয়া
দেখনা খঁজিয়া তারে দেখনা খুঁজিয়া।।
#গরীবের নাই মানকূলমান, গরীবের নাই সুবিচার
শোষকরা শোষণ করিয়া কেড়ে নিলো অধিকার।।
#গানের বাংলাদেশ আমার প্রানের বাংলাদেশ।
প্রিয়দেশে জন্ম আমার সবুজের নাই শেষ।
সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান। যেগুলোতে জীবনবোধের বাস্তব চিত্র মুন্সীয়ানি ভাবে তোলে ধরেছেন। তাঁর একটি গানের বই 'গীতিমাল্য ' প্রায় পনেরো বছর আগে সিলেটের সুনামধন্য গীতিকারদের সমন্বয়ে বের হয়েছিল।যাঁরা আমাদের সমাজে সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নীরবে অবদান রাখেন আমরা তাঁদের মূল্যায়ন করতে পারিনা। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।গুনীজনকে সম্মান না দিলে সে এলাকায় গুনীজনরা জন্মান না। আমাদের উচিৎ তাঁদের প্রাপ্য সম্মান
দেয়া।
আর্শাদ আলী বক্স চাচা'কে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলা সাহিত্য পরিষদে 'গীতিকবি' হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিশ্ব বাংলা সাহিত্য পরিষদ'কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং চাচা'কে অভিনন্দন ও শুভকামনা ❤️
Copy By: Ruman Ahmed