Suman sohanur

Suman sohanur ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সম্পর্ক

মাটির বুক চিরে কাঁঠালের আগমন!বিশ্বাস না হলেও সত্য—এই কাঁঠাল দুটি মাটির নিচ থেকে মাথা তুলে বের হয়েছে!আমাদের বাড়ির পুরনো ক...
12/05/2025

মাটির বুক চিরে কাঁঠালের আগমন!
বিশ্বাস না হলেও সত্য—এই কাঁঠাল দুটি মাটির নিচ থেকে মাথা তুলে বের হয়েছে!
আমাদের বাড়ির পুরনো কাঁঠাল গাছটা যেন এবার এক নতুন উপায়ে চমকে দিলো। গোঁড়া থেকে নয়, একেবারে গাছের গোড়ায় মাটির ভেতর থেকেই জন্ম নিয়েছে এরা। যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা কোনো শিল্পকর্ম!
এমন দৃশ্য জীবনে একবারই আসে।
এটা শুধু কাঁঠাল নয়, আমাদের গ্রামের জীবনের সঙ্গে প্রকৃতির মিশ্রণের এক অসাধারণ নিদর্শন।

#গ্রামেরজীবন #কাঁঠাল #প্রকৃতিরচমক #বাংলারগর্ব

৬ আজ তোমার দিবস মাআজ মা দিবস। বছরের এই একটি দিনকে আমরা উৎসর্গ করি আমাদের জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, নিঃস্বার্থ ও ভালোবাস...
11/05/2025

৬ আজ তোমার দিবস মা

আজ মা দিবস। বছরের এই একটি দিনকে আমরা উৎসর্গ করি আমাদের জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, নিঃস্বার্থ ও ভালোবাসার একমাত্র ছায়া—আমাদের মা-কে। অথচ মা তো শুধুই একদিনের নয়। তিনি প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমাদের সঙ্গে থাকেন। তবু এই একটি দিন আমাদের সুযোগ দেয় তাঁকে ভালোবাসা জানানোর, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার, একটু বেশি যত্ন নেওয়ার।

মা মানেই ত্যাগ, মা মানেই ভালোবাসা

জন্ম থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে মা তাঁর সন্তানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। নিজের স্বপ্নকে সরিয়ে রেখে সন্তানের স্বপ্ন পূরণে নিজেকে বিলিয়ে দেন। রাতের ঘুম, নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন, এমনকি নিজের আবেগও মা অনায়াসেই ত্যাগ করেন। সন্তানের একটি হাসি যেন তাঁর জীবনের পরিপূর্ণতা।

মা যখন আমাদের দুধ খাওয়ান, তখন তিনি নিজে খেতে ভুলে যান। মা যখন রাত জেগে আমাদের মাথায় হাত রাখেন, তখন তিনি নিজের ক্লান্তি অনুভব করেন না। আমরা কেবল একটি শব্দ জানতাম—"মা", আর মা জানতেন হাজারো শব্দের ব্যাখ্যা, আমাদের না বলা কষ্টও তিনি বুঝে নিতেন।

মা দিবসের তাৎপর্য

মা দিবস শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়—এটি একটি উপলক্ষ, একটি উপলব্ধি। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যাঁকে আমরা "মা" বলে ডাকি, তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কতটা অনন্য। সমাজে মা-দের অবদান নিঃসন্দেহে অপরিসীম, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা অবহেলিত, মূল্যায়িত নন। এই দিনটি একটি প্রতীক—মায়েদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কৃতজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দেয়।

আজকের মা ও প্রযুক্তির যুগে মা-হওয়া

আজকের যুগে মা হওয়া আগের চেয়ে কঠিন। কর্মজীবী মায়েরা সংসার আর অফিসের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করছেন। অনেক মা একাই সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব নিচ্ছেন। প্রযুক্তি ও তথ্যের এই যুগে সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও, একজন মা তাঁর সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সন্তানের জন্য এক অবিনাশী আশ্রয়স্থল গড়ে তোলেন।

মাকে বলা হয়নি—অনেক কিছুই

আমরা প্রতিদিন মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খাই, তাঁর কথার মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা খুঁজি, কিন্তু তাঁকে কবে বলেছি—"তুমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষ"? আমরা কবে তাঁকে বলেছি—"তুমি ছাড়া আমি কিছুই না"? মা হয়তো মুখ ফুটে ভালোবাসা চান না, কিন্তু একটি শব্দ, একটি আলিঙ্গন, একটি চিঠি কিংবা একটি ফুল তাঁর হৃদয় ভরিয়ে দেয়।

এই মা দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক—আমরা মায়ের জন্য সময় বের করবো, তাঁকে ভালোবাসা জানাবো, তাঁকে সম্মান করবো, প্রতিটি দিন।

মা হীন জীবনের শূন্যতা

যাঁরা তাঁদের মা-কে হারিয়েছেন, তাঁদের হৃদয় জানে মায়ের অভাব কেমন। মায়ের মৃত্যুর পর পৃথিবীর সব আলো নিভে যায় বলে অনেকে মনে করেন। সেই শূন্যতা পূরণ হয় না কিছুতেই। মায়ের হাতের ছোঁয়া, কপালে চুমু, ঘুমপাড়ানি গান—সব হারিয়ে যায়। তাই যাঁদের মা বেঁচে আছেন, তাঁরা যেন তাঁকে সময় দেন, যত্ন নেন, এবং তাঁর পাশে থাকেন।

একটি সমাজে মা-এর অবস্থান

একটি সচেতন সমাজ গড়ে তুলতে হলে মায়েদের অধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক। মাতৃত্বের প্রতি সম্মান থাকা উচিত শুধু পরিবারেই নয়, রাষ্ট্র এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে। মাতৃত্বকালীন ছুটি, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক সহযোগিতা—এসবই একজন মায়ের প্রাপ্য। মা দিবস হোক একটি সামাজিক আন্দোলনের শুরু—যেখানে মায়েরা শুধুই সন্তান পালনের দায়িত্বে নয়, বরং জাতি গঠনের স্থপতি হিসেবে মর্যাদা পাবেন।

আমার মা: আমার পৃথিবী

আমার মা—তিনি আমার প্রথম শিক্ষক, প্রথম বন্ধু, প্রথম প্রেরণা। তাঁর হাসিতে আমি সাহস পাই, তাঁর চোখের অশ্রুতে আমি কষ্ট পাই। মা আমাকে শুধু দুনিয়ায় এনেছেন না, দুনিয়াটা চিনতেও শিখিয়েছেন। তাঁর কণ্ঠস্বর আমার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ শব্দ। তাঁর ছায়া আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর আশ্রয়।

শেষ কথা: প্রতিটি দিন হোক মা-র জন্য

মা দিবস আসবে যাবে। কিন্তু ভালোবাসা, যত্ন, শ্রদ্ধা—এসবের কোনো দিন নির্দিষ্ট নয়। মা জীবনের প্রতিটি ক্ষণে আমাদের ছায়া হয়ে থাকেন। তাই আমরা যেন প্রতিদিন তাঁকে সম্মান করি, ছোট ছোট ভালোবাসার কাজ করি, তাঁর পাশে থাকি।

এই মা দিবসে একটি ফুল দিন, একটি চিঠি লিখুন, অথবা কেবল বলুন—"মা, আমি তোমায় ভালোবাসি।"

09/05/2025
08/05/2025

#ভারত #পাকিস্তান। ৫। পর্ব ৪ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ, এবং ভারত ও পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে এর ফলাফল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে সিন্ধু নদী ব্যবস্থাপনা ও কৃষি নির্ভর অর্থনীতির ক্ষেত্রে। নিচে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:প্রভাবের প্রধান ক্ষেত্রপানির উপলব্ধতা:হিমালয়ের হিমবাহের গলন বাড়ছে, যা সিন্ধু, বিয়াস, জহেলাম প্রভৃতি নদীতে অস্থায়ীভাবে পানির প্রবাহ বাড়াচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে পানির উৎস কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।২০৫০ সালের মধ্যে সিন্ধু ব্যবস্থায় পানির প্রবাহ ১৫-৩০% কমতে পারে, যা পাকিস্তানের কৃষি ও পানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।বন্যা ও শুষ্কতা:জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও পড়শ বৃদ্ধি হচ্ছে। ২০২৫ সালে ভারতের বিতস্তা নদীতে জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বন্যা ঘটেছে।শুষ্কতার সময় পানির অভাব কৃষকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে পাকিস্তানের পঞ্জাব ও সিন্ধ অঞ্চলে।কৃষি ও অর্থনীতি:তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পানির অসামঞ্জস্য ফসল উৎপাদন কমাচ্ছে। পাকিস্তানের ৯০% খাদ্য উৎপাদন সিন্ধু নদীতে নির্ভরশীল।ভারতের উত্তরাঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ফসলের ফলন কমছে, যা খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে।জলবায়ু অপরাধ ও সংঘাত:পানির অভাব ও বন্যা দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বিতর্ক বাড়াচ্ছে। ২০২৫ সালে ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে আরও উত্তপ্ত করেছে।স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পানির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ছে, যা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ:হিমবাহের হ্রাস ও নদী ব্যবস্থার পরিবর্তন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য হুমকি।মরুভূমি প্রসারিত হচ্ছে, যা বন উজাড় ও মাটির ক্ষয় বাড়াচ্ছে।ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২১শ শতাব্দীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় পানি সংকট গুরুতর হবে, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।সিন্ধু জলচুক্তির আওতায় নতুন আলোচনা ও জলবায়ু সহযোগিতার প্রয়োজন আছে, কিন্তু রাজনৈতিক উত্তেজনা এটিকে বাধা দেয়।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দুই দেশের জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে, এবং এটি সমাধানের জন্য জরুরি সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।

08/05/2025

# ভারত #পাকিস্তান ৫। পর্ব ৩ সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty - IWT) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পানি ভাগ বণ্টন চুক্তি, যা ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়। এটি দুই দেশের মধ্যে পানি বিতর্ক সমাধানের জন্য একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বিশ্বব্যাপী সীমান্ত অতিক্রমকারী নদী নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের একটি উদাহরণ। নিচে এর ইতিহাস ও গুরুত্ব বিস্তারিত দেওয়া হলো:উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপটভারত বিভাজন ও পানি বিতর্ক: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর সিন্ধু নদী ব্যবস্থাপনা একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠে। সিন্ধু নদী ও এর প্রধান উপনদী (সতলজ, রাবি, বিয়াস, চেনাব, জহেলাম ও ইন্দস) ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের মধ্যে প্রবাহিত হয়। বিভাজনের ফলে পানির ভাগ বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পাকিস্তান, যে দেশের কৃষি অর্থনীতি সিন্ধু নদীর ওপর নির্ভরশীল, ভারতের পানি নিয়ন্ত্রণে আশঙ্কিত হয়।প্রাথমিক চেষ্টা: বিভাজনের পর প্রথমে ১৯৪৮ সালে একটি অস্থায়ী চুক্তি (Standstill Agreement) সই হয়, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। ১৯৫১ সালে ভারত পানি প্রবাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়, যা পাকিস্তানের জন্য গুরুতর চিন্তার বিষয় হয়।চুক্তির সৃষ্টিজাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতা: পানি বিতর্ক সমাধানে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক (তখন আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক) মধ্যস্থতা করে। ১৯৫১ সালে বিশ্বব্যাংক প্রস্তাব করে যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্থায়ী চুক্তি প্রয়োজন।বিশেষজ্ঞদল ও আলোচনা: ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনা চলে। ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়, নদীগুলো ভাগ করে নেওয়ার একটি সূত্র তৈরি করেন।স্বাক্ষর: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে করাচিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়। এটি ১৯৬০ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়।চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যনদী ভাগ বণ্টন:পূর্বী নদী (Eastern Rivers): সতলজ, রাবি ও বিয়াস নদী ভারতকে দেওয়া হয়। ভারত এই নদীগুলোর পানি ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকার পায়।পশ্চিমী নদী (Western Rivers): চেনাব, জহেলাম ও ইন্দস নদী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়, তবে ভারতকে সীমিত ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় (যেমন: জলবিদ্যুৎ প্রকল্প)।পানি ভাগাভাগি: পাকিস্তানের জন্য ৮০.৫% পানি নিশ্চিত করা হয়, বাকিটুকু ভারত ব্যবহার করতে পারে।নির্মাণ ও পর্যবেক্ষণ: চুক্তিতে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকছে যে ভারত ও পাকিস্তান নির্দিষ্ট ধরনের বাঁধ বা প্রকল্প নির্মাণ করতে পারবে। একটি স্থায়ী সিন্দু কমিশন গঠন করা হয়, যা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণের দেখাশোনা করে।বিরোধ সমাধান: চুক্তিতে একটি ত্রিসদনীয় কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিরসনের পদ্ধতি রয়েছে।বিশ্বব্যাংকের ভূমিকাবিশ্বব্যাংক ১.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পাকিস্তানের জন্য বিকল্প জলবাহী ব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করে, যাতে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্বী নদী থেকে পাকিস্তানের ক্ষতি হয় না। এটি চুক্তির সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।চুক্তির সাফল্য ও চ্যালেঞ্জসাফল্য: সিন্ধু জলচুক্তি দুই যুদ্ধ (১৯৬৫ ও ১৯৭১) ও বহু সীমান্ত সংঘর্ষের পরও অক্ষুণ্ণ রয়েছে, যা এটিকে একটি স্থিতিশীল চুক্তি হিসেবে প্রমাণ করে।চ্যালেঞ্জ:ভারতের বাগলিহার ও কিশাঙ্গাঙ্গা বাঁধ প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তান আপত্তি তোলে, যা আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির প্রবাহ কমছে, যা দুই দেশের মধ্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করছে।২০২৫ সালে ভারত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করে বিতস্তা নদীর জল ছেড়ে দেয়, যার ফলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বন্যা হয়। এটি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।বর্তমান পরিস্থিতিসিন্ধু জলচুক্তি এখনও কার্যকর, তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির কারণে এর উপর চাপ বাড়ছে। ভারতের ২০২৫ সালের পদক্ষেপ ও পাকিস্তানের প্রতিবাদ এটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ও জলবায়ু সহযোগিতার প্রয়োজন এখন অত্যন্ত জরুরি।

08/05/2025

#ভারত #পাকিস্তান ৫। পর্ব ২ কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং সংঘাতপূর্ণ বিষয়। এটি ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু হয় এবং আজ পর্যন্ত সমাধান হয়নি। নিচে এর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:উৎপত্তি ও ঐতিহাসিক পটভূমি১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা রাজ্যগুলোকে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি রাজ্য, যেখানে হিন্দু রাজা হরি সিং শাসন করতেন, কিন্তু জনসংখ্যার অধিকাংশ ছিল মুসলিম। ভৌগোলিকভাবে এটি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে সীমান্তে অবস্থিত।রাজা হরি সিং প্রথমে কোনো দেশে যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকতে চান। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান সমর্থিত উপজাতীয় মিলিশিয়া কাশ্মীর আক্রমণ করলে হরি সিং ভারতের কাছে সাহায্য চান। ভারত সাহায্যের শর্ত হিসেবে কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য "ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন" সই করতে বলে। হরি সিং তাতে রাজি হন, এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে প্রবেশ করে। এই ঘটনা থেকে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (১৯৪৭-৪৮) শুরু হয়।লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি)১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়, এবং কাশ্মীর ভাগ হয়ে যায়। ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকে জম্মু, কাশ্মীর উপত্যকা ও লাদাখের বেশিরভাগ অংশ, যা ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকে আজাদ কাশ্মীর (পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর) ও গিলগিট-বালতিস্তান। এই বিভাজন রেখা "লাইন অব কন্ট্রোল" (এলওসি) নামে পরিচিত। জাতিসংঘ কাশ্মীরে গণভোটের (প্লেবিসাইট) প্রস্তাব দেয়, যাতে কাশ্মীরের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে, কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।পরবর্তী সংঘাত১৯৬৫ ও ১৯৭১ যুদ্ধ: কাশ্মীর নিয়ে দ্বিতীয় যুদ্ধ হয় ১৯৬৫ সালে, কিন্তু এলওসি খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কাশ্মীর সরাসরি জড়ায়নি, তবে পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) স্বাধীন হয়ে যায়, যা পাকিস্তানকে দুর্বল করে।১৯৯৯ কার্গিল যুদ্ধ: পাকিস্তান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনারা কার্গিলে প্রবেশ করলে ভারত সামরিক অভিযান চালায়। এটি ছিল এলওসি-তে সীমিত যুদ্ধ, এবং ভারত পুনরায় নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনে।সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা: ১৯৮০-এর দশক থেকে ভারতীয় কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা লস্কর-ই-তৈয়বা ও জৈশ-ই-মোহাম্মদের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়, যারা কাশ্মীরে হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে।২০১৯ সালে পরিবর্তন২০১৯ সালে ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। এর ফলে রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়: জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। পাকিস্তান এটিকে "অবৈধ" বলে নিন্দা করে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন চায়, কিন্তু বেশিরভাগ দেশ এটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে।সাম্প্রতিক উত্তেজনা (২০২৫ পর্যন্ত)২০২৫ সালে কাশ্মীর ইস্যু আরও জটিল হয়েছে। এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। ৬ মে ভারত "অপারেশন সিঁদুর" নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ২৬ জন পাকিস্তানি নিহত হয়। পাকিস্তান পাল্টা হুমকি দেয়। এছাড়া, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করে বিতস্তা নদীর জল ছেড়ে দেয়, যার ফলে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বন্যা হয়। পাকিস্তান দাবি করে, তারা ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যাতে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চারজন সৈন্য আহত হয়।আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিকাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। চীন, যার কাশ্মীরের একটি অংশ (আকসাই চিন) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরামর্শ দেয়, কিন্তু ভারত এটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে।বর্তমান পরিস্থিতিকাশ্মীর এখনও উত্তপ্ত অঞ্চল। এলওসি-তে প্রায়ই গোলাগুলি, সন্ত্রাসী হামলা ও সামরিক সংঘর্ষ হয়। কাশ্মীরের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, অর্থনৈতিক সমস্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বসবাস করছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের পূর্ণ দাবি করে, এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা এখনও দূরবর্তী।

Address

Jamalpur
Jamalpur Chak
SHEIKHSKSMS

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Suman sohanur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share