12/10/2025
মাহমুদা ও প্রিয়াঙ্কা — দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।
ছুটিতে শহরের কোলাহল ছেড়ে গিয়েছিল এক পুরনো গ্রামে, ফারজানার দাদার পরিত্যক্ত পুরনো বাড়িতে।
অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ থাকেনি।
প্রথম রাতেই শুরু হয় অদ্ভুত সব ঘটনা।
মাহমুদা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখে—
একটা সাদা শাড়ি পরা মহিলা দূরে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ভেজা চুল, ফাঁকা চোখের ঘর… যেন শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়াঙ্কা বলে, “তুই নিশ্চয় ঘুমচোখে ভুল দেখছিস!”
পরদিন গ্রামের এক বৃদ্ধা বলে—
এই বাড়িতে এক বৃদ্ধা একা মারা যান। তাঁর মরদেহ কেউ পায়নি,
শুধু পায়ের ছাপ মিলেছিল ঘরের ভেতর।
মাহমুদা হেসে বলল,
*“ভূতটা আমাকেই ডাকছে বুঝি?”*
কিন্তু সেই হাসি আর বেশি সময় স্থায়ী হলো না।
সেই রাতেই মাহমুদা বলল,
*"ও বলেছে, আমি যেন এখানেই থেকে যাই…"*
প্রিয়াঙ্কা বুঝতে পারে, মাহমুদার মধ্যে কেমন যেন বদল এসেছে।
চোখে অদ্ভুত চাহনি, মাঝরাতে কথা বলছে — অথচ ঘরে কেউ নেই।
এক রাতে ঘুম ভেঙে দেখে —
মাহমুদা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলছে,
*“আমি থাকবো… তুই ওকে যেতে দে।”*
ভয়ে কাঁপতে থাকে প্রিয়াঙ্কা।
পরদিন সে সিদ্ধান্ত নেয় ফিরে যাবে শহরে।
ফারজানা, যিনি ওদের নিয়ে এসেছিলেন, তিনিও বলেন,
*“বাড়িটা অনেক আগেই অন্যরকম হয়ে গেছে… কে যেন এখানে থেকে যেতে বলে সবসময়।”*
প্রিয়াঙ্কা ব্যাগ গোছাতে থাকে।
বের হওয়ার সময় দেখে—
মাহমুদা বারান্দায় দাঁড়িয়ে, চোখ দুটো ফাঁকা।
সেই একই ভয়ানক কণ্ঠে বলে,
**“তুই যেতে পারিস…
কিন্তু আমি থাকবো।
এই বাড়ি এখন আমার…”**
সেই দিন থেকেই মাহমুদাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শুধু রাতে কেউ কেউ দেখে,
*বাড়িটার জানালায় এক সাদা ছায়া দাঁড়িয়ে থাকে — কারো জন্য অপেক্ষায়।*
---
** #ভৌতিকগল্প
#মাহমুদা_প্রিয়াঙ্কা
#ফারজানারবাড়ি
#বাংলাভৌতিক
**